ফেসবুক থেকে আয় করার ১২টি উপায় - ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম জানুন
বর্তমান সময়ের অনলাইন থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো facebook।
তাই আপনি যদি ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে চান তবে ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় ১২টি
উপায় ও ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম আজকের এই পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন।তাই
চলুন বন্ধুরা ফেসবুক থেকে আয় করার ১২টি উপায় জেনে আসি।
ফেসবুক থেকে আই করার যে সকল মাধ্যমগুলো রয়েছে তার মধ্যে হল ফেসবুক পেজ থেকে আয়
করার উপায়। বর্তমানে ফেসবুকে পেজ ক্রিয়েট করে, ব্লগিং ও অনলাইন বিজনেস এর
মাধ্যমে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছে বাংলাদেশের হাজারো ফেসবুক
ক্রিয়েটররা।তাই এমন গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আপনিও যদি আয় পড়তে চান তবে
ফেসবুক থেকে আয় করার ১২টি উপায় ও ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করার সহজ উপায়
গুলো জেনে নিন।
পোস্ট সূচিপত্র:ফেসবুক থেকে আয় করার ১২টি উপায়।ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম
সূচনা।ফেসবুক থেকে আয় করার ১২টি উপায়।ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম
আপনি হয়তো দীর্ঘদিন যাবত ভাবছেন ফেসবুক থেকে কিভাবে আয় করা যায়? হ্যাঁ বন্ধুরা
ফেসবুক থেকে আয় করা সম্ভব? আপনিও পারবেন যদি আপনি একটি সঠিক গাইডলাইন ও পরামর্শ
অনুযায়ী কাজ করেন। তাইতো আমরা আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সঙ্গে ফেসবুক থেকে আয় করার ১২টি উপায় ও ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করার সহজ উপায় গুলো আলোচনা করব।
আরো পড়ুনঃ ১৫ টি অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া
একটি সঠিক গাইডলাইনের মাধ্যমে ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায় এই বিষয়সহ
ফেসবুক থেকে আয় করার সমস্ত উপায় গুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। এটি আশা করি
আপনি ফেসবুক থেকে ইনকাম করার জন্য বেশ ধারণা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
তাই চলুন বন্ধুরা এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে ফেসবুক থেকে আয় করার ১২টি উপায়
ও ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম টিপস ও টিকস গুলো জেনে আসি।
ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম
আপনারা অনেকে হয়ত ফেসবুক রিলস সম্পর্কে জানেন কিন্তু এই রিলস তৈরি করার পর এই
রিলস থেকে টাকা ইনকাম করা সম্পর্কে কি জানেন। রিলস থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়
সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে জানাবো।
ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে কিছু স্টেপ অনুসরণ করতে হবে। এখানে কিছু
মূল পয়েন্ট তুলে ধরা হলো:
অ্যাকাউন্ট তৈরি: প্রথমে আপনার একটি ফেসবুক পেজ বা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট
থাকতে হবে।
কনটেন্ট তৈরি: মজার, তথ্যপূর্ণ, এবং দর্শকদের জন্য আকর্ষণীয় রিলস তৈরি
করুন। ভিন্ন ভিন্ন থিম এবং ট্রেন্ডের উপর কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন।
এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি: আপনার রিলসের প্রতি এনগেজমেন্ট (লাইক, কমেন্ট, শেয়ার)
বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন স্ট্রাটেজি ব্যবহার করুন। অন্যান্য ইউজারদের সাথে যোগাযোগ
করুন এবং তাদের কনটেন্টে কমেন্ট করুন।
ফেসবুক রিলস পে আউট প্রোগ্রাম: ফেসবুক মাঝে মাঝে কিছু কনটেন্ট ক্রিয়েটরের
জন্য পেমেন্ট প্রোগ্রাম চালু করে। এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য আপনার রিলসের
ভিউ এবং এনগেজমেন্টের উপর ভিত্তি করে ফেসবুক আপনাকে পেমেন্ট করবে।
স্পনসরশিপ ও ব্র্যান্ড ডিল: আপনি আপনার রিলসে বিভিন্ন ব্র্যান্ড বা
প্রোডাক্টের প্রচার করে ইনকাম করতে পারেন। এই ধরনের স্পনসরশিপের জন্য আপনার পেজে
একটি নির্দিষ্ট ফলোয়ার বেস থাকা জরুরি।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: আপনার রিলসের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিঙ্ক
শেয়ার করে আপনি অ্যাফিলিয়েট কমিশনও অর্জন করতে পারেন।
এটি আপনার কনটেন্টের গুণমান, এনগেজমেন্ট, এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং স্কিলের
উপর নির্ভর করে।
ফেসবুক থেকে আয় করার ১২টি উপায়
ফেসবুক থেকে আয় করার জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে, এবং এই উপায়গুলো বাস্তবায়ন করতে
হলে আপনাকে কিছুটা পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টা করতে হবে। এখানে ফেসবুক থেকে আয় করার
১২টি উপায় বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলো:
ফেসবুক পেজ চালানো:
আপনার একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করুন এবং নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে ফোকাস করুন, যেমন
ভ্রমণ, রান্না, ফিটনেস ইত্যাদি। আপনার পেজের জন্য নিয়মিত মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি
করুন। পেজের ফলোয়ার বাড়ানোর সাথে সাথে আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্পন্সরশিপ পেতে
পারেন এবং তাদের পণ্য প্রচার করে আয় করতে পারেন।
স্পন্সরড পোস্ট:
যখন আপনার পেজে ফলোয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, তখন ব্র্যান্ডগুলি আপনার পেজে
স্পন্সরড পোস্ট করতে চাইবে। এটি আপনার পেজের জন্য একটি নিয়মিত আয় উৎস হতে পারে।
ব্র্যান্ডের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে বিজ্ঞাপন তৈরি করে প্রকাশ করুন এবং এজন্য আপনি
অর্থ বা পণ্য পেতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:
আপনার পেজে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বা সেবার লিঙ্ক শেয়ার করুন। যখন আপনার
ফলোয়াররা ওই লিঙ্কের মাধ্যমে পণ্য কিনবে, তখন আপনি বিক্রির একটি অংশ হিসেবে কমিশন
পাবেন। এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে হলে আপনাকে নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের অ্যাফিলিয়েট
প্রোগ্রামে যুক্ত হতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ফ্রি লটারী খেলে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস
লাইভ ভিডিও:
ফেসবুকে লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং শুরু করুন। এটি আপনার অডিয়েন্সের সাথে সরাসরি
যোগাযোগের একটি দুর্দান্ত উপায়। লাইভ স্ট্রিম চলাকালে দর্শকরা আপনাকে বিভিন্ন
উপহার (যেমন: ফেসবুক গিফট) দিতে পারে। এছাড়াও, আপনি আপনার পণ্য বা সেবার প্রচার
করতে পারেন।
ফেসবুক গ্রুপ:
নির্দিষ্ট বিষয়ে একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করুন এবং সদস্যদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে
যোগাযোগ করুন। গ্রুপের সদস্যদের কাছ থেকে সদস্যপদ ফি গ্রহণ করে বা স্পন্সরশিপের
মাধ্যমে আয় করতে পারেন। এছাড়া, আপনি বিশেষ কোর্স বা ওয়েবিনার আয়োজন করে সেখানেও
আয় করতে পারেন।
ব্র্যান্ডের সাথে সহযোগিতা:
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে অংশীদারিত্ব করুন এবং তাদের পণ্য বা সেবা প্রচার করুন।
যদি আপনার পেজে যথেষ্ট ফলোয়ার থাকে, তাহলে ব্র্যান্ডগুলি আপনাকে তাদের পণ্য
প্রচার করতে অনুরোধ করতে পারে এবং আপনি এ জন্য অর্থ পেতে পারেন।
অনলাইন কোর্স:
আপনার বিশেষ দক্ষতা বা জ্ঞান নিয়ে একটি অনলাইন কোর্স তৈরি করুন। ফেসবুকে কোর্সের
প্রচার করুন এবং সদস্যদের থেকে ফি সংগ্রহ করুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি রান্না,
ডিজাইন, প্রোগ্রামিং ইত্যাদির উপর কোর্স তৈরি করতে পারেন।
বিক্রয় কার্যক্রম:
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি করুন। আপনি নিজের তৈরি পণ্য,
হ্যান্ডমেড গহনা, পোশাক ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন। এটি একটি সহজ উপায় যারা
নিজেদের পণ্য বিক্রির মাধ্যমে আয় করতে চান।
কন্টেন্ট ক্রিয়েশন:
নতুন ভিডিও, ব্লগ, অথবা গ্রাফিক ডিজাইন তৈরি করুন এবং সেগুলো ফেসবুকে শেয়ার করুন।
আপনার কন্টেন্টে বিজ্ঞাপন যুক্ত করে আয় করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, ইউটিউব বা অন্য
প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আয় করা কন্টেন্ট শেয়ার করুন।
পণ্য প্রচারণা:
আপনার নিজস্ব পণ্য বা সেবা ফেসবুকে প্রচার করুন। এটি হতে পারে পোশাক, জুয়েলারি,
বা ডিজিটাল পণ্য। আপনার পণ্যগুলোর জন্য একটি সুন্দর পেজ তৈরি করুন এবং নিয়মিত
প্রচার করুন।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট app
নতুন ফিচার ব্যবহার:
ফেসবুক নতুন নতুন ফিচার চালু করে। যেমন, 'ফেসবুক শপ' ব্যবহার করে আপনি আপনার পণ্য
সরাসরি ফেসবুকে বিক্রি করতে পারেন। এই ফিচার ব্যবহার করে আপনার ব্যবসার প্রবৃদ্ধি
ঘটাতে পারেন।
ফেসবুক অ্যাডস :
বিজ্ঞাপন চালিয়ে আপনার পেজ বা পণ্যের প্রচার করুন। আপনি লক্ষ্যভিত্তিক বিজ্ঞাপন
তৈরি করে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছাতে পারেন। বিজ্ঞাপন চলাকালে আপনার
পেজের ফলোয়ার সংখ্যা বাড়ানো এবং বিক্রয় বাড়ানোর সুযোগ থাকবে।
ফেসবুক থেকে আয় করার জন্য সফল হতে হলে আপনাকে নিয়মিত কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে এবং
অডিয়েন্সের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। পরিকল্পিত ও ধৈর্যশীলভাবে এগোলে আপনার আয়
বৃদ্ধি পেতে পারে।
ফেসবুক পেজ থেকে আয় করার উপায়
ফেসবুক পেজ থেকে আয় করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা নিচে দেওয়া হলো:
ফেসবুক অ্যাডভাইজিং
বিজ্ঞাপন তৈরি করুন: ফেসবুক পেজে নিয়মিত ভালো কনটেন্ট শেয়ার করতে হবে। এতে
আপনার ফলোয়ার সংখ্যা বাড়বে। এরপর আপনি বিজ্ঞাপন চালাতে পারেন।
স্পন্সরশিপ: যেসব ব্র্যান্ড আপনার পেজের কনটেন্টের সাথে সম্পর্কিত, তারা
আপনাকে স্পন্সরশিপ অফার করতে পারে। এই ক্ষেত্রে আপনি তাদের পণ্য বা সেবা প্রমোট
করেন এবং এর বিনিময়ে অর্থ পান।
স্পন্সরড কনটেন্ট
ব্র্যান্ডের সাথে সহযোগিতা: জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলো আপনার পেজে তাদের পণ্য
বা সেবা প্রচারের জন্য অর্থ প্রদান করতে পারে। আপনাকে সেই কনটেন্ট তৈরি করতে হবে
যা দর্শকদের আকর্ষণ করবে।
প্রোডাক্ট রিভিউ: বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ করে সেই পণ্যগুলোর লিঙ্ক শেয়ার করলে আপনি
কমিশন পেতে পারেন।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস
- পণ্য বিক্রি: আপনার পেজে বিভিন্ন পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে পারেন। ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে পণ্য লিস্ট করে বিক্রির মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
- বিশেষ ছাড় বা অফার: পণ্যের ওপর বিশেষ ছাড় বা অফার দিয়ে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারেন।
- লাইভ স্ট্রিমিং
- লাইভ প্রমোশন: ফেসবুক লাইভ স্ট্রিমিং করে পণ্য বা সেবা প্রমোট করতে পারেন। এই সময় দর্শকদের কাছ থেকে উপহার বা টিপস সংগ্রহ করতে পারেন।
- ইন্টারেক্টিভ সেশন: দর্শকদের সাথে সরাসরি কথোপকথন করে তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন, যা তাদের আগ্রহ বাড়াবে।
- ফেসবুক গ্রুপ
- একটি গ্রুপ তৈরি করুন: আপনার পেজের সাথে সম্পর্কিত একটি গ্রুপ তৈরি করুন। সেখানে সদস্যদের সদস্য ফি নেবেন।
- বিস্তারিত আলোচনা: গ্রুপে নিয়মিত কনটেন্ট শেয়ার করে সদস্যদের সাথে আলোচনা বাড়ান। এতে গ্রুপের মূল্য বাড়বে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
লিঙ্ক শেয়ারিং: বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে লিঙ্ক শেয়ার করুন।
আপনার দর্শক যদি সেই লিঙ্কের মাধ্যমে পণ্য কিনে, তাহলে আপনি কমিশন পাবেন।
বিভিন্ন পণ্য প্রমোট করা: আপনার পেজের বিষয়বস্তু অনুযায়ী পণ্য প্রমোট
করুন, যাতে অডিয়েন্সে আগ্রহ তৈরি হয়।
অনলাইন কোর্স বা ওয়েবিনার
বিশেষজ্ঞতার ওপর কোর্স: আপনার বিশেষজ্ঞতার ওপর কোর্স তৈরি করে টিকিট বিক্রি করতে
পারেন।
লাইভ ওয়েবিনার: একটি লাইভ ওয়েবিনারের আয়োজন করে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে ফি নিতে
পারেন।
ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি
ই-বুক বা ডিজিটাল কন্টেন্ট: নিজস্ব তৈরি ই-বুক, টেম্পলেট, বা ডিজিটাল
প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
সদস্যতা ফি: বিশেষ কনটেন্টের জন্য সদস্যতা ফি নির্ধারণ করে নিয়মিত আয়ের ব্যবস্থা
করতে পারেন।
ব্র্যান্ড কোলাবোরেশন
কোলাবোরেটিভ কনটেন্ট: অন্যান্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে মিলিত হয়ে
কোলাবোরেটিভ কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন, যা আপনার অডিয়েন্স বৃদ্ধি করবে।
ফেসবুক পেজ থেকে আয় করার জন্য ধৈর্য, সময়, এবং সৃজনশীলতা দরকার। নিয়মিত
মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে হবে এবং দর্শকদের সাথে একটি সুষ্ঠু সম্পর্ক গড়ে
তুলতে হবে। এর মাধ্যমে আপনার পেজের জনপ্রিয়তা বাড়বে এবং আয় করার সুযোগ বৃদ্ধি
পাবে।আশা করি আপনি ফেসবুক থেকে আয় করার ১২টি উপায়
ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়
ফেসবুক থেকে আয় করার বিভিন্ন উপায় আছে, যার মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন করতে
পারেন। কিছু সাধারণ উপায় হল:
- বিজ্ঞাপন থেকে আয়: আপনি আপনার ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন চালাতে পারেন এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের থেকে অর্থ গ্রহণ করতে পারেন।
- স্পন্সরশিপ: যদি আপনার ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে অনেক ফলোয়ার থাকে, তাহলে আপনি ব্র্যান্ড বা কোম্পানির জন্য স্পন্সরড পোস্ট করতে পারেন।
- অফার বা পণ্য বিক্রয়: আপনি নিজের পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করতে পারেন এবং বিক্রয়ের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
- ফেসবুক গ্রুপ: কিছু গ্রুপ সদস্যদের কাছে সদস্যপদ ফি বা এক্সক্লুসিভ কন্টেন্টের জন্য চার্জ করে আয় করতে পারে।
- লাইভ স্ট্রিমিং: ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং করে দর্শকদের কাছ থেকে টিপস গ্রহণ করতে পারেন।
- মোট আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে আপনার ফলোয়ারের সংখ্যা, অঙ্গীকারের স্তর এবং আপনি কোন মডেল অনুসরণ করছেন তার উপর।
ফেসবুক থেকে আয় করার সম্ভাবনা অনেক ধরনের এবং আপনার কৌশল, লক্ষ্য এবং অঙ্গীকারের
উপর নির্ভর করে আয় ভিন্ন হতে পারে। নিচে কিছু জনপ্রিয় উপায় এবং তাদের সম্ভাব্য
আয়ের বিশ্লেষণ দেয়া হল:
বিজ্ঞাপন থেকে আয়: ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে আয় করা যায়।
সাধারণত, আপনি প্রতি 1,000 ভিউতে (CPM) নির্দিষ্ট একটি পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে
পারেন।
আয় পরিমাণ: CPM সাধারণত $1 থেকে $10 পর্যন্ত হতে পারে, তবে এটি আপনার
পেজের বিষয়বস্তু ও দর্শকের বয়স, অবস্থান ও আগ্রহের উপর নির্ভর করে।
স্পন্সরশিপ: যদি আপনার ফেসবুক পেজে অনেক ফলোয়ার থাকে, তাহলে আপনি
ব্র্যান্ডগুলোর কাছে স্পন্সরশিপ অফার করতে পারেন।
আয় পরিমাণ: স্পন্সরশিপের জন্য প্রতি পোস্টে $100 থেকে $10,000 বা তার বেশি
পাওয়া যেতে পারে, যা ব্র্যান্ডের বাজেট ও আপনার পেজের জনপ্রিয়তার উপর নির্ভর করে।
অফার বা পণ্য বিক্রয়: আপনি নিজস্ব পণ্য বা পরিষেবা ফেসবুকের মাধ্যমে
প্রচার করতে পারেন।
আয় পরিমাণ: এটি সম্পূর্ণরূপে আপনার বিক্রির উপর নির্ভর করে। যদি আপনি একটি
জনপ্রিয় পণ্য বিক্রি করেন, তাহলে আয় লাখের কোটায় পৌঁছাতে পারে।
ফেসবুক গ্রুপ: আপনি একটি বিশেষ ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করে সদস্যদের কাছে
সদস্যপদ ফি বা এক্সক্লুসিভ কন্টেন্টের জন্য চার্জ নিতে পারেন।
আয় পরিমাণ: সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী প্রতি মাসে $5 থেকে $50 পর্যন্ত ফি নিতে
পারেন। যদি আপনার গ্রুপে 100 সদস্য হয়, তাহলে প্রতি মাসে $500 আয় করতে পারবেন।
লাইভ স্ট্রিমিং: ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং করে দর্শকদের কাছ থেকে টিপস বা
গিফট গ্রহণ করা যায়।
আয় পরিমাণ: লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে আপনার ভিউয়ার সংখ্যা ও এন্টারটেইনমেন্টের
মান অনুযায়ী প্রতি লাইভ সেশনে $50 থেকে $500 পর্যন্ত উপার্জন সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ ভিডিও দেখে প্রতিদিন ৫০০ ১০০০ হাজার
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: আপনি বিভিন্ন পণ্য বা সার্ভিসের জন্য অ্যাফিলিয়েট
লিঙ্ক ব্যবহার করে আয় করতে পারেন।
আয় পরিমাণ: প্রতি বিক্রয়ে কমিশন $5 থেকে $100 বা তার বেশি হতে পারে, পণ্য
ও প্রোগ্রামের উপর নির্ভর করে।
ফেসবুক থেকে আয় করা সম্ভব, তবে এটি আপনার সামর্থ্য, কৌশল এবং অঙ্গীকারের উপর
নির্ভর করে। নিয়মিত কন্টেন্ট তৈরি করা, দর্শকদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা এবং
বিজ্ঞাপন ও মার্কেটিং কৌশলগুলো ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। সফলতা পেতে হলে সময়
দিতে হবে এবং উপযুক্ত কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
শেষ কথা।ফেসবুক থেকে আয় করার ১২টি উপায়। ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম
অনলাইন থেকে ইনকাম করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য সহকারে প্রতিনিয়ত কাজ করে যেতে
হবে। ফেসবুকে আপনি বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস প্রদান করে ও ব্লগিং করে ইনকাম করতে
পারবেন। আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সে বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকের সামনে উপস্থাপন করুন
এবং নিয়মিত কাজ করুন। আশা করি আপনি ফেসবুক থেকে আয় করার ১২টি উপায় জেনে সফলতা
অর্জন করতে পারবেন না।
আরো পড়ুনঃ 10000 ভিউ এর জন্য ফেসবুক কত টাকা দেয়
প্রিয় বন্ধুরা, আমাদের এই পোস্টটি পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান
মতামত আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে যাবেন। এছাড়াও অনলাইন সম্পর্কিত আপনি যদি
আপডেট আর্টিকেলগুলো নিয়মিত পেতে চান তবে আমাদের ওয়েবসাইটির ফলো করে আমাদের
সঙ্গে থাকতে পারেন। মিঃ হেল্পবুক আইটি সর্বদা আপনাদের সহযোগিতায় নিয়োজিত।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url