পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর ৬ টি উপায় জেনে নিন
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি পেটের মেদ কমাতে চাচ্ছেন? কিন্তু পেটের মেদ কমানোর
উপায় সম্পর্কে জানা নেই? তাহলে আর চিন্তা কিসের এর এই পোস্ট করে পেটের মেদ
কমানোর সহজ ও কার্যকর ৬ টি উপায় এবং পেটের মেয়েদের কমানোর খাবার তালিকা
সম্পর্কে জানতে পারবেন।তাহলে চলুন বন্ধুরা সে সকল পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর
৬ টি উপায় সম্পর্কে জেনে নেই।
সেই সাথে আপনি ৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় ব্যায়াম ও পেটে চর্বি কমানোর উপায়
গুলো জানতে পারবেন।তাই এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে
পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর ৬ টি উপায় এবং পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা
গুলো জেনে নিব।
পোস্ট সূচীপত্র:পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর ৬ টি উপায়।পেটের মেদ
কমানোর খাবার তালিকা
উপস্থাপনা।পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর ৬ টি উপায়।
বর্তমান সময়ে পেটের মেদ কমানো নিয়ে আমরা বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে
থাকি।কিন্তু সে সকল পদ্ধতি গুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয় আপনি পেটের মেদ কমাতে
বারবার অক্ষম হচ্ছেন।তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকের এই পোস্টে আলোচনা করতে চলেছি
পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর ৬ টি উপায় এবং পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা
গুলো।
আশা করছি আপনি আমাদের দেওয়া ৬ টি উপায় যদি সঠিকভাবে অবলম্বন করে থাকেন।তাহলে
আপনি পেটের মেদ কমাতে সক্ষম হবেন।তাই আর কথা না বাড়িয়ে এবারে মূল আলোচনার বিষয়ে
চর্বি কমানোর উপায়, ৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় ব্যায়াম এবং পেটের মেদ কমানোর
সহজ ও কার্যকর ৬ টি উপায় গুলো শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।তবে আপনি সকল
উপায় গুলো জানতে পারবেন।
পেটে চর্বি কমানোর উপায়
প্রায় মানুষেরই পেটে চর্বি বেড়ে যাওয়ার কারণে কিন্তু বিভিন্ন রকমের রোগের
মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে বিভিন্ন সমস্যা হয় শারীরিকভাবে যদি বেশি পেটে চর্বি জমে
যায়। পেটের মেয়ে দেখতে বিব্রতকর বিষয় উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার যে পেটের মেদ
বাড়ায় তা নয় বেশি ক্যালরিযুক্ত যে কোন খাবারই পেটের মেদ বাড়াতে পারে।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের আপেল খাওয়ার নিয়ম
একবার পেটে চর্বি জমলে সেটা কাটিয়ে ওঠা সহজে যাবে না এটা কিন্তু ভুল ধারণা
স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের অভ্যাস করলে আপনিও আপনার পেটে চর্বি কমাতে পারবেন। চলুন
আজকে আপনাদেরকে জানাবো ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্য অভ্যাস ও সঠিক জীবন যাপনের মাধ্যমে
আমরা সৌমেন্দের বাড়তি মেদ বা চর্বি হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারিচলুন এবার জেনে
নেওয়া যাক পেটের চর্বি কমানোর উপায় সম্পর্কে।
- খাদতালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যেমন লাল চাল বা লাল আটা তৈরি খাবার এবং শাকসবজি ও ফলমূল জাতীয় খাবারের মিলবে আঁশ।
- আখরোট ও কাঠবাদাম ও সামুদ্রিক মাছ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের উৎস তাই এসব খাবার পেটে চর্বি কমাতে কার্যকর।
- গ্রিন টিতে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা পেটের মেদ কমাতে খুব বেশি কার্যকরী কারণ দুধ ও চিনি বেশি দিয়ে চা পানের অভ্যাস বাদ দিয়ে গ্রিন টি খেতে পারেন আপনার চর্বি কমানোর জন্য।
- ঝাল খাবার খান পেটের মেদ কমে যাবে অবাক হচ্ছেন অবাক হবেন না ঝাল খাবার কিন্তু সেই ঝালে আসবে দারুচিনি আদা গোলমরিচ এবং কাঁচা মরিচ থেকে এইসব রান্নায় ব্যবহার করুন এই মসলা স্বাস্থ্যকর ও পেটের মেদ কমাতে কার্যকারী।
- সকালে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এতে শরীরের হজম প্রক্রিয়া ভালো থাকবে এবং শরীরের মেদ জমার প্রক্রিয়া ধীর হবে।
- অতিরিক্ত চিন্তা ও কম উদ্যোগের ফলেও কোমরের চারপাশে বা পেটে মেট জমতে পারে তাই ভুড়ি কমাতে অবশ্যই চিন্তা মুক্ত জীবন যাপন করতে হবে।
অনেকেই খাবার খাওয়ার পর বসে থাকেন বা শুয়ে পড়েন তাদের খাবার সঠিকভাবে পরিপাক
হয় না ফলে পেটে চর্বি জমতে থাকে সেই জন্য খাবার খাওয়ার পর একটানা শুয়ে বসে না
থেকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা উচিত।
আরো পড়ুনঃ খাটি সরিষার তেল চেনার ১০টি উপায়
যাদের সারাদিন টেবিল চেয়ারে বসে থেকে কাজ করতে হয়। তাদের পেটে মেদ জমে বেশি
ভুড়ি গোল হতে শুরু করে। তাই তাদের উচিত ৩০ থেকে ৪০ মিনিটে বসে কাজ করার পর ১০
থেকে ১৫ মিনিট হাটাহাটি করা।
একবারে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ না করে অল্প অল্প করে বারবার খাবার গ্রহণ করুন। সারা
দিনে অর্থাৎ ২৪ ঘন্টার খাবারকে পাঁচ থেকে ছয় বারে গ্রহণ করুন। যেখানে ৩বার
খাবারও দুইবার ৩ বার নাস্তা জাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় ব্যায়াম
পেটের মেদ কমানো কিন্তু সহজ বিষয় না একবার যখন পেটের মধ্যে মিট বেড়ে যায় তখন
কিন্তু সেই মেদ কমানোর জন্য সঠিক উপায়ে ব্যায়াম করতে হবে এবং স্বাস্থ্যসম্মত
জীবন যাপন করতে হবে। পেটের অতিরিক্ত মেদ অনেকের জন্য একটি অস্বস্তিকর সমস্যা হতে
পারে।
আরো পড়ুনঃ লাল শাকে কি এলার্জি আছে
ছোট ছোট অসুস্থ কর অভ্যাসের কারণে আমাদের পেটে মেয়ের জমে পেট ছাড়াও শরীরের
অন্যান্য স্থানের অন্যতম কারণ হচ্ছে এই অভ্যাসগুলো। ডায়েট শরীর চর্চা করে ওজন
কমলেও পেটের চর্বি কমানো সহজ নয় পেটে চর্বি কমাতে হলে অনেক কষ্ট করতে হয়
সারাদিন না খেয়ে থেকে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরালে মেদ কমতে চায় না।
৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন আসলে এত সহজে
কিন্তু পেটের মেদ কমবে না। তবে কিছুটা সময় করে বাসায় থাকলে আপনারা এই
ব্যায়ামগুলো করতে পারেন যা থেকে আপনার পেটের মেদ কমানো সম্ভব।
বাইসাইকেল ক্রাঞ্চেস: ছবি টান টান করে দাঁড়ান তারপর একটি পা হাটু ভেঙ্গে
বুকের কাজ পর্যন্ত তুলুন। দুই হাত মাথার পিছনে রাখুন খেয়াল রাখবেন যে পায়ে
দাঁড়িয়ে আছেন সেটির যেন হাঁটু না ভাঙ্গে। এই ভঙ্গিতে কিছুক্ষণ দাঁড়ান এই রকম
ভাবে অন্য পায়ের ক্ষেত্রেও করুন ৭ থেকে ৮ বার করতে পারলে ভালো।
আরো পড়ুনঃ দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত
সাইড লেগ লিফটস: বাম্পার একটু কোন করে তুলুন এবার উঁচু করে রাখা পায়ের
বুড়ো আঙ্গুল ধরুন ডান হাত দিয়ে। বাম হাতটি পাশে লম্বা করে রাখুন কিছুক্ষণ এভাবে
থাকার পর বিশ্রাম দিনে ৮-৯ বার করলে পেটের মেদ সহজে ঝরবে।
স্ট্যান্ডিং লেগ রেজ: সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে একটি পা সামনের দিকে তুলুন।
কয়েক সেকেন্ড এভাবে থাকুন। তারপর ধীরে ধীরে পা নামিয়ে নিন। এবার একটু বিশ্রাম
করুন। এবার অন্য একটি পা তুলুন। একই ভাবে কিছুক্ষণ রাখুন। ১০ থেকে ১৫ বার এমন
ভাবে করলে কয়েক মাসে পেটের মেদ কমে যাবে।
পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা
অতিরিক্ত মেদ হওয়ার কারণে কিন্তু একটি বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়
মেয়েদের বা ছেলেদের জারি পেটে মেজমক না কেন একটা সমস্যা সৃষ্টি হয় এই জন্য
পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা সম্পর্কে অনেকে আপনারা আমাদের কাছে জানতে
চেয়েছেন।
আরো পড়ুনঃ শুটকি মাছে কি এলার্জি আছে
পেটের চর্বি কমাতে অনেকে অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করেন ব্যায়াম ও সুষম খাবার পেটের
মেদ কমাতে সহায়তা তো পরে পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু শাকসবজি খেলে আরও বেশি পেটের
মেদ কমানো সম্ভব চলুন জেনে নেওয়া যাক পেটের মেদ কমাতে কয়েকটি খাবার তালিকা
সম্পর্কে।
পালং শাক: পেটের চর্বি কমানোর জন্য প্রতিদিন খাবার তালিকায় পালং শাক
রাখতে পারেন। পালং শাকের রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান কারণ পালং শাকের মধ্যে কম
ক্যালরি আঁশ বেশি। তাই পালং শাক খেলে পেট বেশি সময় ভরা থাকে। ক্ষুধা কম লাগে যার
কারণে নিয়মিত পালং শাক যদি খান তাহলে ৯৫ শতাংশ খাওয়ার ইচ্ছা কমিয়ে দিবে।
লাউ: লাউয়ে ক্যালরির পরিমাণ কম,পানির পরিমাণ বেশি। এই কারণে লাউ ওজন
নিয়ন্ত্রণের আদর্শ খাবার। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ নিউট্রিশন এন্ড ফুড সাইন্স
এর গবেষণায় দেখা গেছে, লাউয়ে থাকা উচ্চমাত্রায় পানি ও আঁশ জাতীয় পদার্থ দ্রুত
পেট ভরিয়ে ফেলে এবং ক্যালরি গ্রহণ কমিয়ে দেয়। বিভিন্ন ধরনের তরকারি রান্না করে
খাওয়ার পাশাপাশি লাউ দিয়ে জুস বানিয়ে খাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ লাউ খেলে কি ওজন কমে
ফুলকপি : ওজন কমাতে সহায়ক আরেকটি সবজি হলো ফুলকপি ফুলকপিতে ক্যালরি কম
আঁশ বেশি। তাই ফুলকপি খেলে দ্রুত পেট ভরে যায়। ফুলকপিতে রয়েছে এমন সব উপাদান যা
যৌগ হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে এবং পেটের মেদ কমায় ভাতের বিকল্প হিসেবে ফুলকপি খেতে
পারেন।
গাজর: গাজর শুধু চোখের জন্যই ভালো নয় পেটে চর্বি কমাতে সহায়ক গাজর
ক্যালরির পরিমাণ কম আঁশ পরিমাণ বেশি। কাজলের মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তি ভিটামিন ও
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান কাজল বেশি খেলে পেট ভরা থাকে এবং ক্যালরি গ্রহনের
পরিমাণ কমে যায়।
করলা: তেতো স্বাদযুক্ত হওয়ার কারণে অনেকে পছন্দ করে না কিন্তু করলা
খাওয়ার ফলে পেটের মেদ কমে যায়। তাই আপনারা খাদ্য তালিকায় করলার তৈরি খাবার খেতে
পারেন। করলা তৈরি জুস খাওয়ার ফলে দ্রুত শরীরের মেদ কমানো সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ পুইশাক খেলে কি এলার্জি হয়
শসা: শশা শরিলো তোকে সতেজকার সবজি এটি শরীরের পানির পরিমাণ বাড়ায় পানির
পরিমাণ বেশি থাকায় ওজন কমানোর ক্ষেত্রে শসা বেশ উপকারী। আপনার শরীরে মেয়ের জমা
থাকলে শসা খেতে পারবেন শসা ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে এবং পানি বেশি থাকার কারণে
এটি আপনার শরীর থেকে অনেক দূষিত উপাদান বের করে দিতে পারে।
আমরা নিয়মিত দৈনন্দিন জীবনে সালাত হিসেবে শশা খেয়ে থাকি। ওজন কমানোর জন্য শুধু
এক টুকরো শসা খেলে অনেক উপকার পাবেন।
পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর ৬ টি উপায়
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকমের ক্ষতি করে তার মধ্যে আমাদের
শরীরের মেদ বাড়াতে সহযোগিতা করে যার কারণে বিভিন্ন রকমের রোগ বাড়তে থাকে শরীরে।
পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর ৬ টি উপায় সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা
করব।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করা: তলপেটে মেদ কমানো সবচেয়ে দ্রুততম উপায় হল
উচ্চমাত্রায় প্রোটিন ও ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে রক্তে সুগারের মাত্রা
নিয়ন্ত্রণে রাখা এইসব খাদ্যের মধ্যে রয়েছে ঘাস খাওয়ানো হয় এমন গরুর মাংস,
স্যালমন মাছ, মাখন এবং অলিভ অয়েল ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা
কারণ প্রোটিনো ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবারের দিকে যদি আপনার মনোযোগ বেশি থাকে তাহলে
মিষ্টি জাতীয় খাবারের দিকে আকর্ষণ কমে যাবে এবং রক্তের সুগারের মাত্রা স্থিতিশীল
রাখবে। তবে নিজের দেহকে খাদ্য বিপাক প্রক্রিয়ার জন্য সময় দিতে হবে এবং দুই
খাবারের মধ্যবর্তী সময়ের বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে ফ্যাট ঝরাতে হবে।
প্রচুর পানি পান করা: সুস্থ সবল ভাবে বেঁচে থাকতে হলে আমাদের শরীরে
প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে পানি কিন্তু আপনি হয়তো জেনে অবাক হবেন আপনি আমাদের ওজন
কমানোর ক্ষেত্রেও সাহায্য করে। স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, পানি
আমাদের ক্ষুধা ভাব নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরের শক্তি দেয়। মেটাবলিজম ও হজম
প্রক্রিয়াকে উন্নতি সাধন করে।
দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখা: দুশ্চিন্তা আমাদের শরীরে যেসব ক্ষতি করে তার মধ্যে
একটি হলো এটি আমাদের ওজন বাড়িয়ে তোলে তার জন্য সব সময় দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে
হবে। দীর্ঘমেয়াদি দুশ্চিন্তার ফলে কার্টিসেল এর মাত্রা বেড়ে যায় যা ইনোসিনের
মাত্র বাড়িয়ে তোলে এবং রক্তে সুগারের ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে।
উচ্চমাত্রায় দুশ্চিন্তা বস্ত্র থাকলে চিনি জাতীয় ও ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবারের প্রতি
আকর্ষণ বেড়ে যায় তাই বই পড়া, হাটাহাটি, শরীরচর্চা অথবা বন্ধুদের সাথে কথা বলার
মাধ্যমে নিজেকে দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখতে হবে।
ক্ষুধা অনুভব: আমাদের সারাক্ষণ পেটভরা রাখার প্রয়োজন নেই সারাদিন একটু
ক্ষুধা ভাব থাকাটা মন্দ নয় আপনার যদি ক্ষুধা বেশি ক্ষুদ্রত্ব অনুভব হয় তাহলে
বুঝতে হবে আপনি খুব সামান্য খেয়েছেন আর যদি সামান্য ক্ষুধার্ত হন তাহলে কিছু
ব্যায়াম করতে পারেন। যেমন নাত সাইকেলিং বা ট্রেকিং এর মতো কাজের মাধ্যমে
ক্যালোরি ঝরানো সম্ভব।
ওজন পরিমাপ করা: একটি নির্দিষ্ট সময় বিরতির পরপর নিজের ওজন পরিমাপ করুন।
গবেষণায় বলে প্রতি সপ্তায় আপনার শরীরের মোট ওজনের ৫.১ শতাংশ ওজন কমা উচিত। এর
চেয়ে বেশি ওজন কমে গেলে বুঝে নিতে হবে আপনার বেশি ক্ষয় হচ্ছে এবং ডায়েট
প্রক্রিয়া নষ্ট হচ্ছে। পেটের মেদ কমানোর একটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার তাই ধৈর্য
ধরে নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে।
চিনি খাওয়া বন্ধ: আমরা সবাই জানি যিনি আমাদের শরীরের জন্য ভালো উপাদান নয়
কিন্তু আমরা তলপেটের মেদ কমাতে পারে। আমাদের তলপেটে দুই ধরনের ফ্যাট থাকে
অভ্যন্তরীণ ফ্যাট এবং ত্বকনিম্নস্থ ফ্যাট।এই দুই ফ্যাট কমানোর জন্যই বাড়তি যিনি
ও অ্যালকোহল গ্রহণ বন্ধ করে দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত
কারণ বাড়তি চিনি খেলে আমাদের শরীরে সুগারের মাত্রা কমানোর জন্য ইনসুলিন এর
মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই সুগার তখন যকৃতে গিয়ে গ্লাইকোজেনে রূপান্তরিত হয় যা
অবশেষে ফ্যাট হিসেবে জমা হয়।
আজকে আপনাদের সাথে এই পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর ৬ টি উপায় সম্পর্কে আলোচনা
করেছি এই ৬ টি সহজ ও কার্যকরী উপায় মেনে চললে অবশ্যই আপনার পেটের মেদ কমবে। তবে
এই পেটের মেদ কমানো অনেক বেশি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার এবং ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
শেষ কথা।পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর ৬ টি উপায়।পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা
সম্মানিত পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা অনেকেই অনলাইনে সার্চ করে জানতে চেয়েছেন
পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর ৬ টি উপায় এবং পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা
সম্পর্কে।আশা করি আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে আপনি কার্যকর ৬ টি উপায়
গুলো সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
আরো পড়ুনঃ কোন কোন সবজি খেলে ওজন বাড়ে
আমাদের পোস্টটি পড়ে আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে
জানাতে ভুলবেন না।এছাড়াও আপনি যদি স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা মূলক আপডেট পোস্ট পেতে
চান নিয়মিত তবে আমাদের ওয়েব সাইটে ফলো করে রাখুন।
আশা করছি আপনি পেটের মেদ কমানোর জন্য আমাদের দেওয়া তথ্য গুলো পরে উপকৃত
হয়েছেন।তাই এমন গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি আপনার পরিচিত জনদের সাথে শেয়ার করতে
ভুলবেন না।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url