মানসিক অস্থিরতা দূর করার দোয়া - মানসিক দুর্বলতা দূর করার ১৫টি কৌশল

আপনি কি জানেন মানসিক অস্থিরতা দূর করার দোয়া ও মানসিক দুর্বলতা দূর করার ১৫টি কৌশল  সম্পর্কে।যদি না জেনে থাকেন তবে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ুন। মানসিক অস্থিরতা ও মানসিক দুর্বলতা দূর করার জন্য কোন দোয়া এবং কি কৌশল ব্যবহার করা উচিত তা জানতে হবে।তাই এই পর্বটি থেকে মানসিক অস্থিরতা দূর করার দোয়া ও মানসিক দুর্বলতা দূর করার ১৫টি কৌশল  সম্পর্কে জেনে নিন।
মানসিক-অস্থিরতা-দূর-করার-দোয়া
একই সাথে আজকের আর্টিকেল পড়ে অস্থিরতা কিসের লক্ষণ, অস্থিরতা দূর করার খাবার, মানসিক অস্থিরতার ক্ষতিকর দিকই এবং শারীরিক অস্থিরতা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।তাই এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ে মানসিক অস্থিরতা দূর করার দোয়া ও মানসিক দুর্বলতা দূর করার ১৫টি কৌশল চলুন জেনে নিই।
পোস্ট সূচিপত্র:মানসিক অস্থিরতা দূর করার দোয়া। মানসিক দুর্বলতা দূর করার ১৫টি কৌশল

উপস্থাপনা।মানসিক অস্থিরতা দূর করার দোয়া।মানসিক দুর্বলতা দূর করার ১৫টি কৌশল

মানসিক চাপ কমানোর জন্য ইসলামে অনেক দিকনির্দেশনা দোয়া ও আমল রয়েছে।যে নির্দেশনা গুলো আমরা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করি তাহলে খুব সহজেই মানসিক অস্থিরতা এবং মানসিক দুর্বলতা দূর করতে পারবো।মানসিক অস্থিরতা দূর করার জন্য ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী সব সময় আল্লাহ তাআলার ইবাদতে মগ্ন থাকতে হবে।
তাই আজকে আলোচনা থেকে মানসিক অস্থিরতা দূর করার দোয়া আমল এবং মানসিক দুর্বলতা দূর করার ১৫ টি কৌশল আপনাদের সাথে শেয়ার করব।আশা করি আপনারা এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকলে আপনার অনেক উপকারে আসবে।তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মানসিক অস্থিরতা দূর করার দোয়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

মানসিক দুর্বলতা দূর করার উপায়

শারীরিক অস্থিরতা দূর করার উপায়অনেকেই মানসিকভাবে অনেক দুর্বল হয়ে যায় যার কারণে জানতে চাই যে মানসিক দুর্বলতা দূর করার উপায় সম্পর্কে আসলে আপনি যদি মানসিকভাবে দুর্বল হন তাহলে কিন্তু এটি আপনার বাস্তব জীবনে প্রচুর প্রভাব ফেলবে।
পরিবার বা কর্মক্ষেত্রে সমস্যা সম্পর্কে অবনতি অর্থনৈতিক সংকট খারাপ স্বাস্থ্য এমনকি ঘনিষ্ঠ কারণ মৃত্যু এসব বিভিন্ন কারণে আমরা মানসিক দুর্বলতায় ভুগতে থাকি। 

মানসিকভাবে দুর্বল এই মানুষের কথা কম বলেও শান্ত থাকে তারা কারো সাথে কথা বলতে চায় না তারা ভাবে এসব কথা মানুষকে বললে মানুষ তাদের মানসিক রোগী বলে মনে করবে মনে করবে। চলুন মানসিক দুর্বলতা দূর করার উপায় গুলো জেনে নিন।

চিকিৎসা গ্রহণ: আপনি যদি মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অতি শীঘ্রই একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এর সাথে পরামর্শ নিতে হবে। আপনার সকল সমস্যার কথা খুলে বলুন এবং যে পরামর্শ মত চলুন ডাক্তারের পরামর্শ মত চললে দেখবেন আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারছেন।

মানসিক দুর্বলতার বিষয়ক জ্ঞান অর্জন: মানসিক দুর্বলতা বিষয়ে নিয়ে সঠিক জ্ঞান অর্জন করুন। মানসিক দুর্বলতা কেন হয় এটা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য কি চিকিৎসা নিতে হবে। প্রতিকার কি সব কিছু যদি আপনি জেনে থাকেন তাহলে আপনার জন্য সুস্থ হওয়া আরও বেশি ভালো হবে।

নিজেকে জানুন: নিজের ক্ষমতা অনেক অংশ মনের ওপর নির্ভরশীল কিন্তু মানসিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিরা অনেকাংশে নিজেকে দুর্বল সম্পর্কে জানে না ফলে দিন দিন হতাশায় নিমজ্জিত হওয়া ছাড়া আর কোন পথ থাকে না। প্রত্যেক মানুষই নিজের সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা জরুরী নিজের সম্পর্কে জানলে আত্মবিশ্বাস অটুট থাকে নিজের ক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানা যায়।

ব্যায়াম করা: আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাহলে শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি মানসিক চাপ তৈরি কারী হরমোন গুলো নিঃসরণ কমায়। এনডোরফিনের নামক সুখী হরমোনের মাত্রা বাড়ায় আবার যোগ্য ব্যায়াম ও ধ্যান আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে তাই মানসিক দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম ও ধ্যান করা উচিত।
ভালো লাগার কাজ: মানসিক দুর্বলতা কাটানোর জন্য ভালো লাগার কাজগুলো করতে হবে নিজেকে সময় দিতে হবে। মানসিক অস্থিরতা কমানোর একটি সহজ ও সুন্দর উপায় হলো নিজের ভালোলাগার কাজগুলো করা হতে পারে সেটা ছবি আঁকা গান শোনা সিনেমা দেখা বই পড়া বা প্রিয় মানুষের সাথে কথা বলা। আপনার যা করতে ভালো লাগে তাই করুন।

রাগো আবেগ কমানো: যে কোন পরিস্থিতিকে নিজের রাগও আবেগকে কমাতে হবে কোন ভাবে মন দুর্বল করলে চলবে না নিজেকে শান্ত রাখতে হবে। অতিরিক্ত আবেগকে পাত্তা দিবেন না আপনি কোন কিছু করার যোগ্য নয়। এমন কোন চিন্তা ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসুন নিজের চিন্তা রাগ এবং আবেগকে সংরক্ষণ করে মনোযোগী হন।

আশা করি আপনারা মানসিক দুর্বলতা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং মানসিক দুর্বলতা দূর করার উপায় গুলো মেনে চললে অবশ্যই আপনার মানসিক দুর্বলতা দূর হবে।

অস্থিরতা কিসের লক্ষণ

আপনারা অনেকেই জানতে চান অস্থিরতা কিসের লক্ষণ আসলে এটা কি কোন অসুখ দিনের শুরুতে মনটা হয়তো ভালো ছিল কিন্তু হঠাৎ করে মন ভালো নেই এটাকে কিন্তু বলা হয় অস্থিরতা। বিভিন্ন কারণে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে অস্থিরতাকে কিন্তু মোট শিংও বলা হয় শারীরিক কিংবা মানসিক কোন রোগের ফলেও এটা হতে পারে।

আবার পারিবারিক সামাজিক কিংবা স্বাস্থ্যগত কোনো কারণেও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।মানসিক চাপ অবসাদ হতাশা অস্থিরতা দুশ্চিন্তা মানব সেবন মদ্যপান ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি থেকে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
এসব কারণ মূলত হরমোনের উপর প্রভাব ফেলে এই ঘটনাগুলো দীর্ঘস্থায়ী হলে মানসিক সমস্যা দেখা দেয় এবং মুড ডিজঅর্ডারের লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেতে থাকে এছাড়া পুষ্টিহীনতা লৌহ ভিটামিন ও খনিজের অভাবে মির্জাদের দ্রুত উঠানামা হয়ে থাকে।

অস্থিরতার লক্ষণ : কোন কারণ ছাড়াই ঘন ঘন মন খারাপ দীর্ঘক্ষণ খারাপ লাগার কাজ করা এবং এক পর্যায়ে কেঁদে ফেলা, অকারণে দুঃখ ভোগ, বিরক্তি ভাব, মানসিক অবসাদ, নিঃসঙ্গতা অনুভব।আত্মবিশ্বাসের অভাব, সব সময় ক্লান্তিবোধ, অতিরিক্ত রাত বা অতিরিক্ত স্পর্শকাতর এই লক্ষণ গুলো।

যদি দীর্ঘদিন আপনার মধ্যে কাজ করে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার মুড ডিজঅর্ডার বা মিড সুইং সমস্যায় ভুগছেন। তবে একজনের মধ্যে সবগুলো লক্ষ্য নিজে প্রকাশ পাবে এমন কিন্তু নয় একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকমের লক্ষণ প্রকাশ পায়।

অস্থিরতা দূর করার খাবার

অস্থিরতা দূর করার খাবার সম্পর্কে অনেকে জানতে চেয়েছেন অস্থিরতা তৈরি হলে কিন্তু বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয় এর ফলে কিন্তু মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে যার কারণ উনি অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যেই খাবারগুলো খেতে বলা হয় সে খাবারগুলো খেলে যদি অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে সে সকল খাবারই খেতে হবে।
লক্ষণ প্রকাশ পেলে অবশ্যই একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ শরণাপন্ন হতে হবে যিনি তাকে প্রাথমিক অবস্থায় পথ্যের মাধ্যমে এবং পরে প্রয়োজন অনুসারে কাউন্সিলিং এর পরামর্শ দেবেন। এছাড়া তাকে মেনে চলতে হবে বেশ কিছু বিষয় সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখা ব্যায়াম সুষম খাবার গ্রহণের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।

নিজেকে নিজের মধ্যে গুটিয়ে না রেখে মেলে ধরতে হবে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে হবে অন্য মানুষের কাছে।অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সমৃদ্ধ খাবার সাইট্রাস এবং বেরি জাতীয় খাবারের প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। মন থেকে অস্থিরতা দূর করার এবং মনকে শান্ত করতে পারে।

এই জাতীয় খাবার সেইসঙ্গে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। পাশাপাশি ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার যেমন কুমড়ো, তরমুজ এবং ফ্ল্যাক্স সিড ইত্যাদি খেতে পারেন। মনের অস্থিরতা দূর করার জন্য এই সকল খাবার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত রাখতে হবে এবং দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে হবে শুধুমাত্র খাবার খেলে মানসিক সংখ্যা দূর হয় না।
ডাক্তারের পরামর্শ মেনে সঠিক কাউন্সিলিং করে খাদ্য তালিকা নিয়ম করে খেতে হবে দেখবেন আপনার মানসিক অস্থিরতা আস্তে আস্তে কমে যাবে। প্রবায়োটিকস এবং ভালো ফ্যাট আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয় এটি মূল শান্ত রাখতে সাহায্য করে।

প্রতিদিনের খাবার তা লৈকায় প্রোবায়োটিকস রাখলে বারের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।তাই আপনার খাবারে প্রোবায়োটিক এর পাশাপাশি যোগ করুন ভালো ফ্যাট হতে পারে তা অমিগো থ্রি ফ্যাটি এসিড বিভিন্ন ধরনের মাছ, বাদাম ও নারিকেল তেল নিয়ে পেতে পারেন এই ফ্যাট।

শারীরিক অস্থিরতা দূর করার উপায়

যখন আপনার শারীরিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে তখন কিন্তু অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলতে হবে যার কারণে আপনি শারীরিক অস্থিরতা দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন এবং আপনার শারীরিক অস্থিরতা দূর করানোর জন্য যে কাজগুলো করতে পারেন চলুন জেনে আসি।
অস্থিরতা দেখা দিলে প্রথমে ব্রিদিং রিলাক্সেশন করুন।নাক দিয়ে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন বুক ভরে ভেতরে সব খালি জায়গায় বাতাস ভরে ফেলুন দমটা অল্পক্ষণ আটকে রাখুন এরপর মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এভাবে পরপর তিনবার করুন।

শারীরিক অস্থিরতা দেখা দিলে অবশ্যই আপনাকে মেডিটেশন করতে হবে আবার চাইলে ব্যায়াম করতে পারেন অনেক সময় অস্থিরতা দুর্বলতা থেকেও হতে পারে যার কারণ নেই আপনাকে পুষ্টিকর খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।

শারীরিক অস্থিরতা দেখা দিলে আপনার যে কাজগুলো করতে ভালো লাগে সেই কাজগুলো করতে পারেন এবং আপনার পছন্দের গান শোনা প্রিয় মানুষের সাথে কথা বলা এই কাজগুলো আপনার শারীরিক অস্থিরতা কম করতে পারে।
হঠাৎ শারীরিক অস্থিরতা শুরু হলে এক গ্লাস পানি পান করুন এক গ্লাস ঠান্ডা পানি মাত্র এক গ্লাস ঠান্ডা পানি আপনাকে অনেক মানসিক প্রশান্তি এনে দিবে এবং অস্থিরতা দূর করবে।

আশা করি শারীরিক অস্থিরতা দূর করার জন্য আপনার চিকিৎসক পরামর্শ নিবেন এবং সঠিকভাবে আপনার শারীরিক অস্থিরতা দূর করার চিকিৎসা গ্রহণ করবেন তবে আপনি এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।

মানসিক অস্থিরতা দূর করার দোয়া

মানসিক অস্থিরতার কারণে নামাজ রোজা ওই ইবাদত বন্দেগি সহ কোন কাজে মন বসে না সব কাজে পর্যন্ত অস্থিরতা কাজ করছে এই সময়ে মনের অস্ত্রেতা দূর করতে কি করবেন এই প্রশ্নটি অনেকের মনে জাগে। তাই আজকে মানসিক অস্থিরতা দূর করার দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।কারণ

যেকোনো কাজের জন্য মানসিক অস্থিরতা একটি মারাত্মক ব্যাধি মনের অস্থিরতা দূর করতে রয়েছে কার্যকারী আমল ও দেওয়া ইসলামের দিক নির্দেশনা মেনে চললে নিঃসন্দেহে মনের অস্থিরতা দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। মনের অস্থিরতা দূর করার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে এই দোয়াটি পড়তেও চলুন জেনে আসি।
হজরত আব্দুর রহমান ইবনু আবি বাকরা রাদিয়াল্লাহু আনহু তার বাবা থেকে বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ব্যক্তির দোয়া হল :-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রহমাতাকা আরঝু; ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি ত্বারফাতা আইনিন; ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।'

অর্থ: হে আল্লাহ আমি তোমার কাছে রহমত( মনের প্রশান্তি) কামনা করছি। তুমি আমাকে এক মুহূর্ত আমার নিজের (মনের) ওপর ছেড়ে দিও না বরং তুমি নিজে আমার সমস্ত ব্যাপার ঠিক করে দাও। বরং তুমি নিজে আমার সমস্ত ব্যাপার সঠিক করে দাও। তুমি ব্যতীত (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোন ইলাহ নেই। '

আল্লাহতালা মুসলিম উম্মাহকে কোরআন সুন্নাহর আলোকে চিকিৎসা গ্রহণ ও আমল করে মনের অস্থিরতা দূর করার তৌফিক দান করুন। হাদিসের উপর আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন।আশা করছি আপনি মানসিক অস্থিরতা দূর করার দোয়া গুলো জানতে পেরেছেন।কোথাও বুঝতে সমস্যা হলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

মানসিক অস্থিরতার ক্ষতিকর দিক কি

মানসিক অস্থিরতার ক্ষতিকর দিক রয়েছে আপনি যদি অতিরিক্ত মানসিক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যেতে থাকেন। তাহলে আপনি একসময় পাগল হয়ে যেতে পারেন এবং এটা থেকে আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সৃষ্টি হতে পারে। যার কারণে মানসিক অস্থিরতার ক্ষতিকর বিভিন্ন রকমের প্রভাব রয়েছে যা শরীরের উপর পড়ে।
  • চর্মরোগ: চুলকানি, ব্রণসহ নানা ধরনের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন এর সঙ্গে মানসিক চাপে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে।
  • ওজনের তারতম্য: কারো ওজন কম বা বেশি হতে পারে কিন্তু মানসিক চাপের ফলে এটির পরিবর্তন হতে পারে।
  • তাপমাত্রা কমে যাওয়া: মানসিক চাপের ফলে শরীরে কোর্টিসল উৎপাদন হয় বেশি যেটি শরীরের উত্তেজনা কমিয়ে দেয় ফলে ঠান্ডা লাগা শুরু করে।
  • গ্যাস্ট্রিক সমস্যা: গবেষণায় দেখা গেছে মানসিক চাপে হজমের প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ায় পরিপাকতন্ত্রের জটিলতা গ্যাসের সমস্যা তৈরি করে।
  • চুল পড়া: চুল পড়তে পড়তে এক পর্যায়ে টাক হয়ে যাওয়ার ও আশঙ্কা থাকে মানসিক চাপের কারণে।
  • মাথা ব্যথা: অতিরিক্ত মানসিক চাপের ফলে কিন্তু মাথায় সমস্যা দেখা দেয়। মাথায় চাপ পড়ার ফলে মাথা ব্যথা হয় এবং দুশ্চিন্তা বৃদ্ধির কারণেও কিন্তু মাথাব্যথা হয় যার ফলে ওষুধ খাওয়া হয়। এতে কিন্তু শারীরিকভাবে বিভিন্ন রকমের সমস্যার সৃষ্টি হয়।
  • যৌন অক্ষমতা: মানসিক চাপের কারণে যৌন ক্ষমতা কমে যায় এবং শারীরিক সংসর্গে অনিহা তৈরি হয়।
  • ঘুমের সমস্যা: মানসিক চাপের ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় ঘুম হয় না ফলে দিনের অন্যান্যেও সমস্যা দেখা দেয়।
আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন মানসিক চাপ নেওয়ার ফলে ক্ষতিকর দিকগুলো কি আমাদের শারীরিক ও মানুষ দিটি পর্যায়ে ক্ষতি হয় এই অতিরিক্ত চাপের বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক রয়েছে।

শেষ কথা।মানসিক অস্থিরতা দূর করার দোয়া। মানসিক দুর্বলতা দূর করার ১৫টি কৌশল

সম্মানিত পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা নিশ্চয়ই আপনাদের প্রশ্নের উত্তরটি আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে ইতিমধ্যে মানসিক অস্থিরতা দূর করার দোয়া ও মানসিক দুর্বলতা দূর করার ১৫টি কৌশল  সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন।

আশা নয় দীর্ঘ বিশ্বাস এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন।এই পোস্টটি পড়ে আপনার কাছে ইনফোরমেটিভ বলে মনে হলে এই আর্টিকেলটি আপনার পরিচিত মানুষদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
সেই সাথে আপনি যদি মানসিক অস্থিরতা, দুর্বলতা, সম্পর্কে আরো আপডেট তথ্য পেতে চান তবে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন এবং আমাদের সঙ্গেই থাকুন।মানসিক অস্থিরতা ও দুর্বলতা থেকে মুক্তি পেতে মহান আল্লাহ তায়ালার ইবাদত মগ্ন হতে হবে, ধৈর্যশীল হতে হবে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। নিশ্চয়ই আপনিও মানসিক অস্থিরতা ও মানসিক দুর্বলতা থেকে মুক্তি পাবেন ইনশাল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url