হাত পা ঝিনঝিন করলে কি করনীয় ও অবশ দূর করার ৫টি উপায়
প্রিয় পাঠক আপনি কি হাত পা ঝিনঝিন করলে কি করনীয় এবং হাত ও পা অবশ দূর করার
উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?তবে এই আর্টিকেল আপনার জন্য।আজকের এই আর্টিকেলে
আমরা আলোচনা করতে চলেছি হাত পা ঝিনঝিন করলে কি করনীয় এবং হাত ও পা অবশ দূর করার
উপায় সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য।
একই সাথে আজকের আর্টিকেল থেকে হাত ঝিনঝিন করে কেন হাত ঝিনঝিন করার ঔষধ এবং শরীর
ঝিনঝিন করার কারণ ও প্রতিকার গুলো জানতে পারবেন।তাই অবশ্যই আজকের আর্টিকেল শুরু
থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে হাত পা ঝিনঝিন করলে কি করনীয় ও হাত ও পা
অবশ দূর করার উপায় গুলো জেনে নিন।
পোস্ট সূচিপত্র: হাত পা ঝিনঝিন করলে কি করনীয়।সাত ও পা অবশ দূর করার
উপায়
উপস্থাপনা।হাত পা ঝিনঝিন করলে কি করনীয়।হাত ও পা অবশ দূর করার উপায়
হাত পা ঝিনঝিন করা অনুভূতি খুবই কষ্টকর ও অস্বস্তিকর।অনেক সময় হাত পা অবশ হয়ে
আসে ব্যথা করে ঘুম হয় না যা এই সমস্যাটি আরও জটিল করে তোলে।এই রোগটি ডাক্তারি
পরিভাষায় বলা হয় পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি।
হাতের চেয়ে পায়ে এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা দেয়।দীর্ঘ সময় ধরে একই অবস্থায়
বসে থাকলে এই সমস্যাটি বেশি অনুভব করা যায়।আপনারা কিভাবে এই সমস্যা থেকে রেহাই
পাবেন তা নিয়ে আজকে রাতে গেলে আলোচনা করতে চলেছি।
হাত পা ঝিনঝিন করলে কি করনীয় ও হাত ও পা অবশ দূর করার উপায় সম্পর্কে যাবতীয়
সকল তথ্য।কারণ পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি রোগ অনেক কারণেই হতে পারে, এর অন্যতম কারণ
এর মধ্যে ডায়াবেটিস থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা কিডনি রোগ ওষুধের পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া ভিটামিনের অভাব ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে।
তাই এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে আপনার সমস্যার
সমাধানের জন্য জেনে নিন হাত পা ঝিনঝিন করলে কি করনীয় ও হাত ও পা অবশ দূর করার
উপায় গুলো।আশা করি আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য অনেক উপকারী হতে চলেছে।
শরীর ঝিনঝিন করার কারণ ও প্রতিকার
বর্তমান সময়ে প্রাইম মানুষের মুখে শোনা যায় যে শরীর ঝিনঝিন হতে আসলে শরীর
ঝিনঝিন হওয়ার কারণ সম্পর্কে অনেকেই জানা নেই। স্মৃতিসৌধের মতে স্নায়ু যদি কোন
কারণে চাপে পড়ে শরীরে সেই অংশে কোন অনুভূতি কাজ না করে ফলে ঝিনঝিন করে অবশ লাগে
এইরকম সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এই সমস্যাগুলো যে কারণে হতে পারে শেষ কারণগুলো সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে কারণ এক
জায়গাতে বসে বসে কাজ করছেন হঠাৎ মনে হল পা আর নাড়াতে পারছেন না। ভারি ভারি
লাগছে উঠে দাঁড়াতে গিয়ে বুঝলেন ঝিজি ধরেছে। দীর্ঘক্ষণ একদম দিতে বসে থাকলে এমন
অনেক সময় হয়।
পা বা হাতের পেশিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে যে স্নায়ু তার ওপরে চাপ পড়লে এমন হয়।
তাহলে শরীর জিম জিম করার কারণ সম্পর্কে আপনারা বুঝতে পেরেছেন এবার এই শরীর ঝিনঝিন
করার কারণ জানলেও এটার প্রতিকার সম্পর্কেও জেনে রাখতে হবে।
কারণ
- মেরুদন্ডের আঘাত জনিত সমস্যা থেকে সারভাইকাল স্পন্ডাইোসিস বা লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস এর সমস্যায়।
- হাতে বা পায়ে রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে পেরিফেরাল আর্টারাল ডিজিজ।
- ডায়াবেটিসের কারণে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি নামক একটি রোগের ক্ষেত্রে।
- মস্তিষ্ক ও দেহের অন্যান্য অংশের নার্ভ গুলোতে তথ্য আদান-প্রদানে ব্যাঘাত ঘটলে।
- মাংসপেশী দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে।
- স্নায়ুর নার্ভ গুলো হৃদপিণ্ড থেকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পাওয়া থেকে বিরত থাকলে।
- শরীরে ভিটামিন বি ৬,১২ এর ঘাটতি।
- শরীরে পানির ঘাটতি হলে।
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে সমস্যার কারণে আপনার শরীর বা পা ঝিনঝিন হতে
পারে।
প্রতিকার
যখন আপনাদের এই ঝিনঝিন এর সমস্যা দেখা দিবে তখন আপনাদেরকে কিছু খাবার খেতে হবে
এবং আপনার খাদ্য অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। এমন সকল খাবার খেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা সুন্দর হয়
যেগুলো থেকে আপনারা পুষ্টি পাবেন সবুজ শাকসবজি, কলিজার, ডিম, দুধ, মুরগির বুকের,
মাংস, দই, সূর্যমুখীর বীজ, কলা, ছোলা ও কাজুবাদাম এসব খাবারের মধ্যে যে খাবার
গুলো আপনার চারিপাশে আপনি সহজে এবং কম দামে পাবেন সেগুলো প্রতিদিন খাবার তালিকায়
যোগ করতে পারেন এতে করে আপনার শরীরের জন্য উপকার আসবে।
হাত ঝিনঝিন করার ঔষধ
আপনারা যদি কেউ হাত ঝিনঝিন করার ঔষধ সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আপনারা আজকের
আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন। আমাদের শরীরে অনেক সময় দেখা যায়
যে হাত ঝিনঝিন করছে। চিকিৎসক মতে, স্নায়ুতে যদি কোনও কারণে চাপ পড়ে শরীরের সেই
অংশে কোনও অনুভূতি কাজ না করে ফলে ঝি ঝি করে অবশ লাগে।
শারীরিক দুর্বলতা বা কোনও রকম সংক্রমণের প্রভাব থাকলে এমনটা হতে পারে। থাইরয়েড,
ডায়াবেটিস বা স্ট্রোকের সমস্যা থাকলে এ রকম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভেতরে ভেতরে
শরীরে বাসা বাঁধতে পারে থাইরয়েড বা ডায়বেটিস যদি আমাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক
ভাবে না হয়।
আরো পড়ুনঃ কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
আমাদের শরীরে শিরাগুলোতে প্রভাব পড়ে তখন আমাদের দেহের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন
ঠিকমতো পৌঁছায় না তখন আমাদের শরীরে ঝিনঝিন করে। যার কারণ হতে পারে ভিটামিন অভাব
শরীরে।
চিকিৎসকদের মতে, শারীরিক দুর্বলতা বা কোনো রকম সংক্রমণের প্রভাব থাকলে এমন হতে
পারে। কখনো কখনো কোনও গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা কারণে এটা হয়। কিছুক্ষণ জন্য সেই
জায়গাটি ম্যাসাজ করলে কমে যায় সমস্যা।
ম্যাসাজ করার পরে যদি কম না হয় তবে আপনার শরীরে অন্য রোগ আছে বলে মনে করছেন
চিকিৎসকরা। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করতে হবে অন্য কোন ঔষধ খাওয়া থেকে
বিরত থাকতে হবে। কারণ এটি রক্ত চলাচলের বাঁধা কারণে হয়ে থাকে।
পা ও পা অবশ দূর করার উপায়
আপনাদের অনেকের হঠাৎ যদি পা ও পা অবশ হয়ে যায় তাহলে কিন্তু এই সময়ে আপনাকে জেনে
রাখতে হবে যে পা অবশ দূর করার উপায় সম্পর্কে। অনেক সময় মানুষের শরীরের স্নায়ু
আকষ্মিক আকষ্মিক ভাবে হয়ে পা অবশ হয়ে পড়ে।
অনেক সময় কিছু ব্যাকটেকিয়া ও ভাইরাস এই রোগের কার্যকারণের সঙ্গে সম্পর্কিত। কিছু
জীবাণুর গঠনের সঙ্গে আমাদের শরীরের স্নায়ুর গঠনের কোথাও মিল আছে। সে কারণে
অ্যান্টিবডি শরীরের স্নায়কে জীবাণু ভেবে ভুল করে আক্রমণ করে ফেলে। এর ফলে
স্নায়ুতে প্রদাহ শুরু হয়, এই স্নায়ু শরীরের যে মাংসপেশিকে সরবরাহ করে, তা দুর্বল
হয়ে পড়ে।
লক্ষণ শুনে জিবিএস সন্দেহ হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া উচিত। চিকিৎসা নির্ভর করে
রোগের লক্ষণ ও তীব্রতার ওপর ফিজিওথেরাপি, নিবিড়ভাবে রক্তচাপ, হৃৎস্পন্দন,
শ্বাস-প্রশ্বাস পর্যবেক্ষণ করা খুবই জরুরী। অনেক সময় পাজরের পেশি অবশ হয়ে গেলে ও
শ্বাসকষ্ট বেশি হলে ভেন্টিলেটর সার্পোট লাগাতে পারে।
গিলতে না পারলে খাবারের নল দিতে হবে কিছু গুলেইন-বারি সিনড্রোম রোগীদের
ইমিউনোগ্লোবিউলিন, প্লাজমা এক্সচেঞ্জ দেওয়া হয়।প্রতি ১০ জনের ৭ থেকে ৮ জন রোগী
ছয় থেকে ১২ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়। প্রতি ১০ জনের এক থেকে দুই জন
রোগী কিছু স্থায়ী দুর্বলতায় ভোগেন।
হাত ঝিনঝিন করে কেন
শরীরে বিভিন্ন অংশে নানা রকম সমস্যা হয় তেমনি একটা সমস্যা হাত ঝিনঝিন করে।
চিকিৎসা বিজ্ঞান মতে এই ঝিনঝিন হওয়াকে বলা হয় Paraesthesia.
শরীরে রক্ত সরবরাহের জন্য সারা দেহে পানির মতো আছে রক্তনালী। এই রক্তনালি দুই
ধরবের ধমনি এবং শিরা। ইংরেজিতে বলে Aetery & Vein. ধমনীর কাজ হৃদপিণ্ড থেকে
রক্তের মধ্যে অক্সিজেন মিশিয়ে শরীরে বিভিন্ন অংশে পৌঁছে দেওয়া এবং শিরা কাজ
শরীরের বিভিন্ন অংশে থেকে অক্সিজেন বিহীন রক্তকে সংগ্রহ করে হৃদপিণ্ডে পৌঁছানো।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত
আমরা যখন ব্যায়াম করি, আমাদের বেশি পরিমাণ অক্সিজেনের দরকার হয়, পেশিগুলোর বেশি
কাজ করতে হয় বলে। তখন রক্তনালির নার্ভ রক্তনালিগুলোকে বেশি প্রসারিত করে। ফলে
বেশি পরিমাণ রক্ত বেশি বেশি অক্সিজেনকে পৌঁছে দেয়। ডায়বেটিস রোগীদের শরীরে সুগার
বেড়ে গেলে পায়ে এমন pins & needles অনুভব আসে।
ট্রিটমেন্ট না করে এমন পরিস্থিতি দীর্ঘদিন চলতে থাকলে ধীরে ধীরে পায়ের পায়ের
বিভিন্ন জায়গায় সংবেদন ক্ষমতা কমে যায়, নষ্ট হয়ে যায়। ধীরে ধীরে পায়ের সেনসেশন
কার্যক্ষমতা কমে যায়, পায়ের ক্ষতের সৃষ্টি হয়, পায়ের রং পরিবর্তন হয়ে যায়। এই
সমস্যাকে বলে ডায়বেটিস ফুট।
হাত পা ঝিনঝিন করলে কি করনীয়
হঠাৎ যদি দেখেন হাত পা ঝিনঝিন করতে তখন বুঝতে পারবেন যা আপনার রক্তে তলে তলে
সমস্যার কারণে কিন্তু এই সমস্যাটি হতে এছাড়াও বিভিন্ন রকমের কারণ রয়েছে। হাত পা
ঝিনঝিন করলে অবশ্যই সাথে সাথে সেই জায়গাটি মেসেজ করবেন। অক্সিজেনের সরবরাহ কমে
যাওয়ার কারণে কিন্তু এই ঝিনঝিন সমস্যা দেখা দেয়।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় মুড সুইং
কিছু কিছু রোগের কারনেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারো যদি সারভাইক্যাল স্পাইন
বা ঘাড় এবং লাম্বার স্পাইন বা কোমরে নার্ভ বা স্নায়ু উপর চাপ লেগে থাকে তাহলে এই
ব্যথা হয়। যারা অনেক সময় ধরে একই স্থানে দাঁড়িয়ে থাকে বা বসে থাকে তাদের অনেক সময়
এই সমস্যা দেখা দেয়।
বিছানা শোয়ার জায়গা নরম হলেও এই সমস্যা দেখা দেয়। হাত পা ঝিনঝিন করলে কি করনীয়
চললেন জেনে নেওয়া যাক।
হাত পা ঝিনঝিন করলে কি করনীয়ঃ
- এই রোগীদের শক্ত বিছানায় ঘুমাতে হবে।
- এক ওই অবস্থানে দীর্ঘক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে ৪৫ মিনিট পরপর পাঁচ মিনিট বিশ্রাম নেওয়া জরুরি।
- যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করে তারা একটু হাসবেন্ড যারা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করেন তারা একটু করে বিশ্রাম নিবেন।
- শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে যাদের বিএমআই অনুযায়ী ওজন বেশি তাদের ওজন কমাতে হবে।
- ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট ঘাম ঝরিয়ে হাঁটতে হবে।
আশা করি আপনাদের যাদের হাত পা ঝিনঝিন করলে কি করনীয় এই সকল কাজগুলো করলে
সহজে হাত পায়ে ঝিনঝিন কমে যাবে।
শেষ কথা।হাত পা ঝিনঝিন করলে কি করনীয়।হাত ও পা অবশ দূর করার উপায়
সম্মানিত পাঠক আসসালামু আলাইকুম আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের আজকের এই আর্টিকেল শুরু
থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে ইতিমধ্যে জানতেও বুঝতে পেরেছেন হাত পা
ঝিনঝিন করলে কি করনীয়।হাত ও পা অবশ দূর করার উপায় সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ বড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ
আশা করছি আজকের আর্টিকেল নিশ্চয়ই আপনার হাত পা ঝিনঝিন পড়লে বা অবুঝ দূর করার
আর্টিকেলটি অনেক উপকারে আসতে পারে।আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন
লেগেছে তা আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।
এছাড়াও আপনি যদি সুস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা মূলক যেকোন আপডেট তথ্য পেতে চান তবে
আমাদের ওয়েব সাইটে ফলো করে রাখুন।এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন আজকের পর্ব এখানেই
আবারো কথা হবে অন্য কোন ট্রপিক নিয়ে সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url