গর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে করণীয় কি - গর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে ঔষধ

প্রিয় পাঠক আপনি যদি একজন গর্ভবতী নারী হয়ে থাকেন তবে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।কেননা আজকের এই আর্টিকেলে গর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে করণীয় কি এবং গর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে ঔষধ সম্পর্কে জানতে পারবেন।তাহলে চলুন পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে জেনে আসি গর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে করণীয় কি তা সম্পর্কে।
গর্ভবতী-অবস্থায়-জ্বর-হলে-করণীয়-কি
সেই সাথে আজকের আর্টিকেল পড়ে গর্ভাবস্থায় ঠান্ডা হলে করণীয়, গর্ভাবস্থায় মায়ের ঠান্ডা লাগলে কি বাচ্চার ঠান্ডা লাগে, গর্ভাবস্থায় বুকে কফ জমলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন তাই এই আর্টিকেলটি অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন গর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে করণীয় কি ও গর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে ঔষধ সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃগর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে করণীয় কি।গর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে ঔষধ

উপস্থাপনা।গর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে করণীয় কি।গর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে ঔষধ

প্রথম একজন গর্ভবতী নারীর জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটি প্রতিটি টপিক সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।একজন গর্ভবতী নারীর জন্য খাওয়া চলাফেরা ঘুমানো ঔষধ চিকিৎসা এ সমস্ত কিছু মেনে চলা।কিন্তু অনেক গর্ভবতী নারী গর্ভাবস্থায় জ্বর হলে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করে থাকে যা গর্ভবতী নারী ও বাঁচার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
তাই আমরা এই পোস্টে একজন গর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে করণীয় কি এবং গর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে ঔষধ কি খাবেন তার সমস্ত কিছু উল্লেখ করতে চলেছি।এছাড়াও গর্ভাবস্থায় সর্দি কাশি হলে করণীয় এবং গর্ভাবস্থায় মায়ের ঠান্ডা লাগলে কি বাচ্চার ঠান্ডা লাগে এ বিষয় সম্পর্কে জেনে সচেতন হতে পারব।তাই এমন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাটি মিস না করে দ্রুত গর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে করণীয় কি তা জেনে আসুন।

গর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে করণীয় কি

একজন গর্ভবতী মায়ের কিন্তু সুস্থ থাকা অনেক জরুরি। গর্ভবতী মায়েরা কিন্তু শারিরীক ভাবে দূর্বল থাকে তাই তাদের অনেক বেশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু যখন শরীরের তাপমাত্রা ১০০.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি হয় তখন জ্বর ধরা হয়।
গর্ভবতী-অবস্থায়-জ্বর-হলে-করণীয়-কি

গর্ভাবস্থার জ্বর হওয়াটা স্বাভাবিক তাই জ্বর হলে বেশি চিন্তা না করে কি কারনে জ্বর হয়েছে তা বের করতে হবে এবং গর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে জানতে হবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
গর্ভাবস্থায় সারাদিন হাইড্রেটেড থাকা খুবই জরুরি এখানে প্রচুর পরিমাণে তরুল পানি ও তরল খাবার খাওয়া উচিত যাতে করে শরীরে পানির অভাব না হয়।

একটি কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে নিংড়ে নিয়ে কপালে দিয়ে রাখুন। কাপড় গরম হয়ে আসলে আবার পানিতে ভিজিয়ে নিংড়ে নিল এবং কপালে ডিম এভাবে করে তাপমাত্রা কমানো যায় এবং আরাম পাওয়া যায়।
হালকা গরম বা উষ্ণ পানিতে গোসল করবেন এতে করে শরীরটা কিছুটা ঠান্ডা হয় এবং আরাম পাওয়া যায়। তবে পানি যেনো বেশি গরম বা ঠান্ডা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
  • গোসল করতে না চাইলে উষ্ণ পানি দিয়ে স্পঞ্জ বাথ করুন। অর্থাৎ একটা স্পঞ্জ ভিজিয়ে নিয়ে তা দিয়ে সারা শরীর মুছে নিন।
  • বাইরের রোদ বা গরম স্থানে না থেকে ঠান্ডা পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন। ঘরে ফ্যান বা এসি থাকলে তা চালু করে শরীরের তাপমাত্রা কমে আসার পাশাপাশি ঠান্ডা হবে।
  • যথা সম্ভব আরামদায়ক প্রসব করুন সুতি হালকা ও ঢিলেঢালা কাপড়ের পোশাক পরা চেষ্টা করা উচিত।

গর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে ঔষধ

গর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে ঔষধ অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে যেহেতু শরীরে কোন রোগ বা ইনফেকশন বাসা বাধার কারণে জ্বর হতে পারে। তাই মূল কারণ জেনে খুঁজে বের করে সময়মতো চিকিৎসা নিতে হবে।
  • গর্ভাবস্থায় জ্বর হলে অবশ্যই শরীরে কোন ইনফেকশন রয়েছে যার কারণে জ্বর হয়েছে সেই কারণে আপনাকে আগে আপনার শরীরের তাপমাত্রা মেপে দেখতে হবে।
  • ঘরোয়া কিছু উপশম্যে আপনি জ্বর ভালো করতে পারেন কারণ জ্বরের সময় কিন্তু তেমন কোন ওষুধ দেওয়া যায় না গর্ভবতী মহিলাদের যার কারণে ঘরোয়া চিকিৎসা করতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে সম্ভব হলে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে বিশ্রাম করতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে পাতলা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে। গর্ভাবস্থায় জ্বরের জন্য উপযুক্ত ওষুধ হল প্যারাসিটামল। এটি জ্বর ও জ্বরের কারণে হওয়া অস্বস্তি বোধ কমাতে সাহায্য করে। প্যারাসিটামল একটি ওভারদা কাউন্টার ঔষধ।
ওভারদা কাউন্টার ওষুধগুলো ফার্মেসি থেকে কিনে সাথে থাকা নির্দেশিকা অনুযায়ী সেবন করা নিরাপদ। চেষ্টা করবেন আপনার জন্য নূন্যতম যেই ডোজ কাজ তো হয় সেই দোষটি বেছে নিতে এই বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে কথা বলে নিবেন।

প্যারাসিটামল কেনার সময়ের সাথে ক্যাফেইন, কোডেইন অথবা অন্য কোন উপাদান যোগ আছে কিনা সেটা দেখে নিন অনেক সময় এই ধরনের ওষুধের ক্ষেত্রে নামের আগে পরে এক্সট্রা শব্দ যোগ করা হয়। গর্ভাবস্থায়ী এ জাতীয় ওষুধের পরিবর্তে সাধারণ প্যারাসিটামল বেছে নেওয়া উচিত।আশা করি আপনি গর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে ঔষধ সম্পর্কে বুঝতে পেরেছে। বুঝার সুবিধার্থে পোস্টটি ভালো ভাবে পড়ুন।

গর্ভাবস্থায় ঠান্ডা হলে করণীয়

আপনারা যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু নিজের শরীরে যত্ন নিবেন এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। এই জন্য বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। শরীরে রোগ হলে কোন ঔষধ খাওয়া যাবেনা এই সময়।
তাই বেশি সর্তক থাকতে হবে যেন কোন রোগ না হয়। আপনারা যদি গর্ভাবস্থায় ঠান্ডা হলে করণীয় সেই সম্পর্কে না জেনপ থাকেন তাহলে আজকে আমাদের আটিকেল মনযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন।
  • সর্দি বা কাশি আছে এমন কারো সংস্পর্শে না যাওয়া উচিত।
  • বেশি গরমে বাইরে বের না হওয়াই ভালো।তবে বের হতে হলে বাহির থেকে ফিরেই হাত মুখ ভালো করে ধুয়ে নেয়া উচিত।
  • বেশি বেশি করে ফল, শাক/সবজি খাওয়া উচিত। তবে আধা সিদ্ধ ডিম,মাংস, পনির এবং সামুদ্রিক খাবার না খাওয়ায় শ্রেয়।
  • মূত্রনালীর সংক্রমণ এড়াতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত।
আশাকরি আপনারা গর্ব অবস্থায় ঠান্ডা লাগলে করণীয় কি সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন গর্ভবতী নারীদের যেহেতু ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হয় সেই জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে।

গর্ভাবস্থায় মায়ের ঠান্ডা লাগলে কি বাচ্চার ঠান্ডা লাগে

গর্ভাবস্থায় মায়ের ঠাণ্ডা লাগলে কি বাচ্চা ঠান্ডা লাগে এই সম্পর্কে অনেকে জানতে চেয়েছেন গর্ভকালে মায়ের জ্বর সর্দি বা ভাইরাসের সংক্রমণ শিশুর ওপর নৈতিকতা প্রভাব ফেলে মায়ের গর্ভে থাকাকালীন এই সংক্রমনের কারণে শিশুর জন্মের পর এলার্জি ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

শোনাতে বলা হয়েছে মা ও শিশু শারীরিক স্তৃতি পরীক্ষা করে দেখা গেছে গর্ভকালীন সংক্রমনে বোনের এমন প্রভাব রাখে যা পরবর্তী সামান্য ভাইরাস সংক্রমণের শিশুর এলার্জি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং এটি ক্রমশ বাড়তেই থাকে।
এদিকে বিশেষজ্ঞ মনে করেন, গর্ভকালীন সংক্রমনের বিষয়টি অনেকে খেয়াল করে না অথচ এই সময় সংক্রমণের কারণে গর্ভের শিশুর ক্ষতি হতে পারে। এমনকি গর্ভপাত হতে পারে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন রকমের ডাক্তারদের মতবাদ যে, গর্ভকালে বা প্রসবের আগে মায়ের যেসব সংক্রমণ হয় তা অনেকেই খেয়াল করেনা।

মনে করে সামান্য জ্বর বা সংক্রমণ আর কি হবে। এতে মায়ের ক্ষতি ছাড়াও গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। এমন অবস্থাও দেখা গেছে সংক্রমণের কারণে জ্বরের মাত্রা বেশি হয়ে গর্ভপাত হয়েছে।

ভাইরাস সংক্রমণ যেকোনো সময়ে হতে পারে তবে গর্ব অবস্থায় মায়ের ভাইরাস সংক্রমণ শিশুর শারীরিক গঠনে ক্ষতি করতে পারে গর্ভ অবস্থায় ভাইরাস সংক্রমণ ও সঙ্গে ডাক্তার বলেছেন প্রসবের আগে সংক্রমনের মধ্যে কিছু সংক্রমণ রয়েছে যেমন ভাইরাল ফিভার ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হয়ে যদি বেশি জ্বর হয় তাহলে তার শিশুকে ক্ষতি করে।

গর্ভকালীন সংক্রমণ প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা সর্দি কাশি থেকে দূরে থাকায় এবং ঘা মুছে জ্বর কমিয়ে রাখার বিকল্প নেই। তবে হাম বা রুবেলা প্রতিরোধে শিশু বয়সেই টিকা দিতে হয়।

গর্ভাবস্থায় বুকে কফ জমলে করণীয়

আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনাকে এই সময় অনেক বেশি যত্ন নিতে হবে। গর্ভাবস্থায় কোন প্রকার ঔষধ খাওয়া যাবেনা সেই কারণে কিন্তু এই সময়ে নিজের উপর বেশি যত্ন নিতে হবে। একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরে পুষ্টি সরবরাহ বেশি করতে হবে।

গর্ভাবস্থায় মহিলাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এই সময় অনেক সাবধানে থাকতে হয় কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় জ্বর সর্দি কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয় তাই আজকে আপনাদেরকে জানাবো গর্ভাবস্থায় বুকে কফ জমলে করণীয় সম্পর্কে।

আদা: বুকে কফ বের করতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর উপাদান আদা। গর্ভাবস্থায় বুকে কফ জমলে গরম পানি সাথে লেবুর রস,আদা,মধু দিয়ে পান করতে পারেন। অন্যদিকে মধু এবং লেবুর রস গর্ভাবস্থায় সর্দি কাশির হাত থেকে রেহাই দিতে সহযোগিতা করে। এছাড়াও এই উপাদান গুলো রক্ত চলাচল সচল করতে এবং অন্যান্য সংক্রমণের হাত থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

রসুন: সর্দি কাশির ভেতরে রসুন দারুন সহায়কের মধ্যে থাকা অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল উপাদান সর্দি হওয়ার জন্য দায়ী।এছাড়া ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস এর সঙ্গে দারুন কাজ করে।

এমনকি এই উপাদানগুলো গর্ভাবস্থার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রক্ত সচলভাবে চলাচল করতে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহযোগিতা করে। যার কারনে গর্ভবতী মহিলারা এক কোয়া রসুন প্রতিদিন খেতে পারেন।
নারকের তেল: নারিকেল তেল অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল উপাদানের জন্য পরিচত। নারকেল তেল গর্ভাবস্থায় ক্ষেত্রে সুরক্ষিত। আপনি বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ ভাবে নারকেল তেলকে ব্যবহার করতে পারবেন। গরম পানি লর সঙ্গে এক চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে পান করুন কিংবা নারকেল তেলকে গরম করে শরীরে মালিশ করুন।

বাষ্প: গর্ভাবস্থায় সর্দি কাশি হলে গরম বাষ্প নিতে পারেন। গরম জলে লেবুর কোয়া আর দু ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল দিয়ে স্টিম নিতে পারেন। এতে অনেকটা স্বস্তি পেতে পারেন।

গরম স্যুপ: গর্ভাবস্থায় সর্দি কাশি হলে গরম সবজি ও চিকেনের স্যুপ পান করতে পারেন। এর মধ্যে আদা,রসুন ও পিঁয়াজ দেবেন। এই তিনটি উপাদান সর্দি, কাশির হাত থেকে রক্ষা করবে এবং সবজি শরীরে ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। গরম স্যুপ পান করলে বসা সর্দিও উঠে আসবে।

গর্ভাবস্থায় সর্দি কাশি হলে করণীয় কি

গর্ভাবস্থায় সর্দি কাশি হওয়ার অভিজ্ঞতাটা কখনো খুব ভাল হয়না। গর্ভাবস্থায় সর্দি কাশি হলে সেটা বড় সমস্যা হয়ে উঠে। সাধারণ সর্দি হলো মূলত এক ধরনের ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট শ্বাসনালীর উপরের অংশে হওয়া একটি অসুখ যা আপনার স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

সাধারণ সর্দির ক্ষেত্রে কাশি এবং হাঁচি ছাড়াও আরো অনেক সমস্যা হতে পারে। যেমন : নাক বন্ধ হওয়া, নাক থেকে থেকে জল পড়া, গলা ব্যথা করা এবং হাঁচি।
রসুন: গর্ভবতী মহিলারা গর্ভাবস্থায় সর্দি এবং কাশির চিকিৎসার জন্য রসুন ব্যবহার করতে পারেন, কারণ রসুন তাঁদের সর্দি এবং কাশিতে কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটির অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি সেফটিক এবং অ্যান্টিভাইরাল গুণা গুলির শক্তিশালী সংমিশ্রণের কারণে এটি সেই ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া যা সাধারণ সর্দি কাশি সৃষ্টি করে।

সেগুলিকে প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে কার্যকারী। রসুনকে পেষার সময় এবং গরম করার আগে অ্যালিসিন নিঃসৃত হয়। তাই কাঁচা রসুন খেলে সেটা বুকে জমে থাকা কম বা সর্দি কমাতে সাহায্য করে।

মধু ও পাতিলেবু: মধুর মধ্যে জ্বালা কমানোর গুণ রয়েছে ।তাই আদা বা পাতিলেবু চায়ের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে সেটা গলার অস্বস্তি দূর করতে সাহায্য করে। এই প্রতিকার টি ব্যবহার করলে কাশি এবং গলা ব্যথার দূর করতে আরাম পাওয়া যায়। মধুর মধ্যে এন্টিভাইরাস এবং ইউনিটি বুস্টিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

 পাতিলেবু এবং মধু খাওয়ার রেসিপিটি খুব সহজ গর্ভাবস্থায় খাওয়ার জন্য একটি সঠিক নিরাপদ কফ সিরাপ তৈরি করুন এক গ্লাস উষ্ণ জলে এক চা চামচ মধু এবং এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি দিনে তিন থেকে চার বার পান করতে হবে আপনার যদি ঠান্ডা লাগার প্রবণতা থাকে তবে আপনি সুস্থ হওয়ার পরেও এটি খেতে পারেন।

হলুদ: সর্দি কাশি এবং নাকের জ্বালা সহ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য ভিষণ কার্যকর চিকিৎসা হিসেবে যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হলুদের মধ্যে কারকিউমিন নামক একটি মূল উপাদান রয়েছে। এটি হলো শক্তিশালী আন্টি এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
স্বাস্থ্যের উপকারিতা জন্য গরম দুধ দিয়ে হলুদ গুঁড়ো এবং গোলমরিচ মেশানো যেতে পারে। যদি আপনি অল্প অসুস্থ বোধ করেন তাহলে এটি দিনে দুইবার পান করুন আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং লবণ মিশিয়ে এক গ্লাস গরম পানিতে সেটাকে গুলিয়ে নিন।গর্ভাবস্থায় সর্দি বা কাশির চিকিৎসার জন্য দিনে দুইবার এই মিশ্রণটি দিয়ে গার্গল করতে পারেন।

পানি: মনে রাখবেন যে পানি সর্দি কাশি থেকে মুক্তি পেতে অনেক বেশি কার্যকরী। শরীরের পানের পরিমাণ ঠিক রাখতে আপনার শরীরকে আদ্র রাখতে হবে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের পাশের জন্য শরীরে জলের পরিমাণ অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি কমে যায়।

শরীরের আদ্রতা যাতে না কমে যায় এবং শরীর থেকে কফ সর্দি বের করার জন্য সারা দিনে প্রচুর পরিমাণে গরম পানি করে খেতে হবে। সবজি বা মাংসের গরম গরম স্যুপ খাওয়াটা খুবই উপকার।

নারকেল তেল: নারিকেলের তেল স্বাদ রাখ ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাল সংক্রমণকে প্রতিরোধ করার জন্য সুপরিচিত। নারকেল তেলে লরিক অ্যাসিড ঘনত্বের মাত্রা খুব বেশি থাকে। আর এই কারণে এই তেলটি ভাইরাসের চারপাশে লিপিড আবরণকে এবং ভাইরাসের আবরণীতে ছিন্নভিন্ন করতে পারে।

গর্ভাবস্থায় নারিকেলের তেল ব্যবহার করা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। এটি ত্বকের উপর সরাসরি লাগানো যেতে পারে এবং এটিকে খাওয়াও যেতে পারে। সর্দি থেকে মুক্তি পেতে গরম পানিতে এক চা চামচ নারিকেলের তেল মেশান। নারিকেল তেলে থাকা লরিক অ্যাসিড সংক্রমণ ঘটাতে পারে এমন ভাইরাসকে মেরে ফেলে।

শেষ কথা।গর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে করণীয় কি।গর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে ঔষধ

সম্মানিত পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন গর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে করণীয় কি ও গর্ভবতী অবস্থায় জ্বর হলে ঔষধ সম্পর্কে।আমাদের দেওয়া তথ্য গুলোর মধ্যে কোথাও কোন ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামতের মাধ্যমে আমাদের কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
আশা করি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকৃত মনে হয়েছে।এ পোষ্টটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার পরিচিত জন্য এর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।গর্ভবতী নারীদের জন্য প্রতিটি সময় সতর্কতা অবলম্বন করে চলা উচিত।এবং যেকোনো অসুস্থতার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।আশা করছি আপনি বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url