শুটকি মাছে কি এলার্জি আছে - শুটকি মাছ কিভাবে তৈরি হয় শিখে নিন

প্রিয় পাঠক আপনি কি শুটকি মাছে কি এলার্জি আছে এবং শুটকি মাছ কিভাবে তৈরি হয় এ বিষয় সম্পর্কে জানতে অনলাইনে সার্চ করে তথ্য খোঁজাখুঁজি করছেন।তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় ক্লিক করেছেন।আজকের আর্টিকেলের আলোচনা থেকে আপনি খুব সহজেই শুটকি মাছে কি এলার্জি আছে ও শুটকি মাছ কিভাবে তৈরি হয় এ বিষয়ে সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য জানতে পারবেন।
শুটকি-মাছে-কি-এলার্জি-আছে
একই সাথে আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনি শুটকি মাসে কি ভিটামিন থাকে, শুটকি মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং শুটকি খেলে কি গ্যাস হয় এমন সকল প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানতে পারবেন।তাই চলুন দ্রুত পোস্টটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ে শুটকি মাছে কি এলার্জি আছে ও শুটকি মাছ কিভাবে তৈরি হয় তা সম্পর্কে জেনে নিই।
পোস্ট সূচিপত্র:শুটকি মাছে কি এলার্জি আছে।শুটকি মাছ কিভাবে তৈরি হয়

সূচনা।শুটকি মাছে কি এলার্জি আছে।শুটকি মাছ কিভাবে তৈরি হয়

শুটকি মাছের মধ্যে প্রোটিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সোডিয়াম পটাশিয়াম ফসফরাসের মতো ভিটামিন গুলো রয়েছে শুটকি মাঝে কোলেস্টেরল ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকার হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা নিশ্চিন্তে এই খাবার খেতে পারেন।তাই আজকের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাঝে শুটকি মাছে কি এলার্জি আছে এবং শুটকি মাছ কিভাবে তৈরি হয় এ বিষয়ে সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
তাই আপনি যদি শুটকি মাছ খেতে খুব বেশি পছন্দ করে থাকেন।তবে হতে পারে এই পোস্টটি আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।শুটকি মাছ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে শুটকি মাছে কি এলার্জি আছে এবং শুটকি মাছ কিভাবে তৈরি হয় তা জানতে হবে।

সেই সাথে শুটকি মাছের ক্ষতিকর দিক, শুটকি মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা, শুটকি মাছে কি ভিটামিন আছে, এবং শুঁটকি খেলে কি গ্যাস হয় এমন সকল প্রশ্নের সমাধান পেতে আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

শুটকি মাছে কি ভিটামিন

প্রাই মানুষে শুটকি মাছ খেতে পছন্দ করে কিন্তু আপনারা কি জানেন শুটকি মাছে কি ভিটামিন রয়েছে অনেকেই জানতে চাই যে শুটকিমা আছে কি ভিটামিন রয়েছে। শুটকি মাছের মধ্যে প্রোটিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সোডিয়াম পটাশিয়াম ফসফরাসের মতো ভিটামিন গুলো রয়েছে।
শুটকি মাঝে কোলেস্টেরল ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকার হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা নিশ্চিন্তে এই খাবার খেতে পারেন। শুটকি মাছে ক্যালরি কম থাকায় যারা ওজন কমাতে চান তারাও খাদ্য তালিকায় এটি রাখতে পারেন।

প্রোটিন : শুটকি মা আছে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ প্রোটিন পাওয়া যায়। যার কারণে আপনারা যদি ডিমের বিকল্প হিসেবে শুটকি মাছ খেতে চান তাহলে কিন্তু খেতে পারেন। এছাড়াও গর্ভবতী, ক্ষীণব্যক্তি জন্য বেশ উপকারী।

পটাশিয়াম: এটি দেহের অপরিহার্য একটি উপাদান যা দেহের পানির সমতা বজায় রাখে এবং হৃদপিন্ডের স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে সহযোগিতা করে।

ফসফরাস: শুটকিতে ভালো পরিমাণ ফসফরাস থাকায় এটি আমাদের হাড়, দাঁত ও dna এবং rna গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: শুটকির মধ্যে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন যে শুটকি মাছ যে কি ভিটামিন রয়েছে এবং শুটকি মাছের ভিটামিন গুলো দ্বারা আমাদের দেহে কত উপকার পাওয়া যায়।

শুটকি মাছে কি এলার্জি আছে

আপনারা হয়তো অনেকে শুটকি মাছ খেতে পছন্দ করেন তবে অনেকে জানে না যে শুটকি মাছে কি এলার্জি আছে এই সম্পর্কে আসলে শুটকি মাছ খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না এই শুটকি মাছের উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেকেই জানতে পেরেছেন এবং শুটকি মাছও রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ।

তবে শুটকি মাছ খাওয়ার ফলে প্রায় অনেকেরই এলার্জির প্রবণতা একটু বেড়ে যায় অর্থাৎ যাদের এলার্জি রয়েছে তারা শুটকি মাছ খাওয়া থেকে দূরে থাকুন কারণ শুটকি মাছ খেলে এলার্জি বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে তাই শুটকি মাছ খাওয়ার আগে এই সকল বিষয় বিবেচনা করে শুটকি মাছ খাবেন।
শুটকি মাছ খেলে যেমন স্বাস্থ্যের উপকার হয় তেমনি কিন্তু আবার ক্ষতিও হতে পারে তবে শুটকি মাছ খাওয়ার আগে আপনাকে বুঝতে হবে যে এই মাছ খাওয়ার ফলে আপনার এলার্জি সমস্যা হচ্ছে কিনা তার জন্য আপনাকে প্রথমে শুটকি মাছ খেতে হবে এবং খাওয়ার পরে যদি এলার্জি লক্ষণ গুলো দেখা দেয়।

তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে শুটকি মাছ খাওয়া যাবে না আপনার এবং শুটকি মাছের মধ্যে এলার্জি রয়েছে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন শুটকি মাছে কি এলার্জি আছে কিনা।

শুটকি মাছের পুষ্টিগুণ

বাঙালিরা প্রচুর পরিমাণে শুটকি মাছ খেতে পছন্দ করে শুটকি মাছের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না চলুন জেনে নেয়া যাক শুটকি মাছের পুষ্টিগুণ গুলো।শুটকি মাছের বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকায় দেহের বিভিন্ন উপকার করে থাকে এবং খেতেও অনেক সুস্বাদু লাগে শুটকি মাছ।
  • প্রতি ১০০ গ্রাম শুটকিতে আমিষ প্রোটিন ও খনিজ লবণ
  • লইট্টা শুটকি: আমিষ ৬২ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৭৮০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৪০ মিলিগ্রাম, আয়রন ২০ মিলিগ্রাম, ক্যালরি ২৯৫ মিলিগ্রাম।
  • টেংরা শুটকি : আমিষ ৫৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৮৪০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৪০০ মিলিগ্রাম, আয়রন ৫ মিলিগ্রাম, ক্যালরি ২৫৫ মিলিগ্রাম।
  • ছোট চিংড়ি শুটকি : আমিষ ৬২ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৫৩৯ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩৫৪ মিলিগ্রাম, আয়রন ২৮ মিলিগ্রাম, ক্যালরি ২৯২ মিলিগ্রাম।
  • ফাইস্যা মাছের শুটকি : আমি ১১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১১৭৬ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৪৭৮ মিলিগ্রাম, আয়রন ১৮ মিলিগ্রাম, ক্যালরি ৩৩৬ মিলিগ্রাম।
  • ছুরি শুটকি : আমিষ ৭৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৭৩৯ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৭০০ মিলিগ্রাম, আয়রন ৪ মিলিগ্রাম, ক্যালরি ৩৮৩ মিলিগ্রাম।
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন শুটকি মাছের কতটুকু পুষ্টি উপাদান রয়েছে এবং সেইভাবে পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী।

শুটকি মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা

বাঙালি আর মাছ এই দুটি বহু পুরনো যুগ থেকে জনপ্রিয় হয়ে আসছে যার কারণে মাঠে ভাতে বাঙালি বলা হয় প্রবাদের মাচার ভাতে পেলে বাঙ্গালীদের যেন আর কোন কিছুই দরকার হয়না।
চলুন আজকে আপনাদেরকে শুটকি মাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানাবো যারা শুটকি মাছ খেতে পছন্দ করেন তারা আজকে শুটকি মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো জেনে নিন।
শুটকি মাছের উপকারিতা :
  • শুটকি মাছ প্রোটিনের একটি অনেক বড় অংশ প্রায় 85 শতাংশ প্রোটিন রয়েছে শুটকি মাছের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণের অন্য কোন জুড়ি নেই ডিমের সমতুল্য প্রোটিন থাকে শুটকি মাছে আছে।
  • শুটকি মাঝে আরো থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
  • শুটকি মাঝে থাকা সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখে এবং মাংসপেশি গঠন করতে সাহায্য করে শুটকি মাঠে থাকা পটাশিয়াম স্নায়ু ও হার্ট এর পক্ষে উপকারী।
  • শুটকি মাছ দেহের উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
  • গর্ভবতী মায়েদের জন্য শুটকি মাছ একটি উপকারী খাবার কারণ এতে এমন উপাদান থাকে যা গর্ভাবস্থায় খেলে শরীর ভালো থাকে।
  • শুটকি মাছের থাকা ফসফরাস হাড় ও দাঁতের গঠন সুনিশ্চিত করে।
  • শুটকিতে থাকা ভিটামিন বি১২ গঠনে সাহায্য করে এবং ব্রেনের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
  • অনেক মানুষ যারা দুধ খেয়ে হজম করতে পারেন না তারা কিন্তু শুটকি মাছ খেতে পারেন এটি পুষ্টির অন্যতম অপশন হতে পারে।
  • শুটকিতে থাকে প্রচুর আয়রন যা শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে।
শুটকি মাছের অপকারিতা :
শুটকি মাছের উপকারিতা থাকলেও কিছু কিছু মানুষের জন্য শুটকি মাছ খাওয়া একেবারে উচিত নয় কারণ তাদের এটা খেলে ক্ষতি হতে পারে চলুন জেনে আসি শুটকি মাছের অপকারিতা গুলো।
  • তীব্র গন্ধ থাকে অনেকের কাছে সেই গন্ধ বেশ খারাপ লাগে যারাই গন্ধ সহ্য করতে পারে না তাদের এই মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • তীব্র গন্ধের রাতে প্রচুর তেল মসলা দিয়ে শুটকি রান্না করা হয় তাই যাদের গ্যাস এসিডিটি সমস্যা রয়েছে তারা এই শুটকি খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
  • শুটকি তৈরিতে প্রচুর লবণ ব্যবহার করা হয় আমরা জানি লবণ রক্তচাপ বাড়ায় তাই উচ্চ রক্তচাপের মতো শারীরিক অসুস্থতা থাকলে শুটকি মাছ খাওয়া যাবে না।
  • পিত্তথলিতে পাথর থাকলে শুটকি মাছ খাওয়া এড়িয়ে চলুন নয়তো দেখা দিতে পারে নানান শারীরিক জটিলতা।
  • বাতের ব্যথা থাকলে শুটকি মাছ খেলে এসেই ব্যথারও বৃদ্ধি পায়।
  • হার্টের সমস্যা থাকলে শুটকি মাছ খাওয়া যাবে না।
  • অনেকে শুটকি মাছ খেলে আরার্জির মত সমস্যা দেখা দেয় তাদের শুটকি মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • শুটকি সংরক্ষণ করতে অনেক সময় ক্ষতিকারক কীটনাশক ব্যবহার করা হয় কীটনাশক শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক।
ডাক্তারেরা সবসময় পরামর্শ দেন তাজা ও টাটকা মাছ খাওয়ার জন্য। তবে বাঙালিরা নানা উপায়ে মাছ খেতে ভালোবাসেন। শুটকি মাছ তার মধ্যে অন্যতম শুটকি মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা দুটো দিকে রয়েছে।

শুটকি খেলে কি গ্যাস হয়

শুটকি মাছ খাওয়ার ফলে কিন্তু নানা রকমের অপকারও হয় আপনার হয়তো জানতে পেরেছেন শুটকি খেলে কি গ্যাস হয় এই সম্পর্কে অনেকে জানতে চাই আসলে শুটকি মাছ যদি অতিরিক্ত তেল মশলা দিয়ে রান্না করা হয় তাহলে কিন্তু গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শুটকি মাছের জনপ্রিয়তা একেবারে অন্য মাত্রায় বিশেষ করে এই মাছ অনেকের খুব প্রিয় হলেও কিন্তু এই মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ শুটকি মাছ অতিরিক্ত তেল মসলা দিয়ে রান্না করতে হয় কারণ শুটকি মাছের তীব্র গন্ধ বের হয়।
মাছের প্রতি বাঙালির ভালোবাসার কথা প্রায় সকলেই জানে চিকিৎসকরা বলে টাটকা মাছ না খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে তবে শুটকি মাছের জনপ্রিয়তা অন্য মাত্রায় থাকায় বিশেষ করে পছন্দের তালিকায় থাকে শুটকি মাছ তবে শুটকি মাছে প্রচুর তেল মসলা দিয়ে রান্না করতে হয় তাই যাদের গ্যাস এবং এসিডিটি সমস্যা থাকে তাদের এই শুটকি মাছ খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলাই উচিত।

শুটকি মাছের মধ্যে পুষ্টি উপাদান থাকলেও কিন্তু শুটকি মাছের অতিরিক্ত মসলা দেওয়ার কারণে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আপনার যদি গেছে সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই শুটকি মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

শুটকি মাছের ক্ষতিকর দিক

শুটকি মাছের ভর্তা বাকি মাছের তরকারি খেতে প্রায় প্রতিটা মানুষই পছন্দ করে তবে শুটকি মাছের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কেও জেনে রাখা দরকার শুটকি মাছে রয়েছে উচ্চ প্রায়ই থাকায় এটা মোটা মানুষ এবং হার্টের রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের জন্য নয়।শুটকি মাছের প্রচুর প্রোটিন রয়েছে তাই যাদের কিডনি বা গলব্লাডারে পাথর আছে। তাদের এই মাছ এড়িয়ে চলা উচিত।
এই মাছে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন থাকার ফলে হৃদরোগী, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের এটা বর্জন করা উচিত। শুটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণের সময় প্রচুর লবণ ব্যবহার করা হয় তাই যারা ব্লাড প্রেসার ও হার্টের রোগী তাদের জন্য কিন্তু এটা বিরাট ক্ষতি করতে পারে।

আজকাল শুটকি সংরক্ষণে ক্ষতিকর কীটনাশক ডিডিটি জাতীয় উপাদান ব্যবহার করা হয় তাই শুটকি রান্নার আগে হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে বারবার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন না হলে শরীরে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুটকি রান্নার সময় লবণ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন যে লবণ শুটকিতে রয়েছে।
তাই পর্যাপ্ত লবণ কম দিলে কারো কারো কাছে অবশ্যই স্বাদের কমতি অনুভূত হতে পারে। স্বাদ বাড়ানোর জন্য চাইলে অন্যান্য সুস্বাদু মসলা যোগ করতে পারেন প্রতিদিন শুটকি না খাওয়াই ভালো। খেতেও হবে পরিমিত এছাড়া সত্যি দেখতে অস্বাভাবিক লাগলে কেনা থেকে বিরত থাকা উচিত।
  • ডায়াবেটিস রোগীরা বেশি শুটকি মাছ খেলে ক্ষতি হতে পারে।
  • যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা শুটকি মাছ খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা শুটকি মাছ খেলে সমস্যা দেখা দেয়।
  • যাদের কিডনিতে পাথর রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে শুটকি মাছ খেলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

শুটকি মাছ কিভাবে তৈরি হয়

বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটা মানুষই কিন্তু শুটকি মাছের ভর্তা খেতে পছন্দ করে এর প্রবাদে বলা হয় মাঝে ভাতে বাঙালি এই প্রবাদ থেকে বোঝা গেছে যে বাঙালিরা মাছ কতটুকু ভালোবাসে। শুধু টাটকা মাছি নয় শুটকি মাছও আমাদের অতি প্রিয় একটি খাবার বাঙ্গালীদের দুটো খেতে সুস্বাদু কিন্তু আসলে কোন ধরনের মাছের উপকারিতা বেশি সেটা নিয়ে আজকে আপনাদেরকে জানাবো।

এছাড়াও আপনারা হয়তো শুটকি মাছ কিভাবে তৈরি হয় সে সম্পর্কে জানেন না। আমাদের দেশে জনপ্রিয় শুটকি মাছ হচ্ছে লইটা, পুট্টি কাচকি, চাপিলা, চিংড়ি, বইচ্যা, মলা, ইলিশ, বাইম, ফাৎরা, রুপচাঁদা ইত্যাদি।

সাধারণত কাঁচা মাছের লবণ মাখিয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে শুটকি মাছ প্রস্তুত করা হয় কড়া রোদে শুকিয়ে নেওয়ার ফলে জলীয় ভাব থাকে না এবং জীবাণু থাকেনা শুটকি মাছে তাজা মাছের তুলনায় খাদ্য শক্তি ক্যালরি আমিষ প্রোটিন ও খনিজ লবণের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।
শুটকি মাঝে ক্যালসিয়াম ও আয়রনের পরিমাণও অনেক বেশি ছোট চিংড়ি শুটকিতে আছে অনেক বেশি আইরন রক্তস্বল্পতা ও গর্ভবতী নারীরা একটি খেলে উপকার পাবেন। যারা দুধ খেতে পারেন না বা লেকটোজ ইনটলারেন্স আছে তারা প্রোটিনের বিকল্প উৎস হিসেবে মাঝেমধ্যে শুটকি খেতে পারেন।

শরীরে অতিরিক্ত শক্তির যোগান দিতে শুতি মাছে তুলনা হয়না সুতরাং যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের জন্য শুটকি মাছ খুবই উপকারী। শুটকি মাছ রোদে শুকানোর ফলে এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি জমা হয় এবং ভিটামিন ডি আমাদের হাড়, নখ, দাঁত গঠনে সাহায্য করে।

ভিটামিন ডি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অত্যাবশক নিয়মিত সূত্র খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে বিশেষ করে যারা নিয়মিত সুতি খান তাদের জ্বর সর্দি হয় না।

লেখকের মন্তব্য।শুটকি মাছে কি এলার্জি আছে।শুটকি মাছ কিভাবে তৈরি হয়

সম্মানিত পাঠ হোক আপনারা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে আজকের আর্টিকেল সম্পন্ন পড়ে জানতেও বুঝতে পেরেছেন শুটকি মাছে কি এলার্জি আছে এবং শুটকি মাছ কিভাবে তৈরি হয় এ বিষয় সম্পর্কিত যাবতীয় সফল তথ্য।আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকৃত বলে মনে হয়েছে।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার পরিচিত জনদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
এছাড়াও আপনি যদি এমন ধরনের নিত্য নতুন আপডেট আর্টিকেল সবার আগে পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন।আমাদের আজকের পর্ব এ পর্যন্তই আবারো দেখা হবে ও কথা অন্য কোন টপিক নিয়ে সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url