সাপোজিটরি দেওয়ার পর জ্বর না কমলে করণীয় বিস্তারিত জেনে নিন

আজ আমি এই আর্টিকেলে সাপোজিটরি দেওয়ার পর জ্বর না কমলে করণীয় ও ১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয় ও কি খাওয়াবেন এই বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করবো। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।আপনার এবং আপনার আশেপাশের কোন বাচ্চার যদি অনেক বেশি পরিমাণে জ্বর আসে তাহলে আপনি নিশ্চয়ই সাপোজিটরি ব্যবহার করে থাকেন।কিন্তু আপনি কি সাপোজিটরি দেওয়ার পর জ্বর না কমলে করণীয় সম্পর্কে না জেনে থাকলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
সাপোজিটরি-দেওয়ার-পর-জ্বর-না-কমলে-করণীয়
কেননা সেই সাথে জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়, ১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয়, বাচ্চাদের কত ডিগ্রী তাপমাত্রাকে জ্বর বলে, বাচ্চাদের জ্বর হলে অভিভাবক করণীয় এবং বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত তা আজকের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন।তাই এই পর্বটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে সাপোজিটরি দেওয়ার পর জ্বর না কমলে করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন।
পোস্ট সূচিপত্রঃবাচ্চাদের সাপোজিটরি দেওয়ার পর জ্বর না কমলে করণীয়।১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয় 

সূচনা।বাচ্চাদের সাপোজিটরি দেওয়ার পর জ্বর না কমলে করণীয়।১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয়

জ্বর হলে ক্ষতিকারক জীবাণু মোকাবেলা দেহে গড়ে তোলা প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা যা দেহের প্রবেষ্টিত রোগ জীবাণু বংশ বৃদ্ধিতে বাধা দেয় জ্বর কমাতে শিশুকে অনেক সময় সাপোজিটরি দেওয়ার প্রয়োজন হয়।এক্ষেত্রে অনেক সময়ই সাপোজিটরি বাচ্চার জ্বর কমাতে অক্ষম হয় তাহলে সে সময় আপনি কি করবেন?
এজন্য আজকের আলোচনায় আপনাদের জন্য বাচ্চাদের সাপোজিটরি দেওয়ার পর জ্বর না কমলে করণীয় ও 103 ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।তাই পরিবারের সকল বাচ্চাদের সবল রাখতে আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাটি মনোযোগ সহকারে পড়ে বাচ্চাদের সাপোজিটরি দেওয়ার পর জ্বর না কমলে করণীয় সম্পর্কে জানবো।আশা করছি প্রিয় বন্ধুরা আমাদের এই পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন।

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়

প্রায় মানুষেরই জ্বর হয় বিভিন্ন কারণে জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায় কারণ জ্বর হলে ওষুধ খেতে হবে। এমন কিছু নাই জোর যদি কম থাকে তাহলে ঘরোয়া উপায়ও কিন্তু শরীর ভালো করা যায়। শরীরে অ্যান্টিবডি দুর্বল হলে জ্বর আসে যা কারো কারো ক্ষেত্রে অল্প সময় থাকে আবার কারো কারো ক্ষেত্রে দীর্ঘ হয়।

জ্বরে অনেক খাবারের রুচিও কমে যায় জ্বর এলে অনেকের দ্রুত সেড়ে ওঠার জন্য নিজের মতো ওষুধ খান যা একেবারেই ঠিক নয়। কৃষকদের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে এছাড়া ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিজের জ্বর প্রতিরোধ করা চেষ্টা করতে হবে।

জলপট্টি করা: জ্বরের তীব্রতা বেশি হলে মাথায় জল পটি দিয়ে শরীরে তাপমাত্রা কমানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে এক টুকরো কাপড় পানিতে ভিজিয়ে কপালের ওপর রাখুন। কিছুক্ষণ পর সেটা তুলে আবার পানিতে দিয়ে তা থেকে সামান্য পানি ফেলে দিলে আবার কপালের উপর ধরুন। এভাবে বারবার করতে থাকুন আশা করা যায় ভালো ফল পাবেন।

আদা ও মধুর মিশ্রণ: এক কাপ গরম পানির সঙ্গে আদা বাটা ও মধু মিশিয়ে নিনের। এরপর মিশ্রণটি দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন। আরোও ভালো ফল পেতে এই মিশ্রনের সঙ্গে লেবু মেশাতে পারেন।
রসুন পানি: প্রথমে একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে তাতে এক কোয়া রসুন কুচি কুচি করে কেটে বা পেটে ভিজিয়ে রাখুন। পানি ঠান্ডা হলে কিছুক্ষণ পরপর সেটা পান করুন। এর সঙ্গে চাইলে আপনি মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।
কুসুম গরম পানিতে গোসল: জ্বর হলে আমাদের শরীরে তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়। এই জন্য শীত অনুভূত হয়। তাই জ্বর যখন কমে ১০০ ডিগ্রিতে আসবে তখন আপনি হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করতে পারেন। জ্বর কিছুটা কমতে পারে।

তরল খাবার খাওয়া: শরীরে জ্বর যত বেশি হবে ততই দুই হাইড্রেট বাড়বে। তাই ওই সময় প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া উচিত সম্ভব হলে ফলের রস ও হারবাল চা খেতে পারেন অনেকটা উপকার পাবেন।
বিশ্রাম নেওয়া: জ্বর থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম ও বিশ্রাম নিতে হবে। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং জ্বর কমে যাবে।

দ্রুত জ্বর কমানোর ওষুধ

যারা প্রতিনিয়ত কাজ করে এবং বাইরের কাজ করতে হয় তাদের কিন্তু বেশি জ্বর হতে পারে প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়ার কারণে কিন্তু জ্বর হতে পারে। দ্রুত জ্বর কমানোর ওষুধ সম্পর্কে অনেকে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন জ্বর হলে চেষ্টা করতে হবে ওষুধ না খেয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ভালো করার।
জ্বরের জন্য এন্টিবায়োটিক খাওয়া একেবারে ঠিক নয় জ্বর হলে সাধারণ ওষুধ খেতে হবে তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে জ্বর হতে পারে। তবে জ্বরের প্রকৃতকারণ নির্ণয় এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। নিচে কিছু সাধারণ জ্বরের ওষুধের নাম উল্লেখ করা হলো :
প্যারাসিটামল
ব্র্যান্ড নাম : টাইলেনল,ক্যালপোল,ফেনাসেটিন।
  • ব্যবহার : জ্বর ও মাথা ব্যাথা কমাতে ব্যবহৃত হয়।
  • ডোজ : প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাধারণত ৫০০ ও মিলিগ্রাম থেকে এক হাজার মিলিগ্রাম প্রতি চার থেকে ছয় ঘন্টা পর পর নেওয়া যায়।
  • আইবুপ্রোফেন
ব্র্যান্ড নাম: এডভিল, মট্রিন,ন্যাপ্রোসেন।
  • ব্যবহার : জ্বর মাথাব্যথা ও প্রদাহ কমাতে ব্যবহৃত হয়।
  • ডোজ : প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাধারণত ২০০ মিলিগ্রাম থেকে ৪০০ মিলিগ্রাম প্রতি ৪ থেকে ৬ ঘন্টা পরপর নেওয়া হয়।
  • এসপিরিন
ব্র্যান্ডের নাম : বায়ার, এসপিরিন।
  • ব্যবহার : জোয়ার ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে ব্যবহৃত হয় তবে শিশুদের জন্য এসপিরিন দেওয়া উচিত নয় কারণ এটি রেয়েস সিনড্রমে ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • ডোজ : প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাধারণত ৩২৫ মিলিগ্রাম থেকে ৬৫০ মিলিগ্রাম প্রতি চার থেকে ছয় ঘন্টা পর পর নেওয়া হয়।
  • নাপ্রক্সেন
ব্র্যান্ডের নাম : অ্যালেভ, ন্যাপ্রোসিন
  • ব্যবহার : জ্বর ও ব্যথা কমাতে ব্যবহৃত হয়।
  • ডোজ : প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাধারণত ২৫০ মিলিগ্রাম থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম প্রতি আট থেকে ১২ ঘন্টা পর পর নেওয়া হয়।
উপরের দেওয়া ওষুধ গুলো অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে সঠিক নিয়মে আশা করি আপনারা দ্রুত জ্বর কমানোর ওষুধ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয়

অতিরিক্ত জ্বর হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান ১০০ ডিগ্রীর উপরে শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে বুঝতে হবে জ্বর যার কারণে সেই সময় অবশ্যই রোগীর যত্ন নিতে হবে। আবহাওয়ার পাশাপাশি তাপমাত্রা হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে কিন্তু ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি ও কাশি ঠান্ডা জনিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

যেকোনো ভাইরাস জ্বর দিন থেকে পাঁচ দিন টানা ১০২/১০৩° ফরে নাই থাকতে পারে এই সময় জ্বর কমলে ১০১ এর নিচে নাও নামতে পারে। কাজের জ্বর শুরু হওয়ার পরের বেলাতে বা পরের দিন জ্বর কেন কমছে না তা নিয়ে অস্থির হওয়া যাবে না একদিনে জ্বর কমিয়ে দেওয়ার কোন মেডিসিন বা ম্যাজিক ডাক্তারের কাছে নেই।

ভাইরাস জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক কোন কাজে লাগে না যদি না কোন ইনফেকশন সোর্স পাওয়া যায় যা অনেক সময় প্রকাশ পেতে তিন দিনও লেগে যায়। জ্বরের ওষুধ ডাবল ডোজ বা ঘনঘন খাওয়ালে ও এন্টিবায়োটিক দিলে জ্বর ভালো হয়ে যাবে এমন কিন্তু নয়। ভাইরাসের পরিমাণ এর ওপর অর্থাৎ ভাইরাস কত দিন সক্রিয় থাকে তার ওপর জ্বরের স্থায়িত্ব নির্ভর করে।
শিশুদের এসিডিটি কম হয় তাই কোন কিছু খাওয়া না একদম সম্ভব না হলে খালি পেটে জ্বরের ওষুধ দিতে পারবেন। তবে জ্বর হলে শিশুর এক আধতু বমি হতে পারে কিছু জ্বরের ওষুধেও শিশুর বমি হয়। এইসব ক্ষেত্রে বমির ওষুধ লাগে না প্রয়োজনে জ্বরের ওষুধ বদলানো যেতে পারে। ওষুধ খাওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে বমি করলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর আবার ওষুধ খাওয়াতে হবে।

জ্বর হলে শিশুরা খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিবে বড় মানুষরা তাই করে। এই অরুচি প্রাথমিক কোন চিকিৎসা নেই। সবার মত আপনাকেও বুঝিয়ে শুনি অল্প অল্প করে পানি, তরল জাও, শরবত যেটা খেতে চাই সেটাই খাওয়াবেন।

তবে বমি ও পাতলা পায়খানা হতে পারে এমন খাবার দিবেন না মুখে একদম খেতে না পারলে প্রসাবে চারবারের কমে হলে বমি বন্ধ না হলে বা খিচুনি হলে শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।

সাপোজিটরি দেওয়ার পর জ্বর না কমলে করণীয়

জ্বর হলে ক্ষতিকারক জীবাণু মোকাবেলা দেহে গড়ে তোলা প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা যা দেহের প্রবেষ্টিত রোগ জীবাণু বংশ বৃদ্ধিতে বাধা দেয় জ্বর কমাতে শিশুকে অনেক সময় সাপোজিটরি দেওয়ার প্রয়োজন হয়। তবে এটি ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।সেজন্য সাপোজিটরি দেওয়ার পর জ্বর না কমলে করণীয় সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে।কেননা

শিশুর জ্বর যদি ১০২ ডিগ্রী ফরেনাইটের নিচে থাকে এবং শিশু বেশি অসুস্থ না হয় তাহলে রুটিন মাফিক প্যারাসিটামল সেবন করানোর প্রয়োজন পড়ে না কিন্তু ভীষণ জ্বর লাগবে প্যারাসিটামল দিতে হবে।

প্যারাসিটামল সিরাপ: শিশুর বয়সে প্যারাসিটামল সিরাপ প্রতি চার থেকে ছয় ঘন্টা অন্তর অন্তর সেবন করানো যায় কিন্তু দৈনিক পরিমাণ ৬০ মিলি গ্রামের বেশি না হয়। প্যারাসিটামল খাওয়ানো ৩০ মিনিট পর ওষুধের কার্যকারিতা শুরু হয় এবং এক থেকে দুই ঘন্টা পরে শিশুর জ্বর প্রায় দুই থেকে তিন ডিগ্রি ফরেন নাইট পর্যন্ত নামে।
প্যারাসিটামল সাপোজিটরি :
প্যারাসিটামল পায়ুপথে প্রয়োগ করা যায়। সাপোজিটরিকে অভিভাবকরা 'ডোজ' নামে অভিহিত করেন।
পায়ুপথে প্যারাসিটামল এর কার্যকারিতা শুরু হয় ওষুধের প্রয়োগের প্রায় ৬০ মিনিট পর।

সিরাপ ব্যবহারের সমান ফল পেতে পায়ুপথে বেশি মাত্রায় প্যারাসিটামল দিতে হয়। এই পথে ওষুধের সফল শোষণ যেন অনিশ্চিত তেমনি পায়ুপথে অধিক বার ওষুধ প্রয়োগের কারণে মলদ্বারের কার্যক্রমিকতা বিপত্তি হতে পারে।

বাচ্চাদের কত ডিগ্রি তাপমাত্রাকে জ্বর বলে

মানুষের শরীরে যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে তখন কিন্তু বেশি জ্বর সর্দি কাশি দেখা যায় এই কারণে জ্বর হলে কিন্তু অবশ্যই প্রাথমিক চিকিৎসা করতে হবে বাচ্চাদের কত ডিগ্রি তাপমাত্রাকে জোর বলে ধরা হয় এই সম্পর্কে অনেক বাবা-মাই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন।

শিশুর বয়সে জ্বর হলে সবচেয়ে বেশি দেখা যাওয়া উপসর্গ যে কারণে মা-বাবা ও অভিভাবকরা বেশি উদ্বিগ্ন থাকে সন্তানের চিকিৎসা নিয়ে। জ্বর তখন বলা হয় যদি মুখে নেওয়া তাপমাত্রা ৩৭.৬০ সেন্টিগ্রেডের বেশি, পায়ুপথে নেওয়া তাপমাত্রা ৩৮.০০ সে. এর বেশি বগলের নিচে নেওয়া তাপমাত্রা ৩৭.৪০সে. এর বেশি হয়।
শিশুদের তাপমাত্রা ৩৬.৮ ও ৪০ সে. এর মধ্যে বিরাজ করে তার সর্বনিম্ন রূপ থাকে ভোর ৬টা আর সর্বোচ্চ পাওয়া যায় বিকাল ৪ টায়। শিশুর জ্বর হলে সঙ্গে উপসর্গ থাকে কাঁপুনি, মাংসপেশীতে ব্যথা, ক্ষুধামন্দা, বেশি ঘুম, ক্লান্তি, জল তেষ্টা ও পোষাক কমে যাওয়া।

জ্বর প্রশমনে সাধারণত শিশুকে আলো বাতাস পূর্ণ ঘরে রাখতে হবে দেহের বেশি কাপড় চোপড় কাথা কম্বল সরিয়ে নেওয়া বেশি বেশি তরল খাবার ও জলপান অত্যাধিক কায়িক পরিশ্রম করার ফলে কিন্তু জ্বর হতে পারে।

বাচ্চাদের জ্বর হলে অভিভাবক করণীয়

বাচ্চাদের কত ডিগ্রী তাপমাত্রাকে জ্বর বলে ধরা হয় এই সম্পর্কে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে আসলে বাচ্চাদের জ্বর হলে অভিভাবকরা অনেক বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লে অভিভাবকদের করণীয় সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে জানাবো।
  • শিশুকে আলো বাতাস ঘরে রাখা যথা সম্ভব কম কাপড়চোপড় পরিধান করানো শরীরে আলতোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে।
  • বেশি পরিমাণে পানি পান ও তরল খাবার বারবার খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
  • শিশু অতিরিক্ত জ্বর কমাতে কুসুম গরম পানিতে তোয়ালিয়া চুবিয়ে প্রথমে পা, বুক, পিঠ ও কপাল এমনভাবে পর্যায়ক্রমে 15 থেকে 20 মিনিট করা। তবে প্যারাসিটামল সেভেন করানো ৩০ মিনিট পর স্পঞ্জ করলে জ্বর কমতে তা অধিক কার্যকর হয়।
  • শিশুর বয়সে যে কোন ওষুধ মুখে খাওয়ানোর মাধ্যমে প্রয়োগ চেষ্টা করা উচিত এক ধরনের ব্র্যান্ড যদি শিশু গ্রহণ করতে না পারে তবে একই জেনেরিক নামের অন্য কোম্পানির অন্য সালের ওষুধ দিয়ে চেষ্টা চালাতে হবে।
যদি কোন ভাবে মুখে খাওয়ানো সম্ভব না হয় তাহলে কেবল পায়ুপথে সাপোজিটার প্রয়োগের প্রয়োজন সাপটিটারি জর্জ দ্রুত নেমে আসে এমন ভুল ধারণা থেকে এর অত্যাধিক ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।

বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত

শিশুদের শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে জ্বর আসলে কিন্তু সাথে সাথে ওষুধ খাওয়ানো উচিত নয় বাচ্চাদের জ্বর হলে অবশ্যই আগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে জ্বর ভালো করার চেষ্টা করতে হবে।
জর্জেডি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ভালো না হয় তারপরে এটি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়াতে হবে। জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে চলুন জেনে আসি।
  • দ্রুতজর কামাতে সারা শরীরে কুসুম গরম পানি ভেজান গামছা বা তোয়ালিয়া দিয়ে মুছতে হবে।
  • মাথায় পানি দিতে হবে।
  • রোগীকে ফ্যানের বাতাসে রাখুন।
  • জ্বর ও শরীরের ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে জ্বর বেশি তাপমাত্রায় হলে মলদ্বারে প্যারাসিটামল সাপোজিটরি ব্যবহার করতে হবে। ( ১০২ ফরেনহাইট)
  • খাবার স্যালাইন, ফলের রস, শরবত ইত্যাদি তরল খাবার বেশি বেশি খেতে হবে এবং অন্যান্য স্বাভাবিক খাবার স্বাভাবিক নিয়মে খাওয়াতে হবে।
  • স্বাভাবিক সব খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়াতে হবে তবে তরল খাবার অবশ্যই বেশি বেশি দিতে হবে।
  • টক জাতীয় ফল জাম্বুরা, আমড়া, কমলা,লেবু ইত্যাদি খাওয়া ভালো।
জ্বর তিন দিনের মধ্যে প্রশমিত না হলে বা আনুষঙ্গিক অন্যান্য উপসর্গের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট, খিচুনি, অতিরিক্ত বমি, পাতলা পায়খানার জন্য দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে নিকঠিত হাসপাতালে বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।

শেষ কথা। সাপোজিটরি দেওয়ার পর জ্বর না কমলে করণীয়।103 ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয়

পরিশেষে একটি কথা বলে শেষ করব সাপোজিটরি দেওয়ার পর জ্বর না কমলে করণীয় পরিবারের অভিভাবককে নিকটস্থ হাসপাতাল ও ভালো কোন চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ছোট বাচ্চা ও শিশুদের কোন রকম ওষুধ বা সাপোজিটর ব্যবহার না করা ভালো।
আশা করছি আপনার সন্তানকে সুস্থ রাখার জন্য সঠিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।আশা করি এই আর্টিকেল আপনি সম্পূর্ণ অংশ মনোযোগ সহকারে পড়ে সাপোজিটরি দেওয়ার পর জ্বর না কমলে করণীয় ও 103 ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।এই পর্বটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার পরিচিত ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url