শিশুর পাতলা পায়খানা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় - শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয়

আজকের এই আর্টিকেলে আমি শিশুর পাতলা পায়খানা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় ও শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয় এ বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।আপনি যদি শিশুর পাতলা পায়খানা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় ও শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয় এই বিষয়ে পরিষ্কারভাবে না জানেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনার বেশ উপকারে আসবে।তাই আপনি যদি শিশুর পাতলা পায়খানা সম্পর্কিত ঘরোয়া উপায় গুলো জানতে চান তাহলে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
শিশুর-পাতলা-পায়খানা-বন্ধ-করার-ঘরোয়া-উপায়
কেননা একই সাথে আজকের আর্টিকেলে বাচ্চাদের ডায়রিয়া হওয়ার লক্ষণ, শিশুদের ডায়রিয়া হওয়ার কারণ, বাচ্চাদের ডায়রিয়া হলে কি ফল খাওয়া যাবে এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে পারবেন।তাই আজকের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে শিশুর পাতলা পায়খানা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় ও শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
পোস্ট সূচিপত্র:শিশুর পাতলা পায়খানা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় ।শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয়

ভূমিকা।শিশুর পাতলা পায়খানা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়।শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয়

শিশুদের পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া হওয়ার মূলত কারণ হলো ছোট শিশুরা বিভিন্ন ধরনের ময়লা সাধারণত জীবাণু পেটে ঢোকার কারণে শিশুদের ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ডায়রিয়ার একটি চিন্তার কারণ।
কেননা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বাচ্চাদের ডায়রিয়া থেকে সৃষ্ট পানি শূন্যতা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা না হলেই পানি শূন্যতা মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে।

তাই আমাদের আজকে আলোচনা থেকে শিশুর পাতলা পায়খানা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় ও শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন।আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে ডায়রিয়া হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত, ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত নয়, শিশুদের ডায়রিয়া কতদিনে ভালো হয় এমন সকল সমস্যার সমাধান সম্পর্কে জেনে আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।

বাচ্চাদের ডায়রিয়া হওয়ার লক্ষণ

বাচ্চাদের ডায়রিয়া হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন বাচ্চাদের ডায়রিয়া হলে কিন্তু শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে যার কারণে আগে থেকে যদি আপনি লক্ষণ বুঝতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী শিশু চিকিৎসা করেন তাহলে কিন্তু শিশু দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।

সাধারণত জীবাণু পেটে ঢোকার কারণে শিশুদের ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ডায়রিয়ার একটি চিন্তার কারণ কেননা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বাচ্চাদের ডায়রিয়া থেকে সৃষ্ট পানি শূন্যতা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা না হলেই পানি শূন্যতা মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে এখানে শিশুদের ডায়রিয়া ও ডায়রিয়াজনিত পানি শূন্যতা প্রতিরোধ করার উপায় ও লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
আমরা সাধারণত ডায়রিয়া ও পাতলা পায়খানা শব্দ দুটি একই অর্থে ব্যবহার করি।

তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় পায়খানা নরম বা পাতলা হওয়া মানে যে ডায়রিয়া হয়েছে বিষয়টি এমন নয় সারা দিনে তিনবার বা তার বেশি নরম বা পাতলা পায়খানা হলে তাকে সাধারণত ডায়রিয়া বলা হয়।

যে শিশুরা বুকের দুধ পান করে তাদের পায়খানা স্বাভাবিক ভাবে কিছুটা নরম আর আঠালো হয়।সেটা ডায়রিয়া নয় তবে আপনার বাচ্চা যদি স্বাভাবিকের তুলনায় ঘন ঘন পায়খানা হয় সেটাকে ডায়রিয়া হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

শিশুদের ডায়রিয়া হওয়ার কারণ

যেসব কারণে সবচেয়ে বেশি ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা দেখা দেয় এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনগুলো সে সম্পর্কে আজকে আপনাদের জানাবো শিশুদের ডায়রিয়া হওয়ার কারণগুলো হলো :
  • পেটে জীবাণু আক্রমণ বা ইনফেকশন হওয়ায় একে গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস ও বলা হয় এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কয়েক দিনের মাঝে সেরে ওঠে।
  • নরোভাইরাস নামের ভাইরাসের আক্রমণ।
  • ফুড পয়েজিং বা খাদ্য বিষক্রিয়া পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়ার একটি কমন কারণ এ বিষয় নিয়ে অনেকেই অনেক চিন্তিত থাকেন।
  • এছাড়া যেসব কারণে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হতে পারে সেগুলো হলো :
  • ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যে কোন ওষুধের সাথে দেওয়া নির্দেশিকা পড়ে দেখবেন ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো কি।
  • নির্দিষ্ট কোন খাবারে এলার্জি বা বিশেষ কোন খাবার সহ্য না হওয়া।
  • সিলিয়াক ডিজিজ
  • কোভিড-১৯
আশা করি আপনারা ডায়রিয়ার লক্ষণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং ডায়রিয়া হলে কি লক্ষণ দেখা দেয় সে সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয়

শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন বা যাদের ডায়রিয়া হওয়ার ফলে শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায় যার ফলে পানি শূন্যতার সমস্যা দেখা দিতে পারে পানি শূন্যতার ফলে কিন্তু শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে যায় এবং পেশাবও বন্ধ হয়ে যায় এটা থেকে মৃত্যু হতে পারে।

শিশুকে বেশি করে খাবার স্যালাইন ও তরল খাবার যেমন :ভাতের মাড়, চিড়ার পানি, ডাবের পানি, টক দই, ঘোল, ফলের রস ও লবণ গুড়ের শরবত খেতে দিন। ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে যে পানি ও লবণ বের হয়ে যায় স্যালাইন তা পূর্ণ করে সম্পূর্ণ এক প্যাকেট ছাড়া গুলবেন না।
এতে লবণের মাত্রা কমবেশি হতে পারে এবং শিশুর মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে প্রতিবার পায়খানার পর দশ থেকে পনেরো চামচ স্যালাইন শিশুকে খেতে দিন পাশাপাশি শিশুকে পুষ্টিকর খাবার দিন। শিশুর বয়স যদি ছয় মাসের কম হয় তাহলে তাকে বারবার মায়ের বুকের দুধ খেতে দিন শিশুর বয়স ছয় মাসের বেশি হলে বুকের দুধের পাশাপাশি পরিবারের খাবার অবশ্যই দিতে হবে।

অনেক পরিবার ডায়রিয়া হলে শিশুকে মাছ, মাংস, ডাল, কলা, শাক-সবজি খেতে দেয় না। শুধু চালের গুড়া বাড়ির বাজাও ভাত খেতে দেয় অসুস্থ অবস্থায় স্বাভাবিক খাবার খেতে না দিলে পরে শিশুর অপুষ্টি দেখা দিতে পারে।

কাঁচা কলা সেদ্ধ করে নরম ভাতের সঙ্গে চটকে দিন বা খিচুড়ির সঙ্গে কাঁচা কলা দিন সারাদিন কমপক্ষে ছয় বার অথবা তিন থেকে চার ঘন্টা পর পর শিশুকে খাবার দিন। অল্প করে দিলে শিশুর পক্ষে হজম করার সহজ হবে ১৫ দিনের জন্য জিংক সিরাপ বা বড়ি খেতে দিন। শিশুর ডায়রিয়া হলে পরিবারের বা পাশের মানুষের করণীয় এগুলো।

বাচ্চাদের ডায়রিয়া হলে কি ফল খাওয়া যাবে

বাচ্চাদের ডায়রিয়া হলে কি খাবার খাওয়া যাবে এই নিয়ে পরিবারের মানুষ বেশি চিন্তাতে থাকে বাচ্চাদের ডায়রিয়া হলে কি ফল খাওয়া যাবে এই প্রশ্নের উত্তর আপনাদেরকে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে দিব। প্রতিবছরই লক্ষ লক্ষ বার্তা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় যদিও আমাদের দেশে বাচ্চাদের পায়খানা সমস্যা কম বেশি বছর জুড়ে দেখা দেয়।
কারণ দূষিত পানি, অপ্রতুল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আর খাওয়া-দাওয়ার মূল অভ্যাস বাচ্চাদের ডায়রিয়া আরও বাড়িয়ে তোলে।শিশুদের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার কারণে ডায়রিয়া হয়ে থাকে এই সময় শরীর থেকে অধিক পরিমাণে তরল বেরিয়ে যাওয়াই বাচ্চারা দুর্বল হয়ে পড়ে।

শিশুর বয়স ছয় মাসের কম হলে একটু পর পর মায়ের দুধ দিতে হবে ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে পানি বাইরে যায় সেই ঘাটতি পূরণ করায় প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে যেমন স্যালাইন, জুস, লাচ্ছি, ভাতের মাড়, লেবুর শরবত, ডাবের পানি ইত্যাদি সহজে কোন তরল খাবার। এছাড়া তরল খাবারের পাশাপাশি খেতে হবে শক্ত বা অর্ধতরল খাবার।

ডাইরিয়া আক্রান্ত শিশু সঠিক খাদ্য গ্রহণ চালিয়ে যাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাকে নরম সহজ পাত্র খাবার দিতে হবে যেমন খিচুড়ি, মুরগির মাংস ইত্যাদি। মাখন দই আর সিরিয়ালের মত প্রচুর শক্তি সমৃদ্ধ খাবার বেশি উপকার করে চাইলে ভাত বা রুটির সাথে সামান্য ভেজিটেবল অয়েল মিশিয়ে খাবার দেওয়া যেতে পারে।
যেসব খাবারে পটাশিয়াম বেশি থাকে সেসব খাবার খাওয়া জরুরী ক্ষেত্রে মশুরির ডাল, কলা, আম, আনারস, পেঁপে, নারিকেলের দুধ এবং টক জাতীয় ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন শিশুদের ডায়রিয়া হলে কোন কোন ফল গুলো দেওয়া যাবে।

শিশুর পাতলা পায়খানা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়

যখন শিশুর পাতলা পায়খানা হবে তখন কিন্তু শিশুর পাতলা পায়খানা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। আজকের আমাদের আর্টিকেল থেকে আপনাদেরকে জানাবো শিশুর পাতলা পায়খানা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় গুলো।

সাধারণত জীবাণু পেটে ঢুকার কারণে শিশুর ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে শিশুর ক্ষেত্রে ডায়রিয়া একটি চিন্তার কারণ কেননা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের ডায়রিয়া থেকে সৃষ্ট পানি শূন্যতা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা না হলে এই পানি শূন্যতা মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে এখানে শিশুদের ডায়রিয়া ও ডায়রিয়াজনিত পানি শূন্যতা প্রতিরোধ করার উপায় ও করণীয় সম্পর্কে বলা হল।
ডায়রিয়া শিশুর পানি শূন্য চিকিৎসা: প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের ৫০ থেকে ১০০ মিলি তরল পানীয় খাওয়াবেন দুই থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের ১০০ থেকে ২০০ মিলি তরল পানীয় খাওয়াবেন আর দশ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের তরল পানীয় খাওয়াবেন যতটুকু তারা খেতে পারে।

ডায়রিয়া চিকিৎসার মূলকরণীয় হলো শরীরের পানি ও লবনের ঘাটতি মিটানো। এইজন্য ডায়রিয়া হলে শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে তরল পানীয় ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো উচিত।

বাচ্চাদের ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত 

  • শিশুকে বুকের দুধ বা বোতলের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে শিশু বমি করলে অল্প অল্প করে বারবার খাওয়াতে পারেন।
  • তরল পানীয় মধ্যে চিড়ার পানি, ভাতের মাড় কিংবা ডাবের পানি খাওয়া যেতে পারে ভাতের মারে সামান্য লবন দিতে পারেন।
  • ফর্মুলা বা শক্ত খাবার খাচ্ছে এমন শিশুদের দুই বেলা খাবারের মাঝে ছোট ছোট চুমুকে পানি খাওয়াবেন।
  • শিশুকে প্রতি তিন চার ঘন্টা পর পর খাওয়াবেন একেবারে অনেক বেশি খাবার না দিয়ে বারবার অল্প করে খাবার খাওয়াতে হবে।
  • শিশুদের ফর্মুলা যে পরিমাণে নির্দেশনা দেওয়ার আছে সেইভাবে বানিয়ে খাওয়াবেন তার চেয়ে পাতলা ফর্মুলা বানিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াবেন না।

শিশুদের ডায়রিয়া কত দিনে ভালো হয়

শিশুদের ডায়রিয়া কতদিনে ভালো হয় সে সম্পর্কে আপনারা কি জানেন শিশুদের ডায়রিয়া হলে বেশি উদ্বিগ্ন না হয়ে অবশ্যই শিশুর যত্ন নিতে হবে। শিশুর ডায়রিয়া হলে পানি শূন্যতা যেন না হয় সেই জন্য খাবার স্যালাইন ও পানীয় জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে যেন শিশুর শরীরে পানি শূন্যতা না দেখা দেয়।

খাবার পানি মাধ্যমে জীবাণু শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে ঘনঘন পাতলা পায়খানা হওয়া ডায়রিয়া যা সাধারণত ২৪ ঘন্টায় তিন বার বা বেশি হয়। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় তাকে ডায়রিয়া বলে ধরে নেওয়া হয় আর পায়খানা বারবার হলেও মল যদি পাতলা হয় তার ডায়রিয়া নয় সাধারণত তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত থাকতে পারে সবচেয়ে বড় জটিলতা হচ্ছে পানি শূন্যতা।
পানি শূন্য হলেই শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে এমন কিছুই সূর্য্য বোন বিপন্ন হতে পারে। তীব্র ডায়রিয়া হলে এটা হঠাৎ শুরু হয় কয়েক ঘন্টা বা কয়েকদিন স্থায়ী হয় তবে কখনো চৌদ্দ দিনের বেশি হয় না এবং পায়খানার সঙ্গে কোনো রক্ত যায় না।

এটা হঠাৎ শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টা বা কয়েকদিন স্থায়ী হয় তবে কখনো ১৪ দিনের বেশি হবে না যার কারণে নিতে হবে যদি এটি ১৪ দিনের বেশি হয় তাহলে তাকে দীর্ঘমেয়াদি ডায়রিয়া বলা হয়। স্বাভাবিক ডায়রিয়া হলে ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই ভাল হয়ে যায়।

ডায়রিয়া হলে কি খাওয়ার উচিত নয়

শীতকালে এলে ঠান্ডা কাশির পাশাপাশি শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় ডায়রিয়ায় খাদ্য ও পানি বাহিত রোগ দুই বছরের নিচে শিশুর ডায়রিয়া প্রধান কারণ রোটা ভাইরাসজনিত সংক্রমণ এই ভাইরাস জনিত ডায়রিয়া সাধারণত তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।

ডায়রিয়া সবচেয়ে বড় জটিলতা হলো পানি শূন্যতা। পানি শূন্যতা দেখা দিলে শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে শিশুর প্রস্রাব কমে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি শিশুর প্রাণহানিও হতে পারে। এইজন্য ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত নয় সে সম্পর্কে জেনে নিতে হবে পরিবারের সদস্যদের এবং সেই ভাবে শিশু যত্ন করতে হবে।
শিশুদের ডায়রিয়া হলে সেই সময় সকল খাবার দেওয়া উচিত নয় কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে এর মধ্যে প্রচুর আজ যুক্ত খাবার যেমন তুলনামূলক শক্ত ফল বা শাকসবজি হোল গ্রেইন সিরিয়াল। বেশি মসলা দেওয়া খাবার অতিরিক্ত চিনি দেওয়া খাবারও ডায়রিয়াকে বাড়িয়ে দিতে পারে।

এইজন্য ডায়রিয়া হলে শিশুদের এই সকল খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে। শিশুদের ডায়রিয়া হলে অতিরিক্ত কোন খাবারই খাওয়ানো যাবে না শিশুদের ডায়রিয়া হলে তরল ও অর্ধ তরল খাবার খাওয়াতে হবে এবং যে সকল খাবারের মধ্যে পটাশিয়াম রয়েছে সেই সকল খাবার খাওয়াতে হবে।

ডায়রিয়া হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত

ডায়রিয়া হওয়ার ফলে অনেকেই চিন্তার মধ্যে পড়ে যায় যে ডায়রিয়া হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত। ডায়রিয়া হলে আগে ওষুধ না খেয়ে বাসাতে ঘরোয়া চিকিৎসা করতে হবে এরপরে ওষুধ খেতে হবে যদি ডায়রিয়া ভালো না হয়। ডায়রিয়া মানে শরীরের পানি শূন্যতা যার কারণে আগে পানি শূন্যতা দূর করার জন্য বেশি বেশি পানীয় জাতীয় খাবার খেতে হবে।
নির্দিষ্ট কোন খাবার দিলে শিশুর ডায়রিয়া সেরে যাবে এমন কোন কথার ভিত্তি নেই যেমন এমন ধরনের প্রজনণা আছে যে ডায়রিয়া রোগী সাদা ভাত আর কাঁচা কলা ছাড়া আর কিছুই খেতে পারবে না। এই ধারণাটা সঠিক নয় পাতলা পায়খানা হলেও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে তৈরি সব খাবার পুষ্টিকর খাবারই খাওয়া উচিত।

তবে ডায়রিয়া হলে শিশুকে বাজার থেকে কেনা ফলের জুস কোমল পানীয় ইত্যাদি খাওয়ানো থেকে বিরত থাকবেন কারণ এসব খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া আরো খারাপ হয়ে যেতে পারে। ডায়রিয়ায় সাধারণত ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

তবে ডায়রিয়ার কারণে সৃষ্ট পানি শূন্যতা দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাড়িতে বসে ডায়রিয়ার চিকিৎসা করে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

খাবার স্যালাইন: সাধারণত প্রতিবার পাতলা পায়খানা হওয়ার পর শিশুকে বয়স অনুপাতে উপরের পরিমাণে খাবার স্যালাইন খাওয়ানোর উচিত। ঘরে খাবার স্যালাইন না থাকলেও ঘরোয়া উপায়ে খাবার স্যালাইন তৈরি করে নিতে পারেন।এছাড়া চিনার পানি, ভাতের মাড় কিংবা ডাবের পানিও দেওয়া যেতে পারে। ভাতের মারে সামান্য লবণ দিতে পারেন বমি ভাব হলে একটু একটু করে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।
প্যারাসিটামল: পেটে অস্বস্তি বোধ করলে প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। শিশুকে ওষুধ দেওয়ার আগে ওষুধের সাথে থাকা নির্দেশিকা ভালোভাবে পড়ে নিবেন। আর অবশ্যই বয়স অনুযায়ী সঠিক পরিমাণ ওষুধ খাওয়াবেন।
জিংক ট্যাবলেট: গবেষণায় দেখা গেছে জিন ট্যাবলেট ওষুধটি পাতলা পায়খানা হওয়ার সময় কাল এক চতুর্থ অংশ কমিয়ে আনতে পারে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুকে ১০ থেকে ১৪ দিনের জন্য ২০ মিলিগ্রাম করে জিঙ্ক ট্যাবলেট কিংবা সিরাপ খাওয়াতে পারবেন।

লোপেরামাইড জাতীয় ঔষধ: জরুরী প্রয়োজনে কয়েকঘন্টার জন্য পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে চাইলে ডাক্তার লোপেরামাইড জাতীয় ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিতে পারেন। তবে ওষুধটি কখনো ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না এতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।

শেষ কথা।শিশুর পাতলা পায়খানা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় ও শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয়

সম্মানিত পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা অনেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে শিশুদের ও বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানতে অনলাইনে সার্চ করে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য পেয়েছেন।আশা করি আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনি একটি তথ্যবহুল এবং উপকৃত শিশুর পাতলা পায়খানা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় ও শিশুদের ডায়রিয়া হলে করণীয় সম্পর্কে জেনে উপকৃত হয়েছেন।
শিশুদের পাতলা পায়খানা হলে আপনার নিকটস্থ ভালো কোন চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।এছাড়া তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করতে পারেন।আমাদের আজকের পোস্টটি পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url