রাসেল ভাইপার সাপের কামড় থেকে বাঁচার উপায় গুলো জানুন

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং আতঙ্কের নাম হল রাসেল ভাইপার।বাংলাদেশের পদ্মা চর অঞ্চল বর্তি সকল এলাকা গুলোই দেখা মিলছে রাসেল ভাইপার।বর্তমানে রাসেল ভাইপার সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করেছে তাই আপনি কি রাসেল ভাইপার সাপের কামড় থেকে বাঁচার উপায় এবং রাসেল ভাইপার কামড়ালে কি হয় এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য।
রাসেল-ভাইপার-সাপের-কামড়-থেকে-বাঁচার-উপায়
একই সাথে আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি রাসেল ভাইপার কি রাসেল ভাইপার সাপের বৈশিষ্ট্য রাসেল ভাইপার সাপ কোন দেশের এবং রাসেল ভাইপার কামড়ালে চিকিৎসা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন।তাই এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ে রাসেল ভাইপার সাপের কামড় থেকে বাঁচার উপায় ও রাসেল ভাইপার কামড়ালে কি হয় তা জেনে নিন
পোস্ট সূচিপত্রঃরাসেল ভাইপার সাপের কামড় থেকে বাঁচার উপায়।রাসেল ভাইপার কামড়ালে কি হয়

ভূমিকা।রাসেল ভাইপার সাপের কামড় থেকে বাঁচার উপায়।রাসেল ভাইপার কামড়ালে কি হয়

বর্তমানে বিশ্বের ভয়ংকর সাপগুলোর মধ্যে রাসেল ভাইপার ১ থেকে ৫ এর মধ্যে স্থান দখল করে নিয়েছে।যদিও বা এর আগে রাসেল ভাইপার সম্পর্কে মানুষের তেমন কোন ধারণা ছিল না।রাসেল ভাইপার আগে মরুভূমি ও ভারতের অঞ্চলগুলোতে দেখা যেত।কিন্তু বর্তমান সময়ে তা পাল্টে দিয়ে রাসেল ভাইপার বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
রাসেল ভাইপার সাপটি খুব সহজে ও দ্রুত সময়ের মধ্যে ছোবল মারতে পারে।এই সাপটি ডিম ধারণা করে সরাসরি বাচ্চা দেয় তবে বাচ্চার সংখ্যা ২০ থেকে ৫২ টি হয়ে থাকে।তাই এমন আতঙ্ক নামক সাপের হাত থেকে বাঁচার জন্য রাসেল ভাইপার সাপের কামড় থেকে বাঁচার উপায় রয়েছে যে সমস্ত উপায়গুলো সকলকে মেনে চলা উচিত।
তাই আপনারা যারা রাসেল ভাইয়ের নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল। আমাদের আজকের পর্ব থেকে আপনি রাসেল ভাইপার সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।তাই আতঙ্কের নাম রাসেল ভাইপার থেকে মুক্তি পেতে আমাদের পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন।

রাসেল ভাইপার কি

বর্তমান সময়ে এক আতঙ্কের নাম রাসেল ভাই রাসেল ভাইপার কি সেই সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী। রাসেল ভাইপার ( Daboia russelii) Viperidae পরিবারের অত্যন্ত বিষাক্ত স্থলজ সাপ। এটি ভারত থেকে তাইওয়ান ও জ্যভা পর্যন্ত পাওয়া যায়। এটি প্রায় কৃষি জমিতে বিদ্যমান যেখানে মানুষের সংস্পর্শ এবং ইঁদুরের উপদ্রব থাকে।
রাসেল ভাইপার সর্বাধিক (৫ফুট) বৃদ্ধি পায়। এটি পশ্চিমবঙ্গ জেলার বিশেষ করে নদীয়া, বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগানা সহ বেশ কয়েকটি জেলায় দেখা যায়। আগে শুধুমাত্র বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে দেখা গেল বর্তমানে তা পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলা ও চড় সমূহে বিস্তার লাভ করেছে। রাসেল ভাইপার সাপের দেহ মোটাসোটা লেজ ছোট সরু হয়ে থাকেন।

মাথা চ্যাপ্টা ত্রিকোনাকার। মাথার তুলনায় ঘাড় অনেকটা সরু শরীরের রং বাদামী হলদে বাদামি অর্থাৎ কাঠ রঙের হাওয়ায় শুকনো পাতার মধ্যে এই চাপ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারে। সাপটিজিব্বার রং বাদামী ও কালো। এদের বিষ দাঁতের দৈর্ঘ্য ১৫/১৬ মিমি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

রাসেল ভাইপার সাপের কামড় থেকে বাঁচার উপায়

বর্তমান সময়ের আতঙ্কের নাম রাসেল ভাই রাসেল ভাইপার বর্তমানে খুব বেশি পরিমাণে দেখা দিচ্ছে যার ফলে মানুষ কিন্তু এই সাপ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে। সাতটি মেটে রঙের হাওয়ায় মাটির সঙ্গে সহজে মিশে যেতে পারে মানুষ খেয়াল না করে সাপের খুব কাছাকাছি গেলে সাপটি বিপদ দেখে ভয়ে আক্রমণ করে।
এই সাতটি সাধারণত নিচু ভূমির ঘাস, বন, ঝোপ জঙ্গল, উন্মুক্তগণ কৃষি এলাকায় বাস করে এবং মানুষের বসতি এড়িয়ে চলে। চলুন জেনে আসি সাপের কামড় এড়াতে ও রাসেল ভাইপার সাপের কামড় থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে।যে সবে এলাকায় রাসেল ভাইপার দেখা গিয়েছে সেসব এলাকায় চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
লম্বা ঘাস, ঝোপঝাড়, কৃষি এলাকা হাঁটার সময় সতর্ক থাকতে হবে।
  • গর্তের মধ্যে হাত পা ঢুকাবেন না
  • সংশ্লিষ্ট এলাকায় কাজ করার সময় বুট ও লম্বা প্যান্ট পড়ুন।
  • বাড়ির চারপাশ পরিস্কার ও আবর্জনা মুক্ত রাখুন।
  • রাতে চলাচলের সময় অবশ্যই টর্চ লাইট ব্যবহার করুন।
  • পতিত গাছ জ্বালানি লকড়ি ঘর সরানোর সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন।
  • সাপ দেখলে তা ধরা বা মারার চেষ্টা করবেন না।
  • প্রয়োজনে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ নম্বরে কল করুন এবং নিকটস্থ বনবিভাগের অফিসে অবহিত করুন।

রাসেল ভাইপার কামড়ালে কি হয়

রাসেল ভাইপারের উপদ্রব বর্তমানে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে রাসেল ভাইপার কামড়ালে কি হয় সেই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন আসলে রাসেল ভাইপার সাপটি অত্যন্ত বিষধর সাপ যার ফলে এই সাপ কামড়ালে কিন্তু যদি অ্যান্টি ভেনোম না দেওয়া হয় তাহলে ১০০ মিনিটের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে।
দেশের বেশ কিছু অঞ্চলের রাসেল ভাই পাশে আপনি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে তবে উদ্বিগ্ন না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশবান ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। রাসেল ভাইপার ২০-২৫ এ ধোকবা এনটিভির নাম কাচের সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে পাওয়া যায় জানিয়ে সাধারণকে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। রাসেল ভাইপার কামড়ালে যা হয়।
  • দংশিত অঙ্গ নাড়াচাড়া করা যাবে না পায়ে দংশনে বসে যেতে পারে হাঁটা যাবে না হাতে দংশন হাত নাড়াচাড়া করা যাবে না। কারণ হাত-পায়ে নাড়াচাড়া মাংস পেশীয় সংকোচনের ফলে বিষ দ্রুত রক্তের মাধ্যমে ছরিয়ে বিষক্রিয়া হতে পারে।
  • আক্রান্ত স্থানে সাবান দিয়ে আলতোভাবে ধুতে হবে অথবা ভেজা কাপড় দিয়ে আলতোভাবে মুছতে হবে।
  • দংশিতিস্থানে কাটবেন না সুই ফোটাবেন না কিংবা কোন রকম প্রলেপ লাগাবেন না বা অন্য কিছু প্রয়োগ করা উচিত নয়।
  • সাপে কাটলে ওঝার কাছে গিয়ে অযথা সময় নষ্ট করবেন না।
  • ঘড়ি বা অলংকার বা তাবিজ জুতা গায়ে ইত্যাদি থাকলে খুলে ফেলুন।
  • যত দ্রুত সম্ভব গাছের হাসপাতালে বা স্বাস্থ্যশীল বা কেন্দ্রে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে হবে।।
  • এক সময়ে বিলুপ্ত প্রায় রাসেল ভাইপার ক্রমে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বরেন্দ্র এলাকা ছেড়ে সাপটির দেখা মিলছে বরিশাল, পটুয়াখালী, চাঁদপুর এমনকি ঢাকার আশেপাশেও।

রাসেল ভাইপার সাপের বৈশিষ্ট্য

রাসেল ভাইপার সাপের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব আজকের আমাদের আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারবেন রাসেল ভাইপার সাপের বৈশিষ্ট্য গুলো। চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া ( বৈজ্ঞানিক নাম : Daboia russelii) ভাইপরিডি পরিবারভুক্ত ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম বিষধর সাপ এবং উপমহাদেশের প্রধান চারটি বিষধর সাপের মধ্যে একটি।
চন্দ্রবোড়া ১৭৯৭ চালের জর্জ শ এবং ফ্রেডেরিক পলিডোর নোডার কর্তৃক বর্নিত হয়। প্যাট্রিক রাসেল ১৭৯৬ সালে তার অ্যান অ্যাকাউন্ট অফ ইন্ডিয়ান সারপেন্টস, কালেক্টেড অন দা কোস্ট অফ করোমান্ডেল বইয়ের চন্দ্রবোড়া সম্পর্কে লিখেছিলেন ও তার নাম অনুসারে এটি রাসেল ভাইপার নামে পরিচিত।

চন্দ্রবোড়া দেহ মোটাসোটা লেজ ছোট ও স্বরূপ প্রাপ্তবয়স্ক সাপের দেহের দৈর্ঘ্য সাধারণত 1 মিটার দেহের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১.৮ মিটার পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে। এর মাথা চ্যাপ্টা, ত্রিভুজাকার এবং হাড় থেকে আলাদা। থুতনি ভোঁতা গোলাকার এবং উল্থিত।

নাসারন্ধ্র বড়ো, যার প্রতিটি একটি বড় ও একক ও অনন্যাশিক স্কেলের মাঝখানে অবস্থিত। রাসেল ভাইপার সাপ বর্তমান সময়ে বেশি দেখা দিচ্ছে তবে একসময় এটি বিলীন হয়ে গেছিল বলে জানা যায়।

রাসেল ভাইপার সাপ কোন দেশের

রাসেল ভাইপার সাপ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও নেপালে দেখা যায়। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় বিশেষ করে নদীয়া, বর্ধমান, উত্তর চব্বিশ পরগনা ও বাঁকুড়া জেলার গ্রাম অঞ্চলে ভয়ের অন্যতম কারণ। আগে শুধুমাত্র বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে এইসব দেখা যেত যে কারণে এটি বরেন্দ্র অঞ্চলে সাপ বলে পরিচিত ছিল।

বর্তমানে পদ্মা অববাহিকা ধরে দক্ষিণ অঞ্চলের অনেক জেলায় চন্দ্রবোড়া বা রাসেল ভাইপার বিস্তৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজশাহী, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ, চাঁদপুর, হাতিয়া, ভোলাতে চন্দ্রবোড়া বা রাসেল ভাইপারের উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে।
পৃথিবীতে প্রতি বছর যত মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায় তার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ এই সাপের কারণে মারা যায় রাসেল ভাইপার অত্যন্ত বিষধর সাপ তবে মানুষ তেড়ে এসে কামড়ায় এই কথাটি গুজব মাত্র এটি সাধারণত মানুষকে কামড়ায় না মানুষ যতক্ষণ না তাকে আক্রমণ করে।

এরা মূলত ambush predator তাই এক জায়গায় চুপ করে পড়ে থাকে মানুষ বা বড় কোন প্রাণী সামনে আসলে S আকৃতির কুন্ডলী পাকিয়ে খুব জোরে জোরে হিসি শব্দ করে। তারপরও তাকে বিরক্ত করা হলে। তবে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছোবল মারতে পারে ছোবল দেওয়ার সময় শরীরের সামনের দিকে ছুড়ে দেয় বলে ওই তেড়ে এসে কামড়ায় বলা হয়। সাপ সাধারণত ডিম পারে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয় তাই রাসেল ভাইপার সাপ ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি বাচ্চা দেয়।

রাসেল ভাইপার কামড়ালে চিকিৎসা

রাসেল ভাইপো আর সাপটি অত্যন্ত বিষাক্ত ও বিষধর হওয়ার কারণে এইসব কামড়ের ফলে বেশিরভাগ রুগী দিয়ে পূর্বে মৃত্যু হয়ে যায়। রাসেল ভাইপার দ্বারা প্রদত্ত বিষ খেয়ে কার্যকর ভাবে নিরপেক্ষ করার জন্য অ্যান্টিভেনম যথেষ্ট। রাসেল ভাইপার ভেনোম (RVV) ফ্যাক্টর এক্সকে সক্রিয় করে যা ফ্যাক্টর V, প্রোথোম্বিন, ফসফোলিপিড এবং ক্যালসিয়াম আয়নের উপস্থিতিতে ফাইব্রিন ক্লট সৃষ্টি করে।

যেকোনো সাপে কাটলে ওঝার কাছে যাওয়া যাবে না। কারণ ওঝারা বিষ নামাতে পারেন না আবারও বলছি ওঝারা বিষ নামাতে পারবে না। রাসেল ভাইপার শতকরা ৯৯ ভাগ কামড়ালে এরা বিষ প্রয়োগ করে। তাই কবিরাজ এর কাছে না গিয়ে ১০০ মিনিটের মধ্যে এন্টি ভেনোম দিতে হবে সাপ কামড়ানোর পরবর্তী ১০০ মিনিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই সময়ের মধ্যে অ্যান্টি ভেনোম পুশ করলে বেঁচে যাওয়া সম্ভাবনা ৯৯%। রাসেল ভাইপার বিষের আক্রান্ত ব্যক্তির কামড় খাওয়ার হাত বা পা ফুলে ওঠে তাই হাত পায়ে আংটি বালা বা ব্যাস জাতীয় কিছু থাকলে সাথে সাথে খুলে দিতে হবে। না হলে পোলা হাত থেকে আংটি চুরি ব্যাসলেট খোলা সম্ভব হবে না।

রাসেল ভাইপার সহ ভাইপার জাতীয় সাপ হেমোটক্সিন বিষধারি যার রক্তের উপর প্রভাব ফেলে রক্ত জমাট বাঁধতে না পেরে অনবরত ক্ষরিত হয়। তাই এই জাতীয় সাপে ছোবলে একদমই বাধন দেওয়া যাবেনা না হলে পচন ধরা আরও সহজ হয়ে যাবে।

রাসেল ভাইপার সাপের ছবি

আপনারা অনেকের রাসেল ভাইপার সাপ চেনেন না যার কারণে অনেকে বুঝতে পারেন না রাসেল ভাইপার সাপের ছবি সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন আজকে আপনাদেরকে রাসেল ভাইপার সাপের ছবি নিচে দেওয়া হল জেনে নিন এবং দেখে নিন রাসেল ভাইপার সাপের ছবি।
রাসেল-ভাইপার-সাপের-কামড়-থেকে-বাঁচার-উপায়

রাসেল ভাইপার সাপের বাচ্চা

বেশিরভাগ রাসেল ভাইপার সাপের বাচ্চা হয় যার ফলে কিন্তু এইসব দ্রুতই বৃদ্ধি পাচ্ছে সাপের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে মানুষের মনে আতঙ্ক বেশি হচ্ছে। রাসেল ভাই পারে বাচ্চা দেয় গর্ভধারণ শেষে স্ত্রীর রাসেল ভাইপার সাধারণত ২০ থেকে ৪০ টি বাচ্চা দেয় তবে ৮০ পর্যন্ত বাচ্চা দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে। এদিকে উচ্চ প্রজনন ক্ষমতা অন্যদিকে বেজি,গুইসাপসহ প্রকৃত থেকে সাপের শত্রু বিলিন হয়ে যাওয়া।

অন্যদিকে ইঁদুর ব্যাঙ রাসেল ভাইপার এর প্রিয় খাবার যা ফসলের খেতে থাকে ফলে ওই সব জায়গায় সাপের পর্যাপ্ত খাবারের উপস্থিতি থাকায় বাড়ছে রাসেল ভাইপার সাপের আক্রমণ সেই সকল জায়গায়। এই অবস্থায় পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়া মাঠে কাজ করার কারণে এবং সাপে কাটার পর গ্রামে এখনো ঝাড়ফুঁকের মতো কুসংস্কার থাকায় বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
এক সময় বিলুপ্ত ঘোষণা করা প্রাণীটি উত্তরবঙ্গের বরেন্দ্র অঞ্চলের বাসিন্দা ছিল। তবে এখন পদ্মা অববাহিকা ধরে ছড়িয়ে গেছে দেশে ২৬ থেকে ২৭ টি জেলায় এবং সংখ্যাটা বেড়েই চলছে। বর্তমানে রাসেল ভাইপার নিয়ে প্রচুর আতঙ্কে রয়েছে মানুষ। সাপ সাধারণত ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয় তবে রাসেল ভাইপার সাপ ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি বাচ্চা দেয়।

ফলে সাপের বাচ্চাদের বেঁচে থাকা সম্ভবনা বেশি থাকে। এরা বছরে যে কোন সময় প্রজনন করে। তবে মে থেকে পরের তিন মাস প্রজনন সবচেয়ে বেশি ঘটে। একটি স্ত্রী সাপ গর্ভধারণ শেষে ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চাদের তবে কোন কোন রাসেল ভাইপার সাপের ৮০টি পর্যন্ত বাচ্চা হওয়ার রেকর্ড রয়েছে।

শেষ কথা।রাসেল ভাইপার সাপের কামড় থেকে বাঁচার উপায়।রাসেল ভাইয়ের সাপ কামড়ালে কি হয়

প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই বর্তমান সময়ে আতঙ্কের নাম রাসেল ভাইপার সাপ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেল থেকে সম্পূর্ণ করে ইতিমধ্যে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন রাসেল ভাইপার সাপের কামড় থেকে বাঁচার উপায় এবং রাসেল ভাইয়ের সাপ কামড়ালে কি হয় বিষয় সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।
আশা করি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকৃত মনে হয়েছে যদি এমনটি মনে হয় তবে আসতে আর্টিকেল আপনার পরিচিত জনদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।এছাড়া যে কোন ধরনের আব্বে আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে সঙ্গে থাকুন।আজকের পর্ব এ পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url