প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জানুন
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া
উচিত এই বিষয়ে কোন ধারনা না থাকে তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।আপনি
যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস
খাওয়া উচিত এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য এই বিষয়গুলো
গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা অনেকেই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন কতটুকু
কিসমিস খাওয়া উচিত এবং কিসমিস ভেজে খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে
সঠিকভাবে জানি না।স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিসমিস
খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম।প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস
খাওয়া উচিত
উপস্থাপনা।প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম।
কিসমিস একটি স্বাস্থ্যগুণ সম্পন্ন খাবার ডিসমিসের পুষ্টিগুণ আরো ভালোভাবে পাওয়া
যায় যদি কিসমিস রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালবেলায় খালি পেটে সেই পানি পান করা যায়।
রাতভর পানিতে ভিজিয়ে রাখলে কিসমিসে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সহজে দ্রবনীয়
হয়ে যায়। ফলে সেই পানি পান করলে কিসমিসের গুনাগুন আমাদের শরীল আরো সহজে নিতে বা
শোষণ করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের আপেল খাওয়ার নিয়ম
তাই আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও প্রতিদিন
কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত এ বিষয় সম্পর্কে আপনার অজনা থাকলে এমন গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কেননা এই আর্টিকেলে কিসমিস খেলে কি ফর্সা হয়,কিসমিস খেলে কি মোটা হয়,কিসমিস
খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা, কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা এর পুষ্টিগুন এবং
প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয় সে সম্পর্কে নিচের অনুচ্ছেদ থেকে বিস্তারিত জেনে
নিই।
কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
রান্নায় কিসমিস ডিলিট খাবারের স্বাদ আরো বেশি বৃদ্ধি পায় এছাড়াও কিসমিস খাওয়া
কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করে জানাবো। চলুন জেনে আসি কিসমিস ভিজিয়ে
খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত
হজম শক্তি বাড়ায় : ভেজানো কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে হজম শক্তি
ঠিক রাখতে ফাইবার দারুন সাহায্য করে। হজম ঠিকঠাক হলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা অনেকটা
কমে যায়।
হৃদরোগের জন্য উপকারী: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভেজানো কিসমিসের
জুড়ি নেই। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে। এছাড়া কিসমিসে রয়েছে
পটাশিয়াম এর মত খনিজ যা হৃৎপিন্ডের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
আয়রন সমৃদ্ধ: আয়রনের খুব ভালো উচু হলো কিসমিস বিশেষ করে ভেজানো কিসমিসে
প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে তাই আইরনের অভাবজনিত রোগ অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা
কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে কিসমিস।
হাড়ের পুষ্টি যোগায়: ক্যালসিয়ামের খুব ভালো উৎস এই কারণে হাড়ের যত্ন
নিতে কিসমিসের উপর বিশ্বাস রাখতে পারেন কিসমিস খেলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ
হবে।
আরো পড়ুনঃ খাটি সরিষার তেল চেনার ১০টি উপায়
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ : ভেজানো কিসমিস মধ্যে রয়েছেন অ্যান্টি অক্সিডেন্ট
এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতিকারক
প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করেন।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিসমিস ভালো বিকল্প হতে পারে।
কিসমিসে রয়েছে ফাইবার যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফলে বারবার
খাওয়া আর খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায় ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ত্বকের পুষ্টি যোগায়: কৃষ্ণকে থাকা ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট টকের
জন্য উপকারী। এইসব উপাদান ত্বককে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে
রক্ষা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়
কিসমিস এর পুষ্টিগুন
শুধুমাত্র রান্নার কাজে নয় এটি আমাদের স্বার্থের জন্য অনেক উপকারী যার কারণে
আপনারা শরীর সুস্থ রাখার জন্য কিছু মিস খেতে পারেন। কিসমিসের মধ্যে প্রচুর
পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। দাঁতের শরীলের অন্যতম
গুরুত্বপূর্ণ অংশ খাবার খেতে সাহায্য করার পাশাপাশি মুখের গড়ন এমনকি কথা বলায়
সহায়তা করে দাঁত।
আরো পড়ুনঃ লাল শাকে কি এলার্জি আছে
এই দাঁতের যত্নে কিসমিসের ভূমিকা অতুলনীয়। আঙ্গুরের শুকনা রুপ কিসমিস। গবেষণায়
বলছে, সোনালী বাদামী রঙের চুপচানো ভাজ হওয়া ফলটির খুবই শক্তিদায়ক।এতে রয়েছে
ভিটামিন বি৬, আইরন পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম মিষ্টি খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার
করা হয় কিসমিস। পুষ্টিবিদরা বলছেন এতে থাকা বোরন কাজ করে শিশুর মস্তিষ্কের
কার্যকারিতা বাড়াতে ।
এক আউশ বা ১৮ গ্রাম সোনালী কিসমিস মধ্যে রয়েছে ১০৬ ক্যালরি। এছাড়া রয়েছে ২২
গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, এক গ্রাম প্রোটিন, ২ গ্রাম আঁশ ও ২১ গ্রাম চিনি। এতে আরো
রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, কপার ও
পটাশিয়াম এর মত পুষ্টি উপাদান।
প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে অনেকে হয়তো জানেনা প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস
খাওয়া উচিত এই সম্পর্কে আপনাদের অবশ্যই সঠিক ধারণা রাখতে হবে কারণ কিসমিস খাওয়া
উপকারী মানে এই নয় যে কিসমিস অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে বেশি উপকার হবে এতে আরো ক্ষতি
হতে পারে।
সুস্বাস্থ্যের জন্য কিসমিস একটি অত্যন্ত উপকারী খাবার এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার
ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য। তবে প্রতিদিন
কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত তা নির্ভর করে আপনার বয়স স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং
ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ উপর।
আরো পড়ুনঃ দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত
সাধারণত প্রতিদিন ১/৪ কাপ (৪০/৫০টি) ৪০ গ্রাম কিসমিস খাবার স্বাস্থ্যকর বলে মনে
করা হয় এটি আপনাকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করবে এবং আপনার ক্যালরি গ্রহণের
পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
এই পরিমাণ কিসমিসে থাকে :
- ক্যালোরি :১২০
- ফাইবার: ৩ গ্রাম
- পটাশিয়াম : ২৩৫ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি৬: ০.১ মিলিগ্রাম
- ম্যাঙ্গানিজ: ০.৩ মিলিগ্রাম
- আয়রন :১.৩ মিলিগ্রাম
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খেতে হবে একটি সুস্থ
মানুষের জন্য তা বলা হয়েছে।
প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়
প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয় এই সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন কিছু অত্যন্ত পুষ্টিকর
খাবার তবে শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্ট্রল দূর করে কিসমিস মিশে রয়েছে নানা ধরনের
ভিটামিন ও মিনারেল কিসমিস না খেয়ে শুধু কিসমিসের পানি খেলেও কিন্তু ভিটামিন ও
মিনারেল শরীরে প্রবেশ করবে।
আরো পড়ুনঃ শুটকি মাছে কি এলার্জি আছে
কিসমিসে রয়েছে ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয়
পুষ্টির উৎস। যা আপনার শক্তি বৃদ্ধি করে এবং আপনার চুলও ত্বককে সুস্থ উজ্জ্বল
রাখে।নিয়মিত কিসমিস খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয় কারণ কিসমিসের মধ্যে রয়েছে আয়রন
যার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিসমিস খেতে পারেন এর মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম জাহাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে।
- নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় তাই নিয়মিত রাতে কিসমিস ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই কিসমিস খেতে পারেন।
- আপনার যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে প্রতিদিন কিডনিস খেতে পারেন এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- শরীরকে দূষণমুক্ত করতে কিছু মিস খেতে পারেন কারণ সকালে খালি পেটে ভেজানো কিছু খেলে শরীর বিষমুক্ত হয়।
- নিয়মিত কিসমিস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এছাড়া পেটের সমস্যা দূর হবে প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার ফলে।
সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম
কিসমিস একটি স্বাস্থ্যগুণ সম্পন্ন খাবার ডিসমিসের পুষ্টিগুণ আরো ভালোভাবে পাওয়া
যায় যদি কিসমিস রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালবেলায় খালি পেটে সেই পানি পান করা যায়।
রাতভর পানিতে ভিজিয়ে রাখলে কিসমিসে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সহজে দ্রবনীয়
হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ লাউ খেলে কি ওজন কমে
ফলে সেই পানি পান করলে কিসমিসের গুনাগুন আমাদের শরীল আরো সহজে নিতে বা শোষণ করতে
পারে। তাই সকাল বেলায় খালি পেটে ভেজানো কিসমিস সহ পানি পান করলে পাবেন নানা
রকমের উপকার।
সপ্তাহে অন্তত চার দিন কিসমিস ভেজানো পানি পান করলে তা পেট পরিষ্কার করতে আপনার
সাহায্য করবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রক্ষা পাবেন। যারা প্রায় পাশাপাশি কিছু নিচ
থেকে পাবেন ভরপুর এনার্জি যা সারাদিন আপনার শরীরকে রাখবে প্রাণবন্ত।
- কিসমিস শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে পাশাপাশি রক্তের লালকনিকার পরিমাণ বাড়ায়।
- শুকনো কি তুমি খাওয়ার পরিবর্তে ভিজিয়ে খেলে বেশি উপকার পাবেন ভেজানো কিসমিসে পানি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
- প্রতিদিন কিসমিস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যে এসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন অসিত ছাড়া পাশাপাশি হজম হতে সাহায্য করে।
- কোলেস্টোরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে কিসমিস।
- কিসমিস হৃদক্রিয়া ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- কিসমিসে প্রচুর ভিটামিনের খনিজ রয়েছে।
- কিসমিসে রয়েছে প্রাকৃতিক এন্টিঅক্সিডেন্ট যা সহজে রোগ মুক্ত করে।
কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
আমরা সকলে কিসমিস সম্পর্কে জানি কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম কি আপনারা কি জানেন
পিছনের যদি সঠিক নিয়মে খান তাহলে কিন্তু আপনার শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকার হবে।
কিসমিসের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক
উপকার করবে কিসমিস খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হল সকালবেলা।
আরো পড়ুনঃ পুইশাক খেলে কি এলার্জি হয়
রাতের বেলা কিসমিস ভেজিয়ে রাখতে হবে এবং সকালবেলায় সেই ভেজানো পানি সহ কিসমিস
খেতে হবে তাহলে আপনি অনেক উপকার পাবেন।ভিজিয়ে রাখা কিসমিসের মধ্যে আয়রন,
পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার পাবেন। নিয়মিত এভাবে কিসমিস
খাওয়ার অভ্যাস করলে আপনার সমস্যার সমাধান দ্রুত পাবেন।
উপকারিতা :
- কিসমিস ব্লাড পেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- কিসমিস হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- রক্তের স্বল্পতা কমাতে কিসমিস খুবই উপকারী এতে রক্তের লাল কণিকা তৈরি হয়।
- কিসমিস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান হয়।
- কিসমিস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রোগের সাথে লড়াই করে শরীর সুস্থ রাখে।
- আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, হার্টের সুস্থতা রাখতে, ক্যান্সার প্রতিরোধে ও ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে কিসমিস।
কিসমিস খেলে কি মোটা হয়
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন কিসমিস খেলে কি মোটা হয় সে সম্পর্কে যারা কিসমিস
সম্পর্কে জানেন তারা হয়তো জানেন ডিসমিসের মধ্যে প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে
কিসমিস খেলে ওজন বাড়তে সহায়তা করতে পারে তবে কত পরিমান কিসমিস খেলে আপনার ওজন
বাড়বে এটা ব্যক্তিত্ব ও বয়স, স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করবে।
কিসমিস হলো খাবারের একটি উপাদান এবং সম্পূর্ণরূপে ওজন বাড়াতে এটি কেবলমাত্র
খাওয়ালে সম্ভব সামান্য প্রভাব বিষয়টি হবে। সাধারণত দৈনন্দিন খাদ্যে একটি অংশ
হিসেবে কিসমিস খেলে কোন বিশেষ ওজন বাড়ার লক্ষণ দেখা যায় না কিসমিস একটি উচ্চ
কার্যক্রম খাবার হওয়ার পরিবর্তে আপনি পুরোপুরি ওজন বাড়াতে কিসমিসের মধ্যে উচ্চ
পরিমাণে কার্য।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা
দৈনিক ২০ থেকে ৩০ গ্রাম ৩০ মিনিট খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী এই পরিমাণ
৮০ থেকে ৯০ ক্যালরি এনার্জি রয়েছে যা আপনাকে সক্রিয় রাখতে সহযোগিতা করে।
কিসমিসে ক্যালরির ভালো উঁচু তাই এগুলো আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।
যাই হোক ওজন বাড়ার জন্য আপনাকে যে পরিমাণ কিসমিস খেতে হবে তা আপনার ব্যক্তিগত
চাহিদা এবং লক্ষ্যের উপর নির্ভর করবে।কিসমিস দিয়ে তৈরি খাবার খেতে পারেন নতুন
বৃদ্ধি করার জন্য এর পাশাপাশি অন্যান্য কর খাবার খেতে হবে ওজন বৃদ্ধি করতে হলে।
কিসমিস খেলে কি ফর্সা হয়
কিসমিস আমাদের শরীরের অনেক উপকারে আসে কিসমিস খেলে কি ফর্সা হয় এই সম্পর্কে
অনেকে জানতে চেয়েছেন কিসমিসের মধ্যে থাকা উপাদান আমাদের ত্বকের জন্য অনেক
উপকারী। এমন উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের এসিড উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য
করে।
কিসমিস এসিডিটি সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এটি প্রোটিন সমৃদ্ধ যা আপনার ইমু নাকি
সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এ কারণে কিসমিস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী হিসেবে
পরিচিত। উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের প্রতিদিন কিসমিস ভেজানো পানি খাওয়া
উচিত এতে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
যারা প্রতিদিন এই পানি পান করে তাদের ত্বক উজ্জ্বল হয় কিসমিসে ভিটামিন সি এবং
আয়রন সমৃদ্ধ থাকায় চুলো ত্বকের উন্নতি ঘটায়। সুস্থ ত্বকের জন্য প্রতিদিন খালি
পেটে এই পানি পান করুন এবং চুল পড়ার রোধ করুন।
সকালে কিসমিক বের করে এক পাশে রাখুন এবং পানি সামান্য গরম করুন কিছুক্ষণ পর পান
করুন প্রতিদিন খালি পেটে এই পানি পান করলে খাবারের তিরিশ মিনিট আগে পান করুন
তাহলে শরীরের অনেক রোগ দূর হবে। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং তৎপরসা ও সুন্দর
করতে হলে নিয়মিত কিসমিস ভেজানো পানি পান করতে হবে।
শেষ কথা।প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস
খাওয়া উচিত এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে যেহেতু আমরা
নিয়মিত আপেল খেয়ে থাকি তাই আমাদের অবশ্যই এ বিষয়গুলো জেনে রাখা উচিত।নিয়ম
অনুযায়ী কিসমিস খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত কিসমিস খেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা
দেখা দিতে পারে।যেকোনো প্রকার ফল নিয়ম অনুযায়ী খাওয়া উচিত অতিরিক্ত কোন কিছু
ভালো নয়।
আরো পড়ুনঃ হাঁসের ডিম খেলে কি প্রেসার বাড়ে
আশা করি আমাদের এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে আপনারা বাচ্চাদের আপেল
খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার
কাছে কতটা উপকারী বলে মনে হচ্ছে তা আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন।এছাড়া এ
ধরনের স্বাস্থ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে হলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে
থাকুন।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url