খাটি সরিষার তেল চেনার ১০টি উপায় ও সরিষার তেল খাওয়ার নিয়ম জানুন
আজ আমি এই আর্টিকেলে খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায় ও সরিষার তেল খাওয়ার নিয়ম এ
বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।আপনি যদি খাঁটি
সরিষার তেল চেনার উপায় ও সরিষার তেল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে না
জানেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।তাই খাঁটি সরিষার তেল চিনতে
আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কেননা আজকের আর্টিকেলের মধ্যে সরিষার তেল খেলে কি ওজন বাড়ে, প্রতিদিন সরিষার তেল
খেলে কি হয়, সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।তাই চলুন
আর সময় নষ্ট না করে খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায় ও সরিষার তেল খাওয়ার নিয়ম
সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্যগুলো জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায়।সরিষার তেল খাওয়ার নিয়ম
ভূমিকা।খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায়।সরিষার তেল খাওয়ার নিয়ম
সরিষার তেল সেই প্রাচীন আমল থেকে মানুষ ঘ্রাণের মাধ্যমে প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদন
করে সরিষার তেল রান্না সহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়।একটা সময় মানুষ সরিষার
তেলের উপর নির্ভরশীল ছিল কেননা সরিষার তেল আমাদের শরীরের ত্বকের জন্য ও বিভিন্ন
রোগবালাই এর জন্য অনেক উপকারে আসে।
একাধিক গবেষণায় একটা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে নিয়মিত সরিষা তেল খেলে হার্টের কোন
ক্ষতি হয় না বরং হৃদপিন্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ে।তবে এর জন্য আপনাকে খাঁটি সরিষার
তেল ব্যবহার করতে হবে।বর্তমান সময়ে চারিপাশে ভালো পণ্যের তুলনায় দুই নাম্বার
পণ্য বেশি ব্যবহার হচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন কতটুকু দুধ খাওয়া উচিত
তাই এর জন্য আপনাকে খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায় ও সরিষা তেল খাওয়ার নিয়ম
সম্পর্কে জানতে হবে।ভেজালমুক্ত সরিষার তেল খেতে পারবেন।কিন্তু অনেকেই আমরা খাঁটি সরিষার
তেল না চিনার কারণে ভেজালযুক্ত সরিষার তেল খেয়ে থাকি যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য
ক্ষতিকর।
তাই আমাদের আজকের আলোচনা থেকে সরিষার তেলের ক্ষতিকর দিক, চুলের জন্য সরিষার তেলের
উপকারিতা, তাকে সরিষার তেলের উপকারিতা এবং খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায় গুলো
সুন্দরভাবে আজকের আলোচনা থেকে জানবো।
সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা
সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব
প্রাচীনকাল থেকে ওষুধি গুনাগুনের জন্য সরিষার তেল আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহৃত
হয়ে আসছে। সবার পছন্দের সরিষার তেল যেমন প্রয়োজনীয় তেমন উপকারী শরীর এবং
ত্বকের উপকারে নানাভাবে কাজ করে সুবাসিত এই সরিষার তেল। চলুন জেনে আসি সরিষার
তেলের উপকারিতা :
হার্ট অ্যাটাক হ্রাস: একাধিক গবেষণায় একটা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে নিয়মিত
সরিষা তেল খেলে হার্টের কোন ক্ষতি হয় না বরং হৃদপিন্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ে। সেই
সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক আশঙ্কা ও হ্রাস পায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, সরিষার তেলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা খারাপ কোলেস্টেরলের
মাত্রা কমানোর মাধ্যমে হার্টের রোগ সংক্রান্ত সম্ভবনা দূর করতে পারে। সেই সঙ্গে
শরীরের প্রতিটি কন্যায় যাতে ঠিকমতো রক্ত পৌঁছায় যেতে পারে সেটাও খেয়াল রাখে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে: গবেষণা করে জানা গিয়েছে যে সরিষার তেল উপস্থিত
লাইনোলেনিক এসিড আমাদের শরীরে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে
যায় ফলে ক্যান্সারের মত মরণব্যাধির ধারে কাছেও ঘেষতে পারে না।বিশেষ করে স্টমাক
এবং কোলন ক্যান্সারকে দূরে রাখতে এই সরিষার তেলের বিকল্প নেই।
স্মৃতিশক্তি বাড়াই: স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে
মনোযোগ বৃদ্ধি এবং সার্বিকভাবে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতার উন্নতিতে সাহায্য করে।
শরীরের প্রদাহ কামায়: সরিষার তেলে উপস্থিত আন্টি উপাদান যেকোনো ধরনের
প্রদাহ কমাতে বিশেষ করে ভূমিকা পালন করে বিশেষ করে মাথার যন্ত্রণায় এবং তলপেট
অস্বস্তি কমাতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি ভালই কাজে আসে। জ্বর ঠান্ডা কাশিতে আরাম
পেতে হালকা গরম সরিষার তেলে কালোজিরা মিশিয়ে বুকে পিঠে মাখন উপকার পাবেন।
ত্বকের যত্নে: অল্প সরিষার তেল হাতের তালুতে ঘষে মুখে লাগিয়ে নীল সূর্যের
ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট রশি থেকে ত্বককে রক্ষা করবে। সরিষার তেল এন্ট্রি
ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি ফাঙ্গাস উপাদানে ভরপুর অ্যালার্জির প্রতিরোধ করে।ত্বকের
শুষ্ক তাও চুলকানি রুগতেও সরিষার তেল কার্যকরী।
মাইগ্রেনের কষ্ট কমায়: মাইগ্রেনের কষ্ট কমাতে ম্যাগনেসিয়াম দারুন কাজে
আছে আর যেমনটাই ইতিমধ্যে আপনারা জেনে গেছেন যে সরিষার তেলে এই খনিজ বিপুল পরিমাণে
রয়েছে তাই এমন তেলের রান্না করা খাবার খেলে মাইগ্রেনের কষ্ট একেবারে কমে যায়।
হাড়ের ব্যথা থেকে মুক্তি: শরিলে হাড়ের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার
করতে পারেন শরীরে সরিষা তেল। সরিষার তেল আর আদা এই দুইটা এমন একটি উপাদান থাকে যা
প্রদাহ জনিত উৎসেচকের ক্রিয়ার গতি কমিয়ে দেয়। ফলে ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায়
জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সরিষার তেলে পরিমাণ মতো কর্পূর মিশাতে হবে।
ওজন কমায়: সরিষার তেল ওমেগা-৩, ওমেগা-৬, ফ্যাটি এসিড এবং স্বাস্থ্যকর
চর্বি গুলোর একটি দুর্দান্ত উৎস। স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি এসিডে কেবল খাবারের স্বাদী
উন্নত করে না রক্তে চর্বির মাত্রা হ্রূাস করে।
সরিষার তেলের অপকারিতা
অপকারিতা : সরিষার তেলের কিছু অপকারিতা রয়েছে ইউরিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি
করে সরিষার তেল কারণ সরিষার তেলে প্রচুর পরিমাণে এরিউসিক অ্যাসিড থাকে যা ইউরিক
এসিডের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।ইউরিক এসিডের উচ্চমাত্রায় গাউট এবং কিডনিতে
পাথরের মত সমস্যার কারণ হতে পারে।
আর ইউসিক অ্যাসিডের ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়তে পারে যা হাটের রোগে ঝুঁকি
পাড়ায়।কিছু গবেষণায় দেখা গেছে সরিষার তেল ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুৃকি বাড়াতে
পারে। এছাড়া সরিষার তেল ত্বকের জন্য এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে
সরিষার তেল ত্বক এবং চোখের জন্য জ্বালা ভাব সৃষ্টি করে।
খাটি সরিষার তেল চেনার উপায়
আপনারা অনেকে এখনো খাঁটি সরিষার তেল চিনতে পারেন না আসলে খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায় সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। যারা গ্রামে থাকেন তারা হয়তো অনেকেই জানেন খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায় কিন্তু যারা শহরে বসবাস করে তারা কিন্তু অনেক সময় সরিষার তেল আসল না নকল সেটা বুঝতে পারে না।
খাঁটি সরিষার তেল কোনটা বুঝার জন্য আজকে আপনাদেরকে খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায় সম্পর্কে অবগত করব।সরিষার তেলের বিশুদ্ধতা সনাক্ত করা সবচেয়ে সহজ উপায় হলো গন্ধধারা এটি শনাক্ত করা আসল সরিষার তেলের গন্ধ খুব তীব্র হয় সরিষার তেল থেকে তীব্র গন্ধ না হলে বুঝবেন সরিষার তেল নকল এভাবে সহজে চিনতে পারবেন সরিষার তেল।
দোকান থেকে সরিষার তেল কিনে আনার পর দুই থেকে তিন ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন দুই থেকে তিন ঘন্টা পর যদি দেখেন সরিষার তেলের উপর সাদা রংয়ের কোনো আস্তরণ দেখা দিয়েছে কিংবা সরিষার তেল জমে গেলে বুঝবেন সরিষার তেল নকল।
সরিষার তেল হাতে তালুতে রেখেও চিনতে পারেন প্রথমে আপনার হাতের তালুতে কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল ভালো করে ঘুষিয়ে নিন এবং দেখুন। আসল সরিষার তেলের রং গাঢ় হলুদ অন্যদিকে সরিষার তেলের রং হালকা হলুদ হলে বুঝবেন সেটা ভেজাল।
সরিষার তেল খাওয়ার নিয়ম
অনেকেই সরিষার তেল খেতে পছন্দ করেন কিন্তু আপনারা কি জানেন এই সুস্বাদু তেলটি
কিভাবে খেতে হয় চলুন আজকে আপনাদেরকে সরিষার তেল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানাবো।
আপনি অনেকভাবে সরিষার তেল খেতে পারেন প্রতিদিনের রান্না থেকে শুরু করে সর্দি কাশি
বা ঠান্ডা জনিত সমস্যা সমাধানে আপনি সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন।
এমনকি অনেক ব্যথা বা ত্বক ও চুলের যত্নে সরিষার তেল আপনি মেখেও ব্যবহার করতে
পারেন। প্রতিদিনের রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার প্রধান উপকরণ হিসেবে সরিষার তেল
হবে আপনার জন্য যেটা বেশ চয়েস কারণ এই তেল যেমন খাবারে সাত বাড়িয়ে দিতাম উনি
স্বাস্থ্যকর করে।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
যেকোনো ভাজি তরকারি বিরিয়ানি ফাস্টফুড রান্না করা থেকে শুরু করে সব ধরনের
রান্নায় আপনি সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। বাসায় বা অফিসে কিংবা যে কোন
জায়গায় মুড়ি মাখা খাওয়ার সময় আপনাররা সবার আগে কিন্তু সরিষার তেল খোঁজেন।
খাঁটি সরিষার তেলে মুড়ি মাখা খাওয়ার বিকল্প নেই।
বিভিন্ন মুখর রজব খাবার যেমন মুড়ি, চানাচুর, ঝালমুড়ি, চিড়া, বুট, বাদাম,
চাউলের চিড়া, ভাজা চালের মাথায় ইত্যাদি সাত বাড়াতে হলেও কিন্তু সরিষার তেল
ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন রকমের ভর্তা তৈরিতে সরিষার তেল ছাড়া চলে না।
যেমন আলুর ভর্তা, বেগুন ভর্তা, পটল ভর্তা, মাছ ভর্তা, সবজির ভর্তা, বিভিন্ন শাকের
ভর্তার জন্য কিন্তু সরিষার তেল অপরিহার্য। সরিষার তেল ব্যবহারের আগে অবশ্যই
নিশ্চিত হবেন যে সরিষার তেলটি খাঁটি নাকি ভেজাল এটা জেনে তারপরে সরিষার তেল
ব্যবহার করবেন।
সরিষার তেল খেলে কি ওজন বাড়ে
সরিষার তেল খেলে কি ওজন বাড়ে সে সম্পর্কে অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে আসলে সরিষার
তেল একটি পুষ্টিকর উপাদান। সরিষার তেল বিভিন্ন কাজে আমরা ব্যবহার করি বাড়িতে
রান্নার কাজ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গাতে কিন্তু এই সরিষার তেলের ব্যবহার হয়।
পুষ্টিবিদদের মতে সরিষার তেলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা খাদ্যর বিপাক হার
বাড়াতে সাহায্য করে এতে উপস্থিত ভিটামিন বি কমপ্লেক্স তাড়াতাড়ি খাবার হজম করতে
সাহায্য করে আবার খাবার দ্রুত হজম হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।এছাড়াও সরিষার তেলে
রয়েছে ওমেগা-৩, ওমেগা-৬ ও ফ্যাটি এসিডের বিদ্যুৎ যন্ত্রের স্বাস্থ্য যেমন ভালো
থাকে ,তেমনি শরীরের ভালো ফ্যাটের পরিমাণ বাড়ে।
আরো পড়ুনঃ ফর্সা হওয়ার ক্রিম কোনটা ভালো
এর ফলে অতিরিক্ত ওজন বাড়ে না নিয়ন্ত্রণে থাকে ওজন। ওজন নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও অবশ্য
সরিষার তেলে আরও কিছু গুণ রয়েছে সরিষার তেল কোলেস্ট্রল এর মাত্রা ও নিয়ন্ত্রণে
রাখে তবে রান্নার কোন দেলি অতিরিক্ত ব্যবহার করা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন
পুষ্টিবিদরা তাই রান্নায় সরিষার তেল পরিমাণ মতো ব্যবহার করা উচিত।
যারা ওজন কমাতে চান এবং ডায়েট করতে চান তারা পুষ্টিকর সরিষার তেল খেতে পারেন
রান্নাতে এতে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং শরীল সুস্থ থাকবে।
প্রতিদিন সরিষার তেল খেলে কি হয়
রান্নার কাছে প্রতিদিনই প্রায় সরিষার তেল ব্যবহার করা হয় প্রতিদিন সরিষার তেল
খেলে কি হয় আপনারা কি জানেন। গবেষণা পত্র গুলি অনুসারে সরিষার তেল শরীর এবং
ত্বকের উপকারে নানা ভাবে কাজে আসে তাই এটি খেলে শরীরের কোন ক্ষয় ঘটবে এমনটা
ভাবার কোন কারণ নেই। সরিষার তেলের ভেতরে থাকা একাধিক উপকারী উপাদান যা আমাদের
শরীরে নানাভাবে উপকার করে।
মাইগ্রেন: মাইগ্রেনের কষ্ট কমাতে ম্যাগনেসিয়াম দারুন ভাবে কাজে আসে আর
যেমনটা ইতিমধ্যে আমরা জানি যে সরিষার তেলে এই ম্যাগনেসিয়াম বিপুল পরিমাণে রয়েছে
তাই এমন তেলের রান্না করা খাবার খেলে মাইগ্রেনের কষ্ট দূর হয়। ফলে অনেক ধরনের
রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
আরো পড়ুনঃ দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত
ডিপ ড্রাই করার জন্য ভালো: আমরা মনে করি বাঙালিরা যেহেতু বেশিরভাগ খাবারের
উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করে থাকে তাই আমাদের জন্য সরিষার তেলের কোন বিকল্প
নেই।অনেক বাঙালি স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করে থাকেন।
একটা কথা জেনে রাখা ভালো যে আমরা যে খাবার খেয়ে থাকি তা অলিভ অয়েল দিয়ে তৈরি
করার জন্য ঠিক নয় কম তাপমাত্রায় বানানো খাবার অলিভয়েলে ব্যবহার করা যেতে পারে
তবে বেশি আছে বানানো খাবারের জন্য অলিভ অয়েল ব্যবহার না করাই ভালো সরিষার তেল
ব্যবহার করতে পারেন।
পেটে ব্যথা কমায়: উপাদান যে কোন ধরনের প্রদা হোক আমাদের বিশেষ ভূমিকা
পালন করে থাকে বিশেষ করে মাথা যন্ত্রণায় এবং তলপেটের অসতী কমাতেই প্রাকৃতিক
উপাদানটি দারুন ভাবে কাজ করে।
আর্থ্রাইটিস রোগের কষ্ট কমায়: সেলিনিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এই দুটি খনির
সরিষার তেলে খুব বেশি পরিমাণে থাকে যা আর্থ্রাইটিসের প্রদা হোক আমার পাশাপাশি এই
রোগের প্রকোভ রাস ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাই যারা এমন ধরনের হাড়ের রোগে
ভুগছেন তাদের প্রতিদিন সরিষার তেলে রান্না করা খাবার খাওয়া উচিত।
আরো পড়ুনঃ শুটকি মাছে কি এলার্জি আছে
ব্রেনের পাওয়ার বৃদ্ধি: সরিষার তেলে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে সেই সঙ্গে মনোযোগ বৃদ্ধি এবং
সার্বিকভাবে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা উন্নতি করতেও সাহায্য করে।
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে সরিষার
তেল এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে
হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। সেই সঙ্গে শরীরের প্রতিটি কোনায়
যাতে ঠিকমত রক্ত পৌঁছায় সেদিকেও খেয়াল রাখে।
ত্বকে সরিষার তেলের উপকারিতা
তোকে সরিষার তেলের উপকারিতা সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব যারা সরিষার
তেল ত্বকে ব্যবহার করতে চান তাদের জন্য কেরি আর্টিকেলটি যেখানে আমরা ত্বকে সরিষার
তেলের উপকারিতা গুলো তুলে ধরব। সরিষার তেলের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান
যা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
এর মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেস, ওমেগা,
ফ্যাটি এসিড এবং পরিমাণ মতো ভিটামিন এ। জ্বর ঠান্ডা কাশিতে আরাম পেতে হলে হালকা
গরমে সরিষার তেল কালো জিরা মিশিয়ে বুক পেটে মাখন উপকার পাবেন। অল্প সরিষার তেল
হাতের তালুতে ঘষে মুখে লাগিয়ে নিন সূর্যের ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে
ত্বককে রক্ষা করবে।
আরো পড়ুনঃ লাউ খেলে কি ওজন কমে
উপাদানে ভরপুর অ্যালার্জি ও র্যাশ প্রতিরোধ করে। ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি
রুখতেও সরিষার তেল বেশ কার্যকারী। ত্বকে ডার্ক স্পট বা পিগমেন্টেশন ঠেকাতে বেসন,
দই, লেবুর রস আর সরিষার তেল মিশিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন তারপর
ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সরিষার তেল নারিকেল তেল মিশিয়ে ১০ মিনিট ত্বকে মেসেজ করুন ত্বক নরম ও উজ্জ্বল
হবে। হাড়ের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করতে পারেন সরিষার তেলের সাথে আধা এই
দুইটা এমন একটি উপাদান হয় যা প্রদাহ জনিত উৎসেচকের ক্রিয়ার গতি কমিয়ে দেয় ফলে
ব্যাথা থেকে আরাম পাওয়া যায়।
হার্টের সমস্যার কারণে খাবার থেকে তেল বাদ দিতে বলেন অনেক চিকিৎসর তো অনেকেই
রান্নায় সয়াবিন বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করেন তবে পরিমিত খেলতে পারলে সরিষার তেল
হার্টের পক্ষে ভালো।
চুলের জন্য সরিষার তেলের উপকারিতা
সরিষার তেল শুধুমাত্র খাবার কাজেই নয় এটি কিন্তু চুলের যত্নেও ব্যবহার করা হয়
সরিষার তেল ব্যবহারের ফলে চুলের অনেক যত্ন নেওয়া যায় চুলের জন্য সরিষার তেলের
উপকারিতা নিয়ে আজকে আমরা হাজির হয়েছি। সেই সকল উপাদান চুলকে করে তোলে মসৃণ
স্বাস্থ্যউজ্জ্বল এবং সুন্দর।
চুলের কোন ক্ষতি হবে এই ভেবে অনেকেই চুলে সরিষার তেল ব্যবহার করতে ভয় পান জানলে
অবাক হবেন যে সরিষার তেলে রয়েছে মিনারেল, আয়রন, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন
কে এবং ভিটামিন ই যা চুল পড়া রোধ করে।সরিষার তেলে জিংক, সেলোনিয়াম ও ওমেগা থ্রি
ফ্যাটি এসিড বিদামান থাকায় চুল লম্বা করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ পুইশাক খেলে কি এলার্জি হয়
এছাড়াও সরিষার তেলে অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান থাকে যা চুলের খুশকি দূর করে ও
চুলকানি থেকে রক্ষা করে।ফাঙ্গাসের কারণে চুলের গোড়া বুঝে গিয়ে চুল পাতলা হয়ে
যায় যা এই তেল ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যায়।
দূষণের কারণে বা গরমে মাথা টক ঘেমে অনেক চুল নোংরা হয়ে যায় অপরদিকে শীতকালে এই
সমস্যা অনেকটা কমে যায়। তবে শীতে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে চুল শুষ্ক রুক্ষ হয়ে
যায়। তাই চুলের আদ্র ভাব বজায় রাখার জন্য সবাই কোন না কোন প্রসাধনী ব্যবহার করে
থাকেন যা অনেকটাই ব্যয়বহুল।
তবে আপনি চাইলে সরিষার তেল ও অ্যালোভেরা জেল একটি পাত্রে মিশিয়ে স্ক্যাল্পে
ভালোভাবে এই মিশ্রণটি মেসেজ করে আধাঘন্টা থেকে এক ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে চুল
ধুয়ে ফেলতে পারেন। এতে অর্থের যেমন অনেকটাই সেভ হবে চুলেরও সঠিক যত্ন নিতে
পারবেন এবং উপকার হবে।
সরিষার তেলের ক্ষতিকর দিক
সরিষার তেলে যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন কিন্তু সরিষার তেল ব্যবহারের ফলে নানা
রকমের সমস্যা দেখা দেয় সরিষার তেলের কিছু অপকারিতাও রয়েছে। সরিষার তেলের
ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে যারা জানতে চান তারা আজকের আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
পড়ে জেনে নিন সরিষার তেলের ক্ষতিকর দিকগুলো।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা
সমস্যা তৈরি হতে পারে এই তেলের উচ্চমাত্রায় পলিইউস্যাচারাইড অস্থায়ীভাবে বৃদ্ধি
পাওয়া যায়। এই পলিইউস্যাচারাইডের বৃদ্ধি কি কিছু ক্ষতিকর প্রভাব সহজেই সৃষ্টি
করতে পারে যেমন :
হার্টের জন্য ক্ষতিকর: সরিষাড়ার মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণে ইরেটিক
অ্যাসিড যা হার্টের জন্য মোটেও ভালো নয়। বেশি সরিষার তেল কিংবা ঝাল মসলাদার খাবার
খেলে হতে পারে শরীরে বেশি পরিমাণে ট্রাই গ্লিসারি তৈরি করে হার্টের ক্ষতি করবে।
পেটের সমস্যা: সরিষার তেলের মধ্যে অতিরিক্ত প্রজনন হরমোন বা এসিডিটি থাকতে
পারে যা পেটের ক্ষতিকারক সমস্যা উপস্থিত করতে পারে। এটি ডায়রিয়া, পেট ব্যথা এবং
পেটে গ্যাসের উৎপাদনের জন্য জনক হতে পারে।
ইউরিক এসিডের সমস্যা বৃদ্ধি : পরপর বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে সরিষার
তেল লে৪২ থেকে ৪৭ শতাংশ ইউরিক অ্যাসিড থাকে। সেই সঙ্গে থাকে ওমেগা -৯ ফ্যাটি
এসিডের শরীরের পক্ষে বিষ যে কারণে বেশি পরিমাণ সরিষার তেল খেলে ইউরিক এসিডের
সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
গর্ভাবস্থায়: হবু মায়েদের এমনিতেই বেশি মসলাদার খাবার খেতে বারণ করা হয়
সেই সঙ্গে সরিষার তেল কারণ এর মধ্যে থাকা বেশ কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক যৌগ।
জাবরনের গঠনে বাধা দেয় সেই সঙ্গে রাসায়নিক যৌগের প্রভাবে গর্ভপাত হতে পারে।
শেষ কথা।খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায়।সরিষার তেল খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের আজকের এই পোস্টটি শুরু থেকে
শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে ইতিমধ্যে খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায় ও সরিষার
তেল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য জানতে পেরেছেন।
এখন নিশ্চয়ই আমাদের এই পোস্টটি পড়ে খাঁটি সরিষার তেল চিনতে আপনার অনেক উপকারে
আসবে।আজকের আলোচনা আপনার কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের
কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন।
এছাড়াও আপনি যদি খাদ্য চিকিৎসা,স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সম্পর্কিত আপডেট তথ্য পেতে
চান তবে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন।আমাদের
আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকৃত মনে হলে আপনার পরিচিতজনদের
সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।আজকের পর্ব এ পর্যন্তই আবার কথা হবে অন্য কোন ট্রপিক
নিয়ে সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url