মাত্র ১০ মিনিটে কাঁচা হলুদ দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় ৫টি উপায় জেনে নিন
আপনি কি কাঁচা হলুদ দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় ও সকালে খালি পেটে হলুদ খেলে
কি হয় এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তবে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি একান্ত
আপনার জন্য।আজকের আর্টিকেলের ভিতর থেকে আপনি কাঁচা হলুদ দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া
যায় ও সকালে খালি পেটে হলুদ খেলে কি হয় এ বিষয়ে সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য
সম্পর্কে জানতে পারবেন।
সেই সাথে আজকের আর্টিকেল থেকে মুখে হলুদ দিলে জ্বলে কেন, কাঁচা হলুদ মাখলে কি
হয়, ব্রণ দূর করতে কাঁচা হলুদ এবং শুধু কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে
জেনে নিতে পারবেন।তাই আজকের পর্বটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে
কাঁচা হলুদ দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় ও সকালে খালি পেটে হলুদ খেলে কি হয় তা
জেনে নিন।
পোস্ট সূচিপত্র: কাঁচা হলুদ দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায়।সকালে খালি পেটে হলুদ
খেলে কি হয়
ভূমিকা।কাঁচা হলুদ দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায়।সকালে খালি পেটে হলুদ খেলে কি হয়
কাঁচা হলুদ মেয়েদের রূপচর্চার একটি প্রাকৃতিক উপাদান।কাঁচা হলুদ ব্যবহার করে
মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায় সেই সাথে কাঁচা হলুদের মাধ্যমে ব্রণ দূর করা
যায়।তবে কাঁচা হলুদ ব্যবহারের কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে তার জন্য রূপচর্চায় দুধ
ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার শুধু কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম এগুলো সম্পর্কে জানতে
হবে।
আপনি যদি কাঁচা হলুদ মেখে আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে অবশ্যই
কাঁচা হলুদ দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় এবং সকালে খালি পেটে হলুদ খেলে কি হয়
এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।
কেননা অনেক সময়ই দেখা যায় কাঁচা হলুদ মুখে দিলে মুখ জ্বালাপোড়া করে এমন প্রশ্ন
অনেকেরই মধ্যে বিরাজমান।তবে জ্বালাপোড়া করার জন্য কিছু ব্যবহারের অনিয়ম
রয়েছে।তাই আজকের পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ে কাঁচা হলুদ দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া
যায় এ বিষয় সম্পর্কিত সকল তথ্যগুলো জেনে নিন।
মুখে হলুদ দিলে জ্বলে কেন
অনেকে ত্বকের যত্নে কাঁচা হলুদ মুখে দেন কিন্তু মুখে হলুদ দিলে জ্বলে কেন এই
প্রশ্ন অনেকে করেন বিভিন্ন রকম কারণে কিন্তু অনেকের মুখ জলাফেরা করে হলুদ
ব্যবহারের কারণে। কাঁচা হলুদ ত্বকে মাখলে ত্বকের ডেল্লা বৃদ্ধি পায় সঙ্গে কমে
ব্রণসহ অন্যান্য ত্বকের সংক্রমনের ঝুঁকি কিন্তু ত্বকে হলুদ ব্যবহারের বেশ কিছু
নিয়ম রয়েছে যা মেনে ত্বকে হলুদ ব্যবহার করতে হবে।
কাঁচা হলুদ ত্বকে মাখলে জেল্লা যেমন বাড়ে তেমনি অনেক ত্বকের উপকারে আসে কিন্তু
সেই হলুদ যদি সঠিক নিয়মে না ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু আপনার ত্বকে বিভিন্ন
সমস্যা দেখা দিবে। যদি আপনার কাঁচা হলুদে এলার্জি থাকে।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
তাহলে আপনি যদি কাঁচা হলুদ ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু আপনার ত্বক জলাপুরা
করবে এবং র্যাস দেখা দিবে। কাঁচা হলুদ বেটে মুখে ব্যবহার করে অনেকে তবে হলুদের
সঙ্গে অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করলে আরো ভালো ফল পাওয়া যায়।
টক তৈলাক্ত হলে ত্বকে হলুদের সঙ্গে দুধ, বেসন, মধু অথবা লেবু মিশিয়ে ব্যবহার
করুন। শুষ্ক হলে মধুর পরিবর্তে টক দই ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন। ত্বকের যত্নে
প্রতিদিন না করে সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন হলুদ ব্যবহার করতে পারেন।
প্রতিদিন হলুদের স্ক্রাব ব্যবহার করলে ত্বকের ভেতরে আঁচড় কেটে যায় স্বাভাবিকের
তুলনায় তাড়াতাড়ি বললিরে খাস বৃষ্টি হয় ত্বকে্। এমন দিন হলুদ ব্যবহার করুন
যেদিন বাইরে বের হতে হবে না কারণ হলুদ ব্যবহার পরের রোদে গেলে ত্বক জলে যাওয়া
জ্বালাপোড়া সহ বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে সম্ভব হলে রাতে হলুদ
ব্যবহার করুন। তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন যে ত্বকে হলুদ ব্যবহারের কোন কারণে
ত্বক জলা পোড়া করে।
কাঁচা হলুদ দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায়
আপনারা যদি কাঁচা হলুদ দিয়ে ত্বক ফর্সা করতে চান তাহলে কিন্তু আজকের আমাদের
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে কাঁচা হলুদ দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় সে
সম্পর্কে জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ ফর্সা হওয়ার ক্রিম কোনটা ভালো
রূপচর্চার দুনিয়াতে চিরকার হলুদ রাত করে এসেছে মুখের নিষ্প্রাণ বিবর্ণ কাটিয়ে
সতেজ উজ্জ্বলতা এনে দিতে মুখের কালো দাগছো হালকা করতে, ব্রণ ফুসকুড়ি, নির্মূল
করার কাজে মুখের যেকোন প্রদাহ হোক আমাতে হলুদের ব্যবহার বহুত প্রাচীন।
হলুদ ও ময়দা: যেকোনো ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক স্ক্রাব তৈরি করতে হলুদ ও
ময়দা মিশিয়ে নিতে পারেন এটি ত্বকের জন্য বেশ সংবেদনশীল ও উপকারী এটি ত্বক থেকে
অতিরিক্ত তেল কমায়। হলুদ ও ময়দার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে
নিন উজ্জ্বল কোমল ত্বক পেতে চক্রাকার ভাবে এটি ত্বকে লাগান এবং শুকিয়ে গেলে
ধুয়ে ফেলুন।
হলুদ ও লেবুর রস: লেবুর রসে রয়েছে ব্লিচিং উপাদান এবং হলুদে আছে ত্বক
উজ্জ্বল করার উপাদান। ত্বক উজ্জ্বল করতে হলুদের গুড়া ও লেবুর রস মিশিয়ে একটি
মিশ্রণ তৈরি করে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
হলুদ ও দুধ: হলুদ ও দুধের মিশ্রণ ত্বকের ক্ষতি করে এমন উপাদানের বিরুদ্ধে
কাজ করে ত্বককে সুস্থ রাখে কাঁচা দুধের সঙ্গে হলুদের গুড়া মিশিয়ে মুখ ও গলায়
লাগাতে হবে। শুকিয়ে আসলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
হলুদ ও মধু: ত্বকের ভেতরে আদ্রতা রক্ষা করে। উজ্জ্বল তক ফুটিয়ে তুলতে
হলুদ ও মধুর মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। মধুতে আর রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে ত্বক আদ্র
রাখার ক্ষমতা যা তথ্য উজ্জ্বল করে মধু ও হলুদের তৈরি প্যাক ত্বক স্বাভাবিকভাবে
চকচকেও সুন্দর করে তোলে।
হলুদ ও নারিকেল তেল: হলুদ ও নারিকেল তেলের রয়েছে এন্টি ফাঙ্গাস উপাদান।
এছাড়া নারিকেল তেল খুব ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। খাঁটি নারিকেল
তেলের সঙ্গে হলুদের গুড়া মিশিয়ে ত্বকে লালচে ভাব, সংক্রমণ ও শুষ্কতা কমাতে
ব্যবহার করা যায়। ত্বক পরিষ্কার করে মুছতে পাতলা ভেজা কাপড় ব্যবহার করলে
ত্বক-বেস প্রাণবন্ত মনে হবে।
হলুদ ও পানি: ত্বকের অবান্তিত লোমের বৃদ্ধি কমাতে প্রতিদিন হলুদ ও পানির
মিশ্রণ তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। যে স্থানে অবাঞ্ছিত লোমের বৃদ্ধি কমাতে চান
সেখানে হলুদ ও পানির মিশ্রণ তৈরি করে একটি অসমতল ও পরিষ্কার বস্তুর সাহায্যে ঘষতে
হবে। শুকিয়ে এলে তা পরিষ্কার পানির সাহায্যে ধুয়ে ফেলতে হবে পার্থক্য দেখাতে
যতবার সম্ভব এটি করতে পারেন।
আশা করি উপরের উপায় গুলো মেনে আপনারা হলুদ ব্যবহার করে ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা
করতে পারবেন। নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিতে হবে তবেই ত্বক ফর্সা হবে।
কাঁচা হলুদ মাখলে কি হয়
আপনারা যারা কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে চান তারা কি জানেন কাঁচা হলুদ মাখলে কি হয়
কাঁচা হলুদ মাখার ফলে বিভিন্ন রকমের উপকার হয় ।ত্বকের জন্য কাঁচা হলুদ ব্যবহার
করলে আপনারা কিন্তু বিভিন্ন রকমের উপকার পাবেন চলুন জেনে আসি কাঁচা হলুদ মাখলে কি
হয়।
ত্বকের যত্নে: হলুদের রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান কারকিউমিন,যার ও প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে এটা সিরোসিস ও একজিমার কারণে হওয়া ত্বকের প্রদাহ
কমাতে সাহায্য করে।
দ্রুত ক্ষত উপশম করে: হলুদ দ্রুত ত্বকের জারণ ও মানসিক চাপের কারণে হওয়া
মলিন ভাব দূর করতে পারে ক্ষতিস্থানের ওপর কেবল হলুদ লাগিয়ে রাখলে তা সাড়াতে
সহায়তা করে ।
বলিরেখা কমায়: বয়সের ছাপ কমাতে সহায়তা করে হলুদ কারণ এতে রয়েছে কোষ
কলার মাত্রা বৃদ্ধি ও আদ্রতা রক্ষা করার ক্ষমতা। এর মানে হলো হলুদ খুব সহজে
বলিরেখা ও ত্বকের ভাগ দূর করতে সহায়তা করে।
আরো পড়ুনঃ শুটকি মাছে কি এলার্জি আছে
অতিবেগুনি রশ্মির কারণে হওয়া ক্ষয় থেকে রক্ষা : গবেষণা করে দেখা গিয়েছে হলুদ
সূর্যের অতিবেগুনি রশি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। কারণ এতে রয়েছে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ কারণে ত্বকে হলুদের পেস্ট ব্যবহার করা হলে ঠান্ডা ও আরাম
অনুভূত হয় আর রোদের কারণে হওয়ার র্যাশ ও পোড়া ভাব দূর হয়ে যায়।
ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ: ত্বক বিষাক্ত উপাদানের কারণে মলিন ও অস্বাস্থ্যকর
হয়ে পড়ে হলুদ ত্বকে পরিষদ করে ফলে ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও মসৃণ।
ব্রণ ও কালো দাগ কমায়: হলুদ ব্রণের বিরুদ্ধে কাজ করে চালুনি কমায় বিশেষ
করে যাদের ত্বক সংবেদনশীল তাদের ত্বকে হলুদ খুব ভালো কাজ করে। হলুদের থাকা
কারকিউমিন এমন এক ধরনের এনজাইম। যার রোদেও হাইপারপিগমেন্টেশন এর কারণে হওয়া কালো
দাগ ও পোড়া ভাব কমাতে কার্যকর।
সকালে খালি পেটে হলুদ খেলে কি হয়
আপনারা অনেকে হলুদের ত্বকের উপকারিতা সম্পর্কে জানে ছেন এবার আপনার সকালে খালি
পেটে হলুদ খেলে কি হয় সে সম্পর্কে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে
নিন। খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে গুঁড়ো হলুদ কিন্তু একেবারে খাওয়া যাবে না
বিশেষজ্ঞদের মতে,এতে ভেজাল থাকতে পারে গুড়ো হলুদ অনেক সময় বিষাক্ত মেটালিন হলুদ
রং বার্লি ময়দা থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতি করে।
হলুদ সেই প্রাচীন কাল থেকে আমাদের দেশে মসলা হিসেবে এর গুরুত্ব অনেক বেশি শুধু যে
হলুদ রান্নার কাজে ব্যবহার হয় এমন কিন্তু নয় সুন্দর ত্বক পেতে হলুদের ফেসপ্যাক
ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে রোজ সকালে যদি এক টুকরো কাঁচা হলুদ খাওয়া
যায় তাহলে নানা শারীরিক উপকার পাওয়া যায় ফল পাবেন হাতেনাতে।
আরো পড়ুনঃ লাউ খেলে কি ওজন কমে
শরীর সুস্থ রাখতে কুঁচি কাঁচা হলুদের কোন বিকল্প হয় না। সকালে খালি পেটে খেলে
রক্ত পরিষ্কার থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে সেই কারণেই তো করোনা কালে
হলুদের দাম বেড়ে গিয়েছিল। হলুদের মধ্যে যে কারকিউমিন থাকে তা শরীরের রোগ মুক্ত
রাখে।
সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ইউনিটি সিস্টেম
বৃদ্ধি পায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় যার কারণে কোনো রোগী আপনাকে
স্পর্শ করতে পারবে না। তাই খালি পেটে হলুদ খেলে অনেক উপকার মিলবে।
ব্রণ দূর করতে কাঁচা হলুদ
প্রাইম মেয়েদেরই ব্রণের সমস্যা রয়েছে তারা ব্রণের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার
জন্য কিন্তু জানতে চাই। ব্রণ দূর করতে কাঁচা হলুদের ব্যবহার সম্পর্কে আপনারা
হয়তো অনেকেই জেনে অবাক হবেন কাঁচা হলুদ ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বকের কালো দাগ ও
ব্রণের দাগ খুব সহজেই দূর হবে।
আরো পড়ুনঃ পুইশাক খেলে কি এলার্জি হয়
বন্ধুর করার জন্য প্রাকৃতিক উপায়ে বিকল্প নাই সেজন্য ঘরে বসে নিতে হবে ত্বকের
যত্ন। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ত্বকের যত্ন
নিলে ব্রণ সহ অনেক সমস্যাই দূর করা সম্ভব। এক্ষেত্রে একটি কার্যকার উপাদান হলো
হলুদ এটি ব্রণ দূর করতে দারুন উপকারি।
ব্রনের দাগ দূর করে: আপনার আম্মুকে ব্রণ বাজে কোন দাগ চোখ থাকলে তা দূর
করার জন্য কার্যকারী একটি উপাদান হতে পারে হলুদ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে
হলুদের থাকা অনেক উপাদান ত্বকের দাগ দূর করতে দারুন কার্যকারী।
সেই সঙ্গে ব্রণ থেকে মুক্তি পেতেও সাহায্য করে এই উপাদান ্লেবুর রসের সঙ্গে হলুদ
মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন। এভাবে মিনিট দশেক অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন দেখবেন
ত্বকের ব্রণের দাগ আস্তে আস্তে দূরে হয়ে যাবে।
শুধু কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম
কাঁচা হলুদ বিভিন্ন ভাবে মুখে দেওয়া যায় শুধু কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম
সম্পর্কে আপনারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন আজকের আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারবেন
শুধু কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম। শুধুমাত্র কাঁচা হলুদ মুখে ব্যবহার করা উচিত
নয়।
কাঁচা হলুদের সাথে বিভিন্ন উপকরণ যেমন মধু, লেবুর রস, মুলতান মাটি, দুধ, বেসন,
অলিভ অয়েল, চন্দন গুড়া, বেসন ইত্যাদি হারবাল জাতীয় যেকোনো একটি উপাদান। কাঁচা
হলুদ ব্যবহার করুন এতে আপনার ত্বকের বিভিন্ন রকমের সমস্যা দূর হবে এবং আপনার ত্বক
আরো বেশি উজ্জ্বল ও ফর্সা হয়ে যাবে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা
কাঁচা হলুদ এর নানাবিধ উপকারিতা থাকলেও এটি প্রতিদিন ব্যবহার করা মোটেও উচিত না।
সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন দিন কাঁচা হলুদ মুখে ব্যবহার করতে পারেন। কাঁচা
হলুদ মুখে দেওয়ার পরে আপনাদের ত্বক আরো বেশি সতেজ হয়ে উঠবে।
কাঁচা হলুদের ফেসপ্যাক: সর্বাধিক উপকারিত কাঁচা হলুদের ফেসপ্যাক তৈরি করার
জন্য আপনাদের এক চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটার সাথে সমপরিমাণ নারিকেলের তেল এবং তিন
ফোটা এসেন্সিয়াল অয়েল ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। আলতো হাতে
ত্বকে পাঁচ মিনিট পর্যন্ত মুখে মিশ্রণটি দিয়ে মেসেজ করতে হবে। পাঁচ মিনিট পর
উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন এটি ময়েশ্চারাইজার এবং টোনারের কাজ করে
থাকে।
রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার
রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার সম্পর্কে আপনারা আমাদের কাছে জানতে
চেয়েছেন দুধ ও কাঁচা হলুদ একসাথে মিশ্রণ করে ব্যবহার করলে এটি ত্বকের জন্য অনেক
উপকার করে। দুধের সাথে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা
কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়।
কাঁচা হলুদ ছড়াছড়ি মুখে দেওয়া উচিত নয় কাঁচা হলুদের সাথে বিভিন্ন হারবাল
উপাদান মুখে ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়, দুধ ও কাঁচা হলুদ বাটা একসাথে
মিশিয়ে ব্যবহার করলে আপনার ত্বক দ্রুত ফর্সা হয়ে যাবে।
কাঁচা হলুদের সাথে কাঁচা দুধ এবং সামান্য পরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে
ত্বক কিছুদিনের মধ্যে উজ্জ্বল হবে তবে কাঁচা হলুদের যে কোন প্যাক ব্যবহারের পর
উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুলে সর্বাধিক উপকারিতা পাবেন। ত্বক উজ্জল ও ফর্সা করতে
সকলেই চাই কিন্তু এটা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ত্বকের যত্ন নিতে হবে বেশি এবং
হলুদের ব্যবহার করতে হবে।
তবে হলুদ ব্যবহারের আগে অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে প্রতিদিন হলুদ ব্যবহার
করা যাবে না সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিনের বেশি কাঁচা হলুদ মুখে মাখলে আরো বেশি
ক্ষতি হতে পারে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কাঁচা হলুদ ও দুধের ব্যবহারের
নিয়ম সম্পর্কে।
শেষ কথা।কাঁচা হলুদ দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায়।সকালে খালি পেটে হলুদ খেলে কি হয়
সম্মানিত পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ করে কাঁচা হলুদ
দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় ও সকালে খালি পেটে হলুদ খেলে কি হয় এ বিষয়ে
সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন।এছাড়াও আজকের
আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা সকল গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলোর সম্পর্কে আশা করি আপনি ধারণা
পেয়েছেন।
আরো পড়ুনঃ হাঁসের ডিম খেলে কি প্রেসার বাড়ে
আজকের পর্বটি পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের
কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন এছাড়াও আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং
উপকৃত মনে হলে আপনার পরিচিতজনদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।এছাড়া
রূপচর্চা ও ক্রিম সংক্রান্ত যেকোনো আপডেট আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েব সাইটটি
সঙ্গে থাকুন।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url