গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা - ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয়

 
গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয় চলুন এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক কারণ আমরা অনেকেই গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয় এই বিষয়ে সম্পর্কে জানিনা।
গর্ভাবস্থায়-ভাতের-মাড়ের-উপকারিতা
একই সাথে আজকের আর্টিকেল পড়ে ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক এবং ভাতের মাড় চুলে দিলে কি হয় এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।তাই আজকের পরবর্তী শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয় তা জেনে নিন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয়

ভূমিকা।গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা।ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয়

গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি ঘরে ঘরে বাঙালি মানুষ বাড়িতে ভাত রান্না করে এবং সেই ভাতের মাড় হয় আপনারা কি সেই ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানেন।এবং গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা কেমন আপনার জানা রয়েছে।
যদি এ সকল বিষয়গুলো আপনার অজানা হয়ে থাকে তবে আজকের আর্টিকেলটি হতে পারে আপনার জন্য অনেক উপকৃত। এই পোষ্টের মধ্যে আমরা সেই সকল বিষয়গুলো আপনার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যা জেনে আপনি গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও ভাতের মাড়দাডর"&% ডাখেলে কি মোটা হয় তা জেনে উপকৃত হতে পারবেন।

এছাড়াও আজকের আর্টিকেল পড়ে ভাতের মাড় মুখে দিলে কি হয় ভাতের মাড় চলে যাওয়ার নিয়ম এবং ভাতের মাড় মুখে লাগানোর নিয়ম সব বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।এই পর্বটি মূলত সহকারে সম্পন্ন করে গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।

ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রায় প্রতিটি বাঙালি মানুষের বাড়িতে ভাত রান্না করা হয় এবং সেই ভাতের মাড় হয় আপনারা কি ভাতের মাড়ির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান। যারা ভাতের মাড়ের উপকারিতা জানেন না তারা হয়তো এখনো অনেক কিছু থেকে পিছিয়ে রয়েছেন ভাত বাঙালি জাতির সাথে খুব নিবিড় ভাবে জড়িত আছে।
প্রবাদে বলা হয়,' মাছে ভাতে বাঙালি'। ভাত ছাড়া আমাদের দিন যেন শুরু হয় না শুধু বাংলাদেশ তথা বাঙ্গালীদের কাছেই নয় গত কয়েক দশকে সারা বিশ্বে ভাতের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক ভাতের মাড়ের উপকারিতা গুলো।

ত্বককে সুন্দর করে: মাড়কে প্রাকৃতিক টোনারও বলা যেতে পারে। বেশ কিছু স্টাডি করার সময় গনেষকরা লক্ষ্য করেছেন, প্রতিদিন মুখে ভাতের মাল লাগিয়ে মেসেজ করলে ত্বকের ছিদ্র ছোট হয়। সেই সঙ্গে স্ক্রিনের উপর অংশে জমে থাকা মৃত কোষগুলোর আবরণ সরে যায়। যার ফলে স্বাভাবিকভাবে ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে।
ব্রণের প্রকোপ কমায়: প্রতিদিন দুবার করে ভাতের মাড় ভাল করে মুখে লাগালে ব্রণ কমতে শুরু করে। কারণ এর মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টি- ইনফ্লেমেটারী উপাদান ত্বকের ভিতরে প্রদাহের মাত্রা হ্রাস করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ব্রণ কমে যায়।

চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে: গোসলের আগে ভাতের মাড় ভাল করে চুলে লাগান। কিছু সময় অপেক্ষা করার পর হালকা গরম পানি দিয়ে চুলটা ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের গোড়ায় পুষ্টির অভাব দূর হবে। ফলে চুল পড়া সহ একাধিক স্কাল্প সম্পর্কিত রোগের প্রকোপ কমতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে চুলের উজ্জ্বলতা ও বাড়বে।
এনার্জির ঘাটতি দূর করে: শরীরচর্চার আগে এক গ্লাস ভাতের মাড় খেলে শরীরে ৮টি উপকারী অ্যামাইনো এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা এক্সারসাইজের সময় পেশির গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ভাতের মাড়ে উপস্থিত কার্বোহাড্রেট এনার্জির ঘাটতি দূর করতে ও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: একাধিক গবেষণা দেখা গেছে নিয়মিত ২ গ্লাস করে ভাতের মাড় খাওয়ার অভ্যাস করতে বাওয়েল মুভমেন্টে উন্নতি ঘটে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই কোষ্ঠকাঠিন্যর উপশম ঘটতে শুরু করে।
ডায়রিয়ার চিকিৎসা জন্যঃপানির মতো পায়খানা হলে, সেই সঙ্গে পেটে এমন ব্যথা যে আত্মারাম খাঁচা হওয়ার যোগড়। তাহলে এখন থেকেই ভাতের মাড় খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।আসলে পেট খারাপের সময় এক গ্লাস ভাতের মাড় অল্প লবণ দিয়ে খেলে শরীরে উপকারী খনিজের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
ফলে রোগের প্রকোপ কমতে শুরু করে।ভাতের মাড়ের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি কিন্তু ভাতের মাড়ের কিছু অপকারিতাও রয়েছে চলুন জেনে নেয়া যাক ভাতের মাড়ের অপকারিতা।
  • অতিরিক্ত ভাতের মাড় খাওয়ার ফলে মোটা হয়ে যায় শরীর।
  • শরীরে চর্বি বৃদ্ধি পায়।
  • ডায়রিয়া সমস্যা দেখা দেয়।
  • কোলেস্টরেলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
  • অতিরিক্ত ঘুম হয়।
  • বুকে চর্বি বৃদ্ধি পায়।
  • পাছার চর্বি বেড়ে যায়।
এগুলো মূলত ভাতের ফ্যান খাওয়ার অপকারিতা আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ভাতের মাড় খাওয়ার যে সকল অপকারিতা রয়েছে সেগুলো।

ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক

আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন ভাতের মাড় ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আসলে ভাতের মাড় খাওয়ার ফলে কিছু ক্ষতি সাধন হয় আমাদের শরীরে যা সম্পর্কে প্রতিটি মানুষেরই জেনে রাখা দরকার। ভাতের মাড়ির মধ্যে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল রয়েছে যার কারণে ভাতের মাড় খাওয়ার ফলে বিভিন্ন রকমের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
ধান ও জৈব আর্সেনিক শোষণ করে নাই এর ফলে ভাতের মাড়ে ও আর্সেনিকের উপস্থিতি থাকে দীর্ঘ স্থায়ী আর্সেনিক বিষক্রিয়ার বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে যার ফলে বিভিন্ন রকমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও ভাতের মাড় খাওয়ার ফলে কিছু মানুষের এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আবার অতিরিক্ত ভাতের মাড় খাওয়ার ফলে পেট খারাপ হতে পারে এবং ওজন বৃদ্ধি ও হয় কারণ ভাতের মাড়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যায়। উপরের দেওয়া এই সকল ক্ষতিকর দিকগুলো ভাতের মাড় অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে হতে পারে এজন্য যে কোন খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই পরিমাণ মতো খেতে হবে।

ভাতের মাড় চুলে দিলে কি হয়

আপনারা অনেকে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন ভাতের মাড় চুলে দিলে কি হয় আসলে ভাতের অনেক উপকারিতা রয়েছে যার মধ্যে তুলে দিল ভাতের মাড়ির প্রচুর উপকার পাওয়া যায় চুলের যত্নে আপনারা ভাতের মাড় ব্যবহার করতে পারেন। ভাতের মাড়ের পুষ্টি উপাদান গুলো তুলে দেওয়ার ফলে চুলের অনেক রকমের উপকার আছে এবং চুলের গোড়া শক্ত হয়। চলুন জেনে আসি ভাতের মাড় চুলে দিলে কি হয়।
মাথার ত্বকে আলতো পরিষ্কার করতে সাহায্য করে ভাতের মাড় চুলে প্রচুর প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি হতে পারে ভাতের মাড়ে ক্ষেত্রে খুব উপকারী যখন মাথার ত্বক বেশি পরিমাণে শ্রীরাম বা প্রাকৃতিক তেল তৈরি হয় তখন মাথার ত্বক শুষ্ক বা খুশকি হতে পারে তখন শ্যাম্পু ব্যবহারের পরে ভাতের মাড় ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।

কারণ এতে রয়েছে প্রাকৃতিক ভাবে পাওয়া অনেক ভিটামিন এবং পুষ্টি যেমন জ্বালাপোড়া কমায় চুলকানি থেকে মাথার ত্বকের রক্ষা করে।ভাতের মাড়ে থাকা এমন এসির প্রোটিন উৎপাদনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটি বিশেষ ধরনের অ্যামিনো এসিড 'সিস্টাইন' চুল, নখ এমনকি ত্বক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
ভাতের মাড়ে ইনোসিটল নামে পরিচিত একটি যৌগ রয়েছে যা চুল মজবুত এবং চুল পড়া প্রতিরোধে সহায়তা করে। চুল পড়া প্রতিরোধে ব্যবহৃত প্রসাধনিতেও পাওয়া যায়। এটি এছাড়া পাতলা চুলকে মজবুত করতে ক্ষয় রোধ করতে এবং চুল সহজে ভেঙে না যায় এর জন্য ভাতের মাড় চুলের খুব উপকারী।
  • ভাতের মাড়ে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন যা চুল উজ্জ্বল করে। ভাতের মাড়ে  থাকা ভিটামিন বি ও ই চুল নরম ও চকচকে করতে সাহায্য করে।
  • ভাতের মাড়ে  থাকা স্টার্চ এবং এমিনো এসিড রুক্ষ শুষ্ক চুল নরম করে আগা ফেটে যাওয়া চুলের যত্ন নেওয়া।
  • গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা

ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয়

আমাদের মধ্যে অনেকে যেমন অতিরিক্ত ওজনের হন তেমনি কিছু মানুষ রয়েছে যারা ওজন প্রয়োজনে তুলনায় কম। সুস্থ থাকার জন্য দুইটাই সমস্যা উচ্চতা অনুসারে ওজনের যে সঠিক নির্দেশনা রয়েছে এর কম বেশি হলে স্বাভাবিক জীবনযাপনে অসুবিধা হতে পারে।
ভাত রান্না করার পরে যে মাড় বের হয় সেই মাড় খেলে দ্রুত ওজন বারে। ভাত থাকার পর মাড় টুকু আলাদা করে সংরক্ষণ করে অল্প লবণ দিয়ে পান করলে ওজন বৃদ্ধি পায়। যার কারণে ভাতের মাড়ে প্রচুর পরিমাণে শক্তি থাকে এটা শরীরকে মোটা হতে সাহায্য করে।

ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয় এই প্রশ্নটা প্রায়ই মানুষের মনে রয়েছে। আসলে ভাতের মাড় খাওয়ার ফলে মোটা হয় এটা একদম সত্য কথা। কারণ ভাতের মাড়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান যা খাওয়ার ফলে শরীরে কোলেস্টরলের বৃদ্ধি পায় এবং চর্বি বৃদ্ধি পায় যার ফলে মানুষের শরীর মোটা হয়ে যায়। এক কথায় ভাতের মাড় খেলে মানুষের শরীর মোটা হয় এবং শরীরে চর্বি জমে।

ভাতের মাড় মুখে লাগানোর নিয়ম

আপনারা হয়তো অনেকেই জানতে চান যে ভাতের মাড় মুখে লাগানোর নিয়ম সম্পর্কে আসলে এই ভাতের মাড় সহজলভ্য কিন্তু অনেকেই জানে না যে কোন নিয়মে ভাতের মাড় মুখে লাগাতে হবে এটি রূপচর্চায় ব্যবহার করতে পারেন প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে। উপাদান চাল তিন অবস্থা থেকে ত্বকের জন্য উপকার করে আর তা হলো চাল ধোয়া পানি, ভাত আর মাড়।

আপনারা যদি ভাতের মাড় মুখে লাগানো নিয়ম সম্পর্কে না জেনে থাকেন চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক ভাতের মাড় মুখে লাগানোর নিয়ম। ঘন ভাতের মাড় ভালোভাবে ছেকে ফ্রিজে ঠান্ডা করতে হবে। এরপর নরম তুলায় বেশি করে নিয়ে মুখে পাঁচ মিনিট মালিশ করতে হবে। এরপর শুকনা শীট মাস্ক মাড়ের উপর দিয়ে মুখে বসিয়ে শুকনো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
এরপর আস্তে আস্তে টেনে তুলতে হবে এতে ত্বক টানটান থাকে এছাড়া ত্বকের আদ্রতা, উজ্জ্বলতা বাড়া, ছোপ ছোপ দাগ, মেছতা, ত্বকের রুক্ষতা কমে। মাড় যে জাল দিয়ে ঘন করে প্যাক হিসেবে মুখে ব্যবহারে ব্রণের সমস্যা কমবে এতে কয়েক ফোটা লেবুর রস দিলে দাগ কমবে।

মাড় ঘন তুলা দিয়ে চোখের নিচে মালিশ করে মিশু দিয়ে রেখে দিতে হবে শুকানো পর্যন্ত এতে বলিলেখা ও চোখের কালো দাগ কমে। এছাড়াও শুষ্ক ত্বকে মাড়ের সঙ্গে সামান্য এলোভেরা জেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বকের চাকচিক্য বাড়বে ও ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে। দুধের রসে সঙ্গে মাড় মিশিয়ে দিলে ত্বক খুব টানটান ও উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

ভাতের মাড় চুলে দেওয়ার নিয়ম

চুলের যত্নের জন্য আপনারা খুব সহজে ভাতের মাড় ব্যবহার করতে পারেন ভাতের মাড় ঝুলে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন ভাতের মাড় চুলে দিলে প্রচুর উপকার পাবেন এবং এতে চুলের কোন ক্ষতি ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে না। বাঙ্গালীদের সবার ঘরে ভাত রান্না করা হয়।
ভাত রান্না শেষে ভাতের মাড় আমরা জড়িয়ে ফেলি। সেই মাড় না পেলে কাজে লাগাতে পারেন চাল ধুয়ে রান্নায় বসানোর সময় বেশি করে পানি দিয়ে দিন। চাল ফুটে গেলে মাড় ঝরিয়ে নিন সেই মাড় চুলে ব্যবহার করুন চুলের যত্নে দুই ভাবে ব্যবহার করতে পারেন এটি।
  • স্প্রে বোতলে ভরে ব্যবহার করতে পারেন অথবা সরাসরি চুলে ঢালুন।
  • এরপর একটি চিরনী দিয়ে চুল আঁচড়িয়ে নিলেই হবে। এটি ব্যবহারে চুল লম্বা ও সুন্দর হয়। এছাড়াও এতে আছে ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিংঙ্ক।
  • ভাতের মাড় একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার এবং ডিট্যাংগলার হিসাবে কাজ করতে পারে।
  • একটি খালি স্প্রে বোতলে ভাতের মাড় ভরুন এবং আপনার চুলে স্প্রে করুন।
  • আলতো করে মেসেজ করুন এবং তারপর স্বাভাবিকভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • ভাতের মাড় চুল নরম, মিসৃণ এবং ঝলমলে করতে সাহায্য করে।
তুলে যেকোনো সময় ব্যবহার করতে পারেন প্রতিদিন বা সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করতে পারেন। তাতেও চুলে কাজে দিবে শ্যাম্পু করার পাশাপাশি এটি ব্যবহার করতে হবে। চুলের যত্নে দিয়ে রুটিন মেনে চলেন তার মধ্যে এটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে কোন অসুবিধা হবে না।

ভাতের মাড় মুখে দিলে কি হয়

ভাত রান্নার পর সাধারণত সকলে ভাতের মাড় ফেলে দিয়ে থাকেন কিন্তু এই ভাতের মাডের উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আর কখনোই তা ফেলে দেবেন না। এই মালের হাজারো ব্যবহার গুণ রয়েছে যা হয়তো বলে শেষ করা যাবে না বিশেষ করে রূপচর্চায় অনেক কার্যকারী ভূমিকা রাখে ভাতের মাড় তাই এখনই এর ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত আপনার।

ভাতের মাড় মুখে দিলে কি হয় সে সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না এটি অনেক পুষ্টি উপাদানে ভরপুর যার ফলে মুখে দেওয়ার ফলে আপনার ত্বক সুন্দর উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে মাড়ের ব্যবহার অনস্বীকার্য। ভাতের মাড় ত্বকের জলীয় ভাব বজায় রাখে অর্থাৎ একে ময়শ্চেরাইজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
অর্থাৎ একে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এই মাড় দিয়ে ত্বক ধুয়ে নিলে ত্বক পরিষ্কার হয় ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। স্কিন বিশেষজ্ঞরা বলছেন ত্বকের বলিরেখা দূর করার জন্য ভাতের মাড়ের কোন বিকল্প নেই নিয়মিত ব্যবহারের ফলে চোখের ডার্ক সার্কেল দূর হয়।

মুখে ব্রণ হলে মাইর লাগালে ভালো সাড়া পাওয়া যায় চুল ঠিক রাখার জন্য কন্ডিশনার হিসেবে অনেকে ভাতের মাড় ব্যবহার করার কথা বলে থাকেন। প্রথমে ভাতের মাড় ভালো করে পানি মিশিয়ে হালকা পাতলা করে নিন শ্যাম্পু করার পর সেই মাড় গোলা জল দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে নিন। চুলের ডগা ফেটে গেলে সহজে এই সমস্যা দূর হয়ে যায়।

চুলের গোড়া মজবুত রাখার জন্য এর কোন জুড়ি নেই ত্বকে যাদের জ্বালা চুলকানি ও লালচে ভাব হয় তাদের জন্য ভাতের মাড়ের অনেক উপকারী। এইজন্য ভাতের মাড়ের পানি দিয়ে মিশিয়ে গোসল করুন। একইভাবে ত্বকে লাগালে ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর হয়ে যায় এমনকি পিগমেন্টেশনও দূর করতে পারে।

শেষ কথা।গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয়

সম্মানিত পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয় এ বিষয় সম্পর্কে জানতেও বুঝতে পেরেছেন। আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।
এছাড়াও আপনি যদি গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সম্পর্কিত আরো আপডেট তথ্য পেতে চান তবে আমাদের ওয়েবসাইটটি সঙ্গে থাকতে পারেন।আমাদের আজকের পর্ব এ পর্যন্ত আবারও কথা হবে অন্য কোন টপিক নিয়ে সে বুঝলে সকালে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url