ইংল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ - ইংল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে
প্রিয় পাঠক আপনি কি ইংল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ ও ইংল্যান্ড যেতে কত
টাকা লাগে এ বিষয় সম্পর্কে জানেন?যদি না জেনে থাকেন তবে আজকের আর্টিকেল থেকে
আপনি ইংল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ ও ইংল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে সম্পর্কে
জানতে পারবেন।
সেই সাথে আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি ইংল্যান্ড যাওয়ার সহজ উপায়, ইংল্যান্ড কোন
কাজের চাহিদা বেশি , ইংল্যান্ড যেতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে তা সহজে জানতে পারবেন।
তাই চলুন আর সময় নষ্ট না করে ইংল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ ও ইংল্যান্ড
যেতে কত টাকা লাগে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ইংল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪।ইংল্যান্ড যেতে কত
টাকা লাগে
ইংল্যান্ড যাওয়ার সহজ উপায়
বিশ্বের অন্যতম উন্নত ও শক্তিশালী রাষ্ট্র যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য লন্ডন শহর
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য। উন্নত জীবনযাপন
ও কর্মসংস্থানের সুযোগের জন্য অনেকেই ইংল্যান্ডে যেতে আগ্রহী।
আরো পড়ুনঃ ইতালি ভিসা আবেদন করার নিয়ম ২০২৪
যুক্তরাজ্য সরকার প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময় ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে শ্রমিক
নিয়োগ দিয়ে থাকে। লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে আই এলডিএস বাধ্যতামূলক নয়
তবে এই ভিসা পেতে আপনাকে লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে
অবশ্যই জানতে হবে।
যুক্তরাজ্যের শহর ইংল্যান্ড যাওয়ার বিভিন্ন ধরনের ভিসা ক্যাটাগরি চলছে আপনার
চেয়ে উদ্দেশ্য অনুযায়ী সঠিক ক্যাটাগরি নির্বাচন করে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে
ইংল্যান্ড ভিসা ক্যাটাগরি গুলো হল :
- ভিজিট ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসা
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- ইনভেস্টমেন্ট ভিসা
- সেটলমেন্ট ভিসা
উপযুক্ত ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করার পর আপনাকে ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে এবং ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এর
পরবর্তীতে সকল ভিসা ফি অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। আপনাকে যুক্তরাজ্যের কোন
দূতাবাসের সাক্ষাৎকার দিতে হবে এজন্য আগে থেকে এ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
ইংল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে
বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় দেশ যুক্তরাজ্য কাজ পড়াশোনা ভ্রমণ বহুমুখী উদ্দেষে লাখ
লাখ মানুষ পাড়ি জমান এই দ্বীপ রাষ্ট্রে। বাংলাদেশ থেকে কেউ প্রতি বছর হাজার
হাজার মানুষ ইংল্যান্ডে যেতে আগ্রহী এবং যাচ্ছে কাজের উদ্দেশ্যে।
তবে অনেকেই জানেনা ইংল্যান্ডে যেতে কত টাকা লাগে বা দালালের মাধ্যমে ইংল্যান্ডে
গেলে তাদের কত টাকা খরচ পড়বে। আজকের আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে
নিন ইংল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে।
আরো পড়ুনঃ মালদ্বীপ যেতে কত টাকা লাগে
হাজারো বাঙালির মনে স্বপ্ন রয়েছে ইংল্যান্ডে যাওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের এই
শহরটিতে যেতে অনেকেই আগ্রহী আপনারা হয়তো অনেকে জানতে চান ইংল্যান্ড যেতে কত টাকা
লাগে। ইংল্যান্ডে যাওয়ার জন্য ভিসা ক্যাটাগরির উপর খরচ নির্ভর করে টুরিস্ট ভিসা
এবং স্টুডেন্ট ভিসার জন্য বর্তমানে অন্যান্য ভিসা তুলনায় খরচ কম হয় স্টুডেন্ট
জন্য আপনাকে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে।
যারা কাজের ভিসা বা ইংল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে যেতে চান তাদের খরচ
একটু বেশি হবে। ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকার মধ্যে খরচ হতে পারে। তবে এজেন্সি বা দালালের
মাধ্যমে যাওয়ার ফলে এই টাকার অংক কম বেশি হতে পারে।
ইংল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪
ইংল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ কত টাকা সে সম্পর্কে অনেকেরই জানার আগ্রহ
ইংল্যান্ড স্টুডেন্ট এবং টুরিস্ট ভিসার থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম সবচেয়ে
বেশি হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা রয়েছে ইংল্যান্ড ওয়ার্ক
পারমিট ভিসা ক্যাটাগরি এজেন্সি এবং দালাল ভেদে ভিসার দামের তারতম হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কাতার কোম্পানি ভিসা বেতন কত ২০২৪
কারণ ওয়ার্ক ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী আলাদা আলাদা আবেদন ফি পরিশোধ করতে হয়।
এছাড়া দালাল এবং এজেন্সি যার কাছ থেকে যত টাকা বুঝে নিতে পারে। তাই সঠিকভাবে বলা
সম্ভব না তবে কিছুটা ধারণা দিতে পারি বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যের শহর
ইংল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে আনুমানিক প্রায় ৬ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ
টাকা লাগে।
এই খরচের মধ্যে সবকিছু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে আপনি যদি সরকারি ভাবে বায়োসেলের
মাধ্যমে যেতে পারেন তাহলে খরচ কম লাগতে পারে এছাড়া আপনার পরিচিত কেউ কিংবা
আত্মীয়-স্বজন থাকলে আরো কম খরচে যেতে পারবেন।
অবশ্যই আপনি লন্ডনে যেতে হলে ভাষা
সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করে যাবেন।আশা করি আপনি ইংল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এবারে নিচের স্টেপ থেকে ইংল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে নিব।
ইংল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি
ইংল্যান্ডের বাঙালি প্রবাসীরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে ইংল্যান্ডে কোন কাজে
চাহিদা বেশি সেই সম্পর্কে অনেকেরই জানার আগ্রহ যারা বৈধভাবে কাজ করে তাদের কাজের
কোন অভাব হয় না কিন্তু যারা অবৈধভাবে কাজ করে তারা সহজে কাজ খুঁজে পায় না
বাঙালি কোন প্রতিষ্ঠান কাজ করলে সাধারণত কাজের বেতন কম দেওয়া হয় তবে বাঙালি
প্রবাসীরা ইংল্যান্ডের যে সব কাজ করতে পারেন
- নার্স
- ইলেকট্রিশিয়ান
- প্লাম্বার
- নির্মাণ শ্রমিক
- রেস্টুরেন্ট কর্নী
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ইংল্যান্ডে কোন কাজে চাহিদা বেশি এবং এই কাজগুলোর
উপর দক্ষতা অভিজ্ঞতা থাকলে আপনি কিন্তু অনেক কাজ পাবেন।
ইংল্যান্ড যেতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে
আপনি যদি ইংল্যান্ডে যেতে চান এবং ইংল্যান্ডে যেতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে সেই
সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন
ইংল্যান্ডে যেতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে।
- ভিসা আবেদন ফি
- পাসপোর্ট
- ফটোগ্রাফ
- শিক্ষাগত যোগ্যতা সার্টিফিকেট
- জব অফার লেটার
- বায়োমেট্রিক ইনফর্মেশন
- ইংরেজি ভাষার দক্ষতা সার্টিফিকেট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- কাজের দক্ষতার প্রমাণ
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
আশা করি আপনারা যারা ইংল্যান্ডে যেতে চান তারা অবশ্যই এই সকল ডকুমেন্টসগুলো
সংগ্রহ করে রাখবেন কারণ আপনার ভিসা আবেদন করার সময় এই সকল ডকুমেন্টস লাগবে।
ইংল্যান্ডের সর্বনিম্ন বেতন কত
ইংল্যান্ডের সর্বনিম্ন বেতন বয়স অনুযায়ী কম বেশি হয়ে থাকে যুক্তরাজ্যে প্রতি
ঘন্টায় হিসাব করে বেতন প্রদান করা হয় আপনার বয়স যদি ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে
হয় তাহলে আপনার বেতন সর্বনিম্ন বেতন হবে প্রতি ঘন্টায় ৮.৬ পাউন্ড।
আরো পড়ুনঃ দুবাই টুরিস্ট ভিসা কত টাকা
যাদের বয়স ২১ বছর কিংবা তার বেশি তাদের ইংল্যান্ডের সর্বনিম্ন বেতন হবে প্রতি
ঘন্টায় ১১.৪৪ পাউন্ড। ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের সর্বনিম্ন বেতন হবে ৬.৪ পাউন্ড।
বাস্তবে আপনি সর্বনিম্ন বেতনের থেকে বেশি বেতন পাবেন এটা হল যুক্তরাজ্যের ন্যূনতম
বেতন কাঠামো যার কম কেউ পাবে না।
বর্তমানে এক পাউন্ড সমান ১৩৭ টাকা আশা করি বুঝতে পেরেছেন ইংল্যান্ডে আপনার বেতন
কেমন হবে আপনাকে সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজ করতে হবে। সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৮ ঘন্টা
ওভারটাইম কাজ করতে পারবেন। ইংল্যান্ডে কাজ করে প্রতি মাসে ২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ
টাকার বেশি ইনকাম করা যায়। কাজের ভিসা নিয়ে দেশটিতে গেলে লন্ডনের নাগরিকত্বও
পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ থেকে ইংল্যান্ড যেতে কত বয়স লাগে
বাংলাদেশ থেকে ইংল্যান্ড যেতে কত বয়স লাগে সে সম্পর্কে অনেকেরই হয়তো পর্যাপ্ত
ধারণা নেই তবে আপনি যদি ইংল্যান্ডে যাওয়ার জন্য স্বপ্ন দেখেন তাহলে কিন্তু বয়স
সম্পর্কে আগে থেকে জেনে নিবেন কারণ ভিসা করার সময় অবশ্যই আপনার বয়স দেখা হবে
আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে যেতে চান।
আরো পড়ুনঃ দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি
তাহলে কিন্তু আপনার বয়সটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেখানে কত বছর বয়সে কাজের
জন্য লোক নিয়োগ দেওয়া হয় সে সম্পর্কেও আপনাকে জেনে রাখতে হবে। অনেকেই অনলাইনে
খোঁজেন বাংলাদেশ থেকে ইংল্যান্ড যেতে কত বছর বয়স লাগে এই প্রশ্নটা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ইংল্যান্ড যাওয়ার জন্য বয়সের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে ইংল্যান্ড যাওয়ার ন্যূনতম বয়স ১৯ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিদের
ভিসার জন্য আবেদন করতে দেওয়া হয় না। অন্যদিকে গেলে ইংল্যান্ডে যাওয়ার সর্বোচ্চ
বয়স ৩৫ বছর। ৩৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন
না। তবে টুরিস্ট ও স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে বয়সের এই শর্ত প্রযোজ্য নয়। আশা
করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ইংল্যান্ডে যেতে কত বছর বয়স আপনার লাগবে।
শেষ কথা।ইংল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪।ইংল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে
সম্মানিত পাঠক আশা করি আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ করে ইতিমধ্যে জানতেও বুঝতে
পেরেছেন ইংল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ ও ইংল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে
সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য সমূহ।আশা করি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনি ইংল্যান্ড
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কিত জেনে অনেক উপকৃত হয়েছেন।আজকের পোস্টটি আপনার কাছে
তথ্যবহুল এবং উপকৃত মনে হলে আপনার পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করুন।
আরো পড়ুনঃ পোল্যান্ড কাজের বেতন কত ২০২৪
কারণ অনেকেই দেশ-বিদেশ ঘুরতে বেশি ভালোবাসে ও পছন্দ করে।সেক্ষেত্রে আজকের আলোচিত
সকল বিষয়গুলো ইংল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কিত তথ্যগুলো জেনে উপকৃত
হবে।আজকের পর্ব এ পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url