দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত - কলা খেলে কি ওজন বাড়ে বিস্তারিত পড়ুন
দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত ও কলা খেলে কি ওজন বাড়ে চলুন এই বিষয়টি সম্পর্কে
জেনে নেওয়া যাক।কারণ আমরা প্রতিনিয়তই কলা খায় এক্ষেত্রে কলা খেলে কি ওজন বাড়ে
তা আমাদের নিশ্চিত হওয়া উচিত।তাই চলুন জেনে নিই দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত এ
বিষয়ে সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।
কলা খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ রয়েছে কলার মধ্যে।তবে এজন্য কলা কখন খাওয়া
উচিত ও কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কতটুকু রয়েছে তা সকলের জেনে রাখা উচিত?
তাই আজকে আর্টিকেল থেকে দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত ও কলা খেলে কি ওজন বাড়ে,
পাকা কলা খাওয়ার নিয়ম এবং কলা খেলে কি ব্লাড প্রেসার বাড়ে সে সম্পর্কে
বিস্তারিত জানবো।
পোস্ট সূচীপত্র:দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত।কলা খেলে কি ওজন বাড়ে
কলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
কলা একটি ফল যা সকলেরই পছন্দের তালিকায় থাকে সব দেশে কলার কদর রয়েছে।একটি ভালো
ফল হিসেবে। কারণ কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং অন্যান্য ফলের
সংখ্যায় এই ফলে বেশি ভিটামিন পাওয়া যায়।আমাদের দেশের সবচেয়ে পরিচিত ফলগুলোর
তালিকার শীর্ষে রয়েছে কলা সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এই ফলটির অনেক গুণ রয়েছে।
কলাতে থাকা ক্যালরি ও চিনির বিষয়ে অনেকেরই ধারণা কম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন চিনি না খাওয়ার বিষয়ে কঠোর নির্দেশিকা দিলেও সেটা
কেবল অতিরিক্ত চিনি বা প্রক্রিয়াজকৃত চিনির বিষয়ে বলেন। একটি মাঝারি আকৃতির
গলায় প্রায় 100 ক্যালোরি পর্যন্ত থাকে এছাড়া কলার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
তাই আমাদের দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত তা জেনে রাখতে হবে।কেননা অনেকেই অনেক
পরিমাণে অতিরিক্ত কলা খেয়ে ফেলে। কিন্ত অতিরিক্ত কলা খেলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা
দিতে পারে। তাই আজকে কলার উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ গুলো জানবো।
কলাতে পটাশিয়াম রয়েছে : কলায় পটাশিয়াম উপাদানের জন্য ব্যাপকভাবে
পরিচিত আর এই খুনিটি আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মূলত
পটাশিয়াম হল একধরনের ইলেকট্রোলাইট যাওয়া নিয়মিত হৃদস্পন্দন, নায়ুকা কাজ করতে
এবং পেশীগুলোকে সংকোচন করতে সহায়তা করে।
এটি পুষ্টিকে কোষে স্থানান্তর করতে এবং কোষের বাইরে বর্জ্য স্থানান্তর করতে
সহায়তা করে। এছাড়া কলার পুষ্টি গ্রহণ একটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধকের মত কাজ করে।
অতিরিক্ত সোডিয়াম এবং তরল শরীর থেকে বের করে দেয় আর শরীরে পানি ধরে রাখতে
সহায়তা করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পরিপূর্ণ: কলা পলিফেনিলিক নামে এক ধরনের পদার্থ সমৃদ্ধ
যেটির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য প্রদাহ এবং কোষের ক্ষতি মোকাবেলায়
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া কলায় থাকা বিভিন্ন যৌগ গুলো জেনেটিক ক্ষতি
বা ডিএনএ আপস,রোগের ঝুঁকি কমায় এবং স্নায়ুবিক কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা
করে।
অন্যান্য পুষ্টিগুণ: কলাতে থাকা প্রতিরোধে স্টার্ট আমাদের শরীরের একটি
অন্যান্য ধরনের কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে থাকে। কলা শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ করার
ক্ষমতা বাড়ায় এবং ভালো প্রোবায়োটিক সরবরাহ করে যা হজমের স্বার্থ এবং রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
শক্তি সরবরাহ করে: কলা আমাদের শরীরে শক্তি সরবরাহ করতে অনেক কার্যকারী
এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ মলিকিউলার সাইন্সয়ের তথ্য মতে, কলা টেকসই
শক্তির জন্য অন্যতম সেরা খাবার কারণ কলাতে থাকা ফাইবার এবং ভিটামিন বি সিক্স
রক্তের শর্করার পরিমাণ এবং ইনুসিলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
কলা কখন খাওয়া উচিত
কলার মধ্যে প্রচুর পুষ্টি গুনাগুন ও উপকারিতা রয়েছে কলা কখন খাওয়া উচিত ও দিনে
কয়টি কলা খাওয়া উচিত সে সম্পর্কেও কিন্তু জেনে রাখা দরকার।কলা খাওয়া নিয়ে
বিভিন্ন রকমের ধারণা থাকে আসলে কলা কখন খাওয়া উচিত দিনে নাকি রাতে খালি পেটে
নাকি ভরা পেটে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন থাকে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে কলা মূলত সকাল বেলায় খাওয়া উচিত সকাল বেলায় এটি খেলে
সারাদিন এর উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে সকালে এটি খেলেও খালি পেটে খাওয়া ঠিক নয়।
খালি পেটে কোনভাবে কলা খাওয়া উচিত নয় সকালে খেলেও অন্য কোন খাবারে সঙ্গে
মিশিয়ে বা অন্য কোন নাস্তা খাওয়ার পর এটি খাওয়া উচিত।
তবে শুধু সকালে যে খাবার খাওয়া যায় এমন নয়। দিনের অন্য সময়ও খাওয়া যায় তবে
সকালে খেলে এর উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়।সাধারণত রাতে ফল খাওয়া নিয়ে একেকজনের
একেক রকমের মত রয়েছে বিশেষ করে কলার ক্ষেত্রে রাতে না খাওয়ার জন্য বলা হয়ে
থাকে তবে এটা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
মূলত যাদের ঠান্ডা বা অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে তাদের রাতে কলা না খাওয়াই ভালো
কারো ঠান্ডা বা সর্দি কাশি থাকলে রাতে এটি না খাওয়া ভালো কারণ এটি একটি ঠান্ডা
ফল আর হজমে অনেক সময় নেয়। যাদের এসব সমস্যা নেই তারা রাতের বেলা এটি খেতে পারেন।
কারণ সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে এটি বেশ কাজে আসে পাশাপাশি রাতে ঘুমানোর আগে
কলা খেলে এটি ভালো ঘুমের প্রস্তুতি দেয় দেহকে। তাই চাইলে রাতে কলা খাওয়া যেতে
পারে তবে এতে কোন সমস্যা হবে না।
দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত
কলায় থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম এই পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে
স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে এই জন্য কলা খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদের জানতে
হবে দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত। কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে
প্রতিদিন অন্তত দুটি কলা খেলে আপনারা অনেক রকমের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে
পারবেন।
সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই পুষ্টিতে ভরপুর এই ফলটি নিয়মিত খাবেন। হজমে সমস্যা জন্য
কলা খাওয়া ভালো বলে মনে করা হয় এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন বি৬ এবং
পটাশিয়াম রয়েছে কলা সরকাররা এবং শক্তিতে ভরপুর।
ব্যায়াম করার আগে বা সকালের নাস্তায় কলা খাওয়া সবচেয়ে ভালো বিকল্প তবে
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনি প্রতিদিন কতগুলি কলা খাচ্ছেন। কলাতে
পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন বি৬, সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ১৩ টিনায়েড এবং
ফ্ল্যাভোনয়েডের মত ফাইটোকেমিক্যাল আছে যা পাওয়ার হাউসের মতো কাজ করে নিয়মিত কলা
খেলে বিভিন্ন রকমের উপকার পাওয়া যায়।
কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সকলেরই জেনে রাখা দরকার কলা এমন একটি
পুষ্টি উপাদান যা খাওয়ার ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হয়। কলার মধ্যে এমন
সকল অনেক উপাদান রয়েছে।
যেগুলোর কারণে আমাদের স্বাস্থ্যের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন রকমের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে চলুন জেনে নেওয়া
যাক দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত ও কলা খাওয়ার উপকারিতা।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: হজম শক্তি উন্নতির পাশাপাশি গলা হৃদরোগের ঢুকিও
কমায় এতে প্রচুর পটাশিয়াম রয়েছে কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং উত্তর
রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কলায় থাকা ফাইবার ওজন কমাতে সাহায্য করে
কারণ এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: নিয়মিত কলা খেলে ইউনিটি সিস্টেম প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় কারণ কলাতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যে রকম
ফ্ল্যাভোনয়েড। যা সাহায্য করে আমাদের শরীরে ফ্রি রেডিক্যালকে কম করতে আর যার ফলে
শরীরের কোষগুলি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।
নিয়ন্ত্রণ করে: কলাতে মিনারেল পুরো হিসেবে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে
এই পটাশিয়ামের সাহায্য করে আমাদের শরীরের রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার কে
নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এছাড়াও থাকে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই টা
আমাদের সাহায্য করে। বিভিন্ন রোগের সাথে লড়াই করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা
ইমিউনিটি সিস্টেমকে আরো বেশি উন্নত করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে: যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে তারা
নিয়মিত পাকা কলা খেতে পারেন। পাকা কলা খাওয়ার ফলে আপনার পেট পরিষ্কার হবে।
যাদের কষ্টের কাঠিন্য সমস্যার রয়েছে তারা কলা খেলে এর মধ্যে ফাইবার থাকে যা পেট
পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
কলার অপকারিতা
মাইগ্রেন: কলা যদি সঠিক ভাবে খোসা ছাড়া না হয় তাহলে টাইরামিন নামক একটি
উপাদান থাকে যা মাইগ্রেন বাড়ায়। আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে মনোমাইন অক্সিডেস নামক
একটি এনজাইম রয়েছে যার টাই জামিনের মত মনোমাইনগুলোকে ভেঙে দেয়।
এই এনজাইম টারমাইন মোকাবেলা করতে সাহায্য করে এ কারণে আপনি যদি মাইগ্রেনে ভোগেন
এবং আপনার শরীরে পর্যাপ্ত এমএও না থাকে তাহলে টাইরামিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে আপনার
মাথা ব্যাথা হতে পারে।
ওজন বৃদ্ধি : কলার মধ্যে প্রচুর ক্যালরি রয়েছে এবং পুষ্টির উপাদান থাকার
কারণে কিন্তু কলা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে আপনার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে
পারে। এই জন্য কলা খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে অতিরিক্ত কলা খেলে
আপনার ওজন বৃদ্ধির সাথে বিভিন্ন রকমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
- অনিদ্রা সমস্যা হতে পারে তাই রাতের বেলা কলা খাওয়া যাবেনা।
- যদি ঠান্ডা লেগে থাকে তবে কলা না খাওয়াই ভালো কারণ বেশি পরিমাণে কলা খেলে আমাদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বেড়ে যায় শিশুদের ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে।
- কলাতে সুগার এবং কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে তাই খুব বেশি কলা গ্রহণ করলে আমাদের শরীরে দাঁতের সমস্যা হতে পারে।
কলা খেলে কি ওজন বাড়ে
কলা হলো একটি পুষ্টিকর খাবার এতে রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন বি পটাশিয়াম সহ
একাধিক জরুরী উপাদান। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে কলা খেলে কি ওজন বাড়ে আসলে কলা
খাওয়ার ক্ষেত্রে কলা খাওয়র নিয়ম ও দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত মেনে
কলা খেতে হবে তাহলে ওজন বৃদ্ধি পাবে না।
এর পাশাপাশি এটি উচ্চ কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেলে ওজন বাড়তে পারে তাই
অতিরিক্ত কলা খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে এই বিষয়টি ও নজরে রাখতে হবে।
পুষ্টিগুণ্যের কারণে বেশিরভাগ ডাইটিসিয়ান এবং পুষ্টিবীর প্রতিদিনের খাদ্য
তালিকায় কলা রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
কলাই সরকারের পরিমাণ বেশি আবার বেশি পরিমাণে ক্যালরি ও থাকে এর কারণে যারা ওজন
কমাতে চান তাদের নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে কলা খাওয়া উচিত। তবে কলার পুষ্টি পূর্ণ
রয়েছে অনেক এতে রয়েছে পটাশিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি ও সি
এর মত উপাদান।
কলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি খাবার হজমে সহায়তা করে কলা খাওয়ার
পরে অনেকটা সময় পেট ভরা অনুভূত হয় তাই অন্য খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায় এর
ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কলা পটাশিয়াম এবং খনিজের ভালো উচ্চ হওয়ায় উচ্চ
রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও আমরা জানি কলাতে ফাইবার রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে পারে।
যারা নিয়মিত জিমে যান তারা সেখানে যাওয়ার আগে কলা খেতে পারেন এতে শক্তির যোগান
হয়।
পাকা কলা খাওয়ার নিয়ম
সহজলভ্য ফলের মধ্যে অন্যতম ফল হলো কলা এটি যেমন পুষ্টিকর তেমনি কিন্তু সুস্বাদু
যার ফলে কলা খেতে সকলেই পছন্দ করে। ছোট বড় সকলে পছন্দর তোয়ালিকায় পাকা কলা
রয়েছে পাকা কলা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেরই জানার আগ্রহ রয়েছে। অনেকে মনে
করেন কলাতে ক্যালরি বেশি হওয়ায় তার ডায়েটের জন্য ভালো না।
কিন্তু এর ধারণা ভুল তবে কলার রকম ছেড়ে কাঁচা থেকে পাকার মধ্যে বদলে যায়। তার
গুনাগুন এই জন্য শরীরের প্রয়োজন বুঝে তারপর কলা খেতে হবে। দামে কম সহজলভ্য এবং
পুষ্টির দিক থেকে সেরা একটি খাবার কলা। এটি খেতেও সুস্বাদু এতে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন ও অন্যান্য পুষ্টি গুণাগুণ রয়েছে।
কলাই ফাইবার ভিটামিন এবং খনিজ গুলির ভালো উৎস রয়েছে। একটি মাঝারি আকার কলাই
প্রায় ৩ গ্রাম ফাইবার থাকে। কলাতে প্রচুর পরিমাণে ন্যাচারাল সুগার থাকে তাই খালি
পেটে কলা খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। কলার সাথে দুধ মিশিয়ে মিল্কসেক তৈরি করতে
পারেন।
এছাড়াও এমনি পাকা খাওয়া যায়। তাছাড়া আপনারা কলার বিভিন্ন রকমের রেসিপি তৈরি
করে কলা খেতে পারেন। তবে কলা অবশ্যই খালি পেটে খাওয়া যাবেনা কলা খেতে হলে একটু
খাবার খাওয়ার পর খেতে হবে।
কলা খেলে কি ব্লাড প্রেসার বাড়ে
কলা খেতে অনেকে ভালোবাসেন তবে কলা খাওয়ার সঠিক সময় কোনটা তার সম্পর্কে অনেকের
ধারণা থাকে না তবে কলা খেলে কি প্রেসার বাড়ে সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই
পছন্দের নাস্তা মধ্যে কলা খেতে অনেকেই পছন্দ করে। শুধু কলা খেললে রক্তে শর্করার
মাত্রা বেড়ে যেতে পারে তাই সকালের নাস্তায় শুধু কলা না খাওয়াই ভালো কলা খাওয়া
যেতে পারে।
তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন কলা খালি পেটে খেলে আপনার ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধি পেতে
পারে তবে কলা যদি খালি পেটে না খেয়ে সেটার স্মুদি বানিয়ে খান তাহলে কিন্তু
আপনার পেশার বাড়বে না। যেকোনো খাবার খাওয়ার একটি সঠিক নিয়ম রয়েছে নিয়ম মেনে
খাবার খেলে অবশ্যই আপনার কোন অসুবিধা হবে না কলার মধ্যে রয়েছে ফাইবার ভিটামিন
এবং খনিজ উপাদান।
এছাড়া পটাশিয়াম, ফাইবার এবং ভিটামিন বি৬ এবং সি এর মত পুষ্টি উপাদান কলায়
প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন উপকারী এছাড়া উচ্চ
ফাইবার উচ্চকার্ব খাবার এবং প্রোটিন উৎস সহ এগুলো খাওয়ার রক্তে শর্করা এবং
ক্ষুধার মাত্রা বাড়াতে পারে। তবে অতিরিক্ত কলা খাওয়ার রক্তে শর্করার মাত্রা
বাড়িয়ে দিতে পারে এই কারণে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য
সমস্যা হতে পারে।
লেখকের মন্তব্য।দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত।কলা খেলে কি ওজন বাড়ে
দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত এবং কলা খেলে কি ওজন বাড়ে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু
করে বিস্তারিতভাবে কলা খাওয়ার নিয়ম এবং কলা খেলে কি ব্লাড প্রেসার বাড়ে, কলা
কখন খাওয়া উচিত এবং কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা আলোচনা করা হয়েছে।
আজকে আলোচনার মূল বিষয় হচ্ছে আপনি যদি আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে চান, নিয়মিত এই
ধরনের খাবার খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেল
মনোযোগ সহকারে পড়া উচিত।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন কয়টা কাজু বাদাম খাওয়া উচিত
কেননা এখানে আমরা কলা সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করেছি।প্রিয় বন্ধুরা এতক্ষণ
আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক
আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজি করতে থাকুন।কেননা
প্রতিনিয়ত আমরা নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি।তাই সবার আগে আর্টিকেল
পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url