বাচ্চাদের আপেল খাওয়ার নিয়ম - খালি পেটে আপেল খেলে কি হয়
বাচ্চাদের আপেল খাওয়ার নিয়ম ও খালি পেটে আপেল খেলে কি হয় সম্পর্কে জানতে চান?
তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন? যেহেতু বাচ্চারা ফলমূল খেতে বেশি পছন্দ করে থাকে তাই
আজকের আর্টিকেল থেকে বাচ্চাদের আপেল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
একটি মাঝারি সাইজের আপেলে থাকে ৯৫ ট্যালোরি ২৫ গ্রাম কার্বো ৪ গ্রাম ফাইবার
ভিটামিন সি পটাশিয়াম ও ভিটামিন কে।তাই আপেলের এমন সকল পুষ্টি উপাদান বাচ্চাদের
স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।তাই এই পর্বটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে
পড়ে বাচ্চাদের আপেল খাওয়ার নিয়ম ও খালি পেটে আপেল খেলে কি হয় তা জেনে নিব।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বাচ্চাদের আপেল খাওয়ার নিয়ম। খালি পেটে আপেল খেলে কি
হয়
উপস্থাপনা।বাচ্চাদের আপেল খাওয়ার নিয়ম।খালি পেটে আপেল খেলে কি হয়
আপেল খাওয়ার সঠিক নিয়ম না জানার কারণে কিন্তু অনেকেরই আপেল খাওয়ার ফলে বিভিন্ন
রকমের সমস্যা দেখা দেয় তবে আপনি যদি সঠিক নিয়মে আপেল খেতে পারেন তাহলে কিন্তু
এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য প্রচুর উপকারে আসবে।এজন্য আপনাকে বাচ্চাদের আপেল
খাওয়ার নিয়ম ও খালি পেটে আপেল খেলে কি হয় এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে সচেতন
থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ খাটি সরিষার তেল চেনার ১০টি উপায়
তাই আজকের আলোচনা থেকে আমরা আপেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, আপেল খেলে কি
ডায়াবেটিস বাড়ে, আপেল খেলে কি গ্যাস হয়, আপেল কি ভিটামিন আছে, আপেল খাওয়ার
নিয়ম এবং আপেল খেলে কি ঠান্ডা লাগে সে সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্যগুলো জানবো।তাই
চলুন আর কথা না বাড়িয়ে বাচ্চাদের আপেল খাওয়ার নিয়ম গুলো জেনে নিই।
আপেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আপেল এমন একটি ফল যা খেতে প্রায় মানুষই পছন্দ করে এই সুমিষ্ট পুষ্টিকর ফলটির
স্বাদ অনেক বেশি থাকার কারণে সকলেরই পছন্দের তালিকায় এই ফলটি থাকে। আপেলের মত
প্রতিদিন একটি কলা খাওয়াও শরীরের জন্য উপকারী সুস্থ জীবন যাপনের জন্য নিজেকে
স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস রাখা প্রয়োজন। চলুন জেনে আসি আপেল খাওয়ার উপকারিতা
গুলো :
ওজন নিয়ন্ত্রণ: স্ন্যাকবা নাস্তা হিসেবে যদি এমন কিছু খাওয়া যায়
আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে তাহলে আপেল খেতে পারেন আপেল ঠিক সেই কাজটাই করবে
আপনার জন্য। এতে রয়েছে পানি আর ভোজ্য আজ যা পেট ভরা রাতে অনেক সময় যে কোন খাবার
খাওয়ার আগে কয়েক টুকরা আপেল খেয়ে নিলে আপনার পেট ভরা মনে হবে ফলে প্রায় ২০০
ক্যালোরি পর্যন্ত কম গ্রহণ করবেন।
আরো পড়ুনঃ লাল শাকে কি এলার্জি আছে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: শরীর সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
করার জন্য আপনি নিয়মিত আপেল খেতে পারেন এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো
বেশি শক্তিশালী করে তুলবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে আপেল খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া চলবে
না।
হৃদরোগের ঝুঁকি: হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে আপেল নিয়ে খুব বেশি
মাতামাতি হয় না তবে এর উপকারিতা মোটেও অবহেলা যোগ্য নয় পাশাপাশি আপেল থাকা
ফ্লাভানয়েড স্টোক ঝুঁকি কমায় প্রায় ২০ শতাংশ আবার কোলেস্টেরল কমাতে আপেলের
ভূমিকা রয়েছে।
অন্ত্রের সুস্বাস্থ্য: অন্ত্রের স্বাস্থ্য নিয়ে মানুষের চিন্তা থাকে কমই
তবে প্রতিদিন আপনার মন-মানসিকতা কেমন থাকবে তা অনেকাংশ নির্ভর করে অন্তরের
স্বাস্থ্যের ওপরে। হুটহাট পেট ব্যথা পেট ফোলা কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি ব্যাখ্যা
হয়তন্ত্রের সমস্যার অন্তরের অবস্থা ভালো রাখতে কার্যকর একটি প্রবায়োটিক উপাদান
হল পেকটিন যা মেলে আপেল থেকে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: আপেল হতে পারে আপনার ক্যান্সার থেকে দূরে থাকা
চাবিকাঠি বিশেষ করে যারা ধূমপান করেন তারা ক্যান্সার হতে পারে যার কারণে আপনারা
নিয়মিত আপেল খেতে পারেন আপনার কোষ কে সুরক্ষা দিবে।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: প্রতি সপ্তাহে কয়েকটি আপেল খাওয়া আপনার
ডায়াবেটিসের কবল থেকে রক্ষা করতে পারে আবার প্রতিদিন একটি করে খেলে আরো ভালো এতে
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে প্রায় ২৮ শতাংশ।
এলার্জি থেকে সুরক্ষা: আপেলকে প্রতিদিন খাদ্য অভ্যাসে যোগ করে আগে আপনাকে
জেনে নিতে হবে এই ফল বা ফলটির কোন উপাদানে আপনার এলার্জি রয়েছে কিনা। খুব কম
মানুষেরই আপেল এলার্জি থাকে তবে আপেল খাওয়ার পর ত্বকের কোথাও ফুলে চুলকানি হলে
বুঝতে হবে যে আপেল খাওয়ার ফলে আপনার অ্যালার্জি হচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ শুটকি মাছে কি এলার্জি আছে
হাঁপানি তীব্রতা কম: নিয়মিত কি পরিমাণ আপেল খাচ্ছেন সেটার উপর নির্ভর
করে। হাঁপানির সমস্যা কমে। প্রায় ৬৮ হাজার নারীকে নিয়ে করা গবেষণা থেকে জানা
যায়, যারা দিনে একটি আপেল গ্রহণ করেছে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে তাদের হাঁপানি
তীব্রতা কমেছে সবচাইতে বেশি। যারা দিনে একটি আপেল ১৫ শতাংশ খেয়েছেন তাদের রোগের
তীব্রতা কমেছে প্রায় দশ শতাংশ।
দাঁত সাদা করে: আপেল দাঁতের হলদেটে ভাব দূর করতে বেশ কার্যকর। আপেলটি
চিবানো সময় তা দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাদ্য কণা এবং দাঁতের ওপরে হলদেটে আস্তর
পরিষ্কার করে আপেলে অম্লীয় গুণ এখানে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
আশা করি আপনারা আপেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবার আপনাদেরকে
জানাবো আপেল খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে।
আপেল খাওয়ার অপকারিতা
শব্দের মতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন দুইটা আপেল খেতে পারবেন কিন্তু এর
থেকে বেশি আপেল খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো না আপেল চাষের সময় এক ধরনের ক্ষতিকারক
কীটনাশক ব্যবহার করা হয় আপেলের সঙ্গে এই ক্ষতিকারক কীটনাশক পদার্থ শরীরে যায়
সেগুলো ডেকে আনে নানা রকমের সমস্যা।
আরো পড়ুনঃ লাউ খেলে কি ওজন কমে
বেশি পরিমাণে আপেল খেলে তাতে থাকা কীটনাশক অন্ত্রের নানা সমস্যার আশঙ্কা বাড়িয়ে
দেয়। এমন কি অন্তরের ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে পাকস্থলীর ক্ষতি হতে
পারে। মলদ্বারে নানা অসুখ হতে পারে এর কারণে এর পাশাপাশি রক্তে দূষিত পদার্থের
পরিমাণ বেড়ে যাওয়া শরীরে নানা ধরনের বিষক্রিয়া হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়।
আপেলকে চকচকে করতে কৃত্রিম মোম ব্যবহার করা হয় এর গায়ে।যার ফলে প্রাকৃতিকভাবে
আপেলের গায়ে অল্প মোম জাতীয় পদার্থ থাকে কিন্তু সেটি বেশিদিন থেকে না। তারপরে
আপেল তাজা রাখতে এবং চকচকে করতে এর গায়ে মোম এবং পেট্রোলিয়াম জেল ব্যবহার করা
হয়। যার ফলে শরীরে নানা অসুখ বৃদ্ধি পায় এবং ক্যান্সার হতে পারে।
বাচ্চাদের আপেল খাওয়ার নিয়ম
আমরা সকলেই কমবেশি জানি ছয় মাস বয়সের আগে শিশুকে মায়ের বুকের দুধ ছাড়া অন্য কোন খাবার খাওয়ানো যাবে না। পুষ্টি সমৃদ্ধ আপেল বাচ্চাদের খাওয়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তবে আপেল খাওয়ার ক্ষেত্রে বাচ্চাদের কিছু সাবধানতা রয়েছে এবং নিয়ম মেনে আপেল খাওয়াতে হবে।
আরো পড়ুনঃ গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা
বাচ্চার বয়স ৬ মাস সম্পূর্ণ হলে বাচ্চাকে আপেলের পিউরি খাওয়ানো যেতে পারে। পিউরি তৈরি করার জন্য একটি আপেলের উপরের আবরণ ছড়িয়ে নিয়ে আপেল ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে এরপর আপেলকে সিদ্ধ করে নরম করতে হবে। এভাবে আপনি খুব সহজে আপেলের পিউরি তৈরি করতে পারেন।
যাদের বাচ্চা হয়েছে এবং বাচ্চারা প্রথম খাওয়া শিখেছে। তাদের মায়েরা কিন্তু সবচেয়ে বেশি জানতে চাই যে বাচ্চাদের আপেল খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। বাচ্চা যখন নতুন নতুন খাওয়া শিখেছে সেই সময় কিন্তু বাচ্চাদেরকে সেদ্ধ করা খাবারই খেতে বলা হয় লবণ তেল কোন কিছুই দেওয়া হয় না।
যার কারনে আপেল পিউরি সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার শিশুদের জন্য যেখানে প্রাকৃতিক সুগার থাকার কারণে শিশুরা খুব আনন্দের সাথে আপেল খায়। বাচ্চাদের আপেল খাওয়ানোর জন্য আপনাকে প্রথমে আপেল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে এবং সেই আপেলটিকে সিদ্ধ করে ভালোভাবে চটকিয়ে নিতে হবে এরপরে আপেল চটকানো সেটি খাওয়াতে হবে শিশুকে।
এটি অনেক পুষ্টিকর ও সুস্বাস্থ্যদায়ক যা শিশুর জন্য উপকার হবে। এক বছরের আগে পর্যন্ত শিশুকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে যার মধ্যে তিনি ও লবণ দেওয়া যাবে না যার কারণে আপেলের মধ্যে কোন কিছুই দেওয়া যাবে না শুধুমাত্র সেদ্ধ করে খাওয়াতে হবে।
আপেল খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে
আপনাদের যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা কিন্তু বিভিন্ন ধরনের খাবার
খাওয়ার প্রতি বারণ রয়েছে যার কারণে অনেকেই জানতে চাই যে আপেল খেলে কি
ডায়াবেটিস বাড়ে। গোটা বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে আছে
বিশেষজ্ঞদের মধ্যে শুধু ওষুধ খেয়ে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় না এর পাশাপাশি
জীবনযাত্রা ও খাদ্য অভ্যাস ও পরিবর্তন আনতে হয়।
এ কারণে ডায়াবেটিস ভেসে এসে রোগীদের সতর্কতা দেন বিশেষজ্ঞরা তাদের বাসায়
ডায়াবেটিস হলে শরীরে ঠিকমতো কাজ করতে পারেনা বা পর্যাপ্ত ইলুসিলিন তৈরি হয় না।
তৈরি না হওয়ার কারণে শরীরে শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট কে কাজে লাগাতে পারে না ফলে
শর্করার উপস্থিতি বাড়ে রক্তে।
আরো পড়ুনঃ পুইশাক খেলে কি এলার্জি হয়
তাই চিকিৎসকরা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে এমন খাবার না খাওয়ার পরামর্শ
দেন। আপেল ফল হিসেবে দারুন উপকারি এই ফলটি ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর আর এর স্বাদও
অনন্য। ফলের মধ্যে আপেলের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে আর আপেল গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক ও
তেমন বেশি নয়।
তাই ডায়াবেটিস রোগীরা চাইলে আপেল খেতে পারেন তবে খুব বেশি সংখ্যায় আপেল খাওয়া
ঠিক নয়। ডায়াবেটিস রোগীদের দিনে একটি বা দুইটি আপেল খেতে পারে। সে ক্ষেত্রে
চিকিৎসকও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া ভালো। তবে আপেল খেতে হবে খোসা সহ আপেলের
খোসায় পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
আপেল খেলে কি গ্যাস হয়
আপেল খেলে সাধারণত গ্যাস হওয়ার কথা নয়। আপেলে রয়েছে ফাইবার যা হজম শক্তি
বাড়াতে সাহায্য করে এবং পেটের জন্য বেশ উপকারী ফল। আপেল তবে অনেকের রয়েছেন
যাদের আপেল খেলে বিভিন্ন রকমের গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার কারণে তারা
আপেল খেলে অবশ্যই সাবধানতা সাথে খেতে হবে।
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন আপেল খেলে কি গ্যাস হয় সেই সম্পর্কে আপেল একটি
অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল কিন্তু এই ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে তবে
আপনি যদি আপেল খান খালি পেটে তাহলে কিন্তু আপনার সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত আপেল
খাওয়ার ফলে কিন্তু শরীরে বিভিন্ন রকমের সমস্যা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা
তবে খেয়াল রাখতে হবে আপেলের উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতাও রয়েছে বেশি পরিমাণে
আপেল কখনো খাওয়া যাবেনা। বিশেষ করে আপেলের জুস অ্যাসিডিক বেশি আপেল গ্রহণ করলে
শরীরে এনামেলটা নষ্ট হয়ে যাবে। যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে আপেল বেশি
খেলে তাদের গ্যাস হবে, ব্লুটিং হবে, অস্বস্তি লাগতে পারে, বুকে চাপ চাপ ব্যথা হতে
পারে।
খেয়াল রাখতে হবে যতটুকুই খায় পরিমাণ মতো খাবো ভালো খাবার খাব এবং ভালো থাকবো।
আপেলের মধ্যে প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী এবং
ক্যান্সারের মতো রোগ থেকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে।
আপেল কি ভিটামিন আছে
আপেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের স্বার্থের জন্য অনেক উপকারী। আপেল
আমরা খেয়ে থাকলেও এর গুনাগুন সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন না প্রতিদিন যদি আপনি
একটি আপেল খান তাহলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে প্রচুর পরিমাণে পানি
রয়েছে আপেলে প্রতিদিন অন্তত একটি করে আপেল খেলে দূরে থাকবে অনেক রোগ।
একটি মাঝারি সাইজের আপেল থেকে পাওয়া যায় ৯৫ ক্যালোরি, ২৫ গ্রাম কার্ব, চার
গ্রাম ফাইবার, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন কে। এছাড়া ম্যাঙ্গানিজ, কপার,
ভিটামিন বি ১, বি২, বি৬, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই এর অন্যতম উৎস হলো আপেল।
ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন একটি আপেল খেতে পারেন আপেলে থাকা ফাইবার ও পানি অনেকটা
সময় পেট ভরা রাখে তাই ক্ষুধা লাগে না ওজন কমে।
মস্তিষ্ক ভালো রাখে আপেল।
- আপেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
- লাংসের জন্য উপকারী আপেল শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি কমায়।
- শরীরের জন্য ক্ষতিকর ও কোলেস্টেরল বের করে দেয় আপের এর ফলে হৃদরোগে ঝুঁকি কমে।
আপেলে থাকা পেকটিন প্রিয়বায়োটিক কাজ করে এর ফলে শরীরের জন্য উপকারী ও এতে থাকা
ব্যাকটেরিয়া হজমে সমস্যা দূর করে।
খালি পেটে আপেল খেলে কি হয়
আপনারা কি জানেন খালি পেটে আপেল খেলে কি হয় অনেকেই জানতে চাই যে সকাল
বেলায় খালি পেটে যদি আপেল খাওয়া যায় তাহলে কোন স্বাস্থ্যের অপকার হবে কিনা। ফল
খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
প্রতিদিন খাবারের একটি করে আপেল রাখা খুব ভালো। এতে অনেক পুষ্টি রয়েছে ডায়েটারি
ফাইবার, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, বি৬, কে,
কার্বস, এন্টিঅক্সিজেন, ক্যারোটিনয়েড ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ হাঁসের ডিম খেলে কি প্রেসার বাড়ে
তবে আপেলেও অম্লীয় রয়েছে। আপেল দুই ধরনের এসিড রয়েছে মালিক এবং এককার্বিক এসিড
তাই আপেল খাওয়ার আগে সাবধান হতে হবে আপনার যদি এসিডিটি সমস্যা থাকে তাহলে কখনোই
খালি পেটে আপেল খাওয়া উচিত নয় খাবার খাওয়ার অন্তত দুই ঘন্টা পর আপেল খেতে হবে।
দুধ দই পনির মাখন এর মতো দুগ্ধ জাত পণ্যের সঙ্গে মিশিয়ে ভুলেও আপেল খাবেন না
কারণ আপেলে উপস্থিত সাইত্রী প্রুড এসিড দুধে অবস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিডের সঙ্গে
বিক্রিয়া করে যার কারণে বিভাগীয় বর্জ্য সঠিকভাবে হজম হয় না।
আপনি যদি আপেল থেকে তৈরি মিল্কশেক পান করেন তবে এটি অস্বাস্থ্যকর। কারণ এটি
অন্ত্রের আস্তরণের ক্ষতি করতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় কাঁচা আপেল খাওয়া
এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা আরো বাড়িয়ে দেয়।
আপেল খাওয়ার নিয়ম
আপেল খাওয়ার সঠিক নিয়ম না জানার কারণে কিন্তু অনেকেরই আপেল খাওয়ার ফলে বিভিন্ন
রকমের সমস্যা দেখা দেয় তবে আপনি যদি সঠিক নিয়মে আপেল খেতে পারেন তাহলে কিন্তু
এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য প্রচুর উপকারে আসবে।
প্রতিদিন একটা আপেল ডাক্তার থেকে দূরে রাখে এমন একটা প্রবাদ রয়েছে তবে মনে রাখতে
হবে এই ফল কখনোই যখন তখন খেলে কাজে দিবে না। আপেল খাওয়ার জন্য সঠিক সময় লাগবে
যেই সময় আপনার আপেল খাওয়া দরকার প্রতিটা ফল খাওয়ার আগে নির্দিষ্ট সময় রয়েছে
এই কারণে আপেল খাওয়ারও সুনির্দিষ্ট সময় আছে।
আরো পড়ুনঃ দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত
পুষ্টিবিদদের মতে সকালবেলা আপেল খাওয়া উপযুক্ত সময় কারণ আপেলের খোসা আঁশ ও
পেকটিন সমৃদ্ধ। অনেকে অপর্যাপ্ত ঘুম দেরিতে ঘুম ইত্যাদির কারণে হজম জনিত সমস্যা
দেখা দেয় তাই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আপেল খাওয়া সবচেয়ে ভালো অন্যান্য ফলের
তুলনায় সকালে আপেল খাওয়া অন্ত্রের কি অসুস্থ ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
দ্বিতীয়ত পেকটিন ল্যাকটিক অ্যাসি সুরক্ষিত রাখতে এবং কোলনে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া
ভালোভাবে বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যা পরিবর্তিত পচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে
সহায়তা করে। এছাড়াও পেকটিন টক্সিন এর পরিমাণ কমাতে এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী
উপাদান কারসিনোজেন্স দূর করতে সাহায্য করে।
আপেল খেলে কি ঠান্ডা লাগে
শীতকালে দেখতে পাবেন বাজার ভর্তি আপেল টাটকা শাকসবজিও পাবেন সাথে আপনি ফল হিসেবে
আপেল কিনতে পারেন খাওয়ার জন্য। তবে আপেল খেলে কি ঠান্ডা লাগে এই সম্পর্কে অনেকেই
জানতে চাই এটি শীতের ফল হওয়ার পরেও কিন্তু সারা বছরই আপেল পাওয়া যায় বাজারে।
একটি আপেলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি ভিটামিন খনিজ এবং ফাইবার আপেলের রক্তে সরকারের
মাত্রা এবং কোলেস্টেরল ঠিক রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে একদম সঠিক কথা
কারণ একটি আপেল থাকা সকল পুষ্টি ভিটামিন খনিজ ফাইবার শরীরকে সুস্থ রাখে যার কারণে
নিয়মিত আপেল খেতে হবে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং হার্টের
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ কোন কোন সবজি খেলে ওজন বাড়ে
শেখ মৌসুমে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে শরীরের রক্তনালী গুলো সংকুচিত হতে পারে এর ফলে
রক্তচাপ বেড়ে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকে ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই এই মৌসুমী
আপেল খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। আপেলে থাকা পুষ্টি উপাদান এই সমস্যা কমিয়ে আনে।
আপেলে থাকা পেকটিন এবং ম্যালিক এসিড হজমে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে আপেল তাই এইসব রোগী আপেল খেলে সমস্যা নেই। এছাড়া
ওজন কমানোর জন্য আপনারা নিয়মিত আপেল খেতে পারেন। এছাড়া ও যারা মনে করেন যে শীতে
আপেল খেলে ঠান্ডা লাগে সম্পূর্ণ ভুল ধারণা আপনারা আপেল খেতে পারেন শীতকালে এতে
কোন সমস্যা হবে না।
লেখকের মন্তব্য। বাচ্চাদের আপেল খাওয়ার নিয়ম।খালি পেটে আপেল খেলে কি হয়
বাচ্চাদের আপেল খাওয়ার নিয়ম ও খালি পেটে আপেল খেলে কি হয় এ সম্পর্কে
বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে যেহেতু আমরা নিয়মিত আপেল খেয়ে থাকি তাই আমাদের
অবশ্যই এ বিষয়গুলো জেনে রাখা উচিত।নিয়ম অনুযায়ী বাচ্চাদের কলা খেতে দেওয়া
উচিত অতিরিক্ত আপেল খেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।যেকোনো প্রকার ফল
নিয়ম অনুযায়ী খাওয়া উচিত অতিরিক্ত কোন কিছু ভালো নয়।
আশা করি আমাদের এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে আপনারা বাচ্চাদের আপেল
খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার
কাছে কতটা উপকারী বলে মনে হচ্ছে তা আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন।এছাড়া এ
ধরনের স্বাস্থ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে হলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে
থাকুন।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url