কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় - কোমর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম কি

প্রিয় পাঠক আপনি কি কোমরের ব্যথা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন?কিন্তু ব্যথা কমানোর কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না? তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য।আজকের আজকের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় ও কোমর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম কি তা জানতে পারবেন।
কোমরের-ব্যথা-কমানোর-ঘরোয়া-উপায়
সেই সাথে আজকের আর্টিকেল থেকে মাজার ব্যথা কি কারণে হয়, কোমর ব্যথা সরানোর সহজ উপায়, কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ, এবং মহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে পারবেন।তাই চলুন আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাটুকু শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় ও কোমর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম কি  তা জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃকোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়।কোমর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম কি 

ভূমিকা।কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়।কোমর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম কি 

প্রিয় পাঠক আমরা অনেকেই কোমর ব্যথা মাজা ব্যথা বাত ব্যথায় এমন সমস্যায় সম্মুখীন রয়েছি হাজারো মানুষ।বর্তমান সময়ে এই রোগ গুলো সবার মাঝে আস্তে আস্তে বিস্তার করছে।এছাড়া আমরা অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে কোমরের ব্যথা নিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় রয়েছি।
দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন ডাক্তার দেখিয়ে কোন ফলাফল খুঁজে পাচ্ছেন না।এক্ষেত্রে আজকের এই পড়বে আমরা আপনাদের কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় এবং কোমর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম কি  তা নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।

হতে পারে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য উপকৃত।কোমরে ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে আপনি কি অবশ্যই আমাদের আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ অংশ পড়তে হবে।কেননা এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস টিপস শেয়ার করা রয়েছে।তাই আপনি যদি কোমরের ব্যথায় সমস্যা সমাধান করতে চান তাহলে কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় ও কোমর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম কি  তা জেনে নিন।

মাজার ব্যথা কি কারনে হয়

বর্তমান সময়ে প্রায় মানুষেরই মাজার ব্যাথা হয় তবে আপনারা কি জানেন মাজার ব্যথা কি কারনে হয়। মাজার ব্যথার সমস্যা নিয়ে আমরা প্রায় সবাই অনেকেই ভুগি। লিগমেন্ট হলো সুতোর মতো টিস্যু যা বিভিন্ন হার ও জয়েন্ট এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শরীরের পেশিও লিভমেন্ট হঠাৎ করে টান অথবা চাপ খেলে কোমরে বা মাজায় ব্যথা অনুভব হয়।

মেরুদন্ডের হাড় গুলোর মাঝে কিছু বিশেষে চাকরি বা ডিস্ক থাকে। এসব ডিস্ক সরে গেলে পিট ও কোমরে ব্যথা হয় পাশাপাশি কোমর নিতম্ব ও পায়ের ঝিমঝিম বা খচখচ করা বোধ কমে যাওয়া ও দুর্বলতার মত লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে। কখনো কখনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই ব্যথা হতে পারে এমনকি মানুষের চাপে থাকলেও এ ধরনের ব্যথা দেখা দেয়।
কোমরে ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ হলো কর্মস্থলে সঠিকভাবে বসে কাজ না করা। আরেকটি কারণ বসার চেয়ারের কাঠামোগত ত্রুটি দীর্ঘ সময় টানা বসে কাজ করলে আমাদের মেরুদন্ডের সামনের দিকে মাংসপেশী সংকুচিত এবং পিছনের দিকের মাংস পেশী প্রসারিত হয় এই কারণে দেহে পেশির ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়।

তখন মেরুদন্ডের মাঝখানে থাকার ডিস্ক এর ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয় এই চাপ থেকে ধীরে ধীরে ব্যাথার সৃষ্টি হয় এছাড়া একটানা বসে কাজ করার কারণে অনেক সময় ঘাড় ও পিঠে ব্যথা হতে পারে। যারা দেশকে বসে কাজ করেন অফিস আদালত কিংবা ব্যাংকে হাসপাতাল বসার কাজ করেন দীর্ঘ সময় তারা সাধারণত চেয়ারে বসে ঝুকিয়ে কাজ করেন।

এই জন্য পেটের মাংসপেশি ও পায়ের সম্যকভাবে মাংসপেশি সংকুচিত থাকে এভাবে সংকুচিত থাকতে থাকতে এই সব জায়গার মাংস পেয়েছি একসময় শক্ত হয়ে যায়। এইসব ব্যথার জন্য প্রচলিত ব্যথার ওষুধ খেয়ে কোন উপকার আসে না এইজন্য দরকার সঠিক দেহ বিন্যাস জেনে সেই মোতাবেক কর্মস্থলে কাজ করা।

কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়

কোমরের ব্যথা সারানোর সহজ উপায় সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেকেই জানতে চান যাদের কোমরের ব্যথা নিত্যদিনের সঙ্গী তারা কিন্তু চাই যে সহজ উপায় অবলম্বন করে এই ব্যথা থেকে নিস্তারন পেতে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোমরের ব্যথা সারানোর সহজ উপায় গুলো।
  • এক জায়গায় বেশি গুন বসে থাকা যাবে না এতে কোমরের ব্যথা হতে পারে।
  • বসা থেকে উঠে মাঝে মধ্যে ব্যায়াম করতে পারেন এই জন্য কোমর ভাত করে কিছু শরীর চর্চা করতে পারেন তবে কখনোই মাটিতে বসে কাজ করবেন না।
  • নরম ম্যাট্রেস বা ফোরামের বিছানায় ঘুমাবেন না।
  • হালকা গরম সেঁক: কোমরের ব্যথাযুক্ত স্থানে হালকা গরম কাপড় দিয়ে সেখ দিতে পারেন গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে রেখে যন্ত্রণা কমবে এবং আরাম পাবেন।
  • তেল মালিশ : কালোজিরা মেথি ও রসুন সরিষার তেলে ভিজিয়ে নিন এই তেল একটি পাত্রে রেখে হালকা গরম থাকা অবস্থায় কোমরের ব্যথাযুক্ত জায়গায় মালিশ করতে হবে।
  • খাবার : কোমরের ব্যথা কমাতে আধা খান আদার মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম পটাশিয়াম নার্ভের সমস্যা দূর করে এতে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • ব্যায়াম : আপনাদের যদি কোমরে ব্যথা থাকে তাহলে অনেক সময় ঘরে বসে কাজ করার জন্য হতে পারে। বসা থেকে উঠে মাঝেমধ্যে ব্যায়াম করতে পারেনি এজন্য কোমর ভাঁজ করে কিছু শরীরচর্চা করতে পারেন। তবে কখনোই মাটিতে বসে কাজ করবেন না।
  • বিছানা : নরম ম্যাট্রেস বা ফোরমের বিছানায় ঘুমাবেন না এতে কোমরের ব্যথা আরো বাড়তে পারে এই জন্য এই সকল বিষয়ে নজরে রাখতে হবে।
উপরের দেওয়া এই সহজ উপায় গুলো আপনি যদি অবলম্বন করেন তাহলে কিন্তু আপনার কোমরের ব্যথার আস্তে আস্তে কম হবে।

কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ

প্রায় মানুষেরই কোমরের ব্যথা হতে পারে ঘন ঘন কোমরে বা পিঠে ব্যথা হলে কিসের লক্ষণ হতে পারে এই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই এই জন্য এই সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

জেনে রাখা উচিত কিডনি রোগের উপসর্গ গুলো একটি কোমরের ব্যথা হলো আরও অনেক কারণ রয়েছে কিডনি রোগী এর একমাত্র কারণ নয় আবার রোগ বেঁধে কোমরের ব্যথা তীব্রতা ও তারতম হয় তাই কোমরের ব্যথা মানে কিডনির রোগ এমনকি ভাবার কোন কারণ নেই।
অস্টিওপরোসিস হাড়ের একটি বিশেষ রোগ পুরুষের চেয়ে নারীরা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে বেশি তবে আগে থেকে লক্ষণ জানা থাকলে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব এই রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে সবাই সাবধান থাকা উচিত। জি নিউজ অবলম্বন জেনে নিয়ে অস্টিওপোরোসিসের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়। যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনি অস্টিওপরোসিস রোগে ভুগছেন।

অস্টিওপোরোসিসে নিঃশব্দে ক্ষতি করে তাই প্রথম থেকে লক্ষণ বোঝা অনেক মুশকিল। তবুও সবসময় সজাগ থাকুন ঘনঘন পিঠে ব্যথা হলে পেশীতে যন্ত্রণা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তাই যখন এই সকল লক্ষণ দেখবেন তখন দ্রুত যে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে এই রোগ থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য।

কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

মেয়ে ও ছেলে উভয়েরই বর্তমান সময়ের কোমরের ব্যথা দেখা যাচ্ছে বেশির ভাগ্য কোমরের ব্যথা প্রকৃত কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না প্রয়োজনীয় ওষুধ আর ব্যায়ামের মাধ্যমে কোমরের ব্যথায় আক্রান্ত রোগী সাধারণত তিন মাসের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
কিন্তু এর চেয়ে বেশি সময় ধরে কোমরের ব্যথা যদি হয় তাহলে কিন্তু চিন্তার বিষয় এই জন্য অবশ্যই আপনাদেরকে কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে হবে এতে আপনারা খুব সহজে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে আপনারও কোমরের ব্যথা কমাতে পারেন।এছাড়া যেসব ঘরোয়া উপায়ে কোমরের ব্যথা দূর করা যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো:

সেঁক দেওয়া: কোথাও ব্যথা হলে প্রাথমিকভাবে শেখ দিলে অনেকটা ভালো ফল পাওয়া যায় এই জন্য কোমরে যেখানে বাধা অনুভব হয় সেখানে গরম শেখ দিতে পারেন ব্যথা কিছুটা হলে কমে যাবে ঝামেলা এড়াতে হিট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন এর মধ্যে গরম পানি ঢেলে কোমরে যেখানে ব্যথা সেখানে রাখতে পারেন।

হলুদ : প্রতিদিন নিয়ম করে দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে কোমরের ব্যথা কমতে পারে।

আদা: কোমরের ব্যথা আলাদা দারুণ কার্যকর কারণ এতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে আর পটাশিয়ামের অভাবে নার্ভের সমস্যা দেখা দেয় তাই প্রতিদিন নিয়মিত আদা খেলে কোমরের যন্ত্রণা অনেকটা কমে যেতে পারে।

মেথি বীজ: মেথিবীজ ও গুঁড়ো দুধ এক সঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন এরপর ব্যথার জায়গা মিশ্রণটি লাগালে অনেকটা উপকার পাবেন।

লেবুর শরবত: লেবুর হতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি এ টি কোমরের ব্যথা বা মাজার ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকরী।

এলোভেরা : অ্যালোভেরা শরবত প্রতিদিন নিয়ম করে খেলে কোমরের ব্যথা আস্তে আস্তে কমে যাবে।
ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাদ্য : নিয়ম করে খেলে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। তাই নিয়ম করে দুধ, ঘ, চিজ, ফল, শাকসবজি, বাদাম ইত্যাদি খেতে হবে কোমরের ব্যথা কম করার জন্য।

মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

মহিলাদের প্রায় সময়ই শোনা যায় যে কোমরের ব্যথা আসলে মহিলাদের কোমরের ব্যথার কারণ কি সে সম্পর্কে কি একবার জানার চেষ্টা করেছেন মহিলাদের কোমরের ব্যাথা একটি সাধারণ সমস্যা বিভিন্ন কারণে এই ব্যথা হতে পারে কিছু ক্ষেত্রে ব্যথা হালকা হয় এবং সহজে নিরাময় করা যায়।
আবার কিছু ক্ষেত্রে ব্যথা তীব্র হতে পারে এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। মহিলাদের কোমরের ব্যথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
মহিলাদের কোমরের ব্যথার কারণ গুলো হল:
  • মাসিক : মাসিকে সময় জরায়ু সংকুচিত হওয়ার ফলে কোমরে ব্যথা হতে পারে।
  • পেশি টান : ভারী জিনিস তোলা ভুল ভঙ্গিতে বসা বা দাঁড়ানো বা অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে পেশিতে টান পড়তে পারে এবং কোমরে ব্যথা হতে পারে।
  • গর্ভাবস্থা : গর্ভাবস্থায় শরীরের ওজন বৃদ্ধি এবং হরমোনের পরিবর্তনের ফলে কোমরের ব্যথা হতে পারে।
  • মানসিক চাপ : মানসিক চাপের কারণেও শরীরে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে যার মধ্যে কোমরের ব্যথা অন্যতম।
  • অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা : অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস, ধূমপান, অ্যালকোহল পান ব্যায়াম এর অভাব ইত্যাদি অস্বাস্থ্যকর জীবনধারার কারণেও কোমরে ব্যথা হতে পারে।
  • মেরুদণ্ডের সমস্যা : স্পন্ডালাইটিস, অস্টিওআর্থারাইটিস বা ডিস্ক হারেনিয়েশনের মতো মেরুদন্ডের সমস্যা গুলি কোমরের ব্যথার কারণ হতে পারে।
  • অন্যান্য কারণ : কিডনির পাথর, ইউটিআই, এন্ডোমেট্রিওসিস এবং ফাইব্রোমিয়ালজিয়ার মতো অন্যান্য অবস্থায় কোমরের ব্যথা হতে পারে।
মহিলাদের কোমরের ব্যথার প্রতিকার :
  • বিশ্রাম : ব্যথা তীব্র হলে কিছু দিন বিশ্রাম নেওয়া উচিত এতে আপনার ব্যথা কমতে পারে।
  • ব্যথার ঔষধ : ব্যথার ঔষধ, যেমন আইবুপ্রোফেন বা অ্যাসিটামিনোফেন, ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • সঠিক ভঙ্গি : বসা দাঁড়ানো এবং জিনিসপত্র তোলার সময় সঠিক ভঙ্গি বজায় রেখে কোমরের উপর চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম : নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের শক্তি ও নমনীয়তা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং কোমরের ব্যাথা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারি।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন কোমরের উপর চাপ সৃষ্টি করে যার ফলে কোমরের ব্যথা হতে পারে এই জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
  • ফিজিওথেরাপি : ফিজিওথেরাপিস্ট ব্যথা কমাতে এবং শরীরের শক্তি ও নমনীয়তা বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে।
মহিলাদের কোমরের ব্যথা প্রতিরোধ :
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা
  • সঠিক ভঙ্গিতে বসা ও দাঁড়ানো
  • ভারী জিনিস তোলার সময় সর্তকতা অবলম্বন করা
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস বজায় রাখা
  • মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা।
আশা করি মহিলাদের কোমরের ব্যথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আপনারা বুঝতে পেরেছেন উপরের এই উপায় গুলো মানলে অবশ্যই ব্যথা থেকে নিস্তার পাবেন।

কোমর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম কি

কোমরের ব্যথার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। দৈনন্দিন জীবনে কাজ করার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কোমরের ব্যথা হওয়ার কারণে ভারী জিনিস ওঠাতে পারা যায় না এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কোমরের ব্যথার সমস্যা সম্পর্কে জানানো যায়। প্রায় মহিলাদেরই কোমরের ব্যথা হতে পারে যার কারণ সম্পর্কে আমরা উপরে আলোচনা করেছি এবং প্রতিকার সম্পর্কেও জানিয়েছি।
তবে সেই সকল প্রতিকারের মাধ্যমে যদি কোমরের ব্যথা নিস্তার না হয় তাহলে আপনি কোমরের ব্যথা ট্যাবলেট খেতে পারেন তবে তার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে কোমরের ব্যথা ট্যাবলেটের নাম কি সেই সম্পর্কে আপনারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। চলুন জেনে আসি কয়েকটি কোমর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম কি  সম্পর্কে।
  • Esgipyrin 50 Mg/500Mg Tablet
  • Vivian plus 50 Mg/500Mg Tablet
  • Duoflam N Tablet
  • Mexrel Tablet
  • Reaction plus 50mg /500 mg tablet
  • Dicopin 50Mg/500 mg tablet
আশা করি আপনারা ওপরে দেওয়া কোমরের ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ট্যাবলেট খেতে হবে।

মহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়াম

আপনারা হয়তো অনেকেই জানতে চান মহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়াম সম্পর্কে বেশিরভাগ নারীদেরই কোমরে ব্যথা দেখা যায় এটি খুব সাধারণ সমস্যা যার কারণে মহিলাদের কোমরের ব্যথার ব্যায়াম সম্পর্কে জেনে রাখা দরকার এতে আপনি যদি কোমরের ব্যথায় সমস্যায় ভোগেন তাহলে খুব সহজেই ব্যায়াম করার মাধ্যমেই ব্যথা থেকে একটু আরাম পাবেন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অসতর্কতা হাঁটাচলা বা ওঠা বসার কারণে কোমরে ব্যথা হতে পারে সঠিকভাবে হাঁটাচলা বা ওঠাবসা করলে কোমরের ব্যথা সাধারণত হয় না। কিছু ব্যায়াম কোমরের ব্যথা প্রশমন সাহায্য করে এমন কি ওষুধের চেয়েও ভালো ফল দেয় খুব অল্প সময়ে সহজ করা যায় এমন কিছু ব্যায়ামের কথা জেনে নেওয়া যাক। এই ব্যায়াম প্রতিদিন রাতে ও সকালে বিছানায় শুয়ে করতে পারেন সময় লাগবে সর্বোচ্চ সাত মিনিট।

সমতল হালকা নরম বিছানায় টিট হয়ে শুয়ে দুই হাত শরীরের দুই পাশে রেখে দুই পা সোজা করে শুতে হবে। এরপর হাঁটু ভাজ না করে এক পা উপরের দিকে তুলুন যতদূর সম্ভব 10 সেকেন্ড পা তুলে রাখতে হবে বা ১০ গোনা পর্যন্ত পা তুলে রাখতে পারেন একইভাবে অপর পা ওপরে তুলুন এবং একই নিন।
এবার একইভাবে হাঁটু ভাজ করে একই সঙ্গে দুই পা তুলতে হবে এবং একই সময় নিন।
  • এবার এক হাঁটু ভাজ করে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে হাঁটুকে বুকে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে এভাবে দশ সেকেন্ড পার করতে হবে একইভাবে ওপর হাঁটুতে বুকে লাগাতে হবে এবং একই সময় পার করুন।
  • এবার একসঙ্গে দুই হাঁটু ভাজ করে দুই হাত জড়িয়ে বুকে লাগাতে হবে।
  • সর্বশেষ ধাপটি হল দুই পা সোজা করে পায়ের পাতার দিকে সটান করে 10 সেকেন্ড রাখতে হবে।
  • প্রতিটি ধাপে দশ সেকেন্ড দীর্ঘায়িত হবে বা ১০ গুনা পর্যন্ত করতে হবে এই ধাপগুলো অনুসরণ করে দুই তিনবার সকাল রাত করতে হবে। যা কোমরের মাংসপেশির প্রধান হোক আমায় ও শক্তিশালী করে তোলে ফলে কোমরের ব্যথা কমে আসে।

শেষ কথা।কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়।কোমর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম কি 

সম্মানিত পাঠক আশা করছি আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে আপনি ইতিমধ্যে কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় ও কোমর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম কি  সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে আপনার কোমরের ব্যথা কি ধরনের তা ভালো ডাক্তার দেখিয়ে আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।
এছাড়া কোমরে ব্যথা কমানোর জন্য মহিলাদের কিছু ব্যায়াম রয়েছে এগুলো নিয়মিত করতে হবে।আশা করছি আপনি উপরে সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত থাকলে মাজার ব্যথা ও কোমরের ব্যথা খুব সহজেই দূর করতে পারবেন।এছাড়াও আপনি যদি স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার নিয়ে আরো আপডেট তথ্য পেতে চান তবে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url