দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত - সবচেয়ে ভালো খেজুর কোনটি
সম্মানিত পাঠক ও বন্ধুগণ আসসালামু আলাইকুম, আপনি নিশ্চয়ই দিনে কয়টা খেজুর
খাওয়া উচিত এবং সবচেয়ে ভালো খেজুর কোনটি ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য।কেননা আজকের আলোচনা থেকে
আপনি দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত হবে তা জানতে পারবেন।
একই সাথে আপনি মরিয়ম খেজুর চেনার উপায়, ১ কেজি খেজুরের দাম কত, অতিরিক্ত খেজুর
খেলে কি হয় খেজুর খেলে কি প্রেসার বাড়ে এমন সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে
পারবেন।তাই আলোচনাটুকু সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত
এবং সবচেয়ে ভালো খেজুর কোনটি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
পোস্ট সূচিপত্রঃদিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত সবচেয়ে ভালো খেজুর কোনটি
খেজুর খেলে কি প্রেসার বাড়ে
খেজুর অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি উপাদান যা খাওয়ার ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক
উপকার আছে তবে অনেকেই জানতে চাই খেজুর খেলে কি পেশার বাড়ে। বাংলাদেশ বাজার
ইতিমধ্যে গাছ পাকা রসালো আম ওঠা শুরু করেছে আম পাকার মাধ্যমে এই তীব্র গরমে
কিন্তু খেজুরও পারতে শুরু করবে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে খেজুর অনেক ভালো কাজ
করে।
এতে রয়েছে পটাশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। খেজুর
খেলে নারী ও পুরুষ উভয়েরই যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায় খেজুরের অনেক উপকারিতা রয়েছে।
অনেকেই উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ আনতে খাদ্য তালিকায় অনেক
পরিবর্তন এনেছেন কিন্তু আপনার খাবার খেয়েও রক্তচাপ রাখতে পারেন নিয়ন্ত্রণে এমনই
একটি খাবার হচ্ছে খেজুর এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
আপনার পেশার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আপনি দৈনিক খেজুর খেতে পারেন তবে অবশ্যই এটা
সঠিক নিয়মে এবং সঠিক পরিমাণে খেতে হবে। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাতে খেজুর
খান পাশাপাশি নিয়মিত শরীর চর্চা করলে এবং ডায়েটের দিকে নজর রাখলে অল্প দিনে
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে শুরু করবে। এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে এক্ষেত্রে
খেজুর কে কাজে লাগাতে হবে।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ০৩ টা খেজুর খেতে হবে। খেজুর খাওয়ার সময় সঙ্গে সঙ্গে
এক গ্লাস গরম পানি পান করতে হবে।টানা এক মাসে এইভাবে খেজুর এবং গরম পানি পান করলে
দারুন উপকার পাবেন। যদি খেজুর খেতে মন্দ না লাগে তাহলে এক মাসের পরেও খেতে পারেন।
অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয়
যেকোনো খাবারই প্রয়োজনে থেকে বেশি খাওয়া কিন্তু ঠিক নয় অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি
হয় এবং দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত এই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন আমাদের কাছে আসলে যে কোন খাবার তার সঠিক
পরিমাণে খাওয়ার ফলে উপকার পাওয়া যাবে তবে এর বেশি খাওয়ার ফলে কিন্তু উপকারের
বেড থেকে বেশি উপকার হয়।
অনেকের নিয়ম করে খেজুর খায় তবে অনেকেই বেশি পরিমাণে খেজুর খাওয়ার ফলে কিন্তু
পেটে গেছে সমস্যা দেখা দেয় পুষ্টিবিদরা বলেছেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেজুর খেলে
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ছাড়াও পেট ফাঁপা ও ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে খেজুরে
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তবে অতিরিক্ত ফাইবার হিট এর
বিপরীত হতে পারে।
এছাড়াও খেজুর সংরক্ষণে সালফাইড নামক রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয় এর
সালফাইড শরীরের ভেতরে এবং বাইরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এর প্রভাবে ত্বকের র্যাশ,
চুলকানি, লাল হয়ে যাওয়া সহ নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও অতিরিক্ত
পরিমাণে খেজুর খাওয়ার ফলে কিন্তু ওজন বৃদ্ধি পায় এই জন্য অবশ্যই ওজন বৃদ্ধি করে
ফেলবে খেজুর।
তবে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেজুর খেলে হতে পারে নানা সমস্যা।
তাই যতই স্বাস্থ্যকর হোক না কেন যে কোন খাবারই সেটা অতিরিক্ত খাওয়া ভালো না।
খেজুরের ক্ষেত্রেও এই কথা প্রযোজ্য অতিরিক্ত খেজুর খেলে পেটে সমস্যা, শ্বাসকষ্টের
সমস্যা, ওজন বেড়ে যাওয়া সহ নানা রকমের সমস্যা হতে পারে।
দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত
যারা নিয়ম করে খেজুর খেতে চায় তারা কিন্তু জানতে চাই যে দিনে কয়টা খেজুর
খাওয়া উচিত আসলে যে কোন খাবার নিয়ম করে যদি আপনি খান তাহলে কিন্তু সেটার উপকার
পাবেন সুস্বাদু এবং বেশ পরিচিত একটি ফল খেজুর। খেজুরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস যেমন কপার ম্যাগনেসিয়াম কয়েলসিয়াম ফসফরাস আইরন
ইত্যাদি।
উপাদান সমৃদ্ধ এই খেজুর শরীরের জন্য অনেক উপকারী তাই শুধু রমজান মাসই নয় সারা
বছরই খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখতে পারেন। খেজুর পুষ্টি কিনে সমৃদ্ধ একটি ফল এর
জন্য খেজুর খাওয়ার ফলে কিন্তু আমাদের শরীরে শক্তির যোগান বৃদ্ধি পায় ক্লান্ত
শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে শক্তি দিতে পারে খেজুর। এছাড়া নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে
দিনের কর্মব্যস্ততা ক্লান্তি ভাব দূর হয় অনেকটাই।
খেজুর প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি একটি ফল তাই খেজুরে চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে
পারেন বিভিন্ন দুধ জাতীয় খাদ্যে চিনির পরিবর্তে খেজুর যোগ করতে পারেন তবে
নিয়মিত বেশি পরিমাণে খেজুর খেলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হতে পারে। একজন ব্যক্তির
দিনে কয়টা খেজুর খেতে পারবে সেটা নির্ভর করে তার শারীরিক অবস্থার ওপর।
একজন সুস্থ ব্যক্তি সকালে, মধ্যকালীন নাস্তা বা বিকালের নাস্তায় দুই থেকে তিনটি
খেজুর খেতে পারেন। যারা ব্যায়াম বা কায়িক পরিশ্রম করেন তারা পরিশ্রম শেষে চার
থেকে পাঁচটা খেজুর খেতে পারেন যারা ওজন বাড়াতে চান তারা দুধের সঙ্গে কয়েকটা
খেজুর মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনি যদি নিয়মিত খেজুর খান তাহলে কিন্তু আপনার অবশ্যই জানতে হবে খেজুর খাওয়ার
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আসলে যে কোন খাদ্যগণেরই প্রকার ও অপকারদিক রয়েছে
তার কারণে আপনাকে অবশ্যই জেনে রাখতে হবে যে আপনি কি উপকার পাবেন খেজুর খাওয়ার
ফলে আবার অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর খাওয়ার ফলেও কিন্তু ক্ষতিও হয়।
উপকারিতা :
- খেজুর নানা ভিটামিনের পরিচ্ছন্ন থাকায় এটি মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনা গতি বৃদ্ধি রাখে সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রের কর্ম ক্ষমতা বাড়াই।
- প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি খেজুরে থাকার কারণে খুব দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে কর্মশক্তি বৃদ্ধি করে খেজুর খাওয়ার ফলে।
- যকৃতের সংক্রমণে খেজুর উপকারি এছাড়া গলা ব্যথা বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি এবং ঠান্ডার জন্য খেজুর উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে খেজুর।
- খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্য। দৃষ্টির শক্তি বৃদ্ধি করতে খেজুর খাওয়া অনেক বেশি উপকারী এটি রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতে ভূমিকা রাখে।
- বয়সের সঙ্গে দেখা দেয় পেশির নানান জটিলতা আর এই পেশির জটিলতা এড়াতে ভালো কাজ করে প্রোটিন খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে।
- বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগ ও স্ট্রোকেট ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। এই ঝুঁকি কমাতে পারে খেজুর এই জন্য হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করে।
অপকারিতা:
প্রতিটি জিনিসের যেমন উপকার রয়েছে তার কিন্তু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে
প্রত্যেক জিনিসের উপকারের পাশাপাশি অপকারিতা থাকে। তবে খেজুর এমন একটি ফল যার
অপকারিতা খুবই কম তবে ডায়াবেটিস রোগীরা এই ফল খেতে পারেন। তবে যাদের
ডায়াবেটিসের মাত্রা বেশি এই ফল খাওয়া অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
এছাড়া যাদের দেহে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি তারা এই ফল খাওয়া থেকে সতর্কতা
অবলম্বন করবেন। অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার ফলেও কিন্তু নানা রকমের সমস্যা সৃষ্টি হয়
যেমন ওজন বৃদ্ধি পায়, শ্বাসকষ্ট, পেটের সমস্যা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। এইজন্য
খেজুর খাওয়ার সময় অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমাণে খেজুর খেতে হবে।
মরিয়ম খেজুর চেনার উপায়
আপনারা ইতিমধ্যে হয়তো জানতে পেরেছেন মরিয়ম খেজুর অত্যন্ত উপকারী এবং সবচেয়ে
ভালো খেজুর হচ্ছে মরিয়ম খেজুর। তবে অনেকেই জানতে চাই যে মরিয়ম খেজুর চেনার
উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানেনা কিভাবে মরিয়ম খেজুর চিনবেন। মরিয়ম খেজুরের নাম
কমবেশি সকলের কাছে পরিচিত অনেকের কাছে অতি প্রিয় এই মরিয়ম খেজুর।
পাকিস্তান ইরাক আলজেরিয়া মিশর মদিনা ও ইরানে ব্যাপকভাবে মরিয়ম খেজুরের চাষ হয়
তবে মদিনায় মরিয়ম খেজুরের স্বাদ অন্যান্য মরিয়ম খেজুরের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন
এই অঞ্চলের মরিয়ম খেজুর অন্যান্য যে কোন খেজুরের চেয়ে বেশি ফজিলত পূর্ণ এবং
সুস্বাদু হয়। প্রাকৃতিক স্বাদে ভরা এই প্রিমিয়াম মরিয়ম খেজুর চেনার কিছু ধরন
রয়েছে ভালো মরিয়ম খেজুর চেনার উপায় হল :
- ভালো মরিয়ম খেজুর সাধারণত কুঁচকানো থাকবে।
- এই খেজুরে কোনরকম পোকামাকড় থাকবে না।
- সৌদি আরবের আসল মরিয়ম খেজুর খেতে খুবই সুস্বাদু হয়।
- আলজেরিয়াতে একপ্রকার ফল পাওয়া যায় যা দেখতে প্রায় মরিয়ম খেজুরের মতোই আলজেরিয়ার এই ফলমরিয়ম খেজুরের চেয়ে অনেকটা কম কুঁচকানো থাকে।
- মরিয়ম খেজুর ভাঙলে এর বিচির উপর একটা পাতলা সাদা আবরণ পাওয়া যাবে।
- এই খেজুর যেমন বেশি হলুদ হয় না বা তেমনি বেশি কালো হবে না প্রায় মাঝে মাঝে এক ধরনের রং থাকবে।
- মরিয়ম খেজুরের গায়ে ছোট ছোট কিছু দাগ আছে এর মত থাকবে যা দেখতে অনেকটা বাদামি রঙের হয়।
- এই মরিয়ম খেজুর খেয়ে স্বাদ পরীক্ষা করেও চেনা যায়।
সবচেয়ে ভালো খেজুর কোনটি
আপনারা কি সবচেয়ে ভালো খেজুর কোনটি সে সম্পর্কে জানতে চান অনেকেই কিন্তু জানে না
সবচেয়ে ভালো খেজুর গুলো এবং কোন খেজুর গুলো খেলে সবচেয়ে ভালো কাজ করবে। খেজুর
স্বাদেও যেমন সুস্বাদু এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক।
তাই স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে খেজুর একটি সুপারফুট হিসেবে বিবেচিত। যারা
প্রক্রিয়ার জাত চিনি বা মিষ্টি গ্রহণে অনিচ্ছুক তারা যেন খেজুর একটি সেরা বিকল্প
এইজন্য সারা বিশ্বে প্রায় তিন হাজার প্রজাতির খেজুর রয়েছে। সবচেয়ে ভালো খেজুর
কোনটি তা চেনার উপায় নিচে দেওয়া হল :
- ভালো মানের খেজুর চামড়া সাধারণত একটু কুচকানো হয় তবে শক্ত নয় আবার উপরে চামড়া বেশি নরমও হয় না তবে চকচকে ও উজ্জ্বল হয়।
- ভালো কিংবা খারাপ বা নিম্নমানের খেজুর কি না তা যাচাই করার জন্য উপায় হল খেজুরের উপস্থিতি মিষ্টির মাত্রায় স্বাদ নেওয়া খেজুর প্রাকৃতিক ভাবে মিষ্টি থাকায় সহনীয় পর্যায়ে হয় তাই অতিরিক্ত মিষ্টি স্বাদের খেজুর কৃত্রিম কিছু মেশানো থাকতে পারে।
- ভালো খেজুর চেনার আরো কৌশল হলো পিঁপড়া ও মাছের উপস্থিতি লক্ষ্য করার যদি দেখেন খেজুরের সামনে মাটি ও পিঁপড়াবির করছে তার মানে সেটি ভালো খেজুর না এটি পরীক্ষা করতে ঘরের কোন খোলা স্থানে খেজুর রাখুন এরপর পরীক্ষা করুন।
- খেজুর সাধারণত দেড় বছর পর্যন্ত ভালো থাকে তবে ফ্রিজের নরমালে রাখলে খেজুর সবচেয়ে বেশি ভালো থাকে।
- খেজুর কেনার আগে কোন দেশের টা কিনছেন তা জেনে নেওয়া জরুরী খেজুর উৎপাদনের দিক থেকে মিশর বিশ্বের প্রথম এরপর ইরান ও সৌদি আরবের অবস্থান তৃতীয়।
বিভিন্ন ধরনের খেজুরের মধ্যে আজওয়া, আনবারা সাগি বা সুগায়ি,
সাফাওয়ি,মুসকানি,মরিয়ম খেজুর অন্যতম। এছাড়াও আরো রয়েছে খালাস,ওয়াসালি,
বেরহি,শালাবি, ডেইরি, মাবরুম, ওয়ান্নাহ, সেফরি, সুক্কারি, খুদরি ইত্যাদি এই দেশে
আজওয়া ও মরিয়ম খেজুরের চাহিদা বেশি।
১ কেজি খেজুরের দাম কত
খেজুর খুবই উপকারী ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেজুরের উপকারী অনেক যা বলে শেষ করা
যাবেনা এছাড়াও রমজান মাসে সেহেরী ও ইফতারি খেজুর খাওয়া সুন্নত তবে প্রতিদিনই
প্রায় খেজুরের দাম বেড়েই চলেছে এই জন্য আমাদের সর্বশেষ এক কেজি খেজুরের দাম কত
তা জেনে রাখা দরকার।
১ কেজি খেজুরের দাম কত সে সম্পর্কে অনেকে জানতে চেয়েছে বিভিন্ন খেজুরের দাম
বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে তবে ভালো মানের খেজুর নিলে দাম একটু বেশি হয়ে থাকে আপনি
যদি মরিয়ম খেজুর ১ কেজি নেন তাহলে তার দাম ১৪০০ টাকা পড়বে। এছাড়াও নিম্নমানের
খেজুর গুলোর দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি হয়ে থাকে।
রমজান মাসে খেজুরের দাম বৃদ্ধি পায়। বর্তমান বাজারে ১ কেজি খেজুরের দাম 250 টাকা
থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায় অর্থাৎ এক কেজি খেজুরের সর্বনিম্ন
দাম ২৫০ টাকা আর সর্বোচ্চ দাম ১৫০০ টাকা।
সাধারণত খেজুরের মানের উপর বাজার দাম কম বেশি হয়ে থাকে দেখা যায় ৪০০ থেকে ৫০০
টাকার মধ্যে জাইদি খেজুর বিক্রি হচ্ছে।আবার আজুয়া ও মরিয়ম খেজুর কেজি এক হাজার
থেকে বারোশো টাকায় বিক্রি হচ্ছে তবে এইসব খেজুরের মূল্য অনেক বেশি হয়।
শেষ কথা।দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত।সবচেয়ে ভালো খেজুর কোনটি
সম্মানিত পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা নিশ্চয়ই ইতিপূর্বে আজকের আলোচনা সম্পন্ন করে
জানতেও বুঝতে পেরেছেন দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত এবং সবচেয়ে ভালো খেজুর কোনটি
এ বিষয় সম্পর্কে।আজকের আলোচনা পড়ে নিশ্চয়ই আপনার কাছে ইনফরমেটিভ, তথ্যবহুল এবং
উপকৃত বলে মনে হয়েছে।যদি এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার
পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করুন।
এতে সকলেই দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত এবং সবচেয়ে ভালো খেজুর কোনটি তা জেনে
নিজেদের খাবার তালিকায় রুটিন হিসেবে খেজুর সংযুক্ত করতে পারবে।খেজুর খুবই একটি
উপকারী ফল যা অন্যান্য ফলের তুলনায় সবচেয়ে বেশি পুষ্টি ও উপাদান রয়েছে।এছাড়াও
নিত্য নতুন আপডেট আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং
আমাদের সঙ্গে থাকুন।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url