বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত - জ্বর ১০৪ হলে করণীয়
প্রিয় পাঠক বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত এবং জ্বর ১০৪ হলে করণীয় কি এ
বিষয়ে সম্পর্কে জেনে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত।তাই হয়তো আপনি বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর
হলে করণীয় কি তা জানতে চান?তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য।কেননা আজকে আলোচনা
করতে চলেছি বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত এ বিষয়ে সম্পর্কিত যাবতীয়
সকল তথ্য।
একই সাথে হঠাৎ জ্বর ১০৪ হলে করণীয় এবং বাচ্চাদের কত ঘন্টা পর পর সাপোজিটরি
দেওয়া যায় এবং বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে পারবেন।তাই
আজকের পর্বটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে বাচ্চাদের জ্বর হলে কি
ঔষধ খাওয়া উচিত এবং জ্বর ১০৪ হলে করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন।
পোস্ট সূচিপত্র:বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত।জ্বর ১০৪ হলে
করণীয়
শিশুর জ্বর ১০৪ হলে করণীয়
শিশুদের জ্বর ১০৪ হলে করণীয় কি এবং বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত
এই সম্পর্কে অনেক বাবা-মাই জানতে চাই অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে এই বিষয়টা নিয়ে কারণ
জ্বর অতিরিক্ত হওয়ার ফলে কিন্তু বড় ধরনের দুর্ঘটনাও হতে পারে। প্রায় বাচ্চাদের
জ্বর হয় কিন্তু জ্বরের তাপমাত্রা যখন অনেক বেড়ে যায় তখন কি করবে এটা নিয়ে
অনেকেই বুঝতে পারেন না।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় মায়ের ঠান্ডা লাগে কি বাচ্চার
নিতে হবে তার সাথে কিন্তু জ্বরে তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করতে হবে আপনারা জ্বর
যদি ১০৪ ডিগ্রি উঠে যায় তাহলে সময় দেরি না করে সাথে সাথে চিকিৎসকের কাছে শিশুকে
নিয়ে যাবেন এবং চিকিৎসা দিবেন। এছাড়াও শিশুর জ্বর ১০৪ হলে করণীয় :
- থার্মোমিটার হাতের কাছে রাখতে হবে।
- নিয়ম করে জ্বর মাপতে হবে প্রতি আধা ঘন্টা থেকে ১ ঘন্টা পর।
- ঘুমের মধ্যে জ্বর মাপতে হবে কারণ অনেক সময় বাচ্চা ঘুমিয়ে থাকার মধ্যে জ্বর বেড়ে যেতে পারে।
- যখন বাচ্চার জ্বর ১০০ এর উপরে উঠে যাবে প্যারাসিটামল জাতীয় সিরাপ খাওয়ে দিতে হবে এবং স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে পাতলা কাপড় ভিজিয়ে কপাল ও মাথা পট্টি দিতে হবে।
- জ্বর ১০২ এবং তার বেশি হলে মাথায় পানি ঢালতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ দিতে হবে।
- বগলতলা ও ঊরুর কুঁচকি বরাবর মুছে দিতে হবে।
- যতক্ষণ তাপমাত্রা ১০৪ থেকে ১০৩ থেকে ১০২ থেকে ১০১ নামবে না ততক্ষণ পানি ঢালতে হবে।
- জ্বর বেড়ে গেলে খিচুনি সম্ভাবনা বেড়ে যায় এজন্য চেষ্টা করতে হবে যেন তাপমাত্রা কমিয়ে আনা যায় তাই মাথায় ও ঘাড়ের পেছনে যতক্ষণ জ্বর থাকবে ততক্ষণ পানির পট্টি দিতে হবে।
- বারবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
- এভাবে শিশুর যত্ন নিতে হবে এরপরে যদি জ্বর না কমে তাহলে অবশ্যই সাপ ব্যবহার করতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে।
বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয়
প্রায় বাচ্চাদের দেখা যায় হঠাৎ জ্বর হয়ে যায় কারণ অনেক রকমেরই থাকতে পারে
বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয় কি সেই সম্পর্কে অবশ্যই জেনে রাখবেন আপনারা চাইলে
ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর কমিয়ে নিয়ে আসতে পারেন তবে এই জন্য
শিশুদের যত্ন করতে হবে অনেক বেশি।
শিশুর জাগায় যদি তাপমাত্রা ১০২ থেকে ১০৪ ডিগ্রি পড়ে নাইট বা এর বেশি হয় ৭২
ঘণ্টার মধ্যে তাপমাত্রা যদি না কমে শরীরের রেশ বা এই জাতীয় কিছু দেখা দিলে
চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
ঘরোয়া উপায়ে শিশুর জ্বর কমানো উপায় :
পর্যাপ্ত তরল খাবার: শিশুর জ্বর হলে তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল খাবার
খাওয়ানোর চেষ্টা করুন কেননা জ্বর হলে শিশু শরীর থেকে দ্রুত তরল কমতে থাকে এতে
ডিহাইড্রেশনের সৃষ্টি হতে পারে পানি ডাবের পানি চিকেন স্ট্রিট ফলে দুই সর্ব
ইত্যাদি নিয়ম করে খাওয়ান। যে সকল খাবার খেলে গৃহাইড্রেশন তথা পানি শূন্যতা দেখা
দিবে সেই সকল খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখবেন।
আরো পড়ুনঃ
দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করণীয় কি
কুসুম গরম পানিতে গোসল: জ্বর কমাতে শিশুকে কুসুম গরম পানিতে গোসল করাতে
পারেন মনে রাখুন ঠান্ডা পানিতে নয় কুসুম গরম পানিতে জ্বর কমাতে সহায়ক ঠান্ডা
পানিতে গোসল করালে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া জ্বরের তাপমাত্রা বেশি
থাকলে বসুন গরম পানিতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে ভালো করে নিজে এরপর তা দিয়ে পুরো
শরীর মুছে দিন এতে সন্তান স্বস্তি পাবে।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম: একেক জন শিশু শারীরিক অবস্থা একেক রকম কোন কোন শিশু
দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে আবার অনেকে অপচাকৃত শক্ত থাকে যাই হোক না কেন জ্বর হলে
সন্তানের পূর্ণ বিশ্রামের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে সঠিক দৃষ্টান্ত শিশু সুস্থতা
সহায়ক।
ফ্যানের নিচে রাখুন: শিশু অসুস্থ হলে তার ঘরে ফ্যান বন্ধ রাখবেন না হালকা
করে ফেনসিনের এখন আর অবশ্যই তাকে মশারির ভেতরে রাখুন নয়তো মশার কামড়ে তার আরো
ক্ষতি হতে পারে।
ঘরোয়া ওষুধ মেনে যদি জ্বর না কমে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে এর
পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন সকল ফল খেতে হবে।
বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হওয়ার কারণ
আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে কিন্তু বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হতে পারে অনেকে জানতে
চায়। বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হওয়ার কারণ সম্পর্কে আপনি যদি বাচ্চাদের কেন জ্বর হতে
সেই কারণটা জেনে যান। তাহলে কিন্তু এ বিষয়ে আরো বেশি সতর্ক থাকতে পারবে। রাতের
দিকে হালকা ঠান্ডা পড়লেও সারাদিন বাইরে গরম থাকে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় পেট চুলকায় কেন
এমন আবহাওয়ায় ছোট বড় সবাই অসুস্থ হয়ে যায় দ্রুত এছাড়াও যখন প্রতিরোধ ক্ষমতা
কমে যায়। তখনও কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি রোগের মধ্যে আক্রান্ত হয়। শিশু শরীর যদি
স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম হয়ে যায়। তার চোখমুখ লাল হয়ে যায় এবং শিশু যদি
স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘামতে থাকে। তবে সতর্ক হতে হবে এই সব হল শিশুর জ্বর আসার
প্রাথমিক লক্ষণ এই সময় শিশু বরাবর তৃষ্ণা লাগতে পারে।
জ্বর হলে অনেক সময় শিশু সেটি অনুভব করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে লক্ষণ গুলো দেখা
দিলে বুঝবেন শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। এই সময় শিশুর কানে ব্যথা, গলা ব্যথা,
ফুসকুড়ি বা পেটে ব্যথা ইত্যাদি হতে পারে।
বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত
বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত বাচ্চাদের যখন জ্বর হয় তখন কিন্তু
বাবা-মা রা অনেক বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে কারণ জ্বর হওয়ার কারণ নিয়ে শিশুকে
সুস্থ করার জন্য তারা অনেক বেশি চেষ্টা করে।তবে বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ঔষুধ
খাওয়া উচিত এটা নিয়ে অনেক বাবা-মায়ের চিন্তা ভাবনা করে। বাচ্চাদের জন্য ব্যাথা
নাশক হিসেবে বহুল ব্যবহৃত একটি ওষুধ প্যারাসিটামল।
এটি প্রায়ই মাথাব্যথা, পেট ব্যথা, কানের ব্যথা ও সর্দিকাশির চিকিৎসায় ব্যবহৃত
হয় এছাড়া জ্বর কমাতেও সচরাচর প্যারাসিটামল ব্যবহার করা হয়। শিশুদের
প্যারাসিটামল সাধারণত ট্যাবলেট ও সিরাপ আকারে পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ বড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ
এছাড়া পেডিয়াট্রিক ড্রপস, সাপোজিটর (পায়ুপথ দিয়ে দেওয়ার ওষুধ) ও ইনজেকশন
হিসেবে এটি কিনতে পাওয়া যায়। শিশুদের জ্বর ১০২.২° পরের নাইটের নিচে থাকলে এবং
শিশু বেশি অসুস্থ না হলে রোগের জন্য অস্থির হওয়ার প্রয়োজন নেই তবে বেশি জ্বর
হলে প্যারাসিটামল দিতে হবে।
প্যারাসিটামল সিরাপ:
শিশুর বয়সে ওজন হিসেবে প্যারাসিটামল সিরাপ ১০ থেকে ১৫ মিলিগ্রাম কেজিপ্রতি ৪
থেকে ৬ ঘন্টা পরপর সেবন করার যায়। কিন্তু দৈনিক পরিমাণ যেন ৬০ মিলিগ্রাম /প্রতি
কেজির বেশি না হয়।
প্যারাসিটামল খাওয়ানো ৩০ মিনিট পর ওষুধের কার্যকারিতা শুরু হয় এবং এক থেকে দুই
ঘন্টা পর শিশুর জ্বর প্রায় দুই থেকে তিন ডিগ্রি ফরেন নাইট পর্যন্ত নিচে নামে।
প্যারাসিটামল সাপোজিটরি:
প্যারাসিটামল ১০ থেকে ২০ মিলিগ্রাম কেজি ওজন হিসেবে পায়ুপথে প্রয়োগ করা যায়
সিরাপ সেবনের তুলনায় পায়ুপথে প্যারাসিটামলের কার্যকারিতা দেরিতে (ওষুধ
প্রয়োগের প্রায় ৬০ মিনিট পর) শুরু হয়।
সিরাপ ব্যবহারকারীদের সমান ফল পেতে পায়ুপথে বেশি মাত্রায় প্যারাসিটামল (৩০
মিলিগ্রাম /কেজি ওজন) দিতে হবে।
বাচ্চাদের কত ঘন্টা পর পর সাপোজিটরি দেয়া যায়
বাচ্চাদের জন্য বয়স অনুযায়ী শ্রীরাম বা প্যারাভেল সিটামল রয়েছে বাচ্চাদের কত
ঘন্টা পরপর সাপোর্ট দেওয়া যায় সে সম্পর্কে জেনে রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শিশু
বাচ্চা তাদের জন্য ১০ থেকে ১৫ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে। চার থেকে
পাঁচ ঘন্টা পর পর খাওয়াতে হবে তবে খেয়াল রাখতে হবে প্রত্যেকের যাতে ৫০
মিলিগ্রামের উপরে না যায়।
প্যারাসিটামল ওষুধ খাও ৩০ মিনিট পর ওষুধের গুনাগুন দেখতে পাবেন এবং ঠিক এই সময়ে
ওষুধের গুণাগুণ শুরু হয় এবং দেখা যায়। কেউ যদি প্যারাসিটামল সিরাপ দিনে একবার
খাওয়ায় তাহলে বাচ্চার জ্বর দুই ঘন্টা পর দেখা যায় দিনে দুই ডিগ্রি থেকে ৩
ডিগ্রি পর্যন্ত কমে যাবে। যদি কেউ প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা অথবা পুরুষ হয়ে থাকে.
আরো পড়ুনঃ শিশুদের গুড়া কৃমির ঔষুদের নাম
তাহলে সে ক্ষেত্রে জ্বরের শরীরের ব্যথা কমানোর জন্য suppol 250mg suppository এর
করবেন এতে অবশ্যই আপনার সাপোর্ট এর চেয়ে এটি অত্যন্ত সহজে একটি পদ্ধতি এটি ৭
থেকে ৮ ঘন্টা পর পর খাওয়ানো যেতে পারে।
তবে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে একদিনে চার ডোজ না খাওয়া হয় কারণ এটি
সর্বোচ্চ দিনে তিনবার খেতে পারবেন। আপনি যে দিনে তিনবার খেতে চান তাহলে সাত ঘন্টা
পর পর খেতে হবে। আর আপনি এই দুইবার দিনে খেতে পারবেন যেমন সকালে একবার রাতে
একবার।
জ্বর হলে কি দোয়া পড়তে হবে
আপনারা অনেকেই জানতে চান যে জ্বর হওয়ার ফলে কোন দোয়া পড়তে হবে আব্দুল্লাহ ইবনে
আব্বাস (রা.) বলেন জ্বর ও অন্যান্য ব্যাথায় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম নিম্নোক্ত দোয়া পড়ার শিক্ষা দিয়েছেন।
জ্বর ভালো হওয়ার দোয়া :
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহিল কাবির, আউজুবিল্লাহিল আজিমি মিন শাররি কুল্লি
ইরকিন না'আর, পয়া মিন শাররি হাররি হাররিন নার।
অর্থ: মহান আল্লাহর নামে, আমি আল্লাহ তাআলার আশ্রয় প্রার্থনা করছি প্রবল
বহমান রক্তচাপের আক্রমণ থেকে এবং জাহান্নামের উত্তপ্ত আগুনের ক্ষতি থেকে।
(তিরমিজি, হাদিস :২০৭৫)
তাৎক্ষণিকভাবে জল ও অন্যান্য নিরাময়ের জন্য এই দোয়া আপসিকভাবে উপযুক্ত তবে রোগ
থেকে মুক্ত থাকতে হলে যথাযথ স্বাস্থ্য সচেতনতা জরুরী। পাশাপাশি চিকিৎসা গ্রহণ
করতে হবে আল্লাহ তা'আলা আমাদের সব ধরনের অসুস্থতা থেকে মুক্ত রাখুন। আমিন।
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন জ্বর হয়
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যে কোন ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন জ্বর হয় যারা কিছুদিন পরপর
জ্বরে আক্রান্ত হয় তারা কিন্তু মনে করে যে কোন ভিটামিনের অভাব হয়েছে শরীরে যার
কারণে এত জ্বর হচ্ছে আসলে আপনার শরীরে যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে তখন
দ্রুত জ্বর বা বিভিন্ন রকমের রোগ দেখা দিবে।
এইজন্য শরীরে পুষ্টিকর খাবার ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাদ্য খাবার তালিকায় রাখতে হবে।
বয়স কম এমনিতেই তরতাজা হলেও অনেকেই রয়েছেন ২১ দিন পর পর জ্বর ঠান্ডা সর্দির
অসুস্থতার মধ্যে পড়েন এর কারণ হতে পারে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার জন্য কিন্তু ভিটামিন ডি এর ঘাটতি লক্ষণ।
আরো পড়ুনঃ
শিশুদের হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায়
এজন্য এই সময় ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য খাবার তালিকায় রাখতে হবে। চুল পড়ে
যাওয়া জন্য ভিটামিন ডি দায়ী। ভিটামিন ডি এর অভাবে আপনার শরীরে ঘন ঘন জ্বর হতে
পারে কারণ ভিটামিন ডি এর মধ্যে রয়েছে এক ধরনের পুষ্টিকর উপাদান যা আপনার শরীরের
শারীরিক চাহিদা পূরণ করে এই ভিটামিন ডি আপনার দেহের ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের
ঘাটতি পূরণ করে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ভিটামিন ডি ক্যান্সারের ঘাটতিও কমিয়ে থাকে কিন্তু যদি
আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হয়। তাহলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেশি বেড়ে
যেতে পারে এবং প্রধান বিভিন্ন ধরনের সংক্রমনের মাত্রা বাড়তে পারে।
ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ না জানার ফলে মহিলাদের সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি
হতে পারে। তবে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি যে সকল লক্ষণ রয়েছে। সেগুলো যদি প্রকাশ পায়
তাহলে দ্রুত আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ নিতে হবে এবং ভিটামিন ডি এর অভাবের
কারণে যদি সমস্যা হয় তাহলে সেই সম্পর্কিত।
শেষ কথা।বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত।জ্বর ১০৪ হলে করণীয়
সম্মানিত পাঠ হোক আমাদের আজকের আলোচনা থেকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি
বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত ও জ্বর ১০৪ হলে করণীয় সম্পর্কিত যাবতীয়
সকল তথ্য।এছাড়াও এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ে থাকলে আপনি কোন
ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন জ্বর হয় জ্বর হলে কি দোয়া পড়তে হবে এবং বাচ্চাদের কত
ঘন্টা পর পর সাপোজিটরি দেওয়া যায় এমন সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
আরো পড়ুনঃ দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত
আজকের আলোচনাটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের
কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন।আজকে আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্য ভুল এবং উপকৃত
মনে হলে আপনার পরিচিত জনদের সাথে শেয়ার করুন এদের সকলে বাচ্চাদের জ্বর হলে কি
ঔষধ খাওয়া উচিত তা জেনে উপকৃত হবে।আজকের পর্ব এ পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ
থাকবেন।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url