শিশুদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম - শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম জানুন

শিশুদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম এবং শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে প্রতিটি মায়ের জেনে রাখা উচিত।এর সাথে অবশ্যই বাচ্চাদের অতিরিক্ত কৃমি হলে করণীয় সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে।এতে শিশুদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম জানা থাকলে কৃমি থেকে বাচ্চাদের রক্ষা করতে পারবেন।
শিশুদের-গুড়া-কৃমির-ওষুধের-নাম
সেই সাথে আপনাকে জানতে হবে বাচ্চাদের কৃমি তাড়ানোর ঘরোয়া উপায়, কৃমির ঔষধ খাওয়ার পর কি ভিটামিন খেতে হয় এবং কৃমির ঔষুধ খাওয়ার পর করণীয় সম্পর্কে।তাই চলুন আজকের আলোচনা মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নেওয়া যাক শিশুদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম ও শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
পোস্ট সূচিপত্রঃশিশুদের গুড়া কৃমির ঔষধের নাম।শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

উপস্থাপনা। শিশুদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম।শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

কিমি সাধারণত ছোট বাচ্চাদের শুরু করে সকল বয়সী মানুষদের হয়।এমন অবস্থায় আমাদের কি করতে হবে সে সম্পর্কে কিছু সুইট পার্থের ধারণা রাখা প্রয়োজন তাই আজকে আর গেলে আপনাদের সামনে কৃমি রোগের লক্ষণ কি,শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম, বাচ্চাদের অতিরিক্ত কৃমি হলে করণীয়, বাচ্চাদের কৃমি দাড়ানোর ঘরোয়া উপায়, কৃমির ঔষধের পার্শপ্রতিক্রিয়া, এবং কিডনির ওষুধ খাওয়ার পর কি ভিটামিন খেতে হয় তা আমাদের সকলের জেনে রাখা উচিত।
আরো পড়ুনঃ পোকা দাঁতের ব্যাথা কমানোর উপায় জানুনপোকা দাঁতের ব্যাথা কমানোর উপায় জানুন 
তাই আজকের আলোচনা থেকে আপনি কিভাবে শিশুদের গুড়া কৃমি হলে ওষুধ খাওয়াবেন এবং শিশুদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম আজকের আজকের আলোচনায় বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো।

কৃমি রোগের লক্ষণ কি

অনেকেই কিন্তু কৃমির ওষুধ খায় এবং কৃমি রোগের লক্ষণ কি সেই সম্পর্কে না জেনে ওষুধ সেবন করে থাকে।তবে আপনি নির্দিষ্ট সময় পর কিন্তু কৃমির ওষুধ খেতে পারবেন এতে কোন ক্ষতি হবে না তবে কৃমি রোগের লক্ষণ সম্পর্কে অনেকেই জানে না।এজন্য জানতে হবে শিশুদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম এবং কৃমি রোগের লক্ষণ কি তা ভালোভাবে জানতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস ভালো করতে সজনে পাতার উপকারিতা ডায়াবেটিস ভালো করতে সজনে পাতার উপকারিতা 
কৃমি এক প্রকারের পরজীবী প্রাণী ভারতীয় জলবায়ু কৃমি উৎপাত খুবই বেশি শিশুদের দেহে এই সমস্যা বেশি দেখা গেল যে কোন বয়সের মানুষেরই কৃমি সমস্যা হতে পারে। সাধারণত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, মলমূত্র, নখের ময়লা ইত্যাদির মাধ্যমে কৃমির শরীরে প্রবেশ করে পানীয় জলের মাধ্যমেও কৃমির সংক্রমণ হতে পারে।

কৃমি হলে মলদ্বারে চুলকানির অনুভূত হয় সঙ্গে সঙ্গে ঘন পেটব্যথা ও খিদে কমে যাওয়ার মত লক্ষণ দেখা দেয় কৃমির কারণে। শিশুদের ক্ষেত্রে আবার অনেক সময় দেখা যায় কৃমি হলে কিছুক্ষণ পর পর থুতু ফেলতে থাকে। শিশুরা এমনকি কৃমির উপদ্রব বাড়লে খিমচে দেওয়া এবং কামড়ে দেওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয় অনেক সময় মনের মাধ্যমে কৃমি বেরিয়ে আসে।

বাচ্চাদের অতিরিক্ত কৃমি হলে করনীয়

বাচ্চাদের অতিরিক্ত কৃমি হলে করণীয় ও শিশুদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই।বাচ্চারা যেসব সমস্যায় ভোগে তার মধ্যে কৃমির সমস্যা অন্যতম। বাচ্চা শারীরিক বিকাশে বাধাগ্রস্থ করে কৃমি শিশুর কৃমি কেন হয় কিভাবে বুঝবেন এবং প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কেও আপনাদের জেনে রাখা উচিত বাচ্চাদের অতিরিক্ত কৃমি হলে করনীয় কি সে সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে জানাবো।

অতিরিক্ত কৃমি হলে শিশুর খাবারের রুচি কমে যায় একদমই খেতে চায় না পেট ফুলে যায় বদহজম হয় ঘন ঘন পাতলা পায়খানা দেখা দেয় শিশু ফ্যাকাশে হয়ে যায় রক্তস্বল্পতা দেখা দেয় বমি বমি ভাব হতে পারে। এছাড়াও বেশিরভাগ শিশুদের মলদ্বারে চুলকানি হয় ইনফেকশনও হতে পারে মলত্যাগের সময় কিমি দেখা যেতে পারে কিছু কিছু কৃমি আছে যেগুলোর কারণে ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা হয়।
কৃমির চিকিৎসা: শিশুর যাতে কৃমি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে প্রথমে আর যদি কৃমি হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে এবং কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে কৃমি যে শুধু শিশুর হবে এমন কিন্তু নয় সব বয়সের মানুষেরই হতে পারে। এইজন্য যে বাচ্চার কিমি হয়েছে সে ছাড়া পরিবারের সব সদস্য।

এমনকি যদি গৃহ পরিচালিকাও থাকে তার পরিবার সহ সবাইকে একসঙ্গে কৃমির ওষুধ খেতে হবে কারণ যদি একজনের পেটে কৃমি থাকে তাহলে তার কাছ থেকে যেকোন ভাবে আবার কিডনির ডিমগুলো আরেকজনের পেটে চলে যেতে পারে সেখান থেকে আবার কৃমির সংক্রমণ হতে পারে।

কৃমির ওষুধ নিজে নিজে খাওয়া যাবেনা কোন কৃমির ওষুধ একটা খেলেই চলে কোনটা আবার দুইবার খেতে হয় আবার কোনটা একটা খাওয়ার সাত দিন বা ১৫ দিন পর আবার খেতে হয় ্এইজন্য বয়স অনুযায়ী এবং কৃমির ধরন দেখে চিকিৎসক ওষুধ নির্ধারণ করে দেবেন সেটা নিয়ম মেনে খেতে হবে এবং পরিবারের সবাইকে খেতে হবে একসঙ্গে একজন খেলে এটা নির্মূল করা সম্ভব নয়।

বাচ্চাদের কৃমি তাড়ানোর ঘরোয়া উপায়

বাচ্চাদের কৃমি তাড়ানোর ঘরোয়া উপায় এবং শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই।সাধারণত এক বছরের বেশি বয়সের শিশুদের কৃমির নাশক ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে। কৃমি নিয়ন্ত্রণে সরকারের যে বিভিন্ন কার্যক্রম চালু রয়েছে।

সেখানে এক বছরের উপরে শিশুদের কৃমিনাশক ওষুধ দেওয়া হয় সরকার এই কার্যক্রমে অংশ হিসেবে অভিভাবকরা যাতে শিশুদের কৃমিনাংসক ঔষধ খাওয়ান সেদিকেও গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।

শিশুরা যাতে প্রত্যেকবার মলত্যাগ ও প্রসাবের পরে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।কাঁচা খাবার খাওয়ার পূর্বে সচেতন হতে হবে অনেক সময় কাঁচা সবজিতে কৃমি থাকতে পারে। ফলমূল, সবজি ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে খেতে হবে সঠিক নিয়মে রান্না করা খাবার খেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভবস্থায় মায়ের ঠান্ডা লাগলে কি বাচ্চার ঠান্ডা  লাগে জানুন গর্ভবস্থায় মায়ের ঠান্ডা লাগলে কি বাচ্চার ঠান্ডা  লাগে জানুন 
কিছু কিছু কির্মি আছে নখের মাধ্যমে ছড়ায় এই জন্য খালি পায়ে হাঁটা যাবে না নখ ছোট রাখতে হবে।
ধুলাবালি ময়লা আবর্জনা ধরার পরে হাত যাতে মুখে না দেয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং ভালোভাবে হাত ধুয়ে দিতে হবে।বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে এবং অন্যান্য কাজও পরিষ্কার পানি ব্যবহার করতে হবে।

নিয়ম মেনে পরিবারের সবাইকে একসঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কৃমিনাশক ওষুধ খেতে হবে।কৃমি বিভিন্ন ধরনের হয়। লম্বা কৃমি ক্ষুদ্রান্তে অনেক বেশি পরিমাণে বংশবিস্তার করে। ওই জায়গায় আটকে যায় খাবার নিচের দিকে যেতে বাঁধাগ্রস্ত হয় তখন পেট ফুলে যায়। পেটে অনেক বেশি কৃমি হয়ে যায় গেলে বের করা যায় না, পায়খানা বন্ধ হয়ে যায়।

খুব বেশি হয়ে গেলে তখন এই কৃমি বের করার জন্য অনেক সময় অপারেশন ও করার প্রয়োজন পড়ে। সেজন্য এটি শিশুদের জন্য ঝুঁকির ব্যাপার শিশুর অপুষ্টির একটি বড় কারণ কৃমি। গবেষণায় দেখা গেছে ১০ বছরের নিচে প্রায় ৩৯ শতাংশ শিশুর কিমিতে আক্রান্ত তাই কৃমি প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

শিশুদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম

শিশুদের শরীরে গুড়া কৃমিও দেখা দেয় এইজন্য শিশুদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম সম্পর্কে জানতে হবে। কৃমির বিরুদ্ধে যেসব ওষুধ ব্যবহৃত হয় তার সবগুলো সঠিক খেলে নিরাপদ ও কার্যকর বলে চিকিৎসকরা মনে করেন। কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর দুই থেকে চার সপ্তাহ পরে আবার মল পরীক্ষা করে কৃমি সংক্রমণ রয়ে গেছে কিনা তা নিশ্চিত করা ভালো।

অ্যালবেনডাজোল: দুই বছরের বেশি বয়সী শিশুর জন্য ৪০০ মি. গ্রামের ১ ডোজ (২ চামচ সিরাপ)। ১-২ বছরের শিশুর জন্য এর অর্ধেক ডোজ। সংক্রমণ রয়ে গেছে মনে হলে ৩ সপ্তাহ পর আরও একবার খাওয়ানো যেতে পারে বাজারে এলবেন, সিনটেল প্রভৃতি নামে পাওয়া যায়।

পাইরেনটাল পামোয়েট: এক বছরের বেশি বয়সী শিশুর জন্য একদল শিশুর ১১ মি. গ্রাম /কেজি ওজন হিসেবে। সুচকৃমির জন্য প্রয়োজন মনে হলে দুই সপ্তাহ পরপর একমাত্র ডোজ দেওয়া যায়। বাজারে মেলফিন, ডিলেনটিন ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়।
মেবেনডাজোল: ট্যাবলেট বা সিরাপ হিসেবে শিশুকে দেওয়া যায় বাজারে মেবেন বা এরমক্স ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়। ২ বছরের বেশি বয়সী শিশুকে এক চামচ করে দিনে দুইবার পরপর তিনদিন দিতে হবে।
লিভোমিসোল: বাজারে কেটেক্স নামে পাওয়া যায়। শিশুর প্রতি কেজি ওজন হিসেবে (৩ মি. গ্রাম/কেজি) ১ মাত্রার ডোজ।

শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

আমরা ইতিমধ্যে জানলাম শিশুদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম এবারে জানবো শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়া নিয়ম সম্পর্কে। কেননা শিশুদের বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকার কারণে কিন্তু কৃমি হয়ে থাকে।যার কারণে শিশুদের কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর কিছু নিয়ম রয়েছে।

যে নিয়ম মেনে চললে কোন সমস্যা হয়না কৃমি দূর করতে হলে প্রথমে জানার দরকার এটি কেন হয় নোংরা পরিবেশ, অনিরাপদ পানি পান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস, খালি পায়ে হাঁটা কৃমি সংক্রমণের জন্য দায়ী। শিশুদের কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর নিয়ম।
তিন মাস পর পর বাড়ি সব সদস্যকে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো উচিত মলত্যাগের পর খাবার তৈরি বা পরিবেশনের আগে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। কাঁচা ফলমূল ও সবজি খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে খেতে হবে। শৌচাগার ও বাড়িঘর পরিষ্কার রাখুন, খালি পায়ে হাঁটবেন না। বাড়ি সবার নখ কেটে ছোট রাখতে হবে ও শিশুর গোষ্ঠকাঠিন্য হলে তা রোধ করতে হবে।

অ্যালবেনডাজল, মেবেনডাজল আমাদের দেশের কৃমির ওষুধ হিসেবে পাওয়া যায় এইসব ওষুধ খালি পেটে খাওয়া ভালোনা। তবে ভরা পেটে খেতে হবে। শিশুর মলদ্বার চুলকানো, মলদার পরিষ্কার করে ভেসলিন লাগিয়ে রাখতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে প্যান্ট ও জামা পরিবর্তন করে দিতে হবে।

কৃমির ঔষধ খাওয়ার পর কি ভিটামিন খেতে হয়

কৃমির ওষুধ হল একটি পোকা নাশক ওষুধ। কৃমির ওষুধ খাওয়ার পর কি ভিটামিন খেতে হয় সেই সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন না। এই ওষুধ সেবনের মাধ্যমে পেটের মধ্যে কার ব্যাকটেরিয়া জনিত সমস্যা দূর হয়ে যায় পাকস্থলীতে ইনফেকশন জনিত কারণে কিন্তু পেটে কৃমি হতে পারে আবার অনেক সময় অস্বাস্থ্যকর পচা বার্ষিক খাবার থেকে হয়।

কিন্তু এই কৃমি জন্ম নিতে পারে শাকসবজি পোকা থেকেও এই কিরমই হতে পারে যার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং কৃমি বাসা বাধে বেশি। তবে এটা ঠিকির মীর ওষুধ সেবনের কিছু নিয়ম রয়েছে এই কথা কবি গুরুত্বপূর্ণ এবং সব সময় মনে রাখবেন যে যখনই কৃমির ওষুধ ছয় বোন করবেন তখনই ভরা পেটে কিন্তু এই ওষুধটি খেতে হবে।

কারণ খালি পেটে খেলে পাকস্থলীর ইনফেকশন সহ নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে এইজন্য কৃমিনাশক ট্যাবলেট গুলো কখনো খালি পেটে খাওয়া যাবে না সবসময় ভরা পেটে খেতে হবে। পরিবারের কারো শরীরে কৃমি থাকে তাহলে কিন্তু অন্য সদস্যদের সংক্রমনের আশঙ্কা থাকে তাই পরিবারের সবাই একসঙ্গে এই ঔষধ এবং করতে হবে। এই ওষুধ সেবন করার পর কোন ধরনের ভিটামিন বা আলাদা কিছু চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তারপরেও সবাই শারীরিক অবস্থা এরকম হয় না কারো কারো ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে।

কৃমির ঔষধ খাওয়ার পর করণীয়

আমরা যখন কোন ওষুধ সেবন করি অথবা আমাদের শারীরিক কোন অসুবিধা হয় তখন কিন্তু আমাদের মনের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন থাকে কৃমির ওষুধ খাওয়ার পর করণীয় কি সেই সম্পর্কে আমরা জানতে চাই। কৃমি একটি অমেরুদন্ড পরজীবী প্রাণী। যেটা দেখতে কেঁচোর মতো লম্বা সরু আকারের হয়। এরা মানব শরীরে বসবাস করে এবং মানব শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ এবং গ্লুকোজ শোষণ করে।

বংশবিস্তার ঘটে আস্তে আস্তে মানব দেহে এবং বংশ বিস্তার ঘটাতে ঘটাতে এক পর্যায়ে মানব শরীর থেকে সমস্ত পুষ্টিগুণ শুষে নেয় মানব শরীরকে অকার্য হয়ে পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুও হতে পারে। তিরমির ঔষধ ভরা পেটে খেতে হবে এবং কৃমির ওষুধ খাওয়ার পরে নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং আশেপাশের পরিবেশ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
যেগুলোর কারণে কৃমির হয় সেই সকল বিষয় থেকে সব সময় সচেতন থাকতে হবে। আজ থেকে ২৫-৩০ বছর আগে কিডনি রোগের আক্রান্ত অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তখন ইন্টারনেট ছিল না সেই সময় মানুষ অসচেতন এবং মানুষের অভিজ্ঞতা ছিল না। নিরক্ষরতা মানুষের বুঝতো না শারীরিক অসুবিধা ও প্রতিকার কিভাবে হয়।

একটি নির্দিষ্ট সময় পার করে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো হয় তাহলে কোন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় না। আপনার শরীরে যদি কৃমি নাও থাকে তাহলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পর পর অর্থাৎ তিন থেকে ছয় মাস পরপর কিন্তু পরিবারের সবার সঙ্গে কৃমির ট্যাবলেট সেবন করতে পারবেন এতে কোন শারীরিক সমস্যা হয় না।

কৃমির ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

আমরা কিন্তু স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যার কারণে ওষুধ সেবন করে থাকি। কিন্তু কৃমির ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে আপনার যদি কৃমির সমস্যা হয়ে থাকে এবং সেই কৃমির ওষুধ সেবনের পরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় কিনা জানা না থাকে। তাহলে আজকের আমাদের প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন কৃমির ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।

কৃমির আকারে খুব ছোট হয় প্রায় দেখা যায় না। কিন্তু জেনে অবাক হবেন এই রকম একটি কৃমির মানুষের অন্তরে থেকে দিনে 0.2 মিলিলিটার রক্ত শুষে ন্যায় অনেক কৃমির শরীরে থাকলে প্রতিদিন বেশ কিছু পরিমাণ রক্ত হারিয়ে যায়। ফলে শিশুরা অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভোগে বড়রা ও কম ভোগের না এই সকল সমস্যায়।
এছাড়া কৃমির কারণে এলার্জি, ত্বকে চুলকানি, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কখনো অন্তরে বা পিত্তথলির নারীতে কৃমি আটকে গেলে বড় ধরনের জটিলতা দেখা দেয় কৃমির সংক্রমণ তাই বড় ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা।
গরমকালে কৃমিনাশক খাওয়া যাবেনা এমন ধারণা ও কোন ভিত্তি নাই। গরম, শীত, বর্ষা যে কোন সময় কৃমিরনাশক খাওয়া যাবে। তবে খাওয়ার পর বা ভরা পেটে খাওয়া ভালো। কৃমি হলেও ওষুধের মাধ্যমে দূর করার উপায় রয়েছে কিন্তু অনেকেই নানা ভুল ধারণার ভয়ে কৃমির ওষুধ খান না। শিশুদেরও খাওয়াতে চান না কিন্তু ওষুধ নিয়ম মেনে খেলে কোন সমস্যা হয় না কৃমি দূর হয়ে যাবে। ওষুধ খাওয়ার ফলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে না যদি আপনি নিয়ম মত ওষুধ খান।

শেষ কথা।শিশুদের গুড়া কিডনির ওষুধের নাম। শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

সম্মানিত পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই আজকের আর্টিকেল থেকে যা জানতে চেয়েছিলেন তা ইতিমধ্যে আজকের আর্টিকেল এর মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি শিশুদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম এবং শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য।আশা করি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনি শিশুদের গুড়া কৃমির ওষুধের নাম এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কিত জেনে উপকৃত হয়েছেন।
আজকের আলোচনাটুকু আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দেবেন এ ছাড়াও আপনি যদি সুস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সম্পর্কে তার তথ্য আপডেট পেতে চান তবে আমাদের ওয়েব সাইটে সাবস্ক্রাইব এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন।আজ এ পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url