কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪ - কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত জেনে নিন
কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪ এবং কুয়েত সর্বনিম্ন বেতন কত তা কি আপনি জানেন?নিশ্চয়ই আপনার অজানা রয়েছে, তাহলে শুনুন কুয়েত তিনটি ক্যাটেগরিতে যাওয়া যায় এর মধ্যে স্টুডেন্ট ভিসা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসা।এর মধ্যে আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কুয়েত যেতে চান তাহলে আপনার খরচ ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকা হতে পারে এছাড়াও অন্য ভিসায় কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে তা নিচের অংশ থেকে জেনে নিন।
তাই আজকের আর্টিকেলের আলোচনা থেকে আমরা জানবো কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪ এবং কুয়েত সর্বনিম্ন বেতন কত সে সম্পর্কিত সকল আপডেট তথ্য।সেই সাথে আমরা কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি, কুয়েত ভিসার দাম কত, কুয়েত কোন কাজের বেতন কত এবং কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত তা জানবো।নিচে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।
পোস্ট সূচিপত্রঃকুয়েত যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪।কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত
উপস্থাপনা।কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪।কুয়েত সর্বনিম্ন বেতন কত
কুয়েতে যাওয়ার জন্য আপনি যদি মন স্থির করে থাকেন তাহলে আগে জানতে হবে কুয়েত ভিসা বন্ধ না খোলা ২০২৪ সালে রয়েছে।সেই সাথে আপনাকে কুয়েত সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন কুয়েত কোম্পানির ভিসার জন্য কি কি প্রয়োজন, কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা আবেদন কত টাকা দেওয়া হয়, কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত টাকা পাওয়া যায় এবং কুয়েত ইলেকট্রিক কাজের বেতন কত।
তাই আজকের আলোচনা থেকে এমন সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সম্পর্কে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪ সালের আপডেট তথ্যগুলো জেনে নিব।তাই নিচে শুরুতে কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি উল্লেখ করা হলো।
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি
আপনারা অনেকেই কুয়েতে যাওয়ার জন্য আগ্রহী কিন্তু কুয়েতে কোন কাজে চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে কি আপনারা জানেন আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে কুয়েতে যেতে চান তাহলে কিন্তু সর্বপ্রথমে আপনাকে জেনে যেতে হবে কুয়েতে কোন কাজে চাহিদা বেশি সারা বিশ্বের উন্নত দেশের তালিকায় কুয়েত দেশও অনেক উন্নত আর দেশটি উন্নত হওয়ায় সব ধরনের কাজে সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
বাংলাদেশের হাজারো মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে একেক জন একেক দেশে যায় তবে অধিকাংশ মানুষ আছে যারা কুয়েতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে কিন্তু কুয়েত কোন কাজে চাহিদা বেশি ও বিভিন্ন কাজের বেতন কত তা সম্পর্কে জানা থাকে না। তাই আজকে আপনাদেরকে কুয়েতে কোন কাজে চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে জানাবো।
- কনস্ট্রাকশন
- ইলেকট্রিশিয়ান
- মেকানিক্যাল
- রেস্টুরেন্ট শেফ
- ড্রাইভিং
- রোড ক্লিনার
- অফিস ক্লিনার
- মেডিকেল ক্লিনার
- ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি
- রাজমিস্ত্রি
- শপিংমলের কাজ
আপনারা যদি কুয়েতে যেতে চান তাহলে উপরের এই সকল কাজের ওপর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে যাবেন তাহলে কুয়েতে কাজের অভাব হবে না। এই অনুচ্ছেদ থেকে আমরা জানলাম কুয়েত কলকাতা চাহিদা বেশি এবারে আমাদের জানতে হবে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪ সম্পর্কিত সকল আপডেট তথ্য।তাই নিচে আপনাদের সুবিধার্থে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪
বর্তমানে কুয়েতে অনেক বাঙালি প্রবাসী রয়েছে অনেকে বাংলাদেশ থেকে কেউ কুয়েতে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। তবে তারা জানে না যে বর্তমান সময় কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪ সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে জানাবো কুয়েতে কাজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসার ক্যাটাগরি রয়েছে। কাজের ভিসার ধরন অনুযায়ী কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে।
কুয়েত ভিসার দাম কত সেটা সঠিকভাবে কেউ আপনাকে বলতে পারবে না। তবে অবশ্যই আপনাকে ধারণা দিতে পারব। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে আনুমানিক প্রায় ৬ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা লাগে। আপনি যদি কোন দালাল ভাই এজেন্সির মাধ্যমে যান তাহলে আপনার এই খরচটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
তবে আপনি যদি কুয়েতে সরকারি মাধ্যমে যান তাহলে কিন্তু আপনি কম খরচেই কুয়েতে যেতে পারবেন। এর জন্য অবশ্যই দালালে থেকে সতর্ক থাকবেন এবং ভিসার টাকা জমা দেওয়ার আগে অবশ্যই দেখে শুনে জেনে বুঝে ভিসার জন্য আবেদন করবেন। বর্তমানে বহুর প্রচলিত কিছু কাজের ভিসার মধ্যে রয়েছে কোম্পানি ভিসা, ড্রাইভিং ভিসা, ক্লিনার ভিসা, রেস্টুরেন্ট ভিসা ইত্যাদি।
এছাড়াও এজেন্সির দালাল ও ভিসার মেয়াদের কারণে অনেক সময় ভিসার দাম কম বেশি হতে পারে। তবে সব দেশে টুরিস্ট এবং স্টুডেন্ট ভিসার দাম সব সময় কম হয়। কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪ ইতিমধ্যে তা আমরা জানলাম কিন্তু আমরা কি কুয়েত ভিসা দাম কত তা জানি না জেনে থাকলে নিচের অনুচ্ছেদটি আপনার জন্য
কুয়েত ভিসার দাম কত
আপনি যদি কুয়েতে ভিসার দাম এবং কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪ সম্পর্কে জানতে চান?তাহলে কিন্তু অবশ্যই আপনাকে আগে জানতে হবে যে কুয়েতে ভিসার দাম। কয়েত ভিসা জন্য কিন্তু একটি কারণ বিভিন্ন ভিসার বিভিন্ন রকমের ক্যাটাগরি রয়েছে যার কারণে আপনি কাজের ধরন অনুযায়ী কেটে যেতে কত টাকা লাগবে সেটা নির্ভর করবে।
বর্তমান সময়ে কুয়েতে টুরিস্ট ভিসা স্টুডেন্ট ভিসা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এই তিন ধরনের ভিসা প্রচলিত রয়েছে যার কারণে এই ভিসাতে যদি আপনি কুয়েতে যেতে চান তাহলে সেটার উপর নির্ভর করে ভিসার দাম নির্ধারণ করা হয়।
তবে এর কিছু এজেন্সি দালালে ও ভিসার মেয়াদের কারণে ভিসার দাম কম বেশি হতে পারে। এই কারণে আপনি যদি সরকারিভাবে কুয়েতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাহলে আপনি কম খরচে যেতে পারবেন কিন্তু আপনি বেসরকারিভাবে গেলে খরচটা একটু বেশি পড়বে। চলুন জেনে আসি কুয়েতের ভিসা দাম কত টাকা।
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকা
- স্টুডেন্ট ভিসা ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা।
- টুরিস্ট ভিসা ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা।
উপরে আপনাদেরকে এই ক্যাটাগরির ওপর ভিসার কত টাকা লাগতে পারে সেটা আমরা আনুমানিকের হিসাব বা জানানো হয়েছে আপনাদের এই ভিসার খরচ ডলারের ওঠা নামার ওপর কম বেশি হতে পারে।কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে এবং কুয়েত ভিসা দাম সম্পর্কে আমরা এই আলোচনার উপরে অংশ থেকে জানলাম।
কিন্তু আপনি কুয়েত গিয়ে কাজের বেতন কেমন পাবেন এর জন্য আপনাকে কুয়েত কোন কাজের বেতন কত জেনে রাখতে হবে।জানতে হলে আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
কুয়েত কোন কাজের বেতন কত
বাংলাদেশ হাজারো মানুষ কুয়েতে কাজের উদ্দেশ্যে আবারো অনেকে যাওয়া চিন্তাভাবনা করতে যার কারণে অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ভিসা লাগায় বর্তমানে কুয়েতে যেসব কাজের চাহিদা রয়েছে আশা করি সেই সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন আপনারা যদি এবার কুয়েতে কোন কাজের বেতন কত সেই সম্পর্কে না জেনে থাকেন।
তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেল থেকে জেনে যাবেন কত। তাই আপনারা যারা কুয়েতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন। অবশ্যই কুয়েতে কোন কাজের বেতন কত সেটা জানা থাকলে আপনাদের জন্য সুবিধা হবে।
আপনি কোন কাজটি করতে পারবেন আপনার দক্ষতা কতটা রয়েছে সেই কাজের ওপর এবং বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। কুয়েতের টাকাকে দিনার বলা হয়। এবার আপনাদের জানা প্রয়োজন কুয়েতে এক দিনার বাংলাদেশী টাকায় কয় টাকা।
এতে আপনার খুব সহজ হবে বুঝতে পারবেন।কুয়েতের কাজের বেতন কত তাহলে কুয়েতের এক দিনার =বাংলাদেশী ঢাকায় বর্তমান রেট ৩৫৩.৫৭ টাকা। এবার তাহলে চলুন জেনে আসি কুয়েতে কোন কাজের বেতন কত।
আরো পড়ুনঃ কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪
কনস্ট্রাকশন, ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিক্যাল, রেস্টুরেন্ট, ড্রাইভিং: বর্তমানে এইগুলো কাজের বেতন কুয়েতের দিনারে সর্বনিম্ন ১৭০ বিনা থেকে সর্বোচ্চ ৩১০ দিনার পর্যন্ত। যা বাংলাদেশী টাকায় হিসাব করলে ৬০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
রোড ক্লিনার, অফিস ক্লিনার, ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি, রাজমিস্ত্রী, শপিং মল মেডিকেল ক্লিনার : বর্তমান সময়ে এই কাজগুলো কুয়েতি দিনারের সর্বনিম্ন ১০০ দিনার থেকে সর্বোচ্চ ১৫৫ দিনার পর্যন্ত বেতন হয়। যা বাংলাদেশী টাকায় হিসাব করলে ৩৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়।
আশা করছি আপনি কুয়েত কোন কাজের বেতন কত তা ইতিমধ্যে জানতে পারলেন।কিন্তু আপনি যদি কুয়েত কোম্পানি ভিসা যান তাহলে কত টাকা বেতন পাবেন তাকি জানেন।বিদেশে যাওয়ার পূর্বে আমাদের সকলকে এমন সকল বিষয়গুলো জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।তাই এবারে কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত তা জানাতে নিজের অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হলো।
কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত
আপনারা যদি কুয়েতে যেতে চান তাহলে সেখানে সর্বনিম্ন বেতন কত সেই সম্পর্কে জানবেন এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় অধিকাংশ মানুষ কুয়েতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে কিন্তু তারা জানি না তাদের সর্বনিম্ন বেতন কত হতে পারে আপনি যদি ক্রিয়েতে যেতে চান তাহলে কিন্তু অবশ্যই সেই দেশের সর্বনিম্ন বেতন সম্পর্কে জেনে যাবেন।
আরো পড়ুনঃ সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় জানুন
বর্তমানে সময়ে কুয়েতে অনেক ধরনের কাজে চাহিদা রয়েছে যারা কুয়েতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন। তারা অবশ্যই সেই সম্পর্কে ধারণা রাখবেন কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কারণ কাজের উপর ভিত্তি করে কুয়েতে বেতন নির্ধারণ করা থাকে। এই জন্য যারা কুয়েতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন তাদের মধ্যে অনেকেরই জানার আগ্রহ থাকে।
বর্তমানে কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন ৮০ দিনার যা বাংলাদেশী টাকায় হিসাব করলে ৩০ হাজার টাকার মতো। তবে কেউ চাইলে আপনাকে ৮০ দিনারের নিচে বেতন দিতে পারবে না। আপনি যদি কোন কাজের উপর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে সেই দেশে চান তাহলে আপনার বেতনের চেয়ে আরো বেশি হতে পারে।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত
বর্তমান সময়ে অন্যান্য দেশে তুলনায় কুয়েতে কোম্পানি ভিসা সুযোগ সুবিধা একটু বেশি পাওয়া যায় এই জন্য আমাদের বাংলাদেশ থেকে অনেকে আছে যারা কুয়েতে যেতে চাচ্ছে সবারই একটা স্বপ্ন থাকে। বড় কোন দেশে যাওয়ার তার মধ্যে থেকে অনেকেই কাজের জন্য কুয়েতকে বেছে নিচ্ছে প্রতি বছরই বাংলাদেশ থেকে প্রচুর লোক কাজে বিরুদ্ধে যেতে চাই।
কিন্তু তারা দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার সময় হয়তো আসলে জানতে পারেনা কুয়েতে কোম্পানি ভিসার বেতন কত টাকা দেওয়া হবে যার কারণে সেখানে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।আপনারা কম বেশি সবাই জানেন সব দেশের কাজের উপর ভিত্তি করে বেতন নির্ধারণ করা হয়।
তবে অনেকে জানে না কুয়েতে কোম্পানি হিসেবে বেতন কত তাই এখন আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব কুয়েতে কোম্পানি ভিসার বেতন কিরকম দেওয়া হয়।
- কোম্পানির শ্রমিক ও হেলপারদের বেতন কুয়েতে ১০০ দিনার যা বাংলাদেশী টাকায় ৩৫ হাজার টাকা হয়
- কোম্পানি ডেলিভারি বয় এর বেতন কুয়েতের ১২৫ দিনার বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৪৫০০০ টাকা হয়
- কোম্পানির ড্রাইভিং ভিসায় যারা গেছেন তারা কুয়েতের ১৩৫ দিনার যা বাংলাদেশী টাকায় ৪৮,৫০০ টাকা হয়।
- কোম্পানির ইলেকট্রিশিয়ানদের বেতন কুয়েতের ১২৫ দিনার যা বাংলাদেশী টাকায় ৪৫০০০ টাকার মতো হয়।
- কোম্পানির প্লাম্বার ও ওয়েল্ডার এদের বেতন কুয়েতের ১১০ দিনার যা বাংলাদেশী টাকায় ৩৯ হাজার টাকার উপরে।
কোম্পানির এসি মেকানিক যারা তাদের বেতন কুয়েতের ১২৫ দিনার আর যা বাংলাদেশী টাকায় ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা। আপনি যদি কুয়েত কোম্পানি বিষয়ে কাজ করে থাকেন তাহলে কোম্পানি বিষয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরির বেতন পেয়ে থাকবেন।
কিন্তু আপনি যদি কুয়েত ইলেকট্রিক কাজের বিষয় নিয়ে যে থাকেন তাহলে কাজের বেতন কত টাকা পাবেন আপনার মনের ভিতরে ঘোর-ফির করছে।তাই তরুন জেনে আসি কুয়েত ইলেকট্রিক কাজের বেতন কত তা সম্পর্কে।
কুয়েত ইলেকট্রিক কাজের বেতন কত
বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যাওয়ার স্বপ্ন অনেকেই দেখে কিন্তু কুয়েতে ইলেকট্রিক কাজের বেতন কত সে সম্পর্কে আপনারা কি জানেন ইলেকট্রিক কাজের চাহিদা প্রচুর রয়েছে যদি কেউ দক্ষ অভিজ্ঞতা নিয়ে কুয়েতে ইলেকট্রিক কাজ করতে যায় তাহলে কিন্তু তার বেতন একটু ভালো হবে।তবে আপনি যদি সাধারণভাবে অভিজ্ঞতা নিয়ে কুয়েতে কাজের উদ্দেশ্যে জান ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করেন।
তাহলে আপনার বেতন ১৭০ দিনার থেকে ৩১০ দিনার পর্যন্ত হতে পারে। বাংলাদেশী টাকায় হিসাব করলে ৬০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে যারা বাইরের দেশে তাদের উদ্দেশ্যে যেতে চায় তারা কিন্তু উন্নত দেশে যেতে চায়। কারণ সেই দেশে গেলে তারা একটি ভালো মানের বেতন পাবে।
আরো পড়ুনঃ সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে নিন
তবে সেই বেতন পাওয়ার জন্য কিন্তু তারা দক্ষ শ্রমিকই বেছে নিবে। আপনি যদি কোন কোম্পানির ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজের জন্য যান। তাহলে আপনার কোম্পানি ভেদে বেতন কমবেশি হতে পারে এবং আপনি যদি ভালো অভিজ্ঞ সম্পন্ন হন তাহলে আপনার বেতন বৃদ্ধি পাবে।
আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেল ইতিমধ্যে আমরা ইস্টেপ বাই স্টেপ পড়ে জানলাম কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে এবং কুয়েত ইলেকট্রিক কাজের বেতন কত তা সম্পর্কে।এবারে জানব আপনি যদি কুয়েত কোন কাজের জন্য যে থাকেন তাহলে কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত পাবেন তা বিস্তারিত তথ্য।
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
অনেকে আছে ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে বাইরের দেশে যেতে চাই আপনি যদি কুয়েতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন এবং কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে কিন্তু অবশ্যই ক্রিকেটে যাওয়ার আগে ড্রাইভিং ভিসার বেতন কত সেই সম্পর্কে জেনে যাবেন যারা কুয়েতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন তারা অনেকেই কিন্তু ইতিমধ্যে ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যাচ্ছেন।
আরো পড়ুনঃ কাতারে ফ্রি ভিসার দাম কত বিস্তারিত জানুন
কুয়েতে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি রয়েছে যেখানে ড্রাইভিং এর জন্য লোক নেওয়া হয় তবে ড্রাইভিং ভিসার যেতে চাইলে অবশ্যই আপনার ড্রাইভিং এর ওপর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। একেক কোম্পানিতে একেক রকম ভাবে বেতন নির্ধারণ করা হয়।
এই জন্য অনেকেই বুঝতে না পারায় কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার বেতন সম্পর্কে অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করেন। তাই বুঝার সুবিধা হতে আজকে আপনাদেরকে কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার বেতন কত সে সম্পর্কে জানাবো। বর্তমানে কুয়েতের ড্রাইভিং ভিসার বেতন সর্বনিম্ন ১৫৫ দিনার থেকে সর্বোচ্চ ২২৫ দিনার পর্যন্ত। যা বাংলাদেশী টাকায় হিসাব করলে সর্বনিম্ন ৫৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়।
কুয়েত ভিসা বন্ধ না খোলা ২০২৪
করোনা কালীন সময়ে কিন্তু বহুদিন কুয়েতের ভিসা বন্ধ ছিল যার কারণে অনেকেই জানতে চাই কুয়েত কাজের ভিসা বন্ধ না খোলা ২০২৪ সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে ২০২৪ সালে কুয়েতের ভিসা খোলা আছে কিনা এই নিয়ে অনেকেরই জানার আগ্রহ। কারণ বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের ভিসা নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চায়।
কারণ অন্যান্য দেশের যে কুয়েতে সুযোগ-সুবিধা একটু বেশি পাওয়া যায়। প্রবাস জীবন হিসেবে কুয়েত দেশকেই বেছে নেয়। আর আমরা সবাই জানি কুয়েতে ধনী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই যারা কুয়েতের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন তারা কিন্তু অবশ্যই কুয়েতের ভিসা বর্তমানে খোলা না বন্ধ সে সম্পর্কে জেনে যাবেন।
বাংলাদেশী প্রবাসীরা কাজের স্থান কুয়েতে কাজের জন্য ২০২৪ সালে কুয়েতে সকল ভিসা চালু রয়েছে। কাজেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, কলিং ভিসা, কোম্পানি ভিসা সহ অন্যান্য কাজের ভিসার জন্য আবেদন করা যাচ্ছে। আবেদনের যোগ্যতা, ডকুমেন্টস ও কাজের দক্ষতার মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
কাজের ভিসা বন্ধ না থাকলেও কুয়েত সরকার বাংলাদেশীদের জন্য ভিজিট ভিসা ও ফ্যামিলি ভিসা বন্ধ রেখেছে।এই ভিসার আবার কবে চালু হবে এই বিষয়ে এখনও জানা যায়নি। তবে কাজের জন্য বাংলাদেশ থেকে অনেক প্রবাসী কুয়েতে যায়।
এই জন্য প্রতি বছরই কুয়েত থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা কলিং ভিসা প্রকাশ বিজ্ঞপ্তি পেয়েছে। ২০২৪ সালের সকল কাজের ভিসায় চালু রয়েছে সরকারি ও বেসরকারিভাবে কুয়েতে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
কুয়েত কোম্পানি ভিসার জন্য কি কি প্রয়োজন
আমাদের বাংলাদেশ থেকে অনেকে আছে যারা কুয়েতে কোম্পানি ভিসায় কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছে তবে অনেকে জানা নেই কুয়েতে কোম্পানি ভিসার জন্য কি কি প্রয়োজন চারা কুয়েতে যেতে চাচ্ছেন তারা সর্বপ্রথমে গুরুত্বপূর্ণ এই ডকুমেন্টসগুলো রেডি করে রাখবেন।কারণ আপনার কুয়েতে ভিসা করার জন্য সেই ডকুমেন্টস গুলো আপনার লাগবে চলুন জেনে নেওয়া যাক কুয়েতে কোম্পানি ভিসার জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগে।
কুয়েতের কোম্পানি ভিসার আবেদনের জন্য আপনার যেকোনো একটি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির প্রয়োজনীয় নিবন্ধন বা দলিলপত্র থাকা লাগবে।আপনি কি এতে কোম্পানির যে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন সেই কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে। কেননা আবেদন করতে যাবেন তখন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন পড়বে registration certificate আপনার কোম্পানির নিবন্ধন অফিস থেকে সংগ্রহ করে নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
কুয়েতের যে কোন একটি ব্যাংক থেকে হিসাবের স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করে রাখতে হবে। যাতে আপনি যে কোন কোম্পানির যেতে চাচ্ছেন সেই কোম্পানির আর্থিক অবস্থা প্রমানিত থাকে। আর আবেদনের সময় কুয়েতের ব্যাংকের স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হবে।
আপনি আবেদন করতে যাবেন তখন কোম্পানির বিস্তারিত দরকারি ফাইল ও ব্যবসায়ী তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। আপনাকে কুয়েত ভিসার আবেদন করার সময় কোম্পানির ধরন, প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি, শাখার সংখ্যা, পণ্য ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
আপনি যখন কুয়েতের জন্য আবেদন করতে যাবেন তখন আপনার একটি পরিচয় পত্র দাখিল করতে হবে। যেখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও পেশাগত তথ্য উল্লেখ থাকবে যেমন আপনার পাসপোর্ট নাম্বার ঠিকানা ও আপনার পেশা এগুলো থাকবে।
FAQ।কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪।কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত
প্রশ্ন০১ঃ কুয়েত কোন কাজের চাহিদা সব থেকে বেশি?
- কনস্ট্রাকশন
- ইলেকট্রিশিয়ান
- মেকানিক্যাল
- রোড ক্লিনার
- অফিস ক্লিনার
- মেডিকেল ক্লিনার
- রেস্টুরেন্ট শেফ
- ড্রাইভিং
প্রশ্ন০২ঃ কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত বাংলাদেশী টাকায়?
- ড্রাইভিং ভিসার বেতন সর্বনিম্ন ১৫৫ দিনার থেকে সর্বোচ্চ ২২৫ দিনার অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় ৫৫ থেকে ৮০ হাজার।
প্রশ্ন০৩ঃ কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত দেওয়া হয়?
- বর্তমানে কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন ৮০ দিনার যা বাংলাদেশী টাকায় হিসাব করলে ৩০ হাজার টাকার মতো।
প্রশ্ন০৪ঃ কুয়েত কোম্পানি ভিসার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন?
- কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে।
- কুয়েতের যে কোন একটি ব্যাংক থেকে হিসাবের স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
- আবেদনের সময় কুয়েতের ব্যাংকের স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হবে।
- কোম্পানির বিস্তারিত দরকারি ফাইল ও ব্যবসায়ী তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
- আবেদন করার সময় কোম্পানির ধরন, প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি, শাখার সংখ্যা, পণ্য ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
শেষ কথা।কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪।কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত
সম্মানিত পাঠক বৃন্দ আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের আজকের আলোচনা ইতিমধ্যে সম্পন্ন পড়ে জানতেও বুঝতে পেরেছেন কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪ ও কুয়েতের সর্বনিম্ন বেতন কত পাওয়া যায় এ বিষয় সম্পর্কিত সকল আপডেট তথ্য।আশা করছি আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে আপনি কুয়েত সম্পর্কিত কুয়েত ভিসা বন্ধনা খোলা, কুয়েত ভিসার দাম কত, কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত এবং কুয়েত কোন কাজের বেতন কত তাই স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছেন।
আরো পড়ুনঃ
তাই আজকের আলোচনাটুকু আপনার কাছে ইনফরমেটিভ বলে মনে হলে আর্টিকেলটি আপনার পরিচিত আপন মানুষদের সঙ্গে শেয়ার করুন।এছাড়াও প্রবাসী ও কুয়েত সম্পর্কিত আপডেট তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url