কত টাকা থাকলে কুরবানী ওয়াজিব - সাত ভাগে কুরবানীর হাদিস জানুন

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করবো কত টাকা থাকলে কুরবানী ওয়াজিব ২০২৪ এবং কোরবানি কাদের উপর ফরজ এই বিষয় নিয়ে।আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা জানেনা কত টাকা থাকলে কুরবানী ওয়াজিব ২০২৪ এবং কোরবানি কাদের উপর ফরজ।তাই আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি কুরবানী সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পারবেন।
কত-টাকা-থাকলে-কুরবানী-ওয়াজিব-২০২৪
আপনি যদি কত টাকা থাকলে কুরবানী ওয়াজিব ২০২৪ এবং কোরবানি কাদের উপর ফরজ এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।তাহলে সেই সাথে সাত ভাগে কুরবানী দেওয়ার হাদিস, কোরবানি কত হিজরীতে ওয়াজিব হয়,  কোরবানি ওয়াজিব নয় এবং কোরবানির গোশত বন্টনের নিয়ম জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃকত টাকা থাকলে কুরবানী ওয়াজিব ২০২৪।কোরবানি কাদের উপর ফরজ

সাত ভাগে কুরবানী দেওয়ার হাদিস

আপনারা অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চান সাত ভাগে কোরবানি দেওয়ার হাদিস ও কত টাকা থাকলে কুরবানী ওয়াজিব সম্পর্কে অনেকেই জানেনা।যে সাত ভাগে কুরবানী দেওয়ারও হাদিস রয়েছে।হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে হজ সমর্পণ করি আমরা সাত জনে একটি করে উট বা গরু কুরবানী করেছি।(সহিহ,মুসলিম হাদিস:৩০৭৮)।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন যে আর তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেবল আল্লাহর ইবাদত দিনকে তার জন্য নির্দিষ্ট করো। (সূরা আল বায়্যিনাত, আয়াত:০৫) আল্লাহ তায়ালা আরো বলেছেন, সুতরাং তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং কুরবানী করো। (সূরা আল কাউসার)
কোরবানির পশুতে আকিকার হুকুম হলো কোরবানি ও আকিকা একই ধরনের ইবাদত এবং এই দুটি একসঙ্গে একই পশু দ্বারা করা জায়েজ আছে। ফাতেহা হিন্দিয়ার মধ্যে বিষয়টি স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে, যে যদি সবাই কোরবানি নিয়ত করে তাহলে কোরবানি সবার পক্ষ থেকে যথেষ্ট হয়ে যায়। এমন ভাবে কেউ যদি তার অতীতে ভূমিষ্ঠ সন্তানের আকিকা করতে চাই তাও সহিহ হবে।

কুরবানী কত হিজরীতে ওয়াজিব হয়

কুরবানী কত হিজরীতে ওয়াজিব হয় সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই কোরবানি ইসলামী শরীয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান কত টাকা থাকলে কুরবানী ওয়াজিব রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরতের পর প্রতি বছর কোরবানি করেছেন।তিনি কখনো কুরবানী পরিত্যাগ করেননি বরং সামর্থ্য থাকার পরও যে কোরবানি করে না হাদিসে তার নিন্দা করা হয়েছে। তার সম্পর্কে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, 'সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।

( মুস্তাদরাকে হাকেম :৩৫১৯) কুরবানী ইতিহাসে খুবই প্রাচীন পৃথিবীর ইতিহাসে আদম আলাইহিস সালাম এর পুত্রদ্বয় হাবিল ও কাবিলের কুরবানির করার মাধ্যমে যার সূচনা হয় (আল মায়েদা ৫/২৭) আমরা যে কুরবানীর সাথে পরিচিত তা ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ হিসেবে অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় (আছ-ছাফাফাত, ৩৭/১০০)
দ্বিতীয় হিজরীতে সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে যার পুনঃপ্রচলন প্রচলন শুরু হয়। (সুবুলুস সালাম,২/৭০)

কোরবানি কাদের উপর ফরজ

কোরবানি কাদের উপর ফরজ এই সম্পর্কে অনেকে জানতে চাই আসলে কোরবানি কোন মানুষগুলো দেওয়া ফরজ সেই সম্পর্কে অনেকে হয়তো জানেনা কত টাকা থাকলে কুরবানী ওয়াজিব এই বিষয়ে অনেকেই পর্যাপ্ত ধারণা না থাকার কারণে কিন্তু কোরবানি সম্পর্কে দ্বিমত রয়েছে। নিসাব পরিমাণ অর্থের মালিকের উপর কোরবানি করা ওয়াজিব।

কোরবানি ওয়াজিব একটি মতে বর্ণিত আছে যে তারা ওয়াজিব বলেছেন আবার কোরবানি সুন্নতে মুয়াক্কাদা। তোমরা প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর ও পশু কোরবানি করো ্সামর্থ্য থাকা অবস্থায় কোরবানি পরিত্যাগ করা মাকরূহ।
যদি কোন জনপদের লোকে সামর্থ্য থাকা শর্তেও সম্মিলিতভাবে কোরবানি পরিত্যাগ করে। তাহলে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে কেননা কুরবানী হলো ইসলামের একটি শিরায় বা মহান নির্দেশন।হজ্জ জীবনে একবার ফরজ হলেও কোরবানি প্রতিবছর একবার দিতে হয়। কারো উপর কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ এক বছর অতিক্রম হওয়ার শর্ত নয়।

বরং জিলহজ মাসের ১০ জিলহজ্জ ফরজের পর থেকে ১২ জিলহজও সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তাকে কোরবানি দিতে হবে। জিলহজের ১০-১১ ও ১২ তারিখ এই তিন দিনের যে কোন দিন কোরবানি করা যায় তবে সম্ভব হলে দশ তারিখে কোরবানি করা উত্তম।

ইসলামে হিজরী ক্যালেন্ডার ১২ তম চন্দ্র মাসের জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত কুরবানী করার সময় হিসেবে নির্ধারিত এই দিনে বিশ্ব জুড়ে মুসলিম রা কুরবানী দেয় যার অর্থ আল্লাহ তালা খুশির জন্য নির্দিষ্ট দিনে একটি পশু জবেহ করে।

কত টাকা থাকলে কুরবানী ওয়াজিব ২০২৪

অনেকেই কুরবানী সম্পর্কে জানতে চাই কত টাকা থাকলে কুরবানী ওয়াজিব ২০২৪ সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে জানাবো। একজন ব্যক্তির উপর কুরবানী করা কখন ওয়াজিব সে সম্পর্কে আগে আপনাকে জানতে হবে আপনার যদি নেশা পরিমাণ স্বর্ণ বা রুপা থাকে তাহলে আপনার উপর কোরবানি করা ওয়াজিব।

এর আগে আমরা কোরবানি কাদের উপর ফরজ সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছি এবার আপনি জানতে পারবেন কত টাকা থাকলে কুরবানী ওয়াজিব ২০২৪ এই সম্পর্কেই। কারণ অনেকেই বুঝতে পারে না যে তার কাছে কতটুকু অর্থ থাকলে তাকে কোরবানি দিতে হবে।নিসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত ভরি রুপার ক্ষেত্রে ৫.৫২ ভরি টাকা পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে নৃসাব হলো এর মূল্য সাড়ে ৫২ তোলার উপরে মূল্য সমপরিমাণ হওয়া।

এক্ষেত্রে সোনা বা রুপা কিংবা টাকা পয়সা এগুলো কোন একটি যদি পৃথকভাবে হিসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে ৫২ তোলা রুপার মূল্যের পরিমাণ হয়ে যায়। তাহলে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব ।তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন এসব পরিমাণ অর্থ থাকলে আপনার উপর কোরবানি ওয়াজিব। শুধুমাত্র এটাই নয় কোরবান নিসাব পুরো বছর থাকা জরুরি নয়।

কুরবানী তিন দিনের মধ্যে যেকোনো দিন নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে কুরবানী করা ওয়াজিব হবে। অর্থাৎ কুরবানী কাদের উপর ফরজ করা হলো তারা হলেন যে ব্যক্তির কাছে জিলহজ মাসের ১০-১১-১২ তারিখ সূর্য অস্ত্র যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে ৫২ তোলা রুপা বা এর সমতুল্য কিংবা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা এর সমতুল্য পরিমান সম্পদ থাকে এবং তার ঋণ বহির্ভূত হয় তাহলে সেই ব্যক্তির উপর কোরবানি করা আবশ্যক।

কার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়

কোরবানি সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন।কিন্তু কোরবানি কারো উপর ওয়াজিব নয় ও কত টাকা থাকলে কুরবানী ওয়াজিব সে সম্পর্কে হয়তো অনেকেরই জানা নেই।কোরবানি করার জন্য কিন্তু কিছু শর্ত রয়েছে সেই শর্ত মেনে তারপরে কোরবানি করতে হয়। মুসলিমরা যে যার স্বার্থ অনুযায়ী পশু কুরবানী করে যার কারণে সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব।

তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এই বিধান শিথিল করা হয়েছে অর্থাৎ কিছু মানুষের জন্য কোরবানি ওয়াজিব নয়।কোরবানির দিনগুলোতে সাড়ে সাত ভরি সোনা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা বা ওই পরিমাণ রুপার সমমূল্য নগদ অর্থ বা বর্তমান বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমির প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি ব্যবসায়ী পণ্য ও প্রয়োজন অতিরিক্ত অন্য আসবাবপত্র মালিক হলে তার উপর কোরবানি ওয়াজিব হবে। (রদ্দুল মুহতার ৬/৬৫)

সোনা বা রুপা কিংবা টাকা পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নিশোক পরিমাণ না থাকে। কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে ৫২ ভরি রুপার সমুল্য হার হয়ে যায় তাহলে কোরবানি করা ওয়াজিব। (রদ্দুল মুহতার ৫/২১৯)

নাবালেগ শিশু কৈশোর ও অসুস্থ মস্তিষ্কের ব্যক্তি হিসেবে মালিক হলেও তাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব না। হ্যাঁ তাদের অভিভাবক নিজ সম্পদ দ্বারা তাদের পক্ষ থেকে নফল কোরবানি করতে পারবে। দরিদ্র ব্যক্তি যে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নয় তার উপর কোরবানি ওয়াজিব নয়। তবে সে কোরবানি নিয়তে পশু খরিদ করলে ওই পশুটি কোরবানি করা তার উপর ওয়াজিব হয়ে যায়।

কোরবানির গোশত বন্টনের নিয়ম

কত টাকা থাকলে কুরবানী ওয়াজিব হবে আপনার জন্য এবং কোরবানির গোশত বন্টনের নিয়ম নিয়ে অনেকের মনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন থাকেন।আসলে এই প্রশ্নটি পরিষ্কার হওয়া দরকার কারণ কোরবানির গোশত বন্টনেরও একটি নিয়ম আমাদেরকে আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল করিমে বলেছেন এবং আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ও শিখিয়ে গেছেন। কুরবানীর গোস্ত তিন ভাগে বন্টন করতে হবে।

এমন কোন নির্দেশনা কোরআনের সুন্নাহ এনে তিন ভাগে করা ওয়াজিব নয় আলেমদের কেউ তিন ভাগে করার কথা বলেছেন তবে তা দলিল ভিত্তিক বাধ্যতামূলক নয় কুরআন সুন্নাহ ও নির্দেশনা অনুযায়ী কোরবানির গোশত নিজে খাওয়া যাবে এবং তা থেকে আত্মীয়-স্বজন এবং অভাবীদের খাওয়ানো উত্তম। কোরবানির গোস্ত যতটুকু নিজে খাবেন এবং ততটুকু আত্মীয়-স্বজন ও অভাবীদের মধ্যে বিতরণ করবেন।

তা আপনার নিজের পরিবার-পরিজনের সদস্য সংখ্যা সমাজের অর্থ সামাজিক অবস্থা ও পরিবেশের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। মহান আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন অতঃপর তোমরা তা থেকে আহার করো এবং আহার করও তুষ্ট অভাব গ্রস্তকে যারা চাই না অভিনয় ভিক্ষাপ্রার্থীকে যারা চাই।(সূরা আল হজ্জ :৩৬) অমুসলিম দরিদ্র প্রতিবেশী কেউ কোরবানির গোশত দেওয়া যায়।

কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি

আপনারা কি কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি  এবং কত টাকা থাকলে কুরবানী ওয়াজিব সে সম্পর্কে জানেন এবার অনেকেই জানি না।আসলে অনেকেই আমরা জানি কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার কয়েকটি শর্ত রয়েছে।যে শর্তগুলো যদি আপনার সাথে মিলে যায় তাহলে কিন্তু আপনার উপরও কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব হবে। চলুন জেনে আসি কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত সম্পর্কে।
  • কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার শর্ত মোট ছয়টি।
  • কুরবানী দাতা মুসলিম হওয়া কারণ কোন অমুসলিমের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়।
  • কোরবানি দাতা স্বাধীন হওয়ার কারণ দাস-দাসীর উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়।
  • কোরবানি দাতা মুকিম বাণিজ শহরের বাসিন্দা হওয়া কারণ মুসাফিরের উপর কুরবানী ওয়াজিব করা হয়নি।
  • কুরবানী দাতা নেসাবের মালিক হওয়া কারণ গরিবের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়।
  • বালক বা প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তি কারণ নাবালক এর উপর কোরবানি ওয়াজিব নয়।
  • শক্তি সম্পন্ন সুস্থ ব্যক্তি হওয়া কারণ নির্বোধ ও পাগলের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়।
নেশা হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত ভরি রুপার ক্ষেত্রে ৫.৫২ ভরি টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে নেসাব হলো এর মূল্য 5.52 তোলার উপরে মূল্যর সমপরিমাণ হওয়া। আর সোনা বা রূপা কিংবা টাকা পয়সা এগুলো কোন একটি যদি পৃথকভাবে নিসব পরিমাণ না থাকে তাহলে কিন্তু প্রয়োজনে অতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে ৫২ তোলা রুপার মূল্যের পরিমাণ হয়ে যায়।

তাহলে তার মধ্যে কুরবানী করা ওয়াজিব। মেয়াদ হল কুরবানীর নেসাব পুরো বছর থাকা জরুরি নয়। কুরবানী তিন দিনের মধ্যে যেকোনো দিন নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে কুরবানী করা ওয়াজিব হবে। অর্থাৎ কুরবানী কাদের উপর ফরজ করা হলো তারা যে ব্যক্তির কাছে জিলহজ মাসের ১০-১১-১২ তারিখ সূর্য অস্ত যাবার আগ পর্যন্ত। 
প্রয়োজনে অতিরিক্ত সাড়ে 52 তোলার উপায় এর সমতুল্য কিংবা সাড়ে সাত তোলার স্বর্ণ বা এর সমতুল্য পরিমান সম্পদ থাকে এবং তার ঋণ বহির্ভূত হয় তাহলে সেই ব্যক্তির উপর কুরবানী আবশ্যক।

কোরবানির গোস্ত কত দিন খাওয়া যায়

মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র দুইটি উৎসব হল ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার। ঈদুল আযহা কে কুরবানির ঈদে বলা হয় আদি পিতা ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় থেকে কুরবানীর প্রচারণ শুরু হয়েছে মুসলিম উম্মাহ প্রতি ১০ জিলহ যে কুরবানী দিয়ে থাকে।এই প্রচলন আদি পিতা ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে শুরু হয়েছে।

আল্লাহ তা'আলা ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তার প্রাণপ্রিয় সন্তানকে কুরবানী করার নির্দেশ দিলেন হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই হুকুম পালন করে আল্লাহর এই কঠিন পরীক্ষায় সফল হয়েছিলেন। সে সময় থেকে আল্লাহর সন্তুষ্টি পেতে এবং তার এই নির্দেশে কুরবানী পালন করা হয়।

কোরবানি পালনের পরে কিন্তু কোরবানির গোশত তিন ভাগে বন্টন করা হয় এক ভাগ নিজের জন্য এক ভাগ্য আত্মীয়-স্বজন জন্য একভাগ গরিব দুস্থদের জন্য বিলিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। নিজের যেই একভাগ সে কোরবানির গোশত কত দিন খাওয়া যায় এটা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে।

কোরবানির গোশত কতদিন রেখে খেতে পারবেন এটা সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেনা আসলে কোরবানির মাংস পুরো বছরই আপনি দেখে খেতে পারেন এটা আপনার উপর নির্ভর করে। আপনার যদি সংরক্ষণ করে রাখার জায়গা থাকে তাহলে আপনি কোরবানির মাংস সারা বছর রেখে খেতে পারবেন।

শেষ কথা। কত টাকা থাকলে কুরবানী ওয়াজিব ২০২৪।কোরবানি কাদের উপর ফরজ

আপনারা অনেকেই জানতেন না কত টাকা থাকলে কুরবানী ওয়াজিব ২০২৪ এবং কোরবানি কাদের উপর ফরজ।কিন্তু আপনি আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন কুরবানী সম্পর্কিত আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু।আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন।

এছাড়া আর্টিকেলটি আপনার কাছে তথ্যবহুল মনে হলে আপনার পরিচিত জনদের সাথে শেয়ার করুন।আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।এরকম পোস্ট আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url