কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর করতে পারবেন জেনে নিন

সুন্দর চেহারার অধিকারী হতে চান?তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য।আমাদের আজকের আলোচনা কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয় এবং  কোন ফল খেলে ত্বক ফর্সা হয় এ বিষয় নিয়ে।আপনারা অনেকেই চেহারা সুন্দর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন যা ত্বকের জন্য মোটেও ভালো না।তাই আজকের আলোচনা থেকে জেনে নিন কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয় এ বিষয় সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।
কোন-ভিটামিন-খেলে-চেহারা-সুন্দর-হয়
সেই সাথে আপনি কোন সবজি খেলে ত্বক ফর্সা হয়, কোন ঔষধ খেলে চেহারা সুন্দর হয় এবং খালি পেটে কি খেলে ত্বক ফর্সা হয় তা জানতে পারবেন।তাই আজকের আলোচনাটুকু শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয় এবং কোন ফল খেলে ত্বক ফর্সা হয় সে সম্পর্কে সকল সঠিক তথ্যগুলো জেনে নিন।
পোস্ট সূচিপত্রঃকোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয়।কোন ফল খেলে ত্বক ফর্সা হয়

কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয়

সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে হলে প্রতিটি ভিটামিন এরই দরকার রয়েছে তবে অনেকেই জানতে চাই কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয়। আসলে আপনি যদি আপনার চেহারা সুন্দর করতে চান তাহলে কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। শুধুমাত্র ভিটামিন খেলেই হবে না ভিটামিন সমৃদ্ধ খাদ্য নিয়মিত খাবার তালিকায় রাখতে হবে।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সবচেয়ে বেশি জরুরী ভিটামিন সি যার কারণে খাদ্য তালিকায় সবসময় রাখতে হবে। এছাড়া ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন কে রাখতে হবে। সেই সাথে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে তখন ত্বক সুন্দর করতে হলে।

ভিটামিন এ: সুস্থ ও তরুণ্য দীপ্ত ত্বকের জন্য ভিটামিন এ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন এ এর অভাবে ত্বকের রুক্ষ, খসখসে ও শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে। তাই লাবণ্য বজায় রাখতে হলে অবশ্যই ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ব্রকলি পালং শাক, মিষ্টি আলু, ছোট মাছ, ফলমূল, ডিম, দুধ, ও রেডমিড মাংস তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। ত্বকের কালচে দাগ ও কালো চোখ দূরে রাতে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি এবং দাগন ত্বকের জন্য ভিটামিন এ দারুন কার্যকর

ভিটামিন বি: সূর্যের খড় তাপের কারণে ত্বক পুড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে ভিটামিন বি। এইজন্য সানস্ক্রিনের মধ্যে ভিটামিন বি দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন এলার্জির হাত থেকে রক্ষা করে ভিটামিন বি। আপনারা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার যেমন: ডিমের সাদা অংশ, ঢেঁকি ছাটা চাল, কলিজা, দুধ, গাজর, টমেটো, গ্রিন টি ইত্যাদি খেতে পারেন।

ভিটামিন সি: ভিটামিন সি এর প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কাজ করে।শুধু এই নয় কোলাজেনের বৃদ্ধি ঘটায় এতে টানটান ও সতেজ থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট তর্কে বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে সব ধরনের ত্বক ফল লেবু, কমলা, মাল্টা, টমেটো, শসা ও সবুজ শাকসবজির মধ্যে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
ভিটামিন ডি: ভিটামিন ডি এর অভাবে ত্বকে অতিরিক্ত শুষ্কতা দেখা দেয় ত্বক ফ্যাকাশেও বিবর্ণ হয়ে পড়ে সহজেই ত্বকের ক্ষত শুকাতে চাই না। এছাড়াও একজিমা সিরোয়াসিসে হতে পারে। স্যামন, টুনা, পনির, ডিম, মাশরুম সয়া, দুধ, এভোকাডো, চিকেন এবং পিনাট বাটার মতো চর্বিযুক্ত খাবার থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এছাড়াও আপনারা প্রতিদিন সকালে সূর্যের আলোতে বসে থাকলে ভিটামিন ডি পাবেন।
ভিটামিন কে: ত্বকের জেলা ধরে রাখে ভিটামিন কে ত্বকের অবাঞ্ছিত নানা দাগ। ছোপ ছোপ দাগ, লালচে দাগ কমাতে সাহায্য করে ভিটামিন কে। চোখের নিচের ডাক সার্কেল দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।আপনারা ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন ব্রকলি, বাঁধাকপি ও পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে রয়েছে।

কোন ফল খেলে ত্বক ফর্সা হয়

বিভিন্ন রকমের ফল রয়েছে যা খাওয়ার ফলে কিন্তু আপনারা ত্বক ফর্সা করতে পারেন এছাড়াও আপনারা অনেকেই কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয়  সে সম্পর্কেও জানতে চান। প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক ফর্সা করতে হলে আপনারা ফল খেয়ে ত্বক ফর্সা করতে পারেন কারণ এতে আপনার ত্বকের ফল খাওয়ার ফলে ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা বেরিয়ে আসবে। ত্বকের সৌন্দর্য ও লাবণ্য ধরে রাখতে হলে আপনারা ফল খেতে পারেন।তাই চলুন  কোন ফল খেলে ত্বক ফর্সা হয় সেসমস্ত ফল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 
টমেটো: ত্বকে বয়সের ছাপ কমাতে এবং ত্বক সুন্দর করতে হলে টমেটো খেতে পারেন। টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন সি, ই এবং প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করে এবং ত্বক সুন্দর রাখে। এই ভিটামিন গুলো ত্বকের বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও বলিরেখা, ভাজ, বয়সের দাগ, চোখের চারপাশের দাগ, পিগমেন্টেশন ইত্যাদি থেকে টমেটোর ব্যবহারের মাধ্যমে রক্ষা পাওয়া যায়।

লেবু: লেবু কমলা মসম্বি জাম্বুরা মালটা এগুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে দারুণ কার্যকারী। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন টা স্কিনকে হাইড্রেট রাখে আর ন্যাচারালি স্ক্রিনটন ব্রাইট করতে হেল্প করে। মেলানিন কমিয়ে স্কিনকে উজ্জ্বল করে তুলতে লেবু জাতীয় ফল বেশ ভালো কাজ করে।
শসা: ত্বকের যত্নে শশা কথা কল্পনা করলে চোখে ভাসে শসার স্লাইস আর মুখের ফেসপ্যাক তাইনা। আপনার প্রচুর পরিমাণে পানির অভাব দূর হবে এবং শসাতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে। যা স্কিনকে হেলদি আর গ্লোয়িং রাখে এর উপকারিতা রয়েছে। বয়সের ছাপ বা বলি দেখা কমাতে ও স্কিনকে হাইড্রেট রাখতে দারুন কার্যকরী।

কলা: নিত্য দিনের খাবার তালিকায় কলাটা সাধারণত অনেকেই খেতে পছন্দ করেন এটি ত্বক ভালো রাখার জন্য অত্যন্ত উপকারী এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী পাশাপাশি এটি ত্বকের মলিন ভাব দূর করতে সাহায্য করে।

আপেল: আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, এ, সি আর অন্যান্য দরকারি নিউট্রিয়েন্ট। যা আপনার স্কিনকে রিপেয়ার করবে হেলথ গুলো ধরে রাখবে এবং ত্বকের তারুণ্য দীপ্ত দেখাতে এই ফলটি দারুন কাজ করে।

গাজর: গাজরে আছে বিটা ক্যারোটিন স্কিনের আউটার লেয়ারের কোষের বৃদ্ধি করে হেলদি স্কিন সেলসকে প্রমোট করে ত্বককে স্মুথ রাখে গাজর গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে যার ড্যামেজ স্কিনকে রিপেয়ার করে এই জন্য আপনারা গাজর খেতে পারেন তখন সুন্দর করার জন্য এতে উপকার পাবেন।

কোন ঔষধ খেলে চেহারা সুন্দর হয়

আপনারা কি ত্বক সুন্দর করার জন্য ওষুধ খেতে চান কোন ওষুধ খেলে চেহারা সুন্দর হয় সেই সম্পর্কে জানার জন্য প্রচুর প্রশ্ন রয়েছে?আসলে আপনি যদি ত্বক সুন্দর করতে চান তাহলে কিন্তু আমাদের একটি মশা রয়েছে যা মেনে চললে হয়তো আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। আপনি যদি নিজের ত্বকে ভালো রাখতে চান তাহলে কিন্তু অবশ্যই কোন ওষুধ খেয়ে চেহারা সুন্দর করতে যাবেন না। আখে প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করে চেহারা সুন্দর করতে পারেন।

কোন সবজি খেলে ত্বক ফর্সা হয়

বিভিন্ন রকমের খাবার খাওয়ার ফলে কিন্তু ত্বকের উপর প্রভাব পড়ে।কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয় সেই সম্পর্কে অনেকেরই জানার আগ্রহ রয়েছে। আপনারা আমাদের সাথে থাকলে আজকে জানতে পারবেন কোন সবজি খেলে ত্বক ফর্সা হয় ও কোন ভিটামিন খেলে আপনার চেহারা সুন্দর করতে পারবেন। ত্বক ফর্সা করার জন্য আমরা বিভিন্ন রকমের উপায় অবলম্বন করি তবে কিছু খাদ্য রয়েছে যেগুলো খাওয়ার ফলে কিন্তু ত্বকে উজ্জ্বলতা আসে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে হলে ফল বা সবজির রস ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার ত্বক আরো বেশি সুন্দর হয়ে যাবে। আবদান রাখে। এগুলো তৈরি করা খুব সহজ এবং দীর্ঘ সময় পেটে ভরিয়ে রাখে যার ফলে আপনারা মুখরোচক খাবারের প্রতি ঝোক কমে। কমলার জুস, ডালিমের জুস বা শসা বিট রুট এবং কলা দিয়ে বানানো স্মুদি স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য বেশ উপকারী।
সেগুলো সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক ও সবুজ টা ত্বক সবজি খেতে পারেন। এই খাবারগুলো প্রক্রিয়াজাত ও প্রিজারবিয়েটিভ মুক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্যকর ও ত্বকের জন্য উপকারী। সবুজ শাকসবজি ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এই ধরনের শাকসবজিতে ভিটামিন এ, জিংক, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম সহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ।

এগুলো শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াকে পরিষ্কার রাখে।এছাড়া পালং শাক,ব্রোকলি, পেঁয়াজের কলি, সেলারি এবং শসা ত্বকের অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। এই ধরনের শাকসবজি প্রতিদিন খাবারের তালিকায় রাখলে ত্বকের লাবণ্য বৃদ্ধি পাবে।

সকালে খালি পেটে কি খেলে ত্বক ফর্সা হয়

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে সকালে খালি পেটে কি খেলে ত্বক ফর্সা হয় আসলে যে সকল খাবার খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় সে সকল খাবার গুলো নিয়মিত খেতে হবে। প্রাকৃতিক উপায়ে যদি ত্বক ফর্সা করতে চান তাহলে অবশ্যই যে সকল খাবার খাওয়ার ফলে ত্বক ফর্সা হয় বা কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয় সেই সকল খাবার গুলো খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

অনেকেই মিশ্রণ উজ্জ্বল ত্বক চাই কিন্তু অনেক সময় নিয়মিত যত্ন আর নামিদামি কসমেটিক ব্যবহারের পরেও ত্বকের সৌন্দর্য ঠিক থাকে না টপ ঠিক রাখতে খাদ্য বাস পর্যাপ্ত ঘুম আর স্বাস্থ্যের অবস্থা ভীষণভাবে জড়িত। প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক ফর্সা করতে চাইলে আপনারা যে সকল খাবার খেতে পারেন।
পানি: সুন্দর ত্বকের জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে পর্যাপ্ত পানি খেলে ত্বকের কোমলতা উজ্জ্বল ভাব বৃদ্ধি পায়। ত্বকে পানির পরিমাণ কমে গেলে ব্রণসহ নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয়। তাই সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে হলে নিয়মিত দুই লিটার পানি পান করতে হবে।
গ্রিন টি: গ্রিন টি শুধু স্বাস্থ্য রক্ষায় নয় বরং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও দারুন কার্যকর। এই কারণে এখন শুধু পানীয় হিসেবে নয় এটি ব্যবহার হচ্ছে রূপচর্চার সামগ্রী হিসেবে গ্রীনটিতে রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, নানাবিধ এনজাইম, অ্যামাইনো এসিড, ভিটামিন বি সহ বেশ কিছু উপকারী উপাদান যা ত্বকের জন্য খুব উপকার করে। এছাড়া ত্বকের দাগ ছোপ, কাটা দাগ, লালচে ভাব কমাতেও এটি সাহায্য করে।

বাদাম: আপনারা যদি প্রতিদিন সকালবেলায় ভিজিয়ে রাখা বাদাম সকালে খান তাহলে কিন্তু ত্বকের জন্য এটি অনেক উপকার করবে বাদামে রয়েছে ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন ই। খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখলে এর পুষ্টি উপাদান গুলো ত্বকে আরও সজীব ও লাবণ্যময় করে তোলে।

কলা: প্রতিদিন সকাল বেলায় আপনি যদি খাদ্য তালিকার নাস্তার মধ্যে কলা রাখেন। এটি আপনার ত্বককে আরো বেশি সুন্দর করে তুলবে ত্বক ভালো রাখার জন্য কলা অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন এ স্বাস্থ্যের জন্য উপকার করে পাশাপাশি এটিকের মূলত দূর করতে কার্যকর।

খালি পেটে চিনি খাওয়া কি ক্ষতিকর

আপনারা হয়তো অনেকেই চিনি খাওয়া সম্পর্কে জানেন কিন্তু খালি পেটে চিনি খাওয়া কি ক্ষতি করে সেই সম্পর্কে অনেকের জানার আগ্রহ রয়েছে কারণ তিনি আমাদের শরীরে অনেক ক্ষতি করে যারা ডায়াবেটিসের রোগী তাদের কিন্তু গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়ার কারণে চিনি খাওয়ার ফলে নানা রকমের শরীরে সমস্যার সৃষ্টি করে।

মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে সকলে পছন্দ করে খাবার খাওয়ার পরে মিষ্টি কিছু না খেলে পরিপূর্ণই লাগে না যার কারণে কিন্তু অনেকে মিষ্টির জাতীয় খাবারের মধ্যে মূল উপকারণ চিনি হয়। যার ফলে চিনি খেতে মিষ্টি হল এর ফল মোটেই মিষ্টি নয় কিন্তু।চিনি একটি নীরব ঘাতক। চিনি শরীরে বিষের মতো কাজ করে অনেকটা যা আস্তে আস্তে শরীরকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
চিনি খাওয়া অনেকটা নেশার মতো বলা যায় বারবার খেতে ইচ্ছা করে। বাজার থেকে যে চিনি কিনে আনি চা কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরিতে এটি ব্যবহার করা হয়। সেটা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। সকালবেলায় খালি পেটে চিনি খেলেও কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ এটি না খাওয়াই উত্তম।

চিনি না খাওয়াই সবচেয়ে ভালো তবে প্রয়োজনে একজন ব্যক্তি দৈনিক ২৫ গ্রাম থেকে 36 গ্রাম চিনি গ্রহণ করতে পারবে একজন নারী দৈনিক ২৫ গ্রাম এবং একজন পুরুষ দৈনিক 36 গ্রাম চিনি খেতে পারেন এর বেশি তিনি গ্রহণ করলে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে রক্ত চলাচলে জমাট বাঁধে, লিভারের ক্ষতি, স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেওয়া, ডায়াবেটিসের সমস্যা, শরীরে ফ্যাট জমতে শুরু করে। ওজন বৃদ্ধি পায়, ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়, হার্ট অ্যাটাকে ঝুকি বৃদ্ধি করে, বিষন্নতা দেখা দেয়। তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন চিনি খাওয়ার ফলে কতটা শরীলে অপকারিতা হতে পারে তার জন্য অবশ্যই চিনি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

সকালে খালি পেটে কোন জুস খাওয়া ভালো

সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে পর কিন্তু একটি ভালো জুস খাওয়ার ফলে আপনার ত্বকের জন্য উপকার হবে এবং আপনার শরীর ও মন ফ্রেশ হয়ে যাবে। সকালে খালি পেটে কোন জুস খাওয়া ভালো সে সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না। সকাল বেলার নাস্তার সাথে আপনি যদি একটা ভালো জুস খান তাহলে কিন্তু সারাদিনের আপনার ফলের চাহিদা পূরণ হবে এবং পুষ্টিগুলো না ত্বকে আরো বেশি সুন্দর করে তুলবে।
চিকিৎসকদের মতে সকালে খালি পেটে ফলের রস পানের পরিবর্তে তাজা ফল খাওয়াই ভালো এতে রয়েছে ফাইবার যা সুগারের প্রভাব কমাতে কাজ করে গ্রিস মে ডাবের পানি তরমুজ শসা লেবুর পানি খেতে পারেন এছাড়াও আপনি অন্যান্য পানীয় যেগুলো প্রাকৃতিক উপায় পাওয়া যায় সেই গুলো খেতে পারেন। এই গরমে খাদ্য গ্রহণে জুস খেয়ে পুষ্টি ঠিক রাখা অনেক আরামদায়ক।

তবে খালি পেটে ফলের জুস বা রস স্বাস্থ্যের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে এটা অগ্ন্যাশয় এবং লিভারের উপর চাপ বাড়িয়ে দেয়। তাই খালি পেটে যেকোন জুস না খেয়ে ভরা পেটে খেতে হবে। ফলের রস থেকে হতে পারে কিছু মুদি খালি পেটে শুধু ফলের রসেতে স্মুদি খেতে পারেন আপনারা আর এটা প্রস্তুত করতে গোটা ফলকে দই অথবা দুধের সাথে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।

অবশ্যই অনেকের পেটে দুধ সহ্য হয় না তারা এটা না খাওয়াই উত্তম দই দিয়ে খেতে পারেন। কিছুটা প্রোটিন আর স্বাস্থ্যের ফ্যাট জুসের যুক্ত হলে হজমের জন্য সেটা নিরাপদ হয়। চিকিৎসকের মতে খালি পেটে জুসের চাইতে সকালবেলা এমন একটি নাস্তা হওয়া উচিত যা কিনা সারাদিনে শক্তি যোগাবে তরতাজা ফল খেতে হবে জুস খাওয়ার পরিবর্তে এতে আপনার পুষ্টি আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে।

শেষ কথাঃকোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয়।কোন ফল খেলে ত্বক ফর্সা হয়

রূপচর্চার অধিকারী মেয়েরা বিভিন্ন ধরনের উপায় ব্যবহার করে নিজেদের চেহারা সুন্দর ও চাকচিক্যময় করে তুলতে।এর জন্য ব্যবহার করতে হয় বিভিন্ন নাইট ক্রিম দিয়ে ক্রিম ইত্যাদি।তবে এ সমস্ত ক্রিম ছাড়া চেহারা সুন্দর করা যায়।আপনাকে জানতে হবে কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয় এবং কোন ফল খেলে ত্বক ফর্সা হয়।
আপনি যদি উপরের এই দুইটি বিষয় সম্পর্কে আজকের আলোচনা থেকে মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কিভাবে ভিটামিনের মাধ্যমে চেহারা সুন্দর করা যায়।আমাদের আজকের আলোচনা পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন। এছাড়া আর্টিকেল সম্পর্কিত কোন তথ্য বা কোন মন্তব্য থাকলে আমাদের জানাতে ভুলবেন না।আমাদের আজকের পর্ব এ পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url