কিভাবে জামদানি শাড়ি চিনবেন - জামদানি শাড়ির দাম [সর্বশেষ আপডেট]

কিভাবে জামদানি শাড়ি চিনবেন? এবং জামদানি শাড়ির দাম সম্পর্কে আপনার অজানা রয়েছে?তাহলে আর ভাববেন না কিছুটা সময়ের মধ্যে আজকের আলোচনা পড়ে আপনিও কিভাবে জামদানি শাড়ি চিনবেন এবং জামদানি শাড়ির দাম সম্পর্কে জানতে পারবেন।আপনি যদি একটি জামদানি শাড়ি কিনতে চান তবে আজকের আর্টিকেলটি হতে পারে আপনার জন্য অনেকটা উপকারী।
কিভাবে-জামদানি-শাড়ি-চিনবেন
কেননা আজকের আর্টিকেলে আমরা জামদানি সম্পর্কিত জামদানি শাড়ি কত প্রকার, জামদানি শাড়ি কোথায় তৈরি হয়, জামদানি শাড়ি কোথায় পাওয়া যায়, এবং জামদানি শাড়ি কোন কাউন্টে ভালো তা জানতে পারবেন। তাই আজকের আলোচনাটুকু শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন কিভাবে জামদানি শাড়ি চিনবেন এবং জামদানি শাড়ির দাম সম্পর্কিত সকল তথ্য।
পোস্ট সূচিপত্রঃকিভাবে জামদানি শাড়ি চিনবেন।জামদানি শাড়ির দাম

জামদানি শাড়ি কত প্রকার

জামদানি শাড়ি প্রাচীন শাড়ি হওয়ার এই শাড়ির কিন্তু চাহিদা এখন পর্যন্ত কমেনি জামদানি শাড়ি কত প্রকার সেই সম্পর্কে অনেকেরই জানার আগ্রহ রয়েছে। জামদানি শাড়ি নিয়ে বিভিন্ন রকমের ধারণা রয়েছে কিভাবে জামদানি শাড়ি চিনবেন এই সকল বিষয় নিয়ে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
জামদানি শাড়ি মোট চার ধরনের হয়
  • ফুল সিল্ক
  • হাফ সিল্ক
  • ফুল কটন
  • নাইলন
ফুল সিল্ক: জামদানি শাড়ির তানার সুতা আর বাইরের সুতা এবং শাড়ির উপরের নকশা সবই রেশমের হয় ফুল সিল্ক জামদানি শাড়ি এই শাড়ি তৈরি করা হয়।
হাফ সিল্ক: আপনি যদি হাফ সিল্ক জামদানি শাড়ি নেন তাহলে এটাও সুন্দর হয়ে হাফ সিল্ক শাড়ির তানার সুতার রেশমের বাইরে সুতা আর নকশা হয় কটনের।

ফুল কটন: জামদানি শাড়ি ফুল কটন যেটা সেটার আপনি যদি নিতে চান তাহলে ফুল কটন শাড়িতে তা না সুতা বাইরে সুতা নকশা সবই কটনের হয়ে থাকে এই সুতি সুতাটা তৈরি হয় কার্পাস তুলা থেকে কার্পাস তুলা আমাদের দেশেই কাজ করা হয়।

নাইলন: নাইলন জামদানিতে নাইলন তানার সাথে বাইন আর নকশা নাইলন বা কটন দুটোই হতে পারে নাইলন আর রেশমের খুব বেশি তফাৎ হয় না খুব পাকা জামদানি ব্যবসায়ী না হলে ধরা সম্ভব না কোনটা রেশমের জামদানি আর কোনটা নাইলনের জামদানি। নাইলনকে রেশম জামদানি বলে খুব সহজে ক্রেতাদেরকে ঠকানো সম্ভব।আশা করি আপনার জামদানি কত প্রকার এই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং বুঝতে পেরেছেন।

কিভাবে জামদানি শাড়ি চিনবেন

জামদানি শাড়ি চেনার উপায় কি সে সম্পর্কে অনেকে জানতে চাই কিভাবে জামদানি শাড়ি চিনবেন। কলকাতার ঢাকাই শাড়ি বলেই পরিচিত হয় জামদানি শাড়িকে বাংলাদেশে গেলে অবশ্য বলতে হবে জামদানি শাড়ি সে যে নামে ডাকুক না কেন এই শাড়ি বাংলার সব কোনাতে বেশ জনপ্রিয় প্রতিটা অনুষ্ঠানে কিন্তু হালকার রঙের জামদানি শাড়ি পড়ে গেলে অনেক সুন্দর লাগে।

জামদানি শাড়ির মহিমা অবশ্য শুধু বাংলায় আটকে নেই কলকাতা ঢাকা ছড়িয়ে তাড়িয়েছে অনেকদূর পর্যন্ত। কিভাবে জামদানি শাড়ি খুব সহজে চিনবেন চলুন কয়েকটি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করে আসি।আসল জামদানি শাড়ির শুরুতে সাড়ে ৫ হাত পর্যন্ত কোনও পাড় থাকে না। অর্থাৎ যে অংশটি কোমরে গোজা থাকে তাতে পাড় থাকে না।

মেশিনে বোনা জামদানি শাড়ি হলে তাতে পুরোটাই পাড় থাকে। আর হাতে বোবা জামদানির চেয়ে বেশি ভারী এবং খসখসে হয় মেশিনে বোনা জামদানি। কারণ মেশিনে তৈরি জামদানি নাইলনের সুতো ব্যবহার করা হয়। আসল জামদানি শাড়ির দাম নির্ধারণ হয় সুতোর মানের নিরিখে। কিন্তু মেশিনের জামদানিতে একই ধরনের সুতো ব্যবহার করা হয়ে থাকে ফলে দাম দিয়ে শাড়ি কেনার আগে জেনে নেওয়া জরুরী সেটি আসল নাকি নকল।

সাধন তো শাড়ি তৈরি সময়, সুতার মান ও কাজের সূক্ষ্মতা বিবেচনায় একটি জামদানির দাম ৩০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বা এর বেশিও হতে পারে। কিন্তু মেশিনে বন্যা জামদানিতে এমন সময় বা শ্রম দিতে হয় না এই জন্য দামও তুলনামূলক অনেক কম হয়। জামদানি শাড়ি হাতে বোনা হাওয়ায় শাড়ির ডিজাইন হয় খুব সুখ এবং নিখুত ডিজাইনগুলো হয় মিসৃণ।

কারিগরিব প্রতিটি সুতো হাত দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বুনন করেন সুতার কোন অংশ বের হয়ে থাকে না। এ কারণে জামদানি শাড়ির কোনটা সামনের অংশ আর কোনটা ভেতরের অংশ তা পার্থক্য করা বেশ কঠিন হয়।

জামদানি শাড়ি কোথায় তৈরি হয়

ব্যয়বহুল জামদানি উৎপাদন একচোটিয়া ভাবে বহু কাল মুঘলের হাতেই ছিল ঢাকার সদর মলমল খাস কুটির দারোগা জামদানি তৈরির জন্য তাঁতীদের দাদন দিয়ে জামদানি বুননি নিয়োগ করা হতো। জামদানি শাড়ি কোথায় তৈরি হয় এই সম্পর্কে অনেকে জানতে চাই কিভাবে জামদানি শাড়ি কিনবম সুস্ম সম্পর্কে হয়তো বুঝতে পেরেছেন।

জামদানি পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা সময় তৈরি করা হলো বংশানুক্রমিক শৈল্পিক মনোবৃত্তি সম্পূর্ণ কারিগর স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত কাঁচামাল শীতলক্ষর পানি থেকে উথিত বাষ্প সুতা প্রস্তুতি ও কাপড় বুনার জন্য সহায়ক বিধায় ঢাকার ও দূরের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো ইউনিয়নের ১৪টি গ্রাম ও সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়নের ১টি গ্রাম মোট ১৫টি গ্রামে মূলত জামদানি শিল্প কেন্দ্রীভূত।

গ্রামগুলও হলো: নোয়াপাড়া, দক্ষিণ রূপসী, রূপসী কাজীপাড়া, গন্দবপুর,সিদ্ধিরগঞ্জ,মুগুরাকুল,খিদওরপির, ইমকলী, খাদুন,পবনকুল, তারাবো, খালপাড়া,দিঘবরার ও সুলতানবাগ। এছাড়াও গঙ্গননগর কাহিনীনা মীর গাদায় মহিমপুর হরিনাম নদীর পাড় মিরকুটিরছেও ও সোনারগাঁওয়ের কিছু কিছু এলাকায় জামদানি তৈরি হয়।বর্তমানে বোয়ালমারী উপজেলায় উন্নত মানের জামদানি পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে।

বহু বাধা অতিক্রম করে জামদানি এক বিংশ শতাব্দীতে এসেও তার ঐতিহ্যাজ্য রক্ষা করে টিকে আছে। বর্তমানে এর প্রধান সমস্যা তাঁতশিল্পীরা সঠিক পরিশ্রমিক পায়না। একটি ভালো জামদানি শাড়ি তৈরি করতে তাদের এক থেকে দুই মাস সময় লেগে যায় সে তুলনায় তারা মজুরি পান খুব কম।

জামদানি শাড়ি কোথায় পাওয়া যায়

আপনি যদি পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে চান এবং জামদানি শাড়ি পরিধান করতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে জেনে রাখতে হবে জামদানি শাড়ি কোথায় পাওয়া যায়। কিভাবে জামদানি শাড়ি কিনবেন সেই সম্পর্কে হয়তো বুঝতে পেরেছেন। এবার কোথায় থেকে জামদানি শাড়ি ক্রয় করবেন সেই সম্পর্ক আজকে আপনাদেরকে জানাবো আপনারা কিন্তু জামদানি শাড়ি অনলাইন ও অফলাইন দুই জায়গা থেকে পেয়ে যাবেন।

অনলাইনে আসল জামদানি শাড়ি চেনার উপায় দেখে নিয়ে বাড়ি জামদানি শাড়ির ডিজাইন ও মনোমুগ্ধকর কালেকশন দারাজ অনলাইন শাড়ির দোকানে উপভোগ করতে পারবেন। আপনি যদি জামদানি সিল্ক শাড়ি পছন্দ করে থাকেন তাহলে নির্দ্বিধায় মেয়েদের নীল জামদানি শাড়ি ও সাদা জামদানি শাড়ি বিভিন্ন অনলাইন পেজ থেকে অর্ডার করতে পারেন.

এছাড়াও আপনি চাইলে অফলাইনে বাজারে গিয়ে জামদানি শাড়ি দেখে ক্রয় করতে পারেন। জামদানি শাড়ি কেনার জন্য উপায় সম্পর্কে আগে জেনে তারপরে জামদানি শাড়ি ক্রয় করতে যেতে হবে। নান্দনিক ডিজাইন এবং দামে বেশি হওয়ার কারণে জামদানি সঙ্গে আভিজাত্য এবং রুচিশীলতা এই দুটি শব্দই জড়িয়ে রয়েছে।

কিন্তু অভিযোগ রয়েছে আজকাল বিভিন্ন মার্কেটে জামদানি নামে বিক্রি হতে নকল শাড়ি ফলে ঐতিহ্য জামদানির আবেদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ক্রেতারা। অনেক বিক্রেতা জামদানি বলে ভারতীয় কটন টাঙ্গাইলের তাঁত পাবনা ও রাজশাহীর সিল্ক শাড়িতে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। জামদানি শাড়ি কেনার আগে আপনাকে তিনটি বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে শাড়ির দাম, সুতার মান এবং কাজের সুক্ষতা।

একটি জামদানি শাড়ি তৈরি করতে দুইজন কারিগর যদি প্রতিদিন 12 থেকে 14 ঘন্টা শ্রম দেন তাহলে ডিজাইন ভেদে পুরো সারাদিন তৈরি করতে সাত দিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। হাতে বুনন করে বলে এগুলো তৈরি করা অনেক কষ্টসাধ্য ও সময় সাপেক্ষ তাই এগুলোর দাম ও অন্যান্য শাড়ির তুলনায় বেশি হয়ে থাকে।

জামদানি শাড়ির দাম

আপনারা উপরে থেকে জানতে পেরেছেন কিভাবে জামদানি শাড়ি চিনবেন কিন্তু আপনারা কি জানেন জামদানি শাড়ির দাম কত হয়ে থাকে জামদানি শাড়ি বিভিন্ন প্রকারের পাওয়া যায় দামও কিন্তু অনেক বেশি হয় কারণ জামদানি শাড়ি খুব সুক্ষতার সাথে তৈরি করা হয়। জামদানি শাড়ি হাতে বোনা হয় যার কারণে জামদানি শাড়ি তৈরি করতে প্রচুর সময় লাগে এবং অনেক কষ্ট হয় যার ফলে জামদানি শাড়ির দাম অনেক বেশি হয়।

কিন্তু জামদানি শাড়ি দুই পাড় দেখে বোঝা যাবে না যে এই শাড়িটির কোনটা উল্টো পাড়।বিভিন্ন দামের পাওয়া যায় আপনি জামদানি শাড়ি ২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যেও জামদানি শাড়ি পাবেন।এটি কাজেরভেদ ও সুতার কাউন্টের উপর দাম নির্ভর করে। বিভিন্ন রকম উৎসব অনুষ্ঠান ও বিয়েতে জামদানি শাড়ি পড়তে বেশি দেখা যায় তবে বাঙ্গালীদের প্রতিটা অনুষ্ঠানে কমবেশি সবাই আগে জামদানি পড়তে ভালোবাসতো তবে।

এখন জামদানি শাড়ির দাম বেশি হওয়ার কারণে অনেকেই জামদানি শাড়ি ক্রয় করতে পারেনা। বাঙালি নারীর সৌন্দর্যের ভূষণ হচ্ছে শাড়ি আর তা যদি হয় লাল শাড়ি বিয়ের শাড়ি তাহলে কিন্তু আরও বেশি সুন্দর লাগে নববধূদের জামদানি শাড়ি পড়ে অনেক সুন্দর লাগে যার কারণে বিয়ের সময় জামদানি শাড়ি অনেকেই নিয়ে থাকে এই শাড়ির কাজের উপর নির্ভর করে দাম নির্ধারণ করা হয়।

জামদানি শাড়ির বৈশিষ্ট্য

জামদানি শাড়ির বৈশিষ্ট্য ও কিভাবে জামদানি শাড়ি কিনবেন সে সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে আলোচনা করে জানানো হয়েছে। মুসলিম সারী ও জামদানি শাড়ির মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায় না জামদানি ও মুসলিম শাড়ি প্রজাতির মুসলিম থেকে জামদানি শাড়ির অন্যান্য বৈশিষ্ট্য হলো এর কাপড় বুননে ব্যবহার করা হয় অসংখ্য সুতা ও মোটা যা দেখতে সৌন্দর্যময় লাগে এবং চমৎকার লাগে।

জামদানি শাড়ির বৈশিষ্ট্যমূলক জ্যামিতিক প্যাটনের ধারাবাহিকতায় যারা ইরানের প্রভাবে প্রভাবিত যাতে করে বুননের সময় কাপড় খুব সুন্দর ভাবে বসে যায় সেই কারণে। জামদানি শাড়ির বুনন ও নকশার কারণে জামদানি শাড়ির ঐতিহ্য বিখ্যাত জামদানি শাড়ির পাড় গুলো বেশ কারুকার্যকচিত। জামদানি শাড়ি বিভক্ত করা হয়েছে যেমন বুটজাল ও তেছড়ি।

জামদানি শাড়ি দিয়ে ব্যবহৃত জনপ্রিয় হল শাপলা সিঙ্গারা, ফড়ং ফুল, বেলপাতা ইত্যাদি। নকশা অনুযায়ী বিভিন্ন জামদানি বিভিন্ন নামে পরিচিত রয়েছে। যেমন: প্রজাপতি পাড়, চালতা পাড়,বুটিজাল, শামুকবুটি, কচিপার, চন্দ্রপাড়, বাঘনি,কচুপাতা, তরছা, জালার এবং বর্তমানে জামদানি শাড়ি জমিনে ব্যবহার করা হচ্ছে পদ্ম ফুল, গোলাপ ফুল, সাবুদানা, আদার ফানা, কলার ফানা ইত্যাদি নকশা আঁকা হয়।

মসলিন জামদানি শাড়ির দাম

অনেকেই আপনারা মুসলিম জামদানি শাড়ির দাম সম্পর্কে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন আপনারা হয়তো ইতিমধ্যে জেনে গেছেন কিভাবে জামদানি শাড়ি চিনবেন সামনে আসছে নতুন বছরে এবং ঈদুল ফিতর যার কারণে আপনারা কিন্তু পহেলা বৈশাখে এছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জামদানি শাড়ি পড়ার জন্য কিনতে পারেন।

নারীর জীবনে জামদানি শাড়ি দিয়ে বল আপনার পছন্দের তালিকায় রাখলেই চলবে না জামদানি শাড়ির দাম সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে এবং জামদানি শাড়ি কেনার আগে কোনটি আসল এবং কোনটি নকল সেই সম্পর্কে মার্কেটে গিয়ে যাচাই-বাছাই করে জামদানি শাড়ি কেনা ভালো। জামদানি শাড়ি চাইলে আপনারা বিভিন্ন রকমের অনলাইন পেজ থেকেও নিতে পারেন।

তবে তার আগে আপনাকে কিন্তু ভালোভাবে যাচাই করে নিতে হবে। মুসলিম জামদানি শাড়ি আপনি ১৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে কাজের উপর ভিত্তি করে পেয়ে যাবেন। কিভাবে চিনবেন সেই সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপরে জামদানি শাড়ি কেনার জন্য যাবেন।

জামদানি শাড়ির কাউন্ট কি

জামদানি হল কার্পাস তুলা দিয়ে প্রস্তুতলি তো এক ধরনের পরিধেয় বস্তু যার বয়ন পদ্ধতি অনন্য জামদানি বুননকালে তৃতীয় একটি সুতা দিয়ে নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়। মুসলিম বয়নে যেমন নুনু পক্ষে ৩০০ কাউন্টের সুতা ব্যবহার করা হয় জামদানি বয়নে সাধারণত ২৬-৮০-৮৪ কাউন্টের সূতা ব্যবহৃত হয়।
হালে জামদানি নানা স্থানে তৈরি করা হয় বটে কিন্তু ঢাকাতেই জামদানির আদি জন্মস্থান বলে গণ্য করা হয় জামদানি বয়নের অতুলনীয় পদ্ধতি ইউনেস্কো কর্তৃক একটি অধরা সংস্কৃতি ঐতিহ্যই হিসেবে স্বীকৃতি পায়।প্রাচীনকালের মিহি মসলিন কাপুরের উত্তরাধিকারী হিসেবে জামদানি শাড়ি বাঙালি নারীর অতি পরিচিত মুসলিমের উপর নকশা করে জামদানি কাপড় তৈরি করা হয়।

জামদানি বলতে সাধারণত শাড়িকে বোঝানো হয়। তবে জামদানি দিয়ে নকশি, ওড়না, কুর্তা, পাগড়ি, রুমাল পর্দা প্রভৃতি তৈরি করা হতো। ১৭০০ শতাব্দীতে জামদানি দিয়ে নকশাওয়ালা শেরওয়ানির প্রচারণ ছিল। এছাড়া মুঘল ও নেপালের আঞ্চলিক পোশাক রাঙ্গার জন্য জামদানি কাপড় ব্যবহৃত হতো।

জামদানি শাড়ির ইতিহাস

আপনারা আজকে জামদানি শাড়ির ইতিহাস ও কিভাবে জামদানি শাড়ি কিনবেন সেই সকল বিষয় নিয়েই আজকে আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন সকল কিছু। জামদানি নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মতবাদ রয়েছে জামদানি শব্দটি ফরসিপ শব্দ থেকে এসেছে ফারসি জামা অর্থ কাপড় এবং দানা অর্থ পুঁটি সে অর্থে জামদানি অর্থ বুটিদার কাপড়।

জামদানি প্রাচীনতম উল্লেখ পাওয়া যায় আনুমানিক ৩০০ খ্রিস্টাব্দে কৌটিল্যর অর্থশাস্ত্র গ্রন্থে, পেরুপ্লাস আব দ্য এরিথ্রিয়ান সি বইতে এবং বিভিন্ন আরব জিন ও ইতালির পর্যটক ও ব্যবসায়ী বর্ণনাতে কোটি কোটির বইতে বঙ্গ ও পূর্ণ এলাকায় সুখ্যবস্তের উল্লেখ আছে যার মধ্যে ছিল ক্ষৌম, দুকূল, পত্রোর্ণ ও কার্পাসী।
নবম শতাব্দীতে আরব ভূগোলবিদ সুলাইমান তার গ্রন্থি স্রিল সিলাই উত-তওয়ারিখ রুমি নামের রাজ্যে সূক্ষ্ম সুতি কাপড়ের উল্লেখ পাওয়া যায়। তার বর্ণনা অনুসারে বোঝা যায়, রুমি রাজ্যটি আসলে বর্তমানে বাংলাদেশ। আরে কইতেই হাসি টেইলারের জামদানির বর্ণনা দিয়েছেন তার বর্ণনা অনুসারে সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে ১০।১২ হাত মাপের ও পাট শিক্ষা ওজনের এক টুকরা আব-ই-রওয়ান এর দাম ছিল ৪০০ টাকা।

সম্রাট আওরঙ্গজেবের জন্য জামদানির দাম ছিল ২৫০ টাকা। সাল পর্যন্ত ঢাকাই সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের জামদানির মূল্য ছিল ৪৫০ টাকা।ঐতিহাসিক বর্ণনা শ্লোক প্রভৃতি থেকে এটাই প্রতীমান হয় দুকূল বস্ত্র থেকে মুসলিম এবং মুসলিমের নকশা করে জামদানি কাপড় তৈরি করা হতো। মূলত বাংলাদেশের ঢাকা জেলাতে মুসলিম চরণ উৎকর্ষ লাভ করে ঢাকা।

জেলার সোনারগাঁও, ধামরাই, তিতাবাড়ী, বাজিতপুর, জঙ্গলবাড়ি প্রভৃতি এলাকায় মুসলিমের জন্য সুবিখ্যাত ছিল। ইউরোপীয়, ইরানি, আর্মেনিয়ান, মুঘল, পাঠান প্রভৃতি বাণিকেরা মুসলিম ও জামদানি ব্যবসার সাথে যুক্ত ছিলেন। এ কারণে তৎকালীন রাষ্ট্র প্রধানেরাও এই শিল্প বিকাশে ভূমিকা রেখেছেন।

উনিশ শতকের মাঝে মাঝে জামদানি ও মুসলিমের এক হিসাবে দেখা যায় সাদা জমিনে ফুল করা কাজের পঞ্চাশ হাজার টাকা জামদানি দিল্লির নেপাল-লক্ষ্মী মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি এলাকায় নবাবরা ব্যবহার করতেন এই শিল্প সংকুচিত এবং পরে বিলুপ্ত হওয়ার পিছনে কিছু কারণ ছিল যার মধ্যে প্রধান কারণ ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লব।

এর ফলে বস্ত্র শিল্পের যন্ত্রের আগমন ঘটে এবং কম মূল্যে থাকার কাপড় উৎপাদন শুরু হয়। এছাড়া দেশী সুতার চেয়ে তখন বিলেতি সুতার দাম কম। তৎকালীন মুঘল সম্রাট ও তাদের রাজ কর্মচারীরা এ শিল্পের প্রতি অমনোযোগী হয়ে পড়েন। ফলে ধীরে ধীরে মুসলিম ও জামদানি শিল্পের কালের চক্রে হারিয়ে যায়।

FAQ।কিভাবে জামদানি শাড়ি চিনবেন।জামদানি শাড়ির দাম

প্রশ্ন০১ঃ জামদানি শাড়ির দাম কত?
উত্তরঃ জামদানি শাড়ির দাম ২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যেও জামদানি শাড়ি পাওয়া যায়।
প্রশ্ন০২ঃ মসলিন জামদানি শাড়ি দাম কত?
উত্তরঃ মুসলিম জামদানি শাড়ি আপনি ১৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে কাজের উপর ভিত্তি করে পেয়ে যাবেন।
প্রশ্ন০৩ঃজামদানি শাড়ি কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তরঃ জামদানি পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা সময় তৈরি করা হলো বংশানুক্রমিক শৈল্পিক মনোবৃত্তি সম্পূর্ণ কারিগর স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত কাঁচামাল শীতলক্ষর পানি থেকে উথিত বাষ্প সুতা প্রস্তুতি ও কাপড় বুনার জন্য সহায়ক বিধায় ঢাকার ও দূরের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো ইউনিয়নের ১৪টি গ্রাম ও সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়নের ১টি গ্রাম মোট ১৫টি গ্রামে মূলত জামদানি শিল্প কেন্দ্রীভূত।

শেষ বার্তা।কিভাবে জামদানি শাড়ি চিনবেন।জামদানি শাড়ির দাম

সম্মানিত পাঠক ভাই ও বোনেরা আপনারা অনেকেই জামদানি শাড়ি পড়তে বেশি পছন্দ করেন বা নিজের আপন মানুষকে গিফট করতে জামদানি শাড়ি পছন্দের তালিকায় রয়েছে।তবে মনে রাখবেন বর্তমান বাজারে প্রতারকের অভাব নেই তাই আপনি জামদানি শাড়ি অরজিনাল মালের কিনছেন কিনা বা দোকানদার আপনাকে ঠকাচ্ছে কিনা তার জন্য কিভাবে জামদানি শাড়ি চিনবেন এবং জামদানি শাড়ির দাম সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আজকের আলোচনায় শেয়ার করেছি।

অবশ্যই আপনি জামদানি শাড়ি অরজিনাল কিনছেন কিনা যা যা চাই বাছাই করে কিনুন।না হলে আপনি প্রতারিত হতে পারেন তাই নিজে সতর্ক থাকতে এবং অন্যকে সতর্ক করার জন্য আমাদের আজকের পোস্টটি আপনার পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করুন।এছাড়াও আজকে আর্টিকেল সম্পর্কিত কোন মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url