হজ ফরজ কয়টি ও কি কি - হজ ফরজ হওয়ার শর্তাবলী সম্পর্কে জানুন

পবিত্র হজ ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ।কিন্তু হজ ফরজ কয়টি ও কি কি এবং হজ ফরজ হওয়ার শর্তাবলী কি তা আমাদের সকলের জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।আপনি কি হজ ফরজ কয়টি ও কি কি এবং হজ ফরজ হওয়ার শর্তাবলী ব্যাখ্যা করো এ বিষয় সম্পর্কে সবকিছু জানতে চান? যদি আপনি হজ ফরজ কয়টি ও কি কি এবং হজ ফরজ হওয়ার শর্তাবলী সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন।
হজ-ফরজ-কয়টি-ও-কি-কি
হজ হল ইসলামের স্তম্ভ গুলোর মধ্যে একটি স্তম্ভ।হজ কার উপর ফরজ, কত টাকা থাকলে হজ ফরজ হয়,হজের ফরজ কয়টি ও কি কি, হজের ওয়াজিব কয়টি ও কি কি এবং হজ করতে কত টাকা লাগবে এ বিষয় সম্পর্কে আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি সুস্পষ্ট ধারণা পেতে যাচ্ছেন তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃহজ ফরজ কয়টি ও কি কি হজ ফরজ হওয়ার শর্তাবলী ব্যাখ্যা কর

হজ ফরজ কয়টি ও কি কি

সামর্থ্যবান ব্যক্তি দৈনন্দিন খরচ বাদে হজে আবশ্যকীয় প্রয়োজনীয় যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন। তথা যাওয়া আসা যেখানে থাকা খাওয়া ইত্যাদি পরিমাণ টাকা থাকলে ব্যক্তির উপর হজ করা ফরজ হয়ে থাকে। সে হিসেবে দেখতে হবে বর্তমানে হজ করতে গেলে কত টাকা লাগবে সেই টাকা কোন ব্যক্তির কাছে থাকলে তার ওপর হজ করা আবশ্যক। হজ থেকে এসে নিঃস্ব হয়ে গেলে হবে না চলার মত ব্যবস্থা থাকতে হবে।
স্মরণ রাখতে হবে যে কারো ওপর যাকাত ফরজ না হয়েও তার ওপর হজ ফরজ হতে পারে। কেননা হজ ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে হজ ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য হল যাকাতের সম্পর্ক নির্ধারিত নিসাবের সঙ্গে আর হজের সম্পর্ক মক্কায় আসা-যাওয়া খরচের সঙ্গে। সুতরাং স্থাবর সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করে কেউ যদি হজ করতে সক্ষম হয় এবং হজ থেকে ফিরে এসে বাকি সম্পত্তর দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে তাহলে তার ওপর হজ ফরজ। (ইমদাদুল আহকাম ২/১৫২)

একইভাবে ব্যবসায়ীদের দোকানে যে পরিমাণ পণ্য আছে কিছু অংশ বিক্রি করে। যদি হজ করা সম্ভব হয় এবং ফিরে এসে যদি পাপী পণ্য দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা যায় তাহলে তার ওপর হজ ফরজ।(ইমদাদুল আহকাম ২/১৫৩)
হজ ফরজ কয়টি ও কি কি তা হলো হজের ফরজ ০৩টি :
  • ইহরাম বাঁধা
  • উকুফে আরাফা ( ৯ জিলহজ যোহর থেকে ১০ জিলহজ ফজরের আগ পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা)
  • তাওয়াফে জিয়ারা (১০ জিলহজ ভোর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত যেকোনো সময় কাবাঘর তাওয়াফ করা)।

হজ ওয়াজিব কয়টি ও কি কি

উপরের অংশ থেকে আমরা জানলাম হজ ফরজ কয়টি ও কি কি এবারে আপনারা কি হজ ফরজ হওয়ার শর্ত বলি ব্যাখ্যা কর সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন? আজকে আমরা হজ ওয়াজিব কয়টি ও কি কি সেই সম্পর্কে জানাবো।যা হাদিসে এসেছে,' হজ্ব বা ওমরা গমন কারি হলো আল্লাহ পাকের বিশেষ মেহমান সে দোয়া করলে আল্লাহ পাক তা কবুল করেন ক্ষমা প্রার্থনা করলে ক্ষমা করে দেন। '(সুনানে ইবনে মাজাহ ২৯২৪)
হজের ওয়াজিব ০৭টি: যথা-
  • আরাফা থেকে মিনার ফেরার পথে মুজদালিফা নামের স্থানে ১০ জিলহজভোর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কিছু সময় অবস্থান করা।
  • সাফা ও মারওয়া সায়ি করা বা দৌড়ানো।
  • রমিয়ে জিমার বা ১০,১১ ও ১২ জিলহজ জামারায় শয়তানকে পাথর মারা।
  • তামাত্তু ও কিরান হজে দমে শোকর করা।
  • মাথার চুল মুড়িয়ে বা কেটে ইহরাম সমাপ্ত করা।
  • মদিনা শরীফে গিয়ে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর রওজা জিয়ারত করা।
  • উপরোক্ত তো এই সকল কাজগুলো করা হজের মধ্যে ওয়াজিব

হজ ফরজ হওয়ার শর্তাবলী ব্যাখ্যা কর

হজ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ আল্লাহ তাআলা হজ ফরজ করেছেন। সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের ওপর বর্ণিত আছে। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিম এর উপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ। (সূরা আলে ইমরান, ৯৭)
ইসলামে হজের গুরুত্ব অপরিসীম হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত তিনি বললেন নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কে জিজ্ঞেস করা হলো সর্বাধিক উত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তার রাসূলের উপর ঈমান আনা। আবার জিজ্ঞেস করা হলো এরপর কোনটি, তিনি বললেন আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করা। আবার জিজ্ঞেস করা হলো? তারপর কোনটি তিনি বললেন, হজে মাবরুর বা মকবুল হজ আদায় করা। ( বুখারি : ১৪২৯)
  • হজ ফরজ হওয়ার শর্তাবলী রয়েছে।
  • মুসলিম হওয়া
  • আকল থাকা অর্থাৎ বিবেকবান হওয়া, পাগল না হওয়া।
  • বালেগ হওয়া প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া।
  • আজাদ বা স্বাধীন হওয়া অর্থাৎ কারো গোলাম বা দাস না হওয়া।
  • দৈহিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হওয়া।
আজ ফরজ হওয়ার জন্য উপরোক্ত এই শর্তগুলো মানতে হবে এবং হজ ফরজ কয়টি ও কি কি তা আমাদের সকলে জেনে রাখতে হবে। 

কত টাকা থাকলে হজ ফরজ হয়

আপনারা অনেকেই হজ ফরজ কয়টি ও কি কি এবং কত টাকা থাকলে হজ ফরজ হয়  সম্পর্কে অনেকেরই অজনা রয়েছে । হজ ফরজ হওয়ার জন্য ০৫টি শর্ত পাওয়া গেলে একজন মানুষের জন্য হজ খরচ সেই শর্তগুলো যদি আপনার সাথেও মিলে যায়। তাহলে আপনার জন্য হজ ফরজ হয়ে যাবে।
শর্তগুলো হলো মুসলমান হওয়া মানসিকভাবে সুস্থ হওয়া সাবালক হওয়া স্বাধীন হওয়া এবং সামর্থ্য থাকা সম্পর্কে অনেকেই ভুল ধারণা রয়েছে। তাই এখন বিষয়টি বিস্তারিত আপনাদেরকে জানাবো।

সামর্থ্যবান হওয়া: পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন এই ঘরের হজ করা মানুষের উপর আল্লাহর প্রাপ্য যে লোকের সামর্থ্য রয়েছে এই পর্যন্ত পৌঁছাবার. ( সূরা আল ইমরান : ৯৭)

আয়াতে সামর্থ্য বলতে শারীরিক ও আর্থিক দুই ধরনের সক্ষমতা কে বোঝানো হয়েছে হজ্ব ফরজ হওয়ার জন্য মক্কায় গিয়ে হজের বিধান পালনের মত সুস্থতা থাকতে হবে। পাশাপাশি নিজের মৌলিক খরচ বাদে হজের মৌসুমে মক্কায় যাওয়া-আসা থাকার একান্ত প্রয়োজনীয় খরচ এবং এই সময় পরিবারের ভরণপোষণের প্রয়োজনে খরচ জমা থাকলে হজ ফরজ হয়।

ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধ প্রাধান্য দিতে পাবে ঋণ থাকলে এবং যে টাকা জমা আছে তা দিয়ে ঋণ ও হজ দুটোই করতে না পারলে হজ ফরজ হবে না। প্রয়োজনীয় খরচ কতটুকু প্রয়োজনীয় খরচ বলতে এখানে অপচয় অপব্যয় বাদ দেওয়ার কথা বোঝানো হয়েছে। একজন মানুষ স্বাভাবিক জীবন-যাপনের জন্য যে উপকার গুলো একান্ত প্রয়োজন সেগুলোই তার মৌলিক প্রয়োজন।

তাই বাড়ি গাড়ি বিক্রি করে হজ করা ফরজ নয় তবে একাধিক বাড়ি গাড়ি থাকলে একটি প্রয়োজনীয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং বাকিগুলো অতিরিক্ত বলে বিবেচনা করা হবে। নারীর হজ ফরজ হওয়ার জন্য মাহরাম সঙ্গে থাকা শর্ত বুখারী ও মুসলিমের। এই বিষয়ে হাদিস বর্ণিত হয়েছে তবে নারীর হজের জন্য স্বামীর অনুমতি বা শর্তের প্রয়োজন নেই। ওপরে শর্তগুলো পাওয়া গেলে স্বামীর অনুমতি ছাড়াই হজ করতে পারবেন নারীরা।

জমি থাকলে হজ ফরজ কিনা

জমে থাকলে হজ্ব ফরজ কিনা ও হজ ফরজ কয়টি ও কি কি এই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই যে তাদের যদি জমি থাকে তাহলে কি হজ করতে হবে। প্রয়োজনীয় খরচ কতটুকু প্রয়োজন খরচ বলতে এখানে অপচয় অপব্যয় কে বোঝানো হয়েছে। একজন মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপন করার জন্য যেগুলো দরকার। সেগুলো ছাড়া যদি অতিরিক্ত কিছু থাকে সেগুলো যদি আপনি বিক্রি করে হজ করতে চান।

তাহলে আপনার উপর হজ ফরজ হবে নিজের পেশা সংশ্লিষ্ট সম্পদ গুলো মৌলিক সম্পদের অন্তর্ভুক্ত হবে। যেসব জমি-জামা ও সম্পদের উপর ব্যক্তি নির্ভরশীল তাও মৌলিক সহ প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত একইভাবে বিয়ে ও মৌলিক প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত বিয়ের প্রয়োজন থাকলে হজের আগে বিয়ে প্রাধান্য পাবে।
আবার কারো যদি ১ হাজার শত জমি থাকে আর ৬ শতকের আয় তার প্রয়োজনীয় খরচের জন্য যথেষ্ট এবং অবশিষ্ট তিন শতকের মূল্য হাজার হজের যাতায়াতের খরচের পরিমাণ হয়। তাহলে তার ওপর হজ ফরজ হবে আপনারা বুঝতে পারছেন যে কতটুকু জমি থাকলে আপনার উপর হজ খরচ হয়। আপনার প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে যেই জমি অতিরিক্ত রয়েছে।

সেটি বিক্রয় করার মাধ্যমে যদি আপনার হজে যাওয়ার আসার খরচ ব্যয় হয় তাহলে আপনি সেই জমি বিক্রয়ের মাধ্যমে হজে যেতে পারবেন। অনেকে আবার মনে করে আমার এখনো হজের বয়স হয়নি। আমি হজের পরিপন্থী অনেক কাজ করি সুতরাং এখন হজ করলে আমার ওই সব খারাপ কাজের কারণে হজ থাকবে না।
নষ্ট হয়ে যাবে হজ করতে হবে বয়স হবার পর যখন আর কোন খারাপ কাজ আমি করবো না। এই ভাবনাটি একবারে অর্থহীন কারণ বালেগ হবার পর থেকে হজের সামর্থ্যবান হলে তার ওপর হজ ফরজ হয়।

হজ করতে কত টাকা লাগবে

চলতি বছরের হজ করতে কত টাকা লাগবে তা জানার আগে জানতে হবে হজ ফরজ কয়টি ও কি কি সে সম্পর্কে।অনেকেই জানতে চায়  তাই আজকে আমরা হজ করতে কত টাকা লাগবে ব্যাখা করেছি। এবার আপনাদেরকে জানাবো চলতি বছরের সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার সাধারণ প্যাকেজের মূল্য ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশেষ প্যাকেজের মূল্য নয় লক্ষ্য ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। বিশেষ এক সংবাদ সম্মেলনে হজ প্যাকেজ ২০২৪ ঘোষণা করেছেন ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

তিনি জানান চাঁদ দেখার সাপেক্ষে ২০২৪ সালে ১৬ই জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে এবার বাংলাদেশ থেকে হজ করতে পারবেন ১ লক্ষ ২৭ হাজার ১৯৮ জন তাদের মধ্যে সরকারি মাধ্যমে হজ করতে পারবে ১ লক্ষ ১৯৮ জন এবং বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে হজ করতে পারবে ১ লক্ষ ১৭ হাজার জন।

গত বছরও একই পরিমাণ মানুষ বাংলাদেশ থেকে হজ করতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেইবার কোটার চেয়েও প্রায় পাঁচ হাজার কম যাত্রী সৌদি আরবে যান।

এর আগে গত বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের খরচ ছিল ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা ঘোষণা করা হয়। পরে সমালোচনার মুখে পড়ে তা ১১ হাজার ৭৭৫ টাকা কমিয়ে ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সেই হিসেবে এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের সাধারণ প্যাকেজের মূল্য গতবারে তুলনায় ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কম।

আগামী একমাস থেকে হজের ভিসা ইস্যু এবং ৯ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। বিমান ভাড়া এবার ২৯৯৭ টাকা কমিয়ে ১ লক্ষ ৯৪৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়।

শেষ কথা। হজ ফরজ কয়টি ও কি কি।হজ ফরজ হওয়ার শর্তাবলী ব্যাখ্যা কর

আমরা সকলে জানি হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম।তারমাধ্যে ইসলামের যে ০৫ টি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে তার মধ্যে হজ আছে।তাই হজ করা প্রত্যেক মানুষের জন্য একটি সৌভাগ্যের কাজ।হজ শুধু মাত্র সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের জন্য ফরজ করা হয়েছে।একবার কোন ব্যক্তি হজ করলে আল্লাহতালা আগে সব পাপ মাফ করে দিয়ে নিষ্পাপ করে দেন।

কিন্তু হজ কাদের ওপর ফরজ এবং হজ্ব ফরজ হওয়ার শর্তাবলী সম্পর্কে আমাদের ভালোভাবে জানতে হবে।কারণে হজ মুসলমানদের একবার করতে বলা হলেও এর কিছু নিয়ম ও শর্ত রয়েছে।তাই আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা হজ ফরজ কয়টি ও কি কি এবং হজ ফরজ হওয়ার শর্তাবলী ব্যাখ্যা করো তা জানতে পারলাম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url