২০২৪ সালের হজ্জ করার নিয়ম - হজ্জ কখন থেকে শুরু হয় জানুন
হজ সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির জন্য ফরজ তা আমরা অনেকেই জানি।কিন্তু
আমরা হজ্জ কখন থেকে শুরু হয় এবং হজ্জ করার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে
অনেকেরই অজানা রয়েছে।আজকের আলোচনা থেকে হজ কখন থেকে শুরু হয় এবং হজ্জ করার
নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেব।
সেই সাথে আজকের আলোচনা থেকে হজের গুরুত্ব ও ফজিলত, কারা হজ করতে পারবে এবং হজ কত
হিজরীতে ফরজ হয় তা জানতে পারবেন।আজকের পর্বটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ
সহকারে পড়ে হজ্জ করার নিয়ম ২০২৪ এবং হজ্জ কখন থেকে শুরু হয় সে
সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃহজ্জ করার নিয়ম ২০২৪।হজ্জ কখন থেকে শুরু হয়
হজ্জের গুরুত্ব ও ফজিলত
হজ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ মুমিন বান্দার প্রতি মহান আল্লাহর রাব্বুল আলামিনের
বিশেষ অনুগ্রহ এই যে তিনি তাকে এমন কিছু ইবাদত দান করেছেন। এছাড়াও
হজ্জ করার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কেও আপনারা জানতে পারবেন। যা দ্বারা বান্দা তার
রুহানি তারাকি কলমের সুকুন ও প্রশান্তি এবং দুনিয়া ও আখিরাতের খায়ের ও বরকত লাভ
করে থাকে।
এসবেরই একটি হল হজ্জ। নামাজ, রোজা, যাকাত যেমন ফরজ ইবাদত। তেমনি আর্থিক ও
শারীরিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলমান নর-নারীর জন্য হজ্জ অন্যতম বরকতপূর্ণ
অবধারিত কর্তব্য। আজকে আপনাদেরকে হজ্জর গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে আমরা জানাবো।
হজ্জ আরবি শব্দ অর্থ নিয়ত করা দর্শন করা সংকল্প করা সাক্ষাৎ করা ইচ্ছা করা বা
প্রতিজ্ঞা করা সহজ কোন মহৎ কাজের ইচ্ছা করা। শরীয়তের পরিভাষায় মহান আল্লাহ
রাব্বুল আলামিনের ফরজ আমল টি পালনার্থে এবং আল্লাহ তাআলার স্বনির্ভ ও সন্তোষ
লাভের আশায় হজ্জের নির্ধারিত সময়সীমার ভেতর নির্দিষ্ট আমল সম্প্রদানের
জন্য পবিত্র বাইতুল্লাহ ও তথা কাবা ঘর জিয়ারত করাকে হজ বলা হয়।
- আল্লাহ তাআলা বলেছেন, মক্কা শরীফ পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম প্রত্যেক ব্যক্তির উপর আল্লাহর জন্য হজ্জ আদায় করা ফরজ। (সূরা আল ইমরান :আয়াত ৯৭)
- তোমরা আল্লাহর জন্য হজ্জ ও ওমরা পালন কর। ( সূরা আল বাকারা :আয়াত ১৯৬)
মহান আল্লাহ তা'আলা এরশাদ করেন,' যখন আমি ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লামকে
বাইতুল্লাহর স্থান ঠিক করে দিয়েছিলাম। আর বলেছিলাম যে আমার সাথে কাউকে শরিক
করোনা এবং আমার গৃহকে পবিত্র রাখো তাওয়াফকারীদের জন্য আর মানুষের মাঝে তুমি
হজ্জর ঘোষণা প্রচার করো। তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে উঠে চড়ে এবং
সর্বপ্রকার বাহনের সওয়ার হয়ে দূর-দূরান্ত থেকে '(সূরা হজ্জ: আয়াত ২৬/২৭)
আরো পড়ুনঃ কোরবানি মাংস কয় ভাগে করতে হয় জানুন
কেউ হজের আবশ্যকীয়তা বা ফরজ হওয়া অস্বীকার করলে তাকে অমুসলিম বলে গণ্য করা হবে।
আর যদি কোন সক্ষম ব্যক্তি হজ্জ ফরজ মানার শর্তেও তা আদায় না করে তাহলে কঠিন
পাপের মধ্যে নিপতিত হবেন এবং তার ঈমান নষ্ট হওয়ার ভয় রয়েছে। রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম ইরশাদ করেন, "যে অবহেলা করে ফরজ হজ্জ ত্যাগ করে।
আমি জানিনা তার মৃত্যু ঈমানের ওপর হবে কিনা হজ্জ করা শক্তি সামর্থ্য ও
অর্থবিত্ত থাকার পরও যে ব্যক্তি হজ্জ না করে তার সম্পর্কে হাদিস শরীফে কঠোর
সতর্কবাণী প্রদান করা হয়েছে। যে ব্যাক্তি হজ্জ করা সামর্থ্য রাখে তবুও হজ্জ করে
না। সে ইহুদি হয়ে মৃত্যুবরণ করল কি খ্রিস্টান হয়ে করল তার কোন পরোয়া আল্লাহর
নেই। "(তিরমিজি, হাদিস ১১২)
হজ্জ কখন থেকে শুরু হয়
আপনি কি জানেন পবিত্র হজ্জ কখন থেকে শুরু হয় হজ্জ করার নিয়ম 2024
সম্পর্কেও আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। আরবিতে হজ্জ বলতে কাবা গৃহ
প্রদক্ষিণের জন্য সংকল্পবদ্ধ হওয়ার পর নির্দিষ্ট কিছু স্থান প্রদক্ষিণ করা এবং
নির্দিষ্ট কিছু কাজ সম্পাদন করাকে বোঝায়। আদি পিতা হযরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর
নির্দেশে অনুসারীদের কাবাগ্রিহ ইবাদতের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন তারপর থেকে
হাজার হাজার বছর ধরে পবিত্র হজ্জ ব্রত পালিত হয়ে আসছে।
ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতারা কাবা ঘর নির্মাণ করেন কাবা
ঘরে প্রথম হজ্জ আদায় করেন তারাই। এরপর প্রথম মানব হযরত আদম (আ.) কাবা ঘরকে
প্রতিষ্ঠান রূপদান করেন পরবর্তী সময়ে হযরত ইব্রাহিম (আ.) কাপন নির্মাণ করেন সৌদি
আরব থেকে প্রকাশিত হজ্জ বিষয়ক একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ম জেনে নিন
আনুমানিক হিসেবে মোতাবেক কাবা ঘর পুননির্মাণের পর থেকে হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও তার
ছেলে হযরত ইসমাইল (আ.) এর প্রদর্শিত পথে হাজার হাজার বছর পবিত্র হজব্রত পালিত
হয়ে আসছে।মনে করা হয় হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর মৃত্যুর এক হাজার বছর পর থেকে শুরু
হয় নানা রকমের অনাচার এবং কমবেশি দুই হাজার বছর অব্যাহিত ছিল।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর নেতৃত্বে মক্কা বিজয়ের পর কাবাগৃহ
থেকে সব মূর্তি সরিয়ে ফেলা হয় এবং সাড়ে চার হাজার বছর আগে তা পুনঃ প্রবর্তিত
হয়। নবম হিজরিতে হজ্জ ফরজ হয়। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
দশম হিজরীতে একবার স্বপরিবার হজ্জ পালন করেন। মক্কা শরীফ পর্যন্ত পৌঁছাতে
সক্ষম এমন প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ ও মহিলার জন্য জীবনে একবার হজ্জ আদায় করা
ফরজ।হজ
হজ্জ করার নিয়ম ২০২৪
হজ্জ করার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো রাসূল কারীম
সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম যে ব্যক্তি সঠিকভাবে হজ পালন করেন তিনি আগের সব গুনাহ
থেকে নিষ্পাপ হয়ে যাবেন হজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজকে আপনাদেরকে জানাবো।
হজ্জের ফরজ ৩টি
- ইহরাম বাঁধা
- উকুফে আ'রাফা ( আরাফাতের ময়দানে অবস্থান)
- তাওয়াফুয যিয়ারাত
হজ্জে তামাত্তু: এই সফরে পৃথকভাবে ইরাম পরিধান করা হজ্জ ও ওমরা আদায়
করা। প্রথম ইহরাম ওমরার নিয়ত করে তা পালন করা শেষে চুল কেটে ইহরাম খুলে হালাল
হয়ে দ্বিতীয়বার নতুন করে হজ্জর নিয়তে ৮ই জিল হজ্জ "মক্কা শরীফ" থেকে
হজ্জের জন্য ইহরাম বাধা তামাত্তু করার ইচ্ছা থাকলে প্রথমে ইমরান নিয়ত করে
এহরাম বাঁধুন।
তাওয়াফের বিবরণ: হাজীদের সর্বপ্রথম কাজই হলো (তামাত্তু ও ক্বেরান কারীরা)
নিজের মাল-সামান গুছিয়ে রেখে পাপ্পু বিদ্রোহ হয়ে মোটেই দেরি না করে হারাম শরীফে
হাজিরা দেওয়া এবং 'তাওয়াফ' করা। ওমরাহ এবং হজ্জের তাও অফ ব্যতীত নফল তাওয়াফ ও
করা যায়। যেমন- রাসূল (সা:) সাহাবী আওলিয়া, মা-বাবা, পীর-উস্তাদ ও অন্যান্য
মুরব্বি বা সন্তানদের স্মরণে বা তাদের নামে তাওয়াফ করা।
হজ্জের ওয়াজিব ৬টি
- সাফা ও মারওয়া পাহাড় গুলোর মধ্যে সাতবার সায়ি করা।
- অকুফে মুযদালিফায় (৯ই জিলহজ্জ) অর্থাৎ সুবিধে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত এক মুহূর্তের জন্য হলেও অবস্থান করা।
- মিনার তিন শয়তান (জামারাত) সমূহকে পাথর নিক্ষেপ করা।
- হজ্জে তামাত্তু ও কিবরান কারীর হজ সমাপনের জন্য দমে শোকর করা।
- ইহরাম খোলার পূর্বে মাথার চুল কাটা।
- মক্কার বাইরে লোকদের জন্য তাওয়াফে বিদা অর্থাৎ মক্কা থেকে বিদায় কালে তাওয়াফ করা।
- এছাড়া আর যে সমস্ত আমল রয়েছে সব সুন্নত অথবা মুস্তাহাব।
তালবিয়া: 'লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক, লা শারিকা লাকা
লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি'মাতা লাকা ওয়াল -মুল্ক, লা শারীকালাক্'
অর্থ: আমি হাজির হে আল্লাহু! আমি উপস্থিত আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি
হাজির। আপনার কোন অংশীদার নেই। নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা ও সম্পূরাজি আপনার এবং
একচ্ছত্র আধিপত্য আপনার। আপনার কোনো অংশীদার নেই।
কারা হজ্জ করতে পারবে
কারা হজ্জ করতে পারবে এবং হজ্জ করার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে ইতিমধ্যে
আপনারা জানতে পেরেছেন তবে আজকে আপনাদেরকে জানাবো কারা হজ্জ করতে পারবে সেই
সম্পর্কে আলেমগণ হজ্জ ফরজ হওয়ার শর্তগুলো উল্লেখ করেছেন কোন ব্যক্তির মধ্যে
এই শর্তগুলো পাওয়া গেলে তার ওপর হট ফরজ হবে আর যদি পাওয়া না যায়।
তাহলে তার উপর ফরজ হবেনা এমন ০৫টি শর্ত রয়েছে।যেগুলো হচ্ছে ইসলাম, আকল
(বুদ্ধিমত্তা), বালেগ হওয়া, স্বাধীন হওয়া, সামর্থ্য থাকা।
ইসলাম: এটি যে কোন ইবাদতের ক্ষেত্রে শর্ত যেহেতু কাফেরের কোন ইবাদত শুদ্ধ
নয় দলিল হচ্ছে আল্লাহ তাআলার বাণী তাদের অর্থ ব্যয় কবুল না হওয়ায় এ ছাড়া আর
কোন কার তারা আল্লাহ তায়ালার তাঁর রাসূলের প্রতি কাফের। (সূরা তাওবা :আয়াত ৫৪)
বালেগ হওয়া ও আকলবান: দলিল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর বাণী
তিন শ্রেণীর লোকের ওপর থেকে কলম তুলে নেওয়া হয়েছে ঘুমন্ত ব্যক্তি সজাগ না হওয়া
পর্যন্ত, শিশু তার স্বপ্নদোষ না হওয়া পর্যন্ত, পাগল তার হুঁশ ফিরে আসা না
পর্যন্ত। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৪০৩)
আরো পড়ুনঃ কত টাকা থাকলে কোরবানি ওয়াজিব হয়
স্বাধীন হওয়া: হজ একজন স্বাধীন ব্যক্তির উপরি ফরজ হয়। যে ব্যক্তি নিজের
স্বাধীনতা নিয়ে চলাফেরা করতে পারবে কোন দাস-দাসীর ওপর হজ ফরজ হয় না। যার কারণে
আপনি যদি স্বাধীন হন তাহলে আপনার উপর হজ খরচ হবে।
সামর্থ্য হওয়া: ব্যক্তি শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়া এবং বায়তুল্লাহ হয়ে
পৌঁছানোর মতো যানবাহন যেমন: বিমান, গাড়ি, সাওয়ারি ইত্যাদির মালিক হওয়া অথবা
এগুলোতে চড়ার মত ভাড়ার অধিকারী হওয়া এবং যাদের ভরণপোষণ দেওয়া ফরজ তাদের খরচ
পুষিয়ে হজ আসা-যাওয়া করার মত সম্পত্তির মালিক হওয়া। নারীর ক্ষেত্রে হজ বা উমরার
সফরসঙ্গী হিসেবে স্বামী বা মহোরম কেউ থাকা।
এর সাথে আরও যে শর্ত যোগ করা হচ্ছে সেটি হতে বায়তুল্লাহ শরীফে পৌঁছে ব্যয় তার
আবশ্যকীয় খরচ শরীয়ত আইন অনুগত খরচ ঋণ ইত্যাদি অতিরিক্ত হওয়া। ঋণ বলতে বুঝবে
আল্লাহ তাআলার প্রাপ্য অধিকার যেমন কাফফারা সমূহ অথবা মানুষের পাওনা যে ব্যক্তি
ঋণ আছে যদি তার সম্পত্তির ঋণ পরিশোধ ও হজ আদায় উভয় কাজের জন্য যথেষ্ট না হয় সে
ব্যক্তি প্রথমে ঋণ আদায় করা করে তার উপর হজ্জ ফরজ হবে না।
হজ কত হিজরীতে ফরজ হয়
হজ করার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন কিন্তু হজ কত হিজরীতে
ফরজ হয় সে সম্পর্কে কি আপনারা জানেন। হজ্জ ফরজ হওয়া পর থেকে কিন্তু
প্রতিটি মুসলিম সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য হজ করা ও উমরা করা ফরজ। নবম হিজরিতে
হজ্জ ফরজ হয়। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশম হিজরীতে একবার
স্বপরিবার হজ্জ পালন করেন।
মক্কা শরীফ পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম এমন প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ ও মহিলার জন্য জীবনে
একবার হজ আদায় করা ফরজ। এই সম্পর্কে হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে আবু হুরায়রা
(রা.) বর্ণনা করেন, একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্যে
ভাষণ দিলেন তিনি বললেন,' হে মানব সকল আল্লাহতায়ালা তোমাদের উপর হজ ফরজ করেছেন।
সুতরাং তোমরা হজ করো।
আরো পড়ুনঃ ডাবের পানি সংরক্ষণ রাখার উপায় ডাবের পানি সংরক্ষণ রাখার উপায়
এক ব্যক্তি বলল ইয়া রাসূল প্রতিবছর কি হজ্জ করতে হবে? তিনি চুপ রইলেন এবং লোকটি
এইভাবে তিনবার জিজ্ঞেস করলেন। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বললেন, আমি
যদি হ্যাঁ বলতাম তাহলে প্রতিবছর হজ্জ ফরজ হয়ে যেত। কিন্তু তোমাদের পক্ষে তা করা
সম্ভব হতো না। (মুসলিম, হাদিস ১৩৩৭)
বারবার হজ্জ আদায় করা মুস্তাহাব। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন,' হজ্জ একবার যে ব্যাক্তি একাধিকবার করবে তা তার জন্য নফল হবে।' (ইবনে
মাজাহ,হাদিস ২৮৮৬)
হাদীস শরীফে হজ্জ ফরজ হওয়া মাত্র আদায় করা তাগিদ ও হুকুম দেওয়া হয়েছে।
হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন,রাসুল সাঃ এরশাদ করেছেন, 'ফরজ হজ্জ আদায়ের
তোমরা বিলম্ব করো না কারণ তোমাদের কারো জানা নেই তোমাদের পরবর্তী জীবনে কি ঘটবে।'
(সুনানে কুবরা বায়হাকী ৪/৩৪০)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম ইরশাদ করেন, 'যে ব্যক্তি হজ্জ করার ইচ্ছে করে
সে যেন তাড়াতাড়ি তা আদায় করে নেয়। কারণ যে কোন সময় সে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে
বা বাহনের ব্যবস্থাও না থাকতে পারে। অথবা অন্য কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
'(আবু দাউদ, হাদিস ১৭৩২)
শেষ কথা।হজ্জ করার নিয়ম ২০২৪।হজ্জ কখন থেকে শুরু হয়
সম্মানিত পাঠক আসসালামু আলাইকুম আপনারা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে আজকের আলোচনা সম্পূর্ণ
মনোযোগ সহকারে পড়ে হজ্জ করার নিয়ম ২০২৪ এবং হজ্জ কখন থেকে শুরু হয় এ
বিষয় সম্পর্কে একটি ধারণা পেয়েছেন।আমাদের আজকের পর্বটি পরে আপনার কাছে কেমন
লাগলো তা আমাদের জানাতে ভুলবেন না।আজকের আলোচনা আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকৃত
মনে হলে আপনার পরিচিত জনদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
তারাও ইসলামিক আপডেট তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইটে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং
আমাদের সঙ্গে থাকুন আজকের পর্ব এ পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url