জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি - জার্মানি কাজের ভিসা ২০২৪ জেনে নিন
আজকের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় জানতে পারবেন জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও
জার্মানি কাজের ভিসা ২০২৪ এবং
জার্মানিতে সর্বনিম্ন বেতন কত
সম্পর্কে সকল সঠিক আপডেট তথ্য।সাথে থাকতে জার্মানিতে কাজের বেতন কত এবং বাংলাদেশ
থেকে জার্মানি যেতে কত টাকা লাগে তার আপডেট তথ্য তাই যারা জার্মানিতে কোন কাজের
চাহিদা বেশি জেনে জার্মানিতে যাওয়ার মনস্থির করেছেন।
তাদের জন্য মূলত জার্মানিতে যেতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে, বাংলাদেশ থেকে জার্মানি
যাওয়ার উপায় এবং বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে কত সময় লাগে।তাই আপনি যদি
জার্মানি যাওয়ার সকল প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন।তবে আজকের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থেকে
জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও জার্মানি কাজের ভিসা ২০২৪ এবং জার্মানিতে
সর্বনিম্ন বেতন কত টাকা দেয় তা জেনে নিন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি।জার্মানি কাজের ভিসা
২০২৪
উপস্থাপনা। জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি।জার্মানি কাজের ভিসা ২০২৪
সম্মানিত পাঠক আমাদের মধ্যে অনেকে নিজের আর্থসামাজিক উন্নতি এবং দেশের উন্নয়নের
কথা ভেবে বিদেশ গমন করার ইচ্ছা মন-মানসিকতা রয়েছে।তবে এক্ষেত্রে আজকের
আর্টিকেলের আলোচনা আপনার জন্য অনেক তথ্যবহুল হতে চলেছে।
কেননা আপনি যদি আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে
জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং
জার্মানি কাজের ভিসা ২০২৪
সালের আপডেট তথ্য ও জার্মানি কাজের বেতন কত তা সকল আপডেট তথ্য বিস্তারিত জানতে
পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
ফ্রান্সে কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে নিন
আর এই সমস্ত তথ্যগুলো জানা আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কেননা দালালের প্রতারণার
হাত থেকে রেহাই পেতে এই তথ্যগুলো আপনার জন্য অনেক উপকারে আসবে।আর আপনার যদি এ
তথ্যগুলো জানা না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি দালালের প্রতারণার শিকার হয়ে আর্থিক
লোকসানের সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে।তাই সঠিক তথ্যটি যেকোন ভাবে সকলের জেনে রাখা
জরুরী।
বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিয়তই জার্মানি যাওয়ার জন্য অনেকেই চেষ্টা করছে বাংলাদেশ
থেকে জার্মানি যাওয়ার সঠিক উপায় সম্পর্কে না জানার কারণে কিন্তু তারা
জার্মানিতে পারি জমাতে পারছে না আপনারা যদি বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যাওয়ার উপায়
সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আমাদের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন বাংলাদেশ থেকে
জার্মানি যাওয়ার উপায় সম্পর্কে।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা: আপনি যদি দক্ষ কর্মী হয়ে থাকেন তবে জার্মানির
উদ্যোক্তা বা চাকরিরদাতা আপনাকে স্পন্সরের মাধ্যমে স্বপ্নের দেশটিতে নিয়ে যেতে
পারবে এভাবে আপনি মর্যাদাকর জার্মান ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে দেশটিতে যেতে
পারবেন। এই বিচার বাতায় সেই দেশে থাকা ও কাজ করার অনুমতি পাবেন এক্ষেত্রে ওই
কোম্পানির দেওয়া অফার লেটার সঙ্গে থাকা দরকার।
চাকরিপ্রার্থী ভিসা: মাধ্যমে দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তি জার্মানিতে এসে
চাকরির কাজ খোঁজার অনুমতি পেয়ে থাকে এই ভিসার মেয়াদ ছয় মাস এই নির্ধারিত
সময়ের মধ্যে তিনি যদি চাকরি বাকর্মকে সংস্থান করে ফেলতে পারেন তাহলে জব সিকার
ভিসাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় উন্নত হবে।
স্টুডেন্ট ভিসা: জার্মান সরকার বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা
সুবিধা দিয়ে থাকে কেউ যদি দেশটিতে লেখাপড়া করতে যান সরাসরি
জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন
করতে পারবেন স্টুডেন্ট ভিসায় গিয়ে সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি ভালো অর্থ আয় করা
যায়। ভিসার জন্য আবেদন করলে ভিসা ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে পাওয়া যায়।
জার্মানির ভিসার মেয়াদ মাত্র তিন মাস এরপর এটি বৈধতা হারাবে। তাই ওই
শিক্ষার্থীকে জার্মানি আসার পর আরও বেশি সময় তার শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে
চাই। তবে তাকে আলাদাভাবে রেসিডেন্স পারমিট এর জন্য আবেদন করতে হবে।
ফ্যামিলি স্পন্সরশিপ ভিসা: আপনি যদি জার্মান বাসিন্দার পরিবারের সদস্য
অথবা তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকেন। তবে ফ্যামিলির স্পন্সারশিপ ভিসার জন্য আবেদন
করতে পারবেন। জার্মানিতে বসবাসরত পরিবারের মূল সদস্য সঙ্গে থাকার আবেদন করতে হলে
সন্তানের বয়স ১৬ বছরের নিচে হতে হবে। তবে এমন নির্ভরশীল সদস্যদের বয়স হলো এর
বেশি হলে তাকে জার্মান ভাষার উপর দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে।
টুরিস্ট ভিসা: যারা জার্মানিতে পর্যাপ্ত হিসেবে ভ্রমণ করতে চান তাদের
অবশ্যই জার্মানি টুরিস্ট ভিসা নিতে হবে। জার্মানি টুরিস্ট ভিসা অনেকেই ভিজিট ভিসা
বলে থাকেন। জার্মান টুরিস্ট ভিসা পেতে প্রায় ১৫ দিন সময় লাগে। জার্মান দূতাবাস
থেকে সরাসরি এই ভিসার জন্য আবেদন করা যেতে পারে। ইতিপূর্বে আমরা শেষ
করলাম বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। এবারে আমাদের জানতে
হবে জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি। যা জানতে নিচের অংশগুলো মনোযোগ সহকারে
পড়তে থাকুন।
বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে কত টাকা লাগে
ইউরোপ ইউনিয়নভুক্ত এবং সেনজেন ভুক্ত উন্নত এই দেশটিতে যেতে তাহলে অবশ্যই একটি
বৈধ বিচার প্রয়োজন হবে বাংলাদেশ থেকে কয়েক ধরনের ভিসা নিয়ে কিন্তু জার্মানিতে
যাওয়া যায় আপনার জার্মানিতে যেতে কত টাকা লাগবে সেটাও নির্ভর করবে সেই ভিসার
ধরনের উপর।
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে যেতে চান তাহলে কিন্তু যাওয়ার আগে আপনাকে
প্রথমে জানতে হবে বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে কত টাকা লাগতে পারে। আপনার
জার্মানিতে যেতে কত টাকা খরচ বা জার্মানি ভিসার জন্য বর্তমানে কত টাকা নেয়া
হচ্ছে সেটি সম্পূর্ণ ধারণা রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
কানাডা ভিজিট ভিসা পাওয়ার নিয়ম জানুন
আপনাকে যারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে জার্মানিতে যেতে চান তাদের খরচ হবে 8 থেকে
12 লক্ষ টাকা। কেউ স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে জার্মানিতে যেতে চাইলে পাঁচ লক্ষ টাকা
খরচ হবে। আপনি জার্মানিতে থাকার সময় প্রতি মাসে ৩০০ থেকে ৪০০ ইউরো অতিরিক্ত খরচ
হবে।
খাবার এবং বাসস্থান সহবাসের খরচ হতে পারে ৪০০ ইউরো। ঢাকার জার্মান সাংস্কৃতিক
সেন্টার গ্যেটে ইনস্টিটিউট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন
সংস্থার জার্মান ভাষা শেখার পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে।
টেবিল** জার্মানি ভিসা খরচ
- ভিসা ক্যাটাগরি - ভিসার খরচ (টাকা)
- স্টুডেন্ট ভিসা - ৫-৬ লক্ষ
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা - ১২-১৫ লক্ষ
- টুরিস্ট ভিসা - ৪-৫ লক্ষ
জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
জার্মানিতে কাজু সুযোগ রয়েছে অনেক অধিক বেতন উন্নত জীবনযাত্রা মান কাজের
অনন্য সুযোগ ইত্যাদি দেশটিকে অভিবাসীদের নিকট আকর্ষণীয় গন্তব্য করে তুলেছে
এই জন্য জার্মানি কাজের ভিসার প্রয়োজন যারা ওয়ার্ড ভিসা নিয়ে দেশটিতে পারি
জমাতে যাচ্ছেন তাদের অবশ্যই
জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
সেই সম্পর্কে জানতে হবে।
একজন বাঙালি প্রবাসী হিসেবে এইসব কাজ যদি আপনি শিখে যেতে পারেন। খুব সহজেই
কাজ খুঁজে পাবেন যাওয়ার আগে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার অর্জন করতে পারবেন। কারণ
দেশটিতে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ লোকের খুব চাহিদা রয়েছে। দেশটিতে গেলে অবশ্যই কোন
কাজের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। জার্মানি যেসব কাজে চাহিদা বেশি চলুন জেনে আসি।
- ডাক্তার
- নার্স
- ক্লিনার
- ফুড সার্ভিস
- হাউজকিপিং
- ইলেকট্রিশিয়ান
- ফুড ডেলিভারি ম্যান
- ডাইভিং
- হোটেল বয়
- ম্যাকানিক
- প্লাম্বার
- কনস্ট্রাকশন শ্রমিক
- ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার
- সিকিউরিটি
আপনি যদি উপর উক্ত এই সকল কাজের উপর দক্ষতা অভিজ্ঞতা নিয়ে জার্মানিতে জানতে
হলে আপনার কোন কাজের অভাব হবে না এবং আপনি একটি ভাল মানের বেতন পাবেন।
- ডাক্তার
- নার্স
- ক্লিনার
- ফুড সার্ভিস
- হাউজকিপিং
- ইলেকট্রিশিয়ান
- ফুড ডেলিভারি ম্যান
- ডাইভিং
- হোটেল বয়
- ম্যাকানিক
- প্লাম্বার
- কনস্ট্রাকশন শ্রমিক
- ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার
- সিকিউরিটি
জার্মানি কাজের ভিসা ২০২৪
বর্তমান সময়ে জার্মানি কাজের ভিসা ২০২৪ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায় কারণ অনেকেই
জার্মানিতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে আগ্রহী কিন্তু তারা জানে না যে বর্তমান সময়ের
জার্মানিতে কাজের ভিসা দেওয়া হচ্ছে কিনা। জার্মানি ইউরোপের ইউনিয়নের
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও পাশাপাশি কেন্দ্রের ভুক্তৃত।
অর্থনীতির ইউরোপের বৃহত্তম এবং বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির মধ্যে একটি
ফলে প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে এবং সেখানে বেতন কাঠামো অনেক ভালো। জার্মানিতে কাজ
করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা ক্যাটাগরি রয়েছে আপনার জন্য কোন ভিসাটি উপযুক্ত তা
নির্ভর করবে আপনার দক্ষতা যোগ্যতার ওপর।
আপনি যদি জার্মানিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে সরকারিভাবে
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে গেলে আপনার জন্য বেশি ভালো হবে। এটা খরচ হবে কম এবং
বেসরকারিভাবে যদি আপনি দালাল ভাই এজেন্সির মাধ্যমে
জার্মানিতে কাজের ভিসা নিয়ে
যান তাহলে আপনার খরচ হবে অনেক বেশি।
দালাল ও এজেন্সির মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা কাজের ভিসা নিয়ে গেলে আপনার ৮
থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। জার্মানিতে কাজের জন্য অন্তিরিত কোন শ্রমের
প্রয়োজন হয় না জার্মানিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসারও কিছু ধরন রয়েছে।
- উচ্চ দক্ষ শ্রমিক পারমিট
- জার্মানির জন্য ইইউ ব্লু কার্ড
- সাধারণ কাজের পারমিট
দালাল বা চক্রেরের হাত থেকে আপনি সচেতন থাকবেন আর তাদের সাথে কোন চুক্তিবদ্ধ হবেন
না।আপনি নিশ্চয়ই এই পর্যন্ত পড়ে জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং জার্মানি
কাজের ভিসা ২০২৪ সম্পর্কে জানতে পারেলেন। এবারে আমরা জানবো যে প্রশ্নটি কম বেশি
সকলের মধ্য ঘুরফির করে তা হলো বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে কত সময় লাগে।
তাই চলুন নিচের অনুচ্ছেদটি থেকে সময় জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে কত সময় লাগে
বাংলাদেশ দিয়ে কে জার্মানি পেয়ে যাওয়ার স্বপ্ন অনেকেই দেখে কিন্তু যাওয়ার
জন্য অনেকেই জানতে চাই। যে বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে কিভাবে যেতে হচ্ছে আশা করি
আপনারা জানতে পেরেছেন জার্মানিতে যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। এবার আপনাদেরকে আজকে
জানাবো বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে কত সময় লাগতে পারে।
আরো পড়ুনঃ
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪
আপনি যদি প্রথমবার যেয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু অবশ্যই জেনে যাবেন আপনার কত সময়
লাগবে সেখানে পৌঁছাতে।আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে যেতে চান তাহলে কিন্তু
আপনাকে বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে কত সময় লাগে সেই সম্পর্কে জানতে
হবে।জার্মানিতে ভিসা প্রসেসিং করতে আনুমানিক দুই থেকে তিন মাস সময় লাগে।
বাংলাদেশ থেকে দেশটির দূরত্ব প্রায় ৭২৮৮ কিলোমিটার। এই দূরত্ব আপনাকে বিমানে করে
অতিক্রম করতে হবে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যে বাংলাদেশ থেকে
জার্মানি যেতে কত সময় লাগে।বাংলাদেশ থেকে বিমানে করে দেশটিতে যেতে প্রায় ১৮ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। ময়
বিভিন্ন ফ্লাইট এর ওপর নির্ভর করে কমবেশি হতে পারে। কারণ বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের
চলাচল করে।
জার্মানিতে সর্বনিম্ন বেতন কত
জার্মানিতে জাতীয় সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো রয়েছে।জার্মানিতে যেতে হলে আপনাদের
অবশ্যই জানতে হবে জার্মানির সর্বনিম্ন বেতন কত এবং জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা
বেশি আপনি যখন প্রথমবার কোন দক্ষতা অভিজ্ঞতা ছাড়া জার্মানিতে কাজের উদ্দেশ্যে
যাবেন তখন কিন্তু আপনার বেতন সর্বনিম্ন থাকবে তার জন্য আপনি যখন দক্ষতা অভিজ্ঞতা
করবেন তখন কিন্তু আপনার বেতন ও বৃদ্ধি পাবে। এই জন্য আগে জার্মানিতে কাজের চাহিদা
জেনে দক্ষতা অর্জন করে যেতে হবে।
জার্মানিতে সাধারণ প্রতি ঘন্টা কাজ কোন যায় বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে আপনাকে
সাধারণত সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজ করতে হবে। এটা হল বেসিক ডিউটি। বর্তমানে জার্মানিতে
প্রতি ঘন্টায় সর্বনিম্ন বেতন পাওয়া যায় ১২.৪১ ইউরো। এটি বাংলাদেশী মুদ্রায়
রূপান্তর করলে ১৪৫০ টাকা হয়।
আপনি প্রতি মাসে শুধু বেসিক ডিউটি করলে আপনার সর্বনিম্ন বেতন হবে ২ লাখ ৩২ হাজার
টাকা এই সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো দেশটি সকল কাজের জন্য প্রযোজ্য বর্তমানে
জার্মানিতে কাজের ঘর মাসিক বেতন ৩৫০০ ইউরো থেকে ৩৮০০ ইউরো।
এটি বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে হয় প্রায় ৪,০৯০০০ টাকা থেকে ৪,৪৩,০০০ টাকা।
তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন জার্মানিতে সর্বনিম্ন বেতন কত হতে পারে আপনার আপনি
যদি সর্ব প্রথম জার্মানিতে যান।
জার্মানিতে কাজের বেতন কত
জার্মানি অভিবাসন প্রত্যাশীদের কাছে বিশ্বের পঞ্চম জনপ্রিয় ও নিরাপদ দেশ হিসেবে
নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ইউরোপের এই দেশটি শক্তিশালী অর্থনীতি উন্নত শিক্ষা
ব্যবস্থা এবং চাকরি ও কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সুবিধার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন
দেশের নাগরিকের কাছে স্বপ্নের দেশে পরিণত হয়েছে।
অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে জার্মানিতে স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার স্বপ্ন দেখছে এই স্বপ্ন
বাস্তবে রূপ দিতে বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যাওয়ার পরে আপনার জার্মানিতে কাজের
বেতন কত হবে সেই সম্পর্কে কিন্তু খোঁজ রাখতে হবে।জার্মানিতে একজন কর্মীকে কত বেতন
দেওয়া হয় থাকে তা জানার আগ্রহ অনেকেরই আছে যারা জার্মানিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
নিয়ে যেতে চায় তারা কিন্তু অনেক সময় জানতে চাই সেই সম্পর্কে।
জার্মানিতে একজন কর্মী মাসে সর্বনিম্ন দুই থেকে পাঁচ লক্ষ সমপরিমাণ বেতন পায়।
অর্থাৎ সেখানে নূন্যতম মাসিক বেতন বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ লক্ষ টাকা। জার্মানিতে
অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা খন্ডকালীন কাজ (পার্টটাইম) করে মাসে এক লক্ষ টাকার বেশি
আয় করতে পারবে। জার্মানিতে মোট কাজের সময় ৮ ঘন্টা এবং অনেকেই এই সময় দুই থেকে
তিন লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন।
জার্মানিতে যেতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে
আপনি যদি জার্মানিতে যেতে চান তাহলে কিন্তু জার্মানি যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে
সেটার জন্য ভিসা তৈরি করতে হবে আপনার ভিসা থাকলে তবেই আপনি জার্মানিতে যেতে
পারবেন তবে জার্মানিতে ভিসা করতে হলে আপনাকে তার জন্য যে সকল ডকুমেন্টসের
প্রয়োজন সেই সকল ডকুমেন্ট সম্পর্কে জানতে হবে জার্মানিতে যেতে কি কি ডকুমেন্টস
লাগে সে সম্পর্কে আজকে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো।
- একটি বৈধ পাসপোর্ট (৬ মাস মেয়াদ)
- আর্থিক সামর্থের প্রমাণপত্র
- কাজের অফার লেটার
- ভর্তির লেটার ( স্টুডেন্ট ভিসা)
- কাজের প্রশিক্ষণ সনদ
- আইএলটিএস স্কোর
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
- জার্মান ভাষার দক্ষতা
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- চেয়ারম্যানের সত্যায়িত সনদ
- ০৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- মেডিকেল সার্টিফিকেট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
আপনারা যদি জার্মানিতে যেতে চান তাহলে উপরে উঠতেই সকল কাগজগুলো আগে থেকে রেডি করে
রাখতে হবে। তাহলে যখন ভিসা করতে যাবেন তখন আপনার কোন ঝামেলার মধ্যে পড়তে হবে না।
শেষ কথা।জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি।জার্মানি কাজের ভিসা ২০২৪
প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আলোচনায় জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও জার্মানি
কাজের ভিসা ২০২৪ সালের নতুন নিয়ম অনুযায়ী কত টাকা খরচ হতে পারে এ বিষয়ে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি।এছাড়াও জার্মানি যেতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে এবং বাংলাদেশ
থেকে জার্মানি যেতে কত টাকা লাগে এমন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
আরো পড়ুনঃ
কাতারে ফ্রি ভিসার দাম জানুন
আশা করছি আজকের উপস্থাপিত তথ্যগুলো থেকে আপনি আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর গুলো
সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন বলে আশাবাদ করি।জার্মানি সম্পর্কিত আরো কোন তথ্য জানতে
চাইলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।আজকের এই তথ্য যদি আপনার কাছে ইনফোরমেটিভ
বলে মনে হয় তবে আপনার পরিচিত জনদের সাথে শেয়ার করুন।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url