বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন সেক্টর ভালো ও ইনকাম বেশি জানুন
আজকের আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন সেক্টর ভালো ও বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এ বিষয় সম্পর্কে।আপনারা যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং করতে ইচ্ছুক সেই ক্ষেত্রে আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি ফ্রিল্যান্সিং কোন সেক্টর ফ্রিল্যান্সিং কোন সেক্টর নিয়ে কাজ করবেন সে বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃতাই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে বাংলাদেশের বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন সেক্টর ভালো এবং বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি তা জানতে পারবেন।ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হলে অবশ্যই আপনাকে কোন সেক্টরের কাজ বেশি বা ডিমান্ড রয়েছে তা যাচাই বাছাই করে শুরু করতে হবে এর জন্য আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন সেক্টর ভালো
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন সেক্টর ভালো এই সম্পর্কে অনেকেরই জানার আগ্রহ রয়েছে। বর্তমান সময়ে যে কাজগুলো সবচেয়ে বেশি চাহিদা সেগুলো বাংলাদেশের মধ্যে কেমন আয় হয় সে সম্পর্কে আপনারা কি জানেন বাংলাদেশেও কিছু কাজ রয়েছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে কাজগুলো চাহিদা সব সময়ই থাকে।
ঘরে বসে আপনি যদি ইনকাম করতে চাননি স্বাধীন মত তাহলে কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংকে বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের কাজ হিসেবে। বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন সেক্টর ভালো তার মধ্যে অন্যতম ডিজিটাল মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং: আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চান তাহলে বর্তমান সময়ে এটি হতে পারে আপনার জন্য অনেক সম্ভবনাময় আয়। ডিজিটাল মার্কেটিং হল ডিজিটাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করে অনলাইনে কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর মার্কেটিং ক্যাম্পিং পরিচালনা করা সহজ অর্থের ডিজিটাল মার্কেটিং হল অনলাইনে আপনার প্রোডাক্ট গুলোর বিজ্ঞাপন প্রচার করা।
১৯৯০ সালে যখন প্রথম সার্চ ইঞ্জিন আর্চির যাত্রা শুরু করে তখন থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উৎপত্তি হয়।ডিজিটাল মার্কেটিং করার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেমন facebook youtube instagram tiktok এই সবকিছু ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্ল্যাটফর্ম। স্মার্টফোনের সাহায্যে মোবাইল মার্কেটিং অথবা এসএমএস এর মার্কেটিং করা যায়।
এই সব কিছুই একটি বিজনেসের প্রচারণা চালানোর জন্য করানো হয় আর উপরে উল্লেখিত সব কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইন বিজনেস অনলাইন বিজনেস করা মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন। এখন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে যে নিজের পণ্য বা সার্ভিস মার্কেটিং করতে হবে।
এমন না ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং এ প্রচুর চাহিদা। যেমন এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ। আপনি যদি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আপওয়ার্ক একজন এসইও এক্সপার্ট এর প্রোফাইল দেখেন তাহলেই বুঝতে পারবেন। তারা প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৭০ থেকে ১০০ ডলারের উপরে কাজ করে সুতরাং বুঝতেই পারছেন এর চাহিদা কত বেশি।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এ নিয়ে অনেকের মনে আগ্রহ রয়েছে ও বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন সেক্টর ভালো সে সম্পর্কে আপনারা কি জানেন আপনি কোন বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন তা নির্ভর করবে সম্পূর্ণ আপনার পছন্দ ও দক্ষতার উপর তবে যে সেক্টরগুলো চাহিদা বেশি সেই সেক্টরের কাজ শিখলে আপনার কাজের অভাব হবে না।
আপনার যদি পছন্দের কোন দক্ষতা বা কাজ না থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন দক্ষতা ভালো সেটা আপনাকে আজকে আমরা জানাবো। বর্তমান সময় ফ্রিল্যান্সিং নেই সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি চলুন জেনে আসি।
ডিজিটাল মার্কেটিং: বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সহজে এবং ফ্রিল্যান্সিং এর দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং হল অনলাইন ওয়েবসাইট সোশ্যাল মিডিয়া ইমেইল ইত্যাদি ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান প্রোডাক্ট অথবা ব্র্যান্ড ইত্যাদি প্রচার করে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোড শেখার মাধ্যমে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করার পরে কিন্তু একটিভ ইনকাম ও প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন আমাদের আর্টিকেল থেকে আপনারা চাইলে একটিভ ইনকাম ও প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
কনটেন্ট রাইটিং: কন্টেন রাইটিং হলো ওয়েবসাইট এর জন্য অথবা কোন প্রোডাক্ট বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিসক্রিপশন এর জন্য কনটেন্ট লিখে দেওয়া এর মাধ্যমে আপনি ভালো আয় করতে পারেন তার জন্য আপনি ভাল দক্ষতা অভিজ্ঞতা নিতে পারেন।
ট্রান্সলেশন: ট্রান্সলেশন হল একটি ভাষা থেকে অন্য ভাষায় লেখা বা কথা অনুবাদ করে দেওয়া যার মাধ্যমে আপনি কিন্তু খুব সহজেই আর্থ উপার্জন করতে পারেন অনলাইনের মাধ্যমে।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় অ্যাক্টর ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজটি হল ক্লায়েন্টের জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করে দেওয়া এর জন্য আপনাকে কোডিং প্রোগ্রামিং অথবা অন্যান্য কাজ শিখতে হবে।
ভিডিও এডিটিং: ভিডিও এডিটিং হল ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ, চিত্র, মিউজিক, শব্দ ভিডিও ইফেক্ট ইত্যাদি ব্যবহার করে ক্লায়েন্টের পছন্দমত ভিডিও তৈরি করা। ভিডিও এডিটিং এর উপর দক্ষতা নেয়ার পর কিন্তু আপনি ভালো মানের ভিডিও এডিটর হতে পারেন।
ডাটা এন্ট্রি: ডাটা এন্ট্রি হল কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য খুঁজে বের করা অথবা কোন নির্দিষ্ট ফাইল থেকে তথ্য সংগ্রহ করা ইত্যাদির কাজ আপনি কিন্তু এই কাজ করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে ভালোভাবে ইনকাম করতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং:বর্তমানে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ও ডিমান্ড ডিভাইস সেক্টরের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং অন্যতম। এখানে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মধ্যে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করবে কোন কিছু তথ্য প্রচার করতে পারেন। যার মাধ্যমে আপনি একটি ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
উপরে দেওয়া কয়েকটি সেক্টর যেগুলো থেকে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন এবং বর্তমান সময়ে এই সেক্টরগুলো কাজ করে অনেক উন্নতি করছে।
ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত তম
বর্তমানে সবচেয়ে ডিমান্ডিবাল সেক্টর হতে ফ্রিল্যান্সিং আয় করার জন্য সবচেয়ে সহজ উপায়। ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশে কত তম সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায় বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য কোন সেক্টর ভালো সে সম্পর্কে আপনারা হয়তো জানতে আগ্রহী আজকে আপনাদের সাথে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে সকল কিছুই আলোচনা করব।
সম্প্রতি সিইও ওয়ার্লড ম্যাগাজিনে এক প্রতিবেদনে ফ্রিল্যান্সার নিয়োগ শুরু সে ৩০ দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে। যেটায় যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে থাকলেও বাংলাদেশের অবস্থান ২৯ তম। প্রতিবেদনে বলা হয় বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫৭ কোটি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে ধারণা করা হয়। ফ্রিল্যান্সার প্ল্যাটফর্মের বাজার ৩.৩৯ বিলিয়ন ডলারের। বিশ্ব ব্যাপী ফ্রিল্যান্সাররা ঘণ্টায় ঘরে ২১ ডলার আয় করেন এর মধ্যে প্রায় ৭৭ শতাংশ বয়স ৩৫ বা তার কম।
তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র ভারত ও যুক্তরাজ্য ও যথাক্রমে 97.46, ৯৫.৭১ ও ৯৪.৬১ স্কোর নিয়ে শীর্ষ তিনটি দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছে। মূলত যেকোনো বয়সের মানুষের জন্য কোন আলাদা বিনিয়োগ ছাড়াই এই আয় বর্তমান সময়ে অনেকটা স্বস্তির।
কিন্তু যে হারে এখন ফ্রিল্যান্সার এবং ফ্রিল্যান্সিং সাইট তৈরি হয়েছে তাতে নতুনদের জন্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। তবে একটি স্বাধীন পেশা এবং উচ্চ আয়ের মাধ্যম হওয়ার কারণে তরুণ সমাজের মধ্যে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৪
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন সেক্টর ভালো সেই সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী আজকে আপনাদেরকে ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৪ সালে কত তম সেই সম্পর্কে জানাবো। বাংলাদেশ ও বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে তরুণ তরুণীরা ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে যাচ্ছেন সম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক এগিয়ে গিয়েছে।
বিশেষ করে করোনা ভাইরাসের পর থেকে বাংলাদেশের অনেক যুবক এবং স্টুডেন্টরা ফ্রিল্যান্সারের দিকে বেশি ঝুঁকেছে। তবে বাংলাদেশের অনেক আগে থেকেও ফ্রিল্যান্সারের দিক থেকে অনেক ভালো পজিশনে ছিল বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং এর এই দিক থেকে বিশেষ সেরা ১০ টি দেশের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ।
এখন বর্তমানে নতুন নতুন অনেকজন রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে আসার চেষ্টা করছে তবে যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে আসে তাদের মনে একটি প্রশ্ন থাকেই বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিংয়ে অবস্থান কেমন।সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ট্রেন্ড লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাই ২০২১ সালের আগে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আগ্রহী সংখ্যা তুলনামূলক।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আগ্রহর দ্বিগুণ মূলত থেকে নামিদামি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার আধিপত্য চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি পক্ষ থেকে ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।
২০২২ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের ২০২১- ২২ সালের অর্থবছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার উপরে রেমিটেন্স আদায় করে। শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে যেভাবে ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেই রকম সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় না।
বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে পেমেন্ট পাওয়ার সময় সবথেকে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়াও পেপালের মতো অপশন গুলো বাংলাদেশের মধ্যে অ্যাভেলেবেল নেই। তবে বাংলাদেশ সরকার ফ্রিল্যান্সিং থেকে একটু বেশি মনোযোগ হয়েছে। পূর্বে তুলনায় সরকারিভাবে স্টিল ডেভেলপমেন্ট করার জন্য বিভিন্ন ফ্রি কোর্স চালু করেছে।
তবে পূর্বে তুলনায় বর্তমানে আরো নানা ধরনের সুবিধা যুক্ত হচ্ছে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য। এরপর থেকে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখন যদি সরকার এই বিষয়ে আরো সজাগ থাকে তাহলে ভবিষ্যতে আরো ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে কততম
বাংলাদেশ ফ্রিলান্সিংয়ে আয়ের দিক থেকে কততম সেই সম্পর্কে অনেকে জানতে আগ্রহী। বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন সেক্টর ভালো আপনারা কি জানেন আজকে আপনাদেরকে সকল বিষয়ে জানাবো। বাংলাদেশে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্রটা অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যার কারণে সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং করলে যাচ্ছে বাংলাদেশীরা।
বর্তমানে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিংয়ের দিক থেকে অষ্টম অবস্থান করছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয়তম বাংলাদেশী ফ্রেল্যান্সারের সমস্ত মার্কেটপ্লেস এর অনেক সুনাম রয়েছে।বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে একটি বড় অংশই বাইরের দেশে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করে যাচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর গ্রোথ রেট হল ২৭% প্রত্যেক বছর ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকার উপরে রেমিটেন্স আসে। বর্তমানে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখের কাছাকাছি আর একজন মধ্যম মানের ফ্রিল্যান্সার। বাংলাদেশের ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করে থাকে প্রত্যেক মাসে। তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন ফ্রিল্যান্সিং করে বর্তমানে বাংলাদেশেও প্রচুর আয় করছে।
একজন ফ্রিল্যান্সিং এর বেতন কত
বর্তমান সময় ফ্রিল্যান্সিং খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যার কারণে একজন ফ্রিল্যান্সিং এর বেতন কত সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী এছাড়াও ঘরে বসে ইনকাম করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুবিধা ও অধিক পরিমাণে আয় করার উদ্দেশ্যে freelancing এর মধ্যে যুক্ত হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশের তরুণদের।
তবে যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং এ যুক্ত হতে চাই তাদের মনে একটি প্রশ্ন থাকে যে একজন ফ্রিল্যান্সিং এর বেতন কত টাকা সেই সম্পর্কে মাসে ফ্রিল্যান্সাররা কত টাকা আয় করে থাকে। একজন ফ্রিল্যান্সার মাসে কত টাকা আয় করে তা বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
ফ্রিল্যান্সিং থেকে বেশি পরিমাণে আয় করার জন্য কিছু একটু রয়েছে যেগুলো থেকে আপনারা খুব অল্প সময়ে অনেক আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ের ফ্রিল্যান্সিং একটি বিশাল সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত করা হচ্ছে বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং স্বাধীনভাবে কাজ করা এবং অতিরিক্ত ইনকাম করার ইউনিক উপায় হয়ে উঠেছে।
ফ্রিল্যান্সিং এর প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো হল ফাইভার অফ ওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সার ডটকম ইত্যাদি প্রত্যেক প্লাটফর্মে কিছু নিজস্ব নিয়মকানুন এবং গাইডলাইন রয়েছে যা freelancer দের অনেক প্রভাবিত করে। একজন মধ্যম মানের ফ্রিল্যান্সার মাসে কম পক্ষ দশ হাজার টাকা থেকে শুরু করে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকে।
কিন্তু কাজের ধরন কাজের কোয়ালিটি এবং বিভিন্ন কারণে ইনকামের অনেক সময় কম বেশি হতে পারে। তবে একজন এক্সপার্ট লেভেলের ফ্রিল্যান্সার মাসে 5 লক্ষ টাকার উপরে আয় করে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে কোন বেতন নির্ধারণ করা থাকে না। এই বেতন হয় আপনার কাজের ধরন এবং কাজের চাহিদার ওপর কম বেশি হতে থাকবে।
বিশেষ করে যারা অনেক এক্সপেরিয়েন্স এবং অনেক বছর যাবত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে রয়েছে। তারা মাসে ৫০ লাখ টাকারও অধিক আয় করে থাকে। তবে বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সার যারা নতুন অবস্থায় থাকে তাদের ইনকামের পরিসর খুবই কম হয়।।
2024 সালে আমার কোন ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা শিখতে হবে
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন সেক্টর ভালো সে সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেকে যাতে আগ্রহী তবে ২০২৪ সালে আমরা কোন ফ্রিল্যান্সিং এর দক্ষতা শিখতে হবে সে সম্পর্কেও জেনে রাখতে হবে। কারণ বর্তমান সময়ের দিন যাচ্ছে এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের পরিষদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে যার ফলে আমাদের জেনে রাখতে হবে যে বর্তমান সময়ের কোন ফ্রিল্যান্সিং এর দক্ষতা হলে বেশি কাজ করা যাবে।
- video editing
- digital marketing
- apps developer
- cyber security
- website developer
Video Editing: আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান এবং বর্তমান সময়ে যে ফ্রিল্যান্সিং শিখার ফলে আপনি দক্ষতা অর্জন করে বেশি পরিমাণে কাজ করতে চান তাহলে কিন্তু আপনার জন্য হতে পারে ভিডিও এডিটিং অনেক ভালো অপশন। ভিডিও তৈরির মাধ্যমে মানুষের কাছে সবচেয়ে বেশি পরিচিত লাভ করে।
এছাড়া বর্তমানে ইউটিউব ফেসবুক কন্টেন্ট প্রচুর একটা ইনকাম তৈরি করছে তাই আপনি যদি ফি লেন্সিং করতে চান হতে চান তাহলে কিন্তু ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখতে পারেন বর্তমানে ভিডিও এডিটিং এর কাজ খুব জনপ্রিয় কারণ যে কোন কিছুর পরিচয় করতে হলে সেটার জন্য ভিডিও তৈরি করা অনেক জরুরি।
Digital Marketing: বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় একটি কাজ ডিজিটাল মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি কিন্তু প্রচুর উপার্জন করতে পারেন ।তার জন্য আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং সেই সম্পর্কে কোর্স করে শিখতে হবে। একবার আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে শিখে গেলে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট তৈরি করা শুরু করে আরো অন্যান্য বহু কাজ রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং এ অনলাইনে প্রোডাক্ট কেনাবেচা থেকে শুরু করে বহু কাজ। তাই আপনিও চাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।
Apps Developer: বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট তৈরি করলেও ভবিষ্যতের অ্যাপস এ কনভার্ট হবে কারণ বর্তমানে ওয়েবসাইটের মধ্যে সার্চ করা থেকে এটি এপ পেলে কিন্তু অনেক বেশি ব্যবহার করবে তাই মার্কেটে জাবা স্ক্রিপ্ট শিখতে হবে। অ্যাপস ডেভেলপার এর কাজ খুব ডিমান্ড এর কাজ।
তাই বর্তমান সময়ে খুব অল্প পরিমাণে অ্যাপ ডেভলপার রয়েছে কিন্তু এই কাজের চাহিদা রয়েছে অনেক বেশি। তবে এই কাজ তৈরি করতে কিন্তু অনেক কষ্ট হয় যার কারণে প্রচুর পরিমাণ চাহিদা।অ্যাপস ডেভেলপার এর কাজ শিখতে পারেন এবং নিজেই অ্যাপ তৈরি করতে পারেন
Cyber Security: বর্তমান সময় বড় বড় কোম্পানি হোক বা ছোট কোম্পানি অথবা নিজস্ব একটি অ্যাকাউন্ট অনলাইন এ রয়েছে সেটা কিন্তু সাইবার সিকিউরিটির প্রয়োজন রয়েছে। কারণ যে কোন সময় হ্যাক হয়ে যেতে পারে তাই সাইবার সিকিউরিটি সবসময়ই প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে এই কাজটা কেন জানি মানুষ প্রফেশনাল ভাবে নিচে না।
কিন্তু মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে সাইবার সিকিউরিটির খুব ডিমান্ড রয়েছে তাই ভবিষ্যতে যতদিন যাবে তত সাইবার সিকিউরিটির উপর নির্ভর করবে। তাই আপনি যদি একজন সাইবার সিকিউরিটি হিসেবে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন এবং নিজেকে তৈরি করতে পারেন তাহলে কাজের শেষ হবে না।
সাইবার সিকিউরিটি মানে অন্যর কিছু চুরি করে আনা নয় অন্য কোন কিছু হ্যাক হয়ে গেলে সেটা ফিরিয়ে আনা অথবা বড় বড় কোম্পানির সাইবার সিকিউরিটি হিসেবে কাজ করা এই কাজগুলো ভ্যালু অনেক বেশি তাই আপনি যদি এই কাজটা শিখতে পারেন তাহলে মোটা অংকের একটি অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
Website Developer: বর্তমান সময়ে এসে সবাই নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারে এবং এটার উপর দক্ষতা অর্জন করার মাধ্যমে ভালো রকমের আয় করতে পারে এছাড়া বর্তমানে অনলাইন থেকে প্রোডাক্ট এনার প্রতি মানুষের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই কারণে অনলাইনে কেউ ইচ্ছায় তৈরি করে প্রোডাক্ট সেল করে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন।
তাই প্রতিটা মানুষই তা নিজেদের ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাই। ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য দক্ষতারও প্রয়োজন হয় এবং শিখতে হয় তাই ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে দীর্ঘদিন টিকে থাকার জন্য কাজ করতে চাইলে ওয়েবসাইট ডেভেলপার নিয়ে কাজ করতে পারেন।
নিজেকে অবশ্যই প্রফেশনাল ভাবে একজন ওয়েবসাইট ডেভেলপার তৈরি করুন বর্তমানে আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন google অথবা youtube এ গিয়ে সার্চ করুন ওয়েবসাইট ভিডিও পাবেন সেগুলো দেখে নিজেকে একটু একটু করে প্রফেশনাল ভাবে তৈরি করুন।
শেষ কথা।বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন সেক্টর ভালো
প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন ফ্রিল্যান্সিং এর কোন সেক্টর ভালো? কোন সেক্টরের ডিমান্ড রয়েছে তাই আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন সেক্টর ভালো এবং বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি।আশা করছি আজকের সম্পন্ন পড়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কোন সেক্টরে কাজ করলে দক্ষতার সাথে কাজ শিখে ইনকাম করতে পারবেন তা সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।
আজকের আলোচনার অংশটুকু পড়ে আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন।এছাড়াও আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত আপডেট তথ্য পেতে চান তবে আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url