ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪ - ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা জেনে নিন
বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে স্কলারশিপ নিয়ে ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসায়
পড়াশোনা করতে ফ্রান্স আসার জন্য মন মানসিকতা তৈরি করেছেন।কিন্তু আপনি কি ফ্রান্স
স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪ ও ফ্রান্স
স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা
সম্পর্কে জানেন।যদি না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য।প্রবাসীদের
টার্গেট করে দালালরা প্রস্তুত হয়ে থাকে আপনাকে প্রতারণার শিকার করতে।এজন্য
আপনাকে আগে ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪ সম্পর্কে জানতে হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃসেই সাথে জানতে হবে স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং, লেখাপড়া খরচ
কত, স্টুডেন্ট ভিসার যোগ্যতা, এবং
ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা কি কি ডকুমেন্টস
লাগে।তাই আলোচনাটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা
খরচ ২০২৪ ও ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা সম্পর্কে।এতে আপনি নিজেকে আগে থেকে
প্রস্তুত করতে পারবেন ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসায় আসার জন্য।
ফ্রান্স লেখাপড়া খরচ কত
বাংলাদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য কিন্তু অনেকে এখন ফ্রান্সে লেখাপড়া করতে চাইছে
তাই অনেকেই কিন্তু ফ্রান্সে লেখাপড়ার খরচ কত সেই সম্পর্কে জানতে চাই। ফ্রান্সে
পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশীদের আগ্রহ তালিকায় থাকার কারণে ফ্রান্স কম খরচে
পড়াশোনা করা যায় ফ্রান্সে পড়াশোনার জন্য টিউশন ফি অনেক কম এবং ফ্রান্সের মানুষ
এবং সেখানকার পরিবেশ অনেক বন্ধুসুলভ ফ্রান্সে অনেক নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়
রয়েছে।
যেখানে কম খরচে পড়াশোনা করতে পারবেন। ফ্রান্সে পড়াশোনার জন্য ভিসা অনেক
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিসার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রথম এর রক্তের গিয়েও
স্পন্সর বলে ভিসা পেতে খুব সহজে হয়। ফ্রান্সে পড়াশোনার ক্ষেত্রে আপনাকে ১০ থেকে
১৫ হাজার ইউরো দেখাতে হবে। ফ্রান্সের কলেজ থেকে অফার লেটার পাওয়ার পর টাকাটা
ব্যাংকে রেখে দূতাবাসে সাক্ষাৎকার দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
কানাডা ভিজিট ভিসা পাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
টিউশন ফি কেমন ফ্রান্সে এই নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে আপনারা হয়তো জানেন
ফ্রান্সে পড়াশোনা করতে হলে অবশ্যই কিছু নিয়মের ভেতর দিয়ে যেতে হবে টিউশন ফি
আপনাকে দিতে হবে এবং যে বিশ্ববিদ্যালয় পড়বেন সেই বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক করবে আপনার
টিউশন ফি। ফ্রান্স পড়াশোনার জন্য থাকা-খাওয়া বাদবত খরচ হবে ৪০০ থেকে ৬০০ ইউরো।
ফ্রান্সের টিউশন ফি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম আর এই টিউশন ফি নির্ভর করবে
কোর্স বা কলেজের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর। ফ্রান্সে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য
প্রতিষ্ঠানে হোস্টেলের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া যদি কেউ ইচ্ছে করে ভাড়া বাড়িতে
থাকতে পারবে।
এছাড়াও কম খরচে পড়াশোনা করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ফ্রান্সে পড়াশোনার পাশাপাশি
পার্ট টাইম জব করতে হবে। ফ্রান্সের আইন অনুযায়ী একজন বিদেশী শিক্ষার্থী বছরে
সর্বোচ্চ 944 ঘন্টা কাজ করতে পারবে।
তবে এখানে ফুল টাইম করতে শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারবে। তবে ছুটি
ও অবসর সময়ে ফুল টাইম কাজ করা যায় যা
মাসে প্রায় 800 থেকে 1000 ইউরো
আয় করা যায়।নিশ্চয়ই আপনি ফ্রান্স লেখাপড়া খরচ কত টাকা লাগে তা জানতে পারলেন
এবারে আমরা জানবো ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪ সালের আপডেট তথ্য অনুযায়ী।
ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪
ফ্রান্সে পড়াশোনার জন্য ভিসা করতে হবে এবং আপনি যদি ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা খরচ
২০২৪ সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে চলুন এবার জেনে আসি ফ্রান্সের স্টুডেন্ট ভিসা
করতে কত টাকা খরচ হয়। বিচার জন্য শিক্ষার্থীকে প্রথমে রক্তের সম্পর্কে
কেউ স্পন্সর হলে ভিসা পেতে খুব সহজে
তবে শিক্ষার্থীর জন্য যে কাউকে অভিভাবক স্পন্সর করতে পারবেন।
আর আপনার যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকে তাহলে আপনি নিজের নামে ব্যাংক একাউন্ট
টাকার হিসাব দেখাতে পারেন ফ্রান্সে পড়াশোনার ক্ষেত্রে আপনাকে ১০ থেকে ১৫ হাজার
ইউরো দেখাতে হবে ফ্রান্সের কলেজ থেকে অফার লেটার পাওয়ার পর টাকাটা ব্যাংকে রেখে
দূতাবাসের সাক্ষাৎকার দিতে হবে তারপর ভিসা হলে আপনি টাকাটা তুলতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
মালেশিয়া কলিং ভিসা বন্ধ না খোলা জানুন
এবং ফ্রান্সের প্রবেশকালে যদি ইমিগ্রেশনে জানতে চাই আপনার কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ
টাকা আছে কিনা তাদের দেশে পড়াশোনা করার মতো তখন তাদেরকে এই ব্যাংক সলভেন্সির
নমুনা দেখাতে হবে।
ফ্রান্সের মানুষ ভ্রমণ ভিসা, কাজের ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেয়ে থাকে এবং
আপনি যদি ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেয়ে থাকেন।তাহলে আপনার ফ্রান্সে যেতে
আনুমানিক খরচ হবে ৩ লক্ষ টাকা। স্টুডেন্ট ভিসায় ফ্রান্সে গেলে তার মানে ৩ থেকে ৪
লক্ষ টাকা খরচ লাগবে।
ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং
ইতিমধ্যে আমরা জানলাম ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪ সালের আপডেট
তথ্য।তাই আপনি যদি ফ্রান্সের স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে কিন্তু
বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লেখাপড়া করতে পারেন প্রযুক্তি শিক্ষা সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধ
ফ্রান্সের খ্যাতি। পৃথিবী জুড়ে উন্নত জীবনযাত্রা ও শিক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী
অর্থনীতি এইসব কারণে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা কিন্তু ফ্রান্সের
উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য আসতে চাই।ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করার জন্য
আপনাদের যা করতে হবে।
- ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের জন্য প্রায় সকল প্রয়োজনও ডকুমেন্টস গুলো সম্পর্কে উপরে বলা হয়েছে সেই ডকুমেন্টগুলো নিয়ে যেতে হবে অবশ্যই এগুলো ছাড়া কিন্তু হবে না ভিসা প্রসেসিং।
- আপনার সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে।
- এম্বাসির কালচারাল অ্যাটাচির সাথে e-mail এ যোগাযোগ করে এপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
- নির্ধারিত দিনে সকল ডকুমেন্টস নিয়ে এম্বাসিতে সঠিক সময়ে উপস্থিত থাকতে হবে।
- ওইদিনই দূতাবাস থেকে আপনাকে একটি দ্বিতীয় ঐচ্ছিক অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হবে।
- পর্যালোচনা শেষে ভিসা দেওয়া না দেওয়া ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
- পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে প্রায় তিন সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে।
ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা
ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা খরচ এবং ফ্রান্স লেখাপড়া এবং ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা
প্রসেসিং জানলাম কিন্তু আপনি যদি ফ্রান্সে লেখাপড়া করা চান তাহলে ফ্রান্স
স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা
থাকতে হবে। ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য কিন্তু যোগ্যতার প্রয়োজন
হয়।আপনি যদি ফ্রান্সের স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান?তাহলে কিন্তু সেখানে আপনি
বিভিন্ন প্রকারের সুযোগ সুবিধা পাবেন। পালমোনিয়াম রেসিডেন্স কার্ড যাতে
পাসপোর্টটা আন্তর্জাতিক প্রতিভা গুলি সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয় এটি বিশেষ করে।
তরুণ Graduate গবেষক বা যারা গবেষক কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ডিজাইনার উঁচু
পর্যায়ের অ্যাফিলিয়েটদের ইস্যু করা হয় এই কার্ডে আপনি আপনার পরিবারে চার বছরের
ভিসা দেওয়া হয়ে থাকে এই সময় জব করার অধিকার থাকে আপনি একটানা 5 বছর বৈধ ভাবে
থাকার পর আপনি স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন ফ্রান্সের স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ
এবং আপনি গেলে সেখানে কত সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।ফ্রান্সের উচ্চশিক্ষার জন্য
আবেদন করার কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা জন্য আবেদন করতে হলে
শিক্ষার্থীকে নিম্ন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করতে হবে।
এদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণত সেপ্টেম্বর মাসে ভর্তির কার্যক্রম শুরু করে
এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি
বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করতে হবে। আবেদনকারীর যোগ্য
বিবর্তিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে শিক্ষার্থীর করণীয় সম্পর্কে
বিস্তারিত জানিয়ে দিবে। তবে শিক্ষার্থীর ভর্তির জন্য সেশন শুরুর কমপক্ষে ১০ থেকে
১২ সপ্তাহ আগে আবেদন করতে হবে।
ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা কি কি ডকুমেন্টস লাগে
আপনি যদি ফ্রান্সে যেতে চান এবং ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা করতে চান তাহলে কিন্তু
আপনার কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা কি কি ডকুমেন্টস
লাগে সে সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে তাহলে আজকের আমাদের আর্টিকেল থেকে
ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসার ডকুমেন্ট সম্পর্কে জেনে নিন।
- শিক্ষার্থীর বৈধ পাসপোর্ট
- ফ্রান্সের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রমাণপত্র
- শিক্ষাকালীন সময়ের প্রয়োজনীয় খরচ পাতি সামর্থের প্রমাণপত্র( স্পন্সার)
- সার্টিফিকেট ও মার্কশিট এর ফটোকপি
- বিমান টিকিট
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- স্বাস্থ্য বীমা
- যদি শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে থাকেন তাহলে শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্তির প্রমাণপত্র
- আইইএলটিএস স্কোর
- ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফি
দূতাবাসের ওয়েবসাইট ভিসা আবেদনের ফরম পাওয়া যায় সেটি ডাউনলোড করে দুই কপি
আবেদনপত্র জমা দিতে হবে আবেদন ফরম দূতাবাস অফিসেও পাওয়া যায়।
- জন্ম সনদ
- জীবন বৃত্তান্ত
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র (যদি থাকে)
- ফান্স বা ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ (যদি থাকে)
- ভিসা আবেদনের জন্য যেসব কাগজগুলো তা সব সময় প্রয়োজন হয়।
তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন কম খরচের ফ্রান্সে আপনারা লেখা পড়া করতে পারবেন এবং
ফ্রান্সে যাওয়ার জন্য কিন্তু স্টুডেন্টের এই ডকুমেন্টগুলো অবশ্যই প্রয়োজন হবে।
আইইএলটিএস ছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা
ফ্রান্সে পড়াশোনা করার জন্য ভাষার দরকার কি না আইআইএলটিএস ছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা
পাওয়া যাবে কিনা এটা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। ভাষা অন্যতম একটি উপাদানের
ফ্রান্সে কম খরচে পড়াশোনা করার জন্য সাধারণত ফ্রান্সের কলেজে
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফ্রান্স ভাষায় পড়াশোনা হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু কলেজ
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইংরেজি শিক্ষা লাভের সুযোগ রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪
সে ক্ষেত্রে আপনার আইইএলটিএস বা TOFEL SCORE থাকতে হবে। আন্ডারগ্রাজুয়েট এর জন্য
৫-৫.৫ IELTS এবং ৫৫০ TOFEL SCORE থাকতে হবে ফ্রান্সে বেশি ভাগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বার্ষিক ফি বাবদ ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা দিতে হয়। ফ্রান্সের
সাধারণত একজন শিক্ষার্থী থাকা খাওয়া বাবদ মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাগে। যা
ইউরোপের অন্যান্য দেশে তুলনায় অনেক কম খরচ হয় পড়াশোনার জন্য।
কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সহজ
বাংলাদেশ থেকে বহু শিক্ষার্থী কিন্তু স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে বাইরের দেশে উচ্চ
শিক্ষার জন্য যেতে চাই। এদের বেশিরভাগই কয়েকটি দেশে যান কেননা ঐসব দেশে ভিসা
পাওয়ার সহজ হয়। চলুন জেনে আসি কোন দেশের স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সহজ।
ভারত: ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। দেশটিতে বেশ কয়েকটি ভালো মানের
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রতিনিয়ত এই বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী ভারতে
গিয়ে পড়াশোনা করছে এবং এখনো যাচ্ছেন আর আপনি চাইলে অল্প খরচে পড়াশোনা চালানোর
জন্য ভারতে যেতে পারেন এদেশে ভিসা পাওয়া তুলনামূলক সবচেয়ে সহজ।
আরো পড়ুনঃ
সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় গুলো জানুন
ইতালি: পৃথিবীর সকল দেশের শিক্ষার্থীর জন্য ইতালি একটি জনপ্রিয় দেশ
উচ্চশিক্ষা আর্যুনের জন্য ইতালিতে উচ্চমান সম্পূর্ণ অনেকগুলো ডিগ্রিধারী
বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি স্বল্প টিউশন ফি খরচ করে
পড়াশোনা শেষ করতে পারেন। পশ্চিম ইউরোপের একটি প্রজাতান্ত্রিক দেশ হলো ইতালি
আপনার বয়স ২১ বছরের বেশি হলে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে খুব সহজেই এই দেশের শিক্ষা
অর্জনের জন্য যেতে পারবেন।
কানাডা: শিক্ষা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশী ও ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য
সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হচ্ছে কানাডা প্রতিবছর বাংলাদেশ ও ভারত থেকে অনেক
শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য যাচ্ছে কানাডায় পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর
মধ্যে অন্যতম একটি দেশ। এই দেশে গেলে সব ধরনের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা পাবেন
পড়াশোনার মান পৃথিবীর অন্যান্য দেশে থেকে অনেক ভালো।
জার্মানি: ইউরোপ মহাদেশের শিল্প উন্নত দেশের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ হলো
জার্মান এই দেশে শিক্ষা ব্যবস্থার মান ও জীবনযাত্রার মান অনেক ভালো এই দেশে গিয়ে
নিজের খরচ মিটিয়ে খুব সহজে পড়াশোনা করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
সৌদি ভিসার মেয়াদ কতদিন থাকে
মালয়েশিয়া: মালয়েশিয়া মুসলিম উন্নত দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ একটি দেশ এই
দেশের কাজের জন্য যেমন বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ মানুষ যায় তেমনি আপনি চাইলে
উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য খুব সহজে মালয়েশিয়া ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন অল্প খরচে
আপনি উচ্চমান সম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করতে পারবেন এবং
সাথে সেখানে চাকরি করার সম্পূর্ণ সুযোগ রয়েছে এইসব কারণে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীর
কাছে মালয়েশিয়া একটি দেশ।
আয়ারল্যান্ড: আয়ারল্যান্ড উত্তর আটলান্টিকর ছোট্ট দ্বীপ ২৩ ছোট দীপ দেশ
হলেও দেশটি অনেক ধনী ও তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের অসংখ্য
শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে আয়ারল্যান্ডে গিয়ে পড়াশুনা করছে আপনি চাইলে খুব সহজে
উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আয়ারল্যান্ডে যেতে পারেন
আয়ারল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া তুলনামূলক সহজ আছে যদি আপনার যোগ্যতা থাকে।
FAQ। ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪।ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা
প্রশ্ন ০১ঃ ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করার নিয়ম?
- আপনার সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে।
- এম্বাসির কালচারাল অ্যাটাচির সাথে e-mail এ যোগাযোগ করে এপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
- নির্ধারিত দিনে সকল ডকুমেন্টস নিয়ে এম্বাসিতে সঠিক সময়ে উপস্থিত থাকতে হবে।
- ওইদিনই দূতাবাস থেকে আপনাকে একটি দ্বিতীয় ঐচ্ছিক অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হবে।
- পর্যালোচনা শেষে ভিসা দেওয়া না দেওয়া ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
- পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে প্রায় তিন সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে।
প্রশ্ন০২ঃ আইইএলটিএস ছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায় ?
- আপনার আইইএলটিএস বা TOFEL SCORE থাকতে হবে।
- আন্ডারগ্রাজুয়েট এর জন্য ৫-৫.৫ IELTS এবং ৫৫০ TOFEL SCORE থাকতে হবে।
প্রশ্ন ০৩ঃ ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা কি কি ডকুমেন্টস লাগে?
- শিক্ষার্থীর বৈধ পাসপোর্ট
- ফ্রান্সের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রমাণপত্র
- শিক্ষাকালীন সময়ের প্রয়োজনীয় খরচ পাতি সামর্থের প্রমাণপত্র( স্পন্সার)
- সার্টিফিকেট ও মার্কশিট এর ফটোকপি
- বিমান টিকিট
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- স্বাস্থ্য বীমা
- যদি শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে থাকেন তাহলে শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্তির প্রমাণপত্র
- আইইএলটিএস স্কোর
- ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফি
প্রশ্ন ০৪ঃ ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪ কত ?
- ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪ ৩/৫ ও ৫/৭ লক্ষ টাকা
শেষ কথাঃ ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪।ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা
সম্মানিত পাঠক বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য অনেকেই যাওয়ার জন্য মন স্থির করেন।তবে
আপনি যে দেশেই যেকোনো কাজের জন্য যান না কেন আপনাকে আগে থেকে সে দেশের কিছু
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে।তেমনিভাবে ফ্রান্স পড়াশোনা করার
জন্য অন্যতম একটি দেশ।তাই আপনারা যারা ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চাচ্ছেন?
তবে যাওয়ার পূর্বে ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪ ও ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা
যোগ্যতা সম্পর্কে আজকের আলোচনা থেকে জানতে পারলেন।
আরো পড়ুনঃ
সোদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি
আশা করছি আপনি দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত না হয়ে্ নিজেকে আগে থেকে সতর্ক
রাখতে পারেন।আজকের আলোচনা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট
বক্সে জানিয়ে দিবেন।এছাড়াও আপনি ফ্রান্স সম্পর্কে আপডেট তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব
সাইটে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url