ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ম ও নামাজের নিয়ত সম্পর্কে জেনে নিন

ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ম এবং ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ত সম্পর্কে জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করতে পারবো।মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি ও অর্জনের জন্য আমরা ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করি।প্রতিবছর একটিবার ঈদুল আযহা নামাজ আদায় করার সুযোগ পাই।তাই আমাদের সকলের জেনে রাখা উচিত ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ম গুলো।
ঈদুল-আযহা-নামাজের-নিয়ম

তাই আজকের আলোচনা থেকে আমরা ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ম এবং ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ত সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানবো।সেই সাথে ঈদের দিনে সকালে সুন্নত কয়টি ঈদুল আযহার দোয়া এবং ঈদের দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত ও ঈদের দিনে করণীয় বর্জনীয় কাজগুলো সম্পর্কে আজকের আলোচনা মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নেব।
পোস্ট সূচিপত্রঃঈদুল আযহা নামাজের নিয়ম।ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ত
ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ত
ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ম
ঈদুল আজহার দোয়া
ঈদের দিন সকালের সুন্নত কয়টি
ঈদের দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত
ঈদের দিনে করণীয় ও বর্জনীয়

ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ত

ত্যাগো উৎসর্গের ঈদ হল ঈদ উল আযহা কোরবানির ঈদ প্রতি বছরই জিলহজ মাসের ১০ তারিখে এই ঈদ পালন করা হয়। ২০২৪ সালে এবার কোরবানির ঈদ সম্ভব্য ১৭ জুন পালন করা হবে। এই দিনগুলোতে ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন," অতএব তোমার রবের উদ্দেশে নামাজ পড়ো এবং নহর করো।" (সুরা আল কাউছার)

ঈদের নামাজের পদ্ধতি স্বাভাবিক নামাজের মত নয় ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব ঈদের নামাজ ছাদ বিহীন খোলা জায়গায় আদায় করা সুন্নত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খোলা জায়গায় ঈদের নামাজ আদায় করতেন যদি খোলা স্থানের ব্যবস্থা না থাকে।

তবে মসজিদেও ঈদের নামাজ পড়া যাবে। বছরে দুইবার ঈদের নামাজ পড়ার কারণে অনেকেই নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত ভুলে যান তাই আজকে আপনাদেরকে ঈদের নামাজের নিয়ত সম্পর্কে জানাবো।

উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উসালিল্লাহি তা'আলা রাকাআতাইন সালাতিল ইদিল ফিতরি মাআ সিত্তাতিত তাকবিরাতি ওয়াঝিবুল্লাহি তাআলা ইকতাদাইতু বিহাজাল ইমামি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবর।
অর্থ:' আমি ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ অতিরিক্ত ৬ তাকবীরের সঙ্গে এই ইমামের পেছনে কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য আদায় করছি।- 'আল্লাহু আকবার'। '

ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ম

বছরের দুইবার ঈদ হওয়ার কারণে কিন্তু অনেক সময় আমরা ঈদুল ফিতরের নামাজ ও ঈদুল আযহা নামাজের সম্পর্কে জানতে চাই।কারণ অনেক সময় মনে থাকে না ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ম তাই চলুন আজকে আলোচনা করবো ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে।

ইমামের সঙ্গে তাকবীরে তাহরিমা আল্লাহু আকবার বলে উভয় হাত বাধা তাকবির তাহারিমার পর ছানা পড়া।-' সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়াবিহামদিহি ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়াতাআলা যাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।'
এরপর অতিরিক্ত ৩ তাকবির দেয়া। এক তাকবির থেকে আরেক তাকবিরের মধ্যে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় বিরত থাকা প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবীরের উভয় হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দেয়া। তৃতীয় তাকবীর দিয়ে উভয় হাত তাকবীরে তাহারিমার মতো বেঁধে নিতে হবে। আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ পড়া। সুরা ফাতেহা পড়া সূরা মিলানোর এরপর নিয়মিত নামাজের মত রুকু ও সেজদার মাধ্যমে প্রথম রাকাত শেষ করা।

এরপর দ্বিতীয় রাকাতে বিসমিল্লাহ পড়া সূরা ফাতিহা পড়া। সূরা মিলানোর সূরা মিলানোর পর অতিরিক্ত তিন তাকবীর দেওয়া। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবীরের উভয় হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দেওয়া। তৃতীয় তাকবীর দিয়ে উভয় হাত থাকবে তাহারিমার মতো বেঁধে নিতে হয়। এরপর রুকুর তাকবীর দিয়ে রুকুতে যাওয়া সেজদা আদায় করা। বৈঠকে বসা, তাশাহুদ, দরূদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা।
নামাজের সালাম ফেরানোর পর তাকবির পড়া -
উচ্চারণ: 'আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ। '
নামাজর পর ইমাম সাহেবের দুইটি খুতবা দেয়। ঈদের নামাজ পড়ার পর ইমাম খুতবা দিবে আর মুসল্লিরা খুতবা মনোযোগের সঙ্গে শুনবে।

ঈদুল আজহার দোয়া।ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ম

হযরত আবু দারদা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন,' যে ব্যক্তি সওয়াবের আশায় উভয় ঈদের রাতে ইবাদত করবে তার অন্তত সেই দিন মরবে না যেদিন সমস্ত অন্তর মারা যাবে।' (মারেফাতুস সাহাবা)
দোয়া মুমিনের হাতে আর দোয়ার মাধ্যমে অসম্ভব কেউ সম্ভব করা যায় আর নিজের জীবনে নেমে আসা অনাকাঙ্ক্ষিত বিভিন্ন ধরনের বালা-মুসিবত থেকে মুক্তি লাভ করা যায় এমনকি দোয়ার ফলে জীবনের ভাগ্য ঘুরে যায়। আর সে দোয়া যদি কবুলের আশ্বাস পাওয়া যায় তাহলে হেলায় খেলায় সময় নষ্ট না করা ঠিক এই প্রসঙ্গে হযরত ইবনে ওমর (রা.) বলেন পাঁচটি রাতের দোয়া বিফলে যায় না।
  • জুম্মার রাত
  • রজবের রাত
  • সাবানের ১৫ তম রাত চার
  • ঈদুল ফিতরের রাত
  • ঈদুল আযহার রাত
সাধ্যমতন নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত জিকির আজকার, দোয়া, দুরুদ ইত্যাদি করা যায় ঈদের রাতে।ঈদুল আযহার রাতে আপনারা চাইলে এই আমলগুলো করতে পারবেন এবং আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া চাইতে পারবেন।

ঈদের দিন সকালের সুন্নত কয়টি।ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ম

বহু বছর ঘুরে আবার আসল ঈদে ঈদের দিনে সকালে সুন্নত পার্টি সে সম্পর্কে কি আপনারা জানেন। মহিমান্বিত এই দিনটি আনন্দ উৎসব ভিন্নমাত্রা যোগ করবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শিক কিছু চমকপ্রদাত আয়োজন। আপনার ঈদ আনন্দ যেন ভরে উঠে আসুন ঈদকে আনন্দ সাথেও উদযাপন করি।ঈদের দিন সকালে কয়েকটি সুন্নত রয়েছে সেই সুন্নতগুলো পালন করা প্রতিদিন মুসলিমের জন্য দরকার।
  • ঈদের দিন সকালে গোসল করা ও পবিত্রতা অর্জন করা সুন্নত।
  • সুন্দর ও উত্তম পোশাক পরিধান করাটাও সুন্নত।
  • ঈদের দিনে সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত।
  • ঈদগাহে যাওয়ার আগে পানাহার করা সুন্নত।
  • একটা সময় তাকবীর পাঠ করে আল্লাহকে ডাকা।
  • ঈদগাহে যাতায়াতের সময় রাস্তা পরিবর্তন করা সুন্নত।
  • পায়ে হেঁটে ঈদগাহে গমন করা সুন্নত।
  • ঈদগাহে যেতে শিশুদের সঙ্গে নেওয়া সুন্নত।
  • ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা একে অপরের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করা সুন্নত।
  • ঈদের নামাজ শেষে খুতবা মনোযোগ সহকারে সোনা সুন্নত।
ঈদের নামাজের আগে পরে ঈদের নামাজের স্থানে যেকোনো ধরনের নফল নামাজ আদায় করা মাকরুহ।ঈদের নামাজের পরে ঈদগাহ থেকে বাড়ি ফিরে দুই রাকাত নফল আদায় করা সুন্নত।

ঈদের দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত।ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ম

ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব সম্পর্কে প্রতিটি মুসলিমের জেনে রাখা উচিত ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। যারা ঈদের নামাজ আদায় করে না তারা অবশ্যই গুনাগার হবেই ঈদ আসে বিশ্ব মুসলিম দ্বার প্রান্তে বার্ষিক আনন্দের মহা বাত্রা নিয়ে আসে সীমাহীন প্রেম প্রীতি বিলাবার সুযোগ নিয়ে বিগত দিনের সকল ব্যথা বেদনা ভুলিয়ে দিতে কল্যাণ ও শান্তির সওগাত নিয়ে আসে ঈদ।

প্রতিবছর দুইদিন ঈদের নামাজের মাধ্যমে মহান আল্লাহ মুসলিমদের জন্য যে মহাসম্মেলনের ব্যবস্থা করেছেন তার মধ্যে রয়েছে ইসলামিক সমাজ কায়েমের প্রেরণা। সমাজকে কলুষিত কলিমা মুক্ত করার জন্য মানবতা ও মানুষত্ব বিকাশের এক বিশেষ অনুশীলন ঈদের দিন।

তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন ঈদের দিনের গুরুত্ব কতটা। ঈদের দিনে এমন অনেক আমল রয়েছে যেগুলো করার ফলে আপনি আরো বেশি সওয়াব লাভ করবেন ঈদের দিনের সুন্নতগুলো পালনের মাধ্যমে নবী ও রাসূলের আদেশ পালন করা হয়।

ঈদুল আযহার নামাজের উদ্দেশ্যে গোসল করা, যথাসাধ্য পরিষ্কার ও সুন্দর পোশাক পরিধান করা, সুগন্ধি ব্যবহার করে। ঈদগাহে উচ্চস্বরে তাকবীর পাঠ করতে করতে এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা সুন্নত।
ঈদুল আযহার দিন না খেয়ে খালি পেটে ঈদের নামাজ আদায় করতে যাওয়া সুন্নত। সম্ভব হলে ঈদের দিন নামাজের পর দ্রুত কোরবানি সম্পন্ন করে কোরবানির গোশত দিয়ে ঈদের দিনে আহার শুরু করা মুস্তাহাব। কোরবানির গোশত তিনভাগের এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন এক ভাগ গরিব দুঃখীদের মধ্যে বন্টন করা মুস্তাহাব হবে।

ঈদের দিনে করণীয় ও বর্জনীয়

ঈদের দিন মুমিন মুসলমানদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু করণীয় কাজ রয়েছে নিজেকে পরিপাটি ও সুন্দর করে সাজিয়ে নেওয়ার এসব আমল পালন করতে হবে।
মিসওয়াক ও গোসল করা: মিসওয়াক ও গোসল স্বাভাবিক অবস্থায় সুন্নতি ঈদের দিন এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে কেননা ঈদের নামাজ বহু মানুষের সমাগম হয় সেখানে পূর্ণ পবিত্র পরিচ্ছন্ন হয়ে উপস্থিত হওয়া বাঞ্ছনীয়।
হাদিসে এসেছে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন,' রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন গোসল করতেন। '( নাসবুর রায়াহ)

উত্তম পোশাক পরিধান: ঈদের দিন নিজের পোশাকাদির মধ্যে থেকে উত্তম ও সুন্দর পোশাক পড়া সুন্নত। হাদিসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক ঈদে ডোরাকাটা কাপড় পরিধান করতেন। (বায়হাকী)
নামাজের আগে কিছু না খাওয়া: ঈদুল ফিতরের দিন নামাজের উদ্দেশ্যে ঈদগাহে যাওয়ার আগে কিছু মিষ্টান্ন খেয়ে নেওয়া মুস্তাহাব কিন্তু ঈদুল আজাহার দিন এমনটি মোস্তাহাব নয় বরং কুরবানী হয়ে যাওয়ার পর দিনের প্রথম খাবার হিসেবে কুরবানীর গোশত খাওয়া মুস্তাহাব।

ফেরার পথে রাস্তা পরিবর্তন: ঈদগাহে যাওয়ার সময় এক রাস্তা এবং ঈদের নামাজ শেষ করে অন্য রাস্তায় ঘরে ফেরা মোস্তাহাব হাদিসে এসেছে হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন ' রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ইদগাাহ থেকে ফেরার পথে) রাস্তা বদল করতেন। (বুখারী)
পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া আসা: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন পায়ে হেটে ঈদগাহে যেতেন। তার সামনে একটি বর্শা বহন করে নেয়া হতো এবং সেটা নামাজের সময় তার সামনে সুতরাং হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হতো। '(বায়হাকি)অন্য বর্ণনায় এসেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যেতেন ঈদগাহ থেকে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতেন।
ঈদগাহে যাওয়া আসার পথে তাকবীর বলা: যাওয়ার পথে উঁচু আওয়াজে তাকবীর বলা সুন্নত। হাদিসে এসেছে হযরত নাফে রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ' হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু উভয় ঈদের নামাজের জন্য মসজিদ থেকে বের হতেন। ঈদগাহে পৌছে পর্যন্ত (রাস্তায়) তাকবির বলতেন। ঈদগাহে পৌঁছেও ইমাম নামাজ আরম্ভ করা পর্যন্ত তিনি তাকবির বলতেন। '(দারাকুতনি)

তাকবির: ঈদগাহে যাওয়ার সময় ঈদুল ফিতরের দিন তুলনামূলক নিম্ন সরে তাকবির বলা এবং ঈদুল আযহার দিন উচ্চস্বরে তাকবীর পাঠ করা সুন্নত। ইমাম যুহুরী থেকে বর্ণিত, নবীজি (সাঃ) ঈদুল ফিতরের দিন তাকবীর পাঠ করতে করতে ইব্রাহিমকে গমন করতেন নামাজ পড়া পর্যন্ত এই তাকবীর অব্যাহত রাখতে। নামাজ শেষ হলে তাকবির পাঠ বন্ধ করে ফেলতেন। (সিলসিলাতুল আহাদিস আস-সহিহা :১৭১)

ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা: ঈদের দিন একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে শুভেচ্ছা বিনিময় করা সুন্নত। হাদিসে আছে, নবীজি (সাঃ) ও কেরাম ঈদের দিন পরস্পর সাক্ষাৎ হলে বলতেন তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়ামিন কুম অর্থাৎ আল্লাহ আমার ও আপনার যাবতীয় ভালো কাজ কবুল করুক। (ফাতহুল কাদির :২/৫১৭)
ঈদের খুতবা সোনা: ঈদের নামাজ শেষে খুতবা মনোযোগ সহকারে সোনা হাদিস আছে আব্দুল্লাহ বিন সায়িব (রা) বলেন,' নবীজি (সা.) এর সঙ্গে আমি ঈদগাহে উপস্থিত হলাম এরপর তিনি আমাদের নামাজ পড়িয়েছেন তারপর তিনি বললেন আমরা নামাজ শেষ করেছি যার ইচ্ছা সে খুতবা শোনার জন্য বসবে আর যে চলে যেতে চায় সে চলে যাবে। (ইবনে মাজাহ:১০৭৩)

ঈদের দিন বর্জনীয় কাজ
বিজাতীয় সংস্কৃতি কাম্য নয়: ঈদুল ফিতরের মত ধর্মীয় উৎসবগুলো মুসলমানদের জন্য নিজস্ব সাংস্কৃতিতে সম্পন্ন করা বাঞ্ছনীয় বিজাতীয় সাংস্কৃতি পালন কোন ভাবে কাম্য নয় কেননা এ ব্যাপারে কঠোর নিষেধক রয়েছে।
বিদআত থেকে সতর্ক থাকা : ঈদের দিন অনেকে না জেনে কবর বা মাজারে গিয়ে বিদআত লিপ্ত হয়। এটি কোন ভাবে কাম্য নয় কবর জিয়ারত নিঃসন্দেহে একটি নেক আমল। কিন্তু ঈদের দিনে কবর জিয়ারত বিশেষ সব রয়েছে এটা মানা সঠিক নয়।

গান-বাজনা সিনেমা থেকে দূরে থাকা: ঈদের দিনে একটি স্বাভাবিক গুনাহ হলো গান বাজনা শোনা ও এতে জড়িত হওয়া। শরীয়তের একটি নিষিদ্ধ এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই আবার যদি হয় অশ্লীল গান বা সিনেমা তাহলে তো হারাম হওয়ার ব্যাপারে কোন ভিন্ন মত নেই।

অপচয় না করা: অপচয় এমন খরচকে বলা হয় যার কোন উদ্দেশ্য নেই যার কোন ফায়দা নেই।ঈদের দিনকে ঘিরে অনেকে অযথা খরচ করেন অথচ আল্লাহ তায়ালা অপচয় করতে নিষেধ করেছেন। এরশাদ করেছেন, আর তোমরা অপচয় করোনা নিশ্চয় তিনি অপচয়কারীদের ভালোবাসে না। (সুরা আনআম :১৪১

শেষ কথা। ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ম।ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ত

সম্মানিত পাঠক আমরা অনেকেই ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ম এবং ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ত সম্পর্কে না জানার কারণে সঠিকভাবে ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করতে পারি না।তাই আজকের আলোচনায় আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ম এবং ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ত সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।আশা করি আজকে আর্টিকেল পড়ে আপনি ঈদুল আযহা সম্পর্কিত তথ্য সম্পর্কে সুইস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।

আজকের আলোচনাটুকু আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দেবেন এ ছাড়াও আপনি যদি নিত্য নতুন ইসলামিক আপডেট পোস্ট পেতে চান তবে আমাদের ওয়েব সাইটে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url