শিশুদের হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায় - হিট স্ট্রোকের লক্ষণ

 

শিশুদের হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায় এবং হিট স্ট্রোকের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে ইতিমধ্যে অনেকেই আপনারা অনলাইনে সার্চ করে শিশুদের হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?তাই আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা শিশুদের হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কিত সকল তথ্য নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
শিশুদের-হিট-স্ট্রোক-প্রতিরোধের-উপায়
এই প্রচন্ড তাপদাহ গরম থেকে হিট স্টক রোগের লক্ষণ হতে পারে।হেট স্টক থেকে বাঁচতে হলে আপনাদের জানতে হবে হিট স্টপ প্রতিরোধের উপায়।বর্তমানে গরমে শিশু থেকে বয়স্কদের হিট স্টোক সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে।তাই আমাদের জানতে হবে শিশুদের হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায় এবং হিট স্ট্রোকের লক্ষণ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য। তাই চলুন নিচে জেনে নেওয়া যাক হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃশিশুদের হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায়।হিট স্ট্রোকের লক্ষণ

ভুমিকা। শিশুদের হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায়।হিট স্ট্রোকের লক্ষণ

বর্তমানে বাংলাদেশের আবহাওয়া তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪২ ডিগ্রি হচ্ছে।এমন অবস্থায় শিশুরা ও বয়স্ক মানুষরা অসুস্থ হওয়ার লক্ষণ বেড়ে চলেছে।এ অবস্থায় আমাদের কি করনীয় আমরা অনেকেই জানিনা। তাই আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় যা আজকে আর্টিকেলের ভিতরে আলোচনা করতে চলেছি শিশুদের হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায় এবং হিট স্ট্রোকের লক্ষণ সম্পর্কে।

একই সাথে আপনাদের সুবিধার্থে আজকের আর্টিকেল থেকে জানতেও বুঝতে পারবেন হিট স্ট্রোক কখনো কেন হয়, কাদের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি, হিট স্ট্রোক থেকে সুস্থ হতে কতদিন লাগে,হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায়, হিট স্ট্রোক এর কারণ, হিট স্ট্রোকের প্রাথমিক চিকিৎসা এবং শিশুদের হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে সকল তথ্য।তাই আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

হিট স্ট্রোক কি

এখন কিন্তু আমরা সবচেয়ে বেশি যে শব্দটা শুনতে পাচ্ছি হিট স্ট্রোক এই শব্দটি দ্বারা কি বুঝানো হয় আপনারা কি জানেন হিট স্ট্রোক কি সেই সম্পর্কে। হিট স্ট্রোক হলো অতিরিক্ত উত্তাপের একটি অবস্থা সাধারণত উচ্চ তাপমাত্রায় দীর্ঘায়িত এক্সপোজার বা শারীরিক পরিশ্রাম এবং তাপ নিয়ন্ত্রণে শরীরের ব্যর্থ প্রচেষ্টার ফলে.

উচ্চ তাপমাত্রায় অত্যাধিক এক্সপোজার তাপ ক্লান্তির কারণ হতে পারে যা তাপ ক্র্যাম্প এবং হিট স্ট্রোকের দিকে অগ্রসর হয় দীর্ঘায়িত তাপের সংস্পর্শে থাকার কারণে শরীরে তাপ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যা হাইপারথার্মিয়া সৃষ্টি করে। স্ট্রোক হলো তাপের আঘাতের সবচেয়ে গুরুতর রূপ যেখানে শরীরের তাপমাত্রা ৪০.৬০C ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার অধিক পৌছে যায়।

পরিবর্তিত মানসিক আচরণের সাথে হাইপার-থার্মিয়া, ঘাম, বমি বমি ভাব, বমি ফ্লাশ ত্বক, দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি বা মাথাব্যথা হেট স্ট্রোকের সূচক। আপনি যদি হিট স্ট্রোক সন্দেহ করেন তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

হিট স্ট্রোক এর কারণ

আপনারা কি জানেন হিট স্ট্রোক কারণ সম্পর্কে অনেকেই কিন্তু জানতে চাইতে হিট স্ট্রোক কি কারণে হয়ে থাকে আসলে হওয়ার পিছনে কিছু কারণ রয়েছে।হিট স্ট্রোক হলো একটি তাপ জানিয়ে তো অসুস্থতা যার ফলে শরীরে তাপমাত্রা ৪০° সেলসিয়াস বা ১০৪ ডিগ্রি ফরেনারিটের বেশি হয়ে যায়। ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা ও বিভ্রান্তি আঘাতপাতের প্রধান কিছু লক্ষণ হতে পারে হিট স্ট্রোক।

উচ্চ তাপমাত্রায় অত্যাধিক এক্সপোজার তাপ ক্লান্তির কারণ হতে পারে যা তাপ ক্র্যাম্প এবং হিট স্ট্রোকের দিকে অগ্রসর হয় দীর্ঘায়িত তাপের সংস্পর্শে থাকার কারণে শরীরে তাপ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যা হাইপারথার্মিয়া সৃষ্টি করে। স্ট্রোক হলো তাপের আঘাতের সবচেয়ে গুরুতর রূপ যেখানে শরীরের তাপমাত্রা ৪০.৬০C ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার অধিক পৌছে যায়।

মূলত এই সকল কারণেই কিন্তু হিট টক হয়ে থাকে হিট স্ট্রোক একটি মেডিকেল ইমারজেন্সি চিকিৎসা না করলে হিট স্ট্রোক কিন্তু অনেক বড় সমস্যা করতে পারে। এই জন্য হিট স্টক হলে আপনারা অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন রোগীকে।

হিট স্ট্রোকের লক্ষণ

আপনার যদি রোগের সমস্যা হয়ে থাকে আপনি কিভাবে বুঝবেন এটা কি জানেন হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলো সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকতে হবে তাহলে আপনিও বুঝতে পারবেন যে আপনার হিট স্ট্রোক হতে যাচ্ছে।
  • পেশী ব্যথা
  • ভারী ঘাম
  • চরম দুর্বলতা
  • বিশৃঙ্খলা
  • মাথাব্যথা
  • বমি
  • গাঢ রঙের প্রসাব
  • ফ্যাকাসে চামড়া
  • রেসিং হার্টবিট
গুরুত্ব এই লক্ষণ গুলো দেখলে বুঝতে পারবেন যে আপনার হয়তো হিট স্ট্রোক হতে যাচ্ছে তখন দ্রুত আপনাকে চিকিৎসকের কাছে যেয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে হবে।

হিট স্ট্রোকের প্রাথমিক চিকিৎসা

আপনারা কি জানেন এই তীব্র গরমে অনেকেই হিট স্ট্রোক ভুগছেন।হিট স্ট্রোক কিন্তু গরমকালে বেশি দেখা দেয় আপনাকে কিন্তু হিট স্ট্রোক সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে এবং হিট স্ট্রোকের প্রাথমিক চিকিৎসা কি আপনার যদি জানা থাকে তাহলে আপনি যদি সেই সমস্যার সম্মুখীন হন তখন কিন্তু আপনি এই চিকিৎসা টুকু দিতে পারবেন।

যখন আপনি দেখবেন যে কেউ রোগী তখন কিন্তু দ্রুত আপনাকে চেষ্টা করতে হবে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এই পরিস্থিতিতে আপনি সেই রোগীকে ঠান্ডা স্থানে নিয়ে যাবে এবং খোলা বা ফাঁকা স্থানে বসাতে হবে। এরপরে শরীরে যদি ভারি পোশাক থাকে সেটা পরিবর্তন করে পাতলা সুতি পোশাক পরাতে হবে ঠান্ডা বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রয়োজন মনে হলে জরুরী ভাবে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। রোগীকে বেশি বেশি ঠান্ডা ও তরল জাতীয় পানি পান করাতে হবে। হিট স্ট্রোক রোগী সুস্থ হতে কয়েক দিন পর্যন্ত সময় লাগবে সেটা তীব্রতা বা ধরনের উপর নির্ভর করবে। যদি সঠিক চিকিৎসা করা না হয় তাহলে রোগের মস্তিষ্ক বেশি কিডনি এবং অন্যান্য অঙ্গ গুলোকে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে।

শুধুমাত্র শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য কিছু না কিছু করে বরং পানি বা লিকুইট জাতীয় খাবার গ্রহণের পর জোর দিতে হবে। রোগীকে লিকুইট জাতীয় হেলদি ডায়েট খাবার দিতে হবে। হিস্ট্রোক হওয়ার কারণে অবশ্যই শরীরের যত্ন নিতে হবে। হিট স্ট্রোক মূলত ড্রাইডেশনের কারণে হয়ে থাকে এই জন্য রোগীকে বেশি বেশি হাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে।

হিট স্ট্রোক কখন ও কেন হয়

আপনারা কি জানেন হিট স্ট্রোক কখন ও কেন হয় আসলে অনেকে জানতে চাই যেহেতু হিট স্ট্রোক কখন হয় এটা মূলত গরমকালে সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। আপনারা বুঝতে পারছেন যে এটা অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে হয়ে থাকে। নিজেদের কিছু ভুল থাকে যার কারণে কিন্তু হিট স্টক হয়ে থাকে আপনি যদি এই রোগের শিকার হন তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনি হয়তো জানেন না যে হিট স্ট্রোক কখন হয় ও কেন হয়।

আপনার শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফরেনাইট উঠে যাবে তখনই কিন্তু আপনার হিট স্ট্রোক দেখা দিবে। গ্রীষ্মকালে কিন্তু হিত স্টকের ঘটনা বেশি দেখা দেয় প্রচন্ড গরমের কারণে অনেকেই এই সমস্যা মধ্যে পড়ে যান হিট স্ট্রোক রোগ এক ধরনের হাইপার্রথার্মিয়া। হাইপার্রথার্মিয়া হচ্ছে অধিক তাপমাত্রা আর থারমিয়া মানে হচ্ছে তাপ।

তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে বলা হয় হেট স্ট্রোক আমাদের শরীরের ভেতর নানা রকমের রাসায়নিক ক্রিয়ার কারণে সব সময় তাপ সৃষ্টি হতে থাকে। ঘামের সাহায্যে সেই তাপ শরীর থেকে বেরিয়ে যায় কিন্তু একটানা রোদে থাকলে ঘামের সাথে গরমে শরীরে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যায়।

শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যাওয়ার কারণেই সৃষ্টি হয় যে ডি হাইড্রেশনের। ঘামের সঙ্গে লবণ বেরিয়ে যাওয়াতে লবণের ঘাটতি দেখা দেয় যার ফলে শরীরকে করে তোলে অবসন্ন এবং শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এরপরে কিন্তু মাথা ঘুরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মত নানা রকমের সমস্যা সৃষ্টি হয় এই জন্য দ্রুতটি কৃষকের পরামর্শ নিতে হবে।

কাদের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি

আপনারা কি জানেন হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কাদের বেশি হিট স্ট্রোকে ঝুঁকি কিন্তু বেশি যাদের সেই সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। আমাদের বাসায় বা আশেপাশে অনেক মানুষ আছে যাদের অনেক বেশি ঝুঁকি রয়েছে হয়তো আমরা জানিনা। অনেক কিছু না জানার কারণেও কিন্তু অনেক সময় রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়ে যায়।
  • শিশু, (শিশু এবং ছোট) এবং বয়স্ক ব্যাক্তিরা সবচেয়ে বেশি হিট স্ট্রোক রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে।
  • যারা বিস্তৃত কার্যকলাপে নিযুক্ত থাকে বা দীর্ঘ সময় ধরে সূর্যের সংস্পর্শে থাকে।
  • নির্দিষ্ট হার্ট বা ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত রোগী।
  • রোগীদের ওষুধ যেমন BP ওষুধ আন্টিডিপ্রেসেন্ট, ওভার-দ্য কাউন্টার কাশি এবং সর্দির ওষুধ।
  • আপনারা তাহলে বুঝতে পেরেছেন যে হিস্ট্রকের রোগী কারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে এদের বেশি ঝুঁকি থাকে হিট স্ট্রোক হওয়ার।

হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায়

আপনার যদি মনে হয় যে আপনার হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা রয়েছে তাহলে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচার জন্য আপনারা যে কাজগুলো করতে পারেন আজকে তারা নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব থেকে বাঁচার উপায়গুলো নিচে দেওয়া হল।
  • ঢিলেঢালা হালকা রঙের হালকা পোশাক পড়ুন।
  • ঠান্ডা তরল পানি পান করুন এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করুন।
  • অ্যালকোহল আপনাকে দ্রুত ডিহাইড্রেট করতে পারে এটি এড়িয়ে চলুন।
  • শসা,তরমুজ, ডালিম ও কলা উপভোগ করুন।
  • গরমের পরিবেশে জোরালো কার্যকলাপে নিয়োজিত হবেন না।
  • অ্যারোবিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে অ্যাকোয়া ব্যায়াম এবং সাঁতার কাটতে লিপ্ত হন।
  • বাইরে থাকলে ছায়ায় নিয়মিত বিশ্রাম দিন এবং ঘন ঘন তরল পানি পান করুন।
  • ফ্যান সাহায্য করতে পারে কিন্তু বর্ধিত গরম আবহাওয়া, তাপমাত্রা এবং আদ্রতা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা সবচেয়ে ভালো উপায়।
  • শিশুকে গাড়িতে ৫ থেকে ১০ মিনিটের বেশি সময় অযত্নে রাখবেন না এতে সমস্যা হতে পারে।
  • মিতু এবং উচ্চতা অতিক্রম করার আগে ভালোভাবে মানিয়ে নিন বিশেষ করে যখন শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত জায়গা থেকে বাইরে যাবেন।
  • সম্পূর্ণ আচ্ছাদান কিন্তু ঢিলেঢালা পোশাক টুপি সানগ্লাস এবং একটি সানস্ক্রিন দিয়ে নিজেকে রোদ থেকে রক্ষা করুন।
আপনি হিট স্ট্রোকের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকলে সমস্ত প্রয়োজনের সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং নিশ্চিত করেন যে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা পরিষেবা আপনার আশেপাশে রয়েছে।

শিশুদের হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায়

আমাদের বাসায় যদি শিশু থাকে তাহলে কিন্তু অনেক চিন্তার বিষয় কারণ এই অতিরিক্ত গরমের কারণে শিশুদের হিস্টোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অত্যাতিক গরমে শিশু অসুস্থ হয়ে যায় গরম জনিত ক্লান্তি শুরু হয় ধীরে ধীরে কিন্তু সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে শিশুর হিট স্ট্রোক রোগ হতে পারে। হিট স্ট্রোক  বাচ্চার তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রী ফরেনাইট বা তার চেয়ে বেশি ছড়িয়ে যেতে পারে এই ধরনের রোগ হলে দ্রুত মেডিকেলে ব্যবস্থা নিতে হবে না হলে বড় ধরনের বিপদ হতে পারে।

বেশি তৃষ্ণা, দুর্বলতা, জ্ঞান হারানো, মাংসপেশী কামড়ানো, বমি বমি ভাব, অস্থিরতা, মাথাব্যথা, বেশি ঘাম, ত্বকের শীতলতা, তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফরেনাইটের কম এইসব কারণ এই গরমে হয়ে থাকে। স্টক হলে দ্রুত শিশুকে মেডিকেলে নিয়ে যেতে হবে এবং চিকিৎসা করাতে হবে গরম জনিত কুফল দেখা দিলে তাড়াতাড়ি বাচ্চাকে শীতল স্থানে নিয়ে যেতে হবে কাপড়চোপড় আলগা করে নিতে হবে।

শিশুকে শোয়ায়ে দিয়ে পায়ের দিকে উঁচু করে রাখতে হবে। শিশুর জ্ঞান ঠিক থাকলে ঠান্ডা পানিতে শরীর মুছে দিতে হবে। শিশুকে ঠান্ডা পরিষ্কার তরল পানিও পান করাতে হবে। শিশু যদি বমি করতে থাকে তাহলে তাকে এক পাশ করে রেখে দিতে হবে যাতে বমি শাসনালীতে না প্রবেশ করে।
শিশুদের হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায় :
  • শিশুদের সবসময় গরমের দিনে প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার ও পানি পান করাতে হবে বারবার এটা খেয়াল রাখতে হবে।
  • শিশুর পরিধেয় বস্ত্র হালকা ও ঢিলেঢালা ধরনের রাখা।
  • দিনের সবচেয়ে তপ্ত সময় শিশু যেন বাইরে বেশিক্ষণ না থাকে।
  • শিশুকে বলে দিতে হবে গরমে বেশি কাহিল লাগলে সে যেন ভেতরে বাছায় চলে আসে।
  • উপরোক্ত এসকল কাজ করলে শিশুর সুস্থ থাকবে এই গরমে।অতিরিক্ত গরমে শিশুর যত্ন নিতে হবে বেশি।

হিট স্ট্রোক থেকে সুস্থ হতে কতদিন লাগে

আপনারা কি জানেন হিস্টোগো থেকে সুস্থ হতে কত দিন সময় লাগে আসলে যারা হিট স্ট্রোকের রোগী তারা কিন্তু জানতে চাই থেকে সুস্থ হতে কতদিন লাগে। শিশুদের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কম থাকার কারণে তাদের বেশি হয় যারা গরমে প্রচন্ড দীর্ঘ সময় শারীরিক পরিশ্রম করে এবং নিয়মিত কিছু ওষুধ খেয়েবন করে তাদের কিন্তু ঝুঁকি বেশি।

প্রচুর পরিমাণে খাবার স্যালাইন পানি পান করতে হবে এবং দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে তারপরে ডাক্তার চিকিৎসা করার পরবর্তীতে কিছু সময়ের মধ্যে তিনি সুস্থ হয়ে যাবে তবে আপনার যদি স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি হয় তাহলে কিন্তু আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। গ্রীস্মের তীব্র গরমে তোকে ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে যার ফলে কিন্তু হিত স্টক হওয়ার পরে মানুষ অনেক সময় সুস্থ হতে দেরি হয়।

বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষের শরীরে গরম হয় এর ফলে রক্তনালি গুলো খুলে যায় এর ধরে রক্তচাপ কমে যায় যে কোন কারনে সরাসরি রক্ত সঞ্চালন করা হৃদপিন্ডের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
যার ফলে কিন্তু শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে তরল ঘাম বের হয় এবং তরল পদার্থ কমে যায় যখন বা বিভিন্ন রকমের রোগের দেখা দেয়। শরীর সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই নিজেদেরকে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে এবং চোখের কারণে যদি আপনি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে আপনার সুস্থ হতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ লাগতে পারে।

হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়

আপনার যদি উপরোক্ত লক্ষণ গুলো দেখা দেয় তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার হিট হয়েছে তাড়াতাড়ি আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করতে হবে প্রতিরোধে করণীয় আপনারা যা করতে পারেন সেই সময়।
  • রোগীকে একটি ছায়াময় এবং শীতল জায়গায় নিয়ে যেতে হবে বিশেষ করে বাড়ির ভেতরে।
  • এরপর যে ক্লাস্ট্রোফোবিয়া এবং বিভ্রান্তি বিপরীত করতে কোন অতিরিক্ত পোশাক থাকলে সেটি খুলে ফেলতে হবে।
  • রোগীর আশেপাশে যদি বেশি মানুষ থাকে তাহলে ভিড় এড়িয়ে চলুন এবং রোগীকে একজন থাকতে দিন।
  • দ্রুত ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করুন ঠান্ডা ঝরনা ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে বা বরফের ব্যাগ কপালে ঘাড়ে বগলে এবং কুঁচকিতে ভেজা তোয়ালে দিয়ে রাখুন।

শেষ কথা।শিশুদের হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায়।হিট স্ট্রোকের লক্ষণ।

প্রিয় শুভাকাঙ্খী আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে ইতিমধ্যে জানতেও বুঝতে পেরেছেন শিশুদের হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায় এবং হিট স্ট্রোকের লক্ষণ সম্পর্কে।আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় সম্পর্কে জেনে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামত চেয়ে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন।

এছাড়াও আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের মাঝে আর্টিকেলটি শেয়ার করে সকলকে পড়ার সুযোগ করে দিন।এই গরমে সকলকে সুস্থতা রাখতে আমাদের জানতে হবে হিটস অফ প্রতিরোধের উপায় গুলোর সম্পর্কে।

প্রচন্ড গরম ও তাপমাত্রার কারণে যেকোনো সময় যে কারো হেট স্টক হতে পারে।আজকের আর্টিকেলটি শেয়ার করে সকলকে উপকৃত করি।মিঃ হেল্প বুক ওয়েব সাইটে সব সময় আপনাদের সহযোগিতায় পাশে রয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url