বড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ - গুড়া কৃমি হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে জানুন
বড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ এবং গুড়া কৃমি হওয়ার লক্ষণ নিয়ে আমাদের আজকের
আলোচনা।আপনাদের অনেকের জানা নেই বড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ কি সে
সম্পর্কে।তাই আমাদের আজকের আলোচনা থেকে বড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ এবং গুড়া
কৃমি হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য জানতে পারবেন।
সেই সাথে কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায়, গুড়া কৃমি হওয়ার কারণ এবং কলা খেলে কি
কিরমি হয় সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন তাই আজকের পর্বটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
মনোযোগ সহকারে পড়ে বড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ এবং গুড়া কৃমি হওয়ার লক্ষণ
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
পোস্ট সূচিপত্রঃবড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ।গুড়া কৃমি হওয়ার লক্ষণ
কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায়
বাচ্চাদের কৃমির সমস্যা একটি স্বাভাবিক সমস্যা হলেও কিন্তু এই কৃমির সমস্যা থেকে
নানা রকমের শারীরিক অসুবিধা শুরু হয় কিডনি দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে আজকে
আপনাদের সাথে আলোচনা করব। বর্তমানে বড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ ও শুধুমাত্র
ছোটদেরই কৃমি হয় এমনটা কিন্তু নয়।
কৃমি হলে নানার রকমের সমস্যা দেখা দেয় বিভিন্ন জলবায়ুতে কৃমির উৎপাত খুবই বেশি
শিশুদের দেহে এই সমস্যা বেশি দেখা গেল যে কোন বয়সের মানুষেরই কৃমির সমস্যা হতে
পারে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে কিরম রোধ করবেন চলুন জেনে আসি :
রসুন: কয়েকটি ঘরোয়া উপায় পেটের কৃমি দূর হয়ে যায় যেমন সকালে খালি
পেটে ২-৩ কুয়ারা কাঁচা রসুন খেলে কিরমি মরে যায়। কাঁচা রসুনের
অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে প্রায় ২০ ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ৬০ ধরনের ফাঙ্গাস
মেরে ফেলতে পারে। রসুন তাই কয়েকটা দিন সকালে নিয়মিত দুই তিনটা করে কাঁচা রসুন
চিবিয়ে খেলে কিমি মরে যায়।
হলুদ: কাঁচা হলুদ বেটে রস করে নিন এক চা চামচ হলুদ রসের সামান্য লবণ
মিশিয়ে নিন এটি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান আধ কাপ গরম পানিতে সামান্য হলুদ
গুঁড়া ও লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন এক সপ্তাহ নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করনীয় জানুন
আদা: পেটের যেকোনো সমস্যা যেমন এসিডিটি পেটে ইনফেকশন খাদ্য হজম না হওয়া
ইত্যাদি দূর করতে আদার জুড়ি মেলাভর। তাই এই ধরনের সমস্যায় আদার রস খাওয়া যেতে
পারে।
নিম পাতা: কৃমি কমাতে তেতো খেতে বলে অনেক প্রবীণ মানসিক কয়েকটি নিমপাতা
বেটে ফ্রিজে রেখে দিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম পানির সাথে এক চা চামচ
নিমপাতা বাটা সেই পানি খান এবং যে পাথরে পাতাটা বাটা রাখবেন সেই পাথরে যেন বাতাস
না ঢুকতে পারে সেদিকেও নজর রাখবেন।
লবঙ্গ: লবঙ্গ জীবাণু নাশকগুন রয়েছে একা আপু পানিতে তিন চারটি লবঙ্গ
ফুটিয়ে নিন। সেই পানি সারাদিন অল্প অল্প করে খান লবঙ্গ দিয়ে ফোটানো পানি শুধু
কৃমি নয়। কৃমি ডিমও নির্মূল করে বলে মনে করেন অনেকেই।
উপরোক্ত এই টোটকা গুলো আপনারা মেনে ঘরোয়া ভাবে কৃমি দূর করতে পারবেন। তাই যাদের
কৃমির সমস্যা রয়েছে অবশ্যই তারা কৃমি দূর করার জন্য ওষুধ অথবা ঘরোয়া ভাবে
চেষ্টা করবেন।
বড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ
কৃমি যে শুধু ছোটদের হয় এমন কোন কথা নেই বড়দেরও ঘন ঘন কৃমি হতে পারে। বড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ কি এই বিষয়টা অনেকে জানতে চাই আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা
করে জানাবো বড়দের ভয়ংকর কিরমি হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ: যদি কেউ অস্বাস্থ্যকর দূষিত বা অপরিষ্কার পরে ভেসে
বাস করেন তাহলে তার কৃমি সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই কৃমি থেকে বাঁচতে
আপনার আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার করুন এবং আপনি সবসময় পরিষ্কার থাকুন। আশা করি
তাহলে আপনি কৃমি থেকে মুক্তি পাবেন।
পায়খানা ব্যবহারে সঠিক পদ্ধতি না মেনে চলা: খোলা জায়গা বা অপরিষ্কার
পায়খানা ব্যবহার করলে কৃমি সংক্রমণ ঘটতে পারে। তাই আপনার আশেপাশে কেউ যদি খোলা
জায়গায় পায়খানা করে থাকে তাহলে তাকে নিষেধ করে দিন এ ছাড়া আপনি এইসব জায়গা
থেকে বিরত থাকবেন খোলা জায়গায় পায়খানা করলে অনেক সময় বিভিন্ন রোগের সাথে কৃমি
ছড়ায়।
নখ চিবানো: নখের নিচে কিরমিক ডিম থাকতে পারে এবং নখ চিবানো সেগুলোকে মুখের
ভেতর নিয়ে আসতে পারে। তাই আপনার উচিত নখ নাচিবানা নখের ভিতরে শুধু কিরমিনা
এছাড়া অনেক রোগ ব্যাধি থাকে যা জীবাণুগুলো শরীরে প্রবেশের পরে বিভিন্ন ধরনের
সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরো পড়ুনঃ শিশুদের গুড়া কৃমি ঔষুধের নাম জানুন
মাটির সংস্পর্শ : কৃমির ডিম মাটিতে থাকতে পারে এবং মাটির সংস্পর্শে যদি
কৃমির ডিম আপনার হাতে চলে আসে এবং আপনি যদি হাত না ধুয়ে খাবার খান বা নক দিবেন
তাহলে আপনার কৃমি হতে পারে।
পোষা প্রাণী থেকে সংক্রমণ: পোষা প্রাণীর মাধ্যমে কৃমির ডিম বহন হতে পারে
প্রাণী সংস্পর্শে আসার পর হাত না ধোয়া কৃমির সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ায় তাই
আপনি যখন আপনার পোষা প্রাণীর ধরবেন তখন তাৎক্ষণিক সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিবেন।
অপরিচ্ছন্ন খাদ্য ও পানি : দূষিত পানি বা দূষিত খাবার গ্রহণ করলে কিমি
সংক্রমণ হতে পারে। তাই আপনার বাসায় পানি যদি দূষিত হয়। তাহলে সেটা পরিষ্কার করে
পান করতে হবে এবং বাসি পচা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলে
স্বাস্থ্যঝুঁকি কম হবে এবং কৃমি সংক্রমণ কম হয়।
হাত ধোয়ার অভ্যাসের অভাব: খাওয়ার আগে এবং টয়লেট থেকে আসার পরও হাত না
ধোয়া কৃমি সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ায়। তাই আপনি খাওয়ার আগে এবং টয়লেট থেকে
এসে অবশ্যই ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিবেন।
গুড়া কৃমি হওয়ার লক্ষণ
গুড়া কৃমি হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে অনেকে জানতে চাই সারাক্ষণ শুধু কির্মীর কারণে
কিন্তু অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়। সারাক্ষণ শুধুই অস্বস্তি কিছুতেই মনোযোগ হচ্ছে
না। অস্বস্তিকর সমস্যাটি হলো কৃমি। গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল নালীর মধ্যে
বসবাসকারী একটি পরজীবী প্রাণী বিভিন্ন জলবায়ুতে কৃমির উৎপাত খুব বেশি। শিশুদের
এই সমস্যা বেশি দেখা গেল যে কোন বয়সের মানুষেরই কিন্তু কৃমি হতে পারে।
কৃমির বিভিন্ন রকমের লক্ষণ দেখা দেয় কৃমি হলে বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা, পেট মোটা
বা ভারি হওয়া, খাবারে অরুচি, মুখে থু থু উঠা এবং কোন কোন কৃমিতে পায়খানার
রাস্তার পাশে চুলকানি হতে পারে। কৃমি হলে সাধারণত অপুষ্টি দেখা দেয় রক্তশূন্যতা
দেখা দেয়। হুক ওয়ার্মের একমাত্র খাদ্য হচ্ছে আক্রান্ত রোগীর রক্ত।
অনেক সময় বক্র কৃমির এক মুখ শিশুদের এপেনডিসাইটিক্সের মধ্যে প্রবেশ করে। ফলে
এপেনডিসাইটিসের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। শিশুর নাক, মুখ দিয়েও কিমি পড়তে পারে
পেটের কৃমির অধিক অন্ত্র নালির পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও কৃমির ফুটো করে
মারাত্মক অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে। তাই উপরেরটা এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে দ্রুত
চিকিৎসকের আমাশ ও নিতে হবে।
গুড়া কৃমি হওয়ার কারণ
গুড়া কৃমি হওয়ার কারণ সম্পর্কে আপনারা কি জানেন কৃমি মূলত বিভিন্ন কারণে হয়ে
থাকে। তাই গুড়া কৃমি হওয়ার কারণ সম্পর্কে জেনে রাখা দরকার। কারণ কিমি হলে
বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয় যার ফলে কিন্তু আপনার স্বাস্থ্যের অবনতি হবে।
গুড়া কৃমি একটি পরজীবী যেটা মানুষের মলাশয় বা মলদ্বারে থাকে এই কির্মী সূত্র
কিরমি নামেও পরিচিত।
আরো পড়ুনঃ পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়
গুড়া কৃমি ডিমের সংস্পর্শে ছড়িয়ে পড়ে যেগুলো খালি চোখে দেখলে খুব ছোট লাগে।
খারাপ পরিবেশের কারণে মলদ্বারের ডিমগুলি সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে অন্য জায়গায়
ছড়িয়ে পড়তে পারে। যেটা পরে অন্য কেউ স্পর্শ করতে পারে ডিম গুলো স্পর্শের পর
আঙ্গুলে মুখ দিলে এবং পাকস্থলী গ্রহণ করলে এই সংক্রমণ হতে পারে।
গুড়া কৃমি দিনগুলো সংক্রমেত ব্যক্তির নিজস্ব জিনিসে দেখতে পাওয়া যেতে পারে। বিরল
ক্ষেত্রে সংক্রমিত হওয়ায় শাঁস নিলে শ্বাসের মাধ্যমেও কোন ব্যক্তির শরীলে গুঁড়ো
কিড়মি ডিম গুলো প্রবেশ করতে পারে। তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন গুড়া কৃমি নোংরা
পরিবেশ ও নোংরা অবস্থায় থাকার কারণে।
বড়দের কৃমি হওয়ার লক্ষণ
বিভিন্ন কারণে কিন্তু বড়দের কৃমি হতে পারে বড়দের কৃমি হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে
আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করে জানাবো। বড়দের কৃমির সংক্রমণের লক্ষণগুলো কৃমির
প্রকার এবং সংক্রমনের মাত্রা অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। তবে কৃমি হলে যে লক্ষণগুলো
স্বাভাবিকভাবে দেখা দেয় সেই লক্ষণগুলো নিজে তুলে ধরা হলো :
পেট ব্যথা ও অস্বস্তি হতে পারে
- ধীরে ধীরে ওজন কমে যায়
- কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া হতে পারে।
- শরীর ক্লান্তি ও দুর্বলতা দেখা যায়।
- শরীরের রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।
- শরীরের মধ্যে জ্বালা ও চুলকানি হয়।
- অস্বাভাবিক মল তৈরি হয়।
- শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বাঁধা হয়।
আশা করি বুঝতে পারছেন বড়দের কৃমি হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে। কৃমি হলে অবশ্যই
স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে ও বড়দের কৃমি রোধের উপায় গুলো মেনে চলতে হবে।
বড়দের কৃমি দূর করার উপায়
আমরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছি বড়দের কৃমি হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে তবে আপনারা কি
জানেন বড়দের কৃমি দূর করার উপায় গুলো সম্পর্কে চলুন আজকে আপনাদেরকে জানাবো।
কিভাবে আপনারা বড়দের কৃমি দূর করবেন কারণ অনেক সময় ছোটদের কৃমি দূর করার জন্য
ওষুধ খাওয়ানো হয়। তবে বড়দের কৃমি দূর করার জন্য যে উপায় গুলো মানতে হবে তার
নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
পরিষ্কার কাপড় পরিধান: কাপড় পরিধান করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার
পরিধান করা কাপড়টি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কিনা কারণ কৃমি সাধারণত ময়লা আবর্জনা
থেকে হয়ে থাকে। তাই কৃমি থেকে বাঁচতে হলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
পরিষ্কার টয়লেট: কৃমি মূলত টয়লেট থেকে আসে যার কারণে আপনার বাসার টয়লেট
সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। অপরিষ্কার টয়লেট থাকলে কিন্তু কৃমি হওয়ার সম্ভাবনা
আরো বেশি বেড়ে যায় তাই আপনি সবসময় টয়লেট পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবেন।
নখ ছোট করা: আপনার হাতের নখ যদি বড় বড় থাকে তাহলে সেই নখে আপনাকে ছোট
করতে হবে। না হলে সেই নখ থেকে আপনার কিন্তু কৃমি হতে পারে। হাতের নখ ছোট রাখুন।
হাতের নখ থেকে অনেক পেটে যেয়ে স্বাস্থ্যের সমস্যা হয়।
হাইজেনিক অনুশীলন: আপনি যদি নিজের হাইজিন মেনটেন করে চলেন তাহলে কিন্তু
আপনার হওয়ার লক্ষণ অনেকটাই কমে যাবে। তাই নিয়মিত হাত ধুতে হবে এবং হাত ধোয়ার
অভ্যাস ব্যক্তিগতভাবে করে তুলতে হবে। খাবার আগেও এবং টয়লেট থেকে ফেরার পরে
ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে।
ডাক্তারের পরামর্শ: আপনার যদি উপরের সবগুলো নিয়ম মেনে চলার পর কৃমি না
কমে। তাহলে আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে নিজের কোন কিছু অবহেলা না করে
অবশ্যই ডাক্তারের কাছে রোগের চিকিৎসা করাতে হবে।
আশা করি আপনারা বড়দের কৃমির দূর করার উপায় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন আজকের পোস্ট
থেকে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন কৃমি সম্পর্কে সকল তথ্য।
কলা খেলে কি কৃমি হয়
আপনারা কি জানেন কলা খেলে কি কৃমি হয় সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছে। কৃমি
হয় কোন খাবার খেলে অথবা কলা খাওয়ার ফলে কৃমি হয়ে থাকে কিনা। আসলে কৃমির হয়
মূলত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং অপরিষ্কার থাকার কারণে হাইজেন মেন্টেন করে না চললে
আপনার কিন্তু কৃমি হতে থাকবে। ফিল্মি হওয়ার জন্য কিন্তু মূলত অস্বাস্থ্যকর
পরিবেশ এবং অপরিষ্কার খাদ্য অভ্যাসের কারণে কৃমি হয়।
তেতো খাবার ছাড়া আমাদের অন্যান্য পরিচিত কিছু ফল এবং সবজি যেমন গাজর, বিট, কলা,
পেঁপে নিয়মিত খেলেও কিন্তু কৃমির জ্বালা যন্ত্রণা কমতে পারে। তবে এই সকল খাবার
খাওয়ার ফলে কিন্তু কৃমি হবে না। আপনারা যদি কিডনি দূর করতে চান তাহলে কিন্তু কলা
খেতে পারেন তবে রাতের বেলাতে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এতে
করে কৃমির সংক্রমণ আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় পেট চুলকায় কেন জানুন
কলা খাওয়ার ফলে কৃমি বাড়বেও না বরং কমবে। অনেকে মনে করে যে কলা যেও তুমি মিষ্টি
তাই কলা খাওয়ার ফলেও যদি কৃমি সংক্রমণ বৃদ্ধি পায় আসলে এটি ভুল ধারণা।কৃমি সাথে
সম্পর্ক রয়েছে যেকোন দূষিত খাবারের। গরমে যে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। এটাও
কিন্তু ঠিক নয় তবে সঠিক নিয়ম মেনে কৃমি ওষুধ খাওয়াতে হবে।
মুক্ত রাখতে হলে মা-বাবা সব সময় সচেতন থাকা উচিত খাবার তৈরি ও পরিবেশনের আগে
খাবার আগে ও মলমূত্রত্য ত্যাগের পর সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। খুব ছোটবেলা থেকে
শিশুদের মধ্যে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি খাবার খাওয়ার আগে হাত ধুতে হবে
এটাও শেখাতে হবে।
শেষ কথাঃবড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ।গুড়া কৃমি হওয়ার লক্ষণ
সম্মানিত পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে বড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ এবং গুড়া
কৃমি হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে আজকে আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে জানতেও বুঝতে
পেরেছেন।এছাড়াও আপনি কৃমি সম্পর্কিত আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে আজকে
আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে থাকলে তা জানতে পেরেছেন।আমাদের পোস্টটি আপনার কাছে কেমন
লেগেছে তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দেবেন।
আরো পড়ুনঃ কোন কোন সবজি খেলে ওজন বাড়ে কোন কোন সবজি খেলে ওজন বাড়ে
স্বাস্থ্য ও রোগের চিকিৎসা সম্পর্কিত আরো আপডেট তথ্য পেতে চান তবে আমাদের ওয়েব
সাইটে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন।আজকের পর্ব এ পর্যন্তই সকলে
ভালো থাকবে সুস্থ থাকবেন।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url