গর্ভাবস্থায় পেট চুলকায় কেন - তলপেটে ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ
প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই গর্ভাবস্থায় পেট চুলকায় কেন এবং তলপেটে ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ এ বিষয় সম্পর্কে জানতে অনলাইনে সার্চ করেছেন।তাহলে আপনি ঠিক জায়গায় ক্লিক করেছেন আজকের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন গর্ভাবস্থায় পেট চুলকায় কেন এবং তলপেটে ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য।
সেই সাথে আজকের আর্টিকেলে গর্ভবতী নারীদের জন্য রয়েছে গর্ভবতী মহিলাদের কোমর ব্যাথার কারণ, গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হয় কেন, গর্ভাবস্থায় পেট জ্বালাপোড়া এবং গর্ভাবস্থায় পেট বড় হয় কখন।আপনি যদি এ সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তবে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন গর্ভাবস্থায় পেট চুলকায় কেন ও তলপেটে ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ এ সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় পেট চুলকায় কেন।তলপেটে ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ।
ভূমিকা।গর্ভাবস্থায় পেট চুলকায় কেন।তলপেটে ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ
প্রথমবার একজন গর্ভবতী নারীর জন্য সম্মুখীন হতে হয় গর্ভবতী হওয়ার বিভিন্ন টুকিটাকি সমস্যার সম্মুখীন।কমবেশি প্রতিটি গর্ভবতী নারীর এমন সমস্যাগুলো হয়ে থাকে।আজকে আর্টিকেল থেকে আমরা জানতে চলেছি সে সকল বিষয়গুলো যেগুলো গর্ভবতী হওয়ার শুরু থেকে আস্তে আস্তে সে সকল বিষয়গুলো সম্মুখীন হতে হয়।
তাই আজকে আর্টিকেলে আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় পেট চুলকায় কেন ও তলপেটে ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ সম্পর্কে।এছাড়াও রয়েছে গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকলে কি হয়, গর্ভাবস্থায় পেটে চাপ লাগলে কি হয়, গর্ভাবস্থায় পেটে লম্বা দাগ, গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হয় কেন, গর্ভবতী মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ সহ গর্ভাবস্থায় পেট জ্বালাপোড়া।তাই এমন গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল না পড়ে মিস করতে চাইলে দ্রুত মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ে জেনে নিন গর্ভাবস্থায় পেট চুলকায় কেন।
গর্ভবতী মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ
যখন একজন নারী গর্ভবতী হয় তখন কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই শোনা যায় যে গর্ভবতী মহিলাদের কোমরে ব্যথা হচ্ছে। আসলে কোমরে ব্যথার কারণে কিন্তু শেষের দিকে গর্ভবতী মেয়েদের একটি বেশি কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কোমর ব্যথার কারণে হাঁটা চলাচল করতে কষ্ট রাতে ঘুম আসে না অনেকে সারা রাত পিঠে বালিশ দিয়ে বসে থাকে।
গর্ভাবস্থায় শরীরের ওজন বারে ভারী হয় তাই পেশি ও শান্তির ওপর চাপ বাড়ে। প্রসবের কিছুদিন আগে থেকে স্বাভাবিক প্রসাবের প্রস্তুতি স্বরূপ রিলাক্সিন হরমোনের প্রভাবে কোমরের স্যাক্রোআইলিয়াক জয়েন্টর লিগামেন্ট গুলো শিথিল হয় ফলে ভার বহন ক্ষমতা কমে যায় ব্যথা বাড়ে।জরায়ু বড় হওয়ার কারণে মায়ের শরীরের ভরকেন্দ্র পরিবর্তিত হয়।
পিঠের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে কোমরের ব্যথার এটিও একটি কারণ মাতৃকালীন স্ট্রেস ও কোমরের ব্যথার কারণ হিসেবে কাজ করে।যখন সবচেয়ে বেশি কোমরে ব্যথা হবে তার জন্য আপনাদের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হল নিয়মিত ব্যায়াম কোমরের পেশী ও সন্ধির কার্যক্ষমতা বাড়াবে ব্যথা কমাবে গর্ভাবস্থায় হাঁটাহাঁটি ও সাঁতার হলো সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম।
হাই হিল ও একেবারে ফ্ল্যাট জুতো দুটো শরীরের ওজনের ভারসাম্য নষ্ট করে হালকা উঁচু নরম ছোলের জুতা ব্যবহার করতে হবে। চিট হয়ে না শুয়ে বা কাট হয়ে শুতে চেষ্টা করুন দুই পায়ের মাঝখানে এবং পিঠের নিচে বালিশ দিয়ে ঘুমালে মেরুদন্ডের চাপ কমবে।
গরম ও ঠান্ডা পানি শেখ নিতে পারেন তবে পানির তাপমাত্রা যেন সহনীয় থাকে। নিচু হয়ে ঝুকে কোন কাজ করা যাবে না সোজা দাঁড়িয়ে বা বসে কাজ করুন ভারী কিছু উঠানোর চেষ্টা করবেন না। যোগ ব্যায়াম, মেডিটেশন ব্যথা কমাতে সাহায্য করে পিঠে ও কোমরে হালকা ম্যাসাজ করা যেতে পারে ।
তলপেটে ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ
আপনাদের মনে অনেক সময় প্রশ্ন জাগে যে তলপেটে ব্যথা কি প্রেগনেন্সির লক্ষণ আসলে অনেকেই জানতে চাই যে তলপেটে ব্যথা হলে হয়তো প্রেগনেন্সি হয়েছে কিনা। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরে অনেক পরিবর্তন হয় কিছু পরিবর্তন খুব কষ্টদায়ক এই পরিবর্তন চলাকালীন ১৮ থেকে ২৪ সপ্তাহে মাথায় ইউেরাসের হারের প্রসারণ এর ফলে তলপেটে খুব যন্ত্রণা হয়।
এই হারগুলো মূলত দুইটি আস্তরণ থাকে যা ইউটেরাসটিকে স্থিত থাকতে সাহায্য করে। এটি ইউটেরাস ও ভ্রুনের বৃদ্ধি পেটে সাহায্য করে এক্ষেত্রে সাধারণত পেটের একদিকে ব্যথা করে আবার অনেক সময় দুই দিকে ব্যথা করে এরকম গতিবিধির কারণে অনেক কিছুই হতে পারে যেমন হঠাৎ করে কাশি পাওয়া, হাঁচি পাওয়া, হাসতে ইচ্ছে করা বা হঠাৎ দাঁড়াতে ইচ্ছে করা।
প্রথমবার যখন ব্যথা শুরু হয় তখন একটু অসুবিধা হয় কিন্তু এটা খুব সাধারণ একটি ব্যাপার এই বিষয় তিনটার কোন কারণ নেই যদি ব্যথাটা কয়েক সেকেন্ডের বেশি থাকে তাহলে ডাক্তার দেখাতে পারেন।
বাঁদিকে তলপেট ব্যথা: গর্ব অবস্থায় ইউটেরাসের হাড় গুলো প্রসারণ এর ফলে মূলত পেটে ব্যথা হয়ে থাকে। ভ্রুণ যত বৃদ্ধি হতে থাকে তত ইউটেরাস এর অভ্যন্তরীণ পর্দায় চাপ সৃষ্টি হয়। দ্বিতীয় মাসিক সময় থেকে পেটের দুই পাশে ব্যথা হয় যদি আপনার বামদিকে কিছুটা ব্যথা হয়।
তাহলে বুঝতে পারবেন যে ইউটেরাস এর ডান দিকে কোন পরিবর্তন ঘটেছে কখনো কখনো ডান দিকের হাড় শিথিল করার জন্য বাঁদিকের হাড় গুলির মধ্যে একটি টান অনুভূত হয়। এই ব্যথা কমানোর জন্য ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন এটা থেকে মুক্তি পেতে হলে কিছু ব্যায়াম করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হয় কেন
গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হওয়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এটি সকলেরই হয়ে থাকে গর্ভাবস্থায় অগ্রগতির সাথে সাথে পেটটিকে শক্ত এবং টান টান অনুভূত হয়। দিন কাটে যাওয়ার সাথে সাথে পেট পাথরের মত শক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে অসস্তি আরো বেশি বাড়তে থাকে।
দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে শক্ত পেট সহ আপনার পেটে বৃত্তাকার লিভমেন্টের ব্যথা বা তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে পারে তৃতীয় ত্রৈমাসিকে পেট শক্ত হওয়া প্রসাব শ্রমের লক্ষণ হতে পারে।প্রথমদিকে গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হয় প্রথম তিন মাসে যখন পেট শক্ত হয় কি কারনে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
জরায়ুর প্রসারণ: গর্ভাবস্থায় প্রথম তুই মারসি কে কোন মহিলা জরায়ু ক্রমবর্ধমান হয় বা ভ্রমের জন্য জায়গা তৈরি করতে দ্রুত প্রসারিত করে। এর ফলে পেটে তীক্ষ্ণ ব্যথা বা ক্রাম্প হতে পারে আপনার গর্ব অবস্থায় প্রথম তুই মার্ষিক এর মধ্যে আপনি পেশিগুলোর প্রসারন এবং দৈর্ঘ্যের কারণে তার পেটের চারপাশে তীব্র ও তীক্ষ্ণ ব্যথা অনুভব করতে পারেন। যাকে বৃত্তাকার লিকগনেন্ট ব্যথা বলা হয়।
গর্ভপাত: গর্ভাবস্থায় প্রথম তুই মাসিকে যদি আপনি নিজের পেটে এবং ব্যথার জায়গায় দৃঢ় সংবেদন অনুভব করেন। তবে এটি গর্ভপাতের লক্ষণ হতে পারে যদি পেটে শক্ত সংবেদন হয় তবে প্রকৃতপক্ষে এটি গর্ভপাতের লক্ষণ।
এটি অন্য উপসর্গগুলি হল পিঠের তলদেশে ব্যথা এবং ক্রাম্পিং, স্পোর্টিং বা রক্তপাত এবং যোনি থেকে টিস্যু বা তরল প্রবাহ। আপনি যদি বিশ সপ্তাহে এরকম সময় গর্ভবতী হন তবে এই লক্ষণগুলো দিকে লক্ষ্য রাখুন তবে এটি ১২ তম সপ্তাহের আগে সবচেয়ে বেশি সাধারণ।
কোষ্ঠকাঠিন্য /গ্যাস: কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস গর্ভাবস্থার একটি সাধারণ সমস্যা এবং বেশিরভাগ মহিলা এটি অনুভব করে। গর্ভাবস্থায় যদি আপনার পেটে শক্ত সংবেদন হয় তবে এটি গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্যর কারণে হতে পারে আপনার পেটে ব্যথা হতে পারে যা খুব বিরক্তিকর হবে।
গর্ভাবস্থায় পেট চুলকায় কেন
গর্ভাবস্থার অগ্রগতির সাথে এটি মহিলাদের দেহে নানা রকমের পরিবর্তন নিয়ে আসে বিভিন্ন পরিবর্তন গুলোর মধ্যে সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ ময় পরিবর্তন হলো তার পেটে চুলকানি। পেটের মধ্যে শিশুর বাম্পি জোরালোভাবে প্রদর্শিত হওয়ার পর মহিলাদের মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য উল্লাসজনক অনুভূতি হয়ে ওঠে তবে এর পাশাপাশি আপনি আবার আরেকটি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন সেটা হলো আপনার পেটের ওপর চুলকানি।
গর্ভাবস্থায় পেটের উপর চুলকানি হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয় গর্ব অবস্থায় পেটের উপর যখন চুলকানি হয় তার মানে আপনি অগ্রসর হওয়ার কারণে আপনার পেটে চামড়া ও প্রসারিত হতে থাকে আর সেই কারণে এটি হয়ে থাকে এই প্রসারনের কারণে আপনার ত্বকের পৃষ্টতল দিয়ে শুষ্ক হয়ে ওঠে এবং সেই আদ্রতা বিহীন ত্বকে চুলকানি দেখা দেয় আপনার দেহের মধ্যে হরমোনের পরিবর্তনগুলি কারণে এটি হয়ে থাকে।
এছাড়াও আবার আপনি হাতে তালু পায়ের তলায় এমন কি আপনার স্তনের মধ্যেও দেহের অন্যান্য অংশে চুলকানি অনুভব করতে পারেন। চুলকানিটা সাধারণত গরম অবস্থায় দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের শেষের দিকে শুরু করে হয়ে থাকে। তবে এর পাশাপাশি আবার আপনি সেটি প্রথম মাসে কেউ অনুভব করতে পারেন। চুলকানিটা প্রচন্ড অস্বস্তিকর হতে পারে এবং আপনি সেটা ক্রমশ বেড়ে যাওয়া অনুভব করবেন সে ক্ষেত্রে আপনার তাৎক্ষণিক ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
গর্ভাবস্থায় পেটে চুলকানির কারণ গুলো হলো :
হরমনের পরিবর্তন: গর্ভাবস্থায় সাধারণত স্ত্রীর হরমোন এর মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে পেটের উপর চুলকানি হয়।
ওজন লাভ: বর্ধিত জরায়ু পেটের ত্বককে বিস্তৃত করে আর এই প্রচলিত ত্বক শুষ্ক হয়ে গিয়ে চুলকাতে থাকে।
গর্ভাবস্থায় পেটে লম্বা দাগ
গর্ভাবস্থার সময় হুট করে ওজন অনেক বেড়ে যায় তাই চামড়ায় টান পড়ে দাগ হয়ে যায় ডাক্তারের ভাষায় বলা হয় striae gravidarum। চাইলে চলে যায় আবার অনেক সময় শিশু জন্মের পরও দাগ থেকে যায় মা এটা চিন্তায় পড়ে যাই একটু অসুস্থ সচেতন হলে দাগ পড়া ভাবটা কিছুটা হলেও কমিয়ে আনা যায়।
শুধু পেট নয় স্তন বা উরুতেও দাগ পড়তে দেখা যায় ৭০ থেকে ৯০% মেয়েদের পেটে দাগ পরে। আর ৯০% এর শরীরে কোনো না কোনো কোনো অংশে দাগ পড়ে থাকে। ত্বকের ডারমিসে ছিড়ে গিয়ে এই দাগ পরে গর্ভবস্থায় এটি একটি লক্ষণ।পেটে মাতৃকালীন দাগ করার কারণ খুব একটা জটিল নয়। পেটে চামড়ার চাপের কারণে ফেটে যায় রিলাক্সিং, ইস্ট্রজেন ও করটিসল হরমোন বেড়ে গিয়ে মিউকোপলিসেকারাইড জমা করে।
যা যোগাযোগ কলা থেকে পানি শোষণ করে ফলে যখন টান পড়ে। তখন সহজে ওই স্থানে দাগের সৃষ্টি হয়ে যায়। যাদের বডি মাছ ইনডেক্স বেশি বা যাদের বাচ্চা বড় তাদের দাগ হবার প্রবণতা বেশি থাকে। কম বয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে মাতৃকালীন দাগ খুব সহজে পড়ে যায়।
গর্ভাবস্থায় পেট জ্বালাপোড়া
আপনারা কি জানেন একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে গর্ভবতী মহিলাদের ইনফ্লামেটরি বাওয়েল ডিজিজ নেই তারা এই সময় মা ও সন্তান দুই জন অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকে এই রোগটি আছে তাদের থেকে। কিন্তু গর্ভবতী অবস্থায় কিন্তু অনেকেরই দেখা যায় বুক পেট জলাফেরা করছে আসলে এই জ্বালাপোড়াটা কেন করে। আপনারা কি জানেন গর্ভবস্থায় শরীরের বিশেষ কিছু হরমোন যেমন প্রোজেস্টেরন তুলনামূলক বেশি পরিমাণে তৈরি হয়।
এই হরমোন গুলোর প্রভাবে পাকস্থলী থেকে এসিড বলায় উঠে আসতে পারে। এমন হলে বুক জ্বালাপোড়া অনুভব হয় হরমোন গুলোর প্রভাবে খাবার হজম হতেও বেশি সময় লাগে এই কারণে সমস্যা দেখা দেয়। শুনতে অদ্ভুত লাগলাম একটি গবেষণা করে দেখা গিয়েছে যে গর্ব অবস্থায় এই যে সব নারীরা বেশি বুক জল পড়ে অনুভব করেছে।
তাদের গর্বের শিশুর তুলনামূলকভাবে বেশি চুল নিয়ে জন্মেছে এখন এর থেকে ধারণা করা হয় গর্ভাবস্থায় দৃশ্য হরমোনের জন্য বুক জ্বলা পড়া বেড়ে যায় সেইসব হরমোন গর্ভের শিশুর চুল বড় হওয়ার পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে তবে এই বিষয়ে।এছাড়াও গর্ভাবস্থায় বুক এবং পেটের বিভিন্ন কারণে জ্বালপুরা করতে পারে। যেসব কারণের জন্য গর্ভবতী নারীদের বুকের জ্বালাপোড়া করে চলুন জেনে নেওয়া যাক :
- প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খাবার খেলে।
- ঝাল অথবা তৈলক্ত খাবার খেলে টক জাতীয় খাবার খেলে যেমন: টমেটো ।
- চকলেট খেলে এবং কফি পান করলে।
- অতিরিক্ত ওজন হলে।
- মানসিক চাপ বা স্ট্রেসে থাকলে।
- গর্ভাবস্থায় আগে থেকে বদহজমের সমস্যা থাকলে
- কোন ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে
- পূর্বের কোন গর্ভকালীন সময়ে বুক জ্বলা পড়া সমস্যা থাকলে।
গর্ভাবস্থায় পেট বড় হয় কখন
একজন গর্ভবতী নারীর কিন্তু পেটের আকার বাড়তে থাকে আস্তে আস্তে সময়ের সাথে যখন গর্ভের সন্তান বড় হতে থাকে তখন কিন্তু গর্ভাবস্থায় পেট বড় হয়। গর্ভের ভেতরে আপনার শিশু বেশ দ্রুত গতিতে বড় হচ্ছে এরই মধ্যে আপনার পেটে রাখার অনেকটা বড় হয়ে গেছে বাড়ন্ত জরায়ুর বড় হয়ে তলপেটের ওপর উঠে আসা শুরু করেছে ফলে আপনার গর্ভধারণের ব্যাপারটা আরো অনেক স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
এই সপ্তাহে আপনার বাড়ন্ত পেটের যত্ন নেওয়া বাড়িয়ে দিন পেটে ময়েশ্চারাইজার লাগানো শুরু করেন এবং পেটে আলতো করে হাত বুলাতে পারেন। গর্ভাবস্থায় পেট বড় হয় ৩৬ সপ্তাহের পর থেকে পেট বড় হতে থাকে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনার গর্ব অবস্থায় ২৮ সপ্তাহ আর মধ্যে আপনি পেট বড় হতে দেখতে থাকবেন। চতুর্থ অগ্নিমা থেকে শুরু হয়ে যায় গর্ভকালীন সময়ের পেট বড় হওয়ার নিয়মিত চেকআপ আপনার গর্ভে শিশু সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার গর্ভ অবস্থায় সম্পূর্ণ সময় কাল নিজেকে শক্তভাবে ও আনন্দে রাখতে আপনাকে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে হবে। কারণ আপনার স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন আপনার সাথে আপনার সন্তানেরা উপকার করবে। এছাড়া গর্ভপাত বা গর্ভাবস্থায় অন্যান্য জটিলতা ঝুঁকিও কম থাকবে। যদি গর্ব অবস্থায় সক্রিয় বা সুস্থ থাকতে আপনার সমস্যা হয় তাহলে প্রেগনেন্সি ক্লাসে ভর্তি হতে পারেন এই ক্লাসগুলো আপনি কিছু হালকা শরীর চর্চা শিখতে পারবেন যেগুলো এই সময় বেশ উপকার করতে পারে আপনার।
গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকা নিয়ে আপনার মনে নানা রকমের প্রশ্ন জাগতে পারে আসলে গর্ব অবস্থায় কিন্তু মর্নিং সিকনেস এর কারণে খেতে ইচ্ছা করে না তবে আপনি যখন মা হতে চলছেন তখন কিন্তু আপনার এইসব করলে চলবে না গর্ব অবস্থায় অবশ্যই আপনাকে দুইজনের খাবার নাই একজনের খাবারই পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে।
নিজের শরীর সুস্থ রাখতে এবং পেটের ভিতর সু ছোট্ট সোনামণিকে বড় করার জন্য অবশ্যই আপনাকে পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য খেতে হবে। আপনি যদি খালি পেটে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার শিশুরাও খালি পেটে থাকবে এবং তার শরীর বৃদ্ধি পাবে না এই কারণে অবশ্যই আপনাকে খালি পেটে থাকা যাবে না। খালি পেটে থাকার কারণে ছোট্ট সোনা মনিটার বৃদ্ধি পেতে বাধাপ্রাপ্ত হবে এবং নানা রকমের সমস্যা হতে পারে।
এই জন্য গর্ব অবস্থায় পুষ্টিকর খাবার একটি চার তৈরি করে খাওয়া শুরু করতে হবে। আপনি গর্ভাবস্থায় প্রতি সপ্তাহের বিভিন্ন রকম শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন যারা প্রথমবার মা হতেন তাদের জন্য এটি বেশ আনন্দময় এবং তারা এই অবস্থা উপভোগ করার জন্য সবসময় তৈরি থাকেন গর্ব অবস্থায় ১৭ সপ্তাহের মধ্যে নানা রকমের লক্ষণ আপনি দেখতে পাবেন।
স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন শুরু করার সময় যেগুলো করতে হবে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আপনার সঠিক ডায়েট প্ল্যান বিশ্লেষণ করা। কারণ আপনি যেগুলো খাবেন সেগুলো আপনার শরীর গ্রহণ করবে এবং আপনি যা খাচ্ছেন সেগুলো কিন্তু আপনার শিশু শরীরেও যাবে। এছাড়া আপনাকে মনে রাখতে হবে যে গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকা।
যেমন ক্ষতিকর তেমনি দুইজনের খাবার একসঙ্গে খেয়ে নেওয়া ক্ষতিকর। আপনি যদি আপনার ডায়েট ও শরীরচর্চার মধ্যে যথাযথ বজায় রাখতে পারেন। তাহলে সেটি সবচেয়ে ভালো গর্ভাবস্থায় শুরুর দিকে স্বাস্থ্যকর শারীরিক পরিবর্তনের জন্য অবশ্যই একজন সার্টিফিকেট নিউট্রিশিয়ানের পরামর্শ নিতে হবে।
গর্ভাবস্থায় পেটে চাপ লাগলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে অনেক গর্ভবতী নারীরা কিন্তু অসচেতনায় এবং না বোঝার কারণে বিভিন্ন রকমের ক্ষতি করে এই জন্য গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত সচেতন থাকতে হবে। অনেকে অসচেতনতার কারণে গর্ভ অবস্থায় পেটে চাপ লাগলে কি হয় সে সম্পর্কে জানতে চাই।
কারণ তারা পেটে চাপ লাগিয়ে ফেলে এবং জানতে চাই যে পেটে চাপ লাগার কারণে বাচ্চার কোন ক্ষতি হবে কিনা। আপনার অসচেতনতার জন্য যদি গর্ভাবস্থায় পেটে কোন চাপ লেগে যায় তাহলে কিন্তু আপনার শিশুর বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যাও হতে পারে। গর্ভাবস্থায় পেটে আঘাত পেলে অত্যধিক পরিশ্রম করলে বিভিন্ন যানবাহনের অনেক দূরে যাতায়াত করলে গর্ভকালীন ঝুঁকি বাড়তে পারে এবং গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সময় নিজের যত্ন বেশি নিতে হবে সাথে বাচ্চার যেন ক্ষতি না হয়। এই জন্য খেয়াল রাখতে হবে গর্ভ অবস্থায় পেটে আঘাত লাগা অত্যন্ত ক্ষতি করার হলে গর্ভপাতের আশঙ্কা আরো বেশি বেড়ে যায়। আর অ্যাডভান্স স্টেজে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে এবং কারো যদি এরকম সমস্যা হয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখকের মন্তব্য।গর্ভাবস্থায় পেট চুলকায় কেন।তলপেটে ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ
প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ এবং আমার সকল গর্ভবতী নারীদের প্রতি জানাতে চাই আপনি যখন গর্ভবতী হবেন এক্ষেত্রে এ সমস্যাগুলো কমবেশি সকল নারীর মধ্যেই লক্ষ্য করা যায়।তাই আপনি যদি এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন তবে অযথা টেনশন না পেয়ে সমস্যার সমাধানের জন্য ও দুশ্চিন্তা দূর করতে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।
নিজে কোন কিছু না জেনে ব্যক্তিগতভাবে কোন ধরনের ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকবেন।যথাযথভাবে নিজের প্রতি খেয়াল ও যত্ন রাখতে হবে।এবং যেকোনো সমস্যার জন্য আপনার পরিবার ও চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।আমাদের আজকের আর্টিকেল এর মূল আলোচনার বিষয় গর্ভাবস্থায় পেট চুলকায় কেন ও তলপেটে ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ এ বিষয় সম্পর্কিত সকল তথ্য করে আশা করছি আপনি অনেক ভালো লেগেছে।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url