ডিভোর্সের কতদিন পর মেয়েরা বিয়ে করতে পারে[বিস্তারিত জানুন]

ডিভোর্সের কতদিন পর মেয়েরা বিয়ে করতে পারে এ বিষয় সম্পর্কে আপনারা নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন?তাহলে সঠিক জায়গায় ক্লিক করেছেন।আজকের আর্টিকেল থেকে জানবো ডিভোর্সের কতদিন পর মেয়েরা বিয়ে করতে পারে ও তালাক দেওয়ার ইসলামী নিয়ম সম্পর্কে।বর্তমানে বাংলাদেশের ডিভোর্সের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে।
ডিভোর্সের-কতদিন-পর-মেয়েরা-বিয়ে-করতে-পারে
তাই আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা জানতে চলেছি ডিভোর্সের কতদিন পর মেয়েরা বিয়ে করতে পারে ও তালাক দেওয়ার ইসলামী নিয়ম সম্পর্কে।তাই আপনারা যদি ডিভোর্সের কতদিন পর মেয়েরা বিয়ে করতে পারে এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তবে আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃডিভোর্সের কতদিন পর মেয়েরা বিয়ে করতে পারে।তালাক দেওয়ার ইসলামে নিয়োগ 

তালাক দেওয়ার ইসলামী নিয়ম

স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যদি বনিবানা না হয় এবং স্বামীর দায়িত্ব হল তাকে সংশোধন করার চেষ্টা করা তালাক দেওয়ার আগে ইসলামে কয়েকটি পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে যদি সেই পদক্ষেপ মানার পরও দুজনের মধ্যে বনি বানা না হয় তাহলে কিন্তু তালাক দেওয়ার ইসলামী নিয়ম সম্পর্কে বলা হয়েছে।

প্রথম পদক্ষেপ: স্ত্রীর অবাধ্যতা দেখে উত্তর দিতে হবে না বরং নিজেকে সংযত রাখতে হবে তাকে মিষ্টি ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে তার মন গলানোর চেষ্টা করবে স্ত্রী কোন ভুল করে থাকলে যথা সম্ভব তা দূর করার চেষ্টা করবে স্বামী নিজেকে সংযুক্ত রেখে সবকিছু ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবে। ছাড় দেওয়া ও মায়া মায়া মমতার মাধ্যমে যতদূর সম্ভব দাম্পত্য জীবন স্থায়ী করার আপ্রাণ চেষ্টা করবে।
দ্বিতীয় পদক্ষেপ: এই পদক্ষেপ এর মাধ্যমে কাজ না হলে স্ত্রীর ব্যবহারের রাগ অনুরাগ অভিমান প্রকাশ করার জন্য স্বামী স্ত্রী একত্রে রাত্রি যাপন থেকে বিরত থাকবে স্ত্রী ঘুমানোর জায়গা পৃথক করে দিবে স্ত্রী যদি এতে সতর্ক হয়ে যায় এবং নিজেকে সংশোধন করেলে তাহলে দাম্পত্য জীবন সুখের হবে।

আল্লাহ তাআলা বলেন, স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা করে তাদের সদুপদেশ দাও।তারপর তাদের শয্য বর্জন করো। তারপর তাদের সামান্য প্রহার কর যদি তারা তোমার অনুগত হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ অন্বেষণ করো না। (মুজামে তাবরানি:২১৩০)

তৃতীয় পদক্ষেপ: উল্লেখিত দুটি পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরও কোন কাজ না হলে দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসেবে ইসলামে নির্দেশ হলো উভয় পক্ষ থেকে এক বা একাধিক সালিশের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করবে।

কোরআন কারীমে ইরশাদ করেন, তোমার যদি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ সৃষ্টির আশঙ্কা করো। তবে মীমাংসার জন্য পুরুষের পরিবার থেকে একজন সালিশ ও নারী পরিবার থেকে একজন সালিশ পাঠিয়ে দিবে। তারা দুজন যদি মীমাংসা করতে চায় তবে আল্লাহ উভয়ের মধ্যেও ঐক্য সৃষ্টি করে দিবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্ব বিষয়ে জ্ঞ্যত ও সর্ব বিষয়ে অবহিত।(সুরা নিসা,আয়াত:৩৫)

তালাক হলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত : যদি পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছে যায় যে মীমাংসা সব চেষ্টা ব্যর্থ তখন ইসলামী শরীয়তে স্বামীকে তালাক দেওয়ার এখতিয়ার দিয়েছে তবে ইসলামের দৃষ্টিতে তালাক দেওয়া অত্যন্ত অপছন্দনীয় ও ঘৃণিত কাজ হাদীস শরীফে রয়েছে আল্লাহর কাছে বৈধ কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঘৃণিত কাজ হলো তালাক। (আবু দাউদ, হাদিস:২১৭৮)

এরপরও তালাক দেওয়া ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা না থাকলে ইসলামী শরীয়ত সম্মিলিত পদ্ধতি অনুসরণ করে তালাক দিবে এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে অনেক সুফল রয়েছে।কোরআন হাদিসের স্ত্রী এবং সাহাবা-তাবেঈনের কর্মকর্তা থেকে প্রমাণিত যে তালাক দেওয়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো স্ত্রী যখন হায়েস্ট থেকে পবিত্র হবে।

তখন স্বামী তার সঙ্গে সহবাস না করে সুস্পষ্ট শব্দে তালাক দেবে। হায়েজ অবস্থায় তালাক দেওয়া এই জন্যই নিষিদ্ধ যাতে তার উক্ত দুঃসময়ের কারণে তালাক সংঘাজিত না হয় বরং ভালো সময় বুঝে শুনে তালাক সংঘটিত হয়।স্বামী সুইস পর্তু শব্দে ১ তালাক দেবে এরপর স্বামী যদি স্ত্রীকে ইদ্দত চলা অবস্থায় ফিরিয়ে নেয় তাহলে ভালো পুনরায় স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক কায়েম হয়ে যাবে নতুন করে বিবাহের প্রয়োজন হবে না।

আর যদি ইদ্দত চলাকালীন সময়ে স্বামী-স্ত্রী ফিরিয়ে না নেয়, তাহলে শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে স্বামী-স্ত্রী থেকে সম্পূর্ণ পৃথক হয়ে যাবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় তালাকের পর উভয়ে অনুতপ্ত হয় এবং বৈবাহিক সম্পর্ক পুনর্বহল করার আপ্রাণ চেষ্টা করে।

যদি ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী এক তালাক দেওয়া হয় তাহলে এই আশা পূরণের সুযোগ থাকে এবং পুনরায় তারা বৈবাহিক জীবন শুরু করতে পারে। কিন্তু স্বামী একসঙ্গে তিন তালাক দিলে ইদ্দত চলাকালেও স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার কোন সুযোগ থাকে না।

যদি তারা চাই যে আর কোনদিন তারা একে অন্যের সাথে সংসারে ফিরে আসবে না সে ক্ষেত্রে ইসলাম একসঙ্গে তিন তালাক দিতে নিষেধ করেছেন তাই হাইয়েস্টের পর প্রত্যেক পবিত্রতার সময় একতালা করে তিন তালাক দেবে এভাবে তিন তালাকের মাধ্যমে তারা সম্পন্ন পৃথক হয়ে যাবে। এ পদ্ধতিতে তালাক দিলে তালাক পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে স্বাভাবিকভাবে চিন্তাভাবনা করার সুযোগ পাওয়া যায় ধীর স্থির ভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।

তাড়াহুড়া করে অনাকাঙ্ক্ষিত কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। পক্ষান্তরে একসঙ্গে তিন তালাক দিলে এই অবস্থা গুলো থাকে না এবং তা কোন সুফল বয়ে আনে না বরং স্বামী স্ত্রী উভয়ের যন্ত্রণায় ছটফট করে কিন্তু তাদের জীবন দুর্বিষ্ট হয়ে পড়ে।

ডিভোর্সের কতদিন পর মেয়েরা বিয়ে করতে পারে

মুসলিম পারিবারিক আইনে বলা হয়েছে কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে তালাক দিতে চাইলে তাকে মুসলিম আইনের অনুমোদিত যে কোন পদ্ধতি ঘোষণার পরে তিনি তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন এই নর্মে তাকে কিন্তু উকিলের মাধ্যমে তালাকনামা পাঠাতে হবে এবং তালাক দিতে হবে।

আপনারা কি জানেন ডিভোর্সের কতদিন পর মেয়েরা বিয়ে করতে পারে মেয়েদের কিন্তু ডিভোর্সের পর পর বিয়ে করা জায়েজ নয় মেয়েদের তিনটি ঋতুস্রাব ভালো হওয়ার পরে কিন্তু তাদের ইদ্দত পালন করতে হবে এবং এরপরে মেয়েরা অন্য জায়গায় বিয়ে করতে পারবে। ডিভোর্সের তিন মাস পরে যখন তার ইদ্দত পালন হয়ে যাবে এর পরবর্তীতে তিনি অন্যত্র বিয়ে করতে পারবে।

ইদ্দত শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো গণনা করা। পরিভাষায় নারীদের ওই সময় পর্যন্ত অন্যত্র বিয়ে করা থেকে বিরত থাকাকে ইদ্দত বলা হয়। যখন তার আগে বিয়ের প্রভাব প্রকাশ যেমন অন্তঃসত্ত্বা ইত্যাদি সম্ভাবনা শেষ হয়েছে বলে শরীয়ত নির্ধারণ করেছে।স্বামী যদি মারা যায় বা তালাক দেয় কিংবা যেকোনো বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে তাহলে কিছুদিনের জন্য নিজেকে ঘরে আবদ্ধ রাখা শরীয়তের নির্দেশ।

সেই সময়ের মধ্যে ঘর থেকে জরুরত ছাড়া বের হওয়া যাবে না। অন্য অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যাবে না ইদ্দত পালন করা মহিলাদের জন্য আবশ্যক। তালাকের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ হলে ৩ হায়েজ পরিমাণ সময় হল ইদ্দত। আল্লাহতালা বলেন,' আর তালাক প্রাপ্ত নারীরা নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েজ পর্যন্ত। ( সুরা বাকারা ২২৮)

কি কি কারণে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া যায়

আপনারা কি জানেন কি কি কারনে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া যায় বিভিন্ন রকম কার্টুন রয়েছে ইসলামের শরীয়তে যে কারণগুলোর কারণে কিন্তু আপনি স্ত্রীকে তালাক দিতে পারবেন। তালা কেমন একটি জিনিস যা আল্লাহ তায়ালার কাছে সবচেয়ে অপছন্দনীয় বিষয় যদি ইসলামের বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য তালাকের বিধান রয়েছে তবুও ইসলাম তালাকে জায়েজ কাজ সমূহের মধ্যে সবচেয়ে জঘন্য কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন তাই যথাসম্ভব এই জায়েজ ঘৃণিত কাজ থেকে বেঁচে থাকা সকলের জন্য জরুরী।
চলুন জেনে এসে কি কি কারণে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া যায় :
  • যদি চার বছর পর্যন্ত স্বামী নিরুদ্দেশ থাকে
  • দুই বছর স্বামী-স্ত্রী খোরপোশ দিতে ব্যর্থ হয়
  • স্বামী সাত বছর কিংবা তার চেয়েও বেশি কারাদণ্ড হলে
  • স্বামী কোন যুক্তিসঙ্গত ছা কারণ ছাড়া নির্দিষ্ট সময় ধরে দাম্পত্য দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে।
  • স্বামী শারীরিকভাবে অক্ষম থাকলে
  • স্বামী যদি দুই বছর পাগল থাকে অথবা কোন গুরুতর ব্যাধিতে আক্রান্ত থাকলে
  • স্বামীর ধারাবাহিক নিষ্ঠুরতার কারণেও স্ত্রী তালাক দিতে পারে।
এছাড়াও যেসব কারণে স্বামী তালাক দিতে পারে। যেকোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখে স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে। তবে অবশ্যই আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে যে যে কারণে তালাক দেওয়া যাবে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মন ও মতের অমিল। চারিত্রিক সমস্যা, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, স্বামীর বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া আর ফিরে না আসা, স্বামীর প্রতি স্ত্রীর দায়িত্ব পালন না করা ইত্যাদি কারণে স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারবে।

তিন তালাকের বিধান কি

যদি কোন সেই স্বামী স্ত্রীর অধিকার আদায় না করলে বরং উশৃংখল জীবন যাপন করতে অভ্যস্ত হয় তাহলে স্বামীর দায়িত্ব হলো তাকে সংশোধনের সর্বাত্মক চেষ্টা করে তালাক দেওয়ার আগে ইসলামিক কয়েকটি পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে সেই পথগুলো অনুসরণ করতে হবে যদি তারপরও কোন পরিবর্তন না আসে তার ফলাফল চূড়ান্ত হিসেবে আপনারা তালাক দিতে পারেন।

তবে ইসলামে তালা খুবই নিকৃষ্ট কাজ। তিন তালাকের বিধান কি এই সম্পর্কে আপনারা কি জানেন। মাসিকে সময় এবং গর্ভ অবস্থায় তালাক দেওয়া অনচিত তালাক দিতে হবে যখন স্ত্রী পবিত্র অবস্থায় থাকবে সীমা অতিক্রম করলে কেবল তালাক দেওয়া যাবে ।

একসঙ্গে তিন তালাকের কোন বিধান নেই একসঙ্গে তিন তালাক দেওয়ার কোন নিয়ম নেই। তার জন্য একসঙ্গে তিন তালাক দেওয়া হারাম এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একই সঙ্গে তিন তালাক দিলে কি তালাক হবে? এখানে দুইটি মতামত পাওয়া যায়।

প্রথমটি হলো একই সঙ্গে তিন তালাক দিলে তালাক হিসেবে গণ্য হবে ফলে স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করার আর কোনো সুযোগ নেই। কল্পনাতীত একটা সুযোগ থাকে তা হল হিল্লা বিয়ে।দ্বিতীয় মতবাদ হলো একই সঙ্গে তিন তালাক দিলে তা এক তালাক হিসেবে গণ্য হবে। এতে করে ইদ্দতের মধ্যে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকে। এছাড়া ইদ্দতের মধ্যে ফিরিয়ে না নিলেও পুনরায় বিয়ে করার সুযোগ থাকে। এই মতটি কুরআন হাদিসের সুন্নাহ অনুযায়ী বিশুদ্ধ বলে বিবেচিত আমাদের বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে দ্বিতীয় মত থেকে গ্রহণ করেছে।

স্ত্রী তিনবার তালাক দিলে কি হয়

আমাদের সমাজে দেখা যায় রাগারাগি বা ঝামেলা যে ধরে কিন্তু স্ত্রী তিনবার তালাক দিয়ে থাকে অনেকেই জানতে চাই স্ত্রী তিনবার তালাক দিলে কি হয় আসলে আপনারা তো জানেন যে ইসলামের তালাক দেওয়াকে খুব জঘন্য হিসেবে দেখা হয়। প্রাথমিকভাবে যার কারণে তালাক দেওয়ার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে তাকে বুঝানো নিজের বুঝানোর মাধ্যমে কাজ না হলে পরিবারের মাধ্যমে বুঝাতে হবে মুরব্বিদের মাধ্যমে বুঝাতে হবে এরপরও যদি কাজ না হয় তাহলে আপনাকে শরীয়ত অনুযায়ী এক তালাক দেওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়।

একটা লাইক দিলে যদি সে ঠিক হয়ে যায় তার সঙ্গে ঘর করার অনুমতি রয়েছে দুই তালাক দিলে মীমাংসা করে ফের বিয়ে করতে পারবে তবে তিন তালাক দিয়ে দিলে ফের বিয়ে করলেও হবে না তাকে ফিরিয়ে নেওয়ার আর কোন সুযোগ নেই।এগুলো স্বাভাবিক নিয়ম আর স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক দেওয়ার জন্য জরুরী হলো স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অধিকার দেওয়া যদি তালাকের অধিকার স্বামী স্ত্রীকে না দিয়ে থাকে তাহলে স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিতে পারবেনা অধিকার বা ইজন এটা বিয়ের সময় দেওয়া হয়।
স্বামীর পক্ষ থেকে যে তালাক দেওয়া হয় সেটাকে তালাক বলা হয় আর স্ত্রীর পক্ষ থেকে কাজী বা উনার স্থল বিশুদ্ধ কারণ নিকট তালাক চাওয়ার ভিত্তিতে মালের বিনিময়ে যে বিবাহবিচ্ছেদ করা হয় তাকে খোলা তালাক বলা হয়।

খোলা তালাক দেওয়ার পর সংসার করার উপায়

আপনারা কি খোলাতলা সম্পর্কে জানেন না অনেকেই হয়তো খোলার তালাক সম্পর্কে জানে কিন্তু খোলার তালাক দেওয়ার পর সংসার করার উপায় সম্পর্কে জানেনা।
  • স্ত্রীর পক্ষ থেকে কাজিবা ওনার স্থলাভিষিক্ত কারো নিকট তালার তালাক চাওয়ার ভিত্তিতে মালের বিনিময়ে যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তাকে খোলাতালাপ বলা হয়।।
  • যেমন ফাতো আয়ে হিন্দিতে বর্ণিত রয়েছে, খোলা (বা তার সমার্থক) শব্দাবলী দ্বারা মালের বিনিময়ে বিবাহ বিচ্ছেদ করাকে খোলা তালাক বলে। খোলা ক্রয় বিক্রয় শব্দ দ্বারা সংগঠিত হতে পারে কখনো ফারসি শব্দ বলি দ্বারা সংগঠিত হতে পারে।
  • খোলার হুকুম হলো খোলা করার মাধ্যমে তালাকে বায়িন পতিত হয়। সাধারণত এক তালাকে বাইনই পতিত হবে, তবে তাতে তিন তালাকের নিয়ত ও বিশুদ্ধ হবে। বাইন মানে যে তালাকের পর দ্বিতীয় বার বিয়ে করতে হয় নতুন মহারানা নির্ধারণ করে।
  • যদি কেউ কোন মহিলাকে বারবার বিয়ে করে প্রত্যেকবারে বিয়ে করার পর খোলা করে নেয় তাহলে ওই স্বামীর জন্য উক্ত খোলা কৃত স্ত্রীকে তিনবার খোলার পর আর বিয়ে করতে পারবে না।
  • হ্যাঁ তিনবার খোলা করার পর যদি উক্ত স্ত্রী অন্য স্বামীকে গ্রহণ করে অতঃপর ওই দ্বিতীয় স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাহলে ওই মহিলার জন্য দ্বিতীয়বার প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জায়েজ। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া :১/৪৮৮)
অনুরূপ যদি স্ত্রী ডিম প্রথমবার ঘোলা করা সময় তিন তালাকের নিয়ত করে তাহলে তিন তালাকে বাইনই পতিত হবে। গোলা করার পর ইজ্জতের ভীতর বা বাহির যে কোন সময় স্বামীর জন্য ওই খোলা কৃত স্ত্রীকে আবার বিয়ে করা যায় তবে এক্ষেত্রে নতুন মোহর ও দুই সাক্ষী থাকা জরুরী।

শেষ বার্তা।ডিভোর্সের কতদিন পর মেয়েরা বিয়ে করতে পারে।তালাক দেওয়ার ইসলামে নিয়ম

একটি মেয়ের ডিভোর্সের কতদিন পরে সে মেয়েটি আবার বিয়ে করতে পারবে এই বিষয় সম্পর্কে আমাদের সকলের জেনে রাখা উচিত।কেননা অনেক পরিবারে ডিভোর্স হওয়ার কিছুদিন বাদে আবার মেয়ের বিয়ে দিয়ে চায়।কিন্তু ইসলামে মেয়েদের ডিভোর্সের কতদিন পর মেয়েরা বিয়ে করতে পারে ও তালাক দেওয়ার ইসলামী নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে।

তাই আজকের আর্টিকেল থেকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ডিভোর্সের কতদিন পর মেয়েরা বিয়ে করতে পারে ও তালাক দেওয়ার ইসলামী নিয়ম সম্পর্কিত সকল তথ্যগুলো।আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনারা অনেক উপকারে আসবে। যদি আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তবে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।"ধন্যবাদ"

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url