বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় - বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ জানুন

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় এবং বাচ্চাদের দাঁত উঠার লক্ষণ সম্পর্কে প্রতিটি মা-বাবার জেনে রাখা উচিত।সেই সাথে অবশ্যই বাচ্চাদের দাঁত না উঠলে করণীয় এবং বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ কারণ সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা রাখা প্রয়োজন।হলে খুব সহজে বোঝা যাবে বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় এবং বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ গুলো।
বাচ্চাদের-দাঁত-ওঠার-সময়-করণীয়
সেই সাথে বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার কারণ, শিশুর দাঁত ওঠার সঠিক সময়, শিশুদের দাঁত ওঠার সময় বমি, কোনটির অভাবে শিশুদের দাঁত উঠে দেরি হয় শিশুদের দাঁত উঠে দেরি হয় এছাড়াও আরো বেশ কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো প্রতিটি পিতা-মাতা এবং পরিবারের মানুষদের জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।তাই চলুন দ্রুত জেনে আসি বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় ও বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য।
পোস্ট সূচিপত্রঃবাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয়। বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয়

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় কি? বা আপনার কি করণীয় সেই সম্পর্কে কিন্তু অনেক বাবা মা জানতে চায় আসলে বাবা-মা সন্তানের জন্য কিন্তু অনেক চিন্তিত থাকে বাচ্চার দাঁত ওঠার সময় অনেক রকমের সমস্যা দেখা দেয় যার ফলে কিন্তু বাবা-মায়ের টেনশন আরো বেশি বেড়ে যায়।

সাধারণত কিছু ছয় মাস থেকে ৯ মাসের মধ্যে দাঁত ওঠে কোন শিশুর তার আগে ওঠে আবার কারো এক বছর সময় লেগে যায়। শিশুর জন্মের পাশ থেকে ৮ মাসের মধ্যে যেই দুধ হয় মূলত তখন থেকেই যত্ন শুরু করা উচিত দুধ দাতের দরদী যত্ন না নেওয়া হয় তাহলে পরবর্তীতে দাঁতে স্থায়ী উঠার সময় অনেক সমস্যা দেখা দেয়।

নতুন দাঁত তো ওঠার সময় অনেক শিশু কিছু অস্বস্তি অনুভব করে মারি টিমরা কেম্বি করে হাতের কাছে যা পায় তাই কামড় দেওয়ার চেষ্টা করে তাই এই সময় শিশুর আশেপাশের জিনিস খেলনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
দাঁত ওঠার সময় শিশুদের মধ্যে কামড়ানো প্রবণতা দেখা যায় সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে চিকিৎসক এর পরামর্শে কামড়ানোর খেলনা দিন তাতে দাঁতের ক্ষতি হবে না। সেই খেলনা গুলো ফ্রিজে আগে রেখে ঠান্ডা করে নিতে পারেন এতে শিশুর আরাম লাগবে।

খেলনা দিতে না চাইলে পরিস্কার সুতি কাপড় পানিতে ভিজিয়ে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন মাটিতে ব্যথা হলে বা কিছু কামড়াতে চাইলে ফ্রিজ থেকে বের করে সেই কাপড় চিবাতে দিন।বাচ্চাদের জন্য নরম ব্রিসলযুক্ত দাঁত মাজার ব্রাশ পাওয়া যায় চিবানোর জন্য সেগুলো বাচ্চাদের দিতে পারেন।

ছয় থেকে আট বছরের মধ্যে দুধ দাগ পড়ে যায় এবং নতুন স্থায়ী দাঁত হয় শিশুদের অবশ্যই নিয়মিত দাঁত ব্রাশের অভ্যাস করতে হবে ছোট থেকে যদি সন্তানকে দাঁত ব্রাশ করানোর অভ্যাস করা হয় পরবর্তী সময়ে অভ্যাস থেকে যাবে।নতুন দাঁত ওঠার সময় শিশুদের মিষ্টি জাতীয় খাবার কম দেওয়া উচিত বিশেষ করে রাতে একবারে দেওয়া উচিত নয়।নিশ্চয়ই আপনি বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। 

শিশুর দাঁত ওঠার সঠিক সময়

শিশুর দাঁত ওঠার সঠিক সময় সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যখন শিশু জন্ম নেয় এর পরে কিন্তু শিশু আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে কিন্তু এই বাড়তি সময়ের মধ্যে নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। এই পরিবর্তনের মধ্যে অন্যতম একটি পরিবর্তন শিশুর দাঁত ওঠা সাধারণত ৬ মাস এ শিশুর প্রথম দাঁত উঠতে শুরু করে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ১৫ মাসের পরও যদি শিশুর দাঁত না ওঠে বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় কি করবেন তা সকলের জেনে রাখা উচিত।

তবে তা সত্যিই উদ্যোগের বিষয়। শিশুর দেরিতে দাঁত ওঠা বেশ কিছু কারণ রয়েছে এর মধ্যে একটি কারণ হলো বংশগত যার কারণে দেরিতে দাঁত উঠতে পারে তবে ছয় মাসের পর থেকে এক বছরের মধ্যে শিশুদের দাঁত উঠে যায়। তবে অনেকের দাঁত উঠতে দেরি হতে পারে এর জন্য কোন চিন্তার কারন নাই এক বছরের পরেও অনেক শিশুর দাঁত ওঠে।
বাচ্চাদের যখন নতুন দাঁত উঠে সেই সময় কিন্তু নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয় দাঁতে ওঠার কারণে জ্বর আসে অস্বস্তি লাগে বাচ্চার মাড়িতে ব্যথা করতে পারে এই কারণে সেই সময় শিশুদের যত্ন একটু বেশি নিতে হবে। দাঁত ওঠার সময় শিশুদের বাড়িতে অনেক ব্যথা হয় যার কারণে শিশু খুব অস্বস্তিতে ভোগেন শিশুর প্রথম দাঁত কখন উঠবে।

এই সময়ে কিভাবে শিশু যত্ন নিতে পারবেন এগুলো সম্পর্কে জেনে রাখা দরকার। দুই তিন মাস আগে থেকে এর উপসর্গগুলো দেখা দেয় কিছু শিশুর তিন বা চার মাস বয়সে প্রথম দাঁত বেরিয়ে আসে অন্যদিকে কারো হয়তো এক বছর বা এর বেশিও লাগতে পারে।

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ সম্পর্কে অনেকে জানতে চাই টিথিং এর অনুভূতি একেক শিশুর একেক রকমের হতে পারে কারো হয়তো কোন উপসর্গ দেখা দেবে না আবার কারো হয়তো কয়েক মাস আগে থেকে দাঁতের ব্যথা এবং অসস্তিতে ভোগে। দাঁত ওঠার উপসর্গগুলোর দিকে খেয়াল রাখলে আপনার এবং শিশুর জন্য এই সময়টা পার করা সহজ হবে দাঁত ওঠার প্রাথমিক কয়েকটি লক্ষণ এবং বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় গুলো সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে।

মুখ দিয়ে লালা ফেলা: দাঁত ওঠার সময় শিশুর মুখ থেকে অনেক বেশি লালা পড়তে থাকে বেশিরভাগ শিশুর দশ সপ্তাহ থেকে চার মাস বয়সের মধ্যে লালা পড়তে শুরু হয় এবং যতদিন পর্যন্ত না দাঁত উঠে ততদিন পর্যন্ত লালা পড়তে থাকে। শিশুর মুখ থেকে অতিরিক্ত লালা পরে যদি বারবার তার জামা কাপড় ভিজে যায় তাহলে গলায় একটি কাপড় বেঁধে দিন সারাদিন আলতো করে বারবার তার থুতনি মিছে দিন যেন ঘা না হয়।

কামড়ানো: মাটির নিচ থেকে দাঁত বের হওয়ার সময় যে চাপ তৈরি হয় তাতে শিশুর রূপ অনেক অস্বস্তি হয় মাটিতে পাল্টে চাপ দিলে শিশু কিছুটা আরাম পায় যেমন ধরুন শিশু যদি কিছু কামড়ায় তখন আরম বোধ করে। দাঁত ওঠার সময় শিশুর হাতের নাগালে যা পায় তাই মাড়ি দিয়ে কামড়াতে চাই নিজের হাত-পা কিংবা খেলনা বুকের দুধ খেলে স্তনের বোটাসহ হাতের কাছে যা পাবে সবই কামড়াবে।
এমনটা হলে তাকে একটি পরিষ্কার ঠান্ডা কাপড় দিতে পারেন অথবা যে সকল খেলনা গুলো দাঁতে কামড়ালে অসুবিধা হয় না ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেই সকল খেলনা দিতে পারেন। তবে খেলনা বা কাপড়কে ভালোভাবে ডিপ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে দিলে শিশুর মাটিটা আরাম পাবে।

কানটানা এবং লাল ঘোষা: শিশুর দাঁত ওঠার সময় অনেক বেশি কান ধরে টানাটানি বা গাল ও থুতনি ঘষাঘষি করতে পারে এই সময় শিশু শুধু যে মাটিতে ব্যথা অনুভব করবে তেমনটা নাই যেহেতু মাড়ির সাথে কান ও গলা সংযোগ রয়েছে সেহেতু ডাটা সময় সে মাটিতে বেশি ব্যথা না পেয়ে কান বা গলার ব্যথা অনুভব করতে পারে।

 তবে মনে রাখবেন যে শিশু যখন ক্লান্ত থাকে বা যদি তার কানে ইনফেকশন হয় তখন সে কান ধরে টানাটানি করতে পারে তাই ঠিক কোন কারণে সে কান ধরে টানছে তা বোঝার চেষ্টা করতে হবে।

খেতে চাইবে না: শিশু যখন খিটখিটে মেজাজে থাকে তখন বোতল বাবুকে দুধে মুখ নিয়ে শান্ত থাকতে চাই কিন্তু দাঁত ওঠার সময় দুধ টেনে খাওয়ার ফলে মাটির ব্যথা আরো বেড়ে যেতে পারে এই কারণে শিশু খাবার খাওয়ার প্রতি অনীহা দেখায় পেটে ক্ষুধা থাকে কিন্তু দাঁত ওঠার সময় অস্বস্তি লাগার কারণে মেজাজ খিটখিটে থাকে।

কান্না করাঃ কোন কোন শিশু ব্যথা ছাড়াই দাঁত ওঠে আবার কোন শিশুর প্রচণ্ড মাটির ব্যথা ভোগে কোমল মাটির টিস্যুর প্রদাহার কারণে এই ব্যথার সৃষ্টি হয় এই কারণে শিশুরা তিথি নিয়ে সময় কান্নাকাটি ও ঘ্যানঘ্যান করতে থাকে এবং অনুভূতি প্রকাশ করে প্রথম তার প্রচার সময় সাধারণত সবচেয়ে বেশি ব্যথা হয় মাড়ির দাঁত ওঠার সময় বেশি ব্যথা হয় যেহেতু সেগুলো বেশি বড় হয়।এসমস্ত কারণ গুলো হলো বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ সমূহ।

বাচ্চাদের দাঁত না উঠলে করণীয়

বাচ্চাদের ডান্স না উঠলে করণীয় সম্পর্কে অনেকে জানতে চেয়েছেন আসলে অনেক সময় দেখা যায় শিশুদের দাঁত ছয় মাসের পর থেকে উঠতে থাকে কিন্তু এর উপসর্গগুলো আরো আগে থেকে দেখা দেয় লক্ষণ দেখা দেয় ২-৩ মাসের পর থেকেই কিন্তু অনেক শিশু দেখা যায় এক বছর পার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু দাঁত উঠছে না এর সঠিক সমাধান সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই।

বাচ্চাদের দাঁত না উঠলে করণীয় সম্পর্কে প্রতিটি বাবা-মায়ের জেনে রাখা দরকার। ১৫ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে দুটো দাঁত না উঠলে চিন্তার বিষয় ছয় থেকে আট বছরের মধ্যে স্থায়ী দাঁত না উঠলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বিভিন্ন কারণে দেরিতে দাঁত উঠতে পারে বংশগত কারণে অনেক সময় ছেলে মেয়ের দেরিতে দাঁত উঠে শিশু দেরিতে দাঁত উঠতে পারে এক্ষেত্রে চিন্তিত হওয়ার কারণে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে একই কারণে দাঁতের গঠনগত ত্রুটিসহ কোন কোন দাঁত বা কোন দাঁতি না ও উঠতে পারে।
অপুষ্টি ভিটামিন বা খনিজ বিশেষ করে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর অভাবে কোন শিশুর দাঁত দেরিতে উঠতে পারে। শরীরে থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণ কম হলে ডাউন সিনড্রোম নামক রোগ হয় এক্ষেত্রে হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ নিতে হবে এই রোগের দাঁত উঠতে দেরি হতে পারে।

যেসব শিশু ৩৭ সপ্তাহের আগে অর্থাৎ প্রিবার্থ শিশুর জন্ম গ্রহণ করে তাদের দাঁত দেরিতে উঠতে পারে এবং দাঁতের গঠনগত দুর্বলতা থাকতে পারে। মাড়ি ও চোয়ালে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে অনেক সময় দাঁত মাড়ি থেকে বেরোতে দেরি হয়। এই কারণে দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার কারণ

বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার বিভিন্ন রকমের কারণ থাকতে পারে যার কারণে দাঁত উঠতে দেরি হতে পারে আপনারাও যদি বাচ্চাদের দাঁত না ওঠে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং চিকিৎসা করতে হবে এছাড়াও কিছু কারণ রয়েছে যেগুলোর কারণে বাচ্চাদের দাঁত উঠতে সমস্যা হয়। চলুন জেনে আসি বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার কারণ এবং বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় সম্পর্কে।

বংশগত : মা-বাবার কিংবা পরিবারের কারো ছেলেপেলে দাঁত উঠতে দেরি ওঠার সমস্যা থেকে শিশুর দাঁত দেরিতে উঠতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শটি নিতে হবে চিন্তার কোন কারণ নেই। একই কারণে দাঁতের গঠনগত প্রতিসহ কোন কোন দাঁত বা কোন দাতি নাও উঠতে পারে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
জন্মগত: এ সকল শিশু সময়ের আগে জন্মগ্রহণ করে তাদের পুষ্টির অভাবের কারণে এবং গঠনের সমস্যার কারণে কিন্তু দেরিতে দাঁত উঠতে পারে দাঁতের গঠনগত দুর্বলতা থাকতে পারে।

অপুষ্টি: অপুষ্টি ভিটামিন বা খনিজ বিশেষ করে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর অভাবে অনেক সময় শিশুদের দ্বারা দেরিতে উঠতে পারে তবে চিন্তার কারনে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে।

হরমোনজনিত কারণ: শরীরে থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণ কম হলে ডাউন সিনড্রোম নামক রোগ হয় এই রোগ হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে হবে এই রোগের কারণে দাঁত দেরিতে উঠতে পারে।

চোয়াল ও নারীর সমস্যা: মারিও চোয়ালে শারীরিক প্রতিবন্ধীকে তার কারণে অনেক সময় দাঁত মাড়ি থেকে দেরিতে বের হয় এ ক্ষেত্রে ডেন্টাল এর কাছে গিয়ে পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে দাঁত দেরিতে উঠলে দাঁতের সৌন্দর্যের মারাত্মক বিভিন্ন ঘটে এই কারণে বাবা-মা অভিভাবকদের সব সময় দাঁত ওঠার সময় জানা জরুরি।

দুধ দাঁতের কতদিন পর নতুন দাঁত ওঠে

যখন বাচ্চার দুধ দাঁত ওঠে এরপরে কিন্তু শিশুর বয়স হলে স্থায়ী দাঁত উঠে শিশু দুধ দাঁত কে বলে প্রাইমারি টুথ। মেয়েদের দাঁত সাধারণত ছেলেদের আগে পরে আর এই দুধদাত ক্রমিক হারে পড়ে। যে ক্রমে প্রথমে উঠেছিল।
সাধারণত প্রথমে পড়ে সামনের পার্টির নিচে দুইটি দাঁত। এরপর সামনের উপরের দুইটি দাঁত, তারপর পাশের ধারালো, প্রথম মোলার, ক্যানাইন ও সর্বশেষ দ্বিতীয় মোলার ১২ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে সব দাঁত পড়ে গিয়ে আবার নতুন দাঁত ওঠে।

নতুন দাঁত ওঠার সময় শিশুকেনতুন দাঁত ওঠার সময় শিশুকে কে আছে আমি যুক্ত খাবার যেমন প্রচুর দুধ ছোট মাছ ইত্যাদি খেতে দিন দুই বেলা ব্রাশ করতে শেখান এবং ফ্লস ব্যবহার করা সেখানে এই সময় দাঁতের ও মাড়ির যত্ন নেওয়া জরুরী। অনেক সময় দেখা যায় শিশু দুধ দাঁত একসঙ্গে দুই তিনটি পড়েছে কিন্তু স্থায়ী দাঁত ওঠার সময় উঠছে মাত্র ৮৩ শিশুদের ক্ষেত্রে এটি অস্বাভাবিক নয় উল্লেখযোগ্য করে ডেন্টাল সার্জার রা অভিভাবকদের ভীত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

কোনটির অভাবে শিশুদের দাঁত উঠতে দেরি হয়

শিশুদের যখন ভিটামিনের অভাব হয় তখনও কিন্তু শিশুদের দাঁত দেরিতে ওঠে কোনটির অভাবে শিশুদের দাঁত উঠতে দেরি হয়। সেই সম্পর্কে কিন্তু বাবা-মায়ের জেনে রাখা দরকার কারণ সন্তানদের অপুষ্টির কারণে কিন্তু দাঁত উঠতে সমস্যা হয়। ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ,, ভিটামিন সি সহ অন্যান্য অপুষ্টি জনিত সমস্যার কারণে শিশুদের দাঁত দেরিতে উঠতে পারে।

শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে তাহলে শিশুদের তার সঠিক সময়ে উঠবে। শিশুর মুখে বয়স ভেদে দুই ধরনের দাঁত দেখতে পাওয়া যায় দুধ দাঁত এবং স্থায়ী দাঁত. বয়স ভেদে সবচেয়ে ভাগ করা হয় অনেকটা এইভাবে -
শিশুর বয়স 15 মাস থেকে শুরু করে ছয় বছর পর্যন্ত যে দাঁত দেখা যায় সেগুলোর দুধ দাঁত।শিশুর বয়স ছয় বছর থেকে শুরু করে ১২ থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত দুধে দাঁত ও স্থায়ী দাঁত উভয় ধরনের দাঁত দেখা যায়।
শিশুর বড় তেরো বছরের পরে অর্থাৎ কৈশোর থেকে সব দাঁত স্থায়ী হয়।

কিছু স্থায়ী দাঁত দুধ দাঁতের নিচ দিয়ে ওঠে এবং অনেকগুলো চোয়ালের পিছনে দিয়ে নতুন করে ওঠে অভিভাবকদের শিশুর দাঁত ওঠার বিষয়টি নজরে রাখতে হবে কারণ শিশুর মুখের সৌন্দর্য নির্ভর করে সঠিক সময় সঠিক দাঁত ওঠার ওপর। তাই শিশুর পুষ্টির অভাব যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং শিশুকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে।

শেষ কথা।বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয়।বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় এবং বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ সম্পর্কে আজকে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি আপনি যদি একজন সতর্ক এবং আদর্শ পিতা-মাতা হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখার চেষ্টা করবেন।কেননা সন্তানদের যখন দাঁত উঠতে শুরু হয় সেই সময় অনেকেই ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।আগে থেকে এমন সমস্যাগুলো না হয় এজন্য সকলের জেনে রাখা উচিত।
যদি আপনার সন্তানের ক্ষেত্রে বিষয়টি এমন হয় তাহলে আপনার সন্তানের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে এবং যেকোনো প্রয়োজনে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।দাঁত ওঠার যে সময় তার থেকে অধিক সময় পার হয়ে গেলে তাড়াতাড়ি কৃষকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।আমাদের আজকের আর্টিকেল তথ্য এবং ভালো লেগে থাকলে আপনার পরিচিত জনদের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url