ফ্রান্সে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও ফ্রান্সে সর্বনিম্ন বেতন কত জানুন
প্রিয় পাঠক আপনি কি ফ্রান্সে কোন কাজের জন্য যেতে চাচ্ছেন? কিন্তু আপনি কি জানেন
ফ্রান্সে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ফ্রান্সে সর্বনিম্ন বেতন কত টাকা দেওয়া
হয়।যদি না জেনে থাকেন তবে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য।এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে
আপনি ফ্রান্সে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও ফ্রান্সে সর্বনিম্ন বেতন কত তা জানতে
পারবেন।
সেই সাথে আপনি যদি ফ্রান্সে যেতে চান তাহলে ফ্রান্সে যেতে কত টাকা লাগে ও
ফ্রান্সে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়, ফ্রান্স যেতে কত বছর বয়স লাগে এবং ফ্রান্স
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফর বাংলাদেশি সম্পর্কে জানতে পারবেন।তাই আজকের আর্টিকেল
মনোযোগ সহকারে পড়ে ফ্রান্সে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও ফ্রান্সে সর্বনিম্ন বেতন কত
তা জেনে নিন।
পোস্ট সূচিপত্র:ফ্রান্সে কোন কাজের চাহিদা বেশি। ফ্রান্সে সর্বনিম্ন বেতন
কত
ফ্রান্সে যেতে কত টাকা লাগে
প্রায় মানুষের ফ্রান্সে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ
প্রতিবছরে ফ্রান্সে কাজের উদ্দেশ্যে যায় কিন্তু তারা জানতে চাই যে ফ্রান্সে যেতে
কত টাকা লাগে কারণ অনেকে দালাল বা বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে যায় কিন্তু তারা
হয়তো আসল টাকা সম্পর্কে জানি না যে কত টাকা খরচ হয় যার কারণে তাদের কাছে প্রচুর
টাকা ন্যায় বিভিন্ন এজেন্সি বা দালাল।
আরো পড়ুনঃ ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪ জেনে নিন
ফ্রান্স ইউরোপের একটি উন্নত রাষ্ট্র ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন দেশে ইউরোপের শক্তিশালী
এই রাষ্ট্রটি প্রবাসীদের জন্য সেরা গন্তব্য হতে পারে।ফ্রান্সের মানুষ ভ্রমণ ভিসা
কাজের ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেয়ে থাকে। ফ্রান্সে যেতে
কত টাকা লাগবে সেটা নির্ভর করবে ক্যাটাগরির ভিসার মেয়াদ এবং আবেদনকারীর লোকেশনের
উপর।
ফ্রান্সে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে কেউ গেলে খরচ করবে প্রায়
সর্বনিম্ন ৪ লক্ষ টাকা। দালাল কিংবা এজেন্সির মাধ্যমে গেলে খরচ পড়বে ১০ থেকে ১২
লক্ষ টাকা। স্টুডেন্ট এবং টুরিস্ট ভিসায় এই দেশে গেলে খরচ আরো কম পড়বে।
টুরিস্ট
ভিসা ফ্রান্সে গেলে আনুমানিক খরচ পড়বে ৩ লক্ষ টাকা। স্টুডেন্ট ভিসায় ফ্রান্সে
গেলে খরচ পড়বে আনুমানিক তিন থেকে চার লক্ষ টাকা। তবে এবারে আপনি যদি ফ্রাস কাজের জন্য যেতে চান তাহলে আগে থেকে আপনাকে ফ্রান্সে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা বিস্তারিত জানতে হবে। তাই নিচের অনুচ্ছেদ বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো,
ফ্রান্সে কোন কাজের চাহিদা বেশি
ফ্রান্স ইউরোপ ইউনিয়ন ভুক্ত দেশের মধ্যে সবচেয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিক
দেশ যার কারণে ফ্রান্সের মতো দেশে বাংলাদেশে থেকে অনেকজনই যেতে চাই। আপনি যখন
ফ্রান্সে কোন কাজের জন্য যেতে চাইবেন তখন কিন্তু অবশ্যই সেই দেশে ফ্রান্সে কোন
কাজের চাহিদা বেশি সেই সম্পর্কে জানবেন।
ইউরোপের অন্য দেশে তুলনায় ফ্রান্সের বেতন একটু বেশি কিন্তু ফ্রান্সের দক্ষ
সমীর শ্রমিকের চাহিদা বেশি। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সে যাওয়া এত সহজ নেই
বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্স যেতে হলে অনেক ভাগ্যের ব্যাপার।
আরো পড়ুনঃ কানাডা ভিজিট ভিসা পাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
ফ্রান্স একটি সুন্দর দেশ যা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার জন্য মহাতি হিসেবে পরিচিত
তার রূপরেখা মাত্র সৌন্দর্য নয় এটি একটি আর্থিক গড়ে ওঠার ওপর ভিত্তি করে একটি
প্রবল কারণে অগ্রসর হয়েছে ফ্রান্সে চাকরি চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এটি
প্রযুক্তিতে উন্নত হচ্ছে একটি পূর্ব নির্ধারিত অঞ্চল।
ফ্রান্সে কাজের সাথে এ জীবনে সামঞ্জস্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ তাদের কাজের
সমঞ্জস্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক প্রচারে ফ্রান্স মানুষের মাঝে একটি সহানুভূতি আছে।
ফ্রান্সে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং বেতন কত এই বিষয়ে বর্তমানে অনেকেই জানতে
চাচ্ছেন চলুন জেনে আসি ফ্রান্সের বর্তমানে কোন কাজগুলোর বেশি চাহিদা রয়েছে।
- কৃষি ভিসা
- নার্সিং ভিসা
- কনস্ট্রাকশন ভিসা
- অফিস ক্লিনার ভিসা
- মেডিকেল ক্লিনার ভিসা
- ড্রাইভিং ভিসা
- গার্মেন্টস ও ফ্যাক্টরি ভিসা
- হোটেল বা রেস্টুরেন্ট ভিসা
- পাইপ ফিটিংস বা প্লাম্বিং ভিসা
- সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ভিসা
- ফলের বাগান ভিসা
আপনারা উপরোক্ত যেই সকল কাজগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এগুলো কিন্তু ফ্রান্সে
অনেক চাহিদা সম্পন্ন কাজ। তাই এই সকল কাজের ওপর আপনি যদি পারদর্শী বা অভিজ্ঞতা
সম্পন্ন হয়ে থাকেন। তাহলে কিন্তু আপনি ফ্রান্স এ গিয়ে ভালো বেতনে কাজ করতে
পারবেন।
ফ্রান্সে সর্বনিম্ন বেতন কত
বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সে কাজের জন্য যদি আপনারা যেতে চান তাহলে কিন্তু ফ্রান্সে
সর্বনিম্ন বেতন কত সেই সম্পর্কে জেনে যাবেন এই দেশে ছোট-বড় অনেক কোম্পানি রয়েছে
প্রতিবছরই তারা বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে
থাকে যারা উন্নত মানের জীবন-যাপন মান ও চিকিৎসা সেই বা পেতে চান?
তাদের অবশ্যই এই দেশে যাওয়া উচিত ফ্রান্সের প্যারিসের মতো বড় শহরগুলোতে খরচ
তুলনামূলক অনেক বেশি ছোট শহরগুলো চেয়ে। উন্নত রাষ্ট্রের সাধারণত ঘণ্টা প্রতিবেদন
নির্ধারণ করা হয় ফ্রান্স এর ব্যতিক্রম নয়। এই দেশে একটি সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে দেওয়া থাকে যেটা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হয়ে থাকে।
সরকার কর্তৃক সর্বোচ্চ কর্ম ঘন্টা নির্ধারণ করা রয়েছে ১৮ বছরের বেশি এবং ৩৫
বছরের কম বয়সী নাগরিকরা সপ্তাহে ৩৫ ঘন্টার বেশি কাজ করতে পারবে না। সর্বশেষ
আপডেট অনুযায়ী ফ্রান্সের বর্তমানে সর্বনিম্ন বেতন বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক
প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
এই দেশে আপনি সপ্তাহে ১০ ঘন্টার বেশি ওভারটাইম করতে পারবেন না সাপ্তাহিক ছুটি
পাবেন একদিন এই দেশে কাজ করতে হলে অবশ্যই ফ্রান্স ভাষা জানতে হবে যারা এই দেশে
যেতে চান তারা অবশ্যই এই ভাষা সম্পর্কে জেনে যাবেন।
ফ্রান্সে বেতন কত
ফ্রান্সের কোম্পানি অনুযায়ী বেতন ভিন্ন হতে পারে কারণ ছোট ছোট কোম্পানিগুলো
সাধারণত বেতন কম দিয়ে থাকে অন্যদিকে বড় বড় কোম্পানি চাকরি করার সুযোগ পেলে
আপনি অনেক বেশি বেতন পাবেন এছাড়া অঞ্চল ভেদে বেতনের তারতম রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪
উন্নত ২৫ অঞ্চলে খরচ বেশি হয় সেখানে চাকরি করলে বেতন তুলনামূলক বেশি পাবেন
এছাড়া একজন কর্মীর কাজের ধরন দক্ষতা যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে
ফ্রান্সে বেতন কত সেটা নির্ধারণ হয়ে থাকে।
- ফ্রান্সে হোটেল রেস্টুরেন্ট জবের বেতন ১৫০০ থেকে ২৫০০ ইউরো।
- খুচরা বিক্রেতার বেতন ১৫০০ থেকে ২৫০০ ইউরো
- ফ্রান্সে বিক্রয় প্রতিনিধির বেতন ২০০০ থেকে ৪০০০ ইউরো।
- ফ্রান্সে সফটওয়্যার ডেভেলাপারের বেতন ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার ইউরো।
- ফ্রান্সের নার্সের বেতন ২০০০ থেকে ৩৫০০ ইউরো।
- ফ্রান্সের শিক্ষকের বেতন ২০০০ থেকে ৪ হাজার ইউরো।
- ফ্রান্সের ডাক্তারের বেতন ৫০০০ থেকে ১০ হাজার ইউরো।
- ফ্রান্সে প্রকৌশলীর ইউরো 3000 থেকে 6000 ইউরো।
- ফ্রান্সে আইনজীবীর বেতন ৪০০০ থেকে ৮ হাজার ইউরো।
- সিইও/ কার্যনির্বাহী বেতন ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ ইউরো।
তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন যে ফ্রান্সের গড় বেতন কত হতে পারে। আপনি যদি
ফ্রান্সের কোম্পানিগুলোতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তাহলে আপনার বেতন ২০০০ ইউরো
থেকে শুরু হয়।
ফ্রান্সে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়
প্রাইস স্টুডেন্ট এরই স্বপ্নের দেশ ফ্রান্স হয় তারা কিন্তু ফ্রান্সে গিয়ে
নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা করে আবার অনেকেই কাজের ভিসা যাওয়ার পরে কিন্তু বহু বছর
থাকার পরে ফ্রান্সের নাগরিকত্ব পেতে চাই। কিছু শর্ত পূরণ করে যে কেউ চাইলে এই
দেশে নাগরিকত্ব খুব সহজে পেতে পারে। চলুন জেনে আসি ফ্রান্সের নাগরিকত্ব পাওয়ার
উপায় সম্পর্কে।
ইউরোপের দেশ ফ্রান্সের নাগরিকত্ব পাওয়ার পূর্ব শর্ত হলো দেশটিতে পাঁচ বছর বসবাস
করা ইউরোপের এই দেশে পাঁচ বছর অবস্থান করার পর আপনি নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন
করতে পারবেন এই নিয়ম শুধুমাত্র অবিবাহিতদের জন্য।
আরো পড়ুনঃ সৌদি ভিসার মেয়াদ কতদিন থাকে জেনে নিন
আপনি যদি ফ্রান্সের নাগরিককে বিয়ে করেন তাহলে চার বছর পরে আপনি এই দেশে
নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশের নাগরিককে বিয়ে
করলে ৩ বছরের মধ্যে ফ্রান্সের নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন করতে পারবেন।আপনি
ফ্রান্সের সমাজ এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য এই দেশে নাগরিকতা
আবেদন করতে পারবেন।
জন্মসূত্রে ফ্রান্সের নাগরিক হওয়া যায় আপনার পিতা-মাতা যদি ফ্রান্সের না হয়
কিন্তু আপনার জন্ম ফ্রান্সে হয় তাহলে আপনি এই দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন
করতে পারবেন এছাড়া আপনার পূর্বপুরুষ যদি ফ্রান্সের হয় তাহলেও নাগরিকত্ব পেতে
কোনো অসুবিধা নেই।
এই দেশে নাগরিকত্ব পাওয়ার কিছু শর্ত রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো আপনার কোন
ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকা যাবে না। অবশ্যই আপনার বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে ফ্রান্স
ভাষা এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান থাকতে হবে। অবশ্যই সবাইকে ফ্রান্স
ভাষার দক্ষতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফর বাংলাদেশী
বাংলাদেশ থেকে অনেকেই কিন্তু ফ্রান্সে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চাই।
ফ্রান্সে কত টাকা লাগবে সেই সম্পর্কে অনেকেই কিন্তু বুঝতে পারে না ফ্রান্স
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফর বাংলাদেশী সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে জানাবো। বাংলাদেশ থেকে
ফ্রান্সে যেতে কিন্তু বর্তমানে অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন তথ্য
সংগ্রহ করে জানা গিয়েছে।
আরো পড়ুনঃ সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি
যে বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে ফ্রান্সে প্রবেশ করতে হলে আপনার
সর্বনিম্ন ১৫ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকা খরচ হবে আপনি যদি উচ্চ শিক্ষার জন্য
ফ্রান্সে যেতে চান তাহলে সর্বমোট আপনার ২০ লক্ষ থেকে 30 লক্ষ টাকা খরচ হবে তাহলে
আপনারা বুঝতেই পারছেন যে ফ্রান্সে যেতে হলে অনেক টাকার প্রয়োজন হবে ফ্রান্সের
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে।
যদি আপনি যেতে চান তাহলে কোন দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে যদি যান তাহলে এর পরিমাণ
আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। ওয়ার্কার মিটিং ভিসা নিয়ে ফ্রান্সে যেতে হলে আপনার বয়স
সর্বনিম্ন আঠারো বছর হতে হবে এবং আপনাকে অবশ্যই যে কোন কোম্পানির কাজের এপারমেন্ট
লেটার দেখাতে হবে।
তাই যারা বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সে ওয়ার্ড পারমিট ভিসা নিয়ে যাবেন তারা কিন্তু
অবশ্যই বিশ্বস্ত দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন। তবে আপনি যদি সরকারি মাধ্যমে
ফ্রান্সে যান তাহলে কিন্তু আপনার খরচ কম হবে।
বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্স যেতে কত সময় লাগে
বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সে যেতে কত সময় লাগে এই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই কারণ
বাংলাদেশ থেকে অনেকেই কিন্তু ফ্রান্সে যেতে চাই প্রথমবার যখন কেউ ফ্রান্সে যাবে
তখন কিন্তু সে জানতে চায় যে তার বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের যেতে কত সময় লাগবে
আপনি যদি প্রথমবার ফ্রান্সে যান তাহলে কিন্তু আপনার বিমান টিকিট এই লেখা থাকবে যে
আপনি আর বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সে যেতে কত সময় লাগবে।
আরো পড়ুনঃ কাতারে ফ্রি ভিসার দাম জানুন
আশা করি এর মাঝে আপনারা জানতে পেরেছেন বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সে যেতে কত টাকা লাগবে
এবং ফ্রান্সে যাওয়ার সকল বিষয় সম্পর্কে এখন আপনারা যখন বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সে
যাওয়ার উদ্দেশ্যে কোন ফ্লাইট পরিচালনা হয় না সবগুলো এয়ারলাইন্স কোম্পানির
বিমান ওয়ান স্টপ বা টু স্টপ ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।
তাই বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সে যেতে সময় লাগে প্রায় ২০ ঘন্টা থেকে ২৮ ঘণ্টা
পর্যন্ত। হয়তো ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা এদিক সেদিক হতে পারে।
ফ্রান্স যেতে কত বছর বয়স লাগে
অনেকেই কিন্তু ফ্রান্সে যেতে চাই কিন্তু জানে না যে ফ্রান্স যেতে কত বছর প্রয়োজন
লাগে আপনি যদি ফ্রান্সে যেতে চান। তাহলে কিন্তু অবশ্যই প্রথমে আপনাকে জানতে হবে
যে ফ্রান্সে যাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন কত বছর বয়স প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশ থেকে
ফ্রান্সে যেতে কত বছর লাগে এই বিষয়টি জানার আগে আপনাকে কিন্তু অবশ্যই জানতে হবে।
যে বাংলাদেশ থেকে আইইএলটিএস টেস্ট স্কোর আপনাকে অবশ্যই এই স্কুল সর্বনিম্ন ৬
পয়েন্ট থাকতে হবে। তাহলে আপনি ফ্রান্সে যেতে পারবেন না হলে কিন্তু কোন ভাবেই
ফ্রান্সে প্রবেশ করতে পারবেন না। এখন আপনারা জানবেন যে ফ্রান্সের যেতে আপনার কত
বছর বয়স প্রয়োজন। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সর্বনিম্ন ১৮ বছর হলে আপনি ফ্রান্সে
যেতে পারবেন এবং সর্বোচ্চ ৩৬ বছর বয়স পর্যন্ত যাওয়া যায়।
যদি আপনার বয়স ৩৬ এর বেশি হয় তাহলে আপনি কোনভাবে ফ্রান্সে কাজের জন্য যেতে
পারবেন না তাই বলা চলে ১৮ বছর থেকে ৩৬ বছর বয়সের মধ্যে ফ্রান্সের প্রবেশ বৈধ
বয়স। কিন্তু আপনি যদি টুলস ভিসা নিয়ে ফ্রান্সে প্রবেশ করতে চান সে ক্ষেত্রে
আপনার বয়সের কোন বাধ্যবাধকতা নেই আপনি যেকোনো বয়সের ফ্রান্সে প্রবেশ করতে
পারবেন।
FAQ।ফ্রান্সে কোন কাজের চাহিদা বেশি।ফ্রান্সে সর্বনিম্ন বেতন কত
প্রশ্ন ০১ঃ ফ্রান্সে কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে?
- কৃষি ভিসা
- নার্সিং ভিসা
- কনস্ট্রাকশন ভিসা
- অফিস ক্লিনার ভিসা
- মেডিকেল ক্লিনার ভিসা
- ড্রাইভিং ভিসা
- গার্মেন্টস ও ফ্যাক্টরি ভিসা
- হোটেল বা রেস্টুরেন্ট ভিসা
- পাইপ ফিটিংস বা প্লাম্বিং ভিসা
- সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ভিসা
- ফলের বাগান ভিসা
প্রশ্ন০২ঃ ফ্রান্সে কোন কাজের বেতন কত?
- ফ্রান্সের শিক্ষকের বেতন ২০০০ থেকে ৪ হাজার ইউরো।
- ফ্রান্সের ডাক্তারের বেতন ৫০০০ থেকে ১০ হাজার ইউরো।
- ফ্রান্সে প্রকৌশলীর ইউরো 3000 থেকে 6000 ইউরো।
- ফ্রান্সে আইনজীবীর বেতন ৪০০০ থেকে ৮ হাজার ইউরো।
- সিইও/ কার্যনির্বাহী বেতন ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ ইউরো।
- ফ্রান্সে হোটেল রেস্টুরেন্ট জবের বেতন ১৫০০ থেকে ২৫০০ ইউরো।
- খুচরা বিক্রেতার বেতন ১৫০০ থেকে ২৫০০ ইউরো
- ফ্রান্সে বিক্রয় প্রতিনিধির বেতন ২০০০ থেকে ৪০০০ ইউরো।
- ফ্রান্সে সফটওয়্যার ডেভেলাপারের বেতন ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার ইউরো
প্রশ্ন০৪ঃ ফ্রান্সে সর্বনিম্ন বেতন কত টাকা দেওয়া হয় ?
- ফ্রান্সের বর্তমানে সর্বনিম্ন বেতন বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
শেষ কথা। ফ্রান্সে কোন কাজের চাহিদা বেশি।ফ্রান্সে সর্বনিম্ন বেতন কত
প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা অনেকেই প্রবাসে যেতে চান।তার মধ্যে অন্যতম যে
দেশটি হলো তা হলো ফ্রান্স।বাংলাদেশের বহু সংখ্যক মানুষ ফ্রান্সে বসবাস করছে কেউবা
প্রবাসী হয়ে কেউ আবার ফ্রান্সে নাগরিকত্ব নিয়ে।তাই আপনি যদি প্রথমবার ফ্রান্সে
যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ফ্রান্সে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও ফ্রান্সে
সর্বনিম্ন বেতন কত টাকা দেওয়া হয় তা জেনে যাওয়া উচিত।
তাইতো আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি
ফ্রান্সের কোল কাজের চাহিদা বেশি সহ বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্স যেতে কত সময় লাগে,
ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফর বাংলাদেশী, ফ্রান্সে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়,
ফ্রান্সে বেতন কত সম বিস্তারিত তথ্য।তাই আশা করছি আজকে আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে
নিশ্চয়ই উপকৃত এবং তথ্যবহুল বলে মনে হয়েছে।
আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা আপনার মূল্যবান মতামতি অবশ্যই আমাদের
কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন এ ছাড়াও আপনি যদি প্রবাসী সম্পর্কিত আরো তথ্য পেতে
চান তবে আমাদের ওয়েবসাইটে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url