গর্ভাবস্থায় মায়ের ঠান্ডা লাগলে কি বাচ্চার ঠান্ডা লাগে জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় গর্ভাবস্থায় মায়ের ঠান্ডা লাগলে কি বাচ্চার ঠান্ডা লাগে এবং গর্ভাবস্থায় ঠান্ডা লাগলে করণীয় কি তা সম্পর্কে।আপনারা অনেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে অনলাইনে সার্চ করে জানতে চেয়েছেন গর্ভাবস্থায় মায়ের ঠান্ডা লাগলে কি বাচ্চার ঠান্ডা লাগে এবং গর্ভাবস্থায় ঠান্ডা লাগলে করণীয় সম্পর্কে।তাই আপনি যদি গর্ভাবস্থায় মায়ের ঠান্ডা লাগলে কি বাচ্চার ঠান্ডা লাগে না জেনে থাকেন তবে আর্টিকেল আপনার জন্য।
গর্ভাবস্থায়-মায়ের-ঠান্ডা-লাগলে-কি-বাচ্চার-ঠান্ডা-লাগে
আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি গর্ভাবস্থায় মায়ের ঠান্ডা লাগলে কি বাচ্চার ঠান্ডা লাগে এবং গর্ভাবস্থায় ঠান্ডা লাগলে করণীয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।একই সাথে গর্ভ অবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না, গর্ভবস্থায় মেথি খাওয়া যাবে কি, গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না তা জানতে পারবেন।তাই পোস্টটির সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃগর্ভাবস্থায় মায়ের ঠান্ডা লাগলে কি বাচ্চার ঠান্ডা লাগে।গর্ভাবস্থায় ঠান্ডা লাগলে করণীয়

উপস্থাপনা।গর্ভাবস্থায় মায়ের ঠান্ডা লাগলে কি বাচ্চার ঠান্ডা লাগে।গর্ভাবস্থায় ঠান্ডা লাগলে করণীয়

প্রতিটি গর্ভবতী মায়ের জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।কেননা আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা সে সমস্ত বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যা প্রত্যেকটি গর্ভবতী নারীর জন্য জেনে রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।তাই হয়তো অনেক গর্ভবতী নারী অনলাইন থেকে জানতে চেয়েছেন গর্ভাবস্থায় মায়ের ঠান্ডা লাগলে কি বাচ্চার ঠান্ডা লাগে ও গর্ভাবস্থায় ঠান্ডা লাগলে করণীয় সম্পর্কে।
তাই আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা গর্ভাবস্থায় সম্পর্কিত সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয়, গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে, গর্ভাবস্থায় বেশি ঝাল খেলে কি হয়, গর্ভাবস্থায় শরীরে পাতা খাওয়ার উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না এবং গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবেনা এ বিষয় সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পারবেন।পড়তে থাকুন।

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না

একজন নারী যখন গর্ভবতী হয় তখন কিন্তু তার মনে অনেক রকমের চিন্তাভাবনা আসে যে গর্ভবতী অবস্থায় সে কোন খাবার খাবে এবং কোন খাবার খাবে না কোন খাবারটা খেলে তার শিশুর জন্য ভালো হবে এবং কোন খাবারটা খেলে তার শিশুর জন্য ক্ষতি হবে। গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন রকমের ফল রয়েছে যেই ফলগুলো খাওয়ার কারণ নিয়ে শিশুর ক্ষতি হতে পারে যার কারণে এই ফলগুলো গর্ভ অবস্থায় খেতে মানা করা হয়।

আনারস: গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয় কারণ আনারসের ফলে জড়ায়ুতে তীব্র সংকোচন হতে পারে এর ফলস্বরূপ গর্ভপাত হতে পারে আনারসে থাকা ব্রোমেলাইন এনজাইম যা প্রোটিনকে ভেঙ্গে দেয় ফলে জরায়ু নরম হয়ে অকাল প্রস্রাব করতে পারে। এই জন্য গর্ব অবস্থায় আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

তেঁতুল: আপনি যদি গর্ভবতী হন তাহলে গর্ভ অবস্থায় টক কিছু খেতে ইচ্ছে হলে তেতুলের কথা মনে করতে পারেন তবে গর্ব অবস্থায় তেতুল খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে তেতুলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা নারীদের গর্ভপাত করতে পারে।

পেঁপে: পেঁপের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও ভিটামিন উপাদান থাকলেও গর্ভবতীদের জন্য এই ফল ভালো নয় কারণ পেপের মধ্যে থাকা ল্যাটেক্স যা শরীরে তাপমাত্রা বাড়িয়ে তুলে এবং জরায়ু সংকোচন করে রক্তপাত ও গর্ভপাত ঘটাতে পারে এটি ভ্রুনের বিকাশ করতে পারে তাই গর্ভাবস্থায় কাঁচা পাকা পেঁপে খাওয়া ভালো নয়।
আরো পড়ুনঃ
কলা: আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই প্রথম দিকে কলা খাবেন না কলাতে রয়েছে এলার্জি বা ডায়বেটিসের সমস্যা যাদের তাদের জন্য কলা খেতে মানা করা হয় এই সময় কারণ এটি একটি ল্যাটেক্স জাতীয় উপাদান।

তরমুজ: গর্ভবতী নারীদের জন্য শরীরে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয় এইজন্য পানি শূন্যতা হবে বলে অনেকেই মনে করে যে তরমুজ খেতে হবে তবে এটি আদ্রতা ধরে রাখার পাশাপাশি দেহ থেকে সব ধরনের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সক্ষম হয় তেমনি এর খারাপ দিকে রয়েছে। গর্ভাবস্থায় শরীরে তরমুজ খাওয়ার ফলে কিন্তু টক্সিন ধ্বংসের পাশাপাশি ব্রণের ক্ষতি করতে পারে।

আঙ্গুর: আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই এই সময় সবুজ ও কালো আঙ্গুর উভয় ধরনের আপনার ক্ষতি হতে পারে। কারণ আঙ্গুরে থাকা যৌগিক রেসভেরট্রোল গর্ভবতী নারীর জন্য বিষাক্ত হতে পারে গর্ভাবস্থায় কালো আঙ্গুরের চামড়ায়ে হজম করার কষ্টকর হয় কারণ এটি হজম করতে সময় লাগে।

গর্ভাবস্থায় মেথি খাওয়া যাবে কি

গর্ভবতী নারীরা হয়তো ভাবছে গর্ভাবস্থায় আপনারা কি পুষ্টি খাবার খাবেন এবং ডায়েটে কোন খাবার গুলো যোগ করবেন তার জন্য কিন্তু অনেকে মেথি ব্যবহার করতে চায়। আসলে গর্ভাবস্থায় মেথি খাওয়া নিয়ে সতর্ক থাকা বা এগিয়ে চলার কারণ সেই কোন আদিকাল থেকে বলা হয়ে আসছে। মিথির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে গর্ভবতী সমস্যা হতে পারে।

ন্যাচারোপ্যাথ এবং ডাক্তারদের মতে মেয়েটি একটি শক্তিশালী ভেষজ এবং মহিলাদের শরীরে কন্ট্রাকশন ঘটাতে পারে। যার ফলে অকাল প্রসাব বা গর্ভপাত অবধি হতে পারে। সাধারণত গর্ভাবস্থায় কঠোরভাবে মেথি খাওয়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতটাই কত যে মেথির শাক বা মেথির পরোটা খাওয়া বা অন্য কোন স্বার্থের পক্ষে উপকারী হলেও এই অবস্থায় এটা খাওয়া বারণ করা হয়।
আরো পড়ুনঃ
সাধারণত গর্ভাবস্থায় পরিমত ভাবে খাওয়া হলে কেবলমাত্র মেথি নিরাপদ। এছাড়াও অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ক্ষেত্রে মেথি খাওয়ার ফলে কিন্তু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। গর্ভাবস্থায় অত্যাধিক মেথি বা মেথি শাক খাওয়ার ফলে শিশুর জন্মগত বিকলাঙ্গতা নিয়ে জন্মাতে পারে। মেথি ব্যবহারের ফলে হবু মায়েদের শরীরে সংকোচন দেখা দিতে পারে এমনকি অনেকে মনে করেন গর্ভাবস্থায়। মেথি বীজের অত্যাধিক ব্যবহারের ফলে নবজাতক শিশু শরীরে অস্বাভাবিক গন্ধও হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না

আপনি যদি প্রথমবার গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার অনেক কিছু অজানা রয়েছে। যেহেতু আপনি প্রথমবার গর্ভবতী হয়েছেন। তাহলে কিন্তু আপনাকে গর্ব অবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না সে সম্পর্কেও জানতে হবে। কিছু মাছ রয়েছে যেগুলো গর্ভাবস্থায় খাওয়া থেকে মানা করা হয়। চিকিৎসকদের মতে, যে সকল মাছে অধিক মাত্রায় পারদ থাকে সেই সকল মাছ এই সময় খেতে মানা।
আরো পড়ুনঃ
যেসব সামুদ্রিক মাছে অধিক মাত্রায় পারদ সেগুলো অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খাওয়া উচিত নাই। যেমন : শার্ক, টুনা ইত্যাদি মাঝে বেশ ভালো পরিমাণে পদদ রয়েছে। তাই যারা নতুন গর্ভবতী হয়েছে তাদের এই সব মাছ এড়িয়ে চলাই ভালো। তবে চিংড়ি, স্যামন, তেলাপিয়স, মাগুর, শিঙি ইত্যাদি মাসে কম মাত্রায় পরদ থাকে।

তাই মাঝে মাঝে এই সব সমুদ্রের মাছ হবু মায়েদের জন্য খাদের তালিকায় রাখতে পারেন। এছাড়াও অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য চিংড়ি মাছ বেশ উপকারী। কারণে এটি শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজদের দারুন উৎস। চিংড়ি মাঝে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডে ভরপুর থাকায় সংক্রান্ত ঝুঁকি কমাতে সহযোগিতা করে এবং শিশু স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

গর্ভাবস্থায় সজনে পাতা খাওয়ার উপকারিতা

আপনি যদি গর্ভবতী নারী হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনাকে কিছু প্রাকৃতিক শাকসবজিও খেতে হবে খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে গর্ভাবস্থায় স্বজনের পাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে জানাবো শূন্যের পাতার মধ্যে প্রাকৃতিক ঔষধি গুনাগুন রয়েছে আমরা হয়তো আগে থেকে অনেকেই জানি।
আরো পড়ুনঃ
প্রাকৃতিক অনেক কিছু ওষুধ হিসেবে আমাদের চারিপাশে রয়েছে যা আমরা মানব শরীরের জন্য এক মহা আশীর্বাদ রয়েছে ঠিক তেমনি সুখরে সজনের পাতা শারীরিকভাবে উপকার করে এবং আমাদের নানাবিধের পুষ্টিগুণে ভরপুর রয়েছে সজনে পাতা। চলুন জেনে আসি সজনের পাতার উপকারিতা :
  • সজনের পাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • প্রায় মানুষের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় গর্ভাবস্থায় তাদের জন্য এটি বেশ উপকারী তাদের জন্য সজনের পাতা উপকারী।
  • হজমে সমস্যা হয় গর্ভাবস্থায় এই জন্য সজনের পাতা খেলে হজমে সমস্যা সমাধান হয়।
  • যাদের ত্বকের উপর বয়সের ছাপ পড়েছে তারা সজনের পাতা নিয়মিত খেলে আপনাদের এই সমস্যা দূর হবে।
  • শরীরের ব্যথার জন্য খুব ভালো সজনের পাতা।
  • বেশিরভাগ মানুষের পেটে গ্যাসের সমস্যা হয় সজনের পাতা খেলে খুব উপকার হয়।
  • প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে সজনের পাতার মধ্যে তাই এটি দাঁতের জন্য অনেক উপকারী।
  • এছাড়াও সজনের পাতার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ এটি চোখের জন্য মানুষের উপকার করে।
  • ক্যালসিয়াম খুব আধিক্য থাকায় হাড় মজবুত ও শক্ত করে সজনের পাতা।

গর্ভাবস্থায় মায়ের ঠান্ডা লাগলে কি বাচ্চার ঠান্ডা লাগে

আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে গর্ভাবস্থায় মায়ের ঠান্ডা লাগলে কি বাচ্চার ঠান্ডা লাগে। আসলে গর্ভাবস্থায় অনেক কিছু মেনে চলতে হয় কারণ গর্ভাবস্থায় একজন নারী শরীরের সাথে একজন নবজাতকের সম্পর্ক থাকে। গর্ভবতী মা যদি নিয়মিত ঠান্ডা পানি বা ঠান্ডা পানিতে গোসল করে তাহলে কিন্তু মায়ের সাথে শিশুরও ঠান্ডা জনিত সমস্যা হতে পারে।

মায়েরা যেসব খেলে ঠান্ডা লাগবে বা যে সব করলে ঠান্ডা লাগবে সেই সকল বাচ্চার ওপরও ইফেক্ট পড়ে। প্রথমত মায়ের ঠান্ডা লাগার যদি ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বাচ্চার অবশ্যই ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা আছে তবে এই নয় যে মায়ের দুধ খাচ্ছে বলে বাচ্চার ঠান্ডা লাগছে বা মা গর্ভাবস্থায় ঠান্ডা পানি খেয়েছে বা এমন কোন কাজ করেছে যার জন্য বাঁচারও ঠান্ডা লাগছে।

এক্ষেত্রে অবশ্যই বাচ্চাকে নার্সিং করাতে হবে কিন্তু বাচ্চার বয়স অনুযায়ী সে যতটুকু কম পারবে বাচ্চা সংস্পর্শে আসবে কিন্তু গর্ভবতী মায়ের সাথে বাচ্চা ঠান্ডা লাগার সম্পর্ক নেই। তবে অনেক সময় অতিরিক্ত গরমে ঘামের এসেও কিন্তু গর্ভবতী মায়ের ঠান্ডা লাগতে পারে এবং পেটের মধ্যে বেশি ঠান্ডা পানি খাওয়ার কারণে অনেক সময় বাচ্চা নিউমোনিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে থাকে।

গর্ভাবস্থায় ঠান্ডা লাগলে করণীয়

আপনি যদি গর্ভবতী নারী হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি এই সময়তে ঠাণ্ডা লাগে তাহলে আপনি সেই সময় কি করবেন ঠান্ডা লাগার কারণে কিন্তু আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় যার ফলে জড় সর্দি কাশি গলা ব্যথায় নানা রকমের সমস্যা সৃষ্টি হয় শরীরের মধ্যে তাই অনেকে ঘরোয়া প্রতিকার করতে চাই যে কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে ভালো হওয়া যায়।

আদা: আদায় রয়েছে এন্টি ইনফ্লুয়মেটরি অ্যান্টিভাইরাল অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা প্রতিকার করতে খুব সহযোগিতা করে। এক টুকরো আধা সামান্য মধু দিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া আদা চা বানিয়েও খেতে পারেন।

পর্যাপ্ত ঘুম : গবেষণা করে জানা গেছে যে দিনের পর দিন ঘুম ঠিকমতো না হলে ইউমিনিটি সিস্টেম উপর প্রভাব পড়ে এর ফলে কিন্তু একের পর এক রোগ লাগতেই পারে যার কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম অর্থাৎ গর্ভবতী অবস্থায় ৭ থেকে ৯ ঘন্টা টানা ঘুমাতে হবে এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে।
আরো পড়ুনঃ
হাইড্রেশন: গর্ভাবস্থায় সবসময় হাইড্রেট থাকা গুরুত্বপূর্ণ তাই প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। বিশেষ করে সর্দি, কাশি হলে আরো বেশি করে তরল পানি পান করুন। হাইড্রেশনের স্লেষ্মা পাতলা করতে সাহায্য করে। গবেষণায় জানা গেছে যে, উষ্ণ তরল পান করলে নাক দিয়ে পানি পড়া, গলা ব্যথা, ক্লান্তি, হাঁচি এবং কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

চিকেন স্যুপ: গর্ভবতী নারীদের ঠান্ডা লাগলে অবশ্যই চিকিৎসার পাশাপাশি চিকেন স্যুপ খাওয়াতে হবে। গবেষণা করে দেখা গেছে চিকেন স্যুপ সর্দি কাশি গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

হলুদ: হলুদের থাকা কার্ডিও মিন অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টি ইনফ্লিমেটারি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি হলুদের প্রধান উপাদান যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সর্দি কাশি গলা ব্যথা কমাতে সহযোগিতা করে। এক গ্লাস উষ্ণ দুধে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং এক চিমটি গোলমরিচ মিশিয়ে খান এছাড়া এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে আধা চা চামচ লবণ এবং হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে গলগল করুন দেখবেন আপনার ঠান্ডা লাগা ভালো হয়ে যাচ্ছে।

গর্ভাবস্থায় বেশি ঝাল খেলে কি হয়

আপনারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন গর্ব অবস্থায় বেশি ঝাল খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে আসলে আপনি যদি একজন গর্ভবতী নারী হয়ে থাকেন। তাহলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই এই সময়টাই আপনার বেশি যত্ন নিতে হবে। গর্ববতী মা অনেক রকমের জটিলতার মধ্যে দিয়ে তার জীবন পার করে। এই সময়টাতে অনেক রকমের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
আরো পড়ুনঃ
গর্ভাবস্থায় কিন্তু বেশি ঝাল জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে গেছে সমস্যা সৃষ্টি হয় এই জন্য আপনারা অবশ্যই গর্ব অবস্থায় খাদ্য খাওয়ার আগে একটু যাচাই বাছাই করে খাবেন কারণ যে সকল খাবার গুলোতে অতিরিক্ত ঝাল থাকে সেই সকল খাবার কিন্তু হজম হতে সমস্যা হয়। যেহেতু গর্ভাবস্থায় বিশেষ করে থার্ড ট্রাইমেস্টারে উচ্চ রক্তচাপের একটি ঝুঁকি থাকে তাই খুব বেশি লবণ খাওয়া যাবেনা।

এছাড়া লবণ ও অন্যান্য লবণযুক্ত বেশি খাবার খাওয়ার ফলে কিন্তু পায়ে পানি জমতে পারে। এই সময় ঝাল ঝাঁঝালো, তৈলাক্ত ও ক্যাফিন জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। কারণ গর্ভবতীর উচ্চ শর্করা জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো কারণ গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রয়েছে। অতিরিক্ত ঝাল খাওয়ার কারণে যে সকল সমস্যা হতে পারে :
  • গর্ভবতী নারীর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি হবে
  • উচ্চ রক্তচাপ তৈরি হতে পারে
  • মাথা ঘোরার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে
  • অন্ত্রের প্রদাহ বাড়তে পারে
  • ডায়রিয়ার মত সমস্যা তৈরি হতে পারে
  • বমি বমি ভাব বাড়তে পারে
তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন গর্ভবতী নারীদের অতিরিক্ত ঝাল খাওয়ার ফলে নানা রকমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এই জন্য ঝাল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় খাবার খেতে মন চায়। কিন্তু টক জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে হয়তো আপনার মনের দিক থেকে আপনার ভালো লাগতে পারে। তবে গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে এটা আপনারা কি জানেন আসলে গর্ভাবস্থায় কিন্তু অনেক খাবারই খাওয়া মানা রয়েছে। গর্ভধারণের প্রথম সময়ের দিকে অনেকে তেতুল কিংবা তেতুল্লতে তৈরি খাবার খেতে পছন্দ করেন।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেতুল কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশি তেঁতুল খাওয়া গর্ভধারণের পর শরীরের জন্য ক্ষতিকর বিশেষ করে প্রথম ট্রাইমেস্টারে অতিরিক্ত তেতুল খাওয়া উচিত নয়। তেঁতুল মায়ের শরীরে প্রোজেস্টেরন হর মনের উৎপাদন অনেকটাই কমিয়ে দেয়। এর কারণে তেতুলে অত্যাধিক মাত্রায় থাকা ভিটামিন সি যা গর্ভবতী নারীর জন্য ক্ষতি করে।

আর প্রোজেস্টেরনের উৎপাদন কমে গেলে শিশু সময় এর আগে জন্ম নেয় অর্থাৎ প্রিটার্ম বার্থের আশঙ্কা বেড়ে যায়। এছাড়া মায়ের গর্ভপাত হতে পারে এর পাশাপাশি অত্যাধিক ভিটামিন সি ভ্রূণের কোষ নষ্ট করে দিতে পারে। গর্বভাস্থায় নিয়মিত পরিমাণে তেঁতুল খেতে পারেন অর্থাৎ অত্যাধিক সব সময় সবকিছু খাওয়া ক্ষতি।

এটি বেশি আপনার গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে ।তাই যদি খেতে হয় তবে ১০ গ্রামের বেশি খাবেন না। সকালে খালি পেটে একেবারে তেঁতুল খাওয়া যাবেনা এতে আপনার গর্ভপাত হওয়া সম্ভব না বেড়ে যাবে। যদি খেতে হয় তাহলে খাবার গ্রহণের আধঘন্টা পর অল্প পরিমাণে খেতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয়

আপনারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন গর্ব অবস্থায় পানি কম খেলে কি হয় আসলে আপনারা তো জানেন যে স্বাভাবিক অবস্থাতে পানি খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য কতটা জরুরি তখন আপনি যদি গর্ভবতী নারী হয়ে থাকেন সেই সময় তাহলে পানি খাওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে আপনার শরীরের জন্য এটা অবশ্যই আপনাদেরকে মাথায় রাখতে হবে।

মানব শিশু মাতৃগর্ভে একটি তরলের মধ্যে থাকি এই তরলটিকে বলা হয় অ্যামিনিওটিক ফ্লুইড। গর্ভের এই তরল বা ফ্লইড ব্রণের প্রতিরক্ষা এবং লাইফকে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমের একটি অংশ গর্ভধারণের সাধারণত ১২ দিনের মধ্যেই অ্যামিনিওটিক ফ্লুইড উৎপন্ন হওয়া শুরু হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় তৃতীয় প্রাইম মাস্টারের আগ পর্যন্ত গর্ভে এমনিতেই ফ্লুইডের পরিমাণ বাড়তে থাকে।
আরো পড়ুনঃ
গর্ব অবস্থায় ঠিকমতো পানি খেতে হবে না হলে কিন্তু আপনার এই পানি ডিহাইডেশনের মত সমস্যা আপনার শিশুর এবং আপনার জন্য ক্ষতি করতে পারে শুধুমাত্র আপনার এই সময় পানির অভাব হলে হবে না যথেষ্ট পরিমাণে পানি না পান করলে আপনার শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়বে। আমাদের শরীরে প্রায় ৬০ শতাংশই পানি।

পানি শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর টক্সিনকে ধুয়ে বের করতে সাহায্য করে শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মস্তিষ্ক সতল রাখে শরীরের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ বলে পানির অপর নাম জীবন। প্রেগনেন্সিতে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে যদি আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পান করেন গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পানি গুরুত্বপূর্ণ।

লেখকের মন্তব্য।গর্ভাবস্থায় মায়ের ঠান্ডা লাগলে কি বাচ্চার ঠান্ডা লাগে।গর্ভাবস্থায় ঠান্ডা লাগলে করণীয়

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যে বিষয়গুলোর সম্পর্কে আপনারা জানতে অনলাইনে সার্চ করছিলেন তাহলে গর্ভাবস্থায় মায়ের ঠান্ডা লাগলে কি বাচ্চার ঠান্ডা লাগে এবং গর্ভাবস্থায় ঠান্ডা লাগলে করণীয় সম্পর্কে।নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে আজকের আর্টিকেল সম্পন্ন পড়ে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন।
আরো পড়ুনঃ 
একজন গর্ভবতী নারীকে সবসময়ই তার প্রতি খেয়াল ও যত্ন রাখতে হবে।আপনার এবং আপনার আশেপাশে যদি কোন গর্ভবতী নারী থাকে তবে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে।হতে পারে এই আর্টিকেলটি গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকৃত।এছাড়াও আজকের পোস্টটি পড়ে আপনার কাছে কেমন লেগেছে বা আপনার কোন মূল্যবান মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url