সকালে খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

সকালে খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা জেনে রাখা উচিত এর সাথে অবশ্যই প্রতিদিন ২টা করে ডিম খেলে কি হয় এ বিষয়ে সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত।তাহলে খুব সহজেই সকালে খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও প্রতিদিন ২টা করে ডিম খেলে কি হয় এগুলো সম্পর্কে জানা যাবে।
সকালে-খালি-পেটে-সিদ্ধ-ডিম-খাওয়ার-উপকারিতা
আমাদের বাড়িতে যদি প্রতিদিন সকালে ডিম সিদ্ধ থাকে আর সকালে খালি পেটে ডিম সিদ্ধ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে না জেনে থাকি তার জন্য কি সিদ্ধ ডিম খেলে কি গ্যাস হয় এবং প্রতিদিন ডিম খেলে কি ক্ষতি হয় তা জানতে হবে।তাহলে চলুন প্রতিদিন ২টা করে ডিম খেলে কি হয় জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃসকালে খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা।প্রতিদিন ২টা করে ডিম খেলে কি হয়

ভূমিকা।সকালে খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা।প্রতিদিন ২টা করে ডিম খেলে কি হয়

ডিম মানব দেহের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাদ্য প্রতিনিয়ত সিদ্ধ ডিম খাওয়া যায়।তবে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার পূর্বে আপনাকে কিছু বিষয় সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে।তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে চলেছি সকালে খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা এবং প্রতিদিন ২টা করে ডিম খেলে কি হয় তা সম্পর্কে।
একই সাথে গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন ডিম খাওয়া যাবে কি, বাচ্চাদের ডিম খাওয়ার নিয়ম, রাতে ডিম খেলে কি হয়,প্রতিদিন ডিম খেলে কি ক্ষতি হয় এগুলোর বিষয় সম্পর্কে আমাদের সকলের জেনে রাখা উচিত তাই আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন সকালে খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।

ডিম খাওয়ার সঠিক সময় কখন

ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাদ্য প্রতিদিন এর খাবারের মধ্যে ডিম রাখতে হবে কারণ ডিম আমাদের শক্তি বর্ধক খাবার। শুধু ডিম খেলে হবে না কখন ডিম খাওয়া সবচেয়ে বেশি পুষ্টিকর সেই সম্পর্কেও জানতে হবে অনেকেই জানতে চায় ডিম খাওয়ার সঠিক সময় কখন। ডিমু পুষ্টিগুনে ভরপুর যার কারণে দুটি ডিমে প্রায় ১৩ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় সেই সঙ্গে এতে আরো পাওয়া যায় ১৫৫ ক্যালরি অত্যন্ত উপকারী।

এই খাবারে থাকে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি৬, কোবালমিন, ভিটামিন ডি তাই নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেয় পুষ্টিবিদরা এতে সহজে সুস্থ থাকা যায়। পুষ্টিবিদদের মতে ডিমে প্রচুর প্রোটিন রয়েছে আমাদের শরীরে খুব সহজে এই প্রোটিনের বেশিরভাগ অংশগ্রহণ করে যে কারণে শরীরে প্রোটিনের ঘাটিমিটি সহজে ডিম খাওয়ার ফলে সেইসাথে পেশি শক্তিশালী হয়।

ডিমে আরো থাকে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম হাড় ভালো রাখতে এই দুই উপাদানের বিকল্প নেই। পুষ্টিবিদদের মতে, সকালে ডিম খাওয়ার বিষয়েই তারা বলে থাকেন কারণ সকালবেলায় খাবারটা ভারী হলেও খুব একটা সমস্যা হয় না সকালের নাস্তায় ডিম খেলে তার সবটুকু পুষ্টি শরীর কাজে লাগাতে পারে।
তবে দুপুরের পর ডিম না খাওয়াই ভালো এতে করে গরমে শরীর আরো গরম হয়ে যেতে পারে রাতের দিকে শরীরে খুব বেশি শক্তির দরকার পড়ে না তাই রাতেও ডিম বাদ দেওয়া যেতে পারে আর রাতে খেতে চাইলে ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন।এছাড়া আর যদি আপনারা ডায়াবেটিস কোলেস্ট্রল এবং উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যা থাকে তবে ডিম মেপে খেতে হবে।

এক্ষেত্রে সমস্যা কতটুকু তার ওপর ভিত্তি করে পুষ্টিবিদদের তালিকা ঠিক করে দিবেন যদি ডিম খেতে নিষেধ করে থাকে তাহলে এড়িয়ে চলবেন তবে ডিমের সাদা অংশ পেলে খুব একটা সমস্যা হবে না করার কারণে যদি ডিমের কুসুম না খান তবে ছানা, মুরগির বুকের মাংস, পনির, ছোট মাছ ইত্যাদির মাধ্যমে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে পারবেন।

সকালে খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা

আপনারা কি সকালে খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান অনেকে হয়তো জানে না যে সকাল বেলায় খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খেলে কি উপকার পাওয়া যায় বিভিন্ন রকমের উপকারিতা পাওয়া যায় পুষ্টিবিদদের মতে, সকালের নাস্তা একটি করে ডিম খাওয়া শারীরিক বিভিন্ন রোগের সমাধান করতে পারে জেনে নিন সকালের নাস্তায় সিদ্ধ ডিম খেলে কি কি উপকার পাবেন।

কাজের শক্তি বৃদ্ধি: ডিম এনার্জির একটি ভালো উৎস যার ফলে ডিমে থাকা ভিটামিন থেকে মূলত এই এনার্জি বা শক্তি পাওয়া যায় এতে থাকে ভিটামিন বি খাদ্যকে এনার্জি শক্তিতে রূপান্তর করে তাই প্রতিদিন সকালের নাস্তা একটি সিদ্ধ ডিম খেলে সারাদিন ক্লান্তিহীন থাকবেন।

চুলের জন্য ভালো: সিদ্ধ ডিমের প্রাকৃতিক ভাবে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছেন শরীরের মাংসপেশি গঠনের জন্য প্রোটিন একটি জরুরী খাদ্য উপাদান। প্রোটিন শরীরের সব কোষ গঠনে সহায়তা করে এবং চুলের জন্য একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। প্রতিদিন খাবারের ১০ থেকে ৩০% পর্যন্ত আমাদের শরীরে প্রোটিন থাকা দরকার। সকালের নাস্তায় এটি সিদ্ধ ডিম খেলে ছয় গ্রামের বেশি প্রোটিন পাওয়া যায় তা আপনার শরীরের জন্য উপকারী।

ওজন কমাতে সাহায্য করে : অনেকেরই ওজন বৃদ্ধি হওয়ার ফলে কিন্তু ভয় পায়। যে ডিম খাওয়ার ফলে হয়তো ওজন আরো বেড়ে যাবে। আসলে ওজন কমাতেও সহযোগিতা করে ডিম। ডিমে উচ্চ প্রোটিন সামগ্রী জন্য আপনারা মনে করেন যে ডিম খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়। নয় এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা তাই সকালের নাস্তায় অমলেট হোক বা সিদ্ধ ডিম অনেকক্ষণ আপনার পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বারবার খাওয়া চাহিদা কমে যাবে এদের ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে না।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: ডিম খাওয়ার পরে উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন বেড়ে যায়। যার ফলে ভালো কোলেস্টেরল নামেও পরিচিত। যাদের হৃদরোগ স্ট্রোক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি কম একটি সমীক্ষা অনুসারে ছয় সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন দুটি ডিম খেলে এইচডিএল এর মাত্রা ১০% বেড়ে যায়।

সিদ্ধ ডিম খেলে কি গ্যাস হয়

ডিম আমাদের সকলেরই পছন্দের একটি খাদ্য কিন্তু এই খাদ্যটি সকলের খাদ্য তালিকায় রাখা হয়। তবে সিদ্ধ ডিম খেলে অনেকের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যাটি শুধু যাদের অতিরিক্ত ডিম খাওয়া বা যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদেরই দেখা দেবে।বেশি ডিম খেলে বিশেষ করে ডিমের কুসুম খেলে রক্তের কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে রক্তের কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হাটের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে ডিমের কিছু ভালো ফ্যাট থাকে।
তবে সেচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা শরীরের জন্য ভালো নয়। আপনারা অনেকেই জানতে চাচ্ছি যে ডিম খেলে কি গ্যাস হয়। ডিমে অনেকের এলার্জি থাকে সে ক্ষেত্রে এরকম কেউ বেশি ডিম খেলে এলার্জিজনিত সমস্যা হতে পারে বেশি করে ডিম খেলে পেটে গ্যাস বা অসুতির মত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন সিদ্ধ ডিম খাওয়ার ফলে যাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তাদের কিন্তু অতিরিক্ত ডিম খাওয়ার হলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আরো বেড়ে যাবে।

প্রতিদিন ডিম খেলে কি ক্ষতি হয়

আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন প্রতিদিন ডিম খেলে কি ক্ষতি হয় আসলে অনেকেই জানেনা যে প্রতিদিন ডিম খেলে ক্ষতি হয় নাকি উপকার হয়। আসলে প্রতিদিন ডিম খাওয়ার ফলে কিন্তু আমাদের সাস্টের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়। ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি উপাদান তবে যাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে।

তারা কিন্তু ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারণ তাদের যদি ডাক্তার মানা করে থাকে যে ডিম খাওয়াতে সমস্যা তাহলে তাদের ডিম খেলে সমস্যা হবে। ডিমে দুই-তৃতীয়াংশ সাদা অংশ আর একটি টি অংশ হতে হলুদ অংশ বা কুসুম সাদা অংশে মূলত প্রোটিন আর হলুদ অংশে থাকে ফ্যাট বাস স্নেহ প্রোটিন ও কোলেস্টেরল।এছাড়া আর যদি আপনারা ডায়াবেটিস কোলেস্ট্রল এবং উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যা থাকে তবে ডিম মেপে খেতে হবে।
এক্ষেত্রে সমস্যা কতটুকু তার ওপর ভিত্তি করে পুষ্টিবিদদের তালিকা ঠিক করে দিবেন যদি ডিম খেতে নিষেধ করে থাকে তাহলে এড়িয়ে চলবেন তবে ডিমের সাদা অংশ পেলে খুব একটা সমস্যা হবে না করার কারণে যদি ডিমের কুসুম না খান তবে ছানা, মুরগির বুকের মাংস, পনির, ছোট মাছ ইত্যাদির মাধ্যমে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে পারবেন।

ডিমের সাদা অংশে যেহেতু খুব ভালো প্রোটিন। এলবুমিন আছে তাহলে বেশি করে খাওয়া যাবে মাংসপেশি বাড়ানোর জন্য অনেকে একদিনে বেশ কয়টি ডিম খেয়ে ফেলেন এতে আপনার শরীরের নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এইজন্য অবশ্যই ডিম খাওয়াতে সতর্কতা অবলম্বন করবেন। হার্টের রোগ আছে এরকম রোগীদের ডিমের কুসুম খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়। এমনকি ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে।

রাতে ডিম খেলে কি হয়

অনেকে সারাদিন পরিশ্রম করে আসার পরে কিন্তু আর শক্তি পায় না যার ফলে কিন্তু তারা রাতে ডিম খেতে চায় যার ফলে কিন্তু এনার্জি বুঝতে হয় ডিম খাওয়ায়। আপনারা জানতে চেয়েছেন রাতে ডিম খেলে কি হয় রাতে ডিম খাওয়ারও বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে চলুন জেনে নেওয়া যাক রাতে ডিম খাওয়ার উপকারিতা গুলো।

ঘুম ভালো হয়: ডিম মেলাটোনিনের বড় উৎস ভালো ঘুমের জন্য বেশ সহায়ক। মেলাটোনিনের বড় ভূমিকা রয়েছে ডিমে এটি স্নায়ু কোষের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহযোগিতা করে এবং শরীরকে ঘুমাতে যাওয়া সংকেত দেয়। মেলাটোনিন হলো এমন একটি হরমোন যা শরীরে ঘড়ি সেট করে এবং ঘুম ভালো হতে বড় উৎস রাখে।

শরীরে ভালো কোলেস্টেরল জমা হয়: ডিম হাড় এবং মস্তিষ্কের কোষগুলোর কার্যকারিতা ও উন্নত করে রাতে ডিম খেলে তার শরীরের ভালো কোলেস্টেরল জমা করে এবং সকালে সূর্য সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে শরীর তা থেকে ভিটামিন ডি তৈরি করতে শুরু করে।

পাকস্থলীর গতি বাড়ায়: রাতে ডিম খাওয়ায় ওজন কমাতে দুই ভাবে কাজ করে প্রথমে এটি পাকস্থলীর গতি বৃদ্ধি করে এবং দ্বিতীয় এটি প্রোটিন দীর্ঘ কোন শরীরকে পরিপূর্ণ রাখে ফলে রাতে বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে। হরমোনের কার্যকারিতা ব্যবহারসমূহ বজায় রাখে এবং শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
মন শান্ত করে: ডিমে প্রচুর টিপটপ ফ্যান থাকে যা মানসিক চাপ কমাতে সহযোগিতা করে টিপটোফেন মন শান্ত করে এবং শরীরের হরমোনের ব্যাঘাত কমায় এই কারণে রাতে ডিম খেলে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

ডিম খাওয়ার সঠিক নিয়ম

আপনারা কি জানেন ডিম খাওয়ার একটি সঠিক নিয়ম আছে যে নিয়মে ডিম খেলে আপনার শরীরের জন্য এটি উপকার হবে শরীরকে আরো বেশি তরতাজা রাতে ডিম আপনার শরীরের জন্য একটি হতে পারে সুপার ফুড। কারণ ডিমের মধ্যে রয়েছে উচ্চ প্রোটিন প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ।অনেকেই কোলেস্টেরলের ভয় কিন্তু ডিম খায় না এটি কিন্তু ঠিক নয়।

কারণ একটি ডিমে 886 মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে যা খুব বেশি নয়। একটি সিদ্ধ ডিম রয়েছে ৭৮ ক্যালোরি ৬.৩ গ্রাম প্রোটিন ৫.৩৪ গ্রাম ফ্যাট ও সামান্য কার্বোহাইড্রেট। এছাররাও ডিমে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সেলোনিয়াম, ফসফোরিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন-বি৫, ভিটামিন ডি, জিংক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,কোলিন, লুইটেন জেনক্সিন।
ডিম খাওয়ার নিয়ম :
কেউ যদি ক্যালরি ওজন বা কোলেস্টেরল কমানোর কথা মনে করেন তাহলে ফ্যাটি লিভারের কথা ভাবেন তাহলে ডিম সিদ্ধ বা পানিতে পোচ করে খাবেন কারণ এখানে কোন তেল থাকবে না।
ডিমে পুষ্টি সর্বাধিকে পেতে যতটা সম্ভব কম তাপমাত্রায় স্বল্প সময়ে রান্না করুন।

প্রচলিত ডিমে চেয়ে অর্গানিক ডিমের বেশি পুষ্টিকর বেশি প্রাকৃতিক চরণ করা মুরগির ডিমে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। প্রচলিত ডিমের চেয়ে তিনগুণ বেশি এছাড়া ওমেগো থ্রি যুক্ত ডিমে উপকারী চর্বি পাওয়া যায় তাই হৃদরোগ কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য এই ডিম খাওয়া ভালো।
  • ডিম রান্না করার খেতে রে ভালো তেল নির্বাচন করে উত্তম যেমন অ্যাভোকাডো, এক্সট্রা ভার্জিন জলপাই তেল।
  • ডিমে কোন ফাইবার থাকে না ডিমের সঙ্গে ফাইবার তথা আশি হিসেবে খেতে পারেন পালংশাক, বাঁধাকপি, ব্রকলি, ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ, মরিচ ইত্যাদি।
  • ডিম চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন হাওয়ায় একে সামান্য তেল দিয়ে খেলে সহজে শরীরে শোষিত হবে। তবে অবশ্যই বেশি তেল দিয়ে দীর্ঘ সময় ভাজা যাবে না।

প্রতিদিন ২টা করে ডিম খেলে কি হয়

স্বাভাবিক ব্যক্তির প্রতিদিন দুইটা করে ডিম খাওয়া উচিত এতে আপনার শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য উপকার হবে প্রতিদিন ২টা করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ পুষ্টিবিদরা দিয়ে থাকেন দিয়ে থাকেন। অনেকে মনে করে যে দুইটা ডিম খেলে হয়তো শরীরের ক্ষতি করবে আসলে এমনটি নয় আপনার শক্তিবর্ধকের কাজ করবে ডিম। সারাদিন কাজ করার শক্তির চাহিদা মিটিয়ে দিবে ডিম খাওয়ার ফলে আপনার এনার্জি বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি যেকোনো কাজ করার প্রতি আগ্রহী হবেন।

ডিম স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার শরীরে নানা প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। ডিম নানা অসুখ-বিসুখে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা করতে পারে ডিম। ডিম সেদ্ধ করে খান বা পোঁদ করে খান ভেজে ভাবেন খান সব ভাবে কিন্তু শরীরের জন্য উপকারী। প্রতিদিন যদি দুইটি করে ডিম খান তাহলে আপনার শরীরের জন্য কি উপকার পাওয়া যায় আপনারা হয়তো জানেন না।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রতিদিন দুটো করে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় বরং বেশ উপকার করে। প্রতিদিন দুইটি ডিম খেলে উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহযোগিতা করে। টানা ছয় সপ্তাহ প্রতিদিন দুইটি ডিম খেলে তবে উপকার পাবেন।

প্রতিদিন দুইটি করে ডিম খেলে তাতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, বায়োটিন,থিয়ামিন এবং আরো কিছু উপকারী উপাদান রয়েছে। যা ত্বক, চুল এবং নখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারে ত্বকের ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে দেয় না। নখ ভেঙে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে খুবই উপকারী ডিম খাওয়া দৃষ্টি শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।

ডিমে রয়েছে ওমেগো-৩, ফ্যাটি এসিড এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট যা চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহযোগিতা করে। স্মৃতিশক্তি উন্নত করে মস্তিষ্ক সচল রাখতে পারে ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমানে উপকারী উপাদান। পেশি গঠনে যা অত্যন্ত সহায়ক যারা ওজন বাড়াতে চাইছেন তারা নিয়মিত খাদ্য তালিকায় ডিম রাখতে পারেন।

বাচ্চাদের ডিম খাওয়ার নিয়ম

আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন বাচ্চাদের ডিম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা যখন শিশুদের ডিম খাওয়ায় তখন সঠিক নিয়মে ডিম খাওয়াচ্ছি তো বাচ্চাদের কিন্তু ডিম খাওয়ার জন্য সঠিক নিয়ম অবলম্বন করতে হবে। শিশুদের ৮ মাস বয়সের পর থেকে আমরা কিন্তু ডিম খাওয়াতে পারবেন। শিশুর যখন আট মাস বয়স হবে তখন থেকে ডিমের কুসুম খাওয়ানো শুরু করা যাবে।

হজম হয় তাহলে অবশ্যই পুরো ডিম একটি করে প্রতিদিন খাওয়ানো যাবে। প্রয়োজনীয় পরিমাণে প্রোটিন সরবরাহ করে ডিমের কোলিন থাকে যা মস্তিষ্কের বৃদ্ধি এবং বুদ্ধি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সিদ্ধ ডিম শিশুকে অনেক রোগ থেকে বাঁচার প্রতিদিন ডিমের মধ্যে প্রায় ৭০ রকমের ক্যালরি থাকে যা বাচ্চার জন্য প্রতিদিনের ক্যালরি পূরণ করে।

পুষ্টিবিদদের মতে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে ডিম ভালো করে সিদ্ধ করে শুধু কুসুম টুকু খাওয়াতে পারবেন এই কুসুম ভাত সবজি কিংবা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে পারবেন এই বয়সে কোনভাবে ডিমের সাদা অংশ খাওয়ানো যাবে না। কিন্তু শিশুর বয়স এক বছর হয়ে গেলে সম্পূর্ণ ডিম শিশুকে খাওয়ানো যাবে ।

মেধার সঠিক বিকাশে শিশুকে এই বয়সে প্রতিদিনই একটি করে ডিম খাওয়ানো যাবে। এক বছরের উপর থেকে তিন বছর পর্যন্ত শিশুর প্রতিদিনের প্রোটিনের চাহিদা থাকে ১৪ গ্রাম। সাধারণত একটি সিদ্ধ ডিমের ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। যদি শিশুর ডায়েটে এই সময় ডাল মাংস বা মাছ রাখা হয় তবে ডিম খাওয়ার শুরু করতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন ডিম খাওয়া যাবে কি

বিমোত্য পুষ্টিকর একটি উপাদান ডিমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা গর্ভবতী অবস্থায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন ডিম খাওয়া যাবে কিনা এই সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানতে চান প্রতিদিন আপনি যদি গর্ভবতী নারী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ডিম খাওয়ার জরুরী। ডিম বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় এর মধ্যে সিদ্ধ, পোচ, ভাজা,ওমলেট,বেক ইত্যাদি বেশ জনপ্রিয়।

বেশিভাগ মানুষই সিদ্ধ ডিম খেতে পছন্দ করে। তবে সিদ্ধ ডিম অন্তঃসত্ত্বের নারীদের খাওয়া উচিত কিনা এই নিয়ে অনেকেই আবার ভাবেন। ডিম খনিজ, ভিটামিন এবং ভালো ফ্যাট দ্বারা সমৃদ্ধ হওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা নারীরা সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন। গর্ভাবস্থায় সিদ্ধ ডিম খেলে মা এবং শিশু শরীরের সব গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি সরবরাহ করবে। প্রতিদিন এক থেকে দুইটি সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন।

প্রতিটি ডিমে প্রায় ১৮৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। মানবদেহে দৈনিক প্রায় ৩০০ মিলিগ্রাম প্রয়োজন হয়। তাই গর্ভবতী মায়ের কোলেস্ট্রল স্তর বিবেচনা করে সিদ্ধ ডিম খাওয়া উচিত। এছাড়াও সিদ্ধ ডিম শিশুর বৃদ্ধি বাড়াতে প্রয়োজনীয় পরিমাণে প্রোটিন সরবরাহ করে। ডিমে কোলিন থাকে।

যা মস্তিষ্কের বৃদ্ধি এবং বুদ্ধি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা লেখে সিদ্ধ ডিম শিশুকে অনেক রোগ থেকে বাঁচায়। প্রতিটি ডিমের মধ্যে প্রায় ৭০ রকমের ক্যালরি থাকে যা শিশু ও মায়ের জন্য প্রতিদিনের ক্যালরির প্রয়োজনীয়তা একটি অংশ পূরণ করতে সহায়তা করে।

লেখকের মন্তব্য।সকালে খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা।প্রতিদিন ২টা করে ডিম খেলে কি হয়

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলে আলোচনার বিষয় থেকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি সকালে খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা এবং প্রতিদিন ২টা করে ডিম খেলে কি হয় এ বিষয় সম্পর্কে সকল তথ্য।আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে ডিম খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানতেও বুঝতে পেরেছেন।

আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা আপনার মূল্যবান মতামতই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন।এছাড়া আপনি যদি কোনদিন আপডেট আর্টিকেল পেতে চান?তবে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন।আজকে আর্টিকেলের মধ্যে কোথাও ভুল ভ্রান্তি হয়ে থাকলে আমাদের ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url