গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা - প্রতিদিন কতটুকু দুধ খাওয়া উচিত
গরুর দুধ কম বেশি আমরা সকলেই খেয়ে থাকি আমাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ
করতে।তাই আজকে আমরা জানতে চলেছি গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা ও প্রতিদিন
কতটুকু দুধ খাওয়া উচিত এ বিষয় সম্পর্কে।আপনারা যারা নিয়মিত গরুর দুধ খেয়ে
থাকেন তাদের জন্য গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা ও প্রতিদিন কতটুকু দুধ খাওয়া
উচিত জেনে রাখা উচিত।
সেইসাথে গর্ভাবস্থায় দুধ খাওয়ার সঠিক সময়, দুধ কখন খাওয়া ভালো, রাতে দুধ
খাওয়ার উপকারিতা, দুধে কি কোলেস্টেরল আছে এবং দুধের পুষ্টিগুণ উপাদান সম্পর্কে
জানবো।তাই আজকের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জানুন গরুর
দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা ও প্রতিদিন কতটুকু দুধ খাওয়া উচিত।
আর্টিকেল সূচিপত্রঃগরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা প্রতিদিন কতটুকু দুধ
খাওয়া উচিত
গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনারা যদি গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের
আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিবেন গরুর দুধের মধ্যে কি কি
উপকারিতা রয়েছে কারণ গরুর দুধ একটি পুষ্টি উপাদানের ভরপুর খাদ্য যা খাওয়ার
ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
উপকারিতা:
- দুধ খেলে রাতে ঘুম না আসা থেকে রে হায় পাওয়া যায় দুধ নিয়মিত খেলে ঘুম ভালো হয়।
- দুধের অনেক উপকার রয়েছে তার মধ্যে দুধের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের হাড় শক্ত করে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে বাঁধা দেয়।
- শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করতে এক গ্লাস দুটি যথেষ্ট এইজন্য দুটি থাকা পুষ্টি উপাদান শরীরের শক্তির যোগান দেয়।
- প্রতিদিন রাতে যদি দুধ পান করা যায় তাহলে কোলেস্টেরল অনেকটা কম হয় তবে সেই দুধ "লো ফ্যাটের" হতে হবে।
- দাঁতের জন্য ক্যালসিয়াম অনেক প্রয়োজনীয় এই জন্য দূরে থাকা ক্যালসিয়াম থেকে দাঁতের সুস্থতা বজায় রাখে।
- দুধে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল শরীরকে ফিট রাখে ও মস্তিষ্ক শিথিল করে মানসিক চাপ কমায়।
- দুধের রয়েছে অনেক পরিমাণে প্রোটিন যা মাংসপেশি সবল করে এবং শারীরিক বৃদ্ধি করে।
- পিরিয়ডের সময় পেটের ব্যথা ও গ্যাসের সমস্যা থাকলে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ পান করলে আরাম পাওয়া যায়।
- আমাদের ত্বকে সুস্থ ও সুরক্ষা দেয় নিয়মিত দুধ পান করার জন্য ত্বক সুন্দর রাখতে নিয়মিত দুধ পান করতে হবে।
- নিয়মিত এক গ্লাস দুধ পান করলে শরীরের অন্যান্য চাহিদা অনেক কম হয় এবং দূর থেকে যে পুষ্টি পাওয়া যায় তা দিয়ে অন্য খাবারে চাহিদা কম হয়।
অপকারিতা:
দুধ একটি ভালো খাদ্য হলেও কিছু মানুষের কিন্তু দুধ খাওয়ার ফলে বিভিন্ন রকমের
সমস্যা দেখা দেয় এইজন্য যাদের বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে তারা কিন্তু দুধ খাওয়া
থেকে বিরত থাকবেন কারণ ডাক্তার বলেছেন, যাদের দুধ খাওয়ার ফলে সাইড ইফেক্ট বা
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাদের দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন কয়টা কাজু বাদাম খাওয়া উচিত
অনেকেরই দুধ খাওয়ার ফলে কিন্তু এলার্জি সমস্যা দেখা দেয় তারা কিন্তু অবশ্যই
দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারণ এলার্জি দেখা দিলে কিন্তু দুধ খাওয়া যাবে না
আবার আলসারের সমস্যাও দেখা দিতে পারে দুধ খাওয়ার ফলে এই জন্য যাদের এই সমস্যা
গুলো দেখা দিবে তারা দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। অনেক সময় দুধ খাওয়ার ফলে
ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়।
যাদের শরীরে ল্যাক্টোজের নামক এনজাইমের অভাব তারা দু'ধ হজম করতে পারে না তাই
তাদের দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে আবার অনেকের অপারেশন হলে দুধ খাওয়া থেকে
বিরত থাকতে বলা হয় পেটের সমস্যা থাকলে দুধ না খাওয়াই ভালো কারণ হজম হতে
সমস্যা হয় দুধ। অনেকের দুধ খাওয়ার ফলে কিন্তু পেটে সমস্যা বৃদ্ধি পায় তাই
তারা দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
প্রতিদিন কতটুকু দুধ খাওয়া উচিত
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যে প্রতিদিন কতটুকু দুধ খাওয়া উচিত স্বাস্থ্যের জন্য
কতটুকু দুধ খেলে সুবিধা হবে এবং কোন ক্ষতি করবে না তার জন্য কিন্তু আপনাদেরকে
আজকের আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিতে হবে প্রতিদিন কতটুকু
দুধ খাওয়া উচিত।
দুধের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খনিজ প্রোটিন এবং উপকারী ফ্যাটের ভাণ্ডার
রয়েছে তাই দুধের গ্লাসে চুমুক দিলেই যে দেহের পুষ্টির ঘাটতি মিটে যাবে এমন
কিছু নয়। অতিরিক্ত দুধ খাওয়ার ফলে কিন্তু বিভিন্ন রকমের সমস্যা সৃষ্টি হতে
পারে এর জন্য বিশেষজ্ঞরা বলেছে, দিনে ১ থেকে ২ গ্লাস দুধ খাওয়া যাবে। কিন্তু
এর বেশি দুধ খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে এই জন্য নিয়মিত যদি দুধ খেতে চান
তাহলে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ আপনার জন্য স্বাস্থ্যকর।
দুধে কি কোলেস্টেরল আছে
ডায়াবেটিস, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ রোগের মত বিভিন্ন কারণ হচ্ছে খারাপ
কোলেস্টের হৃদরোগ কে চিকিৎসকদের মধ্যে খাবারের মাধ্যমে দেহে মাত্রা অতিরিক্ত
কোলেস্ট্রল প্রবেশ করলে বাড়ে ঝুঁকি এই জন্য অতিরিক্ত শর্করাযুক্ত খাবার খেলে তা
পরিণত হয় ফ্যাটে। তখন দেহের কোষগুলি বেশি পরিমাণ কোলেস্টেরল তৈরি করে।
এই জন্য চিকিৎসকরা বলেছে দুধ বা দুধ জাতীয় খাবার খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে
যাওয়ার ধারণা একেবারেই ভুল দেখে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিতে দুধের কোন ভূমিকা
নেই। কোলেস্টেরল বলতে আমরা কেবল চর্বিকে বুঝি এটি আসলে এক ধরনের লিপিড স্টার
যেখানে ফ্যাট ও প্রোটিন দুইটাই থাকে।
আমাদের দেহে খারাপ ও ভালো দুই প্রকারের কোলেস্টেরল থাকে খারাপ কোলেস্টেরলকে ' লো
ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন'(এলডিএল) এবং ভালো কোলেস্টেরলকে 'হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন'
(এইচডিএল)বলা হয়।
আরো পড়ুনঃ
পুরুষদের জন্য খেজুরের উপকারিতা জানুন
খারাপ কোলেস্টেরলকে শোষণ করে এবং শরীর সুস্থ রাখে এইচডিএল। একই সঙ্গে হৃদরোগের
ঝুঁকি কমা শরীরে এই কোলেস্টেরল সঠিক মাত্রায় বজায় রাখা জরুরী খাদ্য তালিকা ও
জীবনযাত্রা কিছু পরিবর্তন এর মাত্রা স্বাভাবিক রাখা যায়। বিভিন্ন গবেষণা থেকে
জানা গেছে যে দুধ পান করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় না।
এই গবেষণাতে বলা হয়েছে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় দুধ। যারা
নিয়মিত দুধ পান করে তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আরেক সংখ্যা প্রায় চোদ্দ
শতাংশ হ্রাস পায় পরিমিত পরিমানে দুধ পান করলে ওজন বাড়ানো কোন আশঙ্কা থাকে না।
সুস্থ থাকতে সবারই দুধ পান করা উচিত এতে থাকা ক্যালসিয়াম হারমজবুত করে সাহায্য
করে।
দুধের পুষ্টিগুণ উপাদান
দুধ অত্যন্ত পুষ্টি উপাদান এই দুধ খাওয়ার ফলে কিন্তু আমরা অনেক পুষ্টি উপাদান
পেয়ে থাকি দুধের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম,
ভিটামিন বি১২,পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, আয়োডিন, ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন
ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান দুধের মধ্যে রয়েছে।
চিকিৎসক মতে, দুধ খাওয়া যাবে নিয়মিত তবে তা খেতে হবে সঠিক পরিমাণে। সপ্তাহে ৪
থেকে ৬টি ডিম দুইবার মুরগির মাংস এক গ্লাস দুধ দেহের কোন ক্ষতি করে না বরং উপকার
করবে। এক গ্লাস দুধে পুষ্টিতে ভরপুর কেবল এক গ্লাস দুধে যথেষ্ট নাই দুধে পুষ্টি
বাড়াতে এর সাথে আরও কিছু উপাদান আপনারা মিশাতে পারেন যার ফলে আপনাদের শরীরের
জন্য আরও বেশি উপকারে আসবে।
অতিরিক্ত দুধ খেলে কি হয়
আপনারা কি জানেন অতিরিক্ত দুধ খাওয়ার ফলে কি হয় অতিরিক্ত কোন খাবারই খাওয়া
সঠিক নয় কারণ পরিমাণের বেশি দুধ খাওয়ার ফলে কিন্তু নানা রকমের সমস্যা সৃষ্টি
হয় তাই যতটুকু দুধ খাওয়া প্রয়োজন এর বেশি দুধ খাওয়ার ফলে কোন সমস্যা সৃষ্টি
হতে পারে। দ্রুত অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কিন্তু
আমাদের শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
অতিরিক্ত দুধ খাওয়ার ফলে হজম প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে গ্যাসের সমস্যা,
পেটে ক্রাম্প অথবা ডায়রিয়া হতে পারে।
- দুধে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়তা করে তবে অতিরিক্ত দুধ খেলে হাড় ক্ষয়রোগ হতে পারে
- রাতে দুধ খেলে স্বাস্থ্যের উপর বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে এর জন্য ওজন বেড়ে যেতে পারে।
- বেশি দুধ খেলে শিশুদের নানা ধরনের এলার্জি, চর্ম রোগ এবং পেটের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
- অতিরিক্ত দুধ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সংক্রান্ত বিভিন্ন রকমের সমস্যা হতে পারে।
- বেশি দুধ খাওয়ার ফলে কিন্তু হৃদরুদ্ধ জনিত জটিলতা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
- অতিরিক্ত দুধ খাওয়ার ফলে অন্তরের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে এর ফলে কিন্তু অলসতা বৃদ্ধি পায়।
- তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন অতিরিক্ত দুধ খাওয়ার ফলে কিন্তু বিভিন্ন রকমের সমস্যা হতে পারে তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত দুধ খাওয়া যাবে না।
একজন মানুষের বছরে কত লিটার দুধ পান করা দরকার
প্রতিদিন দুধ খাওয়ার নিয়ম যাদের রয়েছে তাদের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে কিন্তু
একজন মানুষের বছরে কত লিটার দুধ পান করা দরকার সেই সম্পর্কে কি আপনারা জানেন যারা
জানে না তাদের কিন্তু জানার আগ্রহ রয়েছে কারণ একজন ব্যক্তির কিন্তু প্রতিদিন এক
গ্লাস করে দুধ পান করা দরকার। দেশে প্রতি বছর চাহিদা অনুযায়ী ১ কোটি ৫৬ লাখ ৬৮
হাজার মেট্রিক দুধের চাহিদা রয়েছে তবে দৈনিক একজনে ২৫০ মিলি লিটার দুধ পান করা
দরকার।
দেশে দিনে মাথাপিছু দুধ উৎপাদিত হয় 208 মিলিলিটার। দেশে গত ১ দশকের মধ্যে দুধ
দ্বিগুণ হারে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনারা হয়তো জানেন না যে একজন মানুষের বছরে
৯০ লিটার দুধ পান করা দরকার এই জন্য অবশ্যই একজন ব্যক্তিকে এক বছরের 90 লিটার দুধ
পান করতে হবে তাহলে আপনার শরীর এবং স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি হবে না।
প্রতিদিন দুধ পান করলে শরীরের পুষ্টির চাহিদা অনেকটা পূরণ হয় দুধের মধ্যে
রয়েছে। ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন
কার্বোহাইড্রেট, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক। তবে প্রতিদিন ঠিক কতটুকু দুধ পান
করতে হবে এই নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা দ্বন্দ্ব রয়েছে। আসলে দুধ পান করার বিষয়ে
কিন্তু বয়স অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়।
গর্ভাবস্থায় দুধ খাওয়ার সঠিক সময়
আপনি যদি একজন গর্ভবতী নারী হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনাকে নিয়ম মেনে দুধ পান
করতে হবে যে কোন খাবার খাওয়ার আগে গর্ভবতী নারীদের কিন্তু নিয়ম মেনে দুধ খেতে
হবে। গর্ভাবস্থায় দুধ খাওয়ার সঠিক সময় কখন সে এই সম্পর্কে হয়তো অনেকেরই অজানা
রয়েছে। আমি গর্ভবতী অবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হচ্ছে দুধ কিন্তু
অনেকেই এই দুধ খাওয়া নিয়ে কিন্তু অনেক সন্দেহের মধ্যে থাকে।
আরো পড়ুনঃ
গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার উপায়
এছাড়া কিছু পুরনো কথাবার্তা রয়েছে তাই আজ আপনারা জানবেন গর্ভবতী অবস্থায় দুধ
খাওয়ার সঠিক সময় কখন। গর্ভবতী অবস্থায় দুধ খাওয়া প্রচুর প্রয়োজনীয় কারণ
তাদের শরীরের মধ্যে বিভিন্ন রকমের প্রক্রিয়া হয়। যার ফলে শিশুর দৈহিক বর্ধনের
জন্য অন্তত দিনে দুই গ্লাস খাটি দুধ পান করতে হবে। গর্ভাবস্থায় কিন্তু রাতের
বেলা ঘুম আসতে সমস্যা হয়।
এই জন্য রাতে যদি প্রতিদিন কুসুম গরম দুধ এক গ্লাস করে খাওয়া যায তাহলে কিন্তু
ঘুম ভালো হবে। দুধ খেতে পারেন এতে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং আপনি
সারাদিনের পুষ্টি পাবেন। গর্ভাবস্থায় শুধুমাত্র যে একজনের পুষ্টির কথা চিন্তা
করলে হবে না। মা ও শিশু দুজনের জন্যই কিন্তু দুধ খাওয়া জরুরী। যার ফলে শিশুর
বেড়ে ওঠা ও বিকাশিত হওয়া এবং ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
দুধ কখন খাওয়া ভালো
আমরা হয়তো আগে অনেকেই জেনেছি যে দুধের মধ্যে প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে কিন্তু
দুধ খাওয়ার কখন সময় ভালো। এটা কি আপনারা জানেন দুধ কখন খাওয়া ভালো হবে আসলে
দুধ খাওয়ার আগে কিন্তু আমাদেরকে জেনে নিতে হবে। যে এটি আমাদের শরীরের যেন ক্ষতি
না করে সঠিক সময়ে দুধ পান করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবার খাওয়ার পর পরই দুধ
পান করা উচিত নয় এর পাশাপাশি দুধ খাওয়ার আগে টক জিনিস বা ফল, টক দই, টক ফল
জাতীয় খাবার খাওয়া চলবে না।
এটি খেলে কিন্তু শরীরের ক্ষতি করবে তাই সুস্থ থাকতে চাইলে খাবার খাওয়ার ৪০ মিনিট
পর দুধ পান করতে হবে এতে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী আসবে। নিয়মিত দুধ খাওয়ার
অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে দুধ বেশ উপকারী খাবার দুধের মধ্যে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন
পাওয়া যায় যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
- সকালের নাস্তায় বেশি প্রোটিন পেতে চাইলে সকালে এক গ্লাস দুধ পান করতে পারেন ক্যালসিয়াম, প্রোটিনের বাইরে ও দুধে থাকা পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন নিয়মিত দুধ পান করলে এসব পুষ্টি পাবেন।
- সারাদিনের পরিশ্রমের পর ক্লান্ত লাগলে রাতে দুধ পান করুন। দুধের মধ্যে রয়েছে অ্যামাইনো এসিড এটি মস্তিষ্কের সেরোটোনিনের হরমোন নিঃসরণের সাহায্য করে। শরীর শিথিল রাখে।
- ঘুমের সমস্যা হলে এবং ভালোভাবে ঘুমাতে চাইলে রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ পান করুন এটি ঘুমাতে সহযোগিতা করবে।
- যারা নিয়মিত সকালে ব্যায়াম করতে চান তারা সকালে দুধ পান করুন। এতে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম পাবেন আপনার হাড় ও পেশির বৃদ্ধির জন্য ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন দরকার।
ঠান্ডা দুধের চেয়ে গরম দুধ পান করা ভালো গরম দুধ হজমে সহায়তা করে। তবে অতিরিক্ত
দুধ পান করা যাবে না দিনে ১৫০ থেকে ২০০ মিলি লিটার দুধ খাওয়ায় যথেষ্ট একজন
ব্যক্তির জন্য এর বেশি খাওয়া যাবেনা।
রাতে দুধ খাওয়ার উপকারিতা
আপনারা কি জানেন যে আপনারা সারাদিন যখন পরিশ্রম করে আসবেন তখন এনার্জি পাওয়ার
জন্য আপনারা রাতে দুধ খেতে পারেন রাতে দুধ খাবার প্রচুর উপকারিতা হয়েছে যার ফলে
কিন্তু আপনারা রাতে নিয়মিত দুধ খেতে পারেন। প্রতিদিন কর্মব্যস্ততার ফলে সারাদিন
যখন কর্ম করে বাসায় ফিরবেন রাতের বেলা এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ খেয়ে আপনি
শান্তির ঘুম ঘুমাতে পারেন।
দুধে পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম ভিটামিন সহ মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট যা সরিল ও মানসিক
বিকাশের সহায়তা করে। হালকা গরম দুধ খুবই পুষ্টিকর খনিজ ভিটামিন এবং
ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য ছাড়াও দুধে হরমনের ভারসাম্য বজায় রাখতে বৈশিষ্ট্য
রয়েছে। এছাড়াও দুধ খেলে শরীরের ডোপামিনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ডোপামিন কে হ্যাপি
হরমোন বলা হয় খুশি রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে।
ডায়েটিশিয়ানদের মতে দুধ খাওয়ার ফলে ঘুমের অভাবে যারা ভুগছেন তারা কিন্তু
নিয়মিত ঘুমাতে পারবেন রাতে ভালো ঘুমের জন্য গরম দুধ পান করা দরকার। রাতে গরম দুধ
খাওয়ার ফলে কিন্তু অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় যা ভাল ঘুম ও মানসিক চাপ
কমাতে সহায়তা করে।
শেষ কথা।গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা ও প্রতিদিন কতটুকু দুধ খাওয়া উচিত
প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় থেকে আপনাদের সামনে তুলে
ধরার চেষ্টা করেছি গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা ও প্রতিদিন কতটুকু দুধ খাওয়া
উচিত এ বিষয় সম্পর্কিত যাব যে সকল তথ্য।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল
ও প্রকৃত মনে হলে আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু আত্মীয়দের মাঝে শেয়ার করবেন।
আরো পড়ুনঃ
ডাবের পানি সংরক্ষণের উপায়
এছাড়াও আজকের আর্টিকেল সম্পর্কিত কোন তথ্য ও মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে
জানিয়ে দিবেন।আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি গরুর দুধের
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।আশা করছি আর্টিকেলটি আপনার উপকারে আসবে।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url