ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪ - একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
প্রিয় পাঠক আপনি কি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন কিন্তু ব্যাংক একাউন্ট
খোলার নিয়ম ২০২৪ এবং অ্যাকাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে সম্পর্কে জানেন না।যদি জেনে
থাকন বা না জেনে থাকেন তবে এই পোস্টটি আপনার জন্য।কেননা এই আর্টিকেলের মধ্যে
আলোচনা করতে চলেছি ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪ এবং একাউন্ট খুলতে কত টাকা
লাগে সে সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য।
সেই সাথে একজন নতুন ব্যক্তি জন্য ব্যাংক একাউন্ট খুলতে এবং ব্যাংক একাউন্ট
সম্পর্কে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।আমরা তুলে ধরেছি ব্যাংক
একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে, ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুবিধা, ব্যাংক সার্চ করতন
সম্পর্কিত তথ্য।তাই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন ব্যাংক একাউন্ট
খোলার নিয়ম ২০২৪ ও একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে।
পোস্ট সূচিপত্রঃব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪। অ্যাকাউন্ট খুলতে কত
টাকা লাগবে
সূচনা।ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪।ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
প্রথমবার কোন ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে গিয়ে আমরা নানা রকম সংকোচ বোধ করি।সে সমস্ত
সংকোচগুলো দূর করতে এবং ব্যাংকের সকল নিয়মকানুন গুলো জানতে এ পোস্টটি একান্ত
আপনার জন্য।আপনি যদি ব্যাংক একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে নতুন হয়ে থাকেন বা ব্যাক
একাউন্ট সম্পর্কে কোন তথ্য জানতে চান এক্ষেত্রে এ পোস্টটি আপনার জন্য অনেক
গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ
আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা জানবো ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪ ও একাউন্ট খুলতে
কত টাকা লাগে।এছাড়াও আজকের পূর্তি সম্পন্ন করে আমরা জানতে পারি অনলাইনে যে সব
ব্যাংকে একাউন্ট খোলা যায়, ব্যাংকে সর্বোচ্চ কত টাকা রাখা যায়, ব্যাংক চার্জ
ডেবিট নাকি ক্রেডি, ব্যাংকের বাৎসরিক চার্জ, ব্যাংকের সর্বনিম্ন কত টাকা রাখা
যায় এবং ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে।তাই আপনি যদি এ সকল বিষয় সম্পর্কে
অজানা হয়ে থাকেন তবে এ পোস্টটি সম্পন্ন পড়ে আপনিও ব্যাংকের সকল তথ্য সম্পর্কে
জানতে পারবেন।
ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪
যদি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান তাহলে কিন্তু আজকের আমাদের আর্টিকেল পড়ে জেনে
নিন ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে। পূর্বে আমরা জেনেছি ব্যাংক
একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে যদি আমরা ব্যাংক একাউন্ট করতে কি নিয়ম আছে তা আমরা
না জানি তাহলে কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে আমাদের বিভিন্ন রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে
হবে।
যেকোনো ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করতে হলে আপনাকে প্রথমেই নিকটস্থ ব্যাংকে গিয়ে
খোঁজ নিয়ে আসতে হবে এটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে এই বিষয়ে ব্যাংকের
প্রতিনিধির সাথে পরামর্শ করতে হবে তারপর ব্যাংকের প্রতিনিধির কাছে যে ফর্ম
নিয়ে সেটা পূরণ করতে হবে সঠিকভাবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজ পাতি জমা দিতে হবে।
সকল কাগজপত্র জমা দেন সম্পূর্ণ হলে আপনাকে কিছু শর্তসাপেক্ষে অ্যাকাউন্ট তৈরির
চাট প্রদান করতে হবে।
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
আপনি কি প্রথমবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন আজকে আপনাদেরকে প্রথমবার
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে সেই সম্পর্কে জানাবো যারা ব্যাংকে প্রথমবার
লেনদেন করবেন এবং প্রথমবার একাউন্ট খুলবেন তাদের কিন্তু জেনে রাখা দরকার ব্যাংক
একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে। একটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য কোন টাকার প্রয়োজন
হয় না তবে অ্যাকাউন্ট ওপেন করার সময় প্রাইমারি ডিপোজিট প্রদান করতে হয়।
ব্যাংক ও একাউন্ট অনুযায়ী প্রাইমারি ডিপোজিট ১০০ থেকে ২০০০ টাকা হয়ে থাকে। এটা
সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার ব্যাংক একাউন্টের ধারণা যায় বর্তমানে প্রায় সকল
ব্যাংকে চার ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। অ্যাকাউন্ট অনুযায়ী প্রাইমারি ডিপোজিট
কমবেশি হয়ে থাকে আপনাদের সুবিধার্থে অ্যাকাউন্ট অনুযায়ী প্রাইমারি ডিপোজিট এর
হিসাব নিচে বলা হলো।
আরো পড়ুনঃ
তবে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরে আপনাকে একাউন্ট একটিভ রাখার জন্য অবশ্যই সর্বনিম্ন
৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা জমা দিতে হবে। এ সমস্ত টাকা আপনার
একাউন্টের মধ্যে জমা থাকবে আপনি যখনই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিবেন তখন আপনার
একাউন্ট থেকে আপনি এই টাকাটি তুলতে পারবেন।
সহজে ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নিয়ে সরাসরি ব্যাংক
শাখায় যোগাযোগ করতে হবে এরপরে ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে অ্যাকাউন্ট ওপেনিং ফ্রম
সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় সকল তথ্যগুলো ফর্মটি পূরণ করে ব্যাংকে জমা দিতে হবে এর
পরে আপনাকে নূন্যতম প্রাইমারি ডিপোজিট প্রদান করতে হবে প্রাইমারি ডিপোজি প্রদান
করার পরে কয়েক ঘন্টার মধ্যে আপনার অ্যাকাউন্টটি ওপেন হয়ে যাবে এরপরে উঠতে
একাউন্টের মাধ্যমে যাবতীয় লেনদেন আপনি শুরু করতে পারবেন।
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
আমি যখন একটি ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে যাবেন তখন কিন্তু আপনার কিছু প্রয়োজনীয়
ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে সেই সম্পর্কে আজকে
আপনাদেরকে জানাবো।
আরো পড়ুনঃ
বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে আপনি একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন।
আপনাকে নাগরিকত্ব জমা দিতে হবে।যার নামে একাউন্ট তৈরি করা হবে তার জাতীয় পরিচয়
পত্র লাগবে। যার নামে একাউন্ট তৈরি হচ্ছে তাকে অ্যাকাউন্ট হোল্ডার বলা হয়।
- পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙ্গিন ছবি নিয়ে আসতে হবে সদ্য তোলা।
- যে অ্যাকাউন্ট খোলা হবে সে একাউন্টের পূরণকৃত ফর্ম।
- ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে একটি বিদ্যুৎ বিল, টেলিফোন বিল, কর বিবরণী এর ফটোকপি।
- আয়ের উৎস যেমন (বেতন, স্লিপ, ট্যাক্স রিটার্ন)
- টিন নাম্বার (যদি থাকে এবং ঐচ্ছিক)
- স্টুডেন্ট আইডি কার্ড সার্টিফিকেট (স্টুডেন্ট একাউন্টের জন্য)
- আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ট্রেড লাইসেন্সের দরকার হবে।
- নমিনির এক কপি ছবি এবং জাতীয় পরিচয় পত্রর ফটোকপি।
এগুলোর পাশাপাশি আপনার অ্যাকাউন্ট টাইপের উপর নির্ভর করবে কেননা ব্যাংকের প্রতিটি
অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা আলাদা দরকারি কাগজপত্র লাগে আপনি যে কাজের জন্য
অ্যাকাউন্ট খুলবেন সেই কাজের সকল প্রমাণ আপনাকে দেখাতে হবে যেমন আপনি যদি কোন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষক হয়ে থাকেন।
তাহলে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চালু করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিষ্ঠানের সকল প্রমাণ
দেখে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চালু করতে হবে। অন্যদিকে আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী লেনদেন
করার জন্য ব্যাংক একাউন্ট করতে চান তাহলে আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স এর কপি দেখাতে
হবে।
ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুবিধা
আপনি যদি প্রথমবার ব্যাংক একাউন্ট খুলেন তাহলে কিন্তু আপনি জানেন না ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা কি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ফলে আপনারা বিভিন্ন রকমের
সুবিধা ভোগ করতে পারবেন আপনি আপনার পছন্দের ব্যাংকে গিয়ে একটি একাউন্ট চালু করে
থাকেন আপনি যদি কোন ব্যাংকের গ্রাহক হয়ে থাকেন তাহলে ওই ব্যাংক থেকে আপনি
বিভিন্ন রকমের সুবিধা পাবেন।
আরো পড়ুনঃ
বর্তমান সময়ে প্রতিটি ব্যাংকিং সিস্টেম অনলাইন লেনদেন করা সম্ভব থাকে তাই একজন
ব্যাংকের গ্রাহক যেকোনো জায়গা থেকে টাকা উত্তোলন ও বিভিন্ন প্রকারের কাজে টাকা
ব্যয় করতে পারবে যে কোন সময়। এছাড়াও ব্যাংকে আছে যার তাদের গ্রাহকের অনলাইনে
কেনাকাটা করার সুবিধা প্রদান করে অনেক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে থাকে।
এই ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইন থেকে যে কোন দ্রব্য কেনাকাটা করা যাবে। পৃথিবীতে
কিছু ব্যাংক রয়েছে যারা মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করে থাকে এই মোবাইল
ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনি যেকোনো সময় আপনার সিমে টপ আপ করতে পারবেন। এছাড়াও
আপনি ব্যাংকের ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকারের বিল যেমন
:গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল, টোল বিল, ভর্তি বিল ইত্যাদি প্রদান করতে পারবেন।
অনলাইনে যেসব ব্যাংকে একাউন্ট খোলা যায়
আপনি কি ঘরে বসে অনলাইনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে আগ্রহী যদি আপনার ব্যাংকে যে
একাউন্ট খুলতে না ইচ্ছা থাকে তাহলে কিন্তু আপনি অনলাইনে ঘরে বসে একাউন্ট খুলতে
পারবেন আজকে আপনাদেরকে অনলাইনে যে সব ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায় সেগুলোর নাম
সম্পর্কে জানাবো।
- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ
- সোনালী ব্যাংক ব্যাংক
- এশিয়া ব্যাংক
- ন্যাশনাল ব্যাংক
- ডাচ বাংলা ব্যাংক
- আইএফআইসি ব্যাংক
- এনসিবিসি ব্যাংক
- ইউসিবি
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক
- ইউনিয়ন ব্যাংক
- সিটি ব্যাংক
- রূপালী ব্যাংক
আপনি যদি অনলাইনে ঘরে বসে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তাহলে এই সকল ব্যাংকের
অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এই সকল ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে তাদের অফিসিয়াল
ওয়েবসাইটে গিয়ে সেখান থেকে অনলাইন ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে
বিস্তারিত তথ্য দেওয়া রয়েছে সেখান থেকে খুলতে পারবেন।
ব্যাংক চার্জ কর্তন
আপনি যদি কোন ব্যাংকের গ্রাহক হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনাকে জানতে হবে যে আপনার
ব্যাংকে থেকে আপনার জন্য কত টাকা চার্জ কাটে। প্রতিবছরে কিন্তু ব্যাংক চার্জ
কর্তন করা হয় যারা ব্যাংকে ব্যাংকে ব্যাসরিক চার্জ কর্তন করা হয়। যে সব বিষয়ের
চার্ট ও কমিশন নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে
হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি: টাকা পর্যন্ত ব্যাংকে থাকলে হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি
আদায় করা যাবে না। ১০ হাজার টাকার উপরে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত গড় আমানত স্থিতির
ক্ষেত্রে প্রতি ৬ মাসে সর্বোচ্চ সার্ভিস চার্জ ১০০ টাকা। ২৫ হাজার টাকার উপরে দুই
লাখ টাকা পর্যন্ত গরমানত স্থিতির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা ২ লাখ টাকার উপরে ১০
লাখ টাকা পর্যন্ত।
আরো পড়ুনঃ
গড় আমানত স্থিতির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা এবং ১০ লাখ টাকার বেশি আমানত
স্থিতির ক্ষেত্রে ৩০০ টাকা পেয়ে আদায় করা যাবে। চলতি হিসেবে প্রতিষান মাসিকে
সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা ও স্পেশাল নোটিশ ডিপোজিট এর হিসেবে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা আদায়
করা যাবে তবে বিশেষ সুবিধা প্রাপ্ত হিসেবে কোনো প্রকার হিসাব সংরক্ষণ ফি আদায়
করা যাবে না।
অন্য শাখায় হিসাব স্থানান্তর: আপনি যদি একই ব্যাংকের অন্য শাখার হিসাব
স্থানান্তরের ক্ষেত্রে একই জেলা সর্বোচ্চ ৫০ টাকা এবং অন্য জেলায় সর্বোচ্চ ১০০
টাকা ফি আদায় করা যাবে এক্টিভেশন অব ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট বাবদ কোন চার্জ বা ফি
আদায় করা যাবে না বিভিন্ন মাসিক সঞ্চয়ী হিসাব বা fdr বা অন্য কোন মেয়াদী আমানত
মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়নের ক্ষেত্রে নগদায়ন ফি বা অনুরূপ ফি আরোপ করা যাবে
না।
চেক বই ইস্যু : চেক বই হারানোর ক্ষেত্রে নতুন চেক বই ইস্যু বাবর প্রকৃত
খরচ ছাড়া অতিরিক্ত চার্জ বা প্রসেসিং ফি আদায় করা যাবে না।
অন্যান্য ফি: বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয় ও চলতি হিসেবে আলোকিত নূন্যতম
ব্যালেন্স ফি ইনসিডেন্টাল চার্জ, লেজার ফি, সার্ভিস চার্জ, কাউন্টার ট্রানজেকশন
ফি বা অনুরুপ ফি আদায় করা যাবে না।
ব্যাংকে সর্বোচ্চ কত টাকা রাখা যায়
আপনি যদি ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করে থাকেন কোন ব্যাংকের গ্রাহক হন তাহলে কিন্তু
ব্যাংকে সর্বোচ্চ কত টাকা রাখা যায় এটাও আপনাকে জানতে হবে। যেকোনো একটি ব্যাংকে
আপনি সর্বোচ্চ কত টাকা রাখতে পারবেন সেটা নির্ভর করে সম্পূর্ণ আপনার ওপর এছাড়াও
আপনি ব্যাংকের একাউন্টের যে প্রকারভেদ রয়েছে সেই প্রকারভেদের ওপর এই বিষয়টি
নির্ভর করবে বিভিন্ন রকমের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন
রকমের সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
সে ক্ষেত্রে আপনি কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করছেন এবং কি রকম তৈরি করছেন সেটার
উপর নির্ভর করে আপনি একাউন্টে কত টাকা জমা রাখতে পারবেন। তবে হ্যাঁ! বিষয়টি যদি
সন্দেহভাজন হয় তাহলে আপনাকে টাকা জমা থেকে বিরত থাকতে হবে। একটি ব্যাংক একাউন্ট
তৈরি করার পরে একটি ব্যাংকে সর্বনিম্ন কত টাকা রাখা যায় কিংবা অ্যাকাউন্টে
সর্বোচ্চ কত টাকা রাখা যায় সে সম্পর্কে আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন।
সর্বনিম্ন কত টাকা রাখা যায় তা আপনারা হয়তো জানেন সকল ব্যাংকের একই রকম টাকা
রাখা হয়। তবে সর্বোচ্চ টাকার হিসাব ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন
হতে পারে আপনার কাছে পর্যাপ্ত রকমের ডকুমেন্টস থাকলে আপনি আপনার প্রয়োজনে
এমাউন্ট ব্যাংকে জমা রাখতে পারেন।
ব্যাংক চার্জ ডেবিট নাকি ক্রেডিট
আপনি কি জানেন ব্যাংকের চার্জ ডেবিট নাকি টেডি সে সম্পর্কে যারা ব্যাংকের চার্জে
কাটে সে কিন্তু জানে না যে ব্যাংকের চার্জ ডেবিট হিসেবে কাটা হয় নাকি তাদেরকে
আজকে আমরা জানাবো। ব্যাংকের বইয়ে আপনি টাকা জমা করলে কেউ আপনার অ্যাকাউন্ট এ
টাকা পাঠালে ব্যাংকে সুদ দিলে ক্রেডিট।
আপনি টাকা তুললে ব্যাংক চার্জ নিলে আপনার খরচ ব্যাংক দিয়ে দিলে যেমন অনলাইনে
কেনাকাটা খাওয়ার বিল ইত্যাদি ডেবিট করে। ক্রেডিট মানে জমা আর ডেবিট মানে খরচ
তাহলে আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে ব্যাংকের চার্জে ডেবিট নাকি সেই সম্পর্কে। ডেবিট
হবে ব্যাংক চার্জে হিসাব। হিসাবের মধ্যে ভিডিও টাকা বছরে যে কোন সময় ক্রেডিট
টাকার সমান হবে।
ব্যাংকের বাৎসরিক চার্জ
আপনার যদি একটি ব্যাংকে একাউন্ট থাকে তাহলে কিন্তু ব্যাংকের একটি বাৎসরিক চার্জ
কাটা হয় আপনি কি জানেন আপনার ব্যাংকে থেকে বাৎসরিক কত টাকা চার্জ কাটা হয়। টাকা
জমার উপর ভিত্তি করে কিন্তু ব্যাংক চার্জ কাটে ৬ মাস পরপর ব্যাংক কর্তৃক চার্জ
কাটা হয় দুই লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত যদি আপনার ব্যাংকে টাকা থাকে
তাহলে আপনার ২৫০ টাকা করে চার্জ কাটবে ১০ লক্ষ টাকার অধিক পর্যন্ত থাকলে ৩০০ টাকা
করে চার্জ কাটবে।
এছাড়া আপনার যদি ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যাংকে থাকে তাহলে আপনার কোন চার্জ কাটা
হবে না তবে ১০০০০ টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে যদি আপনার ব্যাংকে টাকা জমা
থাকে ছয় মাস তাহলে আপনার ১০০ টাকা চার্জ কাটা হবে। এছাড়া ২৫ হাজার টাকা থেকে 2
লক্ষ টাকা পর্যন্ত যদি টাকা থাকে ব্যাংকে জমা তাহলে আপনার ২০০ টাকা চার্জ কাটা
হবে। এই চারটি প্রতি ছয় মাস পরপর কাটা হয় এই চার্জ এক বছরে দুইবার কাটা হয়ে
থাকে।
দেশের সকল ব্যাংকের ক্ষেত্রে আপনার সিভিংস একাউন্টে টাকা জমার উপর ভিত্ত করে
কিন্তু বছরে একবার সরকার কর্তৃক চার্জ কর্তন করা হয় সেটা হলো আবগারী শুল্ক
চার্জ। শূন্য থেকে এক লক্ষ টাকার উপরে যদি আপনার ব্যাংকের এক বছর টাকা জমা থাকে
তাহলে আপনার কোন চার্জ কাটা হবে না।
আরো পড়ুনঃ
এছাড়া এক লক্ষ থেকে 5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত যদি ব্যাংকে এক বছর টাকা জমা থাকে তাহলে
150 টাকা করে কেটে নেওয়া হবে চার্জ হিসেবে। আবার কারো যদি ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ
টাকা পর্যন্ত জমা থাকে ব্যাংকে তাহলে তার ৫০০ টাকা করে চার্জ কাটা হবে। আবার কারো
যদি ১০ লক্ষ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যাংকে জমা থাকে।
এক বছর তাহলে তার ৩ হাজার টাকা করে চার্জ কাটা হবে।এক কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা
পর্যন্ত এক বছর ব্যাংকে টাকা জমা থাকলে ১৫ হাজার টাকা চার্জ কাটা হবে সরকারি ।
কারো যদি ৫ কোটি টাকার ওপরে ব্যাংকে টাকা জমা থাকে তাহলে তার ৪০ হাজার টাকা করে
কেটে নেওয়া হবে প্রতিবছর ব্যাংকের চার্জ সরকারি চার্জ।
ব্যাংকে সর্বনিম্ন কত টাকা রাখা যায়
আপনি কি ব্যাংকে টাকা রাখতে চান ব্যাংকে সর্বনিম্ন কত টাকা রাখা যায় সে সম্পর্কে
জানেন যারা ব্যাংকে টাকা রাখে তারা কিন্তু জানতে চাই যে সর্বনিম্ন কয় টাকা
ব্যাংকে রাখা যায় আসলে আপনি যখন ব্যাংক চালু করবেন তখনই কিন্তু আপনাকে সর্বনিম্ন
৫০০ থেকে ১০০০ টাকা রাখতে হবে না হলে আপনার অ্যাকাউন্ট একটিভ থাকবে না। মাত্র ৫০০
টাকা জমা দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট একটিভ করতে পারবেন অ্যাকাউন্টে সবসময় ৫০০ টাকা
থাকবে যা আপনি তুলতে পারবে না।
আরো পড়ুনঃ
যতদিন অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করবেন কারন আপনার একাউন্টে বছর শেষের যে ফি হবে তা এখান
থেকে সমন্বয় করা হবে। যেকোনো একটি নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে
আপনি চাইলে বিভিন্ন এমাউন্টের টাকা সেই ব্যাংকে একাউন্টে জমা রাখতে পারবেন তবে
নূন্যতম আপনাকে যে টাকাটা রাখতে হবে তা বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি ব্যাংকের
অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরবর্তী সময়ের ন্যূনতম ৫০০ টাকার রাখা হয় তবে এর বিকল্প
দেখা গেছে।
সাউথইস্ট ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনি যদি সাউথইস্ট ব্যাংক একাউন্ট
তৈরি করেন। তাহলে আপনাকে নূন্যতম এক হাজার টাকা জমা রাখতে হবে। আর সমস্ত ব্যাংকের
রয়েছে যেগুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন তাহলে সর্বনিম্ন৫০০ টাকা জমা রাখতে পারবেন
এই ৫০০ টাকা আপনি তুলতে পারবেন না। তবে আপনি ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করতে চাইলে তখন
আপনি এই টাকাটি তুলতে পারবেন।
উপসংহার।ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪ একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে।
প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় থেকে জানলাম ব্যাংক
একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪ ও একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে।আপনারা অনেকেই প্রথমবার
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে চান এজন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে
চেয়েছেন।তাই আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা আপনাদের সামনে আপনাদের জানতে যাওয়া
সকল প্রশ্নের উত্তরটি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছি।
আরো পড়ুনঃ
এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে
দেবেন এ ছাড়াও আপনি যদি ব্যাংক সম্পর্কিত সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের
মিস্টার হেল্প বুক ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখতে পারেন। মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটটি
প্রতিনিয়ত আপনাদের সুবিধার্থে আপডেট আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকে সবার আগে আর্টিকেল
পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url