বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে কি ঔষধ - বাচ্চাদের মুখে ঘা কেন হয়
প্রিয় পাঠক আপনি কি বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে কি ঔষধ এবং বাচ্চাদের মুখে ঘা কেন হয়
এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন।আপনি যদি বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে কি ঔষধ খাওয়াবে
নিয়ে বিষয় সম্পর্কে না জেনে থাকেন তবে এই পোস্টটি আপনার জন্য।কেননা আজকের
আর্টিকেলে আলোচনা করতে চলেছি বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে কি ঔষধ এবং বাচ্চাদের মুখে ঘা
কেন হয় এ বিষয় সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য নিয়ে।
সেই সাথে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করতে চলেছি বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে করণীয়, মুখের
ভিতর ঘা দূর করার উপায় এবং নবজাতকের মুখে ঘা হলে করণীয় সম্পর্কে।তাই আজকের
আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন বাচ্চাদের মুখে ঘা
হলে কি ঔষধ এবং বাচ্চাদের মুখে ঘা কেন হয়।
পোস্ট সূচিপত্রঃবাচ্চাদের মুখে ঘা হলে কি ঔষধ। বাচ্চাদের মুখে ঘা কেন হয়
ভূমিকা।বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে কি ঔষধ।বাচ্চাদের মুখে ঘা কেন হয়
প্রিয় পাঠক আপনার নবজাতকের মুখে এবং ছোট বাচ্চাদের মুখে যদি ঘা হয়ে থাকে, এক্ষেত্রে কি করবেন তা নিয়ে আজকের আর্টিকেলে হাজির হয়েছে আপনাদের সমাধান
দিতে।আপনারা অনেকেই অনলাইনে নানা রকম প্রশ্ন করে থাকেন বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে কি
ঔষধ এবং বাচ্চাদের মুখে ঘা কেন হয় ও নবজাতকের মুখে ঘা হলে করণীয় এ বিষয়
সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে।
তাই আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা তুলে ধরেছি কোন ভিটামিন অভাবে মুখে ঘা হয়, ঘনঘন
মুখে ঘা হওয়ার কারণ, নবজাতকের মুখে ঘা হলে করণীয়, মুখের ভিতর ঘা দূর করার
উপায়, মুখের ভেতর সাদা ঘা হলে করণীয়, বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে করণীয় এবং
বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে কি ঔষধ খাওয়াবেন এ বিষয় সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পারবেন
তাই এই পোস্টটি সম্পন্ন স্টেপ বাই স্টেপ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বাচ্চাদের মুখে ঘা কেন হয়
বিভিন্ন কারণে কিন্তু বাচ্চাদের মুখে ধাপরাই দেখা যায় মাড়ি ঠোঁট বা জিব্বায়
ছোট ছোট গায়ের মত দেখা যায় অনেক সময় এই কারণে তাদের পানি পান করতে সমস্যা হয়
ব্যথায় ভুগতে থাকে শিশুরা যাতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে পরিবারের মানুষ। দুর্ঘটনা
জনিত কামোর আঘাত পুষ্টির ঘাটতি বা ভাইরাল সংক্রমণ শিশুর মুখে ঘায়ের কারণ হতে
পারে এছাড়াও ক্যানকার সোর বা অ্যাফথাস আলসার নামে পরিচিত।
আরো পড়ুনঃ দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করণীয় কি
যদিও বেশিরভাগ মানুষের মুখে ঘা এমনিতেই সেজে যায় আবার কিছু ঘা সারতে প্রয়োজন
হয় ওষুধের। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের থেকে জানা হয়েছে যে মুখের ঘা যা ক্যানকার সোর বা
অ্যাফথাস আলসার নামে পরিচিত।এটি শিশুদের জন্য সাধারন একটি অসুস্থ হবে কখনো কখনো
এটি শিশুর বিকাশের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় তাই এটি নিরাময় করতে গুরুত্ব দিতে
হবে।
শিশুদের মুখে ঘা এর বেশিরভাগই হয় আঘাতের কারনে দেখা যায় খেলনা দিয়ে খেলার সময়
গলা জিব্বা কামড়ানো এবং ব্রাশ করার সময় বা শক্ত খাবার খাওয়ার সময় আঘাত
পাওয়ার কারণে এই ঘা হয়ে থাকে। এইজন্য শিশুর মুখে ঘা নির্মাণে কিছু পরমার্শ
ডাক্তারের কাছে নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।
বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে কি ঔষধ
বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে কি ঔষধ খাওয়াতে হবে এই নিয়ে বাবা মারা চিন্তায় থাকে
আসলে বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে সাথে সাথে ওষুধ খাওয়ানো উচিত নয় বাচ্চাদের মুখের ঘা
যদি বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়াতে হবে।
তবে বাসাতেই ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে বাচ্চাদের মুখের ঘা ভালো করার চেষ্টা করতে
হবে প্রাকৃতিক উপায় এমন অনেক কিছু রয়েছে যা দ্বারা বাচ্চাদের মুখের ঘা ভালো করা
যায় এই জন্য বাসাতে প্রাকৃতিক উপায় গুলো অবলম্বন করে বাচ্চাদের মুখের ঘা ভালো
করতে হবে।নিচে বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে কি ঔষধ খাওয়াবেন জেনে নিন।
- মুখের ঘা বা ক্ষত রোদে ব্যবহার করুন Mlcoral oral Gel
- নির্দেশনা : এটি ওরোফ্যারিংস এবং আরতন্ত্রের ছত্রাক ইনফেকশন এর চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে নির্দেশিত।
- ওষুধের মাত্রা : ওরোফ্যারিংগাল ক্যানডিডোসিস
- ৬-২৪ মাসে শিশুদের ক্ষেত্রে - ১.৫ মি:লি: (১/৪ পরিমাপক চামচ) জেল, দিনে চারবার খাবারের পর লাগাতে হবে।
- প্রাপ্তবয়স্ক এবং দুই বছর বয়সী বাচ্চাদের এবং বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে : ২.৫ মি:লি: (১/২ পরিমাপক চামচ) জেল দিনে চারবার খাবারের পর লাগাতে হবে।
সেবনবিধি: মুখের ক্ষত এর ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ মাইকোনাজোল জেল পরিষ্কার আঙ্গুল
দিয়ে দিনে ২-৪ বার সরাসরি সংক্রমিত স্থানে প্রয়োগ করতে হবে। সর্বোত্তম ফলাফলের
জন্য সংক্রান্তির স্থানে যতক্ষণ সম্ভব রাখতে হবে। লক্ষণ দূরীভূত হওয়ার পরও এক
সপ্তাহ পর্যন্ত চিকিৎসা চালানো উচিত।
বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে করণীয়
বাচ্চাদের মুখের ভিতরে কিন্তু ঘা হয় অনেক সময় সেই কারণে বাচ্চারা কিন্তু খাবার
খেতে পারে না এবং ঝাল কোন খাবারই তারা খেতে পারে না। শিশুরা অনেক সময় আজেবাজে
জিনিস মুখে নিয়ে থাকে যার ফলে মুখে জীবাণু ঢুকতে পারে সহজে এছাড়াও শিশুদের
বিভিন্ন জিনিসের হাত ধরে এরপর মুখে দেয় যার কারণে মুখে সহজে জীবাণু ঢুকে সংক্রমণ
ঘটায়।
বিশেষ করে মুখের আলসারে সব শিশুরাই কমবেশি ভুগে থাকে। বেশ কয়েকটি কারণে শিশুর
মুখে আলসার বা ঘা হতে পারে যেমন আঘাত ভিটামিন বা খনিজ পদার্থের অভাব ইত্যাদি যদিও
মুখের আলসার সংক্রমণক হয় না কিছু পরামর্শ মানলে বাড়িতে এর চিকিৎসা করা যেতে
পারে।
- শিশুদের মুখের ঘা দূর করতে হলে আপনারা দই দিয়ে শিশুর মুখের ঘা নিরাময় করা যেতে পারে যা ক্ষত নিরাময়ে এলাকার ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি হতে বাধা দেয়।
- তুলসির পাতার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতা আমরা সবাই জানি দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুর মুখে ঘা হলে তুলসির পাতা চিবিয়ে খাওয়াবেন এতে ঘা ভালো হয়ে যাবে।
- শিশুর মুখে কিছুদিন পরপর ঘা হতে থাকে তাহলে পোস্তদানা ও নারিকেল ক্যান্ডি খেতে দিন। শিশুর শরীরে তাপ বাড়ার কারণে যদি আলসার হয়ে থাকে তবে এটি হলো প্রতিরোধের উপায়।
- শিশুর মুখে যদি ঘা হয়ে থাকে তাহলে ঘি খাওয়ান ভালো ফলাফল পেতে পারেন মুখের আক্রান্ত স্থানে অন্তত তিনবার ঘি ব্যবহার করুন এবং ব্যথা কমায়।
- অ্যালোভেরা জেল পানিতে মিশিয়ে শিশুকে কুলি করতে বলুন ভালো ফলাফলের জন্য দিনে তিনবার এটি দিয়ে মুখ ধুতে পারেন।
শিশুর মুখে যদি ঘা বার বার হয় তাহলে নারিকেলের দুধ দিয়ে গড়গড়ি করাতে পারেন।
ব্যথা বা জ্বালানি কম হবে এবং নারিকেল ক্ষত সাতে সহযোগিতা করে। তাই নারিকেলের
তেলও ব্যবহার করতে পারেন বা নারিকেলের পানীয় খাওয়াতে পারেন। ছয় মাসের কম বয়সী
শিশুদের মুখের দূষিত ক্ষতের চিকিৎসায় নারিকেল তেল কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
শিশুর মুখের আলসারের চিকিৎসায় হলুদ ব্যবহার করতে পারেনিতে রয়েছে
অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যা সব
ধরনের ক্ষত নিরাময় করে।মধু জীবননাশক হিসেবে কাজ করে এই জন্য এক থেকে তিন বছর
বয়সী শিশুর মুখে ঘা হলে মধুর ব্যবহার করায় সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর।
মুখের ভিতর সাদা ঘা হলে করণীয়
আমরা কিন্তু অনেকেই মুখের ভিতর সাদা ঘা হয় দেখা যায় কিন্তু মুখের ভিতরে সাদা ঘা
হলে করণীয় কি এই সম্পর্কে হয়তো সকলে জানেন না কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে যা
থেকে আপনি মুখের ভিতরে সাদা ঘা দূর করতে পারবেন এবং আরাম পাবেন। চলুন জেনে আসি
মুখের ভেতর সাদা ঘা হলে করণীয় কি সেই সম্পর্কে।
বেকিং সোডা দিয়ে গড়গড়ি: বেকিং সোডা ঘা সারাতে অনেক উপকারী এটি পি এইচ
ব্যালেন্স ঠিক রাখে ফলের হাইট জ্বালা ভাব কমে যায়। আধা কাপড় পানিতে এক চা চামচ
বেকিং সোডা মিশিয়ে গড়গড়ি করলে ঘা কমে যাবে।
মধু ব্যবহার: ঘরোয়া টোটকার মধ্যে মধু অন্যতম যার মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক
বিভিন্ন রকমের গুন ঘা হলে সেই জায়গা ঠান্ডা হবে আর জ্বালা ভাব অনেকটাই কমে যাবে
মধু লাগালে মধুতে থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল উপাদান যে কোন লালচে ও জলাভাব দূর
করতে সক্ষম তাই মধু লাগালে উপকার পাবেন।
মুখের ভিতরে ঘা দূর করার উপায়
আমরা কিন্তু প্রায়ই দেখি যে মুখের ভিতরে ঘা হচ্ছে এই ঘা এর কারণে কিন্তু খাবার
খেতে অসুবিধা হয় ঝাল খাবার খাওয়া যায় না এবং নানা রকমের সমস্যা সৃষ্টি হয়
মুখের ভিতরে জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে ঘা মূলত হয়ে থাকে এছাড়াও
যদি মুখে কোন সময় আঘাত পাওয়া যায় তাহলে কিন্তু এই আঘাত থেকে ঘা হতে পারে মুখের
ভিতরে ঘা দূর করার উপায় সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে জানাবো।
তুলসির পাতা: আপনি কয়েকটি তুলসির পাতা পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন।
তুলসির পাতা সতেজ ওই পানি দিনে অন্তত তিন থেকে চারবার খেতে পারলে আপনার মুখের ঘা
দ্রুত সেরে যাবে এবং একই সঙ্গে মুখের ঘা হওয়ার প্রবণতা কমে যাবে।
নারিকেল: একটা মতে নারিকেলের দুধের সঙ্গে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে এই
মিশ্রণটি দিনে অন্তত তিন থেকে চার বার মুখের ক্ষতস্থানে বা ঘা লাগান মধুছারা শুধু
নারিকেল দুধ দিয়ে ক্ষতস্থানে আলতো করে মালিশ করতে পারবেন দেখবেন মুখের ঘা বা
ক্ষত দ্রুত সেরে যাচ্ছে।
মধু ব্যবহার: যষ্টিমধু মুখের ঘা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকারী একটি উপাদান
এক চামচ যষ্টিমধু দুই কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর যষ্টিমধু ভিজানো পানি দিয়ে
দিনের মধ্যে চার থেকে পাঁচ বার গড়গড়ি করুন এতে তাড়াতাড়ি উপকার পাবেন।
টি ব্যাগ: দ্রুত ব্যথা এবং জলাভাব কমাতে টি ব্যাগ অত্যন্ত কার্যকারী একটি
উপাদান একটি টি ব্যাগে ঠান্ডা পানি কিছুক্ষণ ভিজিয়ে নিয়ে সেটাকে ঘা এর জায়গায়
লাগিয়ে নিন দেখবেন ব্যথা-বেদনা আর মুখের ক্ষত দুইটাই সেরে যাবে।
অ্যালোভেরা: প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে এলোভেরা অন্যতম এলোভেরা জেল বা
অ্যালোভেরার সম্মুখের ঘা দ্রুত কমিয়ে দিতে পারে এই জন্য এলোভেরা জেল বা
অ্যালোভেরার রস ব্যবহার করতে পারেন মুখের ঘা ভালো করতে।
নবজাতকের মুখে ঘা হলে করণীয়
আমরা কিন্তু প্রায়ই দেখে থাকি নবজাতকের মুখে ঘা হতে কিন্তু এই নবজাতকের মুখে ঘা
হলে করণীয় কি সেই সম্পর্কে জানতে চাই অনেক বাবা-মায় কারণ তারা অনেক চিন্তিত
হয়ে পড়ে নবজাতকের মুখে যখন ঘা দেখা দেয়। নবজাতকের মুখে ঘা হলে অবশ্যই
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং চিকিৎসক যে পরামর্শ দেবে সেই অনুযায়ী ঘা এর
চিকিৎসা করতে হবে।
এছাড়াও যে শিশুরা এক বছরের উপরে তাদের জন্য ঘরোয়া উপায়ে যে কাজগুলো করতে পারেন
মুখের ঘা এর জন্য সেটি নিচে দেওয়া হল।
মধু: মধু জীবানু নাশক হিসেবে কাজ করে। এই জন্য এক থেকে তিন বছর বয়সী
শিশুর মুখে ঘা হলে মধু ব্যবহার করা সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর। আপনার সন্তান যদি
এক বছরের বেশি হয়ে থাকে তবে মুখের দূষিত ক্ষতের চিকিৎসা করা সর্বোত্তম উপায় হলো
মধু ব্যবহার করা।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা সুন্দর হয়
হলুদ: ঘরোয়া প্রতিকার গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হলুদ ব্যবহার করা এটিতে
প্রদাহ বিরোধী অ্যান্টিসেপটিক এবং ব্যাকটেরিয়া বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার
দ্রুত সব ধরনের ক্ষত ও কাটা নিরাময় করতে সহযোগিতা করে হলুদের প্রয়োগ সহজ করার
জন্য শিশুকে দেওয়ার আগে এটি মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন।
দই: শিশুদের মুখের আলসারী চিকিৎসার জন্য দই খুবই কার্যকারী আপনার বাচ্চার
মুখে দুই কিছু সময় ধরে প্রবাহিত এলাকার চারপাশে লাগান দুইটি টক হলে আর আলসার
দ্রুত নিরাময় হবে কেননা দুয়ে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে যা ক্ষত এলাকায়
ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি দমন করে।
নারকেল: মুখের আনসার চিকিৎসা করার জন্য বা মুখের ঘা দূর করার জন্য বেশ
উপকারী নারিকেল। নারিকেলের পানি, দুধ ও তেল মুখের দূষিত ক্ষতের প্রতিকার হিসেবে
ব্যবহার করতে পারেন। আপনি হয় আপনার শিশুকে নারিকেলের পানি পান করাতে পারেন।
নারকেলের দুধ তৈরি করে তা দিয়ে কুলকুচি করাতে পারেন যাতে প্রভাবিত অংশটি প্রশমিত
হয়। অন্যথায় আপনি শুধু ক্ষতের জায়গাটায় নারিকেল তেল প্রয়োগ করতে পারেন।
ঘন ঘন মুখে ঘা হওয়ার কারণ
আমাদের মধ্যে অনেকেরই কিন্তু বারবার মুখে ঘা হতে দেখা যায় আসলেই মুখে বারবার ঘা
হওয়ার কারণ কি সে সম্পর্কে হয়তো আমরা অনেকে না জানার কারণে ও এই ঘাটি ভালো করতে
পারি না তার জন্য আপনাকে বারবার মুখে ঘা হয় কেন সেই সম্পর্কে জানতে হবে।
যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস হৃদরোগ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং দীর্ঘদিন ধরে
ওষুধ গ্রহণ করছে তাদের মুখে জীবাণু বিস্তার করে এমন ঘা হতে পারে। লিউকেমিয়া,
লাইকেন প্লানাস ইত্যাদি কারনেও মুখে ঘা হতে পারে তবে সাধারণত সবচেয়ে বেশি যে
কারণে মুখে ঘা হয় তাকে বলা হয় অ্যাপথাস আলসার।
আরো পড়ুনঃ কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
চিকিৎসকের চিকিৎসার পরেও যদি ঘা দুই তিন সপ্তাহ স্থায়ী হয় তখন কিন্তু এর সঠিক
কারণ বের করতে হবে পরীক্ষা করে এবং আপনার যদি জিভে কামড়, শক্ত টুথব্রাশ বা
সুচালো বাঁকা দাঁতের আঘাতে, ব্রাশ আঘাত লাগার কারণেও কিন্তু দাঁত ক্ষয় এবং মুখের
পরিচ্ছন্নতা পাওয়া যায় না থাকার কারণে ঘন ঘন মুখে ঘা হতে পারে।
জিভে, মাড়ি ও মুখের ভেতরের দিকে অনেকটা ব্রনের মত দেখতে সাদা ফুসকুড়ি বের হয়।
এটি বারবার হয় বিশেষ কোনো ভিটামিনের স্বল্পতা, কোন দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, মুখের
অস্বাস্থ্যকর অবস্থা, মানসিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে। তবে রক্ত
পরীক্ষার পর জেনে নিতে হবে কি কারনে এ ধরনের ঘা হতে এর পথে কৃষকের পরামর্শ
অনুযায়ী ওষুধ খেলে সেরে যাবে।
কোন ভিটামিন অভাবে মুখে ঘা হয়
মুখের ভিতরে ঘা হওয়ার কারণ হিসেবে কোন ভিটামিন দায়ী আপনারা কি জানেন। আমাদের
কিন্তু শরীরে ভিটামিনের অভাব হওয়ার কারণে মুখের ভেতরে ঘা হয় অনেক সময়। তাই
প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই সমস্যাটা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ভিটামিনের অভাবজনিত
রক্তস্বল্পতা এমন একটি পরিস্থিতি যা আপনার শরীরের ভিটামিন বি১২ এর নিম্নমাত্রার
কারণে বিকাশ লাভ করে।
এই ধরনের রক্ত সল্পায় মানব দেহের পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বাস্থ্যকর লোহিত রক্তকণিকা
তৈরি হতে পারে না যার কারণে এই ভিটামিনের অভাব হয়। মুখের ঘা হওয়ার জন্য দায়ী
ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি কারণ এই সমস্যা দেখা দেয় তাই সতর্ক হতে হবে তবে যে শুধু
ভিটামিনের অভাবে হয় এমন কিন্তু নয় সিগারেট জর্দা সহ সব ধরনের তামাক মুখে
ইনফেকশনের কারণ হতে পারে।
এছাড়াও দাঁতভাঙ্গা থাকলে তার খোঁচা লেগে লেগে ক্ষত হয়ে তা হতে পারে।ভিটামিনের
অভাব মেটাতে চাইলে অবশ্যই সবুজ শাকসবজি খেতে হবে সব ধরনের শাকসবজি পর্যাপ্ত
পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল থাকে এর সঙ্গে নিয়মিত ফল খেতে হবে তাহলে আপনার
ভিটামিনের অভাব দূর হয়ে যাবে।
শেষ কথা।বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে কি ঔষধ। বাচ্চাদের মুখে ঘা কেন হয়
প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় থেকে
আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে কি ঔষধ বাচ্চাদের
মুখে ঘা কেন হয় এ বিষয় সম্পর্কিত সকল তথ্যগুলো।আপনার নবজাতক ও বাচ্চাদের মুখে
যদি ঘা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার নিকটে তো ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত
নবজাতক ও বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ না করে কোন ঔষধ খাওয়ানো
উচিত নয়।তাই আপনার সন্তানকে নিরাপদ অসুস্থ রাখতে অবশ্যই সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী
চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লেগেছে বা আপনার কোন
প্রশ্ন ও মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url