ইসলামী ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম

আপনার কি একটি ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে।কিন্তু আপনি ইসলামী ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম ও ইসলামী ব্যাংক এটিএম কার্ড চার্জ সম্পর্কে জানেন না।তাহলে আজকে আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন ইসলামী ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম ও ইসলামী ব্যাংক এটিএম কার্ড চার্জ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
ইসলামী-ব্যাংক-এটিএম-বুথ-থেকে-টাকা-তোলার-নিয়ম
তাই আজকের আর্টিকেলটি আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তবে আপনিও ইসলামী ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম ও ইসলামী ব্যাংক এটিএম কার্ড চার্জ সম্পর্কে জানতে পারবেন।সেই সাথে ইসলামী ব্যাংক সম্পর্কিত আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আলোচনা করতে চলেছি এগুলো সম্পর্কে জানতে নিচের অনুচ্ছেদটি ফলো করুন।
পোস্ট ইনডেক্সঃইসলামী ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম।ইসলামী ব্যাংক এটিএম কার্ড চার্জ

উপস্থাপনা।ইসলামী ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম।ইসলামী ব্যাংক এটিএম কার্ড চার্জ

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় আজকে আর্টিকেলের ভিতরে আলোচনা করতে চলেছি ইসলামী ব্যাংক এটিএম বুথে টাকা তোলার নিয়ম ও ইসলামী ব্যাংক এটিএম কার্ড চার্জ সম্পর্কে।একই সাথে আমাদের আজকের আর্টিকেল সম্পন্ন করে জানতে পারবেন ইসলামী ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা তোলা যায়, ইসলামী ব্যাংক ভিসা কার্ড সুবিধা কোন ব্যাংকের ভিসা কার্ড ভালো এবং কার চুরি হয়ে গেলে কি করবো।

ইসলামী ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম

আমরা অনেকেই ইসলামী ব্যাংকে টাকা জমা করতে চাই ইসলামী ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা কি জানেন যারা ইসলামী ব্যাংকে প্রথমবার টাকা জমা দিবেন তাদের কিন্তু জানতে হবে যে ইসলামী ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

অনেকে অনলাইনে ইসলামী ব্যাংকের সেলফ ইন অ্যাপ ব্যবহার করে একাউন্ট করে থাকেন যার কারণে তাদের কাছে জমা বই নাও থাকতে পারে তারাও তাদের ইসলামী ব্যাংকের একাউন্টে টাকা জমা করতে পারবেন আসুন এবার জেনে নিয়ে ইসলামী ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম গুলো কি।
  • শাখার জায়গায় আপনার ব্যাংক শাখার নাম লিখুন যেমনটি আমি লিখলাম চারঘাট শাখা।
  • মুদ্রা বা সঞ্চয় হিসাব নং - এইখানে আপনি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার দিন।
  • নামের জায়গায় আপনি আপনার হিসাবধারীর নাম লিখুন।
  • বিবরণে আপনার টাকার বিবরণ দিতেও পারেন আবার টাকার পরিমাণ একবারে লিখে দিলেও চলবে।
  • টাকা (কথায়) এর পাশে টাকার পরিমাণ কথাই বানান করে লিখুন
  • ক্যাশিয়ার এবং অফিসারের জায়গায় আপনার কিছু করার দরকার নেই এটি ব্যাংকের পূরণীয় জায়গা।
জামানো তো গাড়ির স্বাক্ষর এর জায়গায় আপনার স্বাক্ষর এবং নিচে আপনার মোবাইল নাম্বার দিন তারপর এই জমা বইসহ ব্যাংকের আপনার টাকা জমা দিন ক্যাশ কাউন্টারে জমা দিলে তারা টাকা গ্রহণ করে বয়েতে একটি সিল এবং স্বাক্ষর করে দিয়ে দিবে। সাথে বইয়ের দুই অংশের একটি অংশ কেটে নিয়ে নিবে। বাকি অংশ আপনার বউয়ের সাথে সংযুক্ত করে থাকবে টাকা জমা দেওয়ার প্রমাণ হিসেবে।

এভাবে জমা বইটি পূরণ করে আপনি মাসিক ভাবে আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে পারবেন। মাসিক ভাবেও না আপনি চাইলে বড় অংকের টাকা এভাবে বই এইরকম পূরণ করে টাকা জমা করে ফেলতে পারবেন। আপনার একাউন্টে অনলাইন এর মাধ্যমে এই টাকা জমা করা একদম নিরাপদ।

ইসলামী ব্যাংক এটিএম কার্ড চার্জ

ইসলামী ব্যাংকে কিন্তু অনেক জনেরই একাউন্ট রয়েছে আপনারা কি জানেন ইসলামী ব্যাংক এটিএম কার্ড চার্জ কত আপনারা যারা ইসলামী ব্যাংকে এটিএম কার্ড খুলেছেন এবং এটিএম কার্ডের চার্ট সম্পর্কে জানা নেই তাদের সকলকে আজকে জানাবো ইসলামী ব্যাংক এটিএম কার্ড চার্ট সম্পর্কে। আমি যদি ইসলামী ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড তৈরি করে থাকেন।

তাহলে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে কিন্তু আপনাকে ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের চার্জ কাটবে তাহলে আপনাকে আজকে জানতে হবে যে ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে কত টাকা চার্জ কাটে। ক্রেডিট কার্ডের চার্ট কিন্তু প্রতিবছরে কাটে এই জন্য প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন চার ধরনের নির্ধারণ করা হয়েছে ক্রেডিট কার্ডের চার্জ আপনি সিলভার ক্রেডিট কার্ড থেকে শুরু করে গোল্ড ক্রেডিট কার্ড এবং প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন যেগুলোর চার্জ আলাদা হয়।

এছাড়াও সর্বনিম্ন ৫০০০০ টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রতিদিন ক্রেডিট কাজের সাহায্যে লেনদেন করলে পাবেন টাকা উঠাতে পারবেন এবং এটিএম বুথের মাধ্যমে এই কার্ডের ব্যবহার করতে পারবেন অনেকের ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে অনলাইনে জানার চেষ্টা করেন চলুন জেনে আসি ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের চার্জ কত টাকা কাটে।
  • সিলভার ক্রেডিট কার্ড :৫০০ টাকা চার্জ কাটে এক বছর।
  • গোল্ড ক্রেডিট কার্ড :১ হাজার টাকা চার্জ কাটে এক বছর।
  • প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড: ১৫০০ টাকা চার্জ কাটে এক বছর।
আপনি যদি ফ্রি চার্জ দিতে বিলম্ব করেন তাহলে প্রত্যেক ক্রেডিট কার্ডের জন্য ৫০০ টাকা জরিমানা সহ প্রদান করতে হবে আপনাকে।

ইসলামী ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম

ইসলামিক ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা নিয়ম সম্পর্কে আপনারা কি জানেন যারা ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন কিন্তু বুথ থেকে টাকা তুলতে হয় কোন নিয়মে তারা কিন্তু জানেন না তাদের জন্য আজকের আমাদের আর্টিকেলটি ইসলামী ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম।
টাকা উত্তোলনের সময় যে কার্ডের মাধ্যমে টাকা তুলবেন তার সাথে করে নিয়ে আসতে হবে। আর আপনাকে অবশ্যই আপনার এটিএম কার্ডের গোপন ৪ সংখ্যার পিন নাম্বারটি সংগ্রহ করতে হবে এবং তা মনে রাখতে হবে কারণ আপনি যতবার এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলবেন ততবার এই পিনটি আপনাকে প্রদান করতে হবে।

এই দুইটি বিষয় নিশ্চিত হওয়ার পর আপনি এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।ইসলামী ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার পদ্ধতি গুলো আপনাদের কয়েকটি ধাপে আমরা আজকে জানাবো চলুন জেনে নেওয়া যাক ইসলামী ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম
ধাপ ১: ইসলামী ব্যাংকের কাছের এটিএম বুথ খুঁজে বের করতে হবে এবং যেই ব্যাংকে এটিএম কার্ড সাপোর্ট করে সেখানে যেতে হবে।
ধাপ ২: এরপর এটিএম বুথে প্রবেশ করুন প্রবেশ করার পর একটি মেশিন দেখতে পাবেন এই মেশিনের কাছে যান।
ধাপ ৩: মেশিনের কাছে গেলে মেশিনের ডান পাশে কার্ড প্রবেশ করানোর একটি জায়গা দেখতে পাবেন সেখানে কার্ড প্রবেশ করানোর দিকনির্দেশনা দেওয়া থাকে সাধারণত এটিএম বুথে কার্ড প্রবেশ করানোর সময় কার্ডের সামনের অংশ অর্থাৎ যে দিকে সিমের মত চিপ দেওয়া থাকে সেটাকে সবসময় উপরের দিকে রেখে প্রবেশ করাতে হবে।

ধাপ ৪: তার সঠিকভাবে এটিএম বুথে প্রবেশ করানো সম্পন্ন হলে আপনি কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। এবং কিছুক্ষণ পর ডিসপ্লেতে আপনাকে আপনার কার্ডের পিন প্রদান করতে বলা হবে। এবার এটিএম মেশিনে আপনার ৪ সংখ্যার গোপন পিন প্রদান করুন এবং enter চাপ দিন পিন প্রদান করার সময় অবশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন।

ধাপ ৫: পিন প্রধান সঠিক হলে আপনার সামনে এটিএম ও আপনার ব্যাংকের ফিচার অনুযায়ী বিভিন্ন অপশন আসবে এখান থেকে আপনার লেনদেনের ধরন নির্বাচন করুন আপনি যেহেতু টাকা উত্তোলন করবেন উইথড্র (Withdraw)অপশনটি নির্বাচন করুন।

ধাপ ৬: উইথড্র অপশনটি নির্বাচন করার সাথে সাথে দুই ধরনের স্ক্রিন আপনার সামনে চলে আসবে একটিতে বিভিন্ন টাকার পরিমাণ অংক লেখা থাকবে যেখানে আপনি আপনার টাকার পরিমাণ নির্বাচন করতে পারবেন আবার শেষে আপনি অন্যান্য পরিমাণ লেখার অপশনও নির্বাচন করতে পারবেন।

যার মাধ্যমে নিজের ইচ্ছামত টাকার পরিমাণ কিপ্যাড থেকে প্রদান করতে পারবেন। আরেকটি আপনি সরাসরি কী প্যাডের মাধ্যমে আপনার টাকার পরিমান প্রদান করে নিবেন এবং টাকার পরিমান প্রদান করা হলে enter বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৭: এইবার মেশিন জিজ্ঞাসা করবে যে আপনি আপনার লেনদেনের রশিদ চান কিনা রশিদ চাইলে অপশনে ক্লিক করুন আর না হলে না অপশনে ক্লিক করে লেনদেন সম্পন্ন করুন।
ধাপ ৮: এই ধাপে আপনি যে পরিমাণ টাকা প্রদান করেছেন সেই পরিমাণ টাকা আপনার ব্যাংকে থাকলে এবং বাকি সবকিছু ঠিক থাকলে সাথে সাথে এটি মুহূর্তের মেশিনে একটি ঢাকনা সরে গিয়ে আপনার টাকা বেরিয়ে আসবে বাট আপনার টাকা উত্তোলন হয়ে গেল।
ধাপ ৯: এরপর মেশিন আপনার কাছে জানতে চাইবে যে আপনি আর কোন লেনদেন করতে চান কি না। 'হ্যাঁ' অপশনে ক্লিক করলে আপনি আবারও পূর্বের স্কিন নিয়ে ফিরে যাবেন। আর 'না' অপশনে ক্লিক করলে আপনার কার্ড বের হয়ে আসবে তখন নিয়ে নিতে পারবেন।
উপরোক্ত ধাপ গুলো অনুসরণ করলে আপনি খুব সহজে নিজে এটিএম মেশিন থেকে আপনার টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

ইসলামী ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা তোলা যায়

আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক হয়ে থাকেন এবং ইসলামী ব্যাংকের এটিএম কার্ড ব্যবহার করে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার এটা জানা জরুরী ইসলামী ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা তোলা যায়। আমরা প্রতিনিয়ত এটিএম কার্ড ব্যবহার করে থাকি কিন্তু ইসলামী ব্যাংকের এটিএম কার্ড থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা তুলতে পারা যায় সেটা কি আমরা জানি।

আসলে এটিএম কার্ড ব্যবহার করলেই হবে না এই কার্ডে কত টাকা সর্বোচ্চ তোলা যাবে সেই সম্পর্ক জানতে হবে। ইসলামী ব্যাংকের এটিএম বুথ রয়েছে জনপ্রিয় এবং বিভিন্ন জায়গাতে ইসলামী ব্যাংকের এটিএম বুথ আপনারা দেখতে পান এবং ইসলামী ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে 24 ঘন্টার মধ্যে আপনার এক লক্ষ টাকা তুলতে পারবেন।

তবে এটিএম কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ আপনি ২০ হাজার টাকা করে একবার বের করতে পারবেন কয়েকবারে আপনি এক লক্ষ টাকা তুলতে পারবেন। একবারে আপনি বিশ হাজার টাকা বের করতে পারবেন এভাবে পাঁচ বাড়ে আপনি এক লক্ষ টাকা বের করতে পারবেন। তবে সকল ধরনের কার্ড থেকে POS এর মাধ্যমে দৈনিক সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা উত্তোলন করা যাবে।

তাই আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে চান তাহলে কিন্তু আপনি এই টাকাটি তুলতে পারবেন একদিনে সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা। তবে একবার এই টাকা বের হয়নি এটি হয়তো আপনারা বুঝতেই পারছেন বারে বারে আপনাকে বের করতে হবে এবং তার জন্য আপনার একটি চার্জ কাটবে।

ইসলামী ব্যাংক ভিসা কার্ড সুবিধা

ইসলামী ব্যাংকের যারা ভিসা কার্ড তৈরি করেছেন তারা হয়তো ভিসা কার্ড ব্যবহারের সুবিধা সম্পর্কে জানেন যারা নতুন ভাবে ইসলামী ব্যাংক ভিসা কার্ড সুবিধার সম্পর্কে জানেন না তাদেরকে আজকে জানাবো ইসলামী ব্যাংক ভিসা কার্ড সুবিধা গুলো। সারা দেশে ইসলামী ব্যাংকের ৫ শতাধি কেটিএম বুথ রয়েছে এবং ভিসা চিহ্নিত চার হাজারেরও বেশি এটিএম বুথ ২৪ ঘন্টা ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে।

এছাড়া এটিএম বুথ থেকে নগর টাকা উত্তোলন ছাড়া বিনা খরচে একাউন্ট ব্যালেন্স জানা অ্যাকাউন্ট এর স্টেটমেন্ট নেওয়া যায় এটিএম থেকে ফান্ড ট্রান্সফার বিল পরিশোধ মোবাইল রিচার্জ এবং পিন পরিবর্তন করা যায় একজন গ্রাহক প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা নগদ উত্তোলন এবং কেনাকাটা করতে পারবে এই কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে।

তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন ইসলামী ব্যাংকের ভিসা কার্ডের সুবিধা কত রয়েছে আপনি এই কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন এবং নানা রকমের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। ভিসা কার্ড ইস্যু ফ্রি গোল্ড কার্ড ইস্যুও ফ্রী কিন্তু প্লাটিনাম কার্ড ইস্যু ৫০০ টাকা লাগে ভিসা কার্ড ফ্রি ২০০ টাকা এটিএম থেকে উত্তোলন সীমা দৈনিক ৫০০০০ টাকা আপনারা নিতে পারবেন।

অনলাইন পেমেন্ট সর্বোচ্চ দৈনিক এক লক্ষ টাকা এটি সিঙ্গেল কারেন্সির কার্ড। এছাড়াও গোল্ড কার্ড ফি ৩০০ টাকা এটিএম থেকে উত্তোলনসীমা দৈনিক এক লক্ষ টাকা ই কমার্স বা এই শপিং অনলাইন পেমেন্ট সীমা সর্বোচ্চ দৈনিক ২ লক্ষ টাকা এটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড।

বেসিক: ভিসা কার্ড বেসিক প্যাকেজ জরুরী সহায়তা, জরুরী কার্ড রিপ্লেসমেন্ট, এক্সটেন্ডেড বায়িং, ওয়ারেন্টি, রেন্ট এ গাড়ি নেওয়ার সুরক্ষার মতো সুবিধা পাওয়া যায়।
সিগনেচার: মিড রেঞ্জের ভিসা কার্ড প্যাকেজের নাম হলো সিগনেচার বেসিক প্যাকেজের সকল সুবিধার পাশাপাশি সিগনেচার প্যাকেজ এর অনলাইন পোর্টাল ডিসকাউন্ট, এন্টারটেইনমেন্ট, ট্রাভেল, স্পোর্টস ইভেন্ট ইত্যাদি ক্ষেত্রে এক্সক্লুসিভ এর সুবিধা অফার পাওয়া যায়।

ইনফিনিট: উল্লেখিত দুইটি প্যাকেট এর সুবিধা সমূহের সাথে আরো বাড়তি সুবিধা যোগ করায় ভিসা ইনফিনিট প্যাকেজটি। মূলত উচ্চ বৃত্তের ব্যবহারের উদ্দেশ্যে এই ভিসা প্যাকেজটি তৈরি করা হয়েছে যা দ্বারা প্রায় কার্ড ব্যবহার করে প্রাপ্ত সকল ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়।

কোন ব্যাংকের ভিসা কার্ড ভালো

আপনারা কি ভিসা কার্ড ব্যবহার করতে চান যদি আপনারা প্রথমবার ভি চাকার তৈরি করতে যান তাহলে কিন্তু একবার খোঁজখবর নিয়ে নিবেন কোন ব্যাংকের ভিসা কার্ড ভালো সার্ভিস দেয় আসলে আপনি যখন প্রথমবার ভিসা কার্ড নিবেন তখন কিন্তু একটু জেনেবে যে যাকাত করাটাই ভালো হবে। ভিসা কার্ড পেতে কিন্তু অনেক রকমের যোগ্যতা লাগে।

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ভিসা কার্ড অনেক ভালো এবং ইনস্ট্যান্ট ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকের অভিসাকার সবচেয়ে ভালো হিসেবে ধরে নেওয়া হয় কারণ এই ব্যাংকগুলো অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে সংখ্যা অনেক বেশি থাকে আমাদের দেশে থেকে টাকা লেনদেন করা যায় যে কোন জায়গায় থাকায়।

আপনি যদি একজন ডাচ বাংলা ব্যাংকের গ্রাহক হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ইচ্ছে করলে পাঁচ ধরনের কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন কারণ ডাচ বাংলা ব্যাংকের পাঁচটি কার্ড রয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের প্রত্যেকটি কার্ডের মধ্যে রয়েছে আলাদা আলাদা সুযোগ আপনি এক এক কার্ডে একেক রকমের সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের পাঁচটি কার্ড আপনি নিতে পারবেন এই কার্ডগুলোর নাম হলো
  • ইনস্ট্যান্ড ডেবিট কার্ড
  • ভিসা ডেবিট কার্ড
  • মাস্টার ইন্টারন্যাশনাল ডেবিট কার্ড
  • মাস্টার কার্ড ডেবিট
  • ভিসা ইন্টারন্যাশনাল ডেবিট কার্ড
এই কার্ডগুলোর মধ্যে যেকোনো পাঁচটি কার্ড আপনি ব্যবহার করতে পারবেন আবার যে কোন একটি কার্ড তৈরি করেও সেগুলো সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

কার্ড চুরি হয়ে গেলে কি করবো

যারা কার্ড তৈরি করেন এটিএম কার্ড বা ভিসা কার্ড তাদের জন্য একটি সতর্কতার বিষয় হতে এটিএম কার্ড যদি আপনার চুরি হয়ে যায় তখন কি করবেন কার্ড যদি চুরি হয়ে যায় তাহলে সাথে সাথে আপনাকে এই কার্ডটির জন্য জিডি করতে হবে এছাড়াও যারা জানেন না কার চুরি হয়ে গেলে কি করতে হয় তারা আজকে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন।

আপনার ভিসা কার্ড হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে প্রথমে আপনাকে আইনের আশ্রয় নিতে হবে। এবং এর অংশ হিসেবে প্রথম কাজই হলো আপনাকে থানায় জিডি করতে হবে পরে সেই জিডির কপি সহ ব্যাংকের অবহিত করতে হবে। নতুন কার্ড নিতে ব্যাংকের চাহিদা অনুযায়ী আবারও কিছু তথ্য দিতে হবে ব্যাংকের নিয়ম ও কার্ডের ধরন অনুযায়ী।

আপনাকে কিছু ফ্রী জমা দিয়ে পুনরায় নতুন কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। আপনার চুরি হয়ে যাওয়া কার্ডটি বাতিল করে দিতে হবে। কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং নিজের কার্ডের পিন যেন কেউ না জানতে পারে সেই বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যগুলো গোপন রাখার চেষ্টা করবেন এবং অন্যরা যেন বুঝতে না পারে সেই ভাবে গোপন করে রাখতে হবে পিন নাম্বার।

ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নিতে আগ্রহী হন এবং আপনি কি জানেন ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার আগে আপনাকে কিছু ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে। আপনার পেশা কি তা দেখা হবে এবং এর সাথে আপনাকে কিছু কাগজপত্র জমা করতে হবে ব্যাংকে আপনার যে সকল ডকুমেন্ট চেক করা হবে তা নিচে দেওয়া হল :
  • ন্যাশনাল আইডি কার্ড।
  • টিআইএম সার্টিফিকেট।
  • চাকরিজীবীদের জন্য স্যালারি সার্টিফিকেট এবং তাদের বিগত তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  • ব্যবসায়ী হলে ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স এবং বিগত তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  • কিছু কিছু কার্ড এর ক্ষেত্রে ব্যাংক-বয়সীমা নির্ধারণ করে দেয় এবং কার্ড পাওয়ার জন্য প্রার্থীকে সেই বয়স ধারী হতে হবে।
আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য উপরুক্ত এই কাগজপত্র গুলো জমা দিতে হবে।

ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা

আপনি যখন ইসলামী ব্যাংকে বা অন্যান্য যেকোনো ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড করতে চাইবেন তখন কিন্তু আপনার কিছু যোগ্যতা থাকা লাগবে তাহলে আপনি সেই কাজগুলো পাবেন ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা আপনাদের আজকে জানাবে একজন ব্যক্তি ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবে কি পারবে না।

তা নির্ধারণ করা হয় ব্যক্তির ব্যাংক যে সকল ডকুমেন্টস চেয়েছে সেই সকল ডকুমেন্টস জমা দিতে পারবে কিনা এবং সেই সকল শর্তাবলী আপনার রয়েছে কিনা ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য চলুন জেনে নেয়া যাক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা :
  • কার্ড নিতে চাইলে ইসলামী ব্যাংকে একটি একাউন্ট থাকতে হবে।
  • আপনার একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা থাকতে হবে।
  • কাদের ধরন অনুযায়ী আপনার মাসিক স্যালারির একটি সমঞ্জস্যতা থাকতে হবে।
  • আপনার পেশার সাথে সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্টস থাকতে হবে।
  • ব্যাংকের চাহিদা অনুযায়ী আবেদনকারীর পক্ষে কয়েকজন জামিনদারের স্বাক্ষর প্রয়োজন হতে পারে।
  • ব্যাংক কর্তৃক ভেরিফিকেশন গুলোতে আবেদনকারীকে উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • এছাড়া ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংকের ভিন্ন ভিন্ন ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হতে পারে।

এটিএম বুথ থেকে একবারে কত টাকা তোলা যায়

আপনারা কি জানেন এটিএম বুথ থেকে একবারে সর্বোচ্চ কত টাকা তোলা যায় যারা এটিএম কার্ড ব্যবহার করে তারা কিন্তু এই বিষয়টা সম্পর্কে বেশি জানতে হবে কারণ যারা এটিএম বুথ ব্যবহার করে তারা কিন্তু এটিএম বুথ থেকে টাকা বের করার জন্য জানতে চাই যে এটিএম বুথ থেকে একবারে সর্বোচ্চ কয় টাকা বের করা যাবে।

আপনি যখন এটিএম বুথে একবার কার্ড প্রবেশ করবেন তখন কিন্তু একটি লিমিট নির্ধারণ করা থাকে আগে থেকে আপনার কার্ডের এই জন্য সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা বের করতে পারবেন। শরবত একদিনে এটিএম কার্ড দিয়ে আপনি এক লাখ টাকা বের করতে পারবেন আপনার কার্ডের লিমিট এর উপর নির্ভর করে কিন্তু এটি বের করা যায়।

আপনি এটিএম কার্ড ব্যবহার করলে আপনি টাকা তুলতে পারবেন কারণ এটিএম কার্ড হলে এমন একটি কার্ড যা থেকে টাকা তোলা যায় এই কার্ড থেকে আপনি যদি টাকা তুলতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন তাহলে এটিএম বুথ থেকে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা তুলতে পারবেন এবং সর্বোচ্চ আপনি ২০ হাজার টাকা একবার কার্ড ঘষে বের করতে পারবেন।

আপনি যখন কোন একটি ব্যাংক থেকে এটিএম কার্ড সংগ্রহ করবেন তখন তাদের সাথে কথা বলে এটিএম কার্ডের লিমিট কমিয়ে নিতে পারবেন একটি কার্ডে থেকে সর্বোচ্চ তিনবারে টাকা তোলা যায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে। তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন একবারে কত টাকা বের করা যায় এটিএম কার্ড থেকে সেই সম্পর্কে জানতে পারলেন।

শেষ কথা।ইসলামী ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম।ইসলামী ব্যাংক এটিএম কার্ড চার্জ

প্রিয় ভাইয়েরা ঠক এতক্ষণে আমাদের আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে আমরা জানলাম ইসলামী ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম ও ইসলামী ব্যাংক এটিএম কার্ড চার্জ সম্পর্কে।আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকৃত বলে মনে হয়েছে আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করে সকলকে পড়ার সুযোগ করে দিন।

এছাড়াও আপনি যদি এমন ধরনের নিত্য নতুন আপডেট আর্টিকেল পেতে চান তবে আমাদের ওয়েব সাইটে ফলো করে রাখুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন আছে সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url