গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় - গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতার কারণ
প্রিয় পাঠক ও পাঠিকা আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা যা জানতে চলেছি তা হলো
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় এবং গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতার
কারণ সম্পর্কে।গর্ভবতী নারীদের জন্য গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে
হয় এ বিষয় সম্পর্কে জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।তাই আপনি যদি গর্ভাবস্থায়
হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় এ বিষয় সম্পর্কে না জেনে থাকেন তবে এ পোস্টটি
পড়ুন।
আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি
হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন মাছে,রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ, শরীরের রক্ত কম হলে
কি কি সমস্যা হয়।আশা করছি আজকের পোস্টটি আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে
তাই পোস্টটি সম্পন্ন পড়ে জেনে নিন গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়
ও গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতার কারণ সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃগর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে
হয়।গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতার কারণ
ভূমিকা গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়।গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতার কারণ
আমাদের আজকের আর্টিকেলটি মূলত গর্ভ অবস্থায় নারীদের জন্য রক্তস্বল্পতার ঘাটতি
দেখা দেয়।এ অবস্থায় একজন গর্ভবতী নারী কি করবে তা নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে
আলোচ্য বিষয়।আমাদের এই পোষ্টের মধ্যে আমরা সম্পূর্ণ অংশ জুড়ে গর্ভবতী নারীদের
গর্ভ অবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় ও গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতার
কারণ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
এছাড়া গর্ভবতী নারীদের জন্য গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ,
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লিন বাড়ে কোন খাবারে, শরীরের রক্ত কম হওয়ার লক্ষণ
হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক কত এবং শরীরের রক্ত কম হলে কি কি সমস্যা হয়।একজন গর্ভবতী
নারী যদি এই সমস্ত বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে পারে তাহলে নিশ্চয়ই সে নিজেকে রক্ত
সল্পতার হাত থেকে সুস্থ রাখতে পারবে।তাই কোথাও না গিয়ে পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন।
গর্ভবতী মায়ের রক্তশূন্যতা দূর করার উপায়
একজন নারী যখন গর্ভবতী হয় তখন কিন্তু তার নানা রকমের সমস্যা হয় এর মধ্যে অন্যতম
সমস্যা গর্ভবতী মায়ের রক্তশূন্যতা দূর করা। এটি বিশ্বব্যাপী সাধারণ স্বাস্থ্য
সমস্যা এজন্য স্বল্প উন্নত দেশগুলোতে গর্ভকালীন রক্তশূন্যতার জন্য ২০ শতাংশ নারীর
মৃত্যু হয়ে থাকে।
যার ফলে আপনাদের যদি কারো গর্ভবতী অবস্থায় রক্তশূন্যতা দেখা দেয় তখন কিন্তু
গর্ভবতী মায়ের রক্তশূন্যতা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেই উপায়
গুলো মেনে সেই গর্ভবতী মাকে যত্ন নিতে হবে।
গর্ভধারণের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের শতকরা 10
গ্রামের কম থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়াও কলিজা, মাংস, ডিম, সবুজ
শাক-সবজি, মাটরশুটি, কলা, পেয়ারা, আনারের মতো আমি ভিটামিন ও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার
বেশি করে খেতে হবে। খাদ্যতালিকা আয়রন যুক্ত খাবার নিয়মিত রাখতে হবে এবং
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আয়রন ট্যাবলেট খেতে হবে।
কোন সংক্রমণ থাকলে দূরত্ব চিকিৎসা করাতে হবে গর্ভকালীন সময় নিয়মিত চেকআপ করতে
হবে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতি তিন মাস অন্তরের অন্তর একবার করে হিমোগ্লোবিন
পরীক্ষা করতে হবে। রক্তস্বল্পতা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে
হবে। সুস্থ শিশুর জন্মের প্রধান শর্ত মায়ের পূর্ণ সুস্থতা তাই উভয়ের সার্বিক
সুস্থতার জন্য গর্ভবতী মায়ের সুস্থতা ও আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়
গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতা হবার যথেষ্ট কারণ থাকে গর্ভবতী নারীর ক্যালরির সঙ্গে
লৌহ বা আইরনের চাহিদা বৃদ্ধি পায় গর্ভাবস্থায় এই জন্য চাহিদা মত লৌহ পূরণ না
হলে এই সময় রক্তশূন্যতা দেখা দেয় স্বাভাবিক একজন গর্ভবতী নারীর দেহে রক্তের
পরিমাণ 15 থেকে 20 শতাংশ থাকে রক্তের তরলের পরিমাণ 30% বৃদ্ধি পায় এবং শরীর
বৃদ্ধি ও রক্তশূন্যতা হতে পারে।
আগে থেকে রক্তশূন্যতা পুষ্টিহীনতা ও ঘন ঘন সন্তান জন্ম দেন এই ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে
দেয় এই জন্য আপনাদের গর্ব অবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হবে এই
সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে আপনার যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা গর্ভাবস্থায় কমে যায়
তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রক্ত দিতে হবে। একজন মানবদেহে স্বাভাবিক
মাত্রার থেকে কম পরিমাণে রক্ত থাকলে কিন্তু তখন শরীরের রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন
হয়।
তবে বিশেষজ্ঞ বা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভবতী নারীর ১১ বা তার থেকে বেশি
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সাধারণত স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়। এর থেকে কম হলে তখন
রক্ত দিতে হয়। একজন গর্ভবতী নারী শরীরের যদি ১১% হিমোগ্লোবিন থাকে তাহলে রক্ত
দিতে হবে না। কিন্তু এর থেকে যখন কম হয়ে যাবে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ তখনই তার
রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
হিমোগ্লোবিনের ফলে ক্লান্তি দূর্বলতা এবং শ্বাসকষ্টের মতো নানা রকমের সমস্যা দেখা
দেয় স্বাস্থ্যকর হিমোগ্লোবিনের জন্য আয়রনসমৃদ্ধ খাবারের সাথে একটি সুষম খাদ্য
বজায় রাখা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ।বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষদের জন্য হিমোগ্লোবিন
স্বাভাবিক ১৩.৫ থেকে ১৭.৫ গ্রাম প্রতি ডেসিলিটার।
প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের জন্য হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক ১২ থেকে ১৫.৫ গ্রাম
ডেসিলিটার।আর গর্ভবতী নারীর জন্য ১১ বা তার বেশি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সাধারণ এবং
স্বাভাবিক বলে মনে করা হয় তবে এর থেকে কম হলে রক্ত দিতে হবে।আশা করছি
আপনি গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় তা বুঝতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার ফলে কিন্তু গর্ভবতী মায়ের নানা রকমের
শরীরে জটিলতা সৃষ্টি হয় অতিরিক্ত রক্তস্বল্পতা কমে যাওয়ার কারণে রক্তের
হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ৭ এর কম হলে মা ও গর্ভে শিশুর বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে
পারে এর মধ্যে রয়েছে প্রি-একলাম্পসিয়া, কার্ডিয়া ফেইিউর, রোগ সংক্রমণ ও প্রসাপ
পরবর্তী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ। গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতার কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে
এর মধ্যে
- ঘন ঘন ক্লান্তি অনুভব ও মাথা ঘোরা
- শরীরে দুর্বলতা দেখা দেয়
- শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা হওয়া
- দ্রুত বা অনিয়মিত হৃদ স্পন্দন
- বুকে ব্যথা হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া
- ঠোঁটের কোণে ক্ষত, জিহ্বায় ঘা।
- মুখ ফ্যাকাসে হওয়া ও চোখ সাদা হয়ে যাওয়া
- পা ফুলে যেতে পারে ওবুক ধরফর করে।
গুরুত্ব এই লক্ষণ গুলো প্রাথমিকভাবে হালকা হতে পারে তবে এগুলো উপেক্ষা করলে
পরবর্তী সময়ে ঝুকের কারণ হয়ে যায় সাথে সাথে লক্ষণগুলো দেখা দিলে খারাপ দিকে
যেতে পারে এই জন্য লক্ষণের উপসর্গ কোনটা দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং
সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে
গর্ভাবস্থা হিমোগ্লীন বাইরে কোন খাবারে গর্ভ অবস্থায় যদি আপনার হিমোগ্লোবিন কমে
যায় তাহলে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে এবং যে সকল
খাবারের রক্ত বৃদ্ধি পায় সেই সকল খাবার খেতে হবে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় সেই
খাবারগুলো রাখতে হবে।
গর্ভধারণের প্রথম থেকে যথেষ্ট লৌহ সমৃদ্ধ খাবার খান যেমন :কচু শাক, কাঁচা কলা,
পেয়ারা, শিম, মটর ডাল, বাঁধাকপি, কলিজা,মাংস, খোলসহ মাছ যেমন চিংড়ি মাছ। এছাড়া
গর্ভধারণের পর চিকিৎসকের পরামর্শে প্রথম তিন মাসের পর থেকে নিয়মিত আইডেন্ট সেবন
করতে হবে সাধারণত প্রথম তিন মাস মাসিক বন্ধ থাকার কারণে রক্তশূন্যতা ততটা বোঝা
যায় না এবং এই সময় আইরন খেলে বমি ভাব ও ক্ষুধা মন্দা বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা
থাকে।
গর্ভকালীন কয়েকবার রক্ত হিমোগ্লোবিনের মাত্রা দেখা দরকার রক্তশূন্যতা তীব্র আকার
ধারণ করলে প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে এবং ইনজেকশন এমনকি রক্ত পরিচালনের
দরকারও হতে পারে। তাই এই সময় আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি ফলমূল সবুজ শাকসবজি
খাদ্য তালিকায় নিয়মিত রাখতে হবে এবং গর্ভবতী নারীর একটু বেশি যত্ন করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতার কারণ
গর্ভবতী নারীদের প্রায় সময়ই শোনা যায় গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতার কারণ
হয়েছে,এর কারণ হিসেবে কিন্তু নানা রকমের সমস্যা হতে পারে শরীলে ভিটামিনের ঘাটতি
বিশেষ করে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতির কারণে আবার আয়রন আমাদের শরীরে অত্যন্ত
প্রয়োজনীয় আয়রনের অভাব দেখা দিলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। লিউকোমিয়া
দেখা দিলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলেও শরীর থেকে রক্ত
কমে যেতে পারে।
এবং সাথে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যেতে পারে যে ধরনের গুরুত্ব রোগ যেমন
ক্যান্সারের, পাইলস,লিভার ইত্যাদি কারনে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়।
গর্ভকালীন শরীরে ক্যালরি সঙ্গে লৌহ বা আয়রনের চাহিদা বৃদ্ধি পায় চাহিদা মতো যখন
লোভবা আয়রন শরীরের না পাওয়া যায় তখনই রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।
স্বাভাবিক একজন গর্ভবতী নারীর দেহে রক্তের পরিমাণ ১৫ থেকে ২০% থাকে রক্তে তরলের
পরিমাণ ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং শরীল বৃত্তীয় রক্তশূন্যতা হতে পারে। একজন
গর্ভবতী নারীর রক্তে যদি হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ 11 এর কম থাকে সেক্ষেত্রে এই
অবস্থাকে গর্ভবতী রক্তশূন্যতা বলা হয়।
কারণ :গর্ভধারণের কারণে রক্তস্বল্পতা হতে পারে কারণ এই সময় শরীরের জলীয় উপাদান
বেড়ে যায়তখন রক্তে লোহিত কণিকা কম তৈরি হয় সে কারণে রক্তস্বল্পতা দেখা
দেয়।গর্ভাবস্থায় আগে থেকে রক্তস্বল্পতা থাকতে পারে গর্ব অবস্থায় পর সেটি বেড়ে
যেতে পারে।আয়রন যুক্ত খাবার কম খেলে রক্তশূন্যতা হয়।গর্ভাবস্থায় বমি হওয়াকেও
রক্তশূন্যতার জন্য দায়ী করা হয়।
ভুল খাদ্য অভ্যাস অর্থাৎ সুষম সঠিক খাবার না খাওয়ার কারণে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে
পারে। এর প্রভাব তো হবেই আবার অনেক গর্ভবতী মা জাং ফুড বা পচনশীল খাবার খেয়ে
থাকেন। এটি রক্তশূন্যতার ঝুঁকি তৈরি করে আমরা স্বাভাবিক ভাবে জানি লাল শাক,কচুর
শাক, ছোট মাছ, ডিম, শিং মাছ, কলা কাঁচা, আনারের মতো খাদ্যে আয়রন রয়েছে।
প্লেটের অভাবে রক্তশূন্যতা হয়, ফুলেট হলো এক ধরনের ভিটামিন বি যা শরীরের নতুন
কোষ তৈরি করতে দরকার হয় এটি রক্তের লোহিত কণিকা গঠনে সহায়তা করে গর্ব অবস্থায়
চাহিদা বাড়ে ফুলেটের অভাবে স্বাস্থ্যকর লোহিত কণিকার পরিমাণ কমে যেতে পারে যার
কারণে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।
আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এছাড়াও লোহিত কণিকা সময়ের
আগে ভেঙ্গে গেলে রক্তশূন্যতা হয়।দীর্ঘদিন নানা রোগ যেমন কিডনি ড্যামেজ বা অকেজো
লিভার অকার্যকর, থাইরয়েড, গ্রন্থির সমস্যা,যক্ষা সহ নানা রকমের রোগের কারণে
রক্তস্বল্পতা হতে পারে।
হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন মাছে
আপনার যদি হিমোগ্লোবিন কম হয়ে যায় তাহলে কিন্তু অবশ্যই খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন
আনতে হবে খাদ্য তালিকায় এমন সকল খাবার রাখতে হবে যে খাবারগুলো খেলে রক্তের
হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি পাবে। রক্তের হিমাগুলো বৃদ্ধি করার জন্য কিন্তু আপনারা
সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন মাছে এই সম্পর্কে আপনাদের
অনেকেরই জানার আগ্রহ ছিল তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন।
সামুদ্রিক মাছের মধ্যে রয়েছে আয়রন যার ফলে আপনি রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করতে
পারবেন। সামুদ্রিক মাছ ও বিভিন্ন খাবারে পাওয়া যায় আয়রন এবং অন্যান্য খনিজ
পুষ্টি। তাই যাদের আগে থেকেই অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা রয়েছে তারা নিয়মিত
চিংড়ি, কাঁকড়া সহ বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন এতে রক্তে
হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়বে।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয় দুর্বলতা,
নিঃশ্বাসের সমস্যা, মাথাব্যথা, মাথা ঘুরানো, হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, আবার
হার্টবিট বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। তাই নিয়মিত যে সকল খাবারের
মধ্যে হিমোগ্লোবিন রয়েছে সেই খাবারগুলো খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
শরীরে রক্ত কম হওয়ার লক্ষণ
শরীরে যখন রক্ত কম হবে তখন বিভিন্ন রকমের সমস্যা সৃষ্টি হবে এগুলোর মধ্যে অন্যতম
ক্লান্তি অনুভব ও দুর্বলতা মাথা ঘোরার শ্বাস-প্রশাসে সমস্যা দ্রুত বা অনিয়মিত
স্পন্দন বুকে ব্যথা হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া পা ফুলে যাওয়া ঠোঁটের কোনায় ক্ষত
জিব্বায় ঘা এরকম নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয়। শরীরের রক্ত কম হওয়ার ফলে অনেক
সময় কিন্তু শরীর ফ্যাকাসে হয়ে যায় যার ফলে বুঝতে পারবেন।
যে আপনার শরীরের রক্ত কম হয়েছে। যদি একজন ব্যক্তি রক্তশূন্য হয়ে পড়ে
তাহলে তার একগুচ্ছ লক্ষণও উপসর্গ দেখা দিবে যার মধ্যে ক্লান্তিবোধ হবে মাথা ঘোরার
মতো নানারকমে সমস্যা শুরু হবে যার ফলে আপনাকে কিন্তু শরীর বুঝায় দিবে যে আপনার
শরীরের রক্তশূন্যতা আছে দ্রুতই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পুরুষের ক্ষেত্রে লিটার রক্তে ১৩৫ গ্রাম আর নারীদের
১২০ গ্রামের কম হলেই তাকে রক্তস্বল্পতা বলা হয়। তবে সব সময় তো রক্ত পরীক্ষা করা
সম্ভব নয়। এই কারণে দীর্ঘদিন রক্ত শূন্যতায় ভুগলে অনেকেই টের পায় না অজান্তেই
সমস্যা থেকে যায় শরীরে তবে এ ক্ষেত্রে নানা রকমের লক্ষণ বোঝা যায়।
- শরীরে আয়রন কমে গেলে দেখা যেতে পারে রক্তশূন্যতা এর প্রভাবে চুল পড়ে যেতে পারে কাজে অতিরিক্ত চুল পড়া সমস্যা রক্তস্বল্পতা লক্ষণ।
- রক্তস্বল্পতার প্রভাবে ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যেতে শুরু করে অনেকেই ভাবে ত্বক হয়তো উজ্জ্বল হচ্ছে এছাড়া রক্তশূন্যতার কারণে চোখের ভেতরের মাংসপেশিগুলো লাল রং হারিয়ে ফেলে।
- রক্তে হিমোগ্লোবিনে অক্সিজেন ফ্লোরি বহন করে ফলে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে শরীলে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয় এক্ষেত্রে রোগীর সব কাজে হাঁপিয়ে যায় বা ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
- রক্তশূন্যতার রোগীরা অল্পে ক্লান্তি ও বিষন্নতায় ভোগেন যা ডেকে আনতে পারে মাথা ব্যথা ও কিছু রোগের ক্ষেত্রে মানসিক অবসাদে শিকার হতে পারেন।
হাত পা ঠান্ডা হয়ে থাকা কিন্তু রক্ত শূন্যতার ইঙ্গিত দেয় তাই এই সব লক্ষণ দেখা
দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন আর সময়মতো চিকিৎসা না করলে ঘুরতে পারে
নানা রকমের বিপদ।
হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক কত
আপনার হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক কিনা এটা কি আপনি জানেন আসলে হিমোগ্লোবিন কত থাকলে
একজন মানবদেহে স্বাভাবিক ধরা হয় সেটা কিন্তু অনেকেই জানেনা হিমোগ্লোবিনের
স্বাভাবিক মাত্রা কত হবে আজকে আপনাদেরকে জানাবো।
- বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষদের জন্য হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক ১৩.৫ থেকে ১৭.৫ গ্রাম প্রতি ডেসিলিটার
- প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের জন্য হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক ১২ থেকে ১৫.৫ গ্রাম ডেসিলিটার।
- আর গর্ভবতী নারীর জন্য ১১ বা তার বেশি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সাধারণ এবং স্বাভাবিক বলে মনে করা হয় তবে এর থেকে কম হলে রক্ত দিতে হবে।
আপনার শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে অবশ্যই আপনাকে কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ নিতে
হবে এবং চিকিৎসা করতে হবে হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতে হবে তার জন্য
নিয়মিত খাদ্য তালিকাতে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে।
রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ
আপনারা কি রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ সম্পর্কে জানতে চাইছেন আসলে
রক্তিমোগ্লোবিন কমে গেলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং চিকিৎসা
করতে হবে রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির জন্য ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তার যে পরামর্শটি
দিবে সেই পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। এছাড়াও আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে বা ঘরোয়া
পদ্ধতি অবলম্বন করে রক্তের হিমোগ্লোবিনবদ্ধ হতে পারেন।
লোহিত রক্তকণিকা আইরনসমৃদ্ধ প্রোটিনের নামই হিমোগ্লোবিন এটি গোটা দেহে অক্সিজেন
বহন করতে সাহায্য করে মানুষের দেহে সঠিক পরিমাণে হিমোগ্লোবিন থাকা জরুরী এই
হিমোগ্লোবিনে স্বল্পতার কারণে কিন্তু দুর্বলতা অবসাদ শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা
ক্ষুধামন্দা ছাড়াও আরো অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। হিমোগ্লোবিন সকলে শরীরে
কমবেশি থাকে। হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ওষুধ হবে।
আয়রনসমৃদ্ধ খাবার : সুডিলে লোহার ঘাটতি হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার অন্যতম সাধারণ
কারণ হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে লোহা গুরুত্বপূর্ণ। একটি উপাদান আইডিনসমৃদ্ধ কিছু খাবার
হলো কলিজা, লাল মাংস, চিংড়ি, পালংশাক, আমন্ড, খেজুর, শতমূলী ইত্যাদি।
ভিটামিন সি: ভিটামিন সি হিমোগ্লোবিন বৃত্তির জন্য অনেক কার্যকরী
হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ভিটামিন সি এর অভাবে
আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যেতে পারে যেমন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার
পেঁপে, কমলালেবু, লেবু, স্ট্রবেরি, গোলমরিচ, ব্রকলি, আঙ্গুর, টমেটো ইত্যাদিতে
প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে।
ফলিক এসিড: শরীলে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে হলে ফলিক হচ্ছে এক ধরনের ভিটামিন বি
কমপ্লেক্স লাল রক্ত কণিকা তৈরি করতে এটি প্রয়োজনীয় উপাদান সবুজ পাতাযুক্ত সবজি,
কলিজা, ভাত, শিমের বিচি, বাদাম, কলা, ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড পাওয়া
যায়।
বিট: হিমোগ্লোবিন বাড়াতে হলে বিট খেতে পারেন এটি খুব সহজে হিমোগ্লোবিন
বৃদ্ধি করতে পারে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে বিতের রস খাওয়ার পরামর্শ দেয় ডাক্তাররা
এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ফলিক এসিড, ফাইবার ও পটাশিয়াম রয়েছে।
আপেল: আপনি যদি প্রত্যেকদিন একটি করে আপেল খান তাহলে আপনার শরীরের
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক থাকবে আয়রনের উৎস আপেল আর নানা রকমের পুষ্টি রয়েছে
প্রতিদিন খোঁচা সহ একটি আপেল খেতে হবে।
ডালিম: ডালিম আমাদের শরীর দেহের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক রাখতে পারে। কারণ আয়রন, ক্যালসিয়াম, শর্করা ও
আঁশসমৃদ্ধ। ডালিম রক্ত হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে দেহের রক্ত চলাচল সচল রাখে।
প্রতিদিন মাঝারি আকৃতির একটি ডালিম খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
শরীরে রক্ত কম হলে কি কি সমস্যা হয়
আপনার শরীরে যদি রক্ত কম হয় তাহলে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায় শরীরের
রক্ত কম হলে যেই সমস্যাগুলো সম্মুখীন হবেন তার মধ্যে অন্যতম হলো মাথা ঘোরা, মুখে
ঘা হওয়া, দুর্বলতা, অনুভব করা, ক্লান্তি অ্যানিমিয়া, হাত ও পা ফুলে যাওয়া,
শ্বাসকষ্ট, ত্বকের রং পরিবর্তন হওয়া, পিরিয়ডে অধিক ব্লিডিং হওয়া হাত-পা ঠান্ডা
হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়।
প্রাকৃতিক উপায় এবং খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ানো
যায় মহিলারা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে লেবুর রস বেদনা ফলিক এসিড এবং
রসালো ফলমূল খেতে পারেন এগুলো খাবার ফলে রক্তের কণিকা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে তাই
হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে রসালো খেতে পারেন।
হিমোগ্লোবিন শরীরে কমে গেলে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে রোগের সঠিক পরিচর্যা নেওয়া
হয় তা না হলে যেকোনো ধরনের সমস্যা হতে পারে তাই রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ
নেওয়া কিন্তু উচিত নয় এটার জন্য আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং সঠিক
খাবার খেতে হবে।
ঘুম কমে যাওয়া থেকে শুরু করে খাওয়ার প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া হঠাৎ করে রোগীর ওজন
কমে যাওয়া চেহারা ফেরকাশে হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা তৈরি হয় হিমোগ্লোইন কমে
যাওয়ার ফলে। এছাড়া অন্যান্য সমস্যা গুলো অবশ্যই পর্যবেক্ষণ করতে হবে
হিমোগ্লোবিন করে যাওয়ার ফলে।
লেখকের মন্তব্য।গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়।গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতার কারণ
প্রিয় পাঠক ও পাঠিকা আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় থেকে আপনাদের
সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় এবং
গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতার কারণ।আমাদের আজকের পোস্টটি পড়ে আপনার কাছে কেমন
লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন এছাড়াও আপনি
যদি এমন ধরনের নিত্য নতুন আপডেট আর্টিকেল ও পোস্ট করতে চান তবে মিস্টার হেলবুক
ওয়েব সাইটটি আপনার কম ব্রাউজার থেকে বুক মার্ক কইরা রাখুন।
আমাদের আজকের আর্টিকেলে আলোচনা বিষয় গর্ভবতী নারীদের জন্য বলতে চাই আপনারা
অবশ্যই গর্ভাবস্থায় নিজেকে সুস্থ রাখতে যে সমস্ত বিষয়গুলো নজর দেওয়া অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ সে সমস্ত বিষয়গুলো যথাসময়ে পালন করা।নিজেকে এবং নিজের সন্তানকে
সুস্থ রাখতে আমরা সকল নিয়ম কানুন গুলো মেনে চলবো।
মিঃ হেল্প বুক ওয়েবসাইটে ; নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url